Author: ishika-banerjee

  • ICC Champions Trophy: ভুল সংশোধনে বাধ্য হল পাকিস্তান, করাচির স্টেডিয়ামে উড়ল ভারতের পতাকা

    ICC Champions Trophy: ভুল সংশোধনে বাধ্য হল পাকিস্তান, করাচির স্টেডিয়ামে উড়ল ভারতের পতাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুল শুধরে নিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবি ঘুরছে, তাতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দেশের সঙ্গে রয়েছে ভারতের পতাকাও। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) মাঠে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের (India vs Pakistan) মহারণ। তার আগে বিসিসিআই-এর দাবি মেনে নিতে বাধ্য হল পিসিবি।

    ভুল স্বীকার পিসিবির

    আইসিসির (ICC Champions Trophy) নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি আয়োজক দেশকে তাদের মাটিতে খেলা প্রতিটি দলের পতাকা ওড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম দু’দিন পাকিস্তানের করাচি স্টেডিয়ামে ভারতের পতাকা দেখা যায়নি। এই ঘটনা নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় পিসিবির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এই পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে বলেছিল যে দলের খেলোয়াড়রা পাকিস্তানে খেলবেন, শুধুমাত্র তাদের পতাকা উড়বে। তবে ভারতের ক্ষেত্রে যেহেতু তারা দুবাইয়ে খেলা চালিয়ে যাবে, তাই পাকিস্তানের স্টেডিয়ামে ভারতীয় পতাকা রাখা হয়নি। কিন্তু পিসিবির এই যুক্তি শেষমেশ বাস্তবে কার্যকর হয়নি। বিসিআই-এর দাবি মেনে তড়িঘড়ি উদ্যোগ নিয়ে সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে বাধ্য হয় পিসিবি। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবি শেয়ার করা হয়েছে, তাতে ভারত সহ আট দেশের পতাকাই রয়েছে।

    পাকভূমে উড়ল ভারতের পতাকা

    বিসিসিআইয়ের ভাইস-চেয়ারম্যান রাজীব শুক্লা বিষয়টি নিয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে নিশ্চিত করতে হবে, যাতে অন্যান্য দেশের পতাকার সঙ্গে ভারতের তেরঙ্গাও ওড়ে। রাজীব শুক্লার এই ‘হুঙ্কারে’ পিসিবি বাধ্য হয় সিদ্ধান্ত বদলাতে। মঙ্গলবার রাতেই সেই ‘ফয়সালা’ আসে এবং টুর্নামেন্ট শুরুর দিন পাকিস্তানে ভারতের পতাকা ওড়ানো হয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে ভারতের সঙ্গে টেক্কা নিতে গিয়ে বারবারই মুখ থুবড়ে পড়ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। টুর্নামেন্ট শুরুর দিনও একইভাবে নিজের ভুল শুধরে নিতে বাধ্য হল পিসিবি। পাকভূমে ভারতীয় পতাকা না রাখার যে ‘স্পর্ধা’ তারা দেখিয়েছিল, হাজারো বিতর্কের পর সেই ইস্যুতে নতিস্বীকার করে নিলেন নাকভিরা। বুধবার অন্যান্য দেশের পতাকার পাশাপাশি বাবর আজমদের দেশে উড়ল তেরঙ্গাও। এবার লড়াই বাইশ গজে। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি, রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় পাকিস্তানকে টেক্কা দেওয়ার পালা বিরাট-রোহিতদের।

  • Mobile Phone Exports: মোবাইল ফোন রফতানিতে নতুন রেকর্ড ভারতের

    Mobile Phone Exports: মোবাইল ফোন রফতানিতে নতুন রেকর্ড ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোবাইল ফোনের রফতানিতে অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে যেতে চলেছে চলতি অর্থবর্ষেই। এই প্রথম ১.৮ লক্ষ কোটি টাকার মোবাইল ফোন রফতানি করতে পারে ভারত। ভারত সেলুলার এবং ইলেকট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশনের (ICEA)দেওয়া রিপোর্ট থেকে মিলেছে এই তথ্য। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের মোবাইল ফোন (Mobile Phone Exports) রফতানি (Indian Exports) ২০২৫ অর্থবর্ষে ৪০% বৃদ্ধির মাধ্যমে ১.৮ লাখ কোটি টাকার মাইলফলক অতিক্রম করতে পারে। “এই বৃদ্ধিটি গত আর্থিক বছরের তুলনায় প্রায় ৪০ শতাংশ, যেখানে রফতানি ছিল ১.২৯ লাখ কোটি টাকা এবং ২০২০-২১ অর্থবছরের পিএলআই স্কিমের সূচনার পর থেকে প্রায় ৬৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।”

    কত টাকার রফতানি 

    ভারত থেকে রফতানি (Indian Exports) হওয়া স্মার্টফোনের (Mobile Phone Exports) মধ্যে শীর্ষে রয়েছে অ্যাপলের আইফোন। তার পর স্যামসাং। রফতানি করা মোবাইলের সিংহভাগই এই দুই সংস্থার। তিনটি ভেন্ডর সংস্থার মাধ্যমে আইফোন অ্যাসেম্বল হয় ভারতে। এই তিন সংস্থার অ্যাসেম্বল করা আইফোনের ৮০ শতাংশই রফতানি হয়েছে। এর মধ্যে সবথেকে বেশি আইফোন রফতানি হয়েছে তামিলনাড়ুতে অবস্থিত ফক্সকনের ফ্যাক্টরি থেকে। কর্নাটকে অবস্থিত টাটা ইলেক্ট্রনিক্সের ফ্যাক্টরি এবং পেগাট্রনও প্রচুর আইফোন রফতানি করেছে। আইসিইএ জানিয়েছে যে, মোবাইল ফোন রফতানি ইলেকট্রনিক্স খাতে সবচেয়ে বড় প্রবৃদ্ধি চালক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের তৈরি স্মার্টফোনের একটি প্রধান বাজার। ২০২৫ অর্থবর্ষে-এর মধ্যে মোবাইল ফোন রফতানি ইতিমধ্যেই ১.৫ লাখ কোটি টাকার ওপরে পৌঁছেছে, যা পিএলআই স্কিমের সফল বাস্তবায়নের ফল।

