Author: ishika-banerjee

  • Balochistan Liberation Army: পাক সেনা বালোচ জঙ্গিদের ভিন্ন মত! সত্যি আড়াল করছে পাকিস্তান, কী অবস্থা জাফর এক্সপ্রেসের?

    Balochistan Liberation Army: পাক সেনা বালোচ জঙ্গিদের ভিন্ন মত! সত্যি আড়াল করছে পাকিস্তান, কী অবস্থা জাফর এক্সপ্রেসের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক সেনা সকালে দাবি করেছে, অভিযান শেষ। জঙ্গি মুক্ত জাফর এক্সপ্রেস (Pakistan Train Hijack)। মুক্ত সমস্ত পণবন্দী। ঘটনায় ৩৩ জঙ্গি নিহত হয়েছে। তারপরই বালোচদের পাল্টা ঘোষণা, পাক সেনা মিথ্যে কথা বলছে। বালোচ লিবারেশন আর্মির (Balochistan Liberation Army) পাল্টা দাবি, ১৫৪ জন বন্দী এখনও তাদের কবজায় আছে। সব মিলিয়ে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। দাবি, পাল্ট দাবিতে উত্তপ্ত পাকিস্তান।

    পাক সেনার দাবি

    পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ জানান, সশস্ত্র বাহিনী সব জঙ্গিকে হত্যা করেছে। সব যাত্রীকে নিরাপদে উদ্ধার করে বুধবার সন্ধ্যায় সফলভাবে অভিযান শেষ করেছে সেনা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ৩৩ জঙ্গির সবাই নিহত হয়েছে। তিনি বলেন, “খবর পাওয়ার পরই উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। খুব সতর্কতার সঙ্গে এগোতে হয়েছে। কারণ বিএলএ জঙ্গিরা স্যাটেলাইট ফোনে আফগানিস্তানে তাদের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল।’’ ট্রেনে মহিলা ও শিশুদের নিরাপদে বের করে আনাই ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রথমেই আত্মঘাতী জঙ্গিদের খতম করে পাকিস্তানি সেনার স্নাইপাররা। যাতে আচমকা বিস্ফোরণে তারা গোটা ট্রেন উড়িয়ে দিতে না পারে। এরপর একে একে ট্রেনের সমস্ত কামরা খালি করা হয়। নির্মূল করা হয় বালোচ জঙ্গিদের। বিএলএ যাত্রীদের মানবঢাল বানিয়ে রেখেছিল। তাই যে কোনও মূল্যে সাধারণ মানুষকে বাঁচানোই পাকিস্তানি সেনার প্রথম কাজ। এমনটাই বলেছেন আহমেদ শরিফ।

    মুক্ত পণবন্দির দাবি

    হামলা থেকে কোনওরকমে প্রাণ বাঁচিয়ে ফিরেছেন মুশতাক মহম্মদ। তিনি বলেন, “আচমকাই বিশাল বিস্ফোরণ হল। তারপরই এলোপাথাড়ি গুলি চলতে শুরু করল। এই দৃশ্য আজীবন মনে থাকবে।” জাফর এক্সপ্রেসে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে পেশোয়ার যাচ্ছিলেন ইশাক নূর। তিনি বলেন, “গুলির আওয়াজ পেতেই সন্তানকে বুকে জড়িয়ে ধরি। স্ত্রীও তাই করেন। গুলি লাগলে আমাদের লাগুক। সন্তানদের যেন কিছু না হয়।’’ মুশতাক জানান, জঙ্গিরা সবার পরিচয়পত্র খুঁটিয়ে দেখে কয়েকজনকে আলাদা সরিয়ে নিয়ে যায়। তাঁর কথায়, “আমাদের কামরার সামনে ৩ জন জঙ্গি পাহারায় ছিল। তারা বলে দিয়েছিল, সাধারণ নাগরিক, বৃদ্ধ, মহিলা এবং বালোচদের কোনও ক্ষতি হবে না।’’ সন্ধ্যা নাগাদ বন্দীদের এক এক করে ছাড়তে শুরু করে বিএলএ। মুক্ত পণবন্দিদের কথায়, ট্রেনের ভিতর সারি সারি লাশ পড়ে রয়েছে। অভিযানের সময় যাঁরা নিহত হয়েছেন বলে অনুমান।

    বালোচ লিবারেশন আর্মির দাবি

    বিএলএ দাবি করেছে যে ট্রেনে মোট ৪২৬ জন যাত্রী ছিল, যার মধ্যে ২১৪ জন পাকিস্তানি সেনা ছিল। বিএলএ জানিয়েছে, তারা ৬০ জন সৈন্যকে হত্যা করেছে এবং ১৫০ জন এখনও তাদের হেফাজতে রয়েছে। এর সাথে সাথে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আক্রমণে তিনজন বিএলএ কমান্ডারও নিহত হয়েছেন। বিপরীতে, পাকিস্তান সরকার জানিয়েছে যে তাদের সেনাবাহিনী এবং বিমানবাহিনী অভিযান সম্পন্ন করেছে, ২১ জন যাত্রী এবং ৪ জন সৈন্য নিহত হয়েছে। পাকিস্তান বলছে যে ৩৩ জন বিএলএ যোদ্ধা নিহত হয়েছে এবং ২১২ জন নাগরিককে কোনও ক্ষতি ছাড়াই মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

    কূটনৈতিক মহলের অনুমান

    পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং সরকারের আর বালোচিস্তানের উপর নিয়ন্ত্রণ নেই, বলে মনে করছে বিশ্ববাসী। বালোচিস্তানের ৬-৭টি জেলা সম্পূর্ণরূপে সন্ত্রাসবাদীদের নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তান সরকার বা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। অনেকের মতে, বালোচিস্তান এবং সিন্ধ প্রদেশের সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি এখন একে অপরের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করছে এই যৌথ বাহিনী। বালোচিস্তানে ট্রেন হাইজ্যাক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

  • US Vice President: চলতি মাসেই ভারত সফরে আসছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স

