মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদ্মশ্রী প্রাপক যোগ প্রশিক্ষক স্বামী শিবানন্দ। তাঁর শিষ্যদের দাবি, বিগত ১০০ বছরে প্রয়াগরাজ, নাসিক, উজ্জয়িনী এবং হরিদ্বারে যতগুলি কুম্ভ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে, প্রত্যেকটিতেই অংশগ্রহণ করেছেন শিবানন্দ বাবা (Mahakumbh 2025)। প্রসঙ্গত ২০২২ সালের ২১ মার্চ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছ থেকে পদ্মশ্রী পুরস্কার নেন স্বামী শিবানন্দ। রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্রে তখনই জানানো হয়, তাঁর বয়স ১২৫ বছর।
জন্ম ১৮৯৬ সালে (Mahakumbh 2025)
জানা গিয়েছে, ১৮৯৬ সালের ৮ অগাস্ট তাঁর জন্ম হয়। এখনও পর্যন্ত স্বামী শিবানন্দ যোগ-প্রাণায়াম-ধ্যানের মাধ্যমে নিজেকে তরতাজা রেখেছেন। প্রতিদিন সকালে তিনি এর অনুশীলন করেন। প্রতি সকালে তাঁর শিষ্যরা গুরুদেবের দর্শনের জন্য হাজির হন। ১২৮ বছর বয়সি বাবার পূর্বতন জীবন সম্পর্কে বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ফাল্গুন ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছেন, বাবা খুবই গরিব পরিবারের জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বাবার যখন চার বছর বয়স, তখনই তাঁকে হস্তান্তর করা হয় ওমকারানন্দ গোস্বামীর হাতে। তারপরে সেই সাধুর নির্দেশেই স্বামী শিবানন্দ তাঁর পরিবারকে দেখতে আসেন। তখন তাঁর বয়স ছয় বছর। ছোটবেলাতেই স্বামী শিবানন্দের বোন এবং পিতামাতা মারা যান বলেও জানান ফাল্গুন ভট্টাচার্য।
যুবদের প্রতি কী বার্তা দেন স্বামী শিবানন্দ ?
তাঁর শিষ্যদের মধ্যে অন্যতম হলেন হিরামন বিশ্বাস। তিনি জানালেন যে পদ্মশ্রী পাওয়ার জন্য তিনি কোথাও আবেদন পত্র জমা করেননি। মোদি সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁর শিষ্য, তাঁর গুরুকে পদ্মশ্রী দেওয়ার জন্য জানিয়েছেন। বর্তমানে বাবা বারাণসীর দুর্গাকুণ্ডে থাকেন বলে জানিয়েছেন তাঁর শিষ্যরা। সম্প্রতি তিনি মহাকুম্ভের (Mahakumbh 2025) শিবির থেকে ফিরেছেন। যুবদের প্রতি বার্তা হিসেবে স্বামী শিবানন্দ প্রায় বলেন, ‘‘প্রতিদিন খুব সকালে তোমরা ঘুম থেকে ওঠো এবং অন্তত আধঘণ্টা সময় দাও যোগ ও প্রাণায়ামের জন্য। সঠিকভাবে জীবন পদ্ধতি মেনে চলো এবং যা কিছু অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস সেগুলিকে ছেড়ে দাও।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
Leave a Reply