মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করলেন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ কীর্তি সোমাইয়া (Kirit Somaiya)। অমরাবতীতে জন্মের প্রমাণপত্র দেওয়ার কেলেঙ্কারি উন্মোচন করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ শত শত অবৈধ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের (Bangladeshi Rohingya) বেআইনি ভাবে জন্ম সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে অনুপ্রবেশকারীরা নিজেদের নাগরিকত্ব বা পাসপোর্ট তৈরি করেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। দেশজুড়ে এসআইআর আবহে এই ঘটনা ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
নিখোঁজ ৫০০ বাংলাদেশি-রোহিঙ্গা (Kirit Somaiya)
বিজেপি নেতা সোমাইয়া (Kirit Somaiya) বলেছেন, অমরাবতী মিউনিসিপাল কর্পোরেশন (এএমসি) কর্তৃক ১৭০০ টিরও বেশি জন্ম সনদ অবৈধভাবে জারি করেছে। যার মধ্যে ৫১১টি বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের (Bangladeshi Rohingya) দেওয়া হয়েছে। আর এর ফলেই তারা ভারতীয় নাগরিকত্ব, পাসপোর্ট এবং সরকারের নানা জনকল্যাণ মুখী প্রকল্পের সুবিধা পেতে সক্ষম হয়েছে।” এই তথ্য জানাজানি হতেই মহারাষ্ট্র পুলিশ ৫০৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। বর্তমানে ৫০০ জনেরও বেশি সুবিধাভোগী নিখোঁজ। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা, জাতীয় নিরাপত্তা ও সুরক্ষার কথা ভেবে ইতিমধ্যে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ধারায় মামলা
সোমাইয়া (Kirit Somaiya) ২৫ জুলাই, ২০২৫ তারিখে অমরাবতী পুর কমিশনারকে চিঠি লিখে এই দুর্নীতির কথা জানান। ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে জারি করা সকল জন্ম সনদের আরেকবার তদন্ত করে দেখা উচিত। এরপর অমরাবতী জেলাশাসক ১৮ মার্চ, ২০২৫ তারিখে একটি আদেশ জারি করেন, যাতে এই ধরণের সমস্ত সার্টিফিকেট বাতিল করা হয়। পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারা প্রয়োগ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে ধারা ৩৩৬(৩), ৩৪০(২), এবং ৩১৮(৪) ধারা। গোটা মামলায় তদন্তের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নরেশ এম গিরঘুসেকে নিযুক্ত করা হয়েছে।
আগেও মেলে ভুয়ো জন্ম প্রমাণপত্র
তবে জানা গিয়েছে অমরাবতীর ঘটনাটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সোমাইয়া (Kirit Somaiya) ছত্রপতি সম্ভাজি নগর বা ঔরঙ্গাবাদে একই ধরণের ঘটনার কথা আগেও একবার প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন। সেখানে ২০২৪ সালে ২০,০০০ এরও বেশি সার্টিফিকেটে তারিখ পিছিয়ে দিয়ে জন্মসনদের আবেদন জমা দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনা ছিল মহারাষ্ট্রের মধ্যে সর্বোচ্চ। তদন্তে দেখা গেছে যে এই আবেদনগুলির মধ্যে ১০,০০০টি সম্পূর্ণ ভাবে ভূয়ো। সোমাইয়া মহারাষ্ট্র জুড়ে তার তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, “এটি কেবল দুর্নীতি নয়, এটি জাতির বিরুদ্ধে একটি অনুপ্রবেশ অপরাধ। যারা অবৈধভাবে বিদেশীদের (Bangladeshi Rohingya) নাগরিকত্ব পরিচয়পত্র দিয়েছে তাদের রেহাই দেওয়া হবে না। আমরা সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

Leave a Reply