মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা পরবর্তী সময়কাল থেকেই ভারতীয় যাত্রীদের (Indian railway) মধ্যে একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে যে তাঁরা বাতানুকূল তৃতীয় শ্রেণিতে যাতায়াত করতে পছন্দ করছেন। যে কারণে, রেলের এক তৃতীয়াংশ রাজস্ব আসছে তৃতীয় শ্রেণির এসি থেকেই। প্রসঙ্গত, ট্রেনকে এদেশের লাইফ লাইন বলা হয়। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ যাত্রা করেন এবং মধ্যবিত্তের সবচেয়ে সুবিধা জনক যাত্রা ট্রেনেই সম্ভব হয়। এই সময়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে এই রিপোর্টগুলিতে দেখা যাচ্ছে যে, আগে সাধারণ স্লিপার শ্রেণিগুলোই সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স করত এবং ভারতের সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আসত স্লিপার ক্লাসগুলো থেকে।
কী বলছে পরিসংখ্যান (Indian railway)
২০১৯ সালের পরিসংখ্যান বলছে যে যাত্রীদের মধ্যে থেকে ১.৪ শতাংশ মাত্র পছন্দ করতেন থার্ড এসি (Indian railway)। সংখ্যার বিচারে যা ছিল ১১ কোটি। এরপরে ২০২০ তে এল করোনা অতিমারি। লকডাউনের আবহে থার্ড এসির চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যায়। ২০২৪-২৫ সালে ১৯ শতাংশ যাত্রী তাঁরা ভ্রমণ করার জন্য পছন্দ করেছেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তৃতীয় শ্রেণি কামরা। এই সংখ্যা ২৬ কোটি। জানা যাচ্ছে, ২০১৯ সালে এসি থ্রি-টিয়ার থেকে ভারতীয় রেলের আয় হয়েছিল ১২,৩৭০ কোটি টাকা। অন্যদিকে, ২০২৪-২৫ সালে সেই আয় বেড়েছে ৩০ হাজার ৮৯ কোটি টাকা।
কেন এত চাহিদা বাড়ছে?
কিন্তু কেন এসি তৃতীয় শ্রেণিতে (Indian railway) এত চাহিদা বাড়ছে? এ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা কিছু সম্ভাব্য কারণ সামনে এনেছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া এবং দূষণের পরিমাণ যেভাবে বাড়ছে সেখানে এসি বিহীন বা সাধারণ স্লিপার ক্লাসে যাত্রা করা একেবারেই আরামদায়ক হচ্ছে না। কারণ ভারতে গ্রীষ্মকাল খুব দীর্ঘ হয়। এই কারণেই জনগণ এসিকে বেছে নিচ্ছেন।
অন্যদিকে, আরও বেশ কিছু কারণে আসছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো স্লিপার কোচের সঙ্গে থার্ড এসি কোচের ভাড়ার ফারাক খুব বেশি নয়। সাধারণ মধ্যবিত্তের পকেট সাশ্রয়ী। এর ফলে আরামদায়ক জার্নির জন্য অনেকেই এসি থ্রি-টিয়ারকে বেছে নিচ্ছেন।
একই সঙ্গে স্লিপার ক্লাসে (Railways) অনেক ঘটনার সামনে আসে। চুরি নিরাপত্তার অভাব- এমন অনেক কিছুই অভিযোগ দায়ের হয়। যেগুলি সাধারণত স্লিপার এবং জেনারেল ক্লাসেই হয়। কিন্তু এসিতে সে জাতীয় কিছু হয় না এবং তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তাও থাকে। সেখানে কোনও অবাঞ্ছিত যাত্রীদের প্রবেশও হয় না।
Leave a Reply