Iskcon: শ্রীরামকৃষ্ণ এবং বিবেকানন্দ সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য, নিষিদ্ধ হলেন ইস্কনের সন্ন্যাসী

Iskcon

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় আধ্যাত্মিকতার ইতিহাস এবং দুই শ্রদ্ধেয় ও পূজনীয় ব্যক্তিত্ব শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব এবং স্বামী বিবেকানন্দ সম্পর্কে অত্যন্ত আপত্তিজনক মন্তব্য করায় এবং ‘যত মত তত পথ’-এর অপব্যাখ্যা করায় ইস্কনের (Iskcon) দ্বারকার ব্রহ্মচারী সাধু এইচজি অমোঘ লীলা দাস প্রভুজিকে এক মাসের জন্য নিষিদ্ধ করল ইস্কন। এমনকী প্রায়শ্চিত্ত করতে ওই সাধু এক মাসের জন্য যাচ্ছেন বৃন্দাবনে। এই সময়ে তিনি জনজীবন থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে গোবর্ধনে থাকবেন। ইস্কন কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট  রাধারমণ দাস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই খবর জানিয়েছেন। তিনি  বলেছেন, নিজের কৃতকর্মের জন্যে নিঃশর্ত ক্ষমাও চেয়েছেন অমোঘ লীলা স্বামী।

কী নিয়ে এত বিতর্ক?

উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে এই অমোঘ লীলা ব্রহ্মচারীর (Iskcon) একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। যাতে তাঁকে স্বামী বিবেকানন্দ ও রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের একাধিক বক্তব্যের সরাসরি বিরোধিতা করতে দেখা যায়। এমনকী তিনি বাঙালি বিদ্বেষি কিছু কথাও বলেন। তিনি বলেন, মাছ খাওয়া আর সিগারেট খাওয়া এক জিনিস। স্বামী বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতা ও শ্রী রামকৃষ্ণের যত মত তত পথ নিয়ে বিদ্রুপ করেন। নবীন ব্রহ্মচারীর বক্তব্যে আহত হন বহু ভক্ত, ব্রহ্মচারী ও সন্ন্যাসী। গর্জে ওঠে বাংলা পক্ষ-সহ একাধিক সংগঠন। সবাই সেই হিন্দিভাষী ব্রহ্মচারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তোলেন। অতঃপর টনক নড়ে ইস্কনের।

ক্ষমা চেয়ে নিল ইস্কন (Iskcon) 

সংগঠনের পক্ষে রাধারমণ দাস জানান, ওই ব্রহ্মচারী (Iskcon) যা বলেছেন, সেটা একান্তই তাঁর নিজস্ব বক্তব্য। ইস্কনের কোনও সমর্থন নেই। উলটে এই ধরনের বক্তব্য পেশ করার জন্য অমোঘ লীলা ব্রহ্মচারীকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রায়শ্চিত্ত করতেও পাঠানো হচ্ছে। 
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানিয়েছেন, শ্রী অমোঘ লীলা দাস যে মন্তব্য করেছেন, তা ইস্কনের মূল্যবোধ ও শিক্ষার পরিপন্থী। আমাদের সংস্থা সব আধ্যাত্মিক পথ এবং ঐতিহ্যের প্রতি সম্প্রীতি ও শ্রদ্ধা প্রচার করে এসেছে। আমরা অন্যান্য ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি যে কোনও ধরনের অসম্মান ও অসহিষ্ণুতার নিন্দা করি। আমরা ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।

কে এই অমোঘ লীলা প্রভুজি (Iskcon) ?

বছর ৪৩ এর পাঞ্জাবি অমোঘ লীলা প্রভুজি ইস্কনের (Iskcon) দ্বারকা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট। পূর্বাশ্রমের নাম আশিষ অরোরা। লখনউতে জন্ম। বাবা র-এর  আধিকারিক ছিলেন। সেই সুবাদে মিজোরাম, গ্যাংটক, দার্জিলিংয়ে স্কুল জীবন কেটেছে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি টেক করে একটি মার্কিন বহুজাতিক সংস্থায় কাজ করতেন। ২৯ বছর বয়সে ইস্কনে যোগ দেন। ভাল কথা বলার সুবাদে প্রবচনকারী হিসাবে দ্রুত গুরুত্ব বাড়ে। কিন্তু তিনি মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন ধর্মের অপব্যাখ্যা করেন। এবার তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল ইস্কন।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share