মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মায়ানমারে (Myanmar) অনলাইন জালিয়াতি (Online Scam Center) থেকে উদ্ধারকৃত ২৬০ জনকে বুধবার থাইল্যান্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেদেশের এক ঊর্ধ্বতন সামরিক অধিকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রসঙ্গত, মায়ানমারের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে এধরনের প্রতারণা চক্র ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করেছে। এই জায়গাগুলিতে প্রথমে বিদেশিদের টার্গেট করা হয়। এরপরে তাঁদের উচ্চ বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখানো হয় ও পরে পাচার করা হয়। সেখানে তাঁদের জোরপূর্বক প্রতারণামূলক কাজে নিয়োজিত করা হয়। বিশেষজ্ঞরা এবিষয়ে জানিয়েছেন, এই অবৈধ শিল্প বিলিয়ন ডলারের ব্যবসায় পরিণত হয়েছে এবং এমন কাজ দীর্ঘদিন চলছে।
ক্যারেন রাজ্যের কিয়াউক খেত গ্রামে কাজ করতেন
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধারকৃত ব্যক্তিরা ক্যারেন রাজ্যের কিয়াউক খেত গ্রামে কাজ করতেন। সেখানেই একটি প্রতারণা কেন্দ্রে তাঁদের নিয়োজিত করা হয়েছিল বলে খবর। প্রসঙ্গত, ডেমোক্রেটিক ক্যারেন বেনেভোলেন্ট আর্মি ওই এলাকার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উদ্ধার করার পরে ওই বিদেশিদের একটি ছোট নদী পার করে থাইল্যান্ডের ফপ ফ্রা শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। মায়ানমারের (Myanmar) উচ্চপদস্থ সেনা আধিকারিক নাথাকর্ন রুয়ানতিপ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, উদ্ধারকৃতদের সংখ্যা বর্তমানে ২৬১, তবে এটি চূড়ান্ত সংখ্যা নয়।
মিথ্যা চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে আনা হয় লোক (Myanmar)
জানা যাচ্ছে, অনলাইন প্রতারণার এ ধরনের কেন্দ্রগুলিতে সাধারণত মিথ্যা চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে লোকজনকে এনে এক প্রকার বন্দি করা হয়। তারপর তাঁদের দিয়ে নানা প্রকারের অবৈধ কাজ করানো হয়। এসব অবৈধ কাজের সঙ্গে ড্রাগ চোরাচালান ও জুয়ার মতো অপরাধও রয়েছে। থাইল্যান্ড ও মায়ানমারের (Myanmar) কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকবার এই কেন্দ্রগুলোতে অভিযান চালিয়ে বিদেশিদের মুক্ত করেছে বলে জানা গিয়েছে। থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কিয়াউক খেত কেন্দ্রটি ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এখনও নির্মাণাধীন এখানেই চলছিল বেআইনি কার্যকলাপ। জানা গিয়েছে, মায়ানমার (Myanmar) সীমান্তে ইতিমধ্যে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
Leave a Reply