Author: pranabjyoti

  • PM Modi: সুশীলা কার্কির সঙ্গে কথা মোদির, নেপালের পাশে থাকার আশ্বাস ভারতের

    PM Modi: সুশীলা কার্কির সঙ্গে কথা মোদির, নেপালের পাশে থাকার আশ্বাস ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান সুশীলা কার্কির (Sushila Karki) সঙ্গে বৃহস্পতিবার কথা বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রধানমন্ত্রীর মতে, এই আলোচনা আন্তরিক এবং গঠনমূলক। ফোনালাপের সময় প্রধানমন্ত্রী নেপালে সাম্প্রতিক মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় গভীর সমবেদনাও জানান। প্রতিবেশী দেশটিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ভারতের সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি। এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে নেপালের পাশে থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী ফের একবার সুশীলাকে ভারতের প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দেন। ১৯ সেপ্টেম্বর নেপালের জাতীয় দিবস উপলক্ষে কার্কি ও নেপালের জনগণকে শুভেচ্ছাও জানান প্রধানমন্ত্রী।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    পরে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী মিসেস সুশীলা কার্কির সঙ্গে আন্তরিক কথোপকথন হয়েছে। সাম্প্রতিক মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় গভীর সমবেদনা জানিয়েছি এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় তাঁর প্রচেষ্টায় ভারতের দৃঢ় সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছি। এছাড়া, আগামীকাল নেপালের জাতীয় দিবস উপলক্ষে তাঁকে এবং নেপালের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি।” প্রসঙ্গত, গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কর্মভার গ্রহণের জন্য কার্কিকে অভিনন্দন জানান এবং তাঁর নিয়োগকে ‘নারী ক্ষমতায়নে’র এক উজ্জ্বল উদাহরণ আখ্যা দেন। মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, “ভারত ও নেপাল যৌথ ইতিহাস, বিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক বন্ধনে আবদ্ধ ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং পালাবদলের সময় নয়াদিল্লি প্রতিবেশী দেশের মানুষের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছে।” তিনি বলেছিলেন, “আমি ১৪০ কোটি ভারতীয়ের পক্ষ থেকে কার্কিকে অভিনন্দন জানাতে চাই। আমি নিশ্চিত যে তিনি নেপালে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির পথ সুগম করবেন (PM Modi)।”

    নেপালের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী

    সুশীলা কার্কি নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। তিনিই প্রথম মহিলা, যিনি নেপালের শীর্ষ আদালতের ওই পদে বসেছিলেন। অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ায় তিনিই হলেন নেপালের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রীও। প্রধানমন্ত্রী পদে তাঁর নিয়োগের কয়েকদিনের মধ্যেই নেপালে অবসান ঘটেছে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার। এই অনিশ্চিয়তার সৃষ্টি হয়েছিল সারা দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে হওয়া জেন জেডের আন্দোলনের জেরে, কেপি শর্মা অলি পদত্যাগে বাধ্য হওয়ার পর (Sushila Karki)।

    নেপালের রাষ্ট্রপতি, শীর্ষ সামরিক কর্তারা এবং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী যুব আন্দোলনকারীদের বৈঠকের পর কার্কিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য মনোনীত করা হয়। রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাওডেল বলেন, “অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী কার্কির নেতৃত্বে গঠিত নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছ’মাসের মধ্যে নতুন সংসদীয় নির্বাচনের আয়োজন করবে (PM Modi)।”

  • ECI: রাহুলের ‘ভোট চুরি’ সংক্রান্ত সব অভিযোগ খারিজ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের

    ECI: রাহুলের ‘ভোট চুরি’ সংক্রান্ত সব অভিযোগ খারিজ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা বর্তমান সাংসদ রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ‘ভোট চুরি’ সংক্রান্ত সব অভিযোগ খারিজ করে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। কমিশনের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, কোনও সাধারণ মানুষ অনলাইনের মাধ্যমে কোনও ভোট মুছে দিতে পারে না। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “রাহুল গান্ধীর করা অভিযোগগুলি মিথ্যে ও ভিত্তিহীন। কোনও সাধারণ নাগরিক অনলাইনের মাধ্যমে কোনও ভোট মুছে দিতে পারে না, যেমনটি রাহুল গান্ধী মনে করছেন। কোনও ভোট মুছে দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ভোটারের বক্তব্য না শুনে তা করা সম্ভব নয় (ECI)।”

    ভিত্তিহীন এবং মিথ্যে (ECI)

    নির্বাচন কমিশন আরও জানিয়েছে, রাহুল গান্ধী কর্তৃক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (CEC) জ্ঞানেশ কুমারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলিও ভিত্তিহীন এবং মিথ্যে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে কংগ্রেসের সদর দফতরে আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে লোকসভার বিরোধী দলনেতা দাবি করেছিলেন, তাঁর কাছে ১০ শতাংশ প্রমাণ আছে যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার ভোট চোরদের রক্ষা করছেন। তিনি বলেন, “একটি গোষ্ঠী সফটওয়্যারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রকৃত ভোটারদের ভুয়ো পরিচয়ে বসিয়ে দিচ্ছে এবং ভোটার তালিকা থেকে তাঁদের নাম মুছে দিচ্ছে।” যদিও নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, ২০২৩ সালে কিছু ভোট মুছে ফেলার জন্য এমন কিছু ‘ব্যর্থ চেষ্টা’ হয়েছিল। কমিশনের নির্দেশে দায়ের করা হয়েছিল অভিযোগও।

    নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য

    নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, “২০২৩ সালে আলন্দ বিধানসভা কেন্দ্রে কিছু ভোটারের নাম মুছে ফেলার ব্যর্থ প্রচেষ্টা হয়েছিল এবং বিষয়টি তদন্তের জন্য নির্বাচন কমিশন কর্তৃপক্ষ নিজেরাই এফআইআর দায়ের করেছিল।” কমিশন আরও জানিয়েছে, কংগ্রেস নেতা বিআর পাটিল ২০২৩ সালে আলন্দ থেকে বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন (ECI)। ২০১৮ সালে ওই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির সুবোধ গুট্টেদার।সম্প্রতি (Rahul Gandhi) এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন, কর্নাটকের আলন্দ কেন্দ্র থেকে ছ’হাজারেরও বেশি ভোটারের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। তিনি বলেন, “কর্নাটকের আলন্দে ৬০১৮টি ভোট কেউ মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল। ২০২৩ সালের নির্বাচনে মোট কতগুলো ভোট মুছে ফেলা হয়েছে, আমরা জানি না, কিন্তু একজন ধরা পড়েছে। এটি ধরা পড়েছে, যেমন বেশিরভাগ অপরাধ ধরা পড়ে, কাকতালীয়ভাবে। ঘটনাটি ঘটেছিল এভাবে যে বুথ লেভেল অফিসার লক্ষ্য করেছিলেন যে তাঁর কাকার ভোটও মুছে ফেলা হয়েছে।”

    খুলে পড়ল কংগ্রেসের রাজনীতির মুখোশ

    প্রসঙ্গত, রাহুল গান্ধীর সাম্প্রতিক ‘ভুল’ কংগ্রেসের রাজনীতির মুখোশ খুলে দিয়েছে। তিনি ক্যামেরার সামনে ভোট চুরির যে প্রমাণ দিয়েছিলেন, যা তৈরি হয়েছিল মায়ানমারে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাহুল গান্ধী যখনই গণতন্ত্রের কথা বলেন, তখনই তার পেছনে লুকিয়ে থাকে একটি বিদেশি ছায়া। রাহুলের (Rahul Gandhi) তথাকথিত ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ যে সর্বৈব মিথ্যে, তা প্রকাশ পেয়েছে মেটাডাটার তদন্তে। তারাই জানিয়েছে, রাহুলের দেওয়া নথিটি ভারতে নয়, তৈরি হয়েছিল মায়ানমারে (ECI)।

  • PM Modi: নিলামে তোলা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর পাওয়া ১৩০০-রও বেশি উপহার, বেস প্রাইস কত জানেন?

    PM Modi: নিলামে তোলা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর পাওয়া ১৩০০-রও বেশি উপহার, বেস প্রাইস কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ-বিদেশ থেকে ১ হাজার ৩০০-রও বেশি উপহার পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এর মধ্যে রয়েছে দেবী ভবানীর একটি মূর্তি, অযোধ্যার রাম মন্দিরের একটি মডেল এবং ২০২৪ প্যারা-অলিম্পিক গেমস থেকে পাওয়া ক্রীড়া স্মারকও। বুধবার থেকে শুরু হওয়া ই-নিলামে (E Auction) তোলা হয়েছে এগুলিই। এদিনই ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৭৫তম জন্মদিন। এদিনই অনলাইনে নিলামের সপ্তম সংস্করণের সূচনা হয়েছে। এই ই-নিলাম চলবে ২ অক্টোবর পর্যন্ত।

    বেস প্রাইস (PM Modi)

    পিএম মেমেন্টোজ ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, দেবী ভবানীর মূর্তিটির বেস প্রাইস ধরা হয়েছে ১ কোটি ০৩ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা, আর রাম মন্দিরের মডেলের বেস প্রাইস ৫.৫ লাখ টাকা। সংস্কৃতি মন্ত্রকের কর্তারা জানান, এই দুটি সামগ্রী-সহ প্যারা-অলিম্পিক পদকজয়ীদের তিন জোড়া জুতো (প্রতিটি জোড়ার বেস-প্রাইস ৭.৭ লাখ টাকা) বেস প্রাইসের দিক থেকে শীর্ষ পাঁচে রয়েছে। ই-নিলামের অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের সূক্ষ্ম সূচিকর্ম করা পশমিনা শাল, রাম দরবারের একটি তাঞ্জোর চিত্রকর্ম, ধাতুর তৈরি নটরাজ মূর্তি, গুজরাটের রঙ্গন আর্টে আঁকা ‘ট্রি অফ লাইফ’ এবং হাতে বোনা নাগা শাল (PM Modi)।

    ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্প

    উল্লেখ্য, ই-নিলামের প্রথম সংস্করণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে। সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “তারপর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া হাজার হাজার অনন্য উপহার নিলামে তোলা হয়েছে, যার মাধ্যমে ৫০ কোটিরও বেশি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের জন্য।” কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং সাংবাদিকদের বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর পাওয়া ১,৩০০-রও বেশি উপহার অনলাইনে নিলামে তোলা হবে।” এসব সামগ্রী প্রদর্শিত হচ্ছে ন্যাশনাল গ্যালারি অফ মডার্ন আর্টে। আগের বছরগুলির মতো এবারও ই-নিলাম থেকে প্রাপ্ত সমস্ত অর্থ ব্যয় করা হবে ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পে। মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, “ই-নিলাম (E Auction) শুধু ইতিহাসের একটি অংশ সংগ্রহের সুযোগই নয়, বরং একটি মহৎ মিশনে অংশগ্রহণের সুযোগও — আমাদের পবিত্র নদী গঙ্গা সংরক্ষণে (PM Modi)।”

  • Saudi Pakistan Defence Pact: ‘‘নিবিড় পর্যালোচনা করা হচ্ছে’’, পাকিস্তান ও সৌদির প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে প্রতিক্রিয়া ভারতের

    Saudi Pakistan Defence Pact: ‘‘নিবিড় পর্যালোচনা করা হচ্ছে’’, পাকিস্তান ও সৌদির প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়েছে সৌদি আরবের সঙ্গে পাকিস্তানের (Saudi Pakistan Defence Pact)। এ ব্যাপারে সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানাল ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, সরকার এই চুক্তি সম্পর্কে অবগত। তিনি একে দুই দেশের দীর্ঘদিনের ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক রূপ হিসেবে বর্ণনা করেন। জয়সওয়াল বলেন, “ভারত এই ঘটনার প্রভাব নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করছে, যাতে জাতীয় নিরাপত্তা ছাড়াও আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার ওপর এর প্রভাব নির্ধারণ করা যায়।”

