Anubrata Mondal: ৬ বছর পর সক্রিয় পুলিশ! পুরনো মামলায় কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বউদি গ্রেফতার

বীরভূমে কেষ্ট-ম্যাজিক ফিকে হতেই খুঁড়ে বেরোচ্ছে পুরনো মামলা..
Anubrata_Mondal
Anubrata_Mondal

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূম জেলার বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তাঁর ঘনিষ্ঠ কোনও দলীয় নেতা বা কর্মী হলে তাঁকে স্পর্শ করার সাহস ছিল না। পুলিশও তার দিকে তাকানোর সাহস ছিল না। শাসক দলের এরকম দাপুটে নেটার ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্য সকলেই চেষ্টা করতেন। এখন সেই কেষ্ট ঘনিষ্ঠ হওয়ায় অনেকের কাছে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বীরভূমে কি তাহলে কেষ্ট ম্যাজিক উধাও? এমনিতেই এমনিতেই গরু পাচার দুর্নীতি মামলায় গত এক বছরের বেশি সময় ধরে অনুব্রত মণ্ডল তিহারে রয়েছেন। দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও খাতায় কলমে তিনি এখনও জেলা সভাপতির পদে বহাল।  সময়ের সঙ্গে বদলাচ্ছে তৃণমূলের জেলা সংগঠনের কর্তৃত্বের রাশ। অনুব্রত ‘বিরোধী’ নানুরের কাজল শেখ এখন দলের গুরুত্ব পেয়েছেন। তিনি জেলা পরিষদের সভাধিপতিও। বীরভূম জেলাজুড়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ছে অনুব্রত নামটাও। কয়েকদিন আগেই নানুরের হোসেনপুরে দলীয় কার্যালয়ে তাঁর ছবি মুছে দেওয়া হয়েছে। এরপর বোলপুরেও একই ঘটনা ঘটেছে। দলীয় কার্যালয়ে তাঁর নাম মুছে ফেলা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে পুলিশ এখন অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের পুরানো মামলা খুঁজের বের করে নিয়ম মেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগে ঝাড়খণ্ডের শিউলি মিত্রের সঙ্গে বীরভূমের চিনপাই গ্রামের অনিমেশ মিত্রের বিয়ে হয়। তিনি দুবরাজপুরের তৃণমূল নেতা ভোলানাথ মিত্রের দাদার ছেলে। ভোলানাথবাবু জেলায় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ (Anubrata Mondal) নেতা হিসেবেই পরিচিত। ২০১৩ সালে তৃণমূল নেতার ভাইপোর বিরুদ্ধে  আদালতে বধূ নির্যাতনের মামলা হয়। ২০১৭ সালে তাঁর ও তাঁর মায়ের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। এতদিন পুলিশের খাতায় তাঁরা পলাতক ছিলেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, এতদিন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ হওয়ায় ভোলানাথের দাপটে তাঁর বউদি ভারতী মিত্র এবং ভাইপো অনিমেশ মিত্রকে গ্রেফতার করার সাহস হয়নি পুলিশের। এবার আর ভোলানাথবাবুর মাথার উপর অনুব্রত নেই। দলের মধ্যেও কেষ্ট এখন ব্রাত্য। তাই, প্রায় ৬ বছর আগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার মামলা সদাইপুর থানার পুলিশ অনুব্রত ঘনিষ্ঠ নেতার বউদিকে গ্রেফতার করেছে। যদিও ভাইপো এখনও অধরা রয়েছে।

কী বললেন অনুব্রত (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা?

ভোলানাথবাবু দুবরাজপুর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন। কেষ্ট জেলে যাওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠায় তাঁকে পদ সরিয়ে দেওয়া হয়। দলের কোর কমিটিতে তাঁর ঠাঁই হয়। এতদিন পর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে ভোলানাথবাবু বলেন, ব্লক সভাপতি ছিলাম বলে পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, এটা ঠিক নয়। বউদি বা ভাইপোর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা ঠিক নয়। আইন আইনের পথে চলবে।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles