Author: pranabjyoti

  • Census 2027: জাতীয় জনগণনার ঢাকে পড়ল কাঠি, দুই ধাপে হবে প্রক্রিয়া, দিন ঘোষণা কেন্দ্রের

    Census 2027: জাতীয় জনগণনার ঢাকে পড়ল কাঠি, দুই ধাপে হবে প্রক্রিয়া, দিন ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে ১৬তম জাতীয় জনগণনা। সরকারি নির্দেশিকা জারি করল ১৬ জুন। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ঘোষণা করেছে যে, জনসংখ্যা গণনা দুটি ধাপে যথাক্রমে ১ অক্টোবর, ২০২৬ এবং ১ মার্চ, ২০২৭ তারিখে পরিচালিত হবে। প্রথম ধাপে, যা গৃহতালিকাকরণ অভিযান (HLO) নামেও পরিচিত, সেখানে সম্পদ, পারিবারিক আয়, আবাসন পরিস্থিতি এবং সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। প্রথমবার, উত্তরদাতারা বাড়ি থেকে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন, কারণ আসন্ন আদমশুমারি হবে ভারতের প্রথম ডিজিটাল আদমশুমারি। দ্বিতীয় ধাপ, যা জনসংখ্যা গণনা (PE) নামেও পরিচিত, তাতে পরিবারে বসবাসকারী প্রতিটি ব্যক্তির সম্পর্কে জনসংখ্যাতাত্ত্বিক, আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করবে।

    এর আগে রবিবার দিল্লিতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে জনগণনার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উপস্থিত (Digital Headcount) ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব, রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং ভারতের জনগণনা কমিশনার-সহ একাধিক শীর্ষ আধিকারিক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, সোমবার সরকারি গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শুরু হবে জনগণনা প্রক্রিয়া। স্বাধীন ভারতের এই অষ্টম এবং দেশের ১৬তম জনগণনা একাধিক কারণে ঐতিহাসিক। এই প্রথমবার জনগণনার আওতায় আনা হবে জাতি অনুসারে তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়াও। ২০২৭ সালে যে এই জনগণনা (Census 2027) হবে, তা হবে দেশের সম্পূর্ণ ডিজিটাল এবং কাগজবিহীন জনগণনা।

    কী বললেন শাহ (Census 2027)

    এদিনের বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ১৬ জুন জনগণনা ২০২৭-এর জন্য গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে, যা আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের ১৬তম জনগণনা এবং স্বাধীনতার পর ৮ম জনগণনা হিসেবে শুরু হবে। এই জনগণনাকে ঐতিহাসিক করে তুলেছে একটি বিশেষ দিক—প্রথমবারের মতো এতে জাতিভিত্তিক গণনা অন্তর্ভুক্ত করা হবে, এবং চূড়ান্ত তথ্য প্রকাশ করা হবে মাত্র ৯ মাসের মধ্যে। এটি একটি বড় অগ্রগতি। শাহ বলেন, “আমি ১৬তম জনগণনার প্রস্তুতি নিয়ে প্রবীণ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আগামিকাল গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। এই প্রথমবার জাতিভিত্তিক গণনাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রায় ৩৪ লাখ গণনাকারী ও তদারকি কর্তা এবং প্রায় ১.৩ লাখ জনগণনা কর্মী অত্যাধুনিক মোবাইল ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার করে এই কাজ পরিচালনা করবেন।” তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, পুরো প্রক্রিয়ার প্রতিটি স্তরে তথ্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে সংরক্ষণ পর্যন্ত কঠোর তথ্য নিরাপত্তা বিধি মেনে চলা হবে।

    কোভিড-১৯ অতিমারি

    এই গণনা হবে প্রথম আদমশুমারি যা কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে ২০২০ সালে স্থগিত হয়েছিল। নতুন আদমশুমারির রেফারেন্স তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১ মার্চ, ২০২৭, যা অতিমারি-উত্তর সময়ে দেশের জনসংখ্যার একটি প্রাসঙ্গিক চিত্র দেবে। ২০২৭ সালের জনগণনা দুটি প্রধান ধাপে পরিচালিত হবে। প্রথম ধাপটি হল, হাউসলিস্টিং অপারেশন। এটি শুরু হবে ২০২৬ সালে। এই পর্যায়ে ভারতের শহর ও গ্রামাঞ্চলের ঘরবাড়ির অবস্থা, সুযোগ-সুবিধা এবং গৃহস্থালির সম্পদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। দ্বিতীয় ধাপটি হল জনসংখ্যা গণনা (Digital Headcount)এটি হবে ২০২৭ (Census 2027) সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। এই ধাপে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হবে, যেমন নাম, বয়স, লিঙ্গ, শিক্ষা, ভাষা, বৈবাহিক অবস্থা, পেশা এবং জাতি সম্পর্কিত তথ্যও।

    দ্রুত তথ্য সংগ্রহ

    এই দুই ধাপের কাঠামো তৈরি করা হয়েছে যাতে গৃহ-ভিত্তিক ভৌত পরিকাঠামো ও সেই ঘরে বসবাসকারী মানুষের বিষয়ে বিস্তারিত ও স্তরভিত্তিক তথ্য মেলে। ৩৫ লাখেরও বেশি কর্মীর সহায়তায় এটি হবে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম মানব-নির্ভর তথ্য সংগ্রহ কর্মসূচি। তবে এটি হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল রূপে। জানা গিয়েছে, জনগণনা ২০২৭-এ ব্যবহার করা হবে না প্রচলিত কাগজের ফর্ম ও ক্লিপবোর্ড। এবার গণনাকারীরা ব্যবহার করবেন বিশেষভাবে ডিজাইন করা মোবাইল অ্যাপ, যা ইংরেজি, হিন্দি সহ মোট ১৬টি ভারতীয় ভাষায় মিলবে। এর ফলে দেশের প্রতিটি অংশ — হিমালয়ের কোলের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উপকূলবর্তী শহর পর্যন্ত — সরাসরি ও দ্রুত তথ্য সংগ্রহ করা যাবে।

    জনগণনার অ্যাপ

    ভারতের ইতিহাসে এই প্রথমবার, নাগরিকরাও নিজেদের তথ্য নিজেরাই অ্যাপের মাধ্যমে জমা দিতে পারবেন, যা এই প্রক্রিয়ায় এক অভূতপূর্ব অংশগ্রহণ ও স্বায়ত্তশাসনের সুযোগ এনে দেবে। এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “ভারতের ইতিহাসে এটিই হবে সবচেয়ে আধুনিক ও নির্ভুল জনগণনা (Census 2027)।” জনগণনার এই অ্যাপে থাকবে একাধিক স্মার্ট ফিচার। এগুলি হল, অধিকাংশ প্রশ্নের জন্য প্রাক-কোডেড ড্রপডাউন মেনু, যা বিভ্রান্তি ও তথ্য নথিভুক্ত করার ভুল কমাবে। ইনটেলিজেন্ট ক্যারেক্টার রিকগনিশন, যা যে কোনও হাতে লেখা তথ্যকে ডিজিটাল রূপে রূপান্তর করতে পারবে। কোড ডিরেক্টরি দেবে বর্ণনামূলক উত্তরের জন্য একক বিকল্প। এতে দেশের অঞ্চল ও ভাষাভিত্তিক মান বজায় থাকবে। এই ডিজিটাল রূপান্তর পূর্ববর্তী জনগণনাগুলির একটি বড় প্রতিবন্ধকতা দূর করবে। আগে লাখ লাখ কাগজের ফর্ম ম্যানুয়ালি স্থানান্তর করা হত। পরে তাকে স্ক্যান করতে হত। এসব কারণে ফল প্রকাশে দেরি হত, বাড়ত ভুলের ঝুঁকিও (Digital Headcount)।

    রাজনৈতিক ও সামাজিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ

    ভারতীয় জাতীয় জনগণনার ইতিহাসে ২০২৭ সালের জনগণনা সম্ভবত সবচেয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এতে নয়া সংযোজন হল জাতিভিত্তিক গণনা। এবারই প্রথম জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত জাতিগত তথ্য রেকর্ড করা হবে। দীর্ঘদিন ধরেই এই দাবি করেছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। জাতিগত পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে যাতে সংরক্ষণ নীতি ও কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি আরও ভালোভাবে কার্যকর করা যায়, তাই এই ব্যবস্থা (Census 2027)। এই অন্তর্ভুক্তির ফলে দেশজুড়ে প্রতিনিধিত্ব, সম্পদের বণ্টন এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হতে পারে। যে আলোচনা এতদিন হয়নি নির্ভরযোগ্য তথ্যের অভাবে।

    গোপনীয়তার বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে

    প্রসঙ্গত, ১৮৮১ সাল থেকে ১৯৩১ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ জমানায় জাতগণনা জনগণনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ছিল। তবে ১৯৫১ সালে স্বাধীন ভারতের প্রথম জনগণনার সময় তৎকালীন জওহরলাল নেহরুর সরকার এই প্রথা বন্ধ করে দেয়। সাধারণ জনগণনায় তফশিলি জাতি, উপজাতি মানুষের নানা তথ্য উঠে আসে। তবে ওবিসির বিষয়টি সাধারণ জনগণনায় থাকে না। তাই গত কয়েক বছর ধরে ক্রমেই জোরালো হচ্ছিল জাত গণনার দাবি (Digital Headcount)। যেহেতু এবার আগের চেয়ে ঢের বেশি পরিমাণে ব্যক্তিগত তথ্য, বিশেষ করে সংবেদনশীল তথ্য যেমন জাতিগত পরিচয় ডিজিটালভাবে সংগ্রহ করা হচ্ছে, তাই সরকার কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তথ্য আদান-প্রদানের সময় সম্পূর্ণ এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন, কঠোর প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপদ সংরক্ষণ এ সব একাধিক স্তরের ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে সুরক্ষিত রাখা হবে নাগরিকদের তথ্য। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “গোপনীয়তার বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে এবং তথ্য শুধুমাত্র পরিসংখ্যানগত উদ্দেশ্যেই ব্যবহৃত হবে (Census 2027)।”

    বিশ্বব্যাপী মানদণ্ডে পরিণত হতে পারে

    ভারতের আসন্ন জনগণনা শুধুমাত্র একটি জাতীয় ঘটনা নয়, এটি একটি বিশ্বব্যাপী মানদণ্ডে পরিণত হতে পারে। এটি যদি সফলভাবে বাস্তবায়িত করা যায়, তবে এটি হবে যে কোনও গণতান্ত্রিক দেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ ডিজিটাল গণনার চেষ্টা, যেখানে থাকবে গতি, নির্ভুলতা, অন্তর্ভুক্তি এবং নাগরিক ক্ষমতায়নের এক অনন্য সমন্বয়। এই বিশাল কর্মসূচি অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের জন্য একটি মডেল হয়ে উঠতে পারে। শাহ বলেছিলেন, “আসন্ন জনগণনা হবে ঐতিহাসিক। শুধু কি গণনা করা হচ্ছে সেই জন্য নয়, বরং কীভাবে তা করা হচ্ছে সেটিও গুরুত্বপূর্ণ।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যই তুলে ধরে জনগণনা ২০২৭-এর মূল ভাবনা – এটি শুধুই সংখ্যার হিসেব নয়, বরং ভারতের বিস্তৃত উদ্ভাবনী ক্ষমতার প্রতিফলন।

    প্রসঙ্গত, ২০২৭ সালে যে জনগণনা হবে, তা হবে মোদি জমানার প্রথম জনগণনা। ওই বছরেরই ১ মার্চ থেকে দেশজুড়ে শুরু হয় এই কর্মসূচি (Digital Headcount)। যদিও জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং লাদাখের বেশ কিছু অংশে বছরের সেই সময় তুষারাবৃত থাকায় ২০২৬ সালের অক্টোবর থেকেই ওই অংশে শুরু হয়ে যাবে জনগণনার কাজ (Census 2027)।

  • Smart City: ভুয়ো কোম্পানি খুলে ২,৬৭৬ কোটি টাকার প্রতারণা, দুই ভাইয়ের খোঁজে হন্যে পুলিশ

    Smart City: ভুয়ো কোম্পানি খুলে ২,৬৭৬ কোটি টাকার প্রতারণা, দুই ভাইয়ের খোঁজে হন্যে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেক্সা এভারগ্রিনকাণ্ডে ২ হাজার ৬৭৬ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। স্বল্প বিনিয়োগে বড় অঙ্কের আর্থিক লাভ এবং ফ্ল্যাটের টোপ দিয়ে ৭০ হাজার মানুষকে প্রতারণার অভিযোগ (Smart City) রাজস্থানের (Rajasthan) সুভাষ বিজারানি এবং রণবীর বিজারানির বিরুদ্ধে। এই দুই ভাইয়ের খোঁজে হন্যে পুলিশ।

    ভুয়ো সংস্থা (Smart City)

    জানা গিয়েছে, নেক্সা এভারগ্রিন নামে একটি ভুয়ো সংস্থা খোলে বিজারানি ভ্রাতৃদ্বয়। এই কোম্পানির বিরুদ্ধে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার মামলা রুজু করেছিল রাজস্থান পুলিশ। তার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি গুজরাট ও রাজস্থানের ২৪টি জায়গায় এক সঙ্গে হানা দেন ইডির আধিকারিকরা। তার পরেই ফাঁস হয়ে যায় বিজারানি ভাইদের কীর্তিকলাপ। জানা গিয়েছে, বড় অঙ্কের আর্থিক লাভ ও গুজরাটের ঢোলেরা শহরে স্মার্ট সিটি প্রজেক্টে জমি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে লগ্নিকারী ও আমানতকারীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছেন বিজারানি ভ্রাতৃদ্বয় ও তাদের শাগরেদরা। কয়েক বছর আগে সীকর জেলার বাসিন্দা ওই দুই ভাই ভুয়ো কোম্পানিটি খোলেন। তার পরেই পাতা হয় ফাঁদ। যে ফাঁদে ধরা দিয়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন ৭০ হাজার মানুষ। অভিযোগ, অন্যের হাউসিং প্রজেক্টের ছবি দেখিয়ে বিজারানি ভাইয়েরা দাবি করে, এগুলিই তাদের আগামী দিনের প্রকল্প।

    ফ্ল্যাট এবং জমির টোপ

    তুলনামূলকভাবে সস্তায় ভালো মানের ফ্ল্যাট এবং জমির লোভে প্রচুর মানুষ বিনিয়োগ করতে থাকেন এই দুই ভাইয়ের সংস্থায়। শুধু জমি-বাড়িই নয়, স্বল্প বিনিয়োগে বড় লভ্যাংশের টোপও দেওয়া হয়েছিল বিনিয়োগকারীদের। অভিযোগ (Smart City), এভাবে এজেন্টদের দিয়ে ২ হাজার ৬৭৬ কোটি তোলে ওই সংস্থা। এজেন্টদের কমিশন বাবদ দেওয়া হয় প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা। এরপর প্রতারণার অর্থে অভিযুক্ত সহোদররা কেনে ১৩০০ বিঘে জমি। তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা গত কয়েক বছরে দামি দামি গাড়ি কিনেছে। রাজস্থানে হোটেল করেছে। আমেদাবাদ এবং গোয়ায় অন্তত ২৫টি রিসর্ট গড়েছে। নগদে নেওয়া ২৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে বিভিন্ন ভুয়ো কোম্পানিতে। তার পর আচমকাই ঝাঁপ ফেলে দেওয়া হয় নেক্সা এভারগ্রিনের।

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্র ও গুজরাট সরকার যৌথভাবে তৈরি করছে ঢোলেরা স্মার্ট সিটি। এই প্রকল্পটি (Rajasthan) হতে চলেছে ভারতের বৃহত্তম গ্রিনফিল্ড স্মার্ট সিটি (Smart City)।

  • Bridge Collapsed: খরস্রোতা নদীতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল সেতু, জলের তোড়ে ভেসে গেলেন পর্যটকরা

    Bridge Collapsed: খরস্রোতা নদীতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল সেতু, জলের তোড়ে ভেসে গেলেন পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খরস্রোতা নদীর ওপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল পায়ে চলার সেতু (Bridge Collapsed)। রবিবার দুপুরের ওই ঘটনায় সেতু থেকে ইন্দ্রায়ণী নদীতে পড়ে যান প্রায় ২০ জন। পুলিশ সূত্রে খবর, ৬ পর্যটকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনও খোঁজ মেলেনি ১০-১৫ জনের। তাঁরা জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। মহারাষ্ট্রের পুণের (Pune) ঘটনা।

    ভাঙল খরস্রোতা ইন্দ্রায়ণী নদীর ব্রিজ (Bridge Collapsed)

    পুণের পিম্পরি-চিঞ্চওয়াড় থানা এলাকার কুন্দমালা গ্রামের সৌন্দর্য চোখ জুড়ানো। এখান দিয়েই কুলু কুলু শব্দে বয়ে চলেছে খরস্রোতা ইন্দ্রায়ণী নদী। এই নদীর ওপর পায়ে চলার পুরানো সেতুটি পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের জায়গা। বিভিন্ন ছুটিছাটায় এবং সপ্তাহ শেষের ছুটিতে পর্যটকরা ভিড় করেন নদীর ধারে এবং সেতুর ওপর। এদিনও বেশ কয়েকজন দাঁড়িয়েছিলেন সেতুতে। নদীর পাড়েও ঘোরাঘুরি করছিলেন অনেকে। দুপুরে আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সেতু। সেতু ভেঙে যাঁরা তলিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের সিংহভাগই পর্যটক বলেই আশঙ্কা। স্থানীয় সূত্রের খবর, সেতুর নীচে আটকে রয়েছেন দুই মহিলা। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে স্থানীয় থানার পুলিশকর্মীদের একটি দল। পৌঁছে গিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর একটি দলও। নদীতে তলিয়ে যাওয়া পর্যটকদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

