মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরে আটজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দি মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষায় রয়েছেন, এমন তথ্য প্রকাশ করেছে জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরো (এনসিআরবি)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে লোকসভায় দেওয়া সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীর (Execution in Jammu Kashmir) এমন রাজ্যগুলির মধ্যে পড়ে যেখানে মৃত্যুদণ্ডের রায় এখনও কার্যকর হয়নি, যার ফলে দেশব্যাপী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দির সংখ্যা বেড়ে ৫৪৪ হয়েছে।
কী বলছে তথ্য
জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরোর এই তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে উত্তর প্রদেশ, যেখানে ৯৫ জন মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত বন্দি রয়েছেন। এর পরেই রয়েছে গুজরাট (৪৯), ঝাড়খণ্ড ও মহারাষ্ট্র (প্রত্যেকটিতে ৪৫), এবং মধ্যপ্রদেশ (৩৯)। অন্যান্য রাজ্যগুলির মধ্যে কর্নাটক (৩২), হরিয়ানা (২১), রাজস্থান (২০), এবং কেরালা (১৯) উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত বন্দির কথা জানানো হয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের মধ্যে অসমে ৯ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রয়েছে, তবে অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, মিজোরাম এবং নাগাল্যান্ডে মৃত্যুদণ্ডের কোনও মামলা নেই। প্রসঙ্গত, মৃত্যুদণ্ড ভারতীয় আইনে বৈধ হলেও এর বাস্তবায়ন কখনোই সাধারণ ঘটনা নয়। এটি শুধুমাত্র সবচেয়ে নৃশংস অপরাধের ক্ষেত্রে কার্যকর করা হয়।
কেন দেরি
জম্মু ও কাশ্মীরের (Execution in Jammu Kashmir) এই তালিকায় অন্তর্ভুক্তি অঞ্চলটির আইনি পরিপ্রেক্ষিতকে তুলে ধরে, যেখানে আদালতগুলি বিরলতম এবং নৃশংস অপরাধের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়। আইনি বিশেষজ্ঞরা বিলম্বের জন্য দায়ী করছেন যে অনেক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দি আপিল, ক্ষমা প্রার্থনা এবং বিচারিক পর্যালোচনার জন্য অপেক্ষা করছেন। এনসিআরবি রিপোর্টে ক্ষমা প্রার্থনা বা তার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কিত কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি, তবে ভারতে অনেক বন্দি রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন, যা আরও বিলম্বের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রতিক কালে মৃত্যুদণ্ড সত্যিই ন্যায়বিচারের উপযুক্ত মাধ্যম কিনা, তা নিয়ে জনমত গঠন করা হচ্ছে। এক শ্রেণির মতে, মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মতো বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
Leave a Reply