Author: ishika-banerjee

  • Shubhanshu Shukla: মহাকাশযানে প্রযুক্তিগত সমস্যা! ফের পিছোল শুভাংশুদের মহাকাশযাত্রা, জানাল স্পেসএক্স

    Shubhanshu Shukla: মহাকাশযানে প্রযুক্তিগত সমস্যা! ফের পিছোল শুভাংশুদের মহাকাশযাত্রা, জানাল স্পেসএক্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও অপেক্ষা! পিছিয়ে গেল ভারতের শুভাংশু শুক্লা-সহ (Shubhanshu Shukla) চার মহাকাশচারীর মহাকাশযাত্রা। ১৯৮৪ সালে সাবেক সোভিয়েতের সয়ুজ মহাকাশযানে রাকেশ শর্মার ঐতিহাসিক মিশনের ৪১ বছর পর শুক্লা দ্বিতীয় ভারতীয় নভশ্চর হিসেবে মহাকাশে যেতে চলেছেন। তবে সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত আরও কিছুটা বিলম্বিত হল। বুধবার শুভাংশুর মহাকাশে উড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও অ্যাক্সিওম-৪ মিশনটি আপাতত স্থগিত করা হচ্ছে। এই নিয়ে পঞ্চম বার থমকে গেল শুভাংশুদের যাত্রা। রকেটে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফের স্থগিত করা হল অ্যাক্সিওম-৪ মিশন (Axiom-4 launch)। ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের তরফে একথা জানানো হয়েছে।

    কেন স্থগিত যাত্রা

    বুধবার ভারতীয় সময় বিকেলে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র (আইএসএস)-এর উদ্দেশে পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল শুভাংশুদের। ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের তৈরি ‘ড্রাগন’ মহাকাশ যানে চেপে আমেরিকার ফ্লোরিডা থেকে যাত্রা শুরুর কথা থাকলেও, এখনই তা হচ্ছে না। স্পেসএক্সের তরফে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। কেন মহাকাশযাত্রা পিছোতে হচ্ছে, তার কারণ ব্যাখ্যা করেছে মাস্কের সংস্থা। বুধবার সকালে (ভারতীয় সময়) এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে শুভাংশুদের মহাকাশযাত্রা পিছোনোর বিষয়টি জানানো হয়। মাস্কের সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, এই মহাকাশযাত্রার জন্য যে ফ্যালকন-৯ রকেট ব্যবহার করার কথা, তাতে প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেই কারণেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে শুভাংশুদের যাত্রা আপাতত স্থগিত করা হচ্ছে। উৎক্ষেপণের নতুন তারিখ এখনও কিছু ঠিক হয়নি। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, প্রযুক্তিগত সমস্যা মেটানোর পরেই নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে।

    রকেটের সমস্যা

    স্পেসএক্সের তরফে জানানো হয়েছে, উৎক্ষেপণের আগে মহাকাশযানের ‘ফায়ার বুস্টার’ পরিদর্শনের সময় দেখা যায় যে রকেটে ‘এলওএক্স’ লিক করছে। অর্থাৎ রকেটে অক্সিজেন লিক করছে। ফ্যালকন-৯ রকেটের এই সমস্যা নতুন নয়। আগের অভিযানেই অক্সিজেন লিকের সমস্যাটা নজরে আসে। এই ‘লিক’ মেরামত করতে অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন। কেন এই অভিযান ফের পিছিয়ে দেওয়া হল, সে বিষয়ে আরও আলোকপাত করে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, লঞ্চ প্যাডে সাত সেকেন্ডের হট টেস্টের সময় প্রোপালশন বে-তে একটি এলওএক্স (লিকুইড অক্সিজেন) লিকেজ ধরা পড়ে। তাই উৎক্ষেপণের ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। আগে প্রথমে লিক মেরামত করা প্রয়োজন। এরপর এই সংক্রান্ত যাবতীয় পরীক্ষা করা হবে। তারপর ওড়ার জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হবে রকেটটিকে। এএক্স-৪ মহাকাশযানে করে ভারত, পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির নভশ্চররা মহাকাশে যাবেন। তিনটি দেশের জন্যই এটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে তাদের প্রথম মিশন।

  • Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – শেষ পর্ব

    Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – শেষ পর্ব

    (বাংলাদেশে লাগাতার চলছে হিন্দু নির্যাতন। ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ, জমি দখল, মন্দির ভাঙচুর নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগত মে মাসে ইউনূস জমানার বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। এগুলি প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদপত্রগুলিতেও। মে মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়েই আমাদের এই সিরিজ ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’)

    চতুর্থ পর্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে ২০২৫ সালের মে মাসে সংখ্যালঘু (Bangladeshi Hindus) ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওপর ৪৯টি হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে হত্যাকাণ্ড ৪টি, ধর্ষণ ৪টি, মন্দিরে অগ্নিসংযোগ ৬টি, ভূমি দখল ৬টি, এবং অন্যান্য সহিংসতার ঘটনা উল্লেখযোগ্য। ঢাকার প্রথম সারির সংবাদপত্রগুলিতে প্রায়ই প্রকাশিত হয়েছে এই ঘটনাগুলো।

    সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যবিরোধী হামলা

    কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়ি পাবনায়। পাবনার এডওয়ার্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ ২০ মে ২০২৫ তারিখে ‘সুচিত্রা সেন গার্লস হোস্টেল’ এর নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই-৩৬ হোস্টেল’ রাখে। সুচিত্রা সেনের ভক্তরা সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়ে তার নাম ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদপত্র প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পাবনা ড্রামা সার্কেলের সাবেক সভাপতি ও আমেরিকা প্রবাসী সাংস্কৃতিক সংগঠক গোপাল সান্যাল তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের “সুচিত্রা সেন ছাত্রীনিবাস”–এর নাম পাল্টে দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাবনার সংস্কৃতিপ্রেমী জনতা এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

    ভূমি দখল ও আদিবাসী নিপীড়ন

    রাজশাহীর পুঠিয়ায় কয়েকজন হিন্দু (Bangladeshi Hindus) কৃষকের জমি ‘জোরপূর্বক’ দখল করে পুকুর খননের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ২০ বিঘা জমি দখল করে পুকুর খনন করতে গেলে স্থানীয় কৃষকরা বাধা দেয়। সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়। শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের গোড়াগাছি হিন্দুপাড়ায় (Hindus Under Attack) এ ঘটনা ঘটে বলে জানান পুঠিয়া থানার ওসি কবির হোসেন। পরে গ্রামের লোকজন জোট বাঁধলে পুকুর খননকারীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এসময় একটি মাটি কাটার যন্ত্র (এস্কাভেটর বা ভেকু) ভাঙচুর করা হয়। সেখান থেকে বেশ কিছু দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রশাসন অবৈধ খনন বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা বন্দর নির্মাণের সময় রাখাইন সম্প্রদায়ের ছয়টি পরিবারকে তাদের ২৫০ বছরের পুরনো জমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলোর উদ্যোগে তাদের পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়েছে। ‘উচ্ছেদের শিকার’ রাখাইন পরিবারের সদস্য চিং ধামো রাখাইন বলেন, “পায়রা বন্দর নির্মাণের জন্য আমাদের ২৫০ বছরের ঐতিহ্যবাহী বসতভিটা কোনো আলোচনা ছাড়াই অধিগ্রহণ করা হয়। অধিগ্রহণের পর গাছপালা ও বসতবাড়ির ক্ষতিপূরণ হিসেবে আমরা কিছু টাকা পেয়েছি। কিন্তু ভোগদখলকৃত জমির ক্ষতিপূরণ এখনও পায়নি।”

    বাড়ি লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ

    যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌর কৃষকদলের সভাপতি তরিকুল ইসলামকে খুন করা হয়। মাছের পুকুর লিজ দেওয়া নিয়ে তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনার জেরে ওই গ্রামের অন্তত ২০টি নিরীহ হিন্দু পরিবারের (Bangladeshi Hindus) বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট চালিয়েছে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এছাড়া সাগর বিশ্বাস নামের এক হিন্দু কিশোরকে অপহরন করা হয়। স্থানীয় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। শ্রীপুরের মাগুরাতে একটি হিন্দু পরিবারের সদস্যদের রাতের খাবারের পর অজ্ঞান করে বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও সোনা লুট করা হয়। পুলিশ তদন্ত করছে, তবে এখনও কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি।

    মন্দিরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ

    গত ২৮ মে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় একটি কালী মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া এলাকার যুগল চন্দ্র দাসের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মন্দিরের বেশ ক্ষতি হয়েছে। এলাকার লোকজন এসে আগুন নেভালেও অনেক কিছু পুড়ে গিয়েছে। মন্দিরটি স্থাপনের ৫০ বছরে এমন ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস তদন্ত করছে।

    ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে থিয়েটার শিল্পী প্রশান্ত হালদারের বাড়িতে গত ২৪ মে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। প্রশান্ত ঢাকার নাট্যদল অনুস্বর এর প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। প্রায় চার দশক ধরে তিনি নাট্যচর্চায় যুক্ত আছেন। নাট্যকার ও অভিনেতা হিসেবেও তার পরিচিতি আছে। তার বাড়িতে আগুনের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে নাট্যদল অনুস্বর এবং থিয়েটার বিষয়ক পত্রিকা ‘ক্ষ্যাপা’। ৬২ জন সাংস্কৃতিক কর্মী প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।

    অপহরণ ও ধর্ষণ

    ঢাকার ধামরাইতে  ১৬ বছর বয়সী প্রিয়াঙ্কা রাজবংশীকে ১৯ মার্চ অপহরণ করা হয়। ২৬ এপ্রিল মামলা হলেও এখনও তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৪টি আদিবাসী পরিবারের বাড়ি ৪ মে উচ্ছেদ করা হয়। তারা এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। স্থানীয় আদিবাসী সংগঠন এর প্রতিবাদ জানিয়ে পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছে। হাইমচর, চাঁদপুরে একটি হিন্দু পরিবারের ২৫০ বছরের পুরনো জমি দখল করে ভূমিদস্যুরা। পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা ও ভূমি রক্ষার দাবি জানানো হয়েছে। এই ঘটনাগুলো বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওপর চলমান নিপীড়ন ও বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এসব ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছে।

     

    (শেষ)

  • MS Dhoni: আইসিসির হল অফ ফেমে জায়গা করে নিলেন ধোনি, তালিকায় আর কোন কোন ভারতীয়?

    MS Dhoni: আইসিসির হল অফ ফেমে জায়গা করে নিলেন ধোনি, তালিকায় আর কোন কোন ভারতীয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রিকেটের অন্যতম কিংবদন্তি মহেন্দ্র সিং ধোনিকে (MS Dhoni) আইসিসি হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত করল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC Hall of Fame)। ধোনি হলেন একাদশতম ভারতীয় ক্রিকেটার, যিনি এই সম্মানে ভূষিত হলেন। ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়কদের মধ্যে অন্যতম মহেন্দ্র সিং ধোনি। টি-২০ বিশ্বকাপ, একদিনের বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-সবই জিতেছেন। অবসর নেওয়ার পাঁচ বছরের মধ্যেই আইসিসির হল অফ ফেমে স্থান পেলেন ক্যাপ্টেন কুল। ধোনির সঙ্গেই আইসিসি-র ‘হল অফ ফেম’-এ জায়গা পেয়েছেন ম্যাথু হেডেন, ড্যানিয়েল ভেট্টোরি, হাশিম আমলা, গ্রেম স্মিথ, সানা মির এবং সারা টেলর।

    অসাধারণ অনুভূতি, বললেন মাহি

    ২০০৪ সালে ভারতের হয়ে অভিষেক হয়েছিল ধোনির (MS Dhoni)। তিন বছর পর টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বের দায়িত্ব পান। এর পর টেস্ট এবং এক দিনের ক্রিকেটে সফল ভাবে নেতৃত্ব দিয়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, এক দিনের বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছেন। ভারতকে দু’বার এশিয়া কাপ জিতিয়েছেন। এক দিনের ফরম্যাটে দু’বার আইসিসি-র বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পেয়েছেন। ভারতের হয়ে ৩৫০টি এক দিনের ম্যাচ খেলে ১০,৭৭৩ রান করেছেন ধোনি। ৯০টি টেস্টে করেছেন ৪৮৭৬ রান। আইসিসি-র ওয়েবসাইটে ধোনি বলেছেন, “হল অফ ফেমে সুযোগ পেয়ে আমি আপ্লুত। গোটা বিশ্বে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ক্রিকেটারেরা যে অবদান রাখে, তার স্বীকৃতি জানানো হয় এই সম্মানের মাধ্যমে। সর্বকালের সেরাদের পাশে নিজের নাম দেখতে পাওয়া অসাধারণ অনুভূতি। সারাজীবন এই সম্মান মনে রাখব।”

    হল অফ ফেমে যে ভারতীয়রা (ICC Hall of Fame)

    সুনীল গাভাসকর: আইসিসির হল অফ ফেমে স্থান পাওয়া প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকর। লিটল মাস্টার প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে টেস্টে ১০ হাজার রানের গণ্ডি পেরিয়েছিলেন।

    বিষেণ সিং বেদী: গাভাসকরের সঙ্গেই ২০০৯ সালে হল অফ ফেমে জায়গা পেয়েছিলেন বিষেণ সিং বেদী। কিংবদন্তি বাঁহাতি স্পিনার ৬৭টি টেস্ট খেলে ২৬৬ উইকেট পেয়েছিলেন।

    কপিল দেব: প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় অধিনায়ক কপিল দেবকে ২০১০ সালে আইসিসি হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নিজের সময়ের সেরা অলরাউন্ডার ১৩১টি টেস্ট এবং ২২৫টি ওয়ানডে খেলেছেন।

    অনিল কুম্বলে: এক ইনিংসে ১০ উইকেট। টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটপ্রাপকদের তালিকায় চতুর্থ। কিংবদন্তি স্পিনার অনিল কুম্বলেকে ২০১৫ সালে আইসিসি হল অফ ফেমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

    রাহুল দ্রাবিড়: ‘দ্য ওয়াল’ রাহুল দ্রাবিড়কে ২০১৮ সালে হল অফ ফেমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। টেস্টে সবচেয়ে বেশি রানের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন তিনি।

    সচিন তেণ্ডুলকর: ক্রিকেটের ঈশ্বর সচিন তেণ্ডুলকরকে ২০১৯ সালে হল অফ ফেম সম্মান দেয় আইসিসি। প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে ২০০ টেস্ট খেলা, ১০০ সেঞ্চুরি হাঁকানো-হাজারো রেকর্ডের মালিক শচীন।

    বিনু মানকড়: ভারতের অন্য়তম সেরা অলরাউন্ডারদের মধ্যে জ্বলজ্বল করে বিনু মানকড়ের নাম। দেশের হয়ে ৪৪টি টেস্ট খেলেছেন, ২১০৯ রান এবং ১৬২টি উইকেট রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।

    বীরেন্দ্র শেহওয়াগ: ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী বীরেন্দ্র শেহওয়াগ। ১৪ বছরের কেরিয়ারে একাধিক রেকর্ড গড়েছেন তারকা ওপেনার। সবচেয়ে বেশিবার ট্রিপল সেঞ্চুরির নজিরও রয়েছে তাঁর দখলে।

    ডায়ানা এডুলজি: ১৭ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন ডায়ানা এডুলজি। তিনবার বিশ্বকাপ খেলেছেন, তার মধ্যে দু’বার নেতৃত্ব দিয়েছেন দলকে। ভারতের মহিলা ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রথম কিংবদন্তি হিসেবে ডায়ানাকে মনে করে ক্রীড়ামহল।

    নীতু ডেভিড: দেশের হয়ে ১০০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ভারতীয় স্পিনার নীতু ডেভিড। ১৮২টি উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। চার বছর মহিলা দলের নির্বাচক প্রধানও ছিলেন।

  • JMB Terror Module: পশ্চিমবঙ্গের সাতটি জেলায় জঙ্গি মডিউল গঠনের চেষ্টা! বাংলাদেশভিত্তিক জেএমবি’র নয়া পরিকল্পনা

    JMB Terror Module: পশ্চিমবঙ্গের সাতটি জেলায় জঙ্গি মডিউল গঠনের চেষ্টা! বাংলাদেশভিত্তিক জেএমবি’র নয়া পরিকল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএসআইয়ের মদতে বাংলাদেশে শক্তি বাড়াচ্ছে জেএমবি। সেই সঙ্গে ফের পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গি নেটওয়ার্ক তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে জামাত-উল-মুজাহিদিনের নেতারা। বাংলাদেশভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জামায়াত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (JMB Terror Module) পশ্চিমবঙ্গের সাতটি জেলায় সন্ত্রাসী মডিউল গঠনের পরিকল্পনা করছে। প্রথমে তিনটি জেলায় নতুন জঙ্গি মডিউল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইএসআই ও জেএমবি। এর পর আরও অন্তত চারটি জেলায় তারা মডিউল তৈরির ব‌্যাপারে আলোচনা করেছে ও প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছে। সম্প্রতি এমন তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। সেই তথ্যের ভিত্তিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সতর্ক রয়েছে।

    পরিকল্পনার বিস্তার

    গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, জেএমবি’র মডিউল (JMB Terror Module) গঠনের পরিকল্পনা দুটি পর্যায়ে বিভক্ত। প্রথম পর্যায়ে রয়েছে মালদা, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুর জেলা। এখনও এই জেলাগুলিতে জেএমবির পুরনো স্লিপার সেলের সদস‌্যরা রয়েছে, যারা এখন সক্রিয় নয়। জেএমবি নেতাদের আইএসআই নির্দেশ দিয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি এই তিনটি জেলায় নেটওয়ার্ক বাড়াতে হবে। এর পর দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়ছে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া ও বীরভূম জেলা। এই অঞ্চলের অধিকাংশ জেলা বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী হওয়ায় জেএমবি’র কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সুবিধাজনক। বীরভূম, যদিও সীমান্তবর্তী নয়, তবে মুর্শিদাবাদের মাধ্যমে দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের সংযোগস্থল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে লাল মাটির এই জেলা। সম্প্রতি একটি বৈঠকে এই ব‌্যাপারে রাজ‌্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দাদের সতর্ক করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, এই সতর্কবার্তা পাওয়ার পর কলকাতা ও সারা রাজ‌্যজুড়ে নতুন করে নজরদারি শুরু করেছেন এসটিএফের গোয়েন্দারা। এছাড়াও রাজ‌্য পুলিশের গোয়েন্দা দফতরও শুরু করেছে নজরদারি।

    মডিউল গঠনের পদ্ধতি

    এবারও জেএমবি (JMB Terror Module) জঙ্গি সংগঠনের মূল টার্গেট এই রাজ্যের বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেগুলির কোনওটাই সরকারের অনুমোদিত নয়। জেএমবি’র সদস্যরা প্রথমে অস্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের লক্ষ্য করে তাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রচার চালায়। পরবর্তীতে, যুবক ও কিশোরদের মগজধোলাই করে তাদেরকে স্লিপার সেলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর আগেও নিজেদের মতো করে বেআইনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছিল জেএমবি। ক্রমাগত মগজধোলাইয়ের পর শুরু করতে হবে নিয়োগের প্রক্রিয়া। একই সঙ্গে স্লিপার সেলের ‘ঘুমন্ত’ সদস‌্যদের সক্রিয় করে তুলতে হবে। প্রয়োজনে টাকাও দিতে হবে তাদের। এভাবে বিশেষ কয়েকটি জায়গায় তৈরি করতে হবে নতুন জঙ্গি মডিউল। বৃদ্ধি করতে হবে জঙ্গি নেটওয়ার্ক।

    জঙ্গি প্রশিক্ষণ পদ্ধতি

    এর পর নিয়োগ করা সদস‌্যদের প্রশিক্ষণের ব‌্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে আগের পদ্ধতিতে সদস‌্যদের পাকিস্তান অথবা পাক অধিগৃহীত কাশ্মীরে নিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ ছাড়াও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশেও তৈরি করা হতে পারে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির। শিবিরে ওই নিয়োগ হওয়া সদস‌্যদের হাতে তুলে দেওয়া হবে অস্ত্র। তাদের শেখানো হবে বিস্ফোরক তৈরি ও প্রয়োগের উপায়। এর পর শুরু হবে নাশকতা। কারণ, জেএমবি নেতাদের ইতিমধ্যেই ফের বৃহত্তর বাংলাদেশ তৈরির ‘স্বপ্ন’ দেখাতে শুরু করেছে আইএসআই। জেএমবি জঙ্গিদের কার্যকলাপ রুখতে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। পুরনো স্লিপার সেলের সদস‌্যদের উপর নজরদারি করতে শুরু করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

    বীরভূমের ভূমিকা

    এই জঙ্গি মডিউল (JMB Terror Module) তৈরিতে বীরভূম জেলার ভূমিকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৪ সালের বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ডে তদন্তে দেখা গিয়েছে, বীরভূম একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহৃত হত। এছাড়া, বীরভূমের শান্তিপল্লী এলাকায় একটি সম্ভাব্য জেএমবি কলোনি স্থাপনের পরিকল্পনা ছিল, যা স্লিপার সেল হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারত। এখন আইএসআইয়ের নির্দেশে জেএমবি টার্গেট করেছে অসম ও এই রাজ্যের কয়েকটি জায়গা। অসমের বরপেটা, নলবাড়ি, ধুবড়িকে জেএমবি টার্গেট করেছে। আর এই রাজ্যের সাত জেলায় গোপনে চলছে জঙ্গি মডিউল তৈরির চেষ্টা।

    আন্তর্জাতিক যোগসূত্র

    এই বিস্তারিত জঙ্গি মডিউলের কথা পুলিশ জানতে পেরেছে সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া তিন জঙ্গিকে জেরা করে। ধৃত আবাসুদ্দিন মোল্লার মোবাইল ফোনে পাওয়া কোডেড ও এনক্রিপ্টেড বার্তা থেকে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আনসার ঘাজওয়াতুল-হিন্দের সঙ্গে তার যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। অন্যদিকে, মালদা ও মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতারকৃত আজমল হোসেন ও সাহেব আলী খানের ফোনে বাংলাদেশভিত্তিক জেএমবি, আনসারুল্লা বাংলা টিম (এবিটি) ও হিজবুত তাহরির (এইচইউটি)-এর সঙ্গে যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

    নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

    সংগঠন (JMB Terror Module) বিস্তারের পরই অস্ত্র কিনে নাশকতার ছক করেছিল জঙ্গিরা, এমনই মনে করছেন গোয়েন্দারা। জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ এবং মালদার তিনটি পর্যটন কেন্দ্রে হামলার ছক কষেছিল বাংলাদেশি জঙ্গিগোষ্ঠী আনসারুল্লা বাংলা শাখা! জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য সাজিবুল ইসলামকে জেরা করে এমনই পুলিশ আগেই এই তথ্য পেয়েছিল। অসম পুলিশ এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সীমান্তবর্তী এলাকায় বিশেষ নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। উত্তর দিনাজপুর জেলার মতো সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নতুন জেএমবি মডিউল গঠনের খবর পাওয়া গিয়েছে, যেখানে আইইডি তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া, দক্ষিণ ভারতেও জেএমবি’র সদস্যদের আশ্রয় নেওয়ার তথ্য রয়েছে, যা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অনুসন্ধান করছে।

    আইএসআই-এর সাহায্য

    গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন ক্ষমতা বৃদ্ধি করছে পাক চর সংস্থা আইএসআই। আইএসআইয়ের আধিকারিকরা নিজেরা ও এজেন্ট মারফৎ যোগাযোগ করে চলেছে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে। খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জেএমবির উপর নজর পড়ে গোয়েন্দাদের। ক্রমে এই রাজ‌্য-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেফতার হতে শুরু করে জেএমবি নেতা ও লিঙ্কম‌্যানরা। কলকাতা থেকেও গ্রেফতার হয় অনেকে। কলকাতা পুলিশ ও রাজ‌্য পুলিশের সঙ্গে তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখা হয়। এর ফলে বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের হাতে ওই দেশ থেকেও গ্রেফতার হয় বহু জঙ্গি। এক কথায়, দু’দেশেই জেএমবি ও নব‌্য জেএমবির শিরদাঁড়া ভেঙে দেন গোয়েন্দারা। যদিও এখনও পলাতক জেএমবির মূল মাথা সালাউদ্দিন সালেহিন। গোয়েন্দাদের কাছে আসা খবর অনুযায়ী, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পাক চর সংস্থা ইতিমধ্যেই নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছে জেএমবির সঙ্গে। এর মধ্যেই জেএমবির কয়েকজন নেতার সঙ্গে রাজশাহি-সহ কয়েকটি জেলার ডেরায় বৈঠক হয়েছে আইএসআই এজেন্ট ও আধিকারিকদের। সূত্রের খবর, আইএসআই আর্থিকভাবেও মদত জোগাতে শুরু করেছে ওই জঙ্গি নেতাদের।

    রাজ্যে জারি সতর্কতা

    পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে জেএমবি’র (JMB Terror Module) সক্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ায়, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা প্রয়োজন, বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সীমান্তবর্তী এলাকায় বিশেষ নজরদারি বৃদ্ধি করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার ও পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে সচেতন এবং সতর্ক থাকতে হবে। রাজ্যে জেএমবি’র মতো সন্ত্রাসী সংগঠনের ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করাই এখন আশু লক্ষ্য।

  • Wazahat Khan: অসম-হরিয়ানা পুলিশের হাত থেকে বাঁচাতেই গ্রেফতার ওয়াজাহাতকে? মমতাকে নিশানা বিজেপির

    Wazahat Khan: অসম-হরিয়ানা পুলিশের হাত থেকে বাঁচাতেই গ্রেফতার ওয়াজাহাতকে? মমতাকে নিশানা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদ্বেষ ছড়ানো এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে ওয়াজাহাত খানকে (Wazahat Khan) গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। ওয়াজাহাত খান নামক ব্যক্তিই পুণের আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলির (Sharmistha Panoli) বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গল্ফ গ্রিন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (৯ জুন, ২০২৫) আমহার্স্ট স্ট্রিট থানা থেকে ওয়াজাহাতকে গ্রেফতার করা হয়। তবে ওয়াজাহাতকে গ্রেফতার নিয়ে মমতা সরকারকে নিশানা করেছে বিজেপি। তাকে বাঁচাতেই এই পদক্ষেপ বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের।

    পুলিশের জালে ওয়াজাহাত

    কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘৃণা ছড়ানো এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, বিএনএসের ১৯৬(১)(এ)/২৯৯/৩৫২/৩৫৩(১)(সি) ধারায় ওয়াজাহাতের (Wazahat Khan) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। পুণেতে আইন পাঠরত ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে (Sharmistha Panoli) ওয়াজাহাতের অভিযোগের ভিত্তিতেই কলকাতা পুলিশ গুরগাঁও থেকে গ্রেফতার করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্যের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগ এনেছিলেন ওয়াজাহাত। এবার সেই একই অভিযোগে ওয়াজাহাতকে গ্রেফতার করা হল। ওয়াজাহাত খানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয় কলকাতায়। মামলাকারীদের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু দেবদেবী, ঐতিহ্য এবং সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে অবমাননাকর, উস্কানিমূলক ভাষা ব্যবহার করেছেন ওয়াজাহাত।

    অমিত মালব্যর টুইট

    বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য ওয়াজাহাতের (Wazahat Khan) গ্রেফতারি নিয়ে বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারকেই নিশানা করেছেন। সোমবার, তিনি এক্স- হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে লেখেন, ‘‘কলকাতা পুলিশ ওয়াজাহাতকে তার অপরাধের জন্য গ্রেফতার করেনি… তাকে নীরবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের নিরাপদ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে, কারণ অসম ও হরিয়ানা পুলিশ, হিন্দুদের নিশানা করে ওয়াজাহাতের আপত্তিকর পোস্টের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি এফআইআর করেছে।’’ মালব্য আরও বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন শেখ শাহজাহানকে বাঁচাতে পারেননি, তেমনি তিনি ওয়াজাহাত খানকেও বাঁচাতে পারবেন না। ন্যায়বিচার হবে এবং আইনের জয় হবে। যারা ঘৃণা ছড়ায় তাদের কোনও রাজনৈতিক সুরক্ষা রক্ষা করতে পারবে না।’’

  • PM Modi: জাতীয় নিরাপত্তায় প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতি ৮৮ শতাংশ আস্থা, রাহুলের মত প্রত্যখ্যান

    PM Modi: জাতীয় নিরাপত্তায় প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতি ৮৮ শতাংশ আস্থা, রাহুলের মত প্রত্যখ্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা সুদৃঢ়, এমনটাই বিশ্বাস করে দেশের ৮৮ শতাংশ মানুষ। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় এ বিষয়ে জনগণের আস্থা প্রকাশ পেয়েছে। ২০২৫ সালের ৬ ও ৭ মে অনুষ্ঠিত এক সমীক্ষায় ১৪,৬৭১ জন অংশগ্রহণকারী অংশ নেন, যাদের মধ্যে ৮৮.০৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদি জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন।

    মোদির প্রতি আস্থা

    এই সমীক্ষার পটভূমি ছিল ২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও, জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা, যেখানে ২৬ জন নিরীহ নাগরিক নিহত হন। এই হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান চালায়, যা পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী আস্তানায় আঘাত হানে। প্রধানমন্ত্রী মোদি স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেন যে, ভারত প্রতিটি সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়া যথাযথভাবে দেবে। দেশের নিরাপত্তার খাতিরে যুদ্ধপদ্ধতি নির্ধারণ করবে সশস্ত্র বাহিনী। এই সমীক্ষা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মতকে সপাটে বাউন্ডারির বাইরে পঠিয়ে দিয়েছে।

    রাহুলের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান

    কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) বিরুদ্ধে ‘নরেন্দ্র সারেন্ডার’ মন্তব্য করেন, যা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। তবে, সমীক্ষায় ৮৭.৫৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী এই মন্তব্যকে অশোভনীয় বলে অভিহিত করেন, যা রাহুলের বক্তব্যের প্রতি জনমতের অবজ্ঞা প্রকাশ করে। ভারত-পাক যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বেনজির কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। শুরুর দিকে অপারেশন সিঁদুর ইস্যুতে কেন্দ্রের পাশে থাকলেও ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতির পর থেকেই সুর বদলেছেন রাহুল। রাহুলের দাবি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে যুদ্ধে এগিয়ে থেকেও একপ্রকার আত্মসমর্পণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    জনমত মোদির সঙ্গে

    রাহুলের এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বিজেপি। দলের এক মুখপাত্র বললেন, “মনে হচ্ছে রাহুল গান্ধী দেশের বিরোধী দলনেতা নন। উনি আইএসআইয়ের সদস্য। পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলছেন।” বিজেপির অভিযোগ, রাহুল যেভাবে রাজনীতির স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন, সেই বক্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের বিরুদ্ধেও ব্যবহার করতে পারে ভারত বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে সাম্প্রতিক সমীক্ষার ফলাফল প্রধানমন্ত্রী মোদির জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান এবং জনগণের আস্থার প্রতিফলন। এটি মোদি সরকারের রাজনৈতিক অবস্থানকে শক্তিশালী করে।

  • Israel: প্যালেস্টাইনমুখী নৌকাকে আটক করল ইজরায়েল,কেন জানেন?

    Israel: প্যালেস্টাইনমুখী নৌকাকে আটক করল ইজরায়েল,কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইজরায়েলি (Israel) বাহিনী সোমবার ভোররাতে প্যালেস্টাইনমুখী একটি নৌকাকে আটক করে। নৌকাটিতে ছিলেন সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ এবং ফরাসি ইউরোপীয় সংসদ সদস্য রিমা হাসানসহ আরও ১২ জন। ‘ম্যাডলিন’ নামের ব্রিটিশ পতাকাবাহী নৌকাটি ৬ জুন সিসিলি থেকে রওনা হয় এবং প্যালেস্টাইনের গাজা উপত্যকার দিকে যাচ্ছিল।

    কেন আটক

    ইজরায়েলের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, নৌকাটিতে থাকা সদস্যদের উদ্ধার করে নিরাপদে রাখা হয়েছে এবং তাঁদের পানীয় জল ও খাদ্য সরবরাহ করা হয়েছে। ইজরায়েলি নৌবাহিনী প্রথমে ম্যাডলিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। জাহাজটিকে গতিপথ পরিবর্তন করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, গাজা ভূখণ্ডে হামাস যাতে অস্ত্র আমদানি না করতে পারে, তার জন্য নৌ অবরোধ চলছে। সেই অবরোধ ভাঙতে কাউকে অনুমতি দেবে না ইজরায়েল। এদিকে সেই অবরোধ ভেঙে গাজায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার মিশন নিয়ে ইতালির সিসিলি থেকে যাত্রা শুরু করেছিল গ্রেটা থুনবার্গের জাহাজ। গাজা ভূখণ্ডে ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট সম্পর্কে বিশ্বকে সচেতন করাও এই যাত্রার অন্যতম লক্ষ্য ছিল। ইজরায়েল পুরো উদ্যোগটিকে “মিডিয়া প্ররোচনা” হিসেবে বর্ণনা করেছে। ইজরায়েলি বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, যে পরিমাণ ত্রাণ ওই নৌকায় ছিল, তা দিয়ে একটা ট্রাকও ভরত না। তাদের স্পষ্ট কথা, ত্রাণ পৌঁছতে হলে ইজরায়েলের নির্ধারিত রুট দিয়েই পাঠাতে হবে।

    কী বলছে ইজরায়েল

    মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল গাজায় চলমান মানবিক সংকটের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা। এর আগেও প্যালেস্তাইনমুখী একটি নৌকা আন্তর্জাতিক জলসীমায় ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, যার জন্য ইজরায়েলকে দায়ী করেছে সংগঠনটি। ২০০৭ সালে হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকেই ইজরায়েল ও মিশর অঞ্চলটিতে কঠোর অবরোধ আরোপ করে রেখেছে, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। ইজরায়েলের বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘‘ধীরে ধীরে ওই নৌকা ইজরায়েলের দিকে এগোচ্ছিল। নৌকায় থাকা সকলেই সুস্থ রয়েছেন। তাঁদের শীঘ্রই নিজেদের দেশে ফেরানো হবে। আপাতত ওঁদের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ!’’ ওই নৌকায় থাকা সকলকে শুকনো খাবার এবং জলও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইজরায়েলের বিদেশ মন্ত্রক।

  • Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – পর্ব ৩

    Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – পর্ব ৩

    (বাংলাদেশে লাগাতার চলছে হিন্দু নির্যাতন। ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ, জমি দখল, মন্দির ভাঙচুর নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগত মে মাসে ইউনূস জমানার বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। এগুলি প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদপত্রগুলিতেও। মে মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়েই আমাদের এই সিরিজ ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’)

    পর্ব-৩

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর থেকে বার বার সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশে (Bangladeshi Hindus) কট্টরপন্থী মৌলবাদীরা প্রতিদিন হিন্দুদের মারছে, ঘর পোড়াচ্ছে, মন্দির ভাঙছে। সমগ্র বাংলাদেশের হাজার হাজার সংখ্য়ালঘুদের নামে মিথ্য়া ও হয়রানিমূলক মামলা প্রদান করা হয়েছে। শতাধিকের ওপর ঘরবাড়ি লুঠপাট করা হয়েছে। বেছে বেছে হামলা হচ্ছে হিন্দুদের ঘরবাড়িতে। তছনচ করে দেওয়া হচ্ছে মন্দির। গত মে মাসেও সেই ধারা অব্যহত।

    জমি দখল ও হিন্দুদের উপর আক্রমণ

    গত ১৬ মে বাংলাদেশের (Bangladeshi Hindus) জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম কুমিল্লার খবরে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পশ্চিম আশ্বথলা গ্রামে নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি হিন্দু পরিবারের চা দোকান ও পৈতৃক জমি দখলের চেষ্টা করেন। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, নজরুল ও তার স্ত্রী রাজিয়া আখতার ওই পরিবারের জমি দখলের জন্য হুমকি দেয়। বাধা দিলে মহিলাদের উপর আক্রমণ করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    ধর্মীয় অবমাননা ও গ্রেফতার

    গত ১৭ মে মৌলবী বাজারের বাসিন্দা বিকাশ ধর দীপ্ত নামে ২৩ বছর বয়সি এক যুবকের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। ফেসবুকে ইসলাম সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকেরগঞ্জ, বরিশালের বাসিন্দা সৌরভ দত্ত নামে ২৪ বছর বয়সি এক যুবকের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ ওঠে। যদিও ওই যুবকের দাবি, তাঁর নাম ব্যবহার করে একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। ওই দিনই ফিরোজপুরে কৌশিক সাহা নামে ১৭ বছর বয়সি এক যুবকের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ দায়ের করা হয়।

    মন্দিরে আক্রমণ ও ক্ষতি

    প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত ১৭ মে মুন্সিগঞ্জে শ্রী শ্রী মা কালী দুর্গা মন্দিরের জানালার পর্দা পুড়িয়ে দেয় একদল অজ্ঞাত পরিচয়ে দুষ্কৃতী। দানবাক্সে থাকা ৩,০০০ থেকে ৪,০০০ টাকা চুরি করা হয়। পুলিশ এই ঘটনার  তদন্ত শুরু করছে। খুলনায় প্রাক্তন মহিলা কাউন্সিলর কবিতা রানি দাসের বাড়িতে গত ১৭ মে ৩০০-৪০০ জনের একটি দল হামলা চালায়। পরিবারের লোকেদের মারধর করা হয়। বাড়িতে লুটপাট চালানো হয়। তিনি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেন। ডেইলি অবজারভারে প্রকাশিত খবরে, জানা যায়, বিরামপুরে ১৮ মে মোস্তফিজুর রহমান নামে এক স্থানীয় নেতা একটি হিন্দু পরিবারের বাড়ির প্রধান গেটের সামনে দেওয়াল নির্মাণ করে তাদের বাইরে বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দেন। পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে ওই জমির মালিকানা দাবি করে আসছে। পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করলেও কার্যকর পদক্ষেপ করেনি। সোনার দেশের খবর অনুযায়ী, নাটোরে ১৮ মে কাপুরিয়াপাড়ি এলাকায় শতবর্ষী শিব মন্দিরে হামলা চালানো হয়। ওই মন্দিরের পুরোহিত পরিবারের বাসভবনও দখলের চেষ্টা করা হয়। সেনাবাহিনী দ্রুত হস্তক্ষেপ করে মন্দির ও পরিবারের সম্পত্তি রক্ষা করে।

    অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ঘটনা

    ফরিদগঞ্জের চাঁদপুর গত ১৮ মে শ্রী গুরু জুয়েলার্সের মালিক বিশ্বজিৎ দাসের দোকানে চুরি হয়। চোরেরা সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে দেয়। সোনা ও মূল্যবান সামগ্রী চুরি করে যায়। পুলিশ দোষীদের খুঁজছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯ মে বাওম সম্প্রদায়ের সদস্য লাল ত্লেং কিম বাওমের মৃত্যুর প্রতিবাদে ছাত্ররা বিক্ষোভ করেন। তারা বাওম সম্প্রদায়ের নারী ও শিশুদের মুক্তি ও বিচারের দাবি জানান। বাংলাদেশে (Bangladeshi Hindus) প্রতিদিন ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর এরকম আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিলেও, বাস্তবে তার প্রয়োগ হচ্ছে না। হবিগঞ্জে ২১ মে বুল্লা ইউনিয়নের বুল্লা গ্রামে রাধা গোবিন্দ মন্দিরের জমি দখলের চেষ্টা করা হয়। স্থানীয়রা এই চেষ্টা রুখে দেয়। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে। পুলিশ তদন্ত করছে। ২১ মে আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জে ইজি ফ্যাশনের তিন মালিক হিন্দু পরিবারের জমি জোরপূর্বক দখল করে তাদের দেশত্যাগে বাধ্য করেছেন। পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তাদের উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে।

     

    (চলবে)

  • India-Pakistan Conflict: আদমপুর বিমানঘাঁটিতে হামলা, সুখোই যুদ্ধবিমান ধ্বংস! পাকিস্তানের মিথ্যা দাবি খারিজ স্যাটেলাইট ইমেজে

    India-Pakistan Conflict: আদমপুর বিমানঘাঁটিতে হামলা, সুখোই যুদ্ধবিমান ধ্বংস! পাকিস্তানের মিথ্যা দাবি খারিজ স্যাটেলাইট ইমেজে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর পাঞ্জাবের আদমপুর বিমানঘাঁটিতে (Adampur Airbase in Punjab) হামলা করেছিল পাকিস্তান, দাবি করে ইসলামাবাদ। তাতে ভারতের বেশকিছু যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবিও করে পাকিস্তান। এবার, স্যাটেলাইটের তোলা ছবি সামনে এনে পাকিস্তানের (India-Pakistan Conflict) সেই দাবিকে মিথ্যা প্রমাণ করলেন আন্তর্জাতিক জিও-ইন্টেলিজেন্স বিশেষজ্ঞ ড্যামিয়েন সাইমন। পাকিস্তানের এই দাবিকে তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন প্রমাণ সহকারে।