    US Vice President: চলতি মাসেই ভারত সফরে আসছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত সফরে আসতে পারেন সস্ত্রীক আমেরিকান ভাইস প্রেসিডেন্ট (US Vice President) জেডি ভান্স। ভান্স এই মাসের শেষের দিকে দিল্লিতে আসবেন। তার আগে উপমহাদেশে আসতে পারেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ। তুলসি গ্যাবার্ড এবং মাইক ওয়াল্টজ ১৫-১৮ মার্চের মধ্যে ভারতে আসবেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার মসনদে বসার পরে আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি, শুল্ক নীতি-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় দু’জনের মধ্যে। এর মাঝে গত সপ্তাহে ভারতের শুল্ক নীতি নিয়ে সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। এই আবহে আমেরিকান ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের ভারত সফর।

    ভারতে ভান্স

    সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, এই সফরে তাঁর সঙ্গে আসবেন আমেরিকার সেকেন্ড লেডি ঊষা ভান্স ৷ তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত ৷ ঊষা ভান্সের পৈতৃক ভিটে অন্ধ্রপ্রদেশে। শুল্ক নীতি নিয়ে টানাপোড়েনের মাঝেই আমেরিকান ভাইস প্রেসিডেন্ট-এর ভারত সফর দুই দেশের পক্ষেই খুব গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে এটাই ভান্সের দ্বিতীয় বিদেশ সফর হবে বলেও জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, ফ্রান্সে এআই সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং জেডি ভান্সের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল। ফ্রান্সে জেডি ভান্স এবং ঊষা ভান্সের ছেলে বিবেকের জন্মদিনের পার্টিতেও উপস্থিত ছিলেন মোদি।

    তুলসী ও ওয়ল্টজের আগমন

    ভারত সফরে আসছেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড। ডোনাল্ড ট্রাম্পে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার এই প্রথম কোনও মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ প্রতিনিধি ভারতে আসছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অত্যন্ত আস্থাভাজন তুলসী। ডেমোক্র্যাট দলের প্রাক্তন সদস্য তুলসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বন্ধু হিসাবেই পরিচিত। আমেরিকা সফরে গিয়ে তুলসীর সঙ্গে দেখা করে শুভেচ্ছা জানান মোদি (PM Modi)। পাশাপাশি দু’জনের বৈঠকে ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক আরও মজবুত করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, তুলসীর সফরে ভারতের গোয়েন্দা কর্তারা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জঙ্গি তৎপরতার বিষয়ে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানকে অবহিত করবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও তাঁর এই বিষয়ে আলোচবা হয়েছে। এছাড়া মিঃ ওয়াল্টজের ভারতের অন্যতম প্রধান ভূ-রাজনৈতিক শীর্ষ সম্মেলন, রাইসিনা সংলাপে অংশগ্রহণ করার সম্ভাবনা রয়েছে।

  • Danish Kaneria: ‘আফ্রিদি বারবার ধর্ম বদলের জন্য জোর করত’! পাক ক্রিকেটে বৈষম্যের কথা শোনালেন হিন্দু কানেরিয়া

    Danish Kaneria: ‘আফ্রিদি বারবার ধর্ম বদলের জন্য জোর করত’! পাক ক্রিকেটে বৈষম্যের কথা শোনালেন হিন্দু কানেরিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান ক্রিকেট দলের মধ্যে ধর্মীয় বৈষম্যের ফলেই বাইশ গজে তাঁর কেরিয়ার নষ্ট হয়ে গিয়েছে, বলে জানালেন দানিশ কানেরিয়া (Danish Kaneria)। প্রাক্তন পাকিস্তানি হিন্দু ক্রিকেটার দানিশ কানেরিয়া সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ‘পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের অবস্থা’ নিয়ে অনুষ্ঠিত কংগ্রেশনাল ব্রিফিংয়ে অংশগ্রহণ করেন। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি হিন্দু ক্রিকেটার বলে আমাকে জোর করে ধর্ম পরিবর্তনের কথা বলত শাহিদ আফ্রিদি। আমি এর বিরোধিতা করলে আমাকে নানাভাবে অপদস্থ করা হত। দলের সবাই যখন ডিনার টেবিলে রয়েছে, সেইসময় আমার সঙ্গে খেত না আফ্রিদির মতো কয়েকজন ক্রিকেটার।’’

    যোগ্য সম্মান মেলেনি

    পাকিস্তানে তিনি কখনই সমান সম্মান এবং মর্যাদা পাননি, এমনই দাবি কানেরিয়ার (Danish Kaneria)। ২০০০ সালে টেস্ট ক্রিকেটে পাকিস্তানের হয়ে অভিষেক হওয়া কানেরিয়া ৬১টি টেস্ট ম্যাচে ২৬১টি উইকেট নেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি অনেক বৈষম্যের শিকার হয়েছি, এবং আমার কেরিয়ার ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। পাকিস্তানে আমাকে যে সম্মান প্রাপ্য ছিল, তা পাইনি। এই বৈষম্যের কারণেই আমি আজকে আমেরিকায় আছি। আমরা এখানে এসেছি, সচেতনতা তৈরি করতে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে জানাতে যে আমরা কতটা ভোগান্তির শিকার, যাতে এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া যায়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘শাহিদ আফ্রিদি ছিল সেই ব্যক্তি, যে আমাকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে বলেছিল। তিনি অনেকবার আমাকে এই প্রস্তাব দেন।’’

    অন্যায়ভাবে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়

    কানেরিয়া (Danish Kaneria) আরও জানান, ‘‘আফ্রিদি আমাকে মানসিকভাবে নানা হেনস্থা করত। কিন্তু আমার পাশে থাকত ইনজামাম। ইনজি আমাকে সবসময় আগলে রাখত। ইনজি মানুষ হিসেবেও খুব উদার মনের। পাকিস্তানের একমাত্র অধিনায়ক যিনি আমার পাশে ছিলেন। এমনকী শোয়েব আখতারও আমাকে সমর্থন করে এসেছে। ওঁদের ব্যবহারই ছিল অন্যরকম। বড় ক্রিকেটার, বড় মনের মানুষও।’’ কানেরিয়া ছিলেন পাকিস্তানের সেইসময়ের একমাত্র হিন্দু ক্রিকেটার। তিনি সুরাটে জন্মগ্রহণ করা স্পিনার। কানেরিয়া শুধু আফ্রিদি নয়, পাক বোর্ডের কর্তাদেরও আক্রমণ করেছেন। নামী প্রাক্তন স্পিনার বলেন, ‘‘আমাকে অন্যায়ভাবে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। আমার যা রেকর্ড ছিল, এমনি দল থেকে বাদ দিতে পারতেন না কর্তারা। সেইজন্য নানা কারণ দেখিয়ে আমাকে ছেঁটে ফেলেছেন। এটা ভারতে কোনওদিন হয়নি। ভারতে মুসলিম ক্রিকেটারদের সম্মান ও শ্রদ্ধা দুটিই দেখানো হয়।’’

  • Tejas Fighter Jet: ‘মার্ক-১এ’ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা সফল! বায়ুসেনায় তেজসের নয়া সংস্করণের অন্তর্ভুক্তি শীঘ্রই?

