Dolyatra: শান্তিনিকেতন-নবদ্বীপ সমেত বাংলায় আর কোথায় দোল উৎসব জনপ্রিয়?

Dolyatra Holi Celebrations 2025 In West Bengal

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবাদ রয়েছে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ! এরই মধ্যে অন্যতম হল দোল বা হোলি (Dolyatra)। আমাদের রাজ্যে যা দোল, বাইরের রাজ্যে তাই হোলি। ভারতবর্ষের প্রতিটা রাজ্যেই রঙের উৎসব পালন করা হয় মহা সমারোহে। মাঝখানে করোনা মহামারী আসায় বেশ কিছুটা ছন্দ পতন ঘটেছিল। পরে আবার সবকিছুই ঠিকঠাক হয়ে যায়। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এই দোলের মাহাত্ম্য একেবারেই অন্যরকম। দোল পূর্ণিমা হিন্দু ধর্মের জন্যে খুব শুভ বলে মানা হয়। বঙ্গে কোথাও পালন হয় বসন্ত উৎসব, তো কোথাও হয় আবার রাধা- কৃষ্ণের বিশেষ পুজো (Holi)। জেনে নেওয়া যায় বাংলার কোন স্থানগুলি এই উৎসবের জন্যে বিশেষভাবে পরিচিত।

শান্তিনিকেতনের দোলযাত্রা (Dolyatra)

শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসব (Dolyatra) শুরু করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কবিগুরুর শুরু করা সেই উৎসব আজও সমানভাবে জনপ্রিয়। তাই রঙিন এই উৎসবের দিকে মুখিয়ে থাকেন অনেক বাঙালিই। দোল খেলতে চলে যান শান্তিনিকেতনে। বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা কাঠি নাচ ও গানে-নাচে উদযাপন করেন বসন্তকে। মেয়েদের পরনে থাকে হলুদ শাড়ি। ছেলেরা সাদা পাজামা-পঞ্জাবি। গলায় থাকে উত্তরীয়। আবিরের রঙে ভাসে গোটা শান্তিনিকেতন। প্রতি বছর এই বসন্ত উৎসবের টানে এখানে ভিড় জমান লক্ষাধিক ট্যুরিস্ট।

নবদ্বীপ ও মায়াপুরের দোলযাত্রা (Dolyatra)

দোল পূর্ণিমাই হল শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মতিথি বলে জানা যায়। এদিনই বিশেষ উৎসব পালিত হয় হিন্দু বঙ্গ সমাজে। সর্বত্র শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ও রাধা- কৃষ্ণের পুজো করা হয় বিশেষ রীতিতে। ভক্তদের বিশ্বাস, দোল পূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীনীদের সঙ্গে রঙ খেলায় মেতেছিলেন। একইভাবে নবদ্বীপেও আয়োজন করা হয় বিশেষ দোল উৎসবের। আবির খেলায় মেতে ওঠেন সকলে। নদীয়া জেলার এই পবিত্র স্থানেও ট্যুরিস্ট ও পুণ্যার্থীরা হাজির হন। পবিত্র মায়াপুরের ইস্কনের মন্দিরে দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকরা আসেন দোল উৎসবে। প্রায় একমাস আগে থেকেই এখানে চলে প্রস্তুতি। কৃষ্ণপ্রেমী বিদেশীরাও রঙের উৎসবে সামিল হল আনন্দ ও নিষ্ঠার সঙ্গে।

মদন মোহন মন্দিরের দোলযাত্রা (Dolyatra)

বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরে মদনমোহন মন্দিরেও বড় করে দোল উৎসব হয়। ১,৬০০ খ্রীস্টাব্দের শেষ দিকে রাজা দুর্জান সিং দেব এই মন্দিরের নির্মাণ করেছিলেন বলে জানা যায়। হিন্দু ধর্মীয় বই, রামায়ণ এবং মহাভারত ইত্যাদি মন্দিরের দেয়ালগুলিতে খোদাই করা রয়েছে আজও। শ্রীকৃষ্ণ ও রাধাকে সম্মান জানাতে এই মন্দির তৈরি হয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাই প্রতি বছর দোলযাত্রায় এখানে বিশেষ উৎসব পালিত হয়।

নিমদিহির দোলযাত্রা (Dolyatra)

পুরুলিয়া জেলার নিমদিহিতে দোলের সময়ে বিশেষ লোক উৎসবের আয়োজন করা হয়। স্থানীয়দের সঙ্গে আগত পর্যটকরা লোকশিল্প উপভোগ করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ছৌ নাচ, দরবারি ঝুমুর, নাটুয়া নাচ, বাউল গান ইত্যাদি। মূলত বসন্তকেই উদযাপন করা হয় এই সময়ে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য দোল উপলক্ষ্যে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় উৎসব হয় মথুরা-বৃন্দাবনে। ১৬ দিন ধরে চলে এই উৎসব।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share