মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুলভূষণ যাদব অপহরণে পাকিস্তানের আইএসআইকে সাহায্য করার অভিযোগ ছিল পাকিস্তানের (Pakistan) অন্যতম ধর্মগুরু মুফতি শাহ মীরের বিরুদ্ধে। বালুচিস্তানের তুরবাতে অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারীরা তাঁকেই গুলি করে হত্যা করল। জানা গিয়েছে পাকিস্তানের একটি ইসলামী মৌলবাদী রাজনৈতিক দল জেআইইউ-এফ-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রেখে চলতেন এই মীর। আরও জানা গিয়েছে, এই ধর্মগুরু নামাজের পর মসজিদ থেকে বের হতেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিয়মিত জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির পরিদর্শনও করতে তিনি (Pakistan)
বালুচিস্তানের তুরবাতের বাসিন্দা মুফতি শাহ মীর মানব পাচারেও যুক্ত ছিলেন বলে জানা যায়। এর পাশাপাশি মাদক ও অস্ত্র পাচারের কাজেও তিনি যুক্ত ছিলেন। একটি পাক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে মুফতির হত্যা প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ কর্তা রশিদ-উর-রহমান জেহরি বলেছেন, ‘‘মুফতি শাহ মীর আজিজ মসজিদের ভিতরে নমাজ পড়ছিলেন। তখন বন্দুকধারীদের এক জন মসজিদে প্রবেশ করে এবং মুফতি বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ঝাঁঝরা করে দেয়।’’
কূলভূষণ যাদবের গ্রেফতারির কাহিনী (Pakistan)
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৩ মার্চ গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন অফিসার কূলভূষণ যাদবকে গ্রেফতার করে পাক সেনা। সেসময় আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে (Pakistan) ভারত জানিয়েছিল, অবসরপ্রাপ্ত নৌসেনা অফিসার কুলভূষণকে ইরান থেকে অপহরণ করা হয়। তারপর কূলভূষণের বিরুদ্ধে বালুচিস্তানে বিদ্রোহীদের মদত দেওয়ার মতো মিথ্যা গল্প সাজায় পাকিস্তান। মনে করা হয়, কুলভূষণকে অপহরণে বড় হাত ছিল মুফতির।
আইএসআইয়ের নির্দেশে আফগানিস্তানেও গিয়েছিলেন মুফতি
অভিযোগ, আইএসআইয়ের নির্দেশে আফগানিস্তানেও গিয়েছিলেন মুফতি। সেখান থেকে অনেক তথ্য পাক সেনাবাহিনীর কাছে পাচার করেন। বালুচ বিদ্রোহীদের দমনেও নাকি সক্রিয় ছিলেন তিনি। সেই মুফতির মৃত্যুতে পাকিস্তান (Pakistan) জুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছে একেবারে। এই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থার মাথাদেরও। ধর্মীয় নেতার উপর কে এমন হামলা চালাল, তা জানতে মাঠে নেমেছে পাক গোয়েন্দারাও।
Leave a Reply