    Tejas Fighter Jet: ‘মার্ক-১এ’ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা সফল! বায়ুসেনায় তেজসের নয়া সংস্করণের অন্তর্ভুক্তি শীঘ্রই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার ভারতের দেশীয় যুদ্ধবিমান তেজস (Tejas Fighter Jet) থেকে আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ‘অস্ত্র’-র সফল পরীক্ষা করা হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ওড়িশার চাঁদিপুর উপকূলে এই ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা করা হয়েছিল। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ডিআরডিও ডিজাইন করেছে। এটি ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি অ্যাডভান্সড গাইডেন্স ও নেভিগেশন সিস্টেম দিয়ে তৈরি, যা এটিকে আরও নির্ভুল ভাবে লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে সক্ষম করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি দৃষ্টিসীমার বাইরে থাকা লক্ষ্যবস্তুকেও ধ্বংস করতে পারে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Defence Ministry) জানিয়েছে যে, পরীক্ষায় অস্ত্র ক্ষেপণাস্ত্রটি সরাসরি আকাশে উড়ন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। সমস্ত সিস্টেম চমৎকারভাবে কাজ করেছে এবং সমস্ত মিশনের প্যারামিটার পূরণ করেছে। এর ফলে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, এই ক্ষেপণাস্ত্র যে কোনও পরিস্থিতিতে শত্রুপক্ষের বিমানকে ধ্বংস করতে সক্ষম।

    ক্ষেপণাস্ত্র নয়, পরীক্ষায় সবার নজর ছিল বিমানের ওপর! (Tejas Fighter Jet) 

    তবে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, ডিআরডিও বা বায়ুসেনা মুখ কুলুপ আঁটলেও, সূত্রের খবর, এই পরীক্ষায় ‘অস্ত্র’-র ওপর থেকে বেশি নজর ছিল বিমানটির ওপর। কেন? কারণ, এদিন যে বিমান থেকে মিসাইলটি নিক্ষেপ করা হয়েছে, তা এলএসিএ তেজস-এর নয়া সংস্করণ। অর্থাৎ, মার্ক-১এ ‘প্রোটোটাইপ’ বিমান (Tejas Fighter Jet) । যা বায়ুসেনা এখনও হাতে পায়নি। যে বিমানটির এখনও অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এদিনের সফল পরীক্ষার মাধ্যমে অস্ত্র মিসাইলের সক্ষমতার পাশাপাশি বিমানের সক্ষমতাও প্রমাণিত হয়েছে বলে ওই সূত্রের দাবি। ফলে, বলা যেতে পারে, ভারতীয় বায়ুসেনায় তেজস মার্ক-১এ (Tejas Fighter Jet)  সংস্করণের অন্তর্ভুক্তির জন্য আরও এক ধাপ এগনো গেল। খুব শীঘ্রই হয়ত, ভারতীয় বায়ুসেনায় তেজস মার্ক-১ সংস্করণের পাশাপাশি দেখা যাবে মার্ক-১এ সংস্করণটিও। প্রসঙ্গত, ২০৩২ সালের মধ্যে ৮৩টি মার্ক-১এ সংস্করণ বায়ুসেনার হাতে তুলে দেওয়ার কথা দেশীয় যুদ্ধবিমান উৎপাদনকারী সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড বা হ্যাল-এর।

    সর্বাধুনিক রেডার আসছে বায়ুসেনায়

    অন্যদিকে, দেশের আকাশসীমাকে আরও নিশ্ছিদ্র করতে বুধবার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (BEL) এর সঙ্গে ২,৯০৬ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Defence Ministry)। এই চুক্তির মাধ্যমে দেশে তৈরি সর্বাধুনিক পরিবহণযোগ্য ‘অশ্বিনী’ রেডার কেনা হবে। আকাশে ভাসমান যে কোনও লক্ষ্যবস্তুকে ট্র্যাক করতে সক্ষম অশ্বিনী। উচ্চ গতির যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে মানবহীন ড্রোন বা হেলিকপ্টারের মতো ধীর গতির লক্ষ্যবস্তুও শনাক্ত করতে পারে এই রেডার। এর ফলে শক্তিশালী হবে ভারতীয় বিমানবাহিনী। আরও নিরাপদ ও সুরক্ষিত হবে ভারতের আকাশসীমা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে বলা  হয়েছে, এটি নেওয়ার ফলে বায়ুসেনার সামরিক প্রস্তুতি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে বিইএল-এর চুক্তি

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের (Defence Ministry) একটি অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সরকারের দেশীয় প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বিইএল-এর সঙ্গে ২,৯০৬ কোটি টাকার একটি চুক্তি সই করেছে। যার মাধ্যমে কম-উচ্চতার পরিবহণযোগ্য রেডার (এলএলটিআর) আশ্বিনী সংগ্রহ করা হবে।” ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ডিআরডিও) অধীনস্থ বেঙ্গালুরুর ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড রেডার ডেভেলপমেন্ট এস্টাবলিশমেন্ট দেশীয়ভাবে এই রেডার তৈরি করেছে। প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিংয়ের উপস্থিতিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যিনি সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কাছে বায়ুসেনার ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটি কমিটি গঠনের আবেদন করেছিলেন। মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রেডার প্রোগ্রামটি বিদেশি সরবরাহকারীদের উপর নির্ভরতা হ্রাস করে প্রতিরক্ষা উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জনের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ। স্থানীয় প্রতিরক্ষা শিল্পের বিকাশে এটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে।

     

  • PM Modi: কেন্দ্রের ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ নীতি, মোদির নেতৃত্বে বিভিন্ন দেশে উন্নয়নের সঙ্গী ভারত

    PM Modi: কেন্দ্রের ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ নীতি, মোদির নেতৃত্বে বিভিন্ন দেশে উন্নয়নের সঙ্গী ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মরিশাসে (Modi in Mauritius) ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায় ভারত। সেখানে সিভিল সার্ভিস কলেজ ও এরিয়া হেল্থ সেন্টার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুটি প্রতিষ্ঠান তৈরির ক্ষেত্রেই ভারতের বড় ভূমিকা আছে। বিভিন্ন দেশে ভারত উন্নয়নের পথে কীভাবে সঙ্গী হচ্ছে, তার প্রমাণ আরও একবার মিলেছে মরিশাসের এই প্রজেক্টে। বিশ্ববাসীর কল্যাণে বারবার প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উন্নয়নের সঙ্গী হয়েছে ভারত। এবার সেই পথির পথিক হল মরিশাস।

    সিভিল সার্ভিস কলেজ উদ্বোধন

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বুধবার মরিশাসের পোর্ট লুইসে অটল বিহারি বাজপেয়ী সিভিল সার্ভিস ইনস্টিটিউট উদ্বোধন করেছেন। যা ভারতের অনুদান সহায়তায় নির্মিত হয়েছে। এই সিভিল সার্ভিস কলেজ এবং আঞ্চলিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ভারত-মরিশাস (Modi in Mauritius) বন্ধুত্বের প্রমাণ। সে দেশের প্রশাসনিক এবং স্বাস্থ্য সেবার সক্ষমতা শক্তিশালী করতে ভারত যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তা এই প্রকল্পটির মাধ্যমেই বোঝা যায়। এই প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধি এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সকলের জন্য সমৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি সবসময় দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁর ইচ্ছাতেই বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভারতের সহায়তায় একাধিক প্রধান উন্নয়ন প্রকল্প গৃহীত হয়েছে।

    ভুটানে হাসপাতাল

    বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উন্নয়নের সঙ্গী হিসেবে ভারতের ভূমিকার কথা বারবার উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। একাধিক দেশে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নির্মাণ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় ভারত। ভুটানে গিয়াল্টসুয়েন জেতসুন পেমা ওয়াংচুক মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হসপিটাল তৈরির ক্ষেত্রে আর্থিক সাহায্য করেছিল ভারত। সেই প্রজেক্টের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয় ২০১৯ সালে ও দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শেষ হয় ২০২৪ সালে। মূলত মা ও সদ্যোজাত সন্তানের জন্যই তৈরি এই হাসপাতাল। ২০২৪-এ সেই হাসপাতাল উদ্বোধন করেন মোদি।

    বাংলাদেশে সহায়তা

    ২০২৩ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যৌথভাবে তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আখাউরা-আগরতলা ক্রস বর্ডার রেল লিঙ্ক, খুলনা-মোংলা পোর্ট রেল লাইন, মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের উদ্বোধন হয়েছিল ওই বছর। তার আগে ২০২২ সালে জয়নগর-কুরথা রেলওয়ের উদ্বোধন করেছিলেন মোদি। সঙ্গে ছিলেন নেপালের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। এটাই ছিল ভারত ও নেপালের মধ্যে প্রথম রেল যোগাযোগ।

    দ্বীপরাষ্ট্রগুলির উন্নতিতে পাশে ভারত

    ২০২১ সালে সেশেলস-এর প্রেসিডেন্ট রামকালওয়ানের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট বিল্ডিং উদ্বোধন করেন মোদি (PM Modi)। সেই প্রকল্পে ৩৫ লক্ষ ডলার সাহায্য করেছিল ভারত। এছাড়া ২০২০ সালে মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী যুগনাথের সঙ্গে যৌথভাবে সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের বিল্ডিং উদ্বোধন করেছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে তাঁরা মেট্রো এক্সপ্রেস উদ্বোধন করেন। ২০১৫ সালে শ্রীলঙ্কায় জাফনা কালচারাল সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মোদি। শ্রীলঙ্কাকে চরম আর্থিক সঙ্কটের সময় ভারত অনেক সাহায্য করেছে। ওই বছরই আফগান পার্লামেন্টের উদ্বোধন করেন তিনি। ২০১৬ সালে, প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং আফগানিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আফগান-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ ড্যাম (সলমা ড্যাম) উদ্বোধন করেছিলেন, যা আফগানিস্তানে ভারতীয় সহায়তায় নির্মিত হয়।

    প্রতিবেশী প্রথম নীতি

    ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রতিবেশী (Neighbor First) সব দেশের সরকার প্রধানরা ভারতে আসেন। মোদিও প্রধানমন্ত্রী পদে বসে প্রতিবেশী বেশ কয়েকটি দেশ সফর করেন। তার এ সফর থেকে বোঝা গিয়েছিল, ভারতের বিদেশনীতিতে প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি গুরুত্ব থাকবে সবচেয়ে বেশি। আনুষ্ঠানিকভাবে ওই নীতিকে ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ বা ‘প্রতিবেশীই প্রথম’ নাম দেয় নয়াদিল্লি। ভারত সরকার চেয়েছিল আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, মলদ্বীপ, মায়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলতে। ভৌগোলিকভাবে যারা ভারতের চেয়ে দূরে (সে আমেরিকাই হোক বা নাইজেরিয়া) তাদের চেয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় ঘরের কাছের পড়শিদের (শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, মায়ানমার, নেপাল প্রভৃতি) সঙ্গে সম্পর্ককে ভারত বেশি গুরুত্ব দেবে এবং তাদের স্বার্থকে প্রাধান্য দেবে– এটাই হল ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’-এর সার কথা। প্রধানমন্ত্রী মোদির বিদেশনীতির মূল স্তম্ভ এটাই। প্রতিবেশী প্রথম এই নীতিতেই চলে ভারত। প্রতিবেশী দেশের ক্ষেত্রে সবসময় ভারত সাহায্যের হাত এগিয়ে দিয়েছে।