    জরাজীর্ণ সেতু

    এই সেতুটি দীর্ঘদিন ধরেই জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল। অনেক আগেই এই সেতুর ওপর দিয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে যান চলাচল। তবে বর্ষকালে নদীর জল বাড়লে বাড়ে সৌন্দর্যও। ইন্দ্রায়ণীর সেই সৌন্দর্য দেখতেই সেতুতে ভিড় করেন পর্যটকরা। অনুমান, জলের তোড়েই ভেঙে গিয়েছে জীর্ণ সেতুটি। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ৬ জনকে নদী থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে জারি রয়েছে তল্লাশি (Bridge Collapsed)।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, গত দুদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল ওই এলাকায়। এদিন বৃষ্টি খানিক ধরতেই পর্যটকরা চলে যান সেতুর ওপরে। সেতুটি যে জীর্ণ, সেখানে না যাওয়াই ভালো বলে পর্যটকদের সতর্ক করেছিলেন (Pune) স্থানীয়দের অনেকেই। তার পরেও সেতুতে ওঠেন তাঁরা। খানিক পরেই ঘটে বিপত্তি (Bridge Collapsed)।

  • TMC: প্রতি ৫জন হিন্দুর একজন ভোট দেয় তৃণমূলে, তার পরেও রাজ্যে কীভাবে মমতার সরকার?

    TMC: প্রতি ৫জন হিন্দুর একজন ভোট দেয় তৃণমূলে, তার পরেও রাজ্যে কীভাবে মমতার সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি ৫জন হিন্দুর মধ্যে একজন ভোট দেন তৃণমূলকে (TMC)! তার পরেও কীভাবে ১৪ বছর গদি আঁকড়ে পড়ে রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? আসুন, জেনে নেওয়া যাক বছরের পর বছর তৃণমূলের ক্ষমতায় থাকার গুঢ় মন্ত্র।

    দমনমূলক আচরণের শিকার হিন্দুরা (TMC)

    পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা যে বৈষম্য ও দমনমূলক আচরণের শিকার হন, তা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। এ রাজ্যে ইসলামপন্থীদের হাতে হিন্দু সম্প্রদায় বিভিন্ন জায়গায় হামলার শিকার হয়েছে। হিন্দু (Hindus) উৎসব পালনে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। মুসলিম তোষণের কারণে হিন্দুদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তাই অনেক এলাকায় হিন্দুরা কার্যত ‘দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে’ পরিণত হয়েছেন। তার পরেও এ রাজ্যের এক উল্লেখযোগ্য অংশের হিন্দু ভোটার ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ইভিএমে ঘাসফুল আঁকা বোতামে চাপ দেন। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের যেসব এলাকায় মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং যেখানে হিন্দুরা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছেন, সেখানেও হিন্দুদের একটা বড় অংশই ভোট দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে। পশ্চিমবঙ্গে ৭.৬৩ কোটি ভোটারের মধ্যে হিন্দু প্রায় ৫.১৯ কোটি। শতাংশের হিসেবে প্রায় ৬৮।

    ভোটের অঙ্ক

    রাজ্যে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হন প্রায় ৮০ শতাংশ ভোটার। হিন্দু ভোটারদের উপস্থিতি ৬৫ শতাংশের কাছাকাছি। অথচ মুসলিম ভোটারদের উপস্থিতি ৯০ থেকে ৯৪ শতাংশ। অর্থাৎ প্রায় ৩.৩৭ কোটি হিন্দু ভোটার ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এঁদের এক-পঞ্চমাংশেরও কম ভোটার তৃণমূলকে ভোট দেন। অন্তত পরিসংখ্যান সেকথাই বলছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথাই ধরা যাক। ওই ভোটের ফল থেকে জানা যায়, বিজেপি প্রায় ২.৩৩ কোটি ভোট পেয়েছে। শতাংশের হিসেবে ৩৮.৭৩। একথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, যাঁরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন, তাঁরা প্রায় সবাই হিন্দু। মুসলিমরা যে বিজেপিকে ভোট দেননি, তা নয়। তবে তাঁদের সংখ্যা নিতান্তই নগণ্য। এর অর্থ হল, হিন্দুদের প্রায় ৬৯ শতাংশ ((TMC)) – ৩.৩৭ কোটির মধ্যে ২.৩৩ কোটি – ছাপ দিয়েছেন পদ্মফুলে।

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কংগ্রেস ও বাম জোটের ঝুলিতে যে ৬৬.৪৫ লাখ ভোট পড়েছে, তার প্রায় ৭০ শতাংশই হিন্দুদের দেওয়া। অর্থাৎ, প্রায় ৪৬.৫১ লাখ হিন্দু (যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ১৩.৭৭ শতাংশ) কংগ্রেস ও বামপন্থী জোটকে ভোট দিয়েছেন। এভাবে, প্রায় ২.৭৯ কোটি হিন্দু (যাঁরা ভোট দিয়েছেন) (Hindus)  তাঁদের ৮২.৭৭ শতাংশ হয় বিজেপি নয়তো কংগ্রেস-বাম জোটকে সমর্থন করেছেন। এর অর্থ হল, মাত্র ৫৭.৮৭ লাখ হিন্দু (যাঁরা ভোট দিয়েছেন তাঁদের ১৭.২৩ শতাংশ) তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন।

    কীভাবে তৃণমূল জয়ী হয়?

    প্রশ্ন হল, তার পরেও কীভাবে তৃণমূল জয়ী হয়? কীভাবেই বা পর পর তিনটি টার্মে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে তোষণের রাজনীতি নামক চাবিকাঠিতে। কংগ্রেসের ডিএনএ থেকে জন্মানো তৃণমূল জন্মলগ্ন থেকেই হাতিয়ার করেছিল তুষ্টিকরণের রাজনীতিকে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল মেঠো খয়রাতির রাজনীতি। এই দুই কৌশলে জয় অনায়াস হয়েছে তৃণমূলের। ঘাসফুল শিবিরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হল মুসলিম ভোটার। এ রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রায় সবাই ছাপ দেয় ঘাসফুলে (TMC)। অনুমান, ভোট কেন্দ্রে আসা মুসলমান ভোটারদের প্রায় ৯৩ শতাংশই ভোট দেন মমতার দলকে।

    তৃণমূলের ভোটার কারা? 

    গত বছরের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় ৫৮ লাখ ভোট পেয়েছিল। প্রশ্ন হল, এই ৫৮ লাখ হিন্দু ভোটার কেন এমন একটি দলকে সমর্থন করল, যার সরকার তাদের প্রতি নিরাসক্ত এবং হিন্দুদের উদ্বেগের প্রতি বৈরী মনোভাব পোষণ করে? এই ভোটাররা কারা? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, হিন্দু (Hindus)  সম্প্রদায়ের যে অংশ তৃণমূলে ভোট দেয়, তাদের দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। এক, প্রান্তিক এলাকার গরিব মানুষ এবং দুই, শহরের ভদ্রলোক শ্রেণি। যদিও পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে উন্নয়নের ঢাক বাজায়, তবে আদতে রাজ্যটি দারিদ্র্য ও বেকারত্বে পরিপূর্ণ। জীবিকার উপায় খুবই সীমিত। কৃষি আয়ের হ্রাস এবং শিল্প ও পরিষেবা খাতে চাকরির অভাবে তা আরও সংকুচিত হয়ে পড়ছে (TMC)।

    বেঁচে থাকার সংগ্রাম

    গ্রামাঞ্চল এবং আধা-শহরাঞ্চলে বসবাসকারী দরিদ্র জনগণকে জীবিকার সন্ধানে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিতে হচ্ছে। অথবা রাজ্যেই কোনওরকমে বেঁচে থাকার সংগ্রামে লড়াই করে চলেছেন। সমাজবিজ্ঞানী অমিয় বসু বলেন, “চা বা পকোড়া বিক্রির দোকান বসানো, রিকশা বা অটোরিকশা চালানো, বাজারে ছোট জায়গা নিয়ে মাছের দোকান চালানো, ছোটখাটো কন্ট্রাক্ট পাওয়া — এ রকম কাজই হয়ে দাঁড়ায় একমাত্র জীবিকার উপায়, যা কেবলমাত্র ‘দিন আনা দিন খাওয়া’র মতো অবস্থা তৈরি করে। আর এসবের জন্য দরিদ্র জনগণ সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল স্থানীয় তৃণমূল নেতার দয়ার ওপর।” অর্থনীতিবিদ কৌশিক ব্যানার্জীর বক্তব্যও মোটামুটি এক।

    ‘চিল্লার অর্থনীতি’

    তিনি বলেন, “আমি পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিকে বলি ‘চিল্লার অর্থনীতি’। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ এবং শহরের একটা বড় অংশ নগণ্য আয় করে ছোটোখাটো ব্যবসার মাধ্যমে অথবা রিকশা চালিয়ে। রাস্তার ধারে বেআইনিভাবে দোকান বসানো, রিকশা চালানো কিংবা ক্ষুদ্র সরবরাহকারী হওয়ার অনুমতি দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা। তাই এই নেতাকে খুশি রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (Hindus)। সেই কারণেই দরিদ্র্যদের একটা বড় অংশ তৃণমূলকে (TMC) ভোট দেয়।” কৌশিক বলেন, “এর সঙ্গে যুক্ত করুন ছোট অথচ প্রভাবশালী অনুদানগুলোর প্রভাব—যেমন লক্ষ্মীর ভান্ডার, বিধবা ভাতা ইত্যাদি। মহিলাদের ও বিধবাদের অ্যাকাউন্টে যে ১,০০০ টাকা থেকে ১২,০০০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়, বা ছাত্রীদের বছরে দেওয়া ১,০০০ টাকা—এই অঙ্কগুলো হয়তো ছোট মনে হতে পারে। কিন্তু বাংলার মতো দরিদ্র রাজ্যে এই টাকাগুলো দরিদ্র মানুষের জীবনে বিশাল পরিবর্তন এনে দেয়। ফলে তাঁরা বাধ্য হন তৃণমূলকে ভোট দিতে।”

    কুণাল সেনগুপ্তের বক্তব্য

    রাজনৈতিক বিশ্লেষক কুণাল সেনগুপ্ত বলেন, “রাজ্যের গ্রামীণ ও আধা-শহর এলাকায় স্থানীয় তৃণমূল নেতার কথাই শেষ কথা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা মানুষকে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার নির্দেশ দেন। অনেকেই নীরবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে গোপনে সেই নির্দেশ মানেন না, কিন্তু অনেক দুর্বল মানুষ সেই সাহস দেখাতে পারেন না। বিশেষ করে সেই সব বুথে, যেখানে তৃণমূলের এজেন্টরা রাজ্য সরকারের কর্মচারী (যেমন ভোটকর্মী)-দের সঙ্গে মিলে ইভিএমের ওপর কঠোর নজর রাখেন। তার ওপরে তো রয়েছে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ, যা বাংলায় প্রায় স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।” অবসরপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্তা দেবাংশু ঘোষ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বলেন (TMC), “বাংলায় বুথের ভেতরে যেভাবে গোপনে কারচুপি হয়, তা কল্পনাতীত।”

    ভদ্রলোকের ভোট

    শহুরে মধ্যবিত্ত ও শিক্ষিত বাঙালি হিন্দু, যাদের সাধারণত ‘ভদ্রলোক’ বলা হয়, তাঁরা এক দশক আগেও বামফ্রন্টকে ভোট (Hindus) দিতেন। বাম জমানার অবসানের পর তাঁরাই এখন ঝুঁকেছেন তৃণমূলের দিকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক দেবপ্রতিম রায় বলেন, “ভদ্রলোকরা নিজেদের বিজেপির বিরুদ্ধে এক প্রতিরোধশক্তি হিসেবে ভাবেন। তিনি আদর্শগতভাবে বামফ্রন্টকে ভোট দিতে চাইতেন। কিন্তু জানেন বাম এখন খুব দুর্বল এবং অপ্রাসঙ্গিক। তাই বামেদের ভোট দিয়ে তিনি তাঁর ভোট নষ্ট করতে চান না। সেই কারণেই তিনি ভোট দেন তৃণমূলকে (TMC)।”

  • Plane Crash: ২৭ বছর আগে বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েও বেঁচে গিয়েছিলেন ১১এ-র যাত্রী

