Author: pranabjyoti

  • Pakistan: পাকিস্তানে পালাবদলের ইঙ্গিত, জারদারিকে হঠিয়ে রাষ্ট্রপতি পদে বসতে চলেছেন মুনির?

    Pakistan: পাকিস্তানে পালাবদলের ইঙ্গিত, জারদারিকে হঠিয়ে রাষ্ট্রপতি পদে বসতে চলেছেন মুনির?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) কি পালাবদল হতে যাচ্ছে? সে দেশের একটি সূত্রের খবরে ইঙ্গিত, ইতিমধ্যেই গঠিত হয়ে গিয়েছে একটি নীরব অভ্যুত্থানের রূপরেখা। এই জল্পনার ফোকাসে রয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির (Asim Munir)। সম্প্রতি তাঁর পদমর্যাদা বৃদ্ধি, উচ্চ পর্যায়ের কাজকর্ম, কূটনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধি এবং দৃশ্যমানতার ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি – এই সব মিলিয়ে ইসলামাবাদে পট পরিবর্তনের একটি জল্পনা জোরালো হয়েছে।

    জোরালো হয়েছে অভ্যুত্থানের গুঞ্জন (Pakistan)

    গত সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং মুনিরের মধ্যে একটি বৈঠক হয়। তার পর থেকে আরও জোরালো হয়েছে অভ্যুত্থানের গুঞ্জন। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিকে সরিয়ে দিয়ে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হতে পারে সেনাপ্রধানকে। যদিও এ সব পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের গতিবিধি দেখে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পাকিস্তানের ক্ষমতার কাঠামো পুনর্গঠিত হতে পারে। সেখানে মুনিরের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী দেশের অসামরিক প্রতিষ্ঠানের ওপর তাদের কর্তৃত্ব আরও জোরদার করতে পারে।

    জল্পনার কারণ

    এহেন জল্পনার একটি কারণও রয়েছে। সেটি হল, এমন দৃষ্টান্ত পাকিস্তানে আগেও তৈরি হয়েছে। ১৯৫৮ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইস্কান্দার মির্জাকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতা দখলে করেন আয়ুব খান। পরে তিনি নিজেই রাষ্ট্রপতি হয়ে যান। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, আয়ুব খানেরই পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারেন মুনির। তিনি ইতিমধ্যেই পাক সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। সম্প্রতি ফিল্ড মার্শাল পদেও উন্নীত হয়েছেন। মুনিরই হলেন পাকিস্তানের ইতিহাসে দ্বিতীয় সেই ব্যক্তি যিনি আয়ুব খানের পথে হাঁটছেন। সেই কারণেই ছড়িয়েছে যাবতীয় জল্পনা। পাক সেনার সব প্রধান পদে কোনও না কোনও সময় থেকেছেন মুনির। তিনি পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের ডিরেক্টর জেনারেলও ছিলেন। ছিলেন কোর কমান্ডারের সর্বময় কর্তাও। জানা গিয়েছে, বর্তমানে তিনি প্রতীকী ও কৌশলগত উভয় ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে দেশটির শক্তিশালী সামরিক প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

    আয়ুবের সঙ্গে তুলনা মুনিরের

    কেন ১৯৫৮ সালের আয়ুবের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে ২০২৫-এর মুনিরের? রাজনৈতিক মহলের মতে, এর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে মুনিরের (Pakistan) সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক তৎপরতার মধ্যেই। চলতি বছরের শুরুতে তিনি প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, তুরস্ক, ইরান এবং আজারবাইজানের মতো ইসলামি রাষ্ট্র কিংবা মুললিম অধ্যুষিত রাষ্ট্র সফর করেছেন (Asim Munir)। ওই দেশগুলিতে তিনি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করেছেন বলে খবর। এহ বাহ্য! সম্প্রতি মুনির গিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কা এবং ইন্দোনেশিয়ায় সরকারি সফরে। এই দুই দ্বীপরাষ্ট্রে তাঁর সঙ্গে না ছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী, না ছিলেন পাকিস্তানের অন্য কোনও পদাধিকারী। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এশিয় দেশগুলিতে মুনিরের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতিও ইঙ্গিত দেয় যে, পাকিস্তানের কূটনৈতিক আচরণে একটি নয়া মোড় এসেছে। শুধু তাই নয়, ফোকাসে রয়েছেন পাকিস্তানের সেনা সর্বাধিনায়ক মুনির।

    মুনিরকে আমন্ত্রণ ট্রাম্পের

    চমকের আরও বাকি আছে। গত মাসে মুনিরকে হোয়াইট হাউসে মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানান স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ঘটনাটি একটি বিরল কূটনীতির অঙ্গ। কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাধারণত ভোজে আমন্ত্রণ জানান বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের। মুনির রাষ্ট্রপ্রধান না হয়েও সেই আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। এতেই পাকিস্তানে পালাবদলের জল্পনার পারদ আরও চড়তে থাকে। হোয়াইট হাউসের ক্যাবিনেট রুম এবং ওভাল অফিসে ট্রাম্প ও মুনিরের বৈঠক হয়। এটাও বিশ্বমঞ্চে মুনিরের গুরুত্বকে তুলে ধরে (Asim Munir)। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এখনও এই ধরনের কোনও আমন্ত্রণ পাননি হোয়াইট হাউস থেকে। মুনিরের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে বিবৃতি জারি করে পাক সেনাবাহিনী, ১০ জুলাই (Pakistan)। অথচ, রীতি অনুযায়ী, এটি করার কথা পাক বিদেশমন্ত্রকের। জানা গিয়েছে, বিদেশমন্ত্রককে স্রেফ অন্ধকারে রেখেই এহেন ব্যতিক্রমধর্মী একটি বিবৃতি প্রকাশ করে পাক সেনা।

    ইমরান খানের অভিযোগ

    মুনিরকে নিয়ে জল্পনা ছড়ানোর আরও একটি কারণ রয়েছে। সেটি হল, পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের একটি অভিযোগ। বর্তমানে তিনি বন্দি রয়েছেন পাকিস্তানের আদিয়ালা জেলে। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বন্দি অবস্থায় যদি তাঁর কিছু হয়, তাহলে তার দায় নিতে হবে মুনিরকেই। একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর এহেন দাবি পাকিস্তানের অভ্যন্তরে পালাবদলের ইঙ্গিত দেয় বই কি! তাছাড়া, মুনির যেভাবে একের পর এক একক কূটনৈতিক মিশনে অংশ নিচ্ছেন, তাতে আরওই স্পষ্ট হচ্ছে যে মুনিরের রাষ্ট্রপতি পদে বসার চিত্রনাট্যটি অত্যন্ত সুপরিকল্পিত (Pakistan)।

    চিত্রনাট্যটি মঞ্চায়িত হয় কিনা, এখন তাই দেখার (Asim Munir)।

  • Bihar Electoral Rolls: “আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, রেশন কার্ড বোগাস,” সুপ্রিম কোর্টে জানাল নির্বাচন কমিশন

    Bihar Electoral Rolls: “আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, রেশন কার্ড বোগাস,” সুপ্রিম কোর্টে জানাল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, রেশন কার্ড বোগাস, সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্রও ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়।” বিহার বিধানসভা নির্বাচনের (Bihar Electoral Rolls) আগে তালিকা সংশোধনের কাজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) সাফ জানিয়ে দিল ভারতের নির্বাচন কমিশন। কমিশনের মতে, সেই কারণে এই সব নথি ভোটার তালিকায় নাম থাকার জন্য বাধ্যতামূলক প্রমাণ হতে পারে না।

    নাগরিকত্বের প্রমাণ চাওয়ার অধিকার আছে কমিশনের (Bihar Electoral Rolls)

    শীর্ষ আদালতকে নির্বাচন কমিশন এও জানিয়েছে, বিহারের বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে নাগরিকত্বের প্রমাণ চাওয়ার অধিকার ও কর্তৃত্ব তাদের আছে। একগুচ্ছ আবেদনের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের তলব করা প্রতি-হলফনামায় একথা জানিয়েছে কমিশন। আবেদনকারীদের দাবি ছিল, ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে কমিশন নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কাজ করছে। তার জবাবে কমিশন বলেছে, একমাত্র ভারতীয় নাগরিকরাই ভোটার তালিকায় নাম তুলতে পারবেন এবং তা দেখা, পর্যালোচনার একমাত্র বিধিবদ্ধ দায়বদ্ধতা রয়েছে কমিশনেরই।

    ভোটার তালিকায় নাম থাকার ন্যূনতম যোগ্যতা

    কমিশন দেশের শীর্ষ আদালতকে এও জানিয়েছে, দেশের ভোটার তালিকায় নাম থাকার (Bihar Electoral Rolls) ন্যূনতম যোগ্যতা হচ্ছে তাঁকে ভারতের নাগরিক হতে হবে। যে কারণে কমিশনের কর্তব্য ও দায়িত্ব হল, সেই শর্ত পূরণ হচ্ছে কিনা, তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিচার করা। ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে বহু নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগের জবাবে কমিশন আদালতকে জানিয়েছে, ভোটার রেজিস্ট্রেশন অফিসার যখন দেখছেন কোনও ব্যক্তির নাম তালিকায় থাকার কোনও যোগ্যতা নেই, তখনই তাঁদের নাম বাদ যাচ্ছে। তাই এক্ষেত্রে বৈষম্যের যে অভিযোগ উঠছে, তার কোনও ভিত্তিই নেই।

    দেশের শীর্ষ আদালতে কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তাদের একমাত্র লক্ষ্য হল ভারতের নাগরিক নন, এমন ব্যক্তির নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া। এই কাজের জন্য নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫৫ মোতাবেক তাদের সেই ক্ষমতা রয়েছে। ভোটার কার্ড সম্পর্কে নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, “সচিত্র পরিচয়পত্র তার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী, কেবলমাত্র ভোটার তালিকার বর্তমান অবস্থা প্রতিফলিত করে এবং এটি নিজে থেকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির আগের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারে না।”

    কমিশনের সওয়াল শোনার পর সুপ্রিম কোর্ট এই (Supreme Court) মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে ২৮ জুলাই (Bihar Electoral Rolls)।

  • PM Modi: মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে ব্রিটেন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে ব্রিটেন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) স্বাক্ষর করতে দু’দিনের জন্য ব্রিটেন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের লক্ষ্যই হল ভারত-ব্রিটেন বাণিজ্যিক ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করা। ব্রিটেন থেকে তিনি যাবেন ভারত মহাসাগরের বুকের দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপে। মহম্মদ মুইজ্জু জমানায় ভারত-মলদ্বীপ তলানিতে ঠেকে যাওয়া সম্পর্ক মজবুত করতেই ব্রিটেন থেকে ফিরে প্রধানমন্ত্রী যাবেন মলদ্বীপে। ২৬ জুলাই তিনি যোগ দেবেন দ্বীপরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে।

    ব্রিটেন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, ’২৩-’২৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন ব্রিটেনে। স্বাক্ষর করবেন এফটিএ-তে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত-ব্রিটেনের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে তা হবে কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী অগ্রগতি। এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে ব্রিটেনে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক কমে যাবে। ভারতে বিক্রি করা সহজ হবে হুইস্কি ও গাড়ির মতো ব্রিটিশ পণ্যও। প্রসঙ্গত, ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে গত তিন বছর ধরে এফটিএ নিয়ে আলোচনা চলছে। এর মূল লক্ষ্য হল, দেশীয় বাজারে প্রবেশাধিকার অর্জনের পথ মসৃণ করা এবং উভয় দেশের জন্য বাণিজ্য সহজ ও উন্নত করা।

    এফটিএ-র লক্ষ্য

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ফলে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের বৈচিত্র্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। দুই দেশেরই লক্ষ্য হল একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা এবং বাণিজ্যে বিধিনিষেধ কমিয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। ভারত (PM Modi) ও ব্রিটেনের মধ্যে এফটিএ স্বাক্ষরিত হলে ভারতের ৯৯ শতাংশ রফতানি করা পণ্যের ওপরই ট্যাক্স কমে যাবে। ব্রিটেন থেকে আমদানি সহজতর হবে হুইস্কি ও গাড়ির মতো পণ্যের (FTA)।এই চুক্তি স্বাক্ষর করতে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে দীর্ঘ তিন বছর ধরে আলাপ-আলোচনা চলেছে। এর মাধ্যমে দুই দেশের বাজারেই সুগম হবে পণ্য প্রবেশাধিকারের পথ। কেন্দ্রের দাবি, চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে একটি উন্নততর বাণিজ্য পরিবেশ সৃষ্টি হবে। দুই দেশের এই চুক্তি কেবল যে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে উন্নত করবে তাই নয়, ভারত ও ব্রিটেন এই দুই দেশের নিরাপত্তা সহযোগিতাও আরও দৃঢ় হবে।

    মোদিকে আমন্ত্রণ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর

    প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। সেই কারণেই দু’দিনের ব্রিটেন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে থাকাকালীন অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা-সহ একাধিক দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন এই দুই রাষ্ট্রনেতা। খতিয়ে দেখবেন কম্প্রিহেনসিভ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপের অগ্রগতি। একটি সূত্রের (PM Modi) খবর, ভারত ও ব্রিটেন এই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করবেন বাকিংহামশায়ারের চেকার্সে। ষোড়শ শতকের এই প্রাসাদোপম বাড়িটি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কান্ট্রি রেসিডেন্স। স্টার্মারের পাশাপাশি ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের পরে চলতি বছরের দীপাবলির আগে ভারত সফরে আসবেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্টার্মার। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, “সফরের সময় মোদি-স্টার্মারের সঙ্গে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কের সমগ্র পরিসর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন। তাঁরা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও মত বিনিময়ও করবেন (PM Modi)।”

    চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা ঘোষণা হয়েছিল আগেই

    উল্লেখ্য, গত ৬ মে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টার্মার এই চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সরকারি বিবৃতিতে (FTA) বলা হয়েছিল, “টেলিফোনে মোদি-স্টার্মার আলোচনার পরে চূড়ান্ত হয়েছে চুক্তির রূপরেখা।” তার পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন, “বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এই চুক্তি নির্ণায়ক ভূমিকা নেবে।” এক্স হ্যান্ডেলে করা পোস্টে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টার্মার লিখেছিলেন, “একটি শক্তিশালী ও নিরাপদ অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রস্তুত করা, বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে সমন্বয় গড়ে তোলা ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাধা কমানোই আমাদের পরিবর্তিত পরিকল্পনার অংশ।”

    কে কী রফতানি করে

    মনে রাখতে হবে, ভারত ব্রিটেনে রফতানি করে চর্মজাত জিনিস, কাপড়, জুতো, খেলনা, সামুদ্রিক পণ্য, দামি জহরত এবং গয়না। আর ভারত ব্রিটেন থেকে আমদানি করে স্কচ হুইস্কি, জিন, জাগুয়ার, ল্যান্ডরোভারের মতো গাড়ি, মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি, প্রসাধনী, চকোলেট এবং নরম পানীয়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ দ্বিগুণ হতে পারে। তবে স্থানীয়দের স্বার্থের কথা ভেবে আপেল, চিজ, দুগ্ধজাত পণ্য চুক্তির আওতায় আনেনি ভারত। আর তাই এগুলি আমদানির ক্ষেত্রে মিলবে না কর ছাড় (PM Modi)।

    প্রসঙ্গত, দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর তাতে অনুমোদন দিতে হবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাকে। ছাড়পত্র লাগবে ব্রিটেনের পার্লামেন্টেরও। তবেই কার্যকর হবে চুক্তি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে এফটিএ স্বাক্ষরিত হওয়ার পর তা কার্যকর হতে বছরখানেক সময় লাগবে (FTA)।

  • Shamik Bhattacharya: তৃণমূলের নয়া হাতিয়ার বাঙালি অস্মিতা, মমতাকে ধুয়ে দিলেন শমীক

    Shamik Bhattacharya: তৃণমূলের নয়া হাতিয়ার বাঙালি অস্মিতা, মমতাকে ধুয়ে দিলেন শমীক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোঁতা হয়ে গিয়েছে মুসলমানদের নিয়ে তৃণমূলের তৈরি করা হাতিয়ার। তাই এবার নয়া অস্ত্র তৈরি করে ফেলেছেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছাব্বিশের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে সোমবারই ছিল শেষ ২১ জুলাই। এদিন ধর্মতলার জনসভায় (পোশাকি নাম শহিদ দিবস। তবে এটা বললে যাঁরা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন, তাঁদের অপমান করা হয়। কারণ যেদিনের ঘটনা নিয়ে এদিন তর্পণ (!) করা হল, সেটি ছিল আদতে একটি নিখাদ রাজনৈতিক কর্মসূচি, তাও তৃণমূলের নয়, যুব কংগ্রেসের। কংগ্রেসের দাবি, তাদের কর্মসূচিকে হাইজ্যাক করা হয়েছে।) আগামী বিধানসভা নির্বাচনের সুর বেঁধে দিয়েছেন।

    তুরুপের তাস বাঙালির অস্মিতা (Shamik Bhattacharya)

    ওই নির্বাচনে তৃণমূলের তুরুপের তাস যে হতে যাচ্ছে বাঙালির অস্মিতা, এদিন তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো স্বয়ং। ধর্মতলার সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। বরং এজন্য তৃণমূল নেত্রীকেই কাঠগড়ায় তোলেন শমীক। এদিন রোদ ঝলমলে দিনে যখন কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা অবরুদ্ধ করে দিয়েছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা, তখন দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি বলেন, “অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের (মায়ানমারের মুসলমান) আশ্রয় দিচ্ছে তৃণমূল। ওদের আমরা তাড়াবই।”

    কী বললেন শমীক?

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে নিশানা করে শমীক বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস বাংলা ভাষাকে আক্রমণ করছে। তৃণমূল কংগ্রেস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আক্রমণ করছে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা বন্দে মাতরমকে আক্রমণ করেছেন। আক্রমণ করেছেন ঋষি বঙ্কিমচন্দ্রের অমর সৃষ্টিকে।” তিনি (Shamik Bhattacharya) বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসকে ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কংগ্রেসের যে হিন্দু সাংসদরা নিজেদের অবস্থান বদল করে পশ্চিমবঙ্গ সৃষ্টির পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন, সেই ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।” তৃণমূল নেত্রীর দাবিকে কটাক্ষ করে শমীক বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী না কি ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমিয়ে দিয়েছেন! বেকারত্ব কমেছে কীভাবে? চপ শিল্প, চায়ের দোকানকে এমএসএমই-র মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে পরিসংখ্যান বিকৃত করা হচ্ছে।”

    মমতাকে গুচ্ছের প্রশ্ন শমীকের

    তৃণমূল নেতৃত্বের দিকে এদিন এক গুচ্ছ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Shamik Bhattacharya)। শমীক বলেন, “কত পরিযায়ী শ্রমিক পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে ভিনরাজ্যে কাজ করছেন? পশ্চিমবঙ্গের মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা কেন পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন?” তিনি বলেন, “সামান্যতম আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর অভিভাবকরা তাকে ভিন রাজ্যে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। কেন বেঙ্গালুরু শহরের দ্বিতীয় কথ্য ভাষা বাংলা? কেন সেখানে ১৪ লাখ ৬০ হাজার ছেলেমেয়ে চাকরি করছে? তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে কত মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন?”

    অনুপ্রবেশ ইস্যুতেও তৃণমূলকে তুলোধনা

    অনুপ্রবেশ ইস্যুতেও তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়েছেন শমীক (Shamik Bhattacharya)। তিনি বলেন, “যাঁরা এক সময় এ দেশ ছেড়ে ও দেশে চলে গিয়েছিলেন, তাঁরা আবার ফিরে আসছেন। যাঁরা এই দেশটাকে ‘দার ইল হর্ব’ বলতেন, ‘নাপাক’ বলতেন, যাঁরা ওপারে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করে আবার এখানে এসে ঢুকেছেন, আমরা তাঁদের চিহ্নিত করতে চাই। তাঁদের ফেরত পাঠাতে চাই (TMC)।” বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “সিপিএমের সময় থেকে যেভাবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার লিস্টে নাম তোলা হয়েছিল, রেশন কার্ড পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল, খাস জমি পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেই একই পথ অনুসরণ করে সেটাকে আরও কদর্যভাবে বাস্তবায়িত করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। রোহিঙ্গাদের ডেকে এনে বিভিন্ন জায়গায় বস্তিতে বসানো হয়েছে। কলকাতার ভিতরে বসানো হয়েছে। বিধাননগরে বসানো হয়েছে।”

    রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও প্রশ্রয়

    তিনি (Shamik Bhattacharya) বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব জেলায় রোহিঙ্গাদের বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিল, সেখানকার কক্সবাজারের কী অবস্থা? ওপারে সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হচ্ছেন, আর পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি সীমান্তবর্তী জেলায় সংখ্যালঘুরা উৎসব পালন করছেন!” এদিন ধর্মতলার সমাবেশে বিদ্যুৎ ও জলের সংযোগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। সে প্রসঙ্গে শমীক বলেন, “যেখানে বিজেপির সরকার রয়েছে, সেখানে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে চলা হয়। ধর্মতলায় একটি লাইন থেকে যেভাবে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ছড়ানো হয়েছিল, সেই জন্যই সংযোগ কাটা হয়েছে।”

    কী বললেন শুভেন্দু?

    এদিকে, এদিন শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপির যুব মোর্চা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উত্তরবঙ্গ রওনা (Shamik Bhattacharya) হওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শুভেন্দু। তৃণমূলের শহিদ দিবসকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “ওটা সভা নয়, ওখানে পাগলু ডান্স হবে।” শুভেন্দু বলেন, “দেখছেন না নাচতে নাচতে আসছে। জলঙ্গি থেকে বাসের ভেতরে (TMC) নাচতে নাচতে আসছে বাজনা বাজিয়ে। পুরুলিয়া থেকে জোর করে যাদের আনা হয়েছিল, তারা ইতিমধ্যেই পালিয়েছে।”

  • Untraceable Voters: ১১ হাজার ভোটারের অস্তিত্বই নেই! বিহারে মিলল চমকপ্রদ তথ্য

    Untraceable Voters: ১১ হাজার ভোটারের অস্তিত্বই নেই! বিহারে মিলল চমকপ্রদ তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকা সংশোধনের লক্ষ্যে বিহারে বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) অভিযান চালাচ্ছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। সেখানেই মিলল অভিনব তথ্য (Untraceable Voters)। জানা গিয়েছে, প্রায় ১১ হাজার ভোটারকে চিহ্নিতই করা যাচ্ছে না। তাঁদের দেওয়া ঠিকানায় কোনও বাড়ি নেই, তাঁদের (Infiltration) সম্পর্কে কিছু জানেন না প্রতিবেশীরাও। ঘটনার প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের এক কর্তা জানান, এই ১১ হাজার ভোটার সম্ভবত বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী, যারা বিহারে ভুয়ো ভোটার কার্ড তৈরি করেছে। যদিও বিহার নয়, তারা বসবাস করছিল আশপাশের রাজ্যগুলিতে। বিশেষ নিবিড় সংশোধন অভিযানের এই বিস্ফোরক তথ্য রাজ্যের রাজনীতিতে বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ রিপোর্ট অনুযায়ী, তারা জাল ভোট দিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়া বিঘ্নিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

    ভোটার তালিকা ‘শুদ্ধিকরণ’ (Untraceable Voters)

    নির্বাচন কমিশনের মতে, এই অনিয়মগুলির পেছনে আগের পর্যালোচনার সময় অবহেলা বা দুর্নীতি দায়ী, যার ফলে অননুমোদিত ব্যক্তিরা ভোটার তালিকায় ঢুকে পড়েছে। কিছু ক্ষেত্রে দেওয়া ঠিকানায় কোনও ঘরই ছিল না, এমনকি প্রতিবেশীরাও এই ব্যক্তিদের চেনেন না। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল বিহারের ভোটার তালিকা সম্পূর্ণরূপে ত্রুটিমুক্ত করা এবং নিশ্চিত করা যে শুধুমাত্র যোগ্য ভারতীয় নাগরিকরাই নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। বুথ স্তরের আধিকারিকরা তিনবার করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাই করেছেন। ৭.৯০ কোটির মধ্যে ৯৫.৯২% ভোটারের যাচাই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। তবে রাজ্যের ৪১.৬৪ লক্ষ ভোটারকে তাদের দেওয়া ঠিকানায় গিয়ে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

    ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে মৃতদেরও!

    এসবের মধ্যে ১৪.২৯ লাখ ভোটারকে সম্ভবত মৃত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ১৯.৭৪ লাখ ব্যক্তি স্থায়ীভাবে অন্যত্র চলে গিয়েছেন এবং ৭.৫০ লক্ষ ব্যক্তির নাম একাধিক জায়গায় পাওয়া গিয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, প্রায় ১১ হাজার ভোটারকে ‘আনট্রেসেবল’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে (Untraceable Voters)। এদিকে, এখনও পর্যন্ত প্রচারের ফলে সব মিলিয়ে মোট ৭.১৫ কোটি ফর্ম জমা পড়েছে। এর মধ্যে ৬.৯৬ কোটি ফর্ম ডিজিটালাইজ করা হয়েছে। ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ দিন ২৫ জুলাই। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ১ অগাস্ট। এই ১ অগাস্ট থেকে ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত আপত্তি এবং দাবি গ্রহণ করা হবে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে, ভুলক্রমে অন্তর্ভুক্ত বা বাদ পড়া নামগুলি ৩০ অগাস্টের মধ্যে সংশোধন করা যাবে (Infiltration)।

    রাজনৈতিক বিতর্ক

    জানা গিয়েছে, পুরো প্রক্রিয়াটি পরিচালনার জন্য ১ লাখ ব্লক স্তরের অফিসার, ৪ লাখ স্বেচ্ছাসেবক এবং ১.৫ লাখ বুথ স্তরের এজেন্ট নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। নির্বাচন কমিশনের দাবি, যেন কোনও যোগ্য ভোটার বাদ না পড়েন, তা নিশ্চিত করতে সমস্ত সম্ভাব্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তবে এই প্রচার রাজনৈতিক বিতর্কও সৃষ্টি করেছে। বিরোধী জোট ইন্ডি ব্লকের তরফে একে “ভোট নিষেধাজ্ঞা” বলে অভিহিত করা হয়েছে। তারা একে এনডিএ-র একটি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছে। যদিও বর্তমানে সুপ্রিম কোর্ট এই মামলাটি পর্যালোচনা করছে। নির্বাচন কমিশনকে আধার কার্ড, রেশন কার্ড এবং ভোটার আইডি সহ যাবতীয় নথিপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছে (Untraceable Voters)।

    অনুপ্রবেশকারী আটক

    অন্যদিকে, বিশেষ নিবিড় সংশোধন অভিযানের মাধ্যমে আর একটি চমকপ্রদ তথ্যও সামনে এসেছে। বুথ লেভেল অফিসাররা নেপাল, বাংলাদেশ এবং মায়ানমার থেকে আসা বেশ কিছু বিদেশিকে আটক করেছেন। এদের কাছে মিলেছে ভারতীয় নথিপত্র যেমন আধার কার্ড, রেশন কার্ড ও বসবাসের জন্য শংসাপত্র। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরেই শুরু হয়েছে তদন্ত। বিদেশিরা কীভাবে এসব সরকারি নথি জোগাড় করল তা জানতেই শুরু হয়েছে তদন্ত (Untraceable Voters)।

    বিশেষ অভিযান চালানোর ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের

    প্রসঙ্গত, জাতীয় নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে যে ১ অগাস্ট থেকে ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত একটি বিশেষ অভিযান চালানো হবে। ওই অভিযানে যেসব ব্যক্তিকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে শনাক্ত করা হবে, তাদের নাম চূড়ান্ত ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। বিহার রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন হওয়ার কথা চলতি (Infiltration) বছরের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে। তার আগে ‘শুদ্ধিকরণ’ করতে গিয়ে উঠে এল বিস্তর গরমিলের কথা। স্বাভাবিকভাবেই এই মুহূর্তে দেশবাসীর নজর বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলের দিকে। কারণ এতদিন এই ভুয়ো ভোটাররাই ছিল অন্যতম নির্ণায়ক শক্তি। তাদের ভোট পেয়ে রাজ করেছে কারা, সেই রহস্যেরই পর্দা ফাঁস হবে এবার (Untraceable Voters)।

  • Uttarakhand: কেদার-পথে ঘোড়া চালিয়ে চলত সংসার, সেই ছেলেই সুযোগ পেলেন মাদ্রাজ আইআইটিতে

    Uttarakhand: কেদার-পথে ঘোড়া চালিয়ে চলত সংসার, সেই ছেলেই সুযোগ পেলেন মাদ্রাজ আইআইটিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন আক্ষরিক অর্থেই গোবরে পদ্মফুল ফোটার কাহিনি! উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) কেদারনাথ ধামের খাড়াই তীর্থপথে ঘোড়া ও খচ্চর চালিয়ে নিজের পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করতেন। এরই ফাঁকে ফাঁকে চালিয়ে গিয়েছেন পড়াশোনা। শেষমেশ সফল হল স্বপ্ন।

    হার্ডল পার করে চমক (Uttarakhand)

    মাদ্রাজ আইআইটিতে (IIT Madras) অতুল কুমার নামের ওই ঘোড়ার মালিক পেলেন পড়াশোনার সুযোগ। যা বহু ভারতীয় ছাত্রছাত্রীর স্বপ্ন, সেই হার্ডলই পার করে সবাইকে চমকে দিলেন অতুল। আইআইটি-জেএএম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ওই কলেজে ভর্তি হয়েছেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে অতুল বলেন, “উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ি এক সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছি। প্রথমে তো জানতামই না আইআইটি কী। ছোটবেলায় জলের সংকট আর সচেতনতার অভাবে বড় কিছু স্বপ্ন দেখার সুযোগই হত না। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ায় আমার আগ্রহ ছিল না। পরে একজন শিক্ষক আমায় আইআইটিতে মাস্টার্স করার পরামর্শ দেন। তারপরেই সব কিছু বদলে যায়।”

    অতুলের লড়াই

    অতুল বলেন, “জুলাই মাসে আমি পড়াশোনা শুরু করি। কেদারনাথ থেকে ফিরে আসার পর। গোটা জুন মাসটা আমি কেদারনাথেই ছিলাম। সেখানে কাজ করছিলাম। কোনও নেটওয়ার্কও ছিল না। আমরা তাঁবুতে থাকতাম, তাই পড়াশোনা করা সম্ভব ছিল না।” তিনি বলেন, “আমার বন্ধু মহাবীর যে আগে এই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল, সে আমায় অনেক সাহায্য করেছে। সে তার নিজের নোটস শেয়ার করেছে। জানুয়ারি মাস পর্যন্ত আমি নিয়মিত পড়াশোনা করি। ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা দিই।” অতুল বলেন, “আমার সব চেয়ে বড় প্রেরণা ছিল জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে এসে নিজের জন্য ভালো কিছু তৈরি করা।” তিনি বলেন, “বাবার ঘোড়ার সহকারি হিসেবে কাজ করেন। সেটাই আমাদের রোজগারের একমাত্র পথ ছিল। ছুটির সময় আমি তাঁকে সাহায্য করতাম। আমার দিদির বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছোট বোন সম্প্রতি পড়াশোনা শেষ করেছে (Uttarakhand)।”

    আইআইটি মাদ্রাজে সুযোগ পেয়ে কেমন লাগছে, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের উত্তরে অতুল বলেন, “প্রতিক্রিয়া এতটাই দারুণ ছিল যে নিজের আনন্দের চেয়েও বেশি স্পর্শ করেছে অন্যদের খুশির অভিব্যক্তি। শিক্ষক থেকে শুরু করে যাঁরা কখনও আমায় পড়াননি, তাঁরাও পর্যন্ত ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন (IIT Madras)। নিজের সম্প্রদায়ের গর্বের কারণ হতে পেরে ভালো লাগছে (Uttarakhand)।”

  • India Maldives Relation: বরফ গলছে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের! দ্বীপরাষ্ট্রে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

    India Maldives Relation: বরফ গলছে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের! দ্বীপরাষ্ট্রে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরফ গলছে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের! দু’দিনের দ্বীপরাষ্ট্র (Island Nation) সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (India Maldives Relation)। ২৫ জুলাই গিয়ে তিনি ভারতে ফিরবেন পরের দিন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধানমন্ত্রীর এই সফর ভারত ও তার প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন ও জোরদারের একটি গুরুত্বপূর্ণ চেষ্টা। এটি হবে মোদির তৃতীয় মলদ্বীপ সফর। আরও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হল, চিন-প্রেমী মহম্মদ মুইজু রাষ্ট্রপতি হিসেবে মলদ্বীপের দায়িত্ব নেওয়ার পর কোনও রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের এটি প্রথম আনুষ্ঠানিক সফর।

    মোদি যাচ্ছেন ব্রিটেনেও (India Maldives Relation)

    মলদ্বীপ সফরে যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যাবেন দু’দিনের ব্রিটেন সফরে। ২৩-২৪ জুলাই তিনি সে দেশে যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের আমন্ত্রণে। এটি হবে মোদির চতুর্থ ব্রিটেন সফর। সেখানে তিনি স্টারমারের সঙ্গে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কের সব দিক নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করবেন। এর মধ্যে যেমন থাকবে বাণিজ্য, প্রযুক্তি, শিক্ষা, প্রতিরক্ষা, তেমনি থাকবে জলবায়ু পরিবর্তনও। ভারতের প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎ করবেন রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গেও। তবে গোটা দেশের নজর আপাতত নিবদ্ধ প্রধানমন্ত্রীর মলদ্বীপ সফরের দিকেই।

    মোদিকে গুরুত্ব দিচ্ছে মলদ্বীপ

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর মলদ্বীপ সফর প্রতীকী তো বটেই, কৌশলগত দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। মলদ্বীপের ৬০তম স্বাধীনতা দিবসে (২৬ জুলাই) ‘গেস্ট অফ অনার’ হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তিনি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তাই এটি একটি সরকারি সফর নয়, বরং এর মধ্যে গভীর কূটনৈতিক বার্তাও নিহিত রয়েছে (Island Nation)। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন চিন-প্রেমী মুইজ্জু। তার পরেই প্রথা ভেঙে ভারতের বদলে (India Maldives Relation) তিনি প্রথমেই চলে যান চিন সফরে। পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে অবমাননাকর মন্তব্য করেন মুইজ্জু সরকারেরই তিন মন্ত্রী। ‘ইন্ডিয়া আউট’ আওয়াজও ওঠে মুইজ্জুর দেশে। এই সবের জেরে চিড় ধরে ভারত-মলদ্বীপ বন্ধুত্বের দীর্ঘদিনের সম্পর্কে। ভারতীয় পর্যটকরা ‘বয়কট মলদ্বীপে’র ডাক দেন। এর পরেই জমে যায় খেলা! মুখ থুবড়ে পড়ে পর্যটন-নির্ভর এই দেশটির অর্থনীতি। কারণ মলদ্বীপে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের ৮০ শতাংশই ভারতীয়। বিপদের আঁচ পেয়ে ভারতীয় পর্যটকদের ফের মলদ্বীপমুখী করে তুলতে উদ্যোগী হয় মুইজ্জু প্রশাসন।

    ‘ইন্ডিয়া আউট’ আন্দোলন

    উল্লেখ্য, এই মুইজ্জুই তাঁর নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে ‘ইন্ডিয়া আউট’ আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন। এর পরে দুই দেশই পুরানো বন্ধুত্বের সম্পর্ক ফের মজবুত করার চেষ্টা করে। ভারত মলদ্বীপে নিযুক্ত বিমান পরিচালনায় সাহায্যকারী সেনা সদস্যদের পরিবর্তে টেকনোলজিস্ট পাঠানোর প্রস্তাব দেয়। আর নয়াদিল্লি মলদ্বীপকে (Island Nation) দেয় মুদ্রা বিনিময়ের সুবিধা। ২০২৫ সালের বাজেটে মলদ্বীপকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয় ৬০০ কোটি টাকা (India Maldives Relation)। গত বছর এই সাহায্যের পরিমাণ ছিল ৪৭০ কোটি টাকা।

    ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে চিড়

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের এই পদক্ষেপগুলি সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে একটা বড় পদক্ষেপ। বস্তুত, এতেই মিলিয়ে যেতে থাকে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের চিড়। ২০২৪ সালের ৯ জুন মুইজ্জু ভারতে আসেন, যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। ভারত সফর শেষে মলদ্বীপে ফিরে গিয়ে মুইজ্জু এই সফরকে ‘সফল’ বলে মন্তব্য করেন। ভারতের তরফে আমন্ত্রণ পেয়ে তিনি যে আনন্দিত, তাও জানান মুইজ্জু। পরে তিনি ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের উন্নতিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। জানিয়ে দেন, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জন্য খুব শীঘ্রই ফের ভারত সফরে যাবেন তিনি (Island Nation)।

    মলদ্বীপ ও চিনের সম্পর্ক    

    গত এক দশকে মলদ্বীপ ও চিনের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে, বিশেষত চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অধীনে থাকায়। ২০১৪ সালে চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে অংশ নেওয়ার পর থেকে মলদ্বীপ চিনা ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে প্রায় ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ নিয়েছে, যা দেশটির মোট সরকারি ঋণের প্রায় ২০ শতাংশ। চিন মলদ্বীপে বিশাল পরিকাঠামোগত প্রকল্প, যেমন ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চিন-মলদ্বীপ মৈত্রী সেতুতে অর্থায়ন করেছে (India Maldives Relation)। ভারত মহাসাগরের একটি গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথের পাশে অবস্থিত মলদ্বীপ। এখান দিয়েই চিনের প্রায় ৮০ শতাংশ তেল আমদানি হয়। বিশ্লেষকদের মতে, বেজিং চায় মালেতে (মলদ্বীপের রাজধানী) এক অনুকূল সামরিক উপস্থিতি বজায় থাকুক, যাতে পারস্য উপসাগর থেকে তেল আমদানির পথ সুরক্ষিত থাকে (Island Nation)।

    ভারত মহাসাগরে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা

    চিনের এই পদক্ষেপে প্রমাদ গোণেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা লক্ষ্য করেন, চিন মলদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলির মাধ্যমে ভারত মহাসাগরে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। এটি ভারতের আঞ্চলিক প্রভাবের জন্য হুমকির কারণ হতে পারে। তবে এখন বদলাচ্ছে ভূ-রাজনৈতিক ছবি। চিনের ঋণের বোঝা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতে শুরু করেছে শ্রীলঙ্কা ও মলদ্বীপ। অর্থনৈতিক সংকট ও ঋণসংকটে ভুগতে থাকা মলদ্বীপ এখন বুঝতে পেরেছে তার প্রকৃত বন্ধু কে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তাই ফের ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার দিকে ঝুঁকছে মুইজ্জুর দেশ (India Maldives Relation)।

  • Drug Queen: ‘সুলতানপুরীর ড্রাগ কুইনে’র বাড়িতে হানা দিল্লি পুলিশের

    Drug Queen: ‘সুলতানপুরীর ড্রাগ কুইনে’র বাড়িতে হানা দিল্লি পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সুলতানপুরীর ড্রাগ কুইনে’র (Drug Queen) প্রাসাদোপম বাড়িতে হানা দিল্লি পুলিশের। বাজেয়াপ্ত প্রায় ৪ কোটি টাকার সম্পত্তি। উত্তর-পশ্চিম দিল্লির সুলতানপুরী এলাকার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা কুসুমের ওই বাড়ি থেকেই (Mini Mansion) মাদক চক্র চালানো হত বলে অনুমান পুলিশের। গত মার্চ মাস থেকেই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে কুসুম। মার্চ মাসেই সুলতানপুরীর ওই বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় তার ছেলেকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় বিপুল পরিমাণ মাদক ও নগদ অর্থ। পুলিশ সূত্রে খবর, সুলতানপুরীর ড্রাগ কুইনের মোট ৮টি অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭টিই রয়েছে সুলতানপুরীতে, একটি রোহিণীর সেক্টর ২৪-এ। কুসুমের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই এনডিপিএস আইনের অধীনে ১২টি মামলা নথিভুক্ত রয়েছে। সূত্রের খবর, উত্তর-পশ্চিম দিল্লি, বিশেষত সুলতানপুরী অঞ্চলে অবৈধ মাদক সরবরাহ চক্রের মূল চক্রীই এই কুসুম।

    তল্লাশিতে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ মাদক (Drug Queen)

    জানা গিয়েছে, মার্চ মাসে পুলিশের ওই তল্লাশিতে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ হেরোইনের প্যাকেট, ট্রামাডল নামের মাদক হিসেবে ব্যবহৃত ওষুধ, নগদ ১৪ লাখ টাকা এবং একটি মাহিন্দ্রা স্করপিও গাড়ি। তার পরেই পুলিশ জানতে পারে, এই মাদক চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত। তদন্তে নেমে পুলিশ সুলতানপুরীর একটি বহুতলের হদিশ পায়। সেখানে ভেতরের দেওয়াল ভেঙে চারটি আলাদা আলাদা ফ্ল্যাটকে এক করে গড়ে তোলা হয়েছে একটি চারতলা প্রাসাদোপম মিনি ম্যানশন। বাইরে থেকে বোঝার উপায়ই নেই, যে বাড়িটি এত বিশাল।