  • Holi Utsav 2025: এখানে পাঁচদিন ধরে চলে হোলি, রঙের উৎসবে মেতেছে বৃন্দাবন

    Holi Utsav 2025: এখানে পাঁচদিন ধরে চলে হোলি, রঙের উৎসবে মেতেছে বৃন্দাবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোলযাত্রা পালিত হয় ফাল্গুনী পূর্ণিমায়। দোলপূর্ণিমা তিথিতে শ্রীধাম বৃন্দাবনে শ্রীরাধিকা এবং অন্যান্য গোপিনীদের সঙ্গে আবির খেলায় মেতে উঠেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। সেই কারণে দোলপূর্ণিমার তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং শ্রীরাধার বিগ্রহ নিয়ে শোভাযাত্রা বার হয় এবং আবির খেলায় মেতে ওঠেন ভক্তরা। হিন্দুদের এক বিশেষ উৎসব হোলি (Holi Utsav 2025)। ব্রজে হোলির আনন্দই আলাদা। এক সপ্তাহ আগে থেকেই হোলি উৎসব পালিত হয় বৃন্দাবনে (Vrindaban)। হোলির আগে যে একাদশী হয় আসে সেই একাদশী থেকে এই উৎসব পালন শুরু হয়।

    শুরু হয়ে গিয়েছে হোলি

    বৃন্দাবনে (Vrindaban) হোলি (Holi Utsav 2025) খেলা শুরু হয় দোলের আগে রঙ্গভরী একাদশী থেকে। বাঁকে বিহারীজির মন্দিরে একাদশী থেকে পূর্ণিমা অবধি ৫দিন হোলি পালন করা হয়। ইতিমধ্যেই হোলি উপলক্ষে বৃন্দাবনের নানা মন্দিরে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়েছে। এখানে রঙের উৎসব হোলির আগে খেলা হয় ফুলের হোলি। বৃন্দাবনে বাঁকে বিহারী মন্দিরে ফুলের হোলি খেলা সারা ভারত বিখ্যাত। পুরোহিত মশাই বাঁকে বিহারী মন্দিরে পুজো দিয়ে তারপরে এই খেলার সূচনা করেন। এই বিশেষ দিনে এখানকার মানুষ একে অপরের মুখে আবির লাগিয়ে দেন। বড়রা ছোটদের আশীর্বাদ করেন, ছোটরা আনন্দে মেতে ওঠে এবং মিষ্টি বিতরণ করা হয়। সেই সঙ্গে থাকে নানা রকম ভক্তিমূলক গান ও ভজনের আয়োজন।

    হোলির রঙে হারিয়ে যায় ভেদাভেদ 

    হোলির (Holi Utsav 2025) সঙ্গে জড়িয়ে আছে পৌরাণিক কাহিনিও। শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন কৃষ্ণ বর্ণের। তিনি চিন্তিত ছিলেন যে তিনি কৃষ্ণ বর্ণের, আর তার প্রিয় সখী সেই শ্রী রাধা ছিলেন উজ্জ্বল বর্ণের, তাই হয়তো তিনি কৃষ্ণকে পছন্দ করবেন না। তখন তাঁর মা যশোদা কৌতুকপূর্ণভাবে বলেন যে রাধা কে রং মাখিয়ে দিতে তাহলে রাধা কৃষ্ণের বর্ণের মধ্যে আর কোনও তফাৎ থাকবে না। সহজ সরল কৃষ্ণ তাই করেন, মনে করা হয় সেই থেকে এখানে প্রচলিত হয় রংয়ের উৎসব হোলি খেলা। রাধা কৃষ্ণের ঐশ্বরিক প্রেমকে সম্মান দিতে এখানে বিশেষ উৎসাহের সঙ্গে হোলি পালন করা হয়। বৃন্দাবনে (Vrindaban) এই সময়ে মানুষ ধর্ম বর্ণের ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে হোলি খেলায় মেতে ওঠে। এখানকার আর একটা ঐতিহ্যবাহী প্রথা হলো বিধবাদের নিয়ে হোলি খেলা। এসামাজিক নিয়ম কানুন বিধি নিষেধের চোখ রাঙানি এই সময় উপেক্ষা করে দীর্ঘদিন ধরে এই প্রাচীন প্রথাকে সম্মান এর সঙ্গে পালন করে আসছে বৃন্দাবনবাসি।

  • Dandi March Day: “ডান্ডি মার্চ আজও অনুপ্রাণিত করে”, ৯৫তম বার্ষিকীতে লবণ সত্যাগ্রহকে স্মরণ মোদির

    Dandi March Day: “ডান্ডি মার্চ আজও অনুপ্রাণিত করে”, ৯৫তম বার্ষিকীতে লবণ সত্যাগ্রহকে স্মরণ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডান্ডি মার্চ অর্থাৎ লবণ সত্যাগ্রহ (Dandi March Day) ছিল মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে ঔপনিবেশিক ভারতে অহিংস আইন অমান্য আন্দোলন। ২০২৫ সালের ১২ মার্চ পালন করা হচ্ছে ৯৫তম ডান্ডি মার্চ। লবণ সত্যাগ্রহ নামেও পরিচিত ডান্ডি অভিযান। ১৯৩০ সালের ১২ মার্চ মহাত্মা গান্ধী কর্তৃক শুরু হয়েছিল ডান্ডি পদযাত্রা। এই পদযাত্রাটি আমেদাবাদের সবরমতী আশ্রম থেকে শুরু হয়েছিল এবং গুজরাটের ডান্ডি গ্রাম পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়।

    ডান্ডি-মার্চকে স্মরণ প্রধানমন্ত্রী মোদির

    ১৯৩০ সালের ১২ মার্চ থেকে ১৯৩০ সালের ৬ এপ্রিল পর্যন্ত স্থায়ী ডান্ডি মার্চ (Dandi March Day) ছিল ব্রিটিশ লবণের একচেটিয়া আধিপত্যের বিরুদ্ধে এক কঠোর অভিযান। বুধবার, মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে ঐতিহাসিক ডান্ডি মার্চে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “আজ আমরা ঐতিহাসিক ডান্ডি মার্চের সকল অংশগ্রহণকারীদের শ্রদ্ধা জানাই, যা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি অমোঘ অধ্যায়। মহাত্মা গান্ধী কর্তৃক পরিচালিত এই মার্চ দেশব্যাপী আত্মনির্ভরতা এবং স্বাধীনতার জন্য আন্দোলনকে উজ্জীবিত করেছিল। ডান্ডি মার্চের অংশগ্রহণকারীদের সাহস, ত্যাগ এবং সত্য ও অহিংসার প্রতি অবিচল প্রতিশ্রুতি আজও প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করছে।”