    Plane Crash: ২৭ বছর আগে বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েও বেঁচে গিয়েছিলেন ১১এ-র যাত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কী অদ্ভূত সমাপতন! দু’জনেই পড়ে গিয়েছিলেন বিমান দুর্ঘটনার (Plane Crash) কবলে। বরাত জোরে বেঁচেও গিয়েছেন দু’জনে। অবাক করার বিষয় হল দু’জনের সিট নম্বরও এক – ১১এ। দু’টি দুর্ঘটনার সময়ের ব্যবধান অবশ্য ২৮ বছরের। ফেরা যাক খবরে, গত ১২ জুলাই আমেদাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভেঙে পড়ে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান। সব মিলিয়ে বিমানে ছিলেন ২৪২ জন। তাঁর মধ্যে বেঁচে গিয়েছেন মাত্র একজন। তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিশ্বাস কুমার রমেশ। তিনি বসেছিলেন বিমানটির ১১এ আসনে।

    ১১এ আসনের যাত্রী (Plane Crash)

    তাইল্যান্ডে বসে রমেশের বেঁচে যাওয়ার খবর জানতে পারেন ঠিক ২৭ বছর আগে এমনই এক বিমান দুর্ঘটনার কবল থেকে বেঁচে ফেরা অভিনেতা-গায়ক জেমস রুয়াংসাক লইচুসাক। ১৯৯৮ সালে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল তাই এয়ারওয়েজের একটি বিমান। টিজি২৬১ নম্বর বিমানটি দক্ষিণ তাইল্যান্ডের সুরাত থানি শহরে অবতরণের চেষ্টা করার সময় মাঝ আকাশেই ভেঙে পড়ে। বিমানটিতে ছিলেন ১৪৬ জন। দুর্ঘটনায় মারা যান ১০১ জন। যাঁরা সে যাত্রায় বেঁচে গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন লইচুসাকও। রমেশের মতো তিনিও বসেছিলেন ১১এ নম্বর সিটে। বছর সাতচল্লিশের অভিনেতা-গায়ক ফেসবুকে লিখেছেন, “ভারতে বিমান দুর্ঘটনায় জীবিত ব্যক্তি। তিনি আমার মতো একই সিটে বসেছিলেন – ১১এ।”

    ভয়ঙ্কর স্মৃতি

    ঘটনাটি (Plane Crash) নিছকই কাকতালীয়। তবে ভারতের এই বিমান দুর্ঘটনায় অবিশ্বাস্যভাবে একজনের বেঁচে যাওয়ার খবর উসকে দিয়েছে তাইল্যান্ডের লইচুসাকের ভয়ঙ্কর স্মৃতি। যদিও ২৭ বছর আগের সেই দুর্ঘটনা এবং ভারতের এদিনের বিমান দুর্ঘটনার প্রেক্ষিত এবং বিমানও আলাদা আলাদা, তবুও ৪ হাজার ৮০০ কিলোমিটার দূরে বসে লইচুসাকের স্মৃতিতে ভেসে ওঠে সেদিনের ভয়ঙ্কর সব স্মৃতি। বরাত জোরে যেদিন আরও ৪৪ জনের মতোই বেঁচে গিয়েছিলেন তিনিও। তাঁরও সিট নম্বর ছিল ১১এ। তবে দু’টি বিমানের গঠন এবং জাত – দুটোই আলাদা (Plane Crash)।

    তা হোক না, তবে সিট নম্বর তো দু’জনেরই এক!

  • Weather Update: জোড়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে সক্রিয় বর্ষা, বৃষ্টি চলবে কতদিন?

    Weather Update: জোড়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে সক্রিয় বর্ষা, বৃষ্টি চলবে কতদিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ বর্ষা সক্রিয় হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গে (Weather Update)। অন্তত হাওয়া অফিসের খবর এমনই। চারদিনের মধ্যেই বর্ষা (Rainfall) আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি শুরু হলেই এক ধাক্কায় দিনের তাপমাত্রা কমে যেতে পারে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    জোড়া ঘূর্ণাবর্ত (Weather Update)

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণ বাংলাদেশ ও সলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। এই ঘূর্ণাবর্ত থেকে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে দক্ষিণ ওড়িশা পর্যন্ত। পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপাসাগর ও উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে রয়েছে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত। এর প্রভাবেই বঙ্গোপসাগর থেকে ছুটে আসছে প্রচুর জলীয় বাষ্প। তার জেরেই দক্ষিণবঙ্গে তৈরি হয়েছে বৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ। বেশিরভাগ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। হাওয়া অফিস বলছে, রবিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণের সব জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই চব্বিশ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে। বাকি জেলাগুলিতে ঝড় বইতে পারে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে। বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বিক্ষিপ্ত ঝড়বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সোমবার থেকে বাড়বে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। দুই চব্বিশ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টি (Weather Update) হতে পারে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায়।

    ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস উত্তরেও

    কেবল দক্ষিণবঙ্গ নয়, ঝড়বৃষ্টির দাপট বাড়তে চলেছে উত্তরবঙ্গের পাহাড় এবং সমতলেও। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং উত্তর দিনাজপুরে। আজ, রবিবার প্রবল বৃষ্টি হবে দার্জিলিং ও কালিম্পং-এ। বজ্র-বিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস মিলেছে মালদহ এবং দক্ষিণ দিনাজপুরেও। সোম ও মঙ্গলবার উত্তরে কিছুটা বিরতি থাকলেও, বুধবার থেকে ফের সক্রিয় হবে বর্ষা। মালদা এবং দুই দিনাজপুরেও ভারী বৃষ্টি হবে। উত্তরবঙ্গের সব জেলায় বৃষ্টি হতে পারে বৃহস্পতি এবং শুক্রবারও। প্রবল বৃষ্টির কারণে জলস্তর বাড়বে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন নদীর। প্লাবিত হতে পারে নিচু এলাকাগুলি (Rainfall)। ধস নামতে পারে পাহাড়ি এলাকাগুলিতে। মার খেতে পারে কৃষি (Weather Update)।

  • Chhattisgarh: উর্দু এবং ফারসির বদলে এবার পুলিশকে লিখতে হবে হিন্দি শব্দ, ফরমান ছত্তিশগড় সরকারের

    Chhattisgarh: উর্দু এবং ফারসির বদলে এবার পুলিশকে লিখতে হবে হিন্দি শব্দ, ফরমান ছত্তিশগড় সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিল ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজেপি সরকার। এতদিন পুলিশ যেসব উর্দু ও ফারসি শব্দ ব্যবহার করত, সেগুলির পরিবর্তে এবার ব্যবহার করা হবে হিন্দি শব্দ। সাধারণ মানুষ যাতে অনায়াসে শব্দের অর্থ বুঝতে পারেন, তাই এই পরিবর্তন।

    শব্দ বদল (Chhattisgarh)

    সে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র বিভাগের নির্দেশে পুলিশের ডিজি (DGP) রাজ্যের সব জেলার পুলিশ সুপারদের কাছে এই বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন। সেখানে পুলিশ সুপারদের বলা হয়েছে, অভিযোগ দায়ের বা অন্যান্য নথিপত্রে ব্যবহৃত ভাষা আরও সহজ-সরল এবং বোধগম্য করতে। এই চিঠির সঙ্গে ১০৯টি শব্দের একটি তালিকাও দেওয়া হয়েছে, যেখানে পুরানো ও কঠিন শব্দগুলির বদলে প্রস্তাবিত হিন্দি বিকল্প শব্দ ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেমন, ‘হলফনামা’র পরিবর্তে এবার থেকে লিখতে হবে ‘শপথপত্র’, ‘দফা’র বদলে ধারা। ‘ফরিয়াদি’র পরিবর্তে ‘অভিযোগকারী’ লিখতে হবে, আবার ‘চশ্মদীদ’ শব্দের বদলে লিখতে হবে ‘প্রত্যক্ষদর্শী’।

    কী বলছেন উপমুখ্যমন্ত্রী

    ছত্রিশগড়ের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা বলেন, “যখন কোনও সাধারণ মানুষ থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করতে যান কিংবা অপরাধ সংক্রান্ত তথ্য বা অন্য কোনও কাজে যান, তখন তিনি প্রায়ই এফআইআর বা পুলিশের অন্যান্য নথিপত্রে ব্যবহৃত ভাষা নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। পুলিশের নথিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ভাষার শব্দ আমজনতার কাছে অপরিচিত হওয়ায়, তাঁরা নিজেদের বক্তব্য ঠিকঠাক বোঝাতে পারেন না এবং পুরো প্রক্রিয়াটাও ভালোভাবে বুঝতে পারেন না।” তিনি বলেন, “পুলিশের উদ্দেশ্য যদি সাধারণ মানুষের সাহায্য ও সুরক্ষা দেওয়া হয়, তাহলে তাদের ব্যবহৃত ভাষাও এমন হওয়া উচিত যাতে আমজনতা তা অনায়াসে বুঝতে পারেন এবং তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে (Chhattisgarh)।”

    ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে এই পরিবর্তন সম্পর্কে সব অধস্তন কর্তাদের সচেতন করতে হবে এবং এও নিশ্চিত করতে হবে যে এই নির্দেশ যেন স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা হয়ে না থাকে, বরং তার বাস্তব প্রয়োগ প্রতিটি পুলিশ চৌকি, থানা এবং রাজ্যের অফিসে স্পষ্টভাবে দেখা যায়। ছত্তিশগড় পুলিশ (DGP) এখন থেকে শুধুই আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নয়, বরং সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের একটি মাধ্যম হিসেবেও কাজ করবে (Chhattisgarh)।

  • Army Day Parade: মিথ্যে খবরের ভিত্তিতে মোদিকে আক্রমণ কংগ্রেসের, মুখে ঝামা ঘষে দিল হোয়াইট হাউস

    Army Day Parade: মিথ্যে খবরের ভিত্তিতে মোদিকে আক্রমণ কংগ্রেসের, মুখে ঝামা ঘষে দিল হোয়াইট হাউস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) নিশানা করল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ মোদি সরকারের সমালোচনা (Army Day Parade) করেন। ভারতের বৈশ্বিক মর্যাদা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

    কংগ্রেসের পোস্ট (Army Day Parade)

    পোস্টে জয়রাম রমেশ লেখেন, “মোদি সরকার বলছে যে অপারেশন সিঁদুর এখনও চলছে, এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের মার্কিন সেনাবাহিনী দিবসে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকা নিঃসন্দেহে এক গুরুতর উদ্বেগের বিষয়। ট্রাম্প প্রশাসন বারবার এমন বার্তা দিচ্ছে যা শুধুমাত্র এই অর্থেই বোঝা যায় যে, আমেরিকা ভারত ও পাকিস্তানকে সমানভাবে দেখছে। প্রধানমন্ত্রী সদ্য এমন একটি প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়েছেন যারা সারা বিশ্বে আমেরিকা-সহ পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে। সেই মুহূর্তেই ওয়াশিংটন ডিসি থেকে এমন সংবাদ আসছে, যা ভারতের কূটনৈতিক অবস্থানকে আরও অস্বস্তিকর করে তুলছে।” কংগ্রেসের এই নেতা বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর এখন উচিত নিজের একগুঁয়েমি এবং মর্যাদার ভাবনা সরিয়ে রেখে একটি সর্বদলীয় বৈঠক ও সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা, যাতে দেশ তার সম্মিলিত ইচ্ছা স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে পারে এবং দেশের সামনে একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ উপস্থাপন করা যায়। দশকব্যাপী কূটনৈতিক অগ্রগতি যেন সহজে নষ্ট না হয় (Army Day Parade)।”

    মিথ্যে খবর!

    যদিও পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে আমেরিকা আমন্ত্রণ জানিয়েছে — এই খবরটি সর্বৈব মিথ্যে। কারণ হোয়াইট হাউস সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা কোনও বিদেশি সেনা কর্তাকে আমন্ত্রণ জানায়নি। হোয়াইট হাউসের এক কর্তা বলেন, “এটি মিথ্যে। কোনও বিদেশি সামরিক নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।”

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ হওয়া সত্ত্বেও, রমেশ এই খবরের সত্যতা যাচাই করার প্রয়োজন মনে করেননি, যার ভিত্তিতে তিনি ভারতের আন্তর্জাতিক অবস্থানকে খাটো করছিলেন। অবশ্য এই প্রথম (PM Modi) নয় যে, কংগ্রেসের কোনও নেতাকে মিথ্যে প্রচার করতে দেখা গেল। অতীতেও একাধিকবার কংগ্রেস নেতারা এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করেছেন (Army Day Parade)।

  • Manipur: মণিপুরে রিবাট সাফল্য যৌথবাহিনীর, অভিযানে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র

    Manipur: মণিপুরে রিবাট সাফল্য যৌথবাহিনীর, অভিযানে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার (Arms Recovery)। ইম্ফল উপত্যকার পাঁচটি জেলা থেকে ওই অস্ত্র এবং গুলি উদ্ধার হয়েছে। শুক্র ও শনিবারের মধ্যবর্তী রাতে এলাকায় যৌথ অভিযান চালানো হয় মণিপুর পুলিশ, কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী এবং সেনাবাহিনীর তরফে। তার পরেই মেলে অস্ত্রভান্ডারের হদিশ। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এদিন যে জেলাগুলিতে হামলা চালানো হয়, সেগুলি হল – ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিম, বিষ্ণুপুর, কাকচিং ও থৌবল।

    আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার (Manipur) 

    অভিযানে বাহিনী সব মিলিয়ে মোট ৩২৮টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে। এর মধ্যে রয়েছে ১৫১টি সেল্ফ-লোডিং রাইফেল, ৬৫টি ইনসাস রাইফেল, ৭৩টি অন্যান্য অজানা রাইফেল, ৬টি একে সিরিজ রাইফেল, ১২টি লাইট মেশিন গান, ৫টি কারবাইন, ২টি এমপি৫ গান, ২টি আমোঘ রাইফেল, ১টি মর্টার, ৬টি পিস্তল, ১টি এআর-১৫ রাইফেল এবং ২টি ফ্লেয়ার গান। বাহিনী যেসব গুলি বাজেয়াপ্ত করে সেগুলির মধ্যে ছিল ৫৯১টি বিভিন্ন ম্যাগাজিন, ৩ হাজার ৫৩৪টি এসএলআর গুলি, ২ হাজার ১৮৬টি ইনসাস গুলি, ২ হাজার ২৫২টি .৩০৩ রাইফেলের গুলি, ২৩৪টি একে রাউন্ড, ৪০৭টি আমোঘ রাউন্ড, ২০টি ৯মিমি পিস্তলের গুলি, ১০টি গ্রেনেড, ৩টি ল্যাথোড এবং ৭টি ডিটোনেটর।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    প্রশাসনের কর্তারা এই অভিযানকে শান্তি প্রতিষ্ঠা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং সংঘাতপ্রবণ রাজ্যে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার যে চেষ্টা চলছে, তার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক আখ্যা দিয়েছেন। প্রবীণ আধিকারিকরা বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় রেখে চলেছেন। জানিয়ে দিয়েছেন, ফের এই ধরনের অভিযান চালিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ (Manipur) তাঁরা। পুলিশ মণিপুরে শান্তি বজায় রাখার অঙ্গীকার করেছে। এই প্রচেষ্টায় তারা জনগণের সাহায্য চেয়েছে। জনগণের কাছে বেআইনি অস্ত্র সংক্রান্ত যে কোনও সন্দেহজনক কার্যকলাপ বা তথ্য স্থানীয় থানায় অথবা সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুমে জানানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষকে ঘিরে গত দু’বছর ধরে অশান্ত উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুর। এই (Arms Recovery) অস্থিরততার সুযোগ কাজে লাগিয়ে সেখানে সক্রিয় হয়ে উঠেছে চিনপন্থী একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠী। নিষিদ্ধ সেই সব গোষ্ঠীর জঙ্গিদের ধরতে সম্প্রতি সক্রিয়তা বাড়িয়েছে পুলিশ ও সেনা (Manipur)।

  • PM Modi: অপারেশন সিঁদুরের পর এই প্রথম বিদেশযাত্রা, তিন দেশে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    PM Modi: অপারেশন সিঁদুরের পর এই প্রথম বিদেশযাত্রা, তিন দেশে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে কানাডা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেখানে এবার আয়োজন করা হয়েছে জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের (G7 Summit)। ভারত জি৭-এর সদস্য নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমন্ত্রণ পেয়েছেন অতিথি দেশের প্রতিনিধি হিসেবে। কানাডা যাওয়া-আসার পথে আরও দুই দেশে পা রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। এই দেশগুলি হল সাইপ্রাস এবং ক্রোয়েশিয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই সফর নানা দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। তারপর এটাই হবে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বিদেশ সফর। খালিস্তানপন্থী ইস্যুতে ভারত-কানাডা সম্পর্ক ঠেকেছে তলানিতে। তারপর এই প্রথম কানাডায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৬-১৭ জুন কানাডার কানানাস্কিস সফর করবেন। এখানেই হবে জি৭ শীর্ষ সম্মেলন। এতেই যোগ দেবেন তিনি। এই সম্মলেন তিনি বৈশ্বিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভারতের অবস্থান তুলে ধরবেন। এর মধ্যে রয়েছে জ্বালানি নিরাপত্তা, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন।

    বিদেশ সফর শুরু (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) এবারের বিদেশ সফর শুরু হবে ১৫ জুন, রবিবার। ১৫-১৬ জুন তিনি সফর করবেন সাইপ্রাস। ১৬-১৭ জুন তিনি যোগ দেবেন কানাডায় জি৭ সম্মেলনে। ১৮ জুন আনুষ্ঠানিক সফর করবেন ক্রোয়েশিয়া। তারপরেই দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী। ভারত ও কানাডাকে উদ্দীপ্ত গণতন্ত্র হিসেবে বর্ণনা করে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, নয়াদিল্লির বিশ্বাস, জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর পার্শ্ববৈঠক মত বিনিময় এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনর্গঠনের পথ অনুসন্ধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ এনে দেবে।

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের বক্তব্য

    শনিবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “গত সপ্তাহে আমাদের প্রধানমন্ত্রী কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে একটি ফোনকল পেয়েছিলেন। সেই আলাপচারিতায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি প্রধানমন্ত্রীকে জি৭ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানান (G7 Summit)। আপনারা জানেন, সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করা হয়েছে (PM Modi)।”

LinkedIn
Share