Virat Kohli: পাক-বধে কিং কোহলি! বিরাটের শতরানে কার্যত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শেষ চারে ভারত

virat kohli destroyed pakistan india very close to semifinal in icc champions trophy

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়ের জন্য ভারতের দরকার ২ রান, আর চার রান পেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) প্রথম শতরান হবে কোহলির (Virat Kohli)। গ্যালারি তখন পিন ড্রপ সাইলেন্ট, ডাগ আউটে অধিনায়ক রোহিতের গালে হাত! কিসের চিন্তা? ভারত তো জিতেই গিয়েছে, শুধু সময়ের অপেক্ষা। না অপেক্ষা শতরানের, বিরাট ইনিংসের রাজকীয় সমাপন। গ্যালারির তখন একটাই প্রার্থনা বাউন্ডারি। এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। খুশদিল শাহকে কভারের উপর দিয়ে চার মেরে দেশকে জেতানোর পর বুকে বার বার হাত ঠেকিয়ে বিশেষ একটি ভঙ্গি করতে দেখা গেল তাঁকে। যেন গ্যালারির দিকে তাকিয়ে বলতে চাইছেন, “ম‍্যায় হুঁ না!”

পাকিস্তানের বিপক্ষে বিরাট ইনিংস

পাকিস্তানকে দেখলেই যেন বাড়তি এনার্জি পান বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ২০১২ এশিয়া কাপে ১৮৩। ২০১৫ এক দিনের বিশ্বকাপে ১০৭। ২০২৩ এশিয়া কাপে ১২২। ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত ১০০। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত খেলতে নামবে আর তাঁর ব্যাটে রান দেখা যাবে না, এমন খুব কমই হয়েছে। ফর্ম, অবসর, শেষ আইসিসি প্রতিযোগিতা ইত্যাদি আলোচনায় জল ঢেলে কোহলি আরও এক বার বুঝিয়ে দিলেন, তিনি ফুরিয়ে যাননি। তিনি আছেন। আর বিপক্ষে পাকিস্তান হলে, তাঁর ব্যাট কথা বলবেই।এদিন শুরু থেকে সতর্ক ব্যাটিং করেন। লেগ স্পিনার আবরার আহমেদের বোলিংয়ে অতিরিক্ত ঝুঁকি নেননি। বরং নিজের ইনিংসটাকে হিসেব করে সাজিয়েছিলেন। অবশেষে ১১১ ডেলিভারিতে সেঞ্চুরি। ওয়ান ডে কেরিয়ারে সেঞ্চুরির নিরিখে মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকরকে গত ওয়ানডে বিশ্বকাপেই ছাপিয়ে গিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। এদিন ওডিআইতে ৫১তম সেঞ্চুরি করলেন কিং কোহলি।

কার্যত বিদায় পাকিস্তানের

তারকারা বড় মঞ্চেই জ্বলে ওঠেন। বিরাট কোহলি (Virat Kohli) তা আবার প্রমাণ করলেন। দুবাইয়ে রবিবাসরীয় ভারত-পাক মহারণে ভিকে সত্যিই ভেরি ভেরি স্পেশাল। তাঁর দুরন্ত শতরানে ভর করেই পাকিস্তান বধ রোহিত ব্রিগেডের। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে শুধু হারানো নয়, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকেই কার্যত ছিটকে দিলেন মহাতারকা। ভারতের সেমি-ফাইনালে জায়গাও প্রায় নিশ্চিত করলেন বিরাট। কিন্তু ম্যাচের নায়ককে আবেগে ভাসতে দেখা গেল না। বললেন, “সত্যি বলতে, যে ভাবে খেলেছি সেটা এই ধরনের ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। রোহিতকে শুরুতেই হারানোর পর ম্যাচ জেতানোর পিছনে নিজে অবদান রাখতে পেরে ভালো লাগছে। আগের ম্যাচ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আমি নিজের খেলার ধরন জানি। তাই বাইরের কোনও আওয়াজ শুনি না। নিজের মতো থাকি, নিজের শক্তি এবং ভাবনাচিন্তার খেয়াল রাখি। প্রত্যাশার চাপে মাথা ঘুরে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাই আমি বর্তমানে বাঁচতে ভালবাসি এবং প্রতিটা সুযোগে দলের জন্য কিছু করতে চাই। প্রতিটা বলে ১০০ শতাংশ দেওয়াই আমার লক্ষ্য।”

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share