    অবিশ্বাস্য উৎপাদন বৃদ্ধি

    প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ (PLI) স্কিমের অধীনে ভারতে স্মার্টফোনের উৎপাদন বেড়েছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রফতানি। কেন্দ্রীয় সরকারের (Indian Exports) তথ্য অনুযায়ী, ইলেক্ট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে পিএলআই স্কিম অন্য সেক্টরের থেকে অনেক বেশি সফলতা পেয়েছে। ২০১৯ সালে মোবাইল রফতানিতে ভারতের স্থান ছিল ২৩। এখন সেই র‌্যাঙ্ক ৩। পিএলআই স্কিম চালুর পর থেকে ভারতের মোবাইল ফোন (Mobile Phone Exports) উৎপাদন দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে, ২০২৪ অর্থবর্ষে ২.২ লাখ কোটি টাকা থেকে ২০২৫-এ ৪.২২ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। আইসিইএ অনুমান করছে, ২০২৫ অর্থবর্ষে উৎপাদন ৫.১ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছাবে, যা ভারতকে একটি বৈশ্বিক উৎপাদন শক্তিতে পরিণত করবে। পিএলআই স্কিমের জেরে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে অনেক বেশি। এর জন্য তিন লক্ষ মানুষ সরাসরি কাজ পেয়েছেন। পরোক্ষভাবে ৬ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

  • Mamata’s ‘Mrityu-Kumbh’: ‘‘মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলছেন’’! ক্ষমা চান মুখ্যমন্ত্রী, মমতাকে তোপ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    Mamata’s ‘Mrityu-Kumbh’: ‘‘মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলছেন’’! ক্ষমা চান মুখ্যমন্ত্রী, মমতাকে তোপ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভায় মহাকুম্ভকে মৃত্যকুম্ভ বলে বিপাকে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata’s ‘Mrityu-Kumbh’)। বিজেপি বিধায়কেরা সে সময়ে অধিবেশন কক্ষে ছিলেন না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের খবর ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়তে না পড়তেই আক্রমণ তুঙ্গে তুলেছে বিজেপি। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজমুদার বা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তো বটেই, মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্যও। একযোগে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাধু-সন্তরাও।

    ক্ষমা চান মুখ্যমন্ত্রী

    শুভেন্দু তাঁর এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘লজ্জাজনক, নিন্দনীয় এবং অসম্মানজনক! পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন এটা মহাকুম্ভ নয়, মৃত্যুকুম্ভ! যে পবিত্র মহাকুম্ভ ১৪৪ বছর পর হচ্ছে, তার সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর কোনও ধারণাই নেই।’ শুভেন্দুর দাবি, ‘‘ মুখ্যমন্ত্রী (Mamata’s ‘Mrityu-Kumbh’) এই মন্তব্য প্রত্যাহার করুন, ক্ষমা চান। মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলতে পারেন না। ৪০ কোটি হিন্দু পুণ্যার্থী এখানে স্নান করেছেন। হিন্দু সমাজ, সন্ত সমাজকে বলছি প্রতিবাদ করুন। এটা হিন্দুদের উপর আঘাত, মহাকুম্ভের উপর আঘাত।’’

    বাংলা থেকে অমৃত-কুম্ভের সন্ধানে

    মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনে রাজ্যপালের ভাষণের উপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে মহাকুম্ভের প্রসঙ্গ টেনে মৃত্যুকুম্ভ (Mamata’s ‘Mrityu-Kumbh’) বলেন মুখ্যমন্ত্রী। অধিবেশনে মহাকুম্ভ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পাল্টা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মহাকুম্ভের পুণ্যস্নান, এক হয়েছে হিন্দুস্থান। মহাকুম্ভকে কেন্দ্রকে গোটা পৃথিবীর হিন্দুরা অনেকদিন পর ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। দলদাস আইপিএসরা ওনাকে যে রিপোর্ট দিয়েছেন, তাতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কয়েক লক্ষ হিন্দু, সেটা ১ কোটির বেশি ২ কোটিও হতে পারে, স্রোতের মতো গিয়েছেন। তৃণমূলের অনেক পরিচিত সাংসদ, রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ তাঁরাও নিজেদের মহাকুম্ভে ডুব দেওয়ার ছবি দিয়েছেন। বাধ্য হয়েছেন ছাড়তে। তাই মুখ্যমন্ত্রী আজকে ভয় পাচ্ছেন কুম্ভকে দেখে।”

    কুম্ভের অপমান সহ্য করবে না হিন্দুস্থান

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “এখনও পর্যন্ত মহাকুম্ভে ৪০ কোটি মানুষ গিয়েছেন। সবাই আশা করছেন, আরও ১০ কোটি মানুষ যাবে। সেখানে আপনি মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলেছেন। আপনি বলেছেন কুম্ভমেলা টাকা রোজগারের জন্য করা হয়েছে। এতবড় অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। এই মন্তব্যের খেসারত আপনাকে দিতে হবে। মহাকুম্ভের অপমান হিন্দুস্থান সহ্য করবে না। হিন্দুস্থান আপনাকে গণতান্ত্রিকভাবে সবক শেখাবে। মহাকুম্ভকে অপমান করার জন্য যেখানেই সুযোগ পাবেন, মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা পোড়ান। প্রয়াগরাজের সব আখড়াকে অনুরোধ করব, এই অপমানের উপযুক্ত জবাব দিতে হবে।”

    প্রতিবাদ মিছিল বিজেপির

    শুভেন্দুর আরও বক্তব্য, ‘তাঁর (মমতার) জানা উচিত যে, এ বার পশ্চিমবঙ্গ থেকে রেকর্ড সংখ্যক পুণ্যার্থী মহাকুম্ভে গিয়েছেন এবং এখনও যাচ্ছেন।’ মমতার শব্দবন্ধ কেন্দ্র করে কর্মসূচিও ঘোষণা করে দিয়েছেন শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রীর ‘মৃত্যুকুম্ভ’ শব্দবন্ধ এবং বিজেপি বিধায়কদের সাসপেনশনের প্রতিবাদে বিজেপি পরিষদীয় দল বৃহস্পতিবার গোটা বিধানসভা জুড়ে মিছিল করবে বলে শুভেন্দু ঘোষণা করেছেন। বিধানসভা চত্বর থেকে বেরিয়ে সেই মিছিল যাবে রাজভবনে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে অভিযোগ জানানো হবে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। সে জন্য মঙ্গলবারই রাজ্যপালের কাছ থেকে সময় চাওয়া হয়েছে।

