মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভ্যাকসিন ও চন্দ্রযান এর সাফল্য বিশ্ববাসীর কাছে ভারতের বিজ্ঞানের অগ্রগতির (India’s Quantum Leap) কথা তুলে ধরেছে। রবিবার দিল্লিতে “বিজ্ঞান ভারতী”-এর নতুন অফিস ভবন উদ্বোধন করে এমনই দাবি করেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং (Jitendra Singh)। তিনি বলেন, ভারতের বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি ‘ভ্যাকসিন’ ও ‘চন্দ্রযান’-এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত এখন বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শুধু বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়কে উৎসাহিত করেন না, বরং তা শক্তিশালী করতে পর্যাপ্ত সম্পদ ও সরকারি-বেসরকারি খাতের মধ্যে দেশে বিজ্ঞান চর্চায় সহযোগিতা করেন।
চন্দ্রযানের সাফল্য
এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং (Jitendra Singh) বলেন, ‘ভারতের বৈজ্ঞানিক (India’s Quantum Leap) মেধা ও প্রতিভা সবসময়ই ছিল, তবে যে বিষয়টি অনুপস্থিত ছিল তা ছিল রাজনৈতিক নেতৃত্বের দৃঢ় সংকল্প এবং অগ্রাধিকার, যা বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে তড়তড়িয়ে এগিয়ে চলেছে।’ তিনি ‘বিজ্ঞান ভারতী’-কে অনুরোধ করেন, ইনস্পেস ও বিআরএসি’র মতো সফল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করতে। চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের পর চাঁদ সংক্রান্ত ইসরোর পরবর্তী প্রকল্পেরও সময় জানান কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। চন্দ্রযান-৪ নতুন লক্ষ্য নিয়ে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেবে। চাঁদের মাটি থেকে সেখানকার পাথরের নমুনা সংগ্রহ করাই হবে পরবর্তী অভিযানের লক্ষ্য। ২০২৭ সালে চন্দ্রযান-৪ উৎক্ষেপণ করা হবে, জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
ভ্যাকসিন নিয়ে সবার আগে
স্বাস্থ্য খাতে ভারতের (India’s Quantum Leap) উল্লেখযোগ্য সাফল্যের কথাও তুলে ধরেন জিতেন্দ্র সিং (Jitendra Singh)। তিনি জানান, একসময় চিকিৎসা ক্ষেত্রে ভারতের গুরুত্ব না থাকলেও এখন দেশটি প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবায় বিশ্বের শীর্ষে উঠে এসেছে। তিনি ভারতের সাফল্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু উদাহরণ দেন, যেমন মহামারীর সময় প্রথম ডিএনএ ভ্যাকসিন তৈরি, প্রথম দেশীয় এইচপিভি ভ্যাকসিনের উন্নয়ন এবং মহাকাশ প্রযুক্তিতে দ্রুত অগ্রগতি। তিনি দেশের জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ২০৭০ সালের মধ্যে নেট-জিরো নিঃসরণ অর্জনের লক্ষ্যের কথাও উল্লেখ করেন।
Leave a Reply