    সন্দেহের তালিকায় কুসুমের দুই মেয়েও

    তদন্তকারীদের সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন কুসুমের (Drug Queen) দুই মেয়েও। তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দেখতে গিয়ে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় পুলিশের। গত ১৮ মাসে ড্রাগ কুইনের মেয়েদের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে প্রায় ২ কোটি টাকা জমা পড়ছে। তবে এক সঙ্গে নয়। জমার অঙ্ক ঘোরাফেরা করেছে ২ থেকে ৫ হাজারের মধ্যে। এভাবে এ বছরই প্রায় ৭০ লাখ টাকা জমা পড়েছে। তাঁদের অ্যাকাউন্টে এত টাকা কোথা থেকে এল, তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি কুসুমের মেয়েরা।

    জানা গিয়েছে, পুলিশ কুসুমের এই বাড়ি সংক্রান্ত তথ্য (Mini Mansion) দিল্লি পুরসভাকে পাঠিয়েছে। বাড়িটির বৈধতা ও অনুমোদন সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখছে দিল্লি পুরসভা (Drug Queen)।

     

  • Pakistan: “আমরা টিআরএফ-কে অবৈধ বলে মনে করি না,” বললেন পাক বিদেশমন্ত্রী দার

    Pakistan: “আমরা টিআরএফ-কে অবৈধ বলে মনে করি না,” বললেন পাক বিদেশমন্ত্রী দার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা টিআরএফ (দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট)-কে (TRF) অবৈধ বলে মনে করি না। প্রমাণ দিন যে তারা পহেলগাঁয়ে হামলা চালিয়েছে। টিআরএফ যে ওই কাজে যুক্ত, তার প্রমাণ দেখান। আমরা এই অভিযোগ মেনে নেব না।” সম্প্রতি নির্লজ্জভাবে কথাগুলি বলেছেন পাকিস্তানের (Pakistan) বিদেশমন্ত্রী ইসহাক দার। টিআরএফ লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হামলা চালিয়ে টিআরএফ বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে খুন করেছে বলে অভিযোগ। ১৮ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র টিআরএফকে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি বিদেশি জঙ্গি সংগঠন এবং বিশেষভাবে মনোনীত আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের তালিকাভুক্ত করেছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আমেরিকার এই ‘দাওয়াই’ ইসলামাবাদের সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষকতার কূটনৈতিক ও কৌশলগত একটি বড় ধাক্কা।

    কী কবুল করলেন দার (Pakistan)

    বর্তমানে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পাকিস্তান। এই অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হয় দু’বছরের জন্য। এদিন দার কবুল করেন, “পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘের সদস্য হিসেবে পহেলগাঁওয়ে হামলার নিন্দা জানানোয় নিরাপত্তা পরিষদের জারি করা বিবৃতিতে টিআরএফের নাম মুছে ফেলতে হস্তক্ষেপ করেছিল।” তিনি বলেন, “আমরা রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিতে টিআরএফের নাম অন্তর্ভুক্ত করার বিরোধিতা করেছি। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন রাজধানী থেকে আমাকে ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তান তা কখনওই মেনে নেবে না।” তিনি বলেন, “টিআরএফের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে এবং পাকিস্তান জিতেছে।”

    হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে বিবৃতি টিআরএফের

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে টিআরএফ নিজেই। ভারত এবং আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও আলাদা আলাদাভাবে লস্কর-ই-তৈবার পরিকাঠামোর সঙ্গে টিআরএফের যোগাযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে। তার পরেও দার (Pakistan) নির্লজ্জভাবে দাবি করেন, “আমরা টিআরএফকে অবৈধ বলে মনে করি না। প্রমাণ দিন যে তারা পহেলগাঁওয়ে হামলা চালিয়েছে। টিআরএফ যে ওই কাজে যুক্ত, তার প্রমাণ দেখান। আমরা এই অভিযোগ মেনে নেব না।” উল্লেখ্য যে, এই মন্তব্যগুলি শুধু পাকিস্তানের (Pakistan) সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে দ্বিচারিতা প্রকাশ করে না, বরং এটি বিশ্বব্যাপী দীর্ঘদিনের উদ্বেগকে ফের নিশ্চিত করে যে, পাকিস্তান এমন একটি দেশ যে রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে (TRF)।

    আমেরিকার প্রতিক্রিয়া

    দারের মন্তব্যের পর কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সে দেশের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিও টিআরএফকে একটি স্বীকৃত বিদেশি জঙ্গি সংগঠন (FTO) এবং বৈশ্বিক সন্ত্রাসে জড়িত বিশেষভাবে মনোনীত ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ঘোষণা করেন। ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “টিআরএফ, যা লস্কর-ই-তৈবার একটি ফ্রন্ট ও প্রতিনিধি গোষ্ঠী, ২২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে পহেলগাঁওয়ে সংঘটিত হামলার দায় স্বীকার করেছে, যেখানে ২৬ জন নিরীহ পর্যটক নিহত হন।” তারা আরও জানিয়েছে যে, টিআরএফ নামের এই গোষ্ঠী গত এক বছরে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর একাধিকবার হামলা চালিয়েছে। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডকে ২০০৮ সালের পর ভারতে নিরীহ মানুষের ওপর সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা বলে উল্লেখ করে রুবিও বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসন আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ রক্ষা এবং সন্ত্রাসবাদের শিকারদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    ট্রাম্প সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল ভারত

    ট্রাম্প সরকারের এই পদক্ষেপকে পাকিস্তানের (Pakistan) জঙ্গি মদতদাতাদের বিরুদ্ধে একটি দৃঢ় পদক্ষেপ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে ভারত। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “লস্কর-ই-তৈবার (LeT) সহযোগী টিআরএফকে বিদেশি জঙ্গি সংগঠন এবং বিশেষভাবে মনোনীত বৈশ্বিক সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণার জন্য সেক্রেটারি রুবিও এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা। এই সংগঠনই ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে হামলার দায় স্বীকার করেছে। সন্ত্রাসবাদের প্রতি জিরো টলারেন্স।” আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, দারের এহেন মন্তব্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে সন্ত্রাসবাদীদের রক্ষায় ইসলামাবাদের কূটনৈতিক ছলচাতুরির মুখোশ খুলে দিয়েছে (TRF)। তারা নিজেরাই নিজেদের ভিকটিম হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে আমেরিকা ভারতের পাশে থাকায় পাকিস্তানের দ্বিচারিতা এখন বৈশ্বিক পর্যায়ে নজিরবিহীন পর্যবেক্ষণের মুখোমুখি বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    কী বলল চিন

    এদিকে, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য মূলত চিনের আপত্তিতেই নিরাপত্তা পরিষদের তরফে জারি করা বিবৃতি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় টিআরএফ এবং লস্করের মতো শব্দগুলি। এর পরেই পাকিস্তান আশা করেছিল, টিআরএফ ইস্যুতেও আমেরিকার অবস্থানের পরে পাকিস্তানের (Pakistan) পাশে থাকবে শি জিনপিংয়ের দেশ। তবে শুক্রবারই চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান সাফ জানিয়ে দেন, “চিন দৃঢ়ভাবে সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা করে এবং ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করে।”

  • Devendra Fadnavis: “প্রতারণার মাধ্যমে তফশিলি জাতির শংসাপত্র পেলে তা বাতিল করা হবে,” সাফ জানালেন ফড়নবীশ

    Devendra Fadnavis: “প্রতারণার মাধ্যমে তফশিলি জাতির শংসাপত্র পেলে তা বাতিল করা হবে,” সাফ জানালেন ফড়নবীশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হিন্দু, বৌদ্ধ অথবা শিখ ধর্ম ছাড়া অন্য কোনও ধর্মাবলম্বী ব্যক্তি প্রতারণার মাধ্যমে তফশিলি জাতির শংসাপত্র পেয়ে থাকেন, তবে তা বাতিল করে দেওয়া হবে।” আইন পরিষদে এমনই মন্তব্য করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ (Devendra Fadnavis)। তিনি বলেন, “এমনকি কেউ যদি এই জাল শংসাপত্রের ভিত্তিতে সরকারি চাকরির মতো ক্ষেত্রে সংরক্ষণের সুবিধা নিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ যদি এই ধরনের ভুয়ো তফশিলি জাতির শংসাপত্র ব্যবহার করে কোনও নির্বাচনে জিতে থাকেন, তাহলে তাঁর সেই জয়ও বাতিল বলে গণ্য করা হবে।” মনোযোগ আকর্ষণের মোশনের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজ্য সরকার জোরপূর্বক ও প্রতারণার মাধ্যমে ধর্মান্তরের ঘটনাগুলির মোকাবিলায় কঠোর আইন আনার পরিকল্পনা করছে (Supreme Court)।”

    ধর্মীয় স্বাধীনতার অপব্যবহার (Devendra Fadnavis)

    প্রসঙ্গত, বিজেপির অমিত গোরখে দাবি করেছিলেন, ধর্মীয় স্বাধীনতার অপব্যবহার করা হচ্ছে “ক্রিপ্টো খ্রিস্টান”দের দিয়ে। তাঁর কথায়, “কিছু মানুষ তফশিলি জাতি শ্রেণির অধীনে সংরক্ষণের সুবিধা নিচ্ছেন, অথচ তাঁরা অন্য ধর্মের অনুসারী।” প্রসঙ্গত, “ক্রিপ্টো খ্রিস্টান” বলতে বোঝানো হয় এমন লোকদের, যাঁরা বাইরে থেকে অন্য কোনও ধর্মের অনুসারী বলে পরিচিত, কিন্তু গোপনে খ্রিস্টান ধর্ম পালন করেন। তিনি বলেন, “বাইরে থেকে দেখতে গেলে তাঁরা এসসি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত এবং সেই হিসেবে তাঁরা সরকারি চাকরির মতো ক্ষেত্রে সংরক্ষণের সুবিধা ভোগ করেন।”

    সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উল্লেখ

    ফড়নবীস বলেন, “২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট একটি রায় দিয়েছিল। সেখানে পরিষ্কার বলা হয়েছে যে তফশিলি জাতিভুক্ত (SC) সংরক্ষণের সুবিধা পেতে পারেন কেবলমাত্র হিন্দু, বৌদ্ধ ও শিখ ধর্মাবলম্বীরাই। অন্য কোনও ধর্মাবলম্বী এই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না।” তিনি বলেন, “যদি হিন্দু, বৌদ্ধ বা শিখ ছাড়া অন্য কোনও ধর্মের কেউ তফশিলিভুক্ত জাতির শংসাপত্র বা সংরক্ষণ সুবিধা নিয়ে থাকেন, তাহলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় তাঁদের বৈধ শংসাপত্র ও জাতি শংসাপত্র বাতিল করা হবে। কেউ যদি এই মিথ্যা শংসাপত্র ব্যবহার করে সরকারি চাকরির সুবিধাও পেয়ে থাকেন, তাহলেও তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে (Devendra Fadnavis)।”

    ভুয়ো জাতি শংসাপত্র

    তিনি বলেন, “যাঁরা ভুয়ো জাতি শংসাপত্র ব্যবহার করে আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকেও সেই অর্থ ফেরত নেওয়ার সুপারিশ করা হবে।” বিজেপি নেত্রী চিত্রা ওয়াঘ বলেন, “এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যেখানে স্বামীর ধর্ম গোপন করে নারীদের প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে করা হয়েছে।” সাঙ্গলির একটি ঘটনার উল্লেখ করেন তিনি বলেন, “সেখানে এক নারী এমন একটি পরিবারে বিয়ে করেছেন যাঁরা গোপনে খ্রিস্টধর্ম পালন করত। ওই নারীকে নির্যাতন করা হয় এবং ধর্ম পরিবর্তনে বাধ্য করা হয়। যার ফলে সাত মাসের গর্ভাবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর (Supreme Court)।”

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “একজন ব্যক্তি যে কোনও ধর্ম অনুসরণ করতে পারেন। তিনি অন্য কাউকে সম্মতির ভিত্তিতে ধর্মান্তরিতও করতে পারেন, তবে বলপ্রয়োগ, প্রতারণা বা প্রলোভনের মাধ্যমে ধর্মান্তর করার অনুমতি আইন আমাদের দেয়নি।” তিনি বলেন, “ধর্মান্তরের জন্য জোরজবরদস্তি বা প্রলোভনের অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি জানান, এই ধরনের ঘটনার মোকাবিলার জন্য রাজ্য সরকার পুলিশের ডিজিপি-র নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছিল। ওই কমিটি তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সরকার সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখবে এবং এমন নতুন আইন আনবে, যাতে জোর করে বা প্রতারণার মাধ্যমে ধর্মান্তর করা না হয় (Devendra Fadnavis)।

    ফড়নবীশের বক্তব্য

    ফড়নবীশ বলেন, “এই ধরনের ঘটনায় ‘ভারতীয় বিচার সংহিতা’-র আওতায় পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। তবে কঠোর আইন প্রস্তাবের জন্যই একটি কমিটি গঠিত হয়েছিল। রাজ্য সরকার এরকম ঘটনাগুলির মোকাবিলায় কঠোর আইন আনতে চায় এবং আমরা এই বিষয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেব।” প্রসঙ্গত, সোমবার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ ভোয়ার বলেছিলেন, “আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে রাজ্য সরকার একটি ধর্মান্তর-বিরোধী আইন আনবে, যা অন্যান্য রাজ্যের অনুরূপ আইনগুলির চেয়ে কঠোর হবে।” বিজেপি বিধায়ক প্রবীণ দারেকারের দাবি, দরিদ্র বস্তি ও অনুন্নত এলাকায় মানুষকে গোপনে ধর্মান্তরিত করার প্রচার চালানো হচ্ছে (Supreme Court)। মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করেন, এই ধরনের ঘটনা বস্তিতে ঘটে থাকে। তবে তিনি স্পষ্ট করে দেন, সম্মতির ভিত্তিতে ধর্মান্তরের ক্ষেত্রে সরকারের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কোনও ইচ্ছেই নেই (Devendra Fadnavis)।

LinkedIn
Share