Rabindranath Tagore: জাতীয় সঙ্গীত ইংরেজিতে অনুবাদ করেছিলেন কবিগুরু, প্রকাশ্যে সেই পাণ্ডুলিপি

National Anthem: জাতীয় সঙ্গীতের ইংরেজি তর্জমা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কী জানালেন নোবেল কর্তৃপক্ষ?
Rabindranath_Tagore
Rabindranath_Tagore

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সঙ্গীত 'জন-গণ-মন' ইংরেজিতেও লেখা হয়েছিল। আর সেটা লিখেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore) স্বয়ং। এই তথ্য অনেকের কাছেই হয়তো অজানা। বৃহস্পতিবার ভারতের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় সঙ্গীতের একটি পাণ্ডুলিপির ছবি পোস্ট করল নোবেল পুরস্কার কমিটি। পাণ্ডুলিপিটি ইংরেজি ভাষায়। শিরোনাম 'দ্য মর্নিং সং অফ ইন্ডিয়া'। অর্থাৎ 'ভারতের প্রভাতী'। নোবেল কমিটি জানিয়েছে, ওই ইংরেজি পাণ্ডুলিপি আদতে 'জন-গণ-মন অধিনায়ক' গানটিরই ইংরেজি তর্জমা।

গানটির ইংরেজিতে অনুবাদ হয় অন্ধ্রপ্রদেশে (Rabindranath Tagore)

রবীন্দ্র গবেষকেরাই জানাচ্ছেন, অন্ধ্রপ্রদেশের মদনপল্লিতে বিশ্বকবির বন্ধু আইরিশ ভাষার কবি জেমস এইচ কাজিন্স থাকতেন। তিনি ছিলেন সেখানকার বেসান্ত থিওজফিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ। তাঁর আমন্ত্রণে কবি সেখানে গিয়েছিলেন। কবিগুরু (Rabindranath Tagore) তাঁকে গানটি বাংলায় গেয়ে শোনান। পরে, তাঁর অতিথি হয়ে থাকাকালীনই গানটির ইংরেজি অনুবাদও করেন। কবিগুরুর হস্তাক্ষরে সেই অনুবাদ এখনও ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখা আছে মদনপল্লির ওই কলেজের গ্রন্থাগারে। নোবেল কমিটি ভারতের স্বাধীনতা দিবসে তারই ছবি প্রকাশ করেছে। তারা লিখেছে, “জনগণমন হল ভারতের জাতীয় সঙ্গীত। যা প্রথমে বাংলায় লিখেছিলেন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। যাঁকে ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছিল।”

 

style="text-align: justify;"> 

'জন-গণ-মন অধিনায়ক' গানটি প্রথম কবে গাওয়া হয়?

জানা গিয়েছে,'জন-গণ-মন অধিনায়ক' গানটি ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে নির্বাচিত হয় ১৯৫০ সালে। রবীন্দ্রনাথের (Rabindranath Tagore) মৃত্যুর ন'বছর পরে। তবে, গানটি প্রথম গাওয়া হয় ১৯১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর। কলকাতায় জাতীয় কংগ্রেসের ২৬তম বার্ষিক অধিবেশনে। সমবেত কণ্ঠে গাওয়া ওই গানটির পরিচালনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথের বড় দাদার পৌত্র দীনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। তার পরের দিন 'দ্য বেঙ্গলি' পত্রিকায় ওই অধিবেশনের খবরের পাশাপাশি গানটির ইংরেজি অনুবাদও প্রকাশিত হয়।

আরও পড়ুন: মধ্যরাতে আরজি করে তাণ্ডব, ভয়ে রোগীর চাদরের তলায় লুকিয়েছিল মমতার পুলিশ!

নেটিজেনরা কী বললেন?

ইংরেজিতে লেখা এই কপি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনরা নানা মন্তব্য করেছেন। একজন লিখেছেন- আমরা সবাই ছোটবেলায় জাতীয় সঙ্গীত মুখস্ত করে রেখেছিলাম এবং আজ পর্যন্ত আমরা তা ভুলতে পারিনি, এটা গুরুদেবের (Rabindranath Tagore) লেখার জাদু মাত্র। তৃতীয় ব্যবহারকারী লিখেছেন, যে আমি একজন ভারতীয় এবং আমি গর্বিত যে আমি সেই মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি যেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো একজন মহান ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

  

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles