মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০০ দিনের দুর্নীতির কারণে কেন্দ্র বরাদ্দ টাকা আটকে দিয়েছে। একই অবস্থা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার। কেন্দ্রীয় টিম রাজ্যের একাধিক জেলায় পরিদর্শন করে বেড়াচ্ছেন। এরইমধ্যে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে (Bhatar) বলগোনা গ্রাম পঞ্চায়েতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি সামনে আসতেই দুর্নীতি ধামা চাপা দিতেই পঞ্চায়েতে চুরি করানো হয়েছে কি না তা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।
পঞ্চায়েতের হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা (Bhatar)
ভাতারের (Bhatar) বলগোনা রেলস্টেশনের কাছাকাছি বলগোনা গ্রামপঞ্চায়েত কার্যালয়। দোতলা ওই পঞ্চায়েত ভবনের উপরতলায় রয়েছে পাশাপাশি চারটি ঘর। তার মধ্যে একটি প্রধানের এবং আর একটি উপপ্রধানের। বাকি দুটি ঘরে অন্য কর্মীরা কাজ করেন। উপপ্রধানের ঘর এবং বাকি তিনটি ঘরে মোট ১২টি ছোট এবং বড় আলমারি আছে। পঞ্চায়েত কার্যালয়ে আটটি সিসি ক্যামেরাও আছে। সেগুলির হার্ডডিস্ক ছিল প্রধানের ঘরে। দিন চারেক আগে গ্রাম পঞ্চায়েতে বার্ষিক অডিটের কাজ শেষ হয়েছে। তারপরই পঞ্চায়েতের তালা ভেঙে চুরি করেছে দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, পঞ্চায়েতের কর্মী প্রদ্যুৎ সাঁতরা অন্যদিনের মতো প্রধানের কাছ থেকে চাবি এনে যখন অফিস খুলতে যান, তখন দেখেন এক তলায় মূল গেটের তালা ভাঙা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানের ঘরে যে টেবিল ছিল, তার ড্রয়ারও ভাঙা হয়েছে। তার ঘর থেকে বেরনোর সময় সিসিটিভির হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে পালিয়েছে তারা। এ ছাড়া বাকি তিনটি ভাঙা হয়েছে। তার ঘর থেকে বেরনোর সময় সিসিটিভির হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে পালিয়েছে তারা। এ ছাড়া বাকি তিনটি ঘরের মোট নয়টি আলমারি খুলে নথিপত্র নয়ছয় করেছে তারা। তিনটি আলমারির চাবি খুঁজে বের করে তারা। বাকি আলমারিগুলোর লক ভেঙে জিনিসপত্র চুরি করা হয়েছে।
পঞ্চায়েত প্রধান কী বললেন?
পঞ্চায়েত প্রধান লায়লা বেগম চৌধুরী বলেন, মূল দরজার পাশাপাশি দোতলার চারটি ঘরেরই তালা ভাঙা। সবগুলি আলমারির লণ্ডভণ্ড দশা। ঘরের জিনিসপত্র তছনছ হয়ে রয়েছে। পাশেই পড়ে রয়েছে ভাঙা তালা। অনেক নথি চুরি গিয়েছে। আমরা পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করেছি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours