মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) ভগবানপুরের একটি বেসরকারি স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে। কলকাতার বিখ্যাত প্লেব্যাক গায়িকা লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে (Lagnajita Chakraborty) ভক্তিমূলক গান পরিবেশনের জন্য হেনস্থা এবং শারীরিকভাবে হয়রানি করা হয়। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূলের সংখ্যালঘু নেতা। ওই মুসলিম নেতা লগ্নজিতাকে ভক্তিমূলক গান গাওয়ায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এই ঘটনাটি থেকে তীব্র ভাবে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ভারতে যদি ভক্তিমূলক গান গাইতে না দেওয়া হয়, তাহলে আর কোথায় গাইতে পারবেন শিল্পীরা? এই প্রশ্নই এখন রাজনীতির আঙ্গিনায় ঘুরপাক খাচ্ছে।
অকথ্য ভাষায় আক্রমণ (Lagnajita Chakraborty)
বাংলার সঙ্গীত মহলে এক জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী হলেন লগ্নজিতা চক্রবর্তী (Lagnajita Chakraborty)। একটি বেসরকারি স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানের পরিবেশনায় আমন্ত্রণ পেয়ে সঙ্গীতানুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু লগ্নজিতার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, অনুষ্ঠানমঞ্চে দেবী চৌধুরানী ছবির একটি জনপ্রিয় গান ‘জয় মা’ গাওয়া শুরু করলে সেখান থেকেই ঝামেলা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঞ্চে গান শুরু করলে স্কুলের মালিক এবং তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের নেতা মেহেবুব মল্লিক বাধা দেন। এরপর মেহবুব অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেন। লগ্নজিতা বলেন, “যখন আমি ‘জয় মা’ গান শুরু করি তখন মালিক মেহবুব মল্লিক আমাকে অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করেন। হুমকি দিয়ে বলেন, এতো কিছু হেয়েছে এবার ধর্ম নিরপেক্ষ গান করুন। তবে শুধু হট্টগোল নয়, আমাকে শারীরিক ভাবে হেনস্তাও করা হয়।”
বিভাগীয় তদন্ত ওসির বিরুদ্ধে
ঘটনার পরেই লগ্নজিতা (Lagnajita Chakraborty) এবং তাঁর বাদকেরা মঞ্চ থেকে নেমে পড়েন। এরপর ভগবানপুর থানায় (East Midnapore) সরাসরি অভিযোগ দায়ের করেন। তবে নির্যাতিতা গায়িকার অভিযোগ গ্রহণ না করে অনেক সময় ধরে থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছিল বলেও অভিযোগ তুলেছেন। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগেও সরব হয়েছেন লগ্নজিতা। ইতিমধ্যে জেলা শাসক মিতুন কুমার দে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। সেই সঙ্গে স্থানীয় ওসি শাহেনশাহ হকের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে পুলিশ ইতিমধ্যে অভিযযুক্ত মেহবুবকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গিয়েছে।

Leave a Reply