    ডান্ডি মার্চ-এক শক্তিশালী অবস্থান

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীও এক্স-এ লিখে ডান্ডি মার্চকে (Dandi March Day) ঐতিহাসিক বলে সম্মান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এই ডান্ডি মার্চ দিবসে, আমরা মহাত্মা গান্ধীর উপনিবেশ বিরোধী সাহসী অবস্থানকে সম্মান জানাই। তাঁর ঐতিহাসিক লবণ মার্চ একটি আন্দোলনকে জন্ম দেয় যা ভারতের স্বাধীনতা ও আত্মনির্ভরতার সংগ্রামকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছিল।” অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ডান্ডি মার্চের ৯৫তম বার্ষিকীতে মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে এক্স-এ বলেছেন, “১৯৩০ সালের এই দিনে, গান্ধীজি লবণ করের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ ডান্ডি মার্চ শুরু করেছিলেন। এই সাহসী পদক্ষেপটি হাজার হাজার মানুষকে একত্রিত করে, যা ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে এক শক্তিশালী অবস্থান হিসেবে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”

  • Balochistan Liberation Army: ১৫০ পণবন্দি উদ্ধার, মহিলা-শিশু যাত্রীদের ছেড়ে দিল বালোচরা, কী চায় বিএলএ?

    Balochistan Liberation Army: ১৫০ পণবন্দি উদ্ধার, মহিলা-শিশু যাত্রীদের ছেড়ে দিল বালোচরা, কী চায় বিএলএ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতভর সেনা অভিযানের পর ২৭ জঙ্গিকে নিকেশ করে মোট ১৫০ পণবন্দিকে উদ্ধার করেছে পাক সেনা। এখনও বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির (Balochistan Liberation Army) হাতে হাইজ্যাক (Pakistan Train Hijack) হওয়া জাফর এক্সপ্রেসে (Jaffar Express) আটকে বহু যাত্রী। সূত্রের খবর, অপহৃত ট্রেন থেকে যাত্রীদের মুক্ত করতে গিয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষ বাঁধে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর। এর ফলে নিহত হয়েছেন ২০ জন সেনাও।

    রাতভর উদ্ধার অভিযান

    মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে কাচ্চি বোলান জেলার পেহরো কুনরি এবং গাদালার মধ্যবর্তী এলাকায় আটকে দেয় স্বাধীনতাপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠী বিএলএ (Balochistan Liberation Army)। ট্রেনটিতে প্রায় ৫০০ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে দুই শতাধিক যাত্রীকে পণবন্দি করা হয়। ঘটনার দায় স্বীকার করে বিদ্রোহীরা বিবৃতি দিয়ে জানায়, যাত্রীদের মুক্তির শর্ত হিসেবে তাদের রাজনৈতিক দাবি মানতে হবে। খবর পেয়েই পাকিস্তানের সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। অভিযানে অংশ নেয় স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ-এর কমান্ডো বাহিনীও। বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পরই অভিযানে নামে পাক সেনা। রাতভর চলে অভিযান। কিন্তু এখনও পুরোপুরি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি পাক সেনা।

    বিদ্রোহীদের রণকৌশল

    পাক সেনাবাহিনীকে রুখতে রেললাইনের একাংশ উড়িয়ে দেয় জঙ্গিরা। উড়ন্ত ড্রোনকেও গুলি করে নামানো হয়। শুরু হয় দু’পক্ষের গুলির লড়াই। দীর্ঘ সংঘর্ষের পর বুধবার সকালে সেনা বাহিনী অন্তত ১৫০ জন যাত্রীকে মুক্ত করেছে বলে খবর। উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের মধ্যে ৫৮ জন পুরুষ, ৩১ জন নারী এবং ১৫ জন শিশু রয়েছে। আহত অন্তত ১৭ জনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য বিদ্রোহীদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন। তবে পাক সেনার দাবি, অভিযানে ২৭ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছে এবং বাকিদের খুঁজে বের করতে এখনও অভিযান চলছে। এখনও পণবন্দি যাত্রীদের কী হবে, তা নিয়ে আতঙ্ক নেমে এসেছে পাকিস্তানে। পণবন্দিদের মধ্যে মহিলা, শিশু ও অসুস্থদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, বলে দাবি বালোচ জঙ্গিদের। তাদের দাবি, মূলত পাকিস্তান সেনা, পুলিশ, গুপ্তচর সংস্থার সক্রিয় কর্মীরাই পণবন্দি হিসেবে রয়েছেন।

    বালোচ লিবারেশন আর্মি

    পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ বালুচিস্তান প্রাকৃতিক ভাবে সবচেয়ে সম্পদশালী। কিন্তু ধীরে ধীরে তা বেহাত হয়ে যাচ্ছে বালোচ নাগরিকদের। ‘চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর’ (সিপিইসি) তৈরির পরে গত কয়েক বছরে সেই লুট আরও বেড়েছে। ওই রাস্তা ব্যবহার করেই ইসলামাবাদ এবং বেজিংয়ের শাসকেরা বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করছে বলে বিএলএ, ‘বালোচ ন্যাশনালিস্ট আর্মি’ (বিএনএ)-র মতো স্বাধীনতাপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির অভিযোগ। প্রতিবাদ দমন করতে পাক সেনা এবং ফ্রন্টিয়ার কোর বাহিনী সেখানে ধারাবাহিক মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গণহত্যা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ।

    বালোচ লিবারেশন আর্মির লক্ষ্য

    বালোচ লিবারেশন আর্মির (Balochistan Liberation Army) মূল দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে, পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে পৃথক বালোচিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত এই অঞ্চল। এই এলাকা আফগানিস্তানের দক্ষিণ ও পশ্চিম ইরানের সীমান্ত ঘেঁষা। গত কয়েক দশক ধরেই পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চালিয়ে আসছেন এই অঞ্চলের বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, গ্যাস ও খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ বালোচিস্তান শোষণ করছে পাকিস্তান। অথচ, এই খনিজ সম্পদের কোনও সুবিধা এখানকার জনগণের কাছে পৌঁছয় না। আফগানিস্তান ও ইরান সীমান্তের খনিজ সমৃদ্ধ অঞ্চলেই এই বিএলএ গোষ্ঠীর সক্রিয়তা বেশি।

    বালোচিস্তানে পাক-নিপীড়ণ

    বালোচিস্তান (Balochistan Liberation Army) অঞ্চলটি পাকিস্তানের অর্থনীতি ও সমৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে গত কয়েক বছরে পাকিস্তানের রাজনৈতিক ডামাডোল ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এই অঞ্চলকেও গ্রাস করেছে। জোর করে পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্ত করা বালোচ প্রদেশে প্রতিনিয়ত অত্যাচার চালায় পাক-সেনা, এমনই দাবি সেখানকার বাসিন্দাদের। বালোচিস্তানে রয়েছে একটি গভীর জলবন্দর এবং এখানকার বেশ কিছু প্রজেক্টে বেজিংয়ের বিনিয়োগ রয়েছে। প্রাকৃতিক গ্যাস, খনিজে সমৃদ্ধ বালুচিস্তানে সেখানকার নাগরিকরা যাতে লাভবান হন, তাঁদের যাতে বঞ্চিত না হতে হয়, সেই দাবিতেই সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত বালোচ লিবারেশন আর্মি। ২০০২ সালে পাক সেনা ও নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা চালায় এই সংগঠন। তখনই পাক সরকার প্রমাদ গোনে। প্রথমবার তাদের শক্তি টের পাওয়া যায় লাহোরে। এর পরে এক মহিলা জঙ্গি আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায় করাচির বিশ্ববিদ্যালয়ে। বালোচিস্তানের দাবিতে বিদ্রোহ করা সমস্ত গোষ্ঠীকে এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টা করছে বিএলএ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তাদের সব থেকে বড় অভিযান জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাক। এই ঘটনায় নড়ে গিয়েছে ইসলামাবাদ। প্রতিদিন জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া পাকিস্তানই এখন হিংসার কবলে।

  • Bangladesh Crisis: আইএসআই ও জামাতের যৌথ চক্রান্ত! বাংলাদেশ সেনার অভ্যন্তরে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা ফাঁস

    Bangladesh Crisis: আইএসআই ও জামাতের যৌথ চক্রান্ত! বাংলাদেশ সেনার অভ্যন্তরে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা ফাঁস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদ্মাপাড়ে অশান্তি অব্যাহত। বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) বর্তমান সেনা প্রধান ওয়াকার উজ-জামানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশ সেনা সূত্রে খবর, পাকিস্তান ও জামাতের সঙ্গে মিলে এই চক্রান্ত করা হয়েছিল। এই যোজসাজশ করেছিলেন বাংলাদেশের লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমান।

    কীভাবে ভেস্তে গেল চক্রান্ত

    শেখ হাসিনার ক্ষমতা থেকে অপসারণের পর, ইসলামপন্থী গোষ্ঠীরাই এখন বাংলাদেশের মসনদে। এই অবস্থায় সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানোর জন্য বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) সেনাবাহিনী প্রস্তুতি নিচ্ছিল। যার পেছনে পাকিস্তানের আইএসআই-এর ষড়যন্ত্র ছিল বলে খবর এসেছে। তুরুপের তাস ছিল  ফয়জুর রহমান, যিনি কিনা বাংলাদেশ সেনায় কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল পদে কর্মরত। ফয়জুর একজন পাকিস্তানি সমর্থক এবং জামাতপন্থী বলে পরিচিত। জামাত নেতাদের সঙ্গেও তাঁর সখ্যতা রয়েছে বলে খবর। সূত্রের দাবি, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে যাচ্ছিলেন ফয়জুর। তাঁর লক্ষ্য ছিল, বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল। মিশন সাকসেসফুল করতে চলতি বছরের মার্চ মাসে সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকজন আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেই গোল বেঁধে যায়। সেনা অধিকারিকরা এই বৈঠক সম্পর্কে সেনাপ্রধানের অফিসকে জানিয়ে দেন। তাতেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায় ফয়জুরের।

    নজরদারিতে ফয়জুর

    সম্প্রতি বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সেনাপ্রধানের সচিবালয়ে গোপন তথ্য আসে যে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমান, যিনি জামাত-ই-ইসলামীর প্রতি সহানুভূতিশীল, কিছু বৈঠক আহ্বান করেছেন সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে। এই বৈঠকগুলো সেনাপ্রধানের অজান্তে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যার মাধ্যমে ফয়জুর সেনাপ্রধানকে উৎখাত করার চেষ্টা করছিলেন। তবে তিনি তেমন সমর্থন অর্জন করতে পারেননি। লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমান, মার্চের প্রথম সপ্তাহে, সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ গোষ্ঠী কমান্ডারদের (জিওসি) সঙ্গে একটি বৈঠক করেছিলেন। সেনাপ্রধানের সচিবালয় এই বৈঠক সম্পর্কে জেনে যাওয়ার পর, শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠক থেকে সরে যান। চলতি বছর জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে, ফয়জুর জামাত নেতৃবৃন্দ এবং পাকিস্তানি কূটনীতিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। এই বৈঠকগুলো সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানের নজরে আসার পর, তিনি ফয়জুরকে নজরদারিতে রাখেন।

    গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার

    এছাড়াও, এই ষড়যন্ত্রের মধ্যে ১০ জন জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) জড়িত, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন মেজর জেনারেল মীর মুশফিকুর রহমান, যিনি চট্টগ্রামের অঞ্চল কমান্ডার, মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ তারিক, যিনি কুমিল্লার অঞ্চল কমান্ডার। তাদের পাশাপাশি আরও কয়েকজন মেজর জেনারেলও এই ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন, যেমন মেজর জেনারেল হাসেন মুহাম্মদ মাশিহুর রহমান, মেজর জেনারেল মহম্মদ কামরুল হাসান, মেজর জেনারেল মহম্মদ আসাদুল্লাহ মিনহাজুল আলম, মেজর জেনারেল এসএম কামাল হোসেন এবং আরও অনেকে। আরও জানা যায়, বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভুঁইয়া এবং আবু বেলাল মহম্মদ শফিউল হক সহ অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ারী এবং এহতেশামুল হক এবং প্রাক্তন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম কামাল নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে যাচ্ছেন, যাতে অ্যান্টি-ওয়াকার সেনাবাহিনীর সদস্য এবং জামাত-ই-ইসলামীর সমর্থন থাকবে।

    বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের আশা

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) এখন রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান সব নেতাকে সতর্ক করে দেন। তিনি বলেছিলেন, এই সময় নেতারা নিজেদের মধ্যে আকচাআকচি করলে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে। নেতাদের সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে হবে। বিভাজনের রাজনীতি করলে দেশের সার্বভৌমত্ব সঙ্কটের মুখে পড়তে পারে। নেতারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করার ফলে দুষ্কৃতীরা সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। তারা অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে। সেই সঙ্কট থেকে দেশকে বের করতে হবে। পরে তিনি জানান, নেতাদের সাবধান করার পিছনে তাঁর কোনও উচ্চাকাঙ্খা নেই। জাতীয় স্বার্থে এই কাজ করছেন। তাঁর কথায়, ‘আমি শুধু দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চাই। দেশে একটি নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত শুধু সেনাবাহিনী বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা দেখবে।’

    পাকিস্তান-বাংলাদেশ সখ্যতা

    শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন মহম্মদ ইউনূস। গত কয়েকমাসে ক্রমে পাকিস্তানের সঙ্গে সক্ষতা তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis)। কোনও নিরাপত্তা ছাড়পত্র ছাড়াই যে কোনও পাকিস্তানি নাগরিককে ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনূস সরকার। এর ফলে ভারতের মাটিতে আইএসআই এবং জামাতের কার্যকলাপ বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বন্ধু দেশগুলিকে নিয়ে পাকিস্তানের নৌবাহিনী ২ বছর অন্তর করাচিতে একটি মহড়ার আয়োজন করে। ‘আমন-২৫’ নামে মার্চের এই মহড়ায় এই প্রথম অংশ নিতে চলেছে বাংলাদেশের নৌবাহিনীও। এই আবহে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মাথা না ঘামালেও সদা সতর্ক রয়েছে দিল্লি।

  • Pakistan Train Hijack: পাকিস্তানে আস্ত ট্রেন হাইজ্যাক করল বালুচ জঙ্গিরা, পণবন্দি শতাধিক যাত্রী

    Pakistan Train Hijack: পাকিস্তানে আস্ত ট্রেন হাইজ্যাক করল বালুচ জঙ্গিরা, পণবন্দি শতাধিক যাত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের বালুচিস্তানে আবার জঙ্গি হামলা। একটি ট্রেন লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে, ট্রেন চালককে জখম করে যাত্রী ও নিরাপত্তা রক্ষীদের পণবন্দি করেছে জঙ্গিরা। যাত্রীবোঝাই ট্রেন অপহরণ করে প্রায় ১০০ জনকে পণবন্দি করেছে স্বাধীনতাপন্থী সশস্ত্র বালুচ গোষ্ঠী বিএলএ (বালুচ লিবারেশন আর্মি)। ঘটনার জেরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে পাকিস্তান জুড়ে। নামানো হয়েছে সেনা। বালুচিস্তানের কোয়েট্টা থেকে ট্রেনটি খাইবার পাখতুনখোয়ার পেশোয়ারে যাচ্ছিল ট্রেনটি। সেই সময় চলন্ত ট্রেন লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। মঙ্গলবার এই খবর আসা মাত্রই প্রাদেশিক সরকার জরুরি ভিত্তিতে পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী পাঠিয়েছে এলাকায়।

    পণবন্দি ১০০ যাত্রী

    বিএলএ-র তরফেও দাবি করা হয়েছে, ১০০ জন যাত্রী তাদের হাতে পণবন্দি! বালুচিস্তান সরকারের মুখপাত্র শাহিদ রিন্দ বলেন, ‘‘পেহরো কুনরি এবং গাদালারের মাঝামাঝি যাত্রিবাহী ট্রেনটি অপহরণ করা হয়।’’ এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে ছু়ড়তে সশস্ত্র বালুচ বিদ্রোহীরা ট্রেনের দখল নেয় বলে তাঁর অভিযোগ। শাহিদ জানান, প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, পাহাড় ঘেরা রেলপথের আট নম্বর টানেলের ভিতরে অপহৃত ট্রেনটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনার জেরে ‘চূড়ান্ত সতর্কতা’ জারি করেছে বালুচিস্তান প্রাদেশিক সরকার। মনে করা হচ্ছে, অপহৃত ট্রেন দখলমুক্ত করতে অভিযানে নামতে পারে পাক সেনা। পাক রেল দফতরের আধিকারিক মহম্মদ কাশিফ জানিয়েছেন, ন’টি কোচবিশিষ্ট ট্রেনটিতে প্রায় ৫০০ যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গিদের পণবন্দি হয়েছেন।

    পাক সেনা অভিযান নয়

    পাক গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুচ লিবারেশন আর্মি অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে এই অপারেশন চালিয়েছে। মাশকাফ, ধাদর, বোলান এলাকায় একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটানো হয় রেললাইনে। সংগঠন বিবৃতিতে আরও বলে, এই বিস্ফোরণে রেললাইনে ফাটল ধরায় জাফফর এক্সপ্রেস থামতে বাধ্য হয়। ট্রেন মাঝপথে থেমে গেলে জঙ্গিদল ট্রেনের দখল নেয়। সংগঠনের দাবি, সব যাত্রী ও নিরাপত্তাকর্মীদের বন্দি করা হয়েছে। জঙ্গিদের আরও দাবি, এই হামলায় ৬ পাক সেনা নিহত হয়েছেন। কয়েকশো যাত্রী তাদের হেফাজতে রয়েছেন। পাকিস্তান কোনও ধরনের সেনা অভিযান চালালে সব যাত্রীদের খতম করার হুমকিও দিয়েছে সংগঠনটি।

LinkedIn
Share