Aligarh Muslim University: চিকেনের পরিবর্তে বিফ বিরিয়ানি! আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় বিতর্কের ঝড়

aligarh muslim university says it is typing error on the row over beef biryani

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকেনের বদলে দুপুরের খাবার হিসেবে দেওয়া হবে গরুর মাংসের বিরিয়ানি। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aligarh Muslim University) স্যার শাহ সুলেমান হলে এমন নোটিশ ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এটি একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল এবং এর জন্য ক্ষমাপ্রার্থী তাঁরা। তবে কেন এমন নোটিশ তা নিয়েই তদন্তের দাবি তুলেছে হিন্দু ছাত্ররা।

নোটিশে কী ছিল

কলেজ কর্তৃপক্ষ (AMU Beef Biryani Row) অনুমোদিত নোটিশে পরিস্কার লেখা রয়েছে, “রবিবারের মধ্যাহ্নভোজের মেনু পরিবর্তন করা হয়েছে এবং চাহিদা মতো মুরগির বিরিয়ানির বদলে গরুর মাংসের বিরিয়ানি পরিবেশন করা হবে।” এমন নোটিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই বিতর্কের ঝড় ওঠে। হিন্দু ছাত্ররা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

কী বলছে কলেজ কর্তৃপক্ষ

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় (Aligarh Muslim University) কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এটি একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল এবং এর জন্য ক্ষমাপ্রার্থী তাঁরা। টাইপিংয়ের ভুল বলেও জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে আরও বলা হয়েছে, ‘পুরো বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ঘটনার যথাযথ তদন্ত করে দোষীকে শাস্তি দেওয়া হবে।’ পাশাপাশি নোটিশটির বৈধতা নিয়েও নানা রকম প্রশ্ন উঠেছে। প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দুই সিনিয়র ছাত্রকেই দায়ী করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, “আমাদের নামে ভুয়ো নোটিশ জারি করার জন্য দুই সিনিয়র ছাত্রকে শোকজ নোটিশ ধরানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মকানুন কঠোরভাবে মেনে চলা হবে।”

সমালোচনা বিজেপির

এই ঘটনাটির তীব্র সমালোনা করেছেন, বিজেপি নেতা এবং আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aligarh Muslim University) প্রাক্তনী নিশীথ শর্মা। তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই লজ্জাজনক। এ ধরনের কর্মকাণ্ড ইঙ্গিত দেয় যে, কর্তৃপক্ষ ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে গিয়ে শিক্ষার্থীদের অসদাচরণ করতে উৎসাহিত করছে।’ তাঁর কথায়, এই ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা লজ্জাজনক। স্যার শাহ সুলেমান হলে চিকেন বিরিয়ানির পরিবর্তে বিফ বিরিয়ানি পরিবেশন করা হবে বলে একটি নোটিশ প্রচার করা হয়। নোটিশটি প্রকাশ্যে প্রদর্শিত হয়েছিল এবং এটি সিনিয়র ফুড কমিটির সদস্যদের দায়িত্ব ছিল। এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বোঝা যায়, প্রশাসন মৌলবাদীদের উৎসাহিত করছে এবং শিক্ষার্থীদের অসদাচরণ ধামাচাপা দিচ্ছে।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share