মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিয়ালদা ইএসআই হাসপাতালে (ESI Hospital) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। হাসপাতালের মেল সার্জিক্যাল বিভাগে শুক্রবার ভোরে আচমকাই আগুন লাগে (Hospital Fire)। প্রবল ধোঁয়ায় হাসপাতাল ঢেকে যায়, ফলে দমবন্ধ হয়ে আসে রোগীদের। আগুনে দমবন্ধ হয়ে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তাঁর নাম উত্তম বর্ধন। ক্যান্সারে আক্রান্ত আরও ২ জনকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মানিকতলা ইএসআই হাসপাতালে (ESI Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Hospital Fire)
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রের খবর, শুক্রবার ভোর ৫টা নাগাদ হাসপাতালের দোতলা থেকে কালো ধোঁয়া বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীরাই দমকলে খবর দেন। আচমকা দেখা যায়, হাসপাতালের একটা অংশ দাউ দাউ করে জ্বলছে (Hospital Fire)। এরপরই কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা হাসপাতাল। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রোগী ও তাঁদের পরিজনদের মধ্যে। জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় হাসপাতালে (ESI Hospital) চিকিৎসাধীন ছিলেন ৮০ জন রোগী। পুলিশ ও দমকলের কর্মীরা স্বাস্থ্যকর্মীদের সাহায্যে পুরুষ সার্জিক্যাল বিভাগে ভর্তি থাকা রোগীদের দ্রুত বাইরে বের করে আনেন। রোগীদের অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। খবর পেয়ে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ও দমকলের উচ্চ পদস্থ কর্তারা হাসপাতালে পৌঁছন। পৌনে আটটা নাগাদ আগুন আয়ত্তে আসে। তাঁদের দ্রুত সরানোর ব্যবস্থা হয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। ধোঁয়ায় একজন রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে (Hospital Fire)। দমবন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তাঁকে ইএসআই হাসপাতালের (ESI Hospital) ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে, হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয় মৃত্যু হয়েছে ওই রোগীর। উত্তম বর্ধন নামে ওই রোগী ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। হাসপাতালে প্রচণ্ড ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। তিনি ক্যান্সারের সঙ্গে শ্বাসকষ্ট ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালে সুপার।
আরও পড়ুন: ফোর লেন হচ্ছে ধূপগুড়ি-ফালাকাটা জাতীয় সড়ক, ১৬০৬ কোটি বরাদ্দ কেন্দ্রের
দমকল দফতরের কী বক্তব্য?
দমকল দফতরের এক আধিকারিক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, বিদ্যুৎ সংযোগ থেকেই আগুন (Hospital Fire) লেগেছে। হাসপাতালের এইচডিইউ বিভাগে আগুন লাগে এদিন ভোরে। সেখান থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। একাধিক বিভাগে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন হাসপাতালের কর্মীরাও। পরিস্থিতি কত দ্রুত স্বাভাবিক করা যায়, সেদিকে নজর রয়েছে হাসপাতাল (ESI Hospital) কর্তৃপক্ষের।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours