Author: ishika-banerjee

  • Operation Sindoor: বিনা বাধায় পর পর ঢুকছে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র, টেরই পায়নি পাকিস্তানের গর্বের চিনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা!

    Operation Sindoor: বিনা বাধায় পর পর ঢুকছে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র, টেরই পায়নি পাকিস্তানের গর্বের চিনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার প্রত্যাঘাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি মিসাইল হামলায় ধ্বংস করেছে ভারত৷ বুধবার ভোররাতে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) নামে এই অভিযানে ভারত শুধু জঙ্গি পরিকাঠামো ধ্বংস করেনি, ভেঙে দিয়েছে পাকিস্তানের চিনা সরবরাহকৃত ‘অপ্রতিরোধ্য’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মিথও। ফরাসি প্রযুক্তির রাফাল যুদ্ধবিমান থেকে উৎক্ষেপিত স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল ও হ্যামার স্মার্ট বম্ব ব্যবহার করা হয় এই অভিযানে। ব্যবহার করা হয় ইজরায়েলি লয়টারিং মিউনিশন (আত্মঘাতী ড্রোন)। ৫০০ কিলোমিটারের বেশি পাল্লার স্ক্যাল্প মিসাইল গুলি রেডার এড়িয়ে ভূমির খুব কাছ ঘেঁষে উড়তে পারে। এই অভিযানে ১০০ শতাংশ সফল এই মিসাইলগুলি। অপারেশন সিঁদুরে কোনও একটি মিসাইলও পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা প্রতিহত হয়নি।

    চিনা প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির ব্যর্থতা

    পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে এইচকিউ-৯ ( HQ-9) ও এলওয়াই-৮০ (LY-80 বা HQ-16) চিন নির্মিত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে গর্ব করে এসেছে। এইচ কিউ-৯, যা রাশিয়ার এস-৩০০-এর অনুকরণে তৈরি, তার কাজ শত্রু মিসাইল শনাক্ত ও ধ্বংস করা। কিন্তু অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন এই দুটি ব্যবস্থাই কার্যত নিষ্ক্রিয় ছিল। এখানেই শেষ নয়। বৃহস্পতিবার সকালে, লাহোর বিমানবন্দরে পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে আক্রমণ করে ভারত। পাকিস্তানের রেডার সিস্টেমকেও ধ্বংস করা হয়। লাহেরে পাক এয়ার ডিফেন্স ইউনিটের এইচকিউ-৯ সিস্টেম ভেঙে খানখান হয়েছে। রাওয়ালপিণ্ডির এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকেও নষ্ট করে দিয়েছে ভারত। চিন থেকে আনা এইচকিউ-৯ সিস্টেম বিকল হয়ে যায়। ভারতের ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারের নিখুঁত প্রয়োগ—জ্যামিং, ডিকয় এবং রেডার ব্লাইন্ডিং—পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পুরোপুরি অকেজো করে দেয়। মুহূর্তের মধ্যে বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, মুজাফফরাবাদ ও কোটলিতে অবস্থিত সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলিতে বিস্ফোরণ ঘটায় ভারত। কোটি কোটি টাকার চিনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে চুপ করিয়ে দেয় ভারত।

    পূর্বের ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা

    এটাই প্রথম নয়। ২০১১ সালে অ্যাবোটাবাদে মার্কিন নেভি সিল অভিযানে পাকিস্তান কিছুই বুঝতে পারেনি। ২০১৯-এর বালাকোট অভিযান ও ২০২২-এর ব্রহ্মোস দুর্ঘটনাও একইভাবে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা দুর্বলতা প্রকট করেছে। এবার অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)। পাকিস্তানের চরম কৌশলগত ব্যর্থতার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। পাকিস্তান সরকার জানিয়েছে, কমপক্ষে ৫০ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। বাস্তবে সংখ্যাটি ৯০ ছাড়াতে পারে বলে গোয়েন্দা সূত্রের দাবি। এই অভিযান পাকিস্তানের আত্মবিশ্বাসও ভেঙে দিয়েছে। চিনা প্রযুক্তির উপর ভরসা করেছিল ইসলামাবাদ। এই প্রযুক্তি কোনও কাজেই লাগেনি পাকিস্তানের।

    চিনের কাছেও ধাক্কা

    চিনের পক্ষেও এটি বড় ধাক্কা। তাদের রফতানিকৃত সামরিক প্রযুক্তির ওপর আস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিশ্ব জুড়ে। আর ভারতের পক্ষে এটি এক ঐতিহাসিক বিজয়—যেখানে আধুনিক প্রযুক্তি, কৌশল, এবং মানসিক শ্রেষ্ঠত্ব একত্রে মিশে এক নতুন যুদ্ধনীতি সৃষ্টি করেছে। এই অভিযান প্রমাণ করেছে, শুধুমাত্র বিদেশি অস্ত্র কেনা যথেষ্ট নয়—সেগুলো কার্যকরভাবে পরিচালনা করাটাই আসল বিষয়। আর সেই পরীক্ষায় পাকিস্তান সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। চিনের তৈরি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শুধু ‘মেড ইন চায়না’ তকমা বহন করে না—তা এখন অনেকের চোখে অবিশ্বস্ত এবং অকার্যকরও। ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বিমান হামলা চালানোর পর, পাকিস্তানের রেডারের ভূমিকা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠছে। পাকিস্তানের চিনা বিমান প্রতিরক্ষা রেডার আবারও ব্যর্থ হয়েছে বলে খবর। চিনা রেডার ভারতীয় আক্রমণের কোনও খবরও পায়নি।

    চরম কৌশলগত ব্যর্থতা

    পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৭ সালে চিনে তৈরি এই বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে তার সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করে। দাবি করা হয় যে এই ব্যবস্থা ১৫ মিটার থেকে ১৮ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে আসা যে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র বা যুদ্ধবিমানকে সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার দূরত্বে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে। এই বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় স্থাপিত রেডারটি ১৫০ কিলোমিটার দূর থেকে শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র এবং যুদ্ধবিমানকে আটকাতে সক্ষম বলে জানা গেছে। ভারতে সব ধরনের সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের আধিক্য রয়েছে। যখন তারা বাতাসে থাকে, তখন তাদের রেডারগুলি তাদের দেখতে পায় না। তাদের গতি এত বেশি যে পাকিস্তানিরা কেবল তাদের মাটিতে পড়ে যাওয়া দেখতে পায়।

  • Rohit Sharma: সাদা জার্সি গায়ে আর মাঠে নামবেন না রোহিত, অবসরের নেপথ্যে কি অভিমান না অন্য কারণ?

    Rohit Sharma: সাদা জার্সি গায়ে আর মাঠে নামবেন না রোহিত, অবসরের নেপথ্যে কি অভিমান না অন্য কারণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ হয়ে গেল একটা যুগ। টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। আইপিএলের মাঝেই এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন ভারত অধিনায়ক। এ বার থেকে ভারতের হয়ে শুধু এক দিনের ক্রিকেট খেলবেন রোহিত। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে আন্তর্জাতিক কুড়ি-বিশের ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছিলেন তিনি। হঠাতই নয় বেশ কয়েক মাস ধরেই চলছিল গুঞ্জন। তরুণদের জন্য সরতে তো হবেই। তাই করলেন রোহিত। মহেন্দ্র সিং ধোনির পরবর্তী যুগে ভারতের সফল অধিনায়ক রোহিত। তিনি জানেন কোথায় থামতে হয়। তিনি জানেন অধিনায়কের আর্ম ব্যান্ড কখন খুলতে হয়। জানেন হিসেব কষে চলতে।

    লাল বলকে বিদায়

    কোনও সাংবাদিক বৈঠক করেননি রোহিত। ইনস্টাগ্রামে চার লাইনের একটি বিবৃতিতে রোহিত লিখেছেন, “সকলকে জানাতে চাই যে, আমি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি। সাদা পোশাকে দেশের হয়ে খেলা আমার কাছে গর্বের। এত বছর ধরে এত ভালোবাসা ও সমর্থনের জন্য সকলকে ধন্যবাদ। এক দিনের ফরম্যাটে ভারতের হয়ে খেলা চালিয়ে যাব।” ভারতের হয়ে ৬৭টি টেস্ট খেলেছেন রোহিত (Rohit Sharma)। করেছেন ৪৩০১ রান। ব্যাটিং গড় ৪০.৫৭। টেস্টে ১২টি শতরান ও ১৮টি অর্ধশতরান করেছেন রোহিত। সর্বাধিক রান ২১২। টেস্ট ক্রিকেটে রোহিতের পথচলা শুরু ক্রিকেটের নন্দনকাননে। ২০১৩ সালের ৬ নভেম্বর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথমবার ভারতের সাদা জার্সি গায়ে খেলতে নেমেছিলেন রোহিত। টেস্ট ডেবিউ ম্যাচে ৩০১ বলে ১৭৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন রোহিত। হয়েছিলেন ম্যাচের সেরাও। এরপর দেশের হয়ে খেলেছেন আরও ৬৬টা টেস্ট। বিরাট কোহলি ভারতের টেস্ট ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার পর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে টিম ইন্ডিয়ার টেস্ট দলের নেতৃত্ব যায় রোহিত শর্মার কাঁধে। তারপর ২৪টি টেস্টে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন রোহিত। তাতে ১২টি ম্যাচ জিতেছে ভারত। টিম ইন্ডিয়ার অন্যতম সফল ১০ অধিনায়কের তালিকায় রয়েছেন রোহিত। ভারতের হয়ে টেস্টে ১২টি সেঞ্চুরি করেছেন রোহিত। সেই সঙ্গে রয়েছে ১৮টি হাফসেঞ্চুরিও। টি-২০ ও ওডিআইতে রোহিতের ব্যাট যতটা উজ্জ্বল, সেই তুলনায় টেস্টে উজ্জ্বলতা খানিক কম।

    অধিনায়কত্ব নিয়ে জল্পনা

    আইপিএলের পরেই ইংল্যান্ড সফরে যাবে ভারত। পাঁচ টেস্টের সেই সিরিজ থেকে আগামী বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াই শুরু করবে মেন ইন ব্লু। শোনা যাচ্ছিল, ইংল্যান্ড সিরিজের আগে রোহিতকে (Rohit Sharma) টেস্টের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। সেই জল্পনার মাঝেই অবসর নিলেন তিনি। জাতীয় নির্বাচকরা তাঁকে বার্তা দিয়েছিলেন ইংল্যান্ড সফরের টিমে তাঁকে ক্যাপ্টেন হিসেবে আর ভাবা হচ্ছে না। কারণ বোর্ড সামনের দিকে তাকাতে চাইছে। এ ছাড়া, রোহিত শর্মার বয়স ৩৮ পেরিয়েছে, নতুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সাইকেলে (২০২৫-২৭) একজন নতুন নেতার প্রয়োজন আছে বলে বোর্ডও মনে করছে। শুভমনের বয়স ২৫, এর আগে টিম ইন্ডিয়ার ভাইস ক্যাপ্টেন ছিলেন। তা ছাড়া বুমরার মতো তাঁর চোট সমস্যা নেই। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই অগ্রাধিকার পেয়ে ক্যাপ্টেন্সির দৌড়ে এগিয়ে শুভমন। সেক্ষেত্রে রোহিতের সামনে অবসর ছাড়া রাস্তা ছিল না।

    ব্যাটে রানের খরা

    ক্যাপ্টেন না থাকলে তিনি টিমে ব্যাটার হিসেবেও জায়গা পেতেন কি না সন্দেহ। গত আট টেস্টে তাঁর রান মাত্র ১৬৫। গড় ১০.৯৩। এই পারফরম্যান্স নিয়ে ইংল্যান্ডে তাঁর সফল হওয়া কঠিন বলেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা। তিনিও জানতেন লাল বলের ক্রিকেটে আর যেন মানাতে পারছিলেন না। আগে অবসরের প্রশ্নে রোহিত বলেছিলেন, দুই সন্তানের পিতা জানে কখন সরে যেতে হবে। শেষপর্যন্ত নিখুঁত ‘টাইমিং’য়ে মিড উইকেটের উপর দিয়ে ছক্কা মারার মতো করেই অবসরের সরণিতে হাঁটলেন ‘শর্মাজি কা বেটা’।

    রোহিতের পরবর্তী পরিকল্পনা

    রোহিতের (Rohit Sharma) ঘনিষ্ঠ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ২০২৭ বিশ্বকাপ খেলার জন্য রোহিত মরিয়া। মেগা ইভেন্টে খেলার জন্য ফিটনেস ঠিক রাখতে যা খুশি করতে পারেন। রোহিতের ওই ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার পরেই টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন রোহিত। রোহিতের ঘনিষ্ঠ সেই সূত্র জানিয়েছে, ‌চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার পরেই রোহিতের মাথায় টেস্ট থেকে অবসরের কথা ঘুরছিল। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন সার্কেল শুরু হচ্ছে জুন থেকে। রোহিত জানত টেস্টে সেরা সময়টা ফেলে এসেছে। রোহিতের সেই ইচ্ছাপূরণ হবে কি না, সেটা কেউ জানেন না। তবে বোর্ড আপাতত জানিয়েছে, ওয়ানডে ক্রিকেটে তিনিই অধিনায়ক থাকছেন। সেটা হলে দীর্ঘদিন বাদে তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক পাচ্ছে টিম ইন্ডিয়া।

  • Operation Sindoor: ভারতীয় সেনাকে কুর্নিশ জানাল ইডেন, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যে গর্বিত সচিন থেকে গম্ভীর

    Operation Sindoor: ভারতীয় সেনাকে কুর্নিশ জানাল ইডেন, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যে গর্বিত সচিন থেকে গম্ভীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) এর সাফল্যে ভারতীয় সেনাকে সম্মান জানাল ইডেন গার্ডেন্স। বৃহস্পতিবার, ইডেন ছিল অন্য মেজাজে। আইপিএলের ম্যাচে সাধারণত জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয় না। কখনও টুর্নামেন্টের শুরুর ম্যাচে কিংবা ফাইনালে এমনটা দেখা যায়। আন্তর্জাতিক ম্যাচ থাকলে অবশ্য় জাতীয় সঙ্গীত দিয়েই ম্যাচের শুরু হয়। আইপিএলে (IPL 2025) প্রথম বার ম্যাচ শুরুর আগে বাজল জাতীয় সঙ্গীত। এদিন ভারতীয় সেনাকে সম্মান জানাতে ইডেনে কেকেআর বনাম চেন্নাই সুপার কিংসের ম্যাচ শুরু হয় জাতীয় সঙ্গীতে। স্ক্রিনেও ভেসে ওঠে ভারতীয় সেনাকে গর্ব এবং সম্মানের বার্তা। ভারতীয় সেনার সাফল্যকে কুর্নিশ জানাতে এই পদক্ষেপ করে বিসিসিআই।

    সেনাকে কুর্নিশ বিসিসিআই-এর

    মঙ্গলবার রাতে জঙ্গিদের বহু ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় থাকা জঙ্গিদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে তারা। পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসীরা ২৬ জন ভারতীয়কে গুলি করে হত্যা করেছিল। তার বদলা হিসেবেই মঙ্গলবার ভারতীয় সেনা জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে আক্রমণ করে। বুধবার ইডেনে খেলার শুরুর আগেই দুই দল ভারতীয় সেনাকে স্যালুট জানায়। খেলা চলাকালীন একাধিকবার ডিজিটাল স্ক্রিনে দেখানো হয় ভারতীয় সেনাকে স্যালুট জানানোর কথা। বহু সমর্থক এদিন খেলা দেখতে আসেন তেরঙ্গা হাতে। খেলা চলাকালীন বাউন্ডারি লাইনের ধারের স্ক্রিনগুলিতেও বার্তা হিসেবে দেখানো হয়, “ভারতীয় সেনার জন্য আমরা গর্বিত।” এদিন ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা এবং চেন্নাইয়ের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখতে পাওয়া যায়। এই ম্য়াচটি শেষ ওভার পর্যন্ত চলে। টান টান ম্যাচে ঘরের মাঠে মহেন্দ্র সিং ধোনিদের কাছে ২ উইকেটে হেরে যায় কেকেআর। এই হারের ফলে চলতি আইপিএল থেকে কার্যত ছিটকে যাওয়ার পথে নাইটরা।

    সেনাকে সেলাম ক্রিকেটারদের

    ভারতীয় সেনার অপারেশন সিঁদুর-কে (Operation Sindoor) কুর্নিশ জানিয়েছেন বহু প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রিকেটাররা। বীরেন্দ্র সেওয়াগ লিখেছেন জয় হিন্দ। নিজের ব্যাটিংয়ের মতোই অ্যাটাকিং স্টাইলে লিখেছেন, ‘‘কেউ যদি পাথর ছোড়ে, আপনিও ফুল ছুড়ে দিন, তবে গামলার সঙ্গে। অপারেশন সিঁদুর, একেবারে নিখুঁত নাম।’’ দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বর্তমানে ভারতীয় দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর, অপারেশন সিঁদুরের ছবি সহ পোস্ট করেছেন জয় হিন্দ। সঙ্গে দেশের পতাকা। বিশ্ব ক্রিকেটের কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর লিখেছেন, ‘‘একতা ভয়ডরহীন। একতাই শক্তি। ভারতের শক্তি দেশের প্রত্য়েকটা মানুষ। এখানে সন্ত্রাসবাদের কোনও জায়গা নেই। জয় হিন্দ।’’ দেশের আর এক কিংবদন্তি ক্রিকেটার ঝুলন গোস্বামী লিখেছেন, ‘‘ভারত এভাবেই জবাব দেয়।’’ ভারতীয় ক্রিকেটের গব্বর শিখর ধাওয়ান কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ধুয়ে দিয়েছিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদিকে। সেনার জবাবের পর ধাওয়ান লিখেছেন, ‘‘ভারত সবসময় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে, ভারত মাতা কি জয়।’’ অনিল কুম্বলে, চেতন শর্মা, সুরেশ রায়না, বরুণ চক্রবর্তীর মতো প্রাক্তন এবং বর্তমান ক্রিকেটাররাও অপারেশন সিঁদুর নিয়ে নানা পোস্ট করেছেন।

  • India Pakistan Conflict: নিহত জঙ্গিদেরকে বীরের স্বীকৃতি! ফের প্রমাণিত পাক সেনা-সন্ত্রাসী আঁতাত, বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়

    India Pakistan Conflict: নিহত জঙ্গিদেরকে বীরের স্বীকৃতি! ফের প্রমাণিত পাক সেনা-সন্ত্রাসী আঁতাত, বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মহলে ফের বিতর্কের কেন্দ্রে পাকিস্তান (India Pakistan Conflict)। ভারতের সফল সামরিক অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) পর এক ভয়াবহ ছবি উঠে এসেছে পাক মুলুকে। এই অভিযানে নিহত জঙ্গিদের মরদেহ মোড়া হয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকায়! শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের মুরিদকে ফুটবল স্টেডিয়ামে সেনা ও আইএসআই কর্তাদের উপস্থিতিতে জঙ্গিদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে। এই ঘটনায় ফের একবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে পাকিস্তান। প্রকাশ্যে এসেছে তাদের সন্ত্রাস-যোগ।

    সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুতে ‘শোকপালন’ পাকিস্তানের

    সেনা  থেকে আইএসআই। পুলিশ থেকে আমলা। সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুতে এবার ‘শোকপালন’ করতে দেখা গেল পাক সরকারের একাধিক ব্যক্তিকে। বুধবার গভীর রাতে অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে প্রত্যাঘাত হেনেছে ভারত। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। নয়টি জঙ্গি ঘাঁটির অন্তত ৭০টি জঙ্গির মৃত্যু (কারও মতে, সংখ্যাটা আরও বেশি) হয়েছে এই স্ট্রাইকে। এবার সেইসব সন্ত্রাসীদের শেষকৃত্যে দেখা মিলল পাক সেনা থেকে আধিকারিকের। পিটিআই রিপোর্ট মোতাবেক, মুরিদকে-তে থাকা জঙ্গিদের হেডকোয়ার্টারে এয়ার স্ট্রাইকের জেরে মারা গিয়েছে তিন জঙ্গি কারি আবদুল মালিক, খালিদ ও মুদাসির। নিহত হয়েছে বিলাল টেরর ক্যাম্পের প্রধান ইয়াকুব মুঘল। এই ক্যাম্প বহু বছর ধরে ভারতের বিরুদ্ধে জেহাদি হামলার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এদের শেষকৃত্যেই উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে পাকিস্তানি সেনা কর্তাদের। জঙ্গিদের শেষকৃত্যের জন্য যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।

    পাক সেনার সঙ্গেই কুখ্যাত জঙ্গি হাফিজ আব্দুল রউফ

    শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে সামরিক পোশাকে, বুকভরা ব্যাজ নিয়ে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও আইএসআই-এর শীর্ষ আধিকারিক এবং পাঞ্জাব পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে অংশ নিয়েছেন। তবে, শুধু পাক সেনা ও আধিকারিকরা নন, তাঁদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন লস্কর-ই-তৈবার কুখ্যাত জঙ্গি হাফিজ আব্দুল রউফ। স্পষ্টতই খোলামেলাভাবে আয়োজন করা এই শেষকৃত্য সন্ত্রাসবাদের প্রতি পাকিস্তানের সমর্থনের একটি প্রমাণ। পিটিআইয়ের রিপোর্ট মোতবেক, হাফিজ সইদের নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী জামাত-উদ-দাওয়াও সদস্যরাও ছিলেন এই শেষকৃত্যে। এই সংগঠন দুটি রাষ্ট্রসংঘ-স্বীকৃত সন্ত্রাসী সংগঠন, যাদের নাম জড়িয়ে আছে কাশ্মীর, দিল্লি, মুম্বই সহ ভারতের নানা প্রান্তে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলায়।

    জঙ্গিদের গায়ে পাকিস্তানের পতাকা

    সাধারণত ভারতে জাতীয় পতাকা মোড়ানো হয় সেই সব মানুষদের কফিনে, যাঁরা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন—যেমন সেনা, পুলিশ অথবা গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কর্মকর্তারা। সেই মর্যাদা পাওয়া মানেই জাতীয় বীরের স্বীকৃতি। কিন্তু এবার পাকিস্তানে একই সম্মান দেওয়া হল জঙ্গিদের? এই ঘটনায় স্তম্ভিত ভারতের নিরাপত্তা বিশ্লেষক মহল ও সাধারণ মানুষ। সেনা অফিসারদের উপস্থিতি, জাতীয় পতাকায় মোড়া কফিন — কী বার্তা দিচ্ছে পাকিস্তান? মুরিদকে ফুটবল স্টেডিয়ামে যে জঙ্গিদের শেষকৃত্য হল, সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ অফিসাররাও। এর ফলে জঙ্গিদের প্রতি পাকিস্তান (India Pakistan Conflict) সরকারের সক্রিয় সমর্থনের অভিযোগ আরও জোরালো হচ্ছে।

    আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ 

    এই ভিডিও প্রকাশের পর ভারতীয় কূটনীতিকরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ জোরদার করেছে। বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন, “পাকিস্তান তার মাটিতে জঙ্গি (militants) ঘাঁটি ধ্বংস করার কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তাদের সেনা ও পুলিশ জঙ্গিদের সমর্থন করছে।” রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করে ভারতের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

    পাকিস্তানের দ্বৈত চরিত্রের প্রমাণ

    এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে কূটনীতিকদের মত, এই ভিডিও পাকিস্তানের দ্বৈত চরিত্রের প্রমাণ। একদিকে তারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলে, অন্যদিকে জঙ্গিদের শেষকৃত্যে অংশ নেয় তাদের সেনা ও পুলিশ। প্রাক্তন কূটনীতিক মঞ্জু শেঠ বলেন, “এটি কেবল পাকিস্তানের সেনা ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর জঙ্গিদের (militants) সঙ্গে সংযোগের প্রমাণ নয়, বরং এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি সতর্কবার্তা। পাকিস্তানের (India Pakistan Conflict) এই আচরণ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইকে দুর্বল করছে। এই ঘটনা রাষ্ট্রসংঘ এবং অন্যান্য বিশ্ব শক্তির কাছে উত্থাপন করা উচিত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক পদক্ষেপ প্রয়োজন।” পহেলগাঁও হামলার (militants) প্রেক্ষাপটে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) প্রশংসা করে তিনি বলেন, “ভারতের নির্ভুল হামলা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা। তবে এই ভিডিও দেখায় যে পাকিস্তান তার অবস্থানে কোনও পরিবর্তন আনছে না।”

    পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত জঙ্গি রাষ্ট্র পাকিস্তান

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। বরং এটি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জেহাদের প্রতি সমর্থনের প্রতীক। অ্যাবোটাবাদে যেখানে ওসামা বিন লাদেন সেনা নিরাপত্তায় আত্মগোপনে ছিলেন, বালাকোটে যেখানে জইশের ট্রেনিং ক্যাম্প পরিচালিত হত, কিংবা মুরিদকে, যেখানে লস্করের জঙ্গিদের রাষ্ট্রীয় সম্মানে কবর দেওয়া হয় — সবই পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে মদতের প্রমাণ। এখনও যদি আর্থিক সহায়তা বন্ধ না হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক মহল — বিশেষ করে এফএটিএফ, রাষ্ট্রসংঘ এবং পশ্চিমের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি — চোখ বুজে থাকলে তা হবে একপ্রকার সহযোগিতা। ভারত বহুদিন ধরেই এই সত্য জানত। এখন তার ভিডিও প্রমাণ সামনে এসেছে। এই ভিডিও প্রমাণ করে পাকিস্তান আসলে পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত একটি জঙ্গি রাষ্ট্র।

  • HS Result 2025: প্রথম বর্ধমানের রূপায়ণ, বার্ষিক ব্যবস্থায় শেষ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত

    HS Result 2025: প্রথম বর্ধমানের রূপায়ণ, বার্ষিক ব্যবস্থায় শেষ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উচ্চমাধ্যমিকের ফল (HS Result 2025) প্রকাশিত হল বুধবার। এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ ২০২৫ সালের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। গত ৩ মার্চ থেকে শুরু হয়েছিল পরীক্ষা। শেষ হয়েছিল ১৮ মার্চ। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৫০ দিন পর ফল প্রকাশ করল সংসদ। সাংবাদিক বৈঠকে সাংসদ জানিয়েছে, কোভিডকালের তিন বছর বাদ দিলে গত ১০ বছরে সেরা ফলাফল হয়েছে এই বছর। দীর্ঘদিন ধরে যে ধাঁচে উচ্চমাধ্যমিক হয়ে আসছিল, আজ ফলাফল প্রকাশের সঙ্গে-সঙ্গে সেটা ‘ইতিহাস’-র জায়গা করে নিল। আগামী বছর (২০২৬ সাল) থেকে সেমিস্টার-ভিত্তিক উচ্চমাধ্যমিক হবে। যে পড়ুয়ারা ২০২৪ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে একাদশ শ্রেণিতে ভরতি হয়েছিলেন, তাঁরাই সেমেস্টার প্রথার আওতায় প্রথম উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেবেন। আর তৃতীয় ও চতুর্থ সেমিস্টারের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে উচ্চমাধ্যমিকের চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী বছর থেকে।

    প্রথম বর্ধমানের ছাত্র

    উচ্চমাধ্যমিকে ৯৯.৪ শতাংশ নম্বর (HS Result 2025) পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন পূর্ব বর্ধমানের রূপায়ণ পাল। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭। রূপায়ণ বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুলের ছাত্র। দ্বিতীয় স্থানে কোচবিহারের তুষার দেবনাথ। বক্সিরহাট হাইস্কুলের ছাত্র। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬ (৯৯.২ শতাংশ)। ৪৯৫ (৯৯ শতাংশ) নম্বর পেয়ে এ বছর তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন আরামবাগের রাজর্ষি অধিকারী। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন বাঁকুড়ার সৃজিতা ঘোষাল। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৪ (৯৮.৮ শতাংশ)। পঞ্চম স্থান অধিকারী করেছেন ছয় জন। প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩ (৯৮.৬ শতাংশ)। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন আট জন। প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯২ (৯৮.৪ শতাংশ)।

    উচ্চমাধ্যমিকে জেলার জয়জয়কার

    সংসদ জানিয়েছে, উচ্চমাধ্যমিকে (HS Result 2025) এই বছর প্রথম দশে হুগলি থেকে সবচেয়ে বেশি পড়ুয়া রয়েছেন। মোট ১৪ জন রয়েছেন প্রথম দশে। কলকাতার মাত্র তিন জন। উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় প্রথম দশে রয়েছে ৭২ জন। তাদের মধ্যে কলকাতার স্কুল থেকে তিন জন রয়েছে। ৪৯০ পেয়ে তথাগত রায় অষ্টম স্থান অধিকার করেছে। সৌনক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সৃজিতা দত্ত দু’জনেই নবম স্থানে রয়েছে। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৯। উচ্চ মাধ্যমিকে এ বছর পাশের হার ৯০.৭৯ শতাংশ। শীর্ষে পূর্ব মেদিনীপুর। পাশের হারে দ্বিতীয় উত্তর ২৪ পরগনা এবং তৃতীয় কলকাতা। পাশের হারে এগিয়ে ছাত্ররা। তাদের পাশের হার ৯২%-এর বেশি। মেয়েদের মধ্যে পাশের হার ৮৮%-এর বেশি। গত বছর উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার ছিল ৯০ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে পাশের হার ৯৯.৪৬ শতাংশ। বাণিজ্যে ৯৭.৫২ শতাংশ এবং কলা বিভাগে ৮৮.২৫ শতাংশ।

    কীভাবে জানবেন রেজাল্ট

    বুধবার দুপুর ২:০০ টো থেকে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপে উচ্চমাধ্যমিক ২০২৫-এর রেজাল্ট (HS Result 2025) পাওয়া যাচ্ছে। ৮ মে, বৃহস্পতিবার, সকাল ১০টার পর স্কুল থেকে মার্কসিট ও সার্টিফিকেট পাবেন ছাত্রছাত্রীরা। মোবাইলে উচ্চ মাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফলের লিঙ্ক বা রেজাল্ট অপশনে ক্লিক করুন। নির্দিষ্ট বক্সে আপনার রোল নম্বর এবং জন্ম তারিখ লিখুন। বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার পর, সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন। এবার আপনার ফলাফল স্ক্রিনে দেখাবে

    বার্ষিক ব্যবস্থায় শেষ উচ্চমাধ্যমিক

    বার্ষিক ব্যবস্থায় শেষ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা (HS Result 2025) হল এ বছরই। আগামী বছর থেকে সেমেস্টার ব্যবস্থা চালু হবে উচ্চমাধ্যমিকে। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, পড়ুয়ারা যে স্কুলে পড়ছেন, সেই স্কুলে তৃতীয় এবং চতুর্থ সেমেস্টারের পরীক্ষা হবে না। বাইরের স্কুলে গিয়ে দিতে হবে দুটি সেমেস্টারের পরীক্ষা। সংসদের সভাপতির কথায়, ‘(পরেরবার থেকে) বছরে ২টো উচ্চমাধ্যমিক নেওয়া হবে।’ সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, ভোকেশনাল সাবজেক্ট, ভিস্যুয়াল আর্টস এবং মিউজিক বাদ দিয়ে বাকি বিষয়গুলির পরীক্ষা হবে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের। সকাল ১০ টা থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। চলবে সকাল ১১ টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত। আর ভোকেশনাল সাবজেক্ট, ভিস্যুয়াল আর্টস এবং মিউজিকের পরীক্ষার সময় হল ৪৫ মিনিট। সকাল ১০ টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে চলবে সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত।

    আগামী উচ্চমাধ্যমিকের রুটিন

    তৃতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা

    ১) ৮ সেপ্টেম্বর (সোমবার): বাংলা (প্রথম ভাষা), ইংরেজি (প্রথম ভাষা), হিন্দি (প্রথম ভাষা), নেপালি (প্রথম ভাষা), উর্দু, সাঁওতালি, ওড়িয়া, তেলুগু, গুজরাটি এবং পঞ্জাবি।

    ২) ৯ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার): হেলথ কেয়ার, অটোমোবাইল, অর্গানাইজড রিটেলিং, সিকিউরিটি, আইটি অ্যান্ড আইটিইএস, ইলেকট্রনিকস, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি, প্লাম্বিং, কনস্ট্রাকশন, অ্যাপ্ররেল, বিউটি অ্যান্ড ওয়েলনেস, এগ্রিকালচার, পাওয়ার – ভোকেশনাল সাবজেক্ট।

    ৩) ১০ সেপ্টেম্বর (বুধবার): ইংরেজি (দ্বিতীয় ভাষা), বাংলা (দ্বিতীয় ভাষা), হিন্দি (দ্বিতীয় ভাষা), নেপালি (দ্বিতীয় ভাষা) এবং অল্টারনেটিভ ইংলিশ।

    ৪) ১১ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার): অর্থনীতি, অ্যাথ্রোপলজি, সায়েন্স অফ ওয়েল বিয়িং, অ্যাপ্লায়েড আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স।

    ৫) ১২ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার): ফিজিক্স, নিউট্রিশন, এডুকেশন এবং অ্যাকাউন্টেন্সি।

    ৬) ১৩ সেপ্টেম্বর (শনিবার): কম্পিউটার সায়েন্স, মর্ডান কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজ, হেলথ অ্যান্ড ফিজিক্যাল এডুকেশন, মিউজিক এবং ভিস্যুয়াল আর্টস।

    ৭) ১৫ সেপ্টেম্বর (সোমবার): স্ট্যাটিসটিকস, সাইকোলজি, কমার্শিয়াল ল অ্যান্ড প্রিলিমিনারিস অফ অডিটিং এবং ইতিহাস।১০) ১৬ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার): কেমিস্ট্রি, ভূগোল, হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট এবং বিজনেস স্টাডিজ।

    ১১) ১৮ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার): ফিলোজফি।

    ১২) ১৯ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার): অঙ্ক, এগ্রিকালচার, জার্নালিজম অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন, সংস্কৃত, পার্সিয়ান এবং আরবিক।

    ১৩) ২০ সেপ্টেম্বর (শনিবার): সাইবার সিকিউরিটি, আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স, ডেটা সায়েন্স, সোশিয়োলজি।

    ১৪) ২২ সেপ্টেম্বর (সোমবার): বায়োলজিক্যাল সায়েন্স, পলিটিকাল সায়েন্স, কস্টিং অ্যান্ড ট্যাক্সেশন।

    চতুর্থ সেমিস্টারের পরীক্ষার পুরো রুটিন

    ১) ১২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার): বাংলা (প্রথম ভাষা), ইংরেজি (প্রথম ভাষা), হিন্দি (প্রথম ভাষা), নেপালি (প্রথম ভাষা), উর্দু, সাঁওতালি, ওড়িয়া, তেলুগু, গুজরাটি এবং পঞ্জাবি।

    ২) ১৩ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার): ইংরেজি (দ্বিতীয় ভাষা), বাংলা (দ্বিতীয় ভাষা), হিন্দি (দ্বিতীয় ভাষা), নেপালি (দ্বিতীয় ভাষা) এবং অল্টারনেটিভ ইংলিশ।

    ৩) ১৭ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার): ফিজিক্স, নিউট্রিশন, এডুকেশন এবং অ্যাকাউন্টেন্সি।

    ৪) ১৮ ফেব্রুয়ারি (বুধবার): হেলথ কেয়ার, অটোমোবাইল, অর্গানাইজড রিটেলিং, সিকিউরিটি, আইটি অ্যান্ড আইটিইএস, ইলেকট্রনিকস, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি, প্লাম্বিং, কনস্ট্রাকশন, অ্যাপ্ররেল, বিউটি অ্যান্ড ওয়েলনেস, এগ্রিকালচার, পাওয়ার – ভোকেশনাল সাবজেক্ট।

    ৫) ১৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার): অঙ্ক, এগ্রিকালচার, জার্নালিজম অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন, সংস্কৃত, পার্সিয়ান এবং আরবিক।

    ৬) ২০ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার): বায়োলজিক্যাল সায়েন্স, পলিটিকাল সায়েন্স, কস্টিং অ্যান্ড ট্যাক্সেশন।

    ৭) ২১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার): স্ট্যাটিসটিকস, সাইকোলজি, কমার্শিয়াল ল অ্যান্ড প্রিলিমিনারিস অফ অডিটিং এবং ইতিহাস।

    ৮) ২৩ ফেব্রুয়ারি (সোমবার): কেমিস্ট্রি, ভূগোল, হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট এবং বিজনেস স্টাডিজ।

    ৯) ২৪ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার): ফিলোজফি।

    ১০) ২৫ ফেব্রুয়ারি (বুধবার): অর্থনীতি, অ্যাথ্রোপলজি, সায়েন্স অফ ওয়েল বিয়িং, অ্যাপ্লায়েড আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স।

    ১১) ২৬ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার): সাইবার সিকিউরিটি, আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স, ডেটা সায়েন্স, সোশিয়োলজি।

    ১২) ২৭ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার): কম্পিউটার সায়েন্স, মর্ডান কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজ, হেলথ অ্যান্ড ফিজিক্যাল এডুকেশন, মিউজিক এবং ভিস্যুয়াল আর্টস।

  • India Pakistan Conflict: লজ্জা ঢাকতে মিথ্যের আশ্রয়! ভারতের এয়ার স্ট্রাইকের পর সমাজ মাধ্যমে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে পাকিস্তান

    India Pakistan Conflict: লজ্জা ঢাকতে মিথ্যের আশ্রয়! ভারতের এয়ার স্ট্রাইকের পর সমাজ মাধ্যমে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার গভীর রাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায়, যাতে এখনও পর্যন্ত ১০০-রও বেশি সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) অধীনে ভারতীয় সেনাবাহিনী জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈবা এবং হিজবুল মুজাহিদিনের সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলি সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। এই হামলার পর থেকে ফের পাকিস্তান (India Pakistan Conflict) ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে।

    পুরনো ছবি ব্যবহার করে প্রচার

    পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র সামাজিক মাধ্যমে দাবি করেন যে, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর সব বিমান আকাশে সক্রিয় রয়েছে। তবে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সব হামলা ভারতের নিজস্ব আকাশসীমা থেকেই পরিচালিত হয়েছে। ভারতের সামরিক অভিযানে তাদের য মুখ পুড়েছে, সেই লজ্জা ঢাকতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তো নানা মিথ্যা প্রচার চলছেই, পাক সরকার ঘেঁষা সংবাদমাধ্যমগুলিও একই প্রচার করে চলেছে। কোথাও কোথাও রটিয়ে দেওয়া হয়েছে, অপারেশন সিন্দুর-এর পাল্টা নাকি পাকিস্তান শ্রীনগর এয়ারবেসকে টার্গেট করেছে। কিন্তু, প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো তরফে ফ্যাক্ট চেক করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘একটা ভিডিয়ো একাধিক পাকিস্তানপন্থী হ্যান্ডল থেকে শেয়ার করছিলেন। মিথ্যে করে বলা হচ্ছিল পাক বিমানবাহনী শ্রীনগর এয়ারবেসকে নিশানা করেছে। কিন্তু পিআইবি জানিয়েছে, এই ভিডিও ভারতের নয়। এটি ২০২৪ সালের পাকিস্তানের খাইবারপাখতুনখাওয়ার একটা সংঘর্ষের ভিডিও।

    পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ‘দুনিয়া নিউজ টিভি’ জানিয়েছে, “ভারতের আগ্রাসনের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী এবং দুইটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানো হয়েছে।” একইভাবে, পাকিস্তানের ‘এআরওয়াই নিউজ’ পুরনো ছবি ব্যবহার করে সেগুলোকে বর্তমান ঘটনার ছবি বলে প্রচার করছে। আবার, পাকিস্তানি সোশ্যাল হ্যান্ডলে এও দাবি করা হয়, ভারতের মধ্যে ১৫টি জায়গায় পাল্টা আঘাত হেনেছে পাকিস্তানি সেনারা। এমনকী এর সঙ্গে ভারতীয় সেনার ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার ধ্বংস করেছে পাকিস্তানি সেনারা। এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যে বলেই জানিয়েছে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো। পিআইবি জানিয়েছে যে, এই ধরনের যাচাই না করা তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে, সঠিক তথ্যের জন্য শুধুমাত্র ভারত সরকারের সরকারি উৎসের উপরে নির্ভর করা দরকার।

    রাফাল নয় মিগ ২৯ 

    ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনার আবহে এক ভুয়ো ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে তুমুল হারে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে যে, পাকিস্তান একটি ভারতীয় রাফাল জেট ভেঙে ফেলেছে পুঞ্চ সেক্টরের কাছে। কিন্তু এই দাবি একেবারেই মিথ্যা। ভারতীয় সেনা প্রমাণ করে দিয়েছে, এটি রাজস্থানের বারমের জেলায় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দুর্ঘটনায় পড়া একটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানের ছবি। পাকিস্তানি গণমাধ্যম এটিকে বর্তমান অভিযানের ছবি হিসেবে ভুলভাবে ব্যবহার করছে। পাকিস্তানের দাবি বর্তমান ভারতীয় অভিযানের সঙ্গে সম্পর্কহীন এবং বিভ্রান্তিকর। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এয়ারস্ট্রাইকটি ছিল পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যুত্তরে একটি জবাব, যা মূলত সীমান্তপারে সন্ত্রাসী অবকাঠামো লক্ষ্য করে চালানো হয়।

    বিভ্রান্তি ছড়ানোই লক্ষ্য

    পাকিস্তানের অনেক সাংবাদিক ভারতের বিমান হামলার পর ইয়েমেনের সানায় হওয়া বিমান হামলা, গাজায় ইজরায়েলি হামলা এবং সিরিয়ায় হওয়া ধ্বংসযজ্ঞের ছবি শেয়ার করছেন। পাকিস্তানের সোশ্যাল মিডিয়ায় কান্নারত শিশু এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদের ছবি শেয়ার করা হচ্ছে, যারও কোনও ভিত্তি নেই। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, এই ধরনের মিথ্যা তথ্য সমাজে বিভ্রান্তি তৈরি করে এবং অকারণে আতঙ্ক ছড়ায়। সাধারণ নাগরিকদের অনুরোধ করা হচ্ছে—যে কোনো ভিডিও বা তথ্য যাচাই করে তবেই শেয়ার করুন।

  • Operation Sindoor: জঙ্গি ডেরায় অভিযান সফল, ‘পাকিস্তান ফের কিছু করলে তারও জবাব পাবে’, বলল ভারত

    Operation Sindoor: জঙ্গি ডেরায় অভিযান সফল, ‘পাকিস্তান ফের কিছু করলে তারও জবাব পাবে’, বলল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার ১৫ দিন পর প্রত্যাঘাত ভারতের। পহেলগঁওয়ে জঙ্গি হামলার পাল্টা জবাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে সফল বিমান হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে মাত্র ২৫ মিনিটের অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’। অপরেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) ভারতীয় সেনা, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযান। ভারতের উন্নয়নের গতি স্তব্ধ করতে পহেলগাঁওয়ে হামলা চালানো হয়, বলে জানান বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। এরপরই পরিকল্পিতভাবে মিডনাইট স্ট্রাইক ভারতের। তিনি যোগ করেন, এই ঘাঁটি থেকে আরও হামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। তাই এগুলিকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজন ছিল।

    সন্ত্রাসবাদীদের পরিকাঠামো ধ্বংস

    বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন, ‘‘পহেলগাঁও হামলার তদন্তে পাকিস্তানের যোগসূত্র সামনে এসেছে। ২২ এপ্রিলের হামলার উদ্দেশ্য ছিল কাশ্মীরের শান্তি ও স্বাভাবিক পরিস্থিতি নষ্ট করা। এই হামলা ছিল অমানবিক এবং নির্মম। এর মাধ্যমে কাশ্মীরের শান্তি ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় আঘাত হানা হয়েছে। হামলার ধরন স্পষ্টভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত। এটি শুধুই একটি প্রাণঘাতী আক্রমণ নয়, বরং বেঁচে যাওয়া মানুষদের মাধ্যমে এক আতঙ্কের বার্তা ছড়ানোর চেষ্টা।’’ বিদেশ সচিব বলেন, ‘‘আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা জড়িতদের এবং পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করেছে। ভারত সন্ত্রাসবাদীদের পরিকাঠামো ধ্বংস করার জন্য তার অধিকার প্রয়োগ করেছে।’’

    কোথায় কোথায় হামলা

    পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জায়গায় জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুরের ২টি জায়গা, মুরিদকে এবং শিয়ালকোট। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফ্ফরাবাদ, কোটলি এবং ভীমবের। এছাড়াও গুলপুর ও চক আমরুতে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এর মধ্যে বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি, মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটি, সারজালে জইশ ঘাঁটি, শিয়ালকোটে হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটি, বারনালায় লস্করের ঘাঁটি, কোটলিতে জইশ ও হিজবুলের ঘাঁটি, মুজফ্ফরাবাদে লস্কর ও জইশের ঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে পরিচালিত এই অভিযানের বিস্তারিত তথ্য দেন ভারতীয় স্থলসেনার কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও বায়ুসেনার উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। পাকিস্তানের যে কোনও প্রতিক্রিয়ার জবাব দিতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে, বলে জানান সোফিয়া। বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়, অপারেশন সিঁদুরে অংশ নেওয়া বায়ুসেনার সমস্ত বিমানচালক নিরাপদে ফিরে এসেছেন। যে ক’টি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে সেগুলির প্রতিটির ছবি দেখানো হয় সাংবাদিক বৈঠকে। এরপর তাঁরা বলেন, “কোনও সাধারণ নাগরিকে ক্ষতি করা হয়নি। পাক সেনাঘাঁটিতে হামলা করা হয়নি। প্রযুক্তির সাহায্যে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করা হয়েছে।

  • Operation Sindoor: পহেলগাঁওয়ের বদলা নিল ভারতীয় সেনা! কেন এই অভিযানের নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’? কার দেওয়া জানেন?

    Operation Sindoor: পহেলগাঁওয়ের বদলা নিল ভারতীয় সেনা! কেন এই অভিযানের নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’? কার দেওয়া জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র ৬ দিন আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। হাতে মেহেন্দি, মাথায় সিঁদুর নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বৈসরণে মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন হিমাংশী নরওয়াল। হঠাতই চোখের সামনে স্বামীকে গুলি করে মারে জঙ্গিরা। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে পর্যটকদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের উপর হামলা চালানো হয়। নাম, পরিচয় জানার পরই গুলি চালানো হয়। ওই জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান নৌসেনার অফিসার লেফটেন্যান্ট বিনয় নরওয়াল। হাতের মেহন্দি ওঠার আগেই সিঁথির সিঁদুর মুছে যায় হিমাংশীর। কয়েকদিন পর স্বামীকে শ্রদ্ধার্ঘ জানানোর সময় তাঁর সিঁথি ফাঁকা ছিল। সেই সিঁদুরেরই মূল্য চোকাতে হল পাকিস্তানকে। নির্ভুল প্রত্যাঘাত। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার বদলা নিল ভারতীয় সেনা। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আঘাত হেনে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কমপক্ষে ১০০ জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদী ভারতীয় সেনার এই অভিযানের নাম অপারেশন সিঁদুর রাখার জন্য বলেন। সেইমতো ভারতীয় সেনার এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)।

    সিঁদুর বিবাহিত হিন্দু নারীর সম্মানের প্রতীক

    ‘সিঁদুর’ শব্দটি ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে গভীর তাৎপর্য বহন করে। হিন্দু ঐতিহ্যে সিঁদুর বিবাহিত নারীর সৌভাগ্য ও সম্মানের প্রতীক। এটি রক্তের সঙ্গেও যুক্ত, যা সাহস, ত্যাগ এবং প্রতিশ্রুতির প্রতিনিধিত্ব করে। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামকরণের মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব ও নাগরিকদের নিরাপত্তা রক্ষার প্রতি তাদের অটল প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করেছে। ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) নামটি পহেলগাঁও হামলায় নিহত নাগরিকদের রক্তের প্রতিশোধ এবং জাতির সম্মান রক্ষার প্রতীক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতীয় মহিলাদের সিঁদুর মুছে দেওয়ার প্রতিশোধ নিতেই এই নামকরণ করা হয়েছে ৷ ‘সিঁদুর’ নামটি শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের কঠোর অবস্থানই নয়, বরং জাতীয় গর্ব ও ঐক্যের প্রতীক হিসেবেও কাজ করছে।

    সিঁদুর বীরত্বের প্রতীক

    হিন্দু মহিলাদের কাছে সিঁদুরের গুরুত্ব অপরিসীম। আবার সিঁদুরের তিলক বীরত্বেরও প্রতীক। ভারতের যোদ্ধারা শত্রুকে নিধনে যাওয়ার সময় এই সিঁদুরের তিলক পরেন। মারাঠা ও রাজপুত যোদ্ধারা কপালে সিঁদুরের তিলক নিয়েই যুদ্ধে যেতেন। বিজয়ী হয়ে ফিরলেও তাঁদের এই তিলকে বরণ করা হতো। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি ভারতীয় সেনার এই অভিযানের নাম অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) রাখার জন্য বলেন। সেইমতো এই অভিযানের নাম রাখা হয় অপারেশন সিঁদুর। এই অভিযানের নাম অপারেশন সিঁদুর রাখা নিয়ে নিহতদের পরিজনরা বলছেন, ভারতীয় সেনা মহিলাদের সম্মান জানাল। জঙ্গি হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়ায়ও খুশি তাঁরা এছাড়া, ‘সিঁদুর’ শব্দটি সিন্ধু নদীর সঙ্গেও সাংস্কৃতিকভাবে সম্পৃক্ত। সিন্ধু নদী ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস ও সভ্যতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

  • PM Modi on Indus Water Treaty: ‘দেশের জল বইবে দেশের স্বার্থেই’, সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল নিয়ে প্রথমবার কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

    PM Modi on Indus Water Treaty: ‘দেশের জল বইবে দেশের স্বার্থেই’, সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল নিয়ে প্রথমবার কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ইচ্ছাতেই নদীর জল বইবে এবং থামবে। ভারতের স্বার্থেই ব্যবহৃত হবে সেই জল। পহেলগাঁও হামলার পর ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল (PM Modi on Indus Water Treaty) করা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবার দিল্লিতে এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, ভারতের জল বইবে ভারতের স্বার্থেই। তাঁর স্পষ্ট ইঙ্গিত, সন্ত্রাসে মদতদাতা পাকিস্তান শুকিয়ে মরলেও সিন্ধুর জল নিয়ে আগে দেশবাসীর কথা ভাববে নয়াদিল্লি। নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ চাপানউতর পর্বে প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক মহল।

    প্রধানমন্ত্রীর ইঙ্গিত

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘আমাদের সরকার রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে মিলে নদী সংযুক্তিকরণ শুরু করেছে। কেন-বেতোয়া সংযুক্তিকরণ, পার্বতী-কালীসিন্ধ-চম্বল সংযুক্তিরণের কাজ চলছে।’’ এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘আজকাল তো সংবাদমাধ্যমে জল নিয়ে বিস্তর চর্চা চলছে। আপনারা খুব দ্রুত বিষয়টি বুঝে ফেলেছেন। আগে ভারতের হকের জল বাইরে যেত। কিন্তু এখন ভারতের জল ভারতের কথায় বইবে। যদি কোথাও থামাতে হয়, সেটাও দেশের স্বার্থে থামানো হবে। ভারতের জল শুধু ভারতেরই কাজে লাগবে।’’ পহেলগাঁও হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম প্রত্যাঘাত হিসাবে সিন্ধু জলচুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে নয়াদিল্লি। আগামী দিনে সেই সিদ্ধান্ত থেকে যে কোনওভাবেই পিছিয়ে আসবে না নয়াদিল্লি, সেটা মোদির কথাতেই স্পষ্ট। পাকিস্তানকে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সিন্ধু জলচুক্তি ভারত মানছে না। ভারতের তরফে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, চুক্তির উদ্দেশ্যকে নস্যাৎ করে দিয়ে জম্মু-কাশ্মীরে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তান। সীমান্ত সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে ইসলামাবাদ। সেকারণেই এই চুক্তি বাতিল করেছে নয়াদিল্লি।

    কী বলেছেন জলশক্তি মন্ত্রী

    ভারতের জল যাবে না পাকিস্তানে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে বিস্তারিত রোড ম্যাপ তৈরির পরই এই ঘোষণা করেছেন জলশক্তি মন্ত্রী সিআর পাটিল (CR Patil)। পাশাপাশি তিনি জানান, আগামী দিনে ভারত থেকে এক ফোঁটা জল পাবে না পাকিস্তান। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর সিআর পাটিল বলেন, ‘‘হোম মিনিস্টারের সঙ্গে এই বিষয়ে একটি রোড ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। যেখানে তিনটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাকিস্তান যাতে ভারতের থেকে এক ফোঁটা জল না পায়, সেই জন্য কম, মাঝারি ও দীর্ঘ সময়ের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই নদীর পলি তোলার কাজ শুরু করে গতিপথ পরিবর্তন করা হবে।’’

    সিন্ধু জলচুক্তি কী

    ১৯৬০ সালে বিশ্ব ব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় সিন্ধু জলচুক্তি সই করে ভারত ও পাকিস্তান। ১৯৬০ সালের চুক্তি মতে শতদ্রু, বিপাশা, রবি নদীর জল ব্যবহার করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে ভারতের। সিন্ধু, ঝিলম ও চন্দ্রভাগার অধিকাংশ জলের ভাগ পেয়েছে পাকিস্তান। চুক্তি অনুযায়ী, বিতস্তা ও চন্দ্রভাগার জলের উপরে পাকিস্তানের অধিকার ৮০ শতাংশ, ভারতের ২০ শতাংশ। তবে ওই নদীগুলিতে শর্তসাপেক্ষে বাঁধ তৈরি করতে পারে ভারত। দীর্ঘদিন ধরেই নয়াদিল্লির দাবি ছিল, সিন্ধু জলচুক্তিতে সংশোধন করতে হবে। কারণ ভারতের নদীবাঁধ দেওয়া নিয়ে বরাবর ইসলামাবাদের প্রবল আপত্তি। গতবছর সেপ্টেম্বর মাসেও এই চুক্তিতে সংশোধন চেয়ে ইসলামাদকে কড়া নোটিসও পাঠায় ভারত। এবার পহেলগাঁও হামলার পরে সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে ভারত চরম পদক্ষেপ করেছে নয়াদিল্লি।

    কী বলেছে কাশ্মীর

    সিন্ধু জল চুক্তির বিষয়ে মুখ খুলেছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তিনি বলেন, ‘‘১৯৬০ সালের ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে হওয়া এই চুক্তি কাশ্মীরের জন্য সবথেকে বৈষম্য়মূলক একটি নথি। অবশেষে ভারত সরকার পদক্ষেপ করল। আমরা কখনওই এই চুক্তির সঙ্গে সহমত ছিলাম না। কাশ্মীরবাসী বরাবর এই চুক্তির বিরোধিতাই করেছে। এক্ষেত্রে আমরা মোদি সরকারের পাশ আছি।’’

    দেশবাসীর স্বার্থই সবার আগে

    এদিনের অনুষ্ঠানে সরকারের ব্যর্থতা এবং তাঁর সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেসের নাম না-করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আগের সরকার বড় পদক্ষেপ করতে পারত না। চিন্তা করত দুনিয়া কী ভাববে? ভোট পাওয়া যাবে কি যাবে না? কুর্সি থাকবে কি থাকবে না? ভোট ব্যাঙ্ক ধসে যাবে না তো? কিন্তু আমরা সংস্কার করেছি, নানা ক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ করেছি।’’ এই প্রসঙ্গেই তিন তালাক প্রথা রদ করার কথা উল্লেখ করেন মোদি। সেই সঙ্গে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির সংযুক্তিকরণের সরকারি সিদ্ধান্তও। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আগে অন্যেরা ভারতকে কেবল একটি বাজার হিসাবে দেখত। কিন্তু এখন ভারত প্রতিরক্ষা সামগ্রী তৈরি করে। তা কেনে অন্য দেশ। নিজের জোরে ভারতের কাছে এখন রয়েছে আইএনএস বিক্রান্ত, আইএনএস নীলগিরির মতো অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ।’’ তিনি আরও দাবি করেন, গত এক দশকে ২৫ কোটির বেশি মানুষকে দারিদ্র্যের সীমার বাইরে আনা হয়েছে। ‘মুদ্রা যোজনা’র মাধ্যমে ছোট উদ্যোক্তারা সরকারী ঋণ পেয়ে নিজেদের ব্যবসা গড়ে তুলেছেন, যা গণতন্ত্রের কার্যকারিতার দৃষ্টান্ত। তাঁর কথায়, ‘‘দেশের উন্নতির জন্য সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় একমাত্র নীতি হওয়া উচিত দেশ সবার আগে।’’

  • Mizoram: রেলওয়ে মানচিত্ৰে মিজোরামের রাজধানী, আইজলের সাইরাং পর্যন্ত সফল ট্রায়াল রান

    Mizoram: রেলওয়ে মানচিত্ৰে মিজোরামের রাজধানী, আইজলের সাইরাং পর্যন্ত সফল ট্রায়াল রান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের রেল মানচিত্রে যুক্ত হল মিজোরামের (Mizoram) রাজধানী আইজল। এখানকার সাইরাং পর্যন্ত প্রথমবারের মতো ট্রায়াল রান সফলভাবে সম্পন্ন করে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করেছে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে (NF Railways)। উত্তরপূর্ব রাজ্যের সাথে রেল সংযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এটি একটি বড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে। মিজোরাম হল উত্তর-পূর্বের চতুর্থ রাজ্য যা ভারতের রল-ম্যাপে নিজেদের জায়গা পাকা করল।

    কঠিন ভূখণ্ড ভেদ করে রেল সংযোগ

    উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা সম্প্রতি এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন, উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার (নির্মাণ) অরুণকুমার চৌধুরী ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন রেলকর্মীদের উপস্থিতিতে গত ২ মে, বৃহস্পতিবার এই ঐতিহাসিক ট্রায়াল রান সম্পন্ন করা হয়েছে। কঠিন ভূখণ্ড ও লজিস্টিক চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে এই রেল যাত্রা উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের নিষ্ঠার প্রতিফলন। সাইরাঙে সফল পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর পর অরুণকুমার চৌধারী মিজোরামের রাজ্যপাল অবসরপ্ৰাপ্ত জেনারেল (ড.) বিজয়কুমার সিং এবং মিজোরামের (Mizoram) মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমাকে ভৈরবী-সাইরাং রেলপথ প্রকল্পের পরিধি, অগ্রগতি এবং কৌশলগত গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে নানান কথা জানান।

    ভারতীয় রেলের বিস্ময়

    অরুণকুমার চৌধারী বলেন, প্রকল্পের নির্মাণকাজ সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে চলেছে। তিনি আরও বলেন, জুনের শুরুতে রেলওয়ে সেফটি কমিশনার এই প্রকল্প পরিদর্শন করবেন। ১৭ জুনের পর ভৈরবী-সাইরাং রেলপথের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৫১.৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ভৈরবী-সাইরাং নতুন লাইন রেলওয়ে প্রকল্পটি ভারতীয় রেলওয়ের একটি প্রকৌশল বিস্ময়। এই প্রকল্পে ৪৮টি টানেল, ৫৫টি প্রধান সেতু এবং ৮৭টি ছোট সেতু রয়েছে। এই প্রকল্পে মোট টানেলের দৈর্ঘ্য ১২,৮৫৩ মিটার। ১৯৬ নম্বর সেতুর উচ্চতা ১০৪ মিটার, যা কুতুব মিনারের চেয়ে ৪২ মিটার বেশি। এই প্রকল্পে পাঁচটি রোড ওভারব্রিজ এবং ছয়টি রোড আন্ডার ব্রিজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। নতুন এই লাইন প্রকল্পকে চারটি বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এগুলি ভৈরবী-হরতকি, হরতকি-কাউনপুই, কাউনপুই-মুয়ালখাং এবং মুয়ালখাং-সাইরাং।

    এক নতুন দিগন্ত

    প্রেস বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে নতুন রেল প্রকল্পের দ্রুত সমাপ্তির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা মিজোরামে সংযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য স্থানীয় পর্যটন বৃদ্ধি, ক্ষুদ্র শিল্পকে সহায়তা করা এবং যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ খরচ কমানো। এটি মিজোরামের (Mizoram) রাজধানী থেকে দেশের অন্যান্য অংশের মধ্যে ভ্রমণের সময় কমিয়ে আনবে। এই প্রকল্পটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের পথে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে, বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

     

     

     

     

     

LinkedIn
Share