    পাকিস্তানের মিথ্যা দাবি নস্যাৎ

    অপারেশন সিঁদুরের পর নাকি পাকিস্তান পাঞ্জাবের আদমপুর বিমান ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। সেখানে পার্ক করা একটি সুখোই-৩০ এমকেআই ক্ষতিগ্রস্থ করেছে এমনটাই তারা দাবি করেছিল ইসলামাবাদ। এদিকে টপ ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স ফটো বিশ্লেষক ড্যামিয়েন সাইমন বলেছেন, পাকিস্তান সংঘাত-পূর্ববর্তী একটি ছবি ব্যবহার করেছিল। এক্স-এ একটি পোস্টে আদমপুর বিমান ঘাঁটিতে হামলার দাবি করার জন্য পাকিস্তানের ব্যবহৃত ছবিটি পোস্ট করেছেন সাইমন। দাবির সমর্থনে যে ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে পাকিস্তান যেটিকে বার্ন মার্ক বলে দাবি করছে, তার কাছাকাছি একটি জেট দেখা যাচ্ছে। ওই সময় একটি মিগ-২৯ বিমানে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে ওই বিমানবন্দরে। ইঞ্জিন টেস্ট প্যাডের পাশে যে ধোঁয়া বা দাগ দেখা যাচ্ছে যা একেবারেই স্বাভাবিক।’ ফলে, স্যাটেলাইট ইমেজে ফের প্রমাণিত হল যে,পুরোটাই পাকিস্তানের বানানো মিথ্যে কথা।

    স্যাটেলাইট চিত্র বলে দিল সত্যি

    পহেলগাঁও হামলার জবাবে ভারত যে (Operation Sindoor) অভিযান চালায়, তাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পাকিস্তানের। সেখানে পর পর জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ধ্বংস করে দেয় ভারত। প্রায় শতাধিক জঙ্গির মৃত্যু হয়। এর পর পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হয়, ভারতের ছ’টি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে তারা। গোড়ায় সেই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া না জানালেও, পরবর্তী ভারতীয় সেনার তরফে ক্ষয়ক্ষতি ও গোড়ার দিকে কিছু ভুলভ্রান্তির কথা মেনে নেওয়া হয়। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এমনটা ঘটা স্বাভাবিক, ভারত পাকিস্তানের অনেক বেশি ক্ষতি করেছে বলেও জানানো হয়। এবার পাকিস্তানের ভুয়ো দাবি নস্যাৎ করলেন এক জিও-ইন্টেলিজেন্স বিশেষজ্ঞও।

  • India Bangladesh: ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমঝোতা’র বার্তা! ইদের শুভেচ্ছা মোদিকে, ভারতকে পাশে চাইছেন ইউনূস

    India Bangladesh: ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমঝোতা’র বার্তা! ইদের শুভেচ্ছা মোদিকে, ভারতকে পাশে চাইছেন ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India Bangladesh) সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ইচ্ছাকৃতভাবে নষ্ট করেছে বাংলাদেশ। তবু সৌজন্য রক্ষা করল দিল্লি। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও সাধারণ মানুষকে পবিত্র ইদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চিঠি লিখে মহম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছো জানান তিনি। প্রত্যুত্তরে চিঠি লেখেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাও। মোদিকে (PM Modi) শুভেচ্ছা জানিয়ে ইউনূস তাঁর সমাজমাধ্যমের পাতায় নিজের সেই চিঠির ছবি পোস্ট করেছেন। মোদি তাঁকে যে চিঠি পাঠিয়েছিলেন, তা-ও প্রকাশ্যে এনেছেন।

    মোদির শুভেচ্ছা

    গত ৪ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ইদের শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়ে ইউনূসকে চিঠি লেখেন। তাতে লেখা ছিল, “সকল ভারতীয় ও ভারত সরকারের তরফ থেকে বাংলাদেশের (India Bangladesh) মানুষকে পবিত্র ইদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অন্যতম অঙ্গ এই উৎসব। এ দেশের লক্ষ লক্ষ মুসলিম নাগরিক এই উৎসব পালন করেন। এই উৎসব আমাদের আত্মত্যাগের মূল্য বুঝতে শেখায়। আমাদের মধ্যে জাগিয়ে তোলে সহানুভূতি এবং সৌভ্রাতৃত্বের বোধ, শান্তির পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য যা প্রয়োজন।” মহম্মদ ইউনূসের সুস্বাস্থ্যের কামনাও করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    ইউনূসের উত্তর

    মোদির (PM Modi) এই চিঠির জবাব ইউনূস দিয়েছেন ৬ জুন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘‘ইদ উপলক্ষে আপনার সুচিন্তিত বার্তার আমাদের দু’দেশের পারস্পরিক মূল্যবোধেরই প্রতিফলন। আপনাকে এবং আপনার মাধ্যমে ভারতের সকল জনগণকে আমি ইদের শুভেচ্ছা জানাতে চাই।’’ ইউনূস আরও লেখেন, ‘‘ইদ বিভিন্ন সম্প্রদায়কে কাছে আনে উৎসব, আত্মত্যাগ এবং সংহতির চেতনায়। এই উৎসব সারা বিশ্বের মানুষের বৃহত্তর সুবিধার্থে আমাদের সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে। আমি নিশ্চিত আমাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সমঝোতা দুই দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’’ মোদির সুস্বাস্থ্য এবং ভারতের (India Bangladesh) জনগণের শান্তি, সমৃদ্ধি কামনা করে চিঠি শেষ করেছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা।

    পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমঝোতার বার্তা

    উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট বাংলাদেশে গণবিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। ভারতে (India Bangladesh) চলে এসেছিলেন তিনি। তার পর বাংলাদেশে ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। ঢাকার বুকে চলতে থাকে ভারত-বিদ্বেষের চেষ্টা। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বেড়ে যায়। এই আবহে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমঝোতার বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

LinkedIn
Share