    ভারতের প্রতিক্রিয়া (Saudi Pakistan Defence Pact)

    সাংবাদিক বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জয়সওয়াল বলেন, “আমরা সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের প্রতিবেদন দেখেছি। সরকার অবগত ছিল যে এই উন্নয়ন, যা দুই দেশের দীর্ঘস্থায়ী ব্যবস্থাকে আনুষ্ঠানিক রূপ দিচ্ছে, তা বিবেচনার অধীনে ছিল। আমরা এই উন্নয়নের প্রভাব আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা, পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার ওপর কী হতে পারে তা পর্যালোচনা করব।” তিনি বলেন, “সরকার ভারতের জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় এবং সব ক্ষেত্রে সামগ্রিক জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি

    প্রসঙ্গত, চুক্তিটি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের রিয়াধ সফরের সময় সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমনের সঙ্গে স্বাক্ষরিত হয়েছে (Saudi Pakistan Defence Pact)। এই চুক্তিতে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করা এবং যৌথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে দুই দেশ। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, যে কোনও একটি দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসনকে উভয়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ হিসেবে গণ্য করা হবে। এটি দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে যে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা চলছে, তার প্রেক্ষাপটে ঘনিষ্ঠতর সামরিক সম্পর্কের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সৌদির যুবরাজের সম্পর্ক খুবই ভালো। তার পরেও তারা পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে মূলত দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যে বদলে যাওয়া রাজনৈতিক পরিবেশের কারণে। এখন দেখার, ভারতের সঙ্গে কেমন আচরণ করে সৌদি আরব (Saudi Pakistan Defence Pact)।

  • RSS: মহালয়ার দিন পশ্চিমবঙ্গে তিনশোরও বেশি সমাবেশের আয়োজন করবে আরএসএস

    RSS: মহালয়ার দিন পশ্চিমবঙ্গে তিনশোরও বেশি সমাবেশের আয়োজন করবে আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে ২১ সেপ্টেম্বর, রবিরার মহালয়ার দিন পশ্চিমবঙ্গে ৩০০-রও বেশি সমাবেশের (Rallies) আয়োজন করার পরিকল্পনা করেছে আরএসএস (RSS)। মহালয়া থেকেই সূচনা হয়ে যায় শারদোৎসবের। হিন্দুদের বিশ্বাস, মহালয়ার দিনই দেবী দুর্গা স্বর্গ ছেড়ে মর্তে আসেন। সেই কারণেই এই দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে সমাবেশ করার দিন হিসেবে। এদিন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আরএসএসের তরফে আয়োজন করা হবে শোভাযাত্রা ও পথসভার। সংঘের পশ্চিমবঙ্গের ইউনিট তিনটি প্রাদেশিক কমিটিতে বিভক্ত। এগুলি হল উত্তর, মধ্য এবং দক্ষিণ বাংলা।

    সংঘের পরিকল্পনা (RSS)

    পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই তিনটি প্রান্তেই সংঘের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। আরএসএসের অন্তত ৫২টি সর্বভারতীয় সহযোগী সংগঠন রয়েছে। এর পাশাপাশি রয়েছে পশ্চিমবঙ্গেরও বেশ কিছু আঞ্চলিক সহযোগী সংগঠন। এই সব সংগঠনগুলিকে এক সঙ্গে শতবর্ষ উদযাপনে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। অর্থাৎ এবার ভারতীয় মজদুর সংঘ (বিএমএস), সংস্কার ভারতী, শিক্ষণ মণ্ডল, সহকার ভারতী, শিক্ষক মহাসংঘ এবং সীমান্ত চেতনা-সহ অন্যান্য সংগঠন এ বছর আলাদা করে কোনও অনুষ্ঠান, সমাবেশ কিংবা শোভাযাত্রা করবে না।

    সংঘ পরিবারের শক্তিকে প্রদর্শন

    সূত্রের খবর, সংঘের পরিকল্পনা হল সমগ্র সংঘ পরিবারের শক্তিকে প্রদর্শন করা। বিজেপি নেতা ও কর্মীরা, যারা একই সঙ্গে স্বয়ংসেবকও, আশা করা হচ্ছে তাঁরা মহালয়ার দিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আয়োজিত এই সব কর্মসূচিতে যোগ দেবেন (RSS)। ফি বছর আরএসএস বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মসূচির মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে স্বাগত জানায়। এ বার পরিকল্পনা করা হয়েছে, প্রতিটি জেলায়ই একাধিক সমাবেশ ও শোভাযাত্রার আয়োজন করা হবে।

    দক্ষিণবঙ্গ প্রভার প্রধান বিপ্লব রায় বলেন, এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হতে যাচ্ছে। আমরা মা-কে স্বাগত জানাব। একই সঙ্গে আমাদের ১০০ বছরও উদযাপন করব। সর্বত্র একত্রীকরণ, সমাবেশ ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।” আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, সংঘ রাজ্যের রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সেই কারণেই এই মহালয়া অনুষ্ঠানকে (Rallies) ব্যাপক রাজনৈতিক গুরুত্বের দৃষ্টিতে দেখা হচ্ছে। গত দুবছরে বাংলায় শাখার সংখ্যা বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে (RSS)।

  • PM Modi: মোদির দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করলেন কলম্বোর মুসলমানরা

    PM Modi: মোদির দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করলেন কলম্বোর মুসলমানরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করলেন মুসলমানরা (Muslim Community)। আজ্ঞে হ্যাঁ, শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, ঘোর বাস্তব। যাঁরা প্রচার করে বেড়ান বিজেপি মুসলমান বিরোধী, তাঁদের গালে কষিয়ে থাপ্পড় মারল মুসলমানদের এই বিশেষ প্রার্থনা সভার আয়োজন। এদিন ৭৫ বছরে পা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। দেশ-বিদেশের রাজনীতিকরা তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বহু সাধারণ মানুষও বিভিন্ন মন্দিরে পুজো দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য কামনা করে।

    মুসলিমদের বিশেষ প্রার্থনা (PM Modi)

    শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় বোহরা মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যরা মসজিদে বিশেষ প্রার্থনা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে। ওই বিশেষ প্রার্থনার ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, মোদির সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু এবং ভারতের সেবা অব্যাহত রাখার জন্য প্রার্থনা করছেন তাঁরা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে ক্রমেই দেশের সীমানা ছাড়িয়ে ‘আন্তর্জাতিক’ হয়ে উঠছেন, এই ঘটনাই তার প্রমাণ। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে নেপালেও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপক প্রশংসা করেছেন সে দেশের নাগরিকদের একটা বড় অংশ। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ব্রিটিশ দক্ষিণপন্থী নেতা টনি রবিনসনও।

    আন্তর্জাতিক মঞ্চে মোদির নেতৃত্বের প্রশংসা

    এদিন মোদিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বহু আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রনেতাও। আন্তর্জাতিক মঞ্চে মোদির নেতৃত্বের প্রশংসাও করেছেন অনেকে। প্রধানমন্ত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শাহরুখ খান, অক্ষয় কুমার, অনুপম খের এবং আলিয়া ভাট-সহ বলিউডের বহু প্রখ্যাত তারকা। ক্রীড়া জগতের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক জগতের লোকজনও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর অবদানও স্মরণ করা হয়েছে (PM Modi)।

    বারাণসী লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই এদিন বারাণসী কার্যত হয়ে উঠেছিল উৎসবমুখর। দশাশ্বমেধ ঘাটে সিটি সাউথের বিধায়ক নীলকণ্ঠ তিওয়ারি আন্নপূর্ণা ঋষিকুল ব্রহ্মচার্য আশ্রম এবং শাস্ত্রার্থ মহাবিদ্যালয়ের ১০৮ জন বৈদিক পণ্ডিতের সঙ্গে মিলিত হন। তাঁরা একযোগে গঙ্গায় দুধাভিষেক সম্পন্ন করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু ও ভারতের সমৃদ্ধির জন্য বৈদিক মন্ত্র পাঠ করেন। পরে সন্ধ্যায় নমো ঘাটে বিশেষ গঙ্গা আরতিরও আয়োজন করা হয়। কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে সন্ন্যাসীরা বিশেষ পুজোর আয়োজন করেন। ১১০০টি পদ্মফুল দ্বারা সহস্রার্চনা এবং মহারুদ্রাভিষেকও হয় মোদির (Muslim Community) সুস্বাস্থ্য, দেশের ঐক্য ও বিশ্বশান্তির জন্য। ফল বিতরণ করা হয় হাসপাতাল, অনাথ আশ্রম এবং বৃদ্ধাশ্রমে (PM Modi)।