    মহাকুম্ভ পৃথিবীর ঐতিহ্য

    রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) আপাতত সরকারি সফরে আন্দামানে। সেখান থেকেই তিনি বলেছেন, ‘‘মহাকুম্ভ শুধু হিন্দুদের উৎসব নয়, এটা গোটা পৃথিবীর কাছে একটা ঐতিহ্য। কিন্তু শুধু নিজের ভোটব্যাঙ্ককে তোষণ করবেন বলে তিনি মহাকুম্ভ সম্পর্কে এই কথা বললেন।’’ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে সুকান্ত বলেন, ‘‘মহাকুম্ভ ঘুরে আসুন। যেখানে ইতিমধ্যেই ৫০ কোটি ভক্ত ডুব দিয়েছেন, সেখানকার জন্য কী বিশাল ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে দেখে আসুন।’’ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা বাংলার সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য লিখেছেন, ‘‘মহাকুম্ভকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযাচিত আক্রমণ হল ২০২৬ সালে তাঁর আশু পরাজয়ের প্রথম লক্ষণ। দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যেতে দেখে তিনি ঘাবড়ে গিয়েছেন। তিনি চূড়ান্ত পরাজয়ের ভয় পাচ্ছেন।’’

    ভয় পাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

    মহাকুম্ভ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণও। তিনি বলেন, ‘‘আমার মনে হয় সমস্যা হল সনাতন ধর্ম নিয়ে মন্তব্য করা খুবই সহজ। একই স্তরে অন্য কোনও ধর্মের সমালোচনা করতে পারে না। বুঝতে পারে না যে তাঁরা কোটি কোটি মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করছে।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতি জাতীয় সাধারণ সম্পাদক স্বামী জিতেন্দ্রানন্দ সরস্বতী। তিনি বলেন, ‘‘মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের কড়া নিন্দা করছি। মমতাদিদি এটা সত্যি যে মহাকুম্ভ নয় আপনার জন্য এটা মৃত্যুকুম্ভের বরাবর। ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, পূর্ব ভারত থেকে যেভাবে আসছেন কুম্ভস্নানের জন্য আসছেন। আপনার অস্থির হওয়ার জন্য যথেষ্ট কারণ রয়েছে। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে আপনার রাজনৈতিক কেরিয়ারের জন্য মৃত্যুকুম্ভই হতে চলেছে।’’

  • Ranveer Allahabadia: ‘ইউটিউবের কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ করুক কেন্দ্র’, রণবীর মামলায় অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    Ranveer Allahabadia: ‘ইউটিউবের কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ করুক কেন্দ্র’, রণবীর মামলায় অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মা-বাবার যৌনতা দেখবে সন্তান’! সম্প্রতি ইউটিউব শোয়ে এমন মন্তব্য করে ঘোর বিপাকে ইউটিউবার, কমেডিয়ান রণবীর এলাহাবাদিয়া (Ranveer Allahabadia)। তাঁর মন্তব্য ‘প্রচণ্ড নোংরা মানসিকতার প্রতিফলন’ এমনই অভিমত প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। জনপ্রিয় ইউটিউবারের আবেদনের শুনানি চলাকালীন এই কথাই বলল শীর্ষ আদালত। বাকস্বাধীনতা থাকলেও সমাজবিরোধী মন্তব্য করার লাইসেন্স মেলে না, সাফ জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে ইউটিউবে কত পর্নোগ্রাফি কন্টেন্ট রয়েছে সেই নিয়ে কেন্দ্রের কাছেও রিপোর্ট চাইল সুপ্রিম কোর্ট।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    মঙ্গলবার রণবীরের আবেদনের শুনানি শুরু হয় বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং এন কোটিশ্বর সিংয়ের এজলাসে। প্রথম থেকেই শীর্ষ আদালতের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় রণবীরকে (Ranveer Allahabadia)। বিচারপতি কান্ত বলেন, “রণবীরের মানসিকতা, চিন্তাভাবনা অত্য়ন্ত নোংরা। সেটারই প্রকাশ ঘটেছে তাঁর কথায়। নিজের বাবা-মায়েরও বিপুল সম্মানহানি করেছেন তিনি। জনপ্রিয় হলেই যা খুশি বলা যায় সমাজের তোয়াক্কা না করে-এমনটা মোটেই ভাবা যায় না। যে ভাষায় কথা বলা হয়েছে, তাতে গোটা সমাজ লজ্জিত।” এমন ভাষা প্রয়োগ করা ব্যক্তির কথা আদালত শুনবে কেন, সেই প্রশ্নও তোলেন দুই বিচারপতি।

    ইউটিউবে কনটেন্টে নজরদারি

    রণবীর (Ranveer Allahbadia) নিয়ে শুনানির সময় কেন্দ্রের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন দুই বিচারপতি। ইউটিউব-সহ অন্যান্য সোশাল মিডিয়ায় কত পর্নোগ্রাফি রয়েছে, সেই নিয়ে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রের কাছেও। সোশাল মিডিয়ায় ‘ইন্ডিয়াজ গট ল্যাটেন্টে’র মতো কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণ করতে কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপ করছে কিনা, সেই প্রশ্নও রেখেছে শীর্ষ আদালত। এদিন অন্য একটি মামলার কারণে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেকনারেল ঐশ্বর্যা ভাটি। তাঁকে জানানো হয়, রণবীরের মামলার পরবর্তী শুনানির সময়ে যেন কেন্দ্রের জবাব আদালতে পেশ করা হয়। কেন্দ্র ইউটিউবে কনটেন্ট নিয়ন্ত্র করুক এমন কথাও বলে শীর্ষ আদালত।

    ণবীরকে রক্ষাকবচ

    ‘বাবা-মায়ের যৌনতা দেখবে?’ ইউটিউবার, পডকাস্টার রণবীরের এহেন মন্তব্যে তোলপাড় হয় দেশ। নিন্দার ঝড় উঠেছে সমাজমাধ্যমে। অসম থেকে মহারাষ্ট্র, দেশের একাধিক থানায় দায়ের হয়েছে এফআইআর। দেশজুড়ে দায়ের হওয়া যাবতীয় অভিযোগের বিচার যেন একসঙ্গে হয় এবং গ্রেফতারি এড়াতে যেন আগাম জামিন দেওয়া হয়- শীর্ষ আদালতের কাছে এই আবেদন জানিয়েছিলেন জনপ্রিয় ইউটিউবার। এদিন বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংয়ের বেঞ্চ রণবীরের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করলেও গ্রেফতারি নিয়ে তাঁকে রক্ষাকবজ দেয়। একইসঙ্গে তাঁকে আপাতত অন্য কোনও অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ার কথা বলেছে। দন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছে। রণবীর এলাহাবাদিয়াকে তাঁর পাসপোর্ট থানে পুলিশের কাছে জমা রাখতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি ছাড়া তিনি দেশ ছাড়তে পারবেন না।

  • ICC Champions Trophy: বোলিং নিয়ে গম্ভীর-চিন্তা! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নজির গড়ার পথে ভারত

    ICC Champions Trophy: বোলিং নিয়ে গম্ভীর-চিন্তা! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নজির গড়ার পথে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy)। দীর্ঘ ৮ বছর পর ক্রিকেট বিশ্বের সেরা আটটি দেশকে নিয়ে আইসিসি-র চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজিত হচ্ছে পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরবআমিরশাহি-তে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের প্রথম ম্যাচ অবশ্য বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশের বিপক্ষে। রাজনৈতিক কারণে ভারত এবার পাকিস্তানে খেলতে রাজি না হওয়ায়, টুর্নামেন্টে টিম ইন্ডিয়ার সব কটি ম্যাচই হচ্ছে দুবাইয়ে। এমনকি, রোহিতরা সেমিফাইনাল ও ফাইনালে উঠলেও দুবাইয়ে খেলবেন। আর ভারত ছাড়া টুর্নামেন্টের বাকি সব কটি খেলাই হবে পাকিস্তানের তিনটি কেন্দ্রে-লাহোর, করাচি ও রাওয়ালপিন্ডিতে। ভারত না উঠলে ফাইনাল হবে লাহোরে, আর টিম ইন্ডিয়া খেললে সেটি হবে দুবাইয়ে।

    বিরল নজির গড়ার সামনে ভারত

    এই টুর্নামেন্টে (ICC Champions Trophy) এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জিতেছে ভারত। আর দুটো ম্যাচ জিতলে ২০টি ম্যাচ জয়ের নজির গড়বে মেন ইন ব্লু। যা অন্য কোন দলের নেই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের তালিকায় শীর্ষে ভারত। তাদের পিছনে রয়েছে ইংল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা, যারা ১৪টি ম্যাচ জিতেছে। এই দুই দলই ভারতের তুলনায় অনেক পিছিয়ে। অপরদিকে, ক্যারিবিয়ানরা, যারা একসময় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল, তারা ১৩টি জয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে, তবে তারা এই সংস্করণের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। অস্ট্রেলিয়া, যারা বর্তমানে ওডিআই বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন, অবাক করা হলেও, ১২টি জয়ে পঞ্চম স্থানে অবস্থান করছে। পাকিস্তান, ২৩ ম্যাচে মাত্র ১১টি জয় নিয়ে আট নম্বরে রয়েছে।

    সমস্যায় ভারতের বোলিং বিভাগ

    বাবা মারা যাওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে দুবাই ছেড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ফিরেছেন ভারতীয় দলের বোলিং কোচ মর্নি মর্কেল। বিসিসিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বাবা অ্যালবার্টের মৃত্যুর খবর পান মর্কেল। এরপরেই তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় নিজের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। তিনি বাবার শেষকৃত্য সম্পন্ন করে ফের ভারতীয় দলে যোগ দিতে পারেন। তবে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে ভারতীয় দলের বোলিং কোচ দুবাইয়ে ফিরবেন কি না, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। চোটের জন্য আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে পারছেন না ভারতীয় দলের সেরা পেসার জসপ্রীত বুমরা। ফলে ভারতের পেস বোলিং আক্রমণের শক্তি কমে গিয়েছে। এরই মধ্যে বোলিং কোচ দেশে ফিরে যাওয়ায় ভারতের বোলিং বিভাগে সমস্যা তৈরি হয়েছে।

    গ্রুপে ভারতের প্রতিপক্ষ কারা

    ২০ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে ভারত। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। ২৩ ফেব্রুয়ারি, রবিবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। ২ মার্চ গ্রুপের শেষ খেলায় নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে ভারত। আপাতত প্রথম দুই ম্যাচই পাখির চোখ রোহিতদের। বাংলাদেশ ও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে টুর্নামেন্টে নিজেদের যাত্রা শুরু করতে চান রোহিতরা। এই দুই ম্যাচ ভারতের কাছে মর্যাদার লড়াই।

  • Tesla: মোদি-মাস্ক বৈঠকের পরই ভারতে কর্মী নিয়োগের ঘোষণা টেসলার

    Tesla: মোদি-মাস্ক বৈঠকের পরই ভারতে কর্মী নিয়োগের ঘোষণা টেসলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের পরেই ভারতে কর্মী নিয়োগের ঘোষণা করল টেসলা (Tesla)। আপাতত দিল্লি এবং মুম্বই জুড়ে ১৩টি পদের জন্য কর্মী চাইছে তারা। ভারতে কারখানা তৈরিতে ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার ভাবনা রয়েছে টেসলার। ভারতীয় মার্কেট নিয়ে টেসলা আগেও আগ্রহ দেখিয়েছে। কিন্তু চড়া আমদানি শুল্কের জেরে ধীরে চলো নীতি নেয় এই সংস্থা। সম্প্রতি ভারত সরকার ৪০ হাজার ডলারের বেশি মূল্যের হাইএন্ড গাড়িতে কাস্টমস ডিউটি কমানোর পরই এ দেশের বাজার নিয়ে ফের ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে টেসলা।

    কোথায় কত কর্মী নিয়োগ

    প্রাথমিক পর্যায়েই (Tesla Recruitment) টেসলা ভারতের জন্য ২ হাজার শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ করতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং, সেলস বা অপারেশনে অভিজ্ঞতা (Tesla Plan) থেকে থাকলে আপনিও বিশ্বের বৃহত্তম সংস্থার অংশ হতে পারবেন বলেই জানিয়েছেন ইলন মাস্ক। ভারতে বড় মাপের উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তুলবে ব্যাটারি উৎপাদনকারী (Elon Musk) সংস্থা টেসলা পাওয়ার। এই সংস্থা ভারতে তার ব্যবসা সম্প্রসারণের কথা ভাবছে। সোমবার টেসলার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। টেসলা পাওয়ার ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর কাবিন্দর খুরানা জানিয়েছেন যে, ‘আমরা ভারতে আমাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি এবং তা সম্প্রসারণের চেষ্টা করছি। নানারকম উদ্ভাবনের মাধ্যমে টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে প্রতিভাবান ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিই। আমরা আমাদের টিমে সবসময় নতুন প্রতিভাকে স্বাগত জানাতে চাই। আমাদের লক্ষ্যকে আরও এগিয়ে নিতে তাদের অবদানগুলিকে কাজে লাগাতে পেরে আমরা যারপরনাই খুশি।’

    ১৩টি বিভিন্ন পদে নিয়োগ

    মোট ১৩টি বিভিন্ন পদে হবে এই নিয়োগ। সার্ভিস টেকনিশিয়ান, অ্যাডভাইজরি পদের জন্য মুম্বই ও দিল্লিতে নিয়োগ হবে এবং কাস্টমার এনগেজমেন্ট ম্যানেজার এবং ডেলিভারি অপারেশনস স্পেশালিস্ট পদের জন্য নিয়োগ করা হবে মুম্বইতে। ২০১৯ সালেই প্রথম ভারতে ব্যবসা শুরু করার অনুমতি চায় টেসলা (Tesla)। সেই থেকে মাস্ক ও মোদি প্রশাসনের মধ্যে আলোচনা চলছে। এবার হয়তো দুপক্ষ সহমত হয়েছে, লিঙ্কডইন পোস্ট থেকেই সেই ইঙ্গিত মিলেছে।

    টেসলা ভারতে যে সব পোস্টে কর্মী নিয়োগ করবে সেগুলি হলঃ

    সার্ভিস টেকনিশিয়ান

    সার্ভিস ম্যানেজার

    ইনসাইড সেলস অ্যাডভাইজার

    কাস্টমার সার্পোট সুপারভাইজার

    কাস্টমার সার্পোট স্পেশালিস্ট

    অর্ডার অপারেশন স্পেশালিস্ট

    সার্ভিস অ্যাডভাইজার

    টেসলা অ্যাডভাইজার

    পার্টস অ্যাডভাইজার

    ডেলিভারি অপারেশন স্পেশালিস্ট

    বিজ়নেস অপারেশন অ্যানালিস্ট

    স্টোর ম্যানেজার

    ভারতীয় বাজারে টেসলার আগ্রহ

    টেসলা (Tesla) ভারতীয় বাজারে প্রবেশের জন্য আগে দুবার চেষ্টা করেছে, কিন্তু উভয় প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। প্রথমত, ভারতে উচ্চ আমদানি শুল্ক—যা পূর্বে ১১০% পর্যন্ত ছিল। এই আমদানি শুল্কের ফলে টেসলা গাড়িগুলি অত্যন্ত ব্যয়বহুল হয়। দ্বিতীয় সমস্যা ছিল সরকারের পক্ষ থেকে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন প্রতিষ্ঠার অনুরোধ। সরকার চাইছিল যে টেসলা আমদানি না করে, বরং ভারতে একটি উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করুক, কিন্তু কোম্পানিটি একটি উন্নয়নশীল বাজারে এমন বড় পরিমাণে বিনিয়োগ করতে দ্বিধা করে। এছাড়া, ভারতের বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা এখনও বড় বাজারগুলির তুলনায় অনেক কম, যদিও সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    ভারত কি টেসলার জন্য প্রস্তুত?

    ভারতের বাজারে ধীরে ধীরে বৈদ্যুতিন গাড়ির চাহিদা বেড়ে চলেছে। টেসলার (Tesla) সম্প্রসারণের ফলে এই বাজার আরও দ্রুত ত্বরান্বিত হবে। টেসলার এই তৃতীয় প্রচেষ্টা এমন সময়ে আসছে যখন ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা বাড়ছে। মোদি সরকারের পক্ষ থেকে সহায়ক নীতিও গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে, বিলাসবহুল বৈদ্যুতিক গাড়ির উপর ১১০% আমদানি শুল্ক কমিয়ে ৭০% করা হয়েছে, যার ফলে টেসলার গাড়িগুলি এখন আরও যুক্তিসঙ্গত দামে পাওয়া যাবে। এর পাশাপাশি, ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারটি সম্প্রতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফেডারেশন অফ অটোমোবাইল ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (FADA) তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে ৮২,৬৮৮ ইউনিট থেকে ২০২৪ সালে ৯৯,১৬৫ ইউনিট বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি হয়েছে, যা ১৯.৯৩% বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বাড়তি চাহিদা, চার্জিং অবকাঠামোর উন্নতি এবং আরও বেশি উৎপাদকদের সাশ্রয়ী মূল্যে মডেল বাজারে আনার মাধ্যমে, ২০২৫ সালে বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি দ্বিগুণ হতে পারে।

    পরিবর্তনের আশা

    চিনের বাজার ক্রমশ হ্রাস পাওয়ায় টেসলা ভারতের দিকে ঝুঁকেছে। তবে, দাম এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, কারণ টাটা মোটরস, মহিন্দ্রা & মহিন্দ্রা, হুন্ডাই এবং মারুতি সুজুকির মতো কোম্পানিগুলি ভারতের ভোক্তাদের জন্য সস্তা ইভি বিক্রি করছে। ২০১৯ সালেই প্রথম ভারতে ব্যবসা শুরু করার অনুমতি চায় টেসলা। সেই থেকে মাস্ক ও মোদি প্রশাসনের মধ্যে আলোচনা চলছে। এবার দুপক্ষ সহমত হয়েছে। যদি টেসলা সফল হয়, তবে এর আগমন ভারতীয় গাড়ির বাজারে আমূল পরিবর্তন আনবে।

  • Kesari Veer and Chhavaa: ‘কেশরী বীর’ থেকে ‘ছভা’, ভুলে যাওয়া হিন্দু যোদ্ধাদের পর্দায় ফেরাচ্ছে বলিউড

    Kesari Veer and Chhavaa: ‘কেশরী বীর’ থেকে ‘ছভা’, ভুলে যাওয়া হিন্দু যোদ্ধাদের পর্দায় ফেরাচ্ছে বলিউড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মারাঠি ভাষায় প্রকাশিত উপন্যাস থেকে মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে মারাঠি রাজা শিবাজি মহারাজের ছেলে সম্ভাজি মহারাজের বীরত্ব, তাঁর যুদ্ধের কাহিনি ও আত্মত্যাগ নিয়ে তৈরি “ছভা” বলিউডে পরিবর্তনের ধারা নিয়ে আসছে। এর পথ ধরে শীঘ্রই পর্দায় আসতে চলেছে আর একটি ছবি, “কেশরী বীর: লেজেন্ড অফ সোমনাথ” (Kesari Veer and Chhavaa)। এই দুই ছবিই বলিউডের ঐতিহ্যগত ইসলামিক প্রভাব থেকে এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে। এই সিনেমাগুলোর মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া হিন্দু বীরদের কাহিনি নতুন করে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

    বলিউডে নতুন গল্প বলার ধরন

    দীর্ঘদিন ধরে বলিউড, “দাউদউড” হিসেবে সমালোচিত হয়েছে তার হিন্দু-বিরোধী (Hindutva in Bollywood) মনোভাবের জন্য। সেই বলিউডই এখন বীর হিন্দু যোদ্ধাদের গল্প বলতে শুরু করেছে। “ছভা” এবং “কেশরী বীর” সিনেমাগুলোর মাধ্যমে, একেবারে নতুন ধরনের গল্প বলার এক প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলি-দুনিয়ায়। যদিও এই সিনেমাগুলি হিন্দুত্বের মূল আদর্শ অনুসরণ করে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়, তবে এগুলোর মাধ্যমে হিন্দু ইতিহাসের ভুলে যাওয়া বীরদের কাহিনি নতুন করে উন্মোচিত হওয়া এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই সিনেমাগুলি হিন্দু বীরত্বের কাহিনি তুলে ধরে, বলিউডের ঐতিহ্যগত দৃষ্টিভঙ্গির থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের গল্প বলছে। এই সিনেমাগুলোর মাধ্যমে বলিউডের সেই পুরনো ধারা ভাঙছে, যেখানে হিন্দু ইতিহাস প্রায়শই উপেক্ষিত বা বিকৃত করা হয়েছে।

    ইতিহাসে উপেক্ষিত চরিত্র

    সপ্তদশ শতকে বাবা শিবাজির পদাঙ্ক অনুসরণ করেই তরুণ সম্ভাজি মোঘলদের দাসত্ব স্বীকার না করে, মারাঠা স্বরাজের পক্ষে লড়াই করেছিলেন। দিল্লিতে তখন ঔরঙ্গজেবের রাজত্ব। সম্ভাজি সিংহাসনে বসেই বুরহানপুরে মোঘলদের সেনা ছাউনিতে আক্রমণ করে ধ্বংস করলে তৎকালীন মোঘল সম্রাট প্রতিশোধ নিতে শুরু করেন পালটা আক্রমণ করে। ওদের প্রতিটি আক্রমণ রুখে দেন সম্ভাজি তাঁর অনুগত সৈনিক এবং সেনাপতি হাম্বিররাওয়ের লড়াই কৌশলে। একেবারে যাকে বলে গেরিলা যুদ্ধ, প্রায় সেইরকম। জলে, স্থলে, অন্তরীক্ষে সম্ভাজির সেনারা (লক্ষ্মণ উতরেকরের নির্দেশে অ্যাকশন কোরিওগ্রাফার) আরও কতই না ভেলকি দেখিয়েছেন। তাঁরা মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে এসেছে। আখের ক্ষেতে ছদ্মবেশে আখ গাছ হয়েছে। চিত্রনাট্যে মহারাষ্ট্র ও সমগ্র মারাঠি জাতির প্রাণপুরুষ শিবাজি মহারাজ, উপস্থিত না থেকেও যেভাবে রয়েছেন, তা এক কথায় অনবদ্য। সংলাপে অনর্গলভাবে ওঁর নাম উচ্চারিত হয়েছে।

    মারাঠি মহানুভবতার পরিচয়

    সম্ভাজি ও ঔরঙ্গজেবের মধ্যে ফাইনাল যুদ্ধটি হয় পুণের কাছে ভীম নদীর পাড়ে তুলাপুর নামের একটি জায়গায়। যেখানে ঔরঙ্গজেব সম্ভাজি ও তাঁর অন্যতম অমাত্য কবি কালাশকে বন্দি করে নিয়ে যান। বন্দিদশায় কবির জিভ কেটে দেওয়া হয়। আর চোখ উপড়ে নেওয়া হয় সম্ভাজির। মৃত্যুর পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত মারাঠিরাজ একা লড়ে যান শতাধিক মোঘল সৈন্যের সঙ্গে। সে লড়াই সত্যি অসম্ভব এবং অমানসিক। হিন্দুত্বের জয়গান, মারাঠি মহানুভবতার পরিচয়, এই ছবি। এক সংলাপে সম্ভাজি বলেই ফেলেন “তুমি আমার সঙ্গে যোগ দিয়ে মারাঠি হয়ে যাও, তোমাকে সেজন্য ধর্ম ত্যাগ করতে হবে না। সুখে থাকবে!” বলিউড অতীতে সাধারণত ইসলামি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামী হিন্দু বীরদের গল্প বলতে পিছপা থেকেছে, বরং ওই সময়ের আক্রমণকারীদের মঙ্গলময় রূপে উপস্থাপন করত। সম্ভাজি মহারাজের এই কাহিনী বহুদিন ধরেই ইতিহাস থেকে উপেক্ষিত ছিল, যদিও তিনি ছিলেন এক মহান যোদ্ধা।

    সোমনাথ মন্দির রক্ষার লড়াই

    সুনীল শেঠি, সুরজ পাঞ্চোলি এবং বিবেক ওবেরয় অভিনীত ঐতিহাসিক বায়োপিক, কেশরী বীর: লেজেন্ড অফ সোমনাথের বহুল প্রতীক্ষিত টিজারও সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। এই ছবিটি হামিরজি গোহিলের বীরত্বপূর্ণ কাহিনী বর্ণনা করে, যিনি একজন নির্ভীক যোদ্ধা ছিলেন। পবিত্র সোমনাথ মন্দিরে পাহারা দিতেন তিনি। শক্তিশালী তুঘলক সাম্রাজ্যের হাত থেকে হিন্দু মন্দিরকে রক্ষা করেছিলেন হামিরজি। ছবিটি গোহিলের সাহস, ত্যাগ এবং দৃঢ় সংকল্প প্রদর্শন করে। ১৪০০ শতাব্দীতে আক্রমণকারীদের হাত থেকে সোমনাথ মন্দিরকে রক্ষা করার জন্য লড়াই করা এবং জীবন উৎসর্গ করা অজ্ঞাত পরিচয় যোদ্ধাদের এক অনুপ্রেরণামূলক গল্প নিয়ে তৈরি এই ছবি। হামিরজি গোহিলের মতো হিন্দু বীরের গল্পও এখন আলোচনায় আসছে। গোহিল রাজপুত বংশের এক বীর যোদ্ধা। তিনি সোমনাথ মন্দির রক্ষার জন্য আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লড়েছিলেন, তাঁর কাহিনী দীর্ঘদিন ধরেই উপেক্ষিত ছিল।

    বলিউডে পরিবর্তন

    বহুদিন ধরে বলিউডকে তার হিন্দু-বিরোধী এবং প্রো-ইসলামিস্ট অবস্থানের জন্য সমালোচিত করা হয়েছে। তবে “ছভা” এবং “কেশরী বীর” (Kesari Veer and Chhavaa) সিনেমাগুলি সম্ভবত এই পরিবর্তনের শুরু, যা ভবিষ্যতে আরও নতুন গল্প নিয়ে আসবে। সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার এক বিশেষ প্রবণতা শুরু হয়েছে, যা কেবল আড়ালে রাখা বীরদের কাহিনী সামনে আনছে। তবে প্রশ্ন থেকেই যায়, কি বলিউড একটি বাস্তবিক সাংস্কৃতিক পরিবর্তন সাধন করছে, নাকি এটি কেবল হিন্দু অনুভূতির প্রতি বাজারের প্রতিক্রিয়া? যাই হোক, যে কথাগুলো এতদিন চাপা ছিল, সেগুলো এখন সিনেমার পর্দায় উঠে আসছে—এটা নিজেই একটি বড় পরিবর্তন।

  • Gyanesh Kumar: দেশের নতুন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার, জানেন তাঁর পরিচয়?

    Gyanesh Kumar: দেশের নতুন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার, জানেন তাঁর পরিচয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের নতুন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিযুক্ত হলেন আইএএস অফিসার জ্ঞানেশ কুমার (Gyanesh Kumar)। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (New CEC) রাজীব কুমারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ, ১৮ ফেব্রুয়ারি। রাজীব কুমারের জায়গায় বসতে চলেছেন জ্ঞানেশ কুমার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সভার পর এই নিয়োগের ঘোষণা করা হয়। কুমারের সিইসির পদে কাজের মেয়াদ ২০২৯ সালের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে। এই সময়কালে তিনি ২০টি বিধানসভা নির্বাচন, ২০২৭ সালের রাষ্ট্রপতি ও উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এবং ২০২৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি দেখবেন।

    কে এই জ্ঞানেশ কুমার

    ভারতের নির্বাচন কমিশনের ৩ সদস্যের প্যানেলের সদস্য জ্ঞানেশ কুমার (Gyanesh Kumar)। রাজীব কুমারের নেতৃত্বের প্যানেলে জ্ঞানেশ কুমার ও সুখবীর সিং সান্ধু রয়েছেন। এই ২ জনের মধ্যে সিনিয়র জ্ঞানেশ কুমার। তিনি ১৯৮৮ ব্যাচের কেরল ক্যাডারের আইএএস অফিসার। আইআইটি কানপুর থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিটেক করেছেন তিনি। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এনভায়রনমেন্টাল ইকোনমিক্স নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে দায়িত্ব সামলেছেন জ্ঞানেশ। ভারতের সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ বাতিল করার জন্য যে বিল আনা হয়েছিল, তার ড্রাফটিংয়ের কাজে সাহায্য করেছিলেন তিনি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাশ্মীর ডিভিশনের জয়েন্ট সেক্রেটারির দায়িত্ব সামলেছেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অতিরিক্ত সেক্রেটারি হিসেবে সুপ্রিম কোর্টে চলা অযোধ্যার রাম মন্দির মামলার নথিপত্র দেখেছেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অধীনে থাকা মিনিস্ট্রি অফ কো-অপারেশনের সেক্রেটারি পদে কর্মরত অবস্থায় অবসর নিয়েছিলেন জ্ঞানেশ কুমার। ইউপিএ-আমলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছিলেন জ্ঞানেশ।

    কতদিন দায়িত্বে

    নতুন আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের (EC) সদস্যদের নিয়োগের অধীনে নিযুক্ত প্রথম প্রধান নির্বাচন কমিশনার (New CEC) হলেন জ্ঞানেশ কুমার (Gyanesh Kumar)। তাঁর মেয়াদ চলবে ২৬ জানুয়ারি ২০২৯ পর্যন্ত। তাঁর নিয়োগের সময়সীমা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। সরকারের কাছে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করার অনুরোধ করেন। চলতি বছরের শেষের দিকে বিহার বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০২৬ সালে কেরল ও পুদুচেরি বিধানসভা নির্বাচন তত্ত্বাবধান করবেন জ্ঞানেশ। আগামী বছর, অর্থাৎ ২০২৬ সালে, তিনি তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনও তত্ত্বাবধান করবেন।

  • Places of Worship Act: উপাসনাস্থল আইন মামলায় বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের কথা বলল সুপ্রিম কোর্ট

    Places of Worship Act: উপাসনাস্থল আইন মামলায় বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের কথা বলল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপাসনাস্থল আইন মামলায় বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের কথা বলল শীর্ষ আদালত। ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল আইন বদলাতে চেয়ে একাধিক মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ২০২৪ সালে প্রধান বিচারপতি খন্নার নেতৃত্বে গঠিত তিন বিচারপতির বেঞ্চ গঠিত হয় মামলার শুনানির জন্য। বেঞ্চের অপর দু’জন হলেন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন। সোমবার প্রধান বিচারপতি খন্না এবং বিচারপতি কুমারের বেঞ্চ জানায়, এই মামলায় তিন বিচারপতির বেঞ্চের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু এদিন দুই বিচারপতির বেঞ্চ রয়েছে। তাই এই মামলার শুনানি মার্চ মাসে হবে। একই সঙ্গে তিনি জানান এই বিষয়ে নতুন আবেদনের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ থাকা প্রয়োজন।

    সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ

    এদিন শীর্ষ আদালত জানায়, এই মামলায় নতুন আবেদনের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ থাকা প্রয়োজন। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে প্রধান বিচারপতি খন্না বলেন, “আমরা আজ উপাসনাস্থল আইন সংক্রান্ত মামলাটি শুনছি না। এটি তিন বিচারপতির বেঞ্চের মামলা। প্রচুর আবেদন জমা পড়েছে। এটি মার্চ মাসে কোনও সময়ে শুনানির জন্য রাখা হোক। মামলায় নতুন আবেদনের তো একটা সীমা থাকে!” উপাসনাস্থল আইন সংক্রান্ত মামলায় পক্ষে এবং বিপক্ষে— উভয় দিকেই প্রচুর আবেদন জমা পড়েছে। এই অবস্থায় কোনও আবেদনে নতুন কোনও বক্তব্য না-থাকলে, সেটি আর গ্রহণ করা হবে না।

    কী বলছে আইন

    ইতিমধ্যে জমা পড়া কোনও আবেদনে আদালত থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও নোটিস জারি করা না-হয়ে থাকলে সেগুলিও বাতিল বলে জানিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। যদি ওই আবেদনকারীদের নতুন কোনও বক্তব্য থাকে, তবে পুনরায় আবেদন জানাতে বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বর্তমানে স্থানীয় উপাসনা স্থান আইন ১৯৯১-এর কিছু ধারা, যেমন ধারা ২, ৩ এবং ৪-এর সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন আবেদন নিয়ে কাজ করছে। এই ধারাগুলি দাবি করা হয়েছে যে এটি ধর্মনিরপেক্ষতা এবং আইনশৃঙ্খলার মৌলিক নীতির পরিপন্থী, যা ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনা এবং মৌলিক কাঠামোর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর ফলে, মৌলিক অধিকার, যেমন সমতার অধিকার এবং ধর্ম পালনের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

  • ICC Champions Trophy: করাচি, লাহোর স্টেডিয়ামে নেই ভারতের পতাকা! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে বিতর্কে পিসিবি

    ICC Champions Trophy: করাচি, লাহোর স্টেডিয়ামে নেই ভারতের পতাকা! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে বিতর্কে পিসিবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) শুরুর আগে বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (PCB)। পাকিস্তানের লাহোর ও করাচির স্টেডিয়ামে উড়ল না ভারতের জাতীয় পতাকা (Flag Controversy)। ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। পাকিস্তানের তিনটি স্টেডিয়ামে হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচ। লাহোর, করাচি ও রাওয়ালপিণ্ডি। যে কোনও আইসিসি প্রতিযোগিতার নিয়ম হল, যে যে মাঠে খেলা হবে, সেখানে অংশগ্রহণকারী সব দেশের পতাকা থাকবে। পাশাপাশি আইসিসির পতাকাও থাকবে। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত খেললেও লাহোর ও করাচিতে নেই তেরঙ্গা।

    আইসিসি-র নিয়ম

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) আটটি দেশ খেলে। সুতরাং, পাকিস্তানের তিনটি মাঠেই আটটি দেশের পতাকা থাকার কথা। ২০২৩ সালে ভারতে যখন এক দিনের বিশ্বকাপ হয়েছিল, তখনও তা দেখা গিয়েছিল। ইডেন-সহ ভারতের প্রতিটি মাঠে সব দেশের জাতীয় পতাকা ছিল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর দু’দিন আগে লাহোর ও করাচি স্টেডিয়ামের বেশ কিছু ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, দু’টি স্টেডিয়ামে ভারত ছাড়া বাকি সব দেশের পতাকা রয়েছে। ভিডিওগুলি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ইচ্ছা করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ ভারতীয় সমর্থকদের। পাল্টা পাক সমর্থকদের অভিযোগ, পাকিস্তানের সম্মানহানি করার জন্য ইচ্ছাকৃত ভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

    কেন নেই ভারতের পতাকা

    করাচি, লাহোর স্টেডিয়ামে কেন নেই ভারতের পতাকা? এর সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি। কিন্তু ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকের দাবি ভারত যেহেতু পাকিস্তানে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে রাজি হয়নি, তাই তারই বদলা নিচ্ছে পিসিবি। কেন ভারতীয় জাতীয় পতাকা নেই, সেই বিষয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড বা আইসিসি কিছু জানায়নি। তবে দু’টি সম্ভাব্য কারণ উঠে আসছে। পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) আয়োজক দেশ হলেও ভারত তাদের সব ম্যাচ খেলছে দুবাইয়ে। পাকিস্তানে পা রাখবে না তারা। বাকি সাতটি দেশ পাকিস্তানে খেলবে। সেই কারণেই হয়তো ভারত ছাড়া সাতটি দেশের পতাকা লাগানো হয়েছে সেখানকার স্টেডিয়ামে। ভারতকে পাকিস্তানে খেলতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু সুরক্ষার কারণ দেখিয়ে ভারত সে দেশে যেতে চায়নি। তাতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও পাকিস্তানের মুখ পুড়েছে। ভারতীয় বোর্ডের এই পদক্ষেপের পাল্টা জবাব দিতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।

LinkedIn
Share