মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ, পাকিস্তানের পর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও জয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) এখনও পর্যন্ত অপরাজিত ভারত। সেমিফাইনালে ভারতের সামনে অস্ট্রেলিয়া। দুবাইয়ের স্পিন সহায়ক উইকেটে বরুণ চক্রবর্তীর (Varun Chakravarty) দুর্দান্ত স্পেলে ভারত জয় পেয়েছে ৪৪ রানে। আর তাতে নিশ্চিত হয়েছে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালের লাইনআপ। নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে ভারত। দ্বিতীয় স্থানে নিউজিল্যান্ড। আর ‘বি’ গ্রুপে সবার ওপর দক্ষিণ আফ্রিকা। আর দ্বিতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়া। নিয়ম অনুযায়ী, ভারতের সেমিফাইনাল ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ৪ তারিখ দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচটি।
বরুণে মুগ্ধ রোহিত
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) এখনও অবধি ফেভারিটের মতোই পারফর্ম করেছে ভারতীয় দল। বাংলাদেশ ম্যাচ দিয়ে অভিযান শুরু হয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে সেমিফাইনালও নিশ্চিত করে ফেলে। তৃতীয় ম্যাচেও অপরাজিত। জয়ের হ্যাটট্রিকেও চিন্তিত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। দুবাইয়ের পিচে ২৪৯ রানের পুঁজি! নিউজিল্যান্ড ভালো স্পিন খেলে। সে কারণে শেষ ম্যাচে একাদশে সারপ্রাইজ দিয়েছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। চার স্পিনার নিয়ে নেমেছিল। একাদশে হর্ষিত রানার বদলে আনা হয় বরুণ চক্রবর্তীকে (Varun Chakravarty)। প্রতিপক্ষের ১০ উইকেটের মধ্যে ৯টিই ভারতের স্পিনারদের দখলে। এর মধ্যে বরুণের ঝুলিতে পাঁচ উইকেট। কেরিয়ারের দ্বিতীয় ওডিআই, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথম ম্যাচ! আর তাতেই পাঁচ উইকেট। এটাই ‘মাথাব্যথা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ম্যাচ শেষে রোহিত বলেন, ‘বরুণের বোলিংয়ে বৈচিত্র্য রয়েছে। ফলে আমরা এই ম্যাচে একটা সুযোগ দিয়ে দেখতে চেয়েছিলাম পারফর্ম করতে পারে কি না। ও যা পারফর্ম করল, সেমিফাইনালে একাদশ গড়তে ভাবতে হবে। তবে এটাকে সুস্থ মাথাব্যথাই বলব। ও যদি ঠিকঠাক থাকে, ওর বোলিং বোঝা কঠিন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেক থ্রু দিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।’
ম্যাচের সেরা বরুণ
ম্যাচের আগের রাতেই বরুণকে (Varun Chakravarty) জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনি খেলছেন। তাতে অবশ্য স্নায়ুর চাপ কমেনি। রবীন্দ্র জাদেজা, মহম্মদ সামির পর ভারতের তৃতীয় বোলার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাঁচ উইকেট। ম্যাচের সেরা বরুণ বলছেন, ‘শুরুর দিকে নার্ভাস লাগছিল। দেশের জার্সিতে ওডিআইতে সেই অর্থে খেলিইনি। তবে ম্যাচ যত এগিয়েছে, ধাতস্ত হচ্ছিলাম। বিরাট, রোহিত, শ্রেয়স, হার্দিকরা আমার সঙ্গে লাগাতার কথা বলছিল। মাথা ঠান্ডা রেখে বোলিংয়ে ফোকাস করার কথা বলছিল।’ নিজে পাঁচ উইকেট নিলেও জয়ের কৃতিত্ব নিতে নারাজ ম্যাচের সেরা বরুণ। বললেন, ‘পুরোটাই যে টিম এফোর্ট’।
Leave a Reply