  • PM Modi: “নয়া ভারত পরমাণু হামলার হুমকিকেও ভয় পায় না”, জন্মদিনে বললেন মোদি

    PM Modi: “নয়া ভারত পরমাণু হামলার হুমকিকেও ভয় পায় না”, জন্মদিনে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা নয়া ভারত। এই ভারত কাউকে ভয় পায় না। নয়া ভারত পরমাণু হামলার হুমকিকেও (Nuclear Threats) ভয় পায় না। ভারতীয় সেনা ঘরে ঢুকে শত্রুদের নিকেশ করে আসতে পারে।” বুধবার ৭৫তম জন্মদিনে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন মধ্যপ্রদেশের ধর এলাকায় সরকারি একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই ফের একবার পাকিস্তান ও পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের সতর্ক করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডারের ভিডিওর কথা উল্লেখ করে মোদি বলেন, “আমাদের সেনারা পাকিস্তানের হাঁটু ভেঙে দিয়েছে।”

    জইশ কমান্ডারের স্বীকারোক্তিই ঠিক (PM Modi)

    তিনি বলেন, “জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডারের স্বীকারোক্তিই ঠিক। পাকিস্তানের চোখের পলক পড়ার আগেই অপারেশন সিঁদুরে ওদের হাঁটু ভেঙে দেওয়া হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সরকারের কাছে সর্বোচ্চ প্রাধান্য হল ভারতমাতাকে রক্ষা করা। পাকিস্তানি জঙ্গিরা আমাদের মা-বোনের সিঁদুর মুছে দিয়েছিল। আমরা অপারেশন সিঁদুরে ওদের নাম ও নিশান মুছে দিয়েছি। চোখের পলক পড়ার আগেই ওদের ধরাশায়ী করে দিয়েছে আমাদের সেনাবাহিনী।” তিনি বলেন, “গতকালই দেশ তথা তামাম বিশ্ব সাক্ষী থেকেছে আর এক জঙ্গি কীভাবে কেঁদে কেঁদে বর্ণনা দিয়েছে। জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডারই পাকিস্তানের পর্দা ফাঁস করে দিয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডারের এই স্বীকারোক্তিই প্রমাণ করে যে নতুন ভারত কেবল দৃঢ়ভাবে সন্ত্রাসের জবাবই দেয় না, বরং কারও পারমাণবিক হুমকিকেও ভয় পায় না।”

    আসিম মুনিরের হুমকি

    তিনি বলেন, “পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির পরমাণু যুদ্ধের ভয় দেখিয়ে গোটা বিশ্বকে আতঙ্কিত করার চেষ্টা করছেন। ইসলামাবাদ বলছে, ভবিষ্যতে ভারত-পাক যুদ্ধ হলে অর্ধেক দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে।” এর পরেই মোদি (PM Modi) বলেন, “নতুন ভারত এমন হুমকিকে ভয় পায় না। ভারতীয় সেনা যেভাবে পহেলগাঁওয়ে হামলা চালানো জঙ্গিদের খতম করেছে, তেমনই দেশের মাটিতে ঢুকে যারা নাশকতা চালাতে আসবে, তাদেরও ধ্বংস করবে (Nuclear Threats)।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অপারেশন সিঁদুরে আমরা জঙ্গিদের লঞ্চপ্যাড গুঁড়িয়ে দিয়েছি। জইশের জঙ্গিরাই পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিয়েছে।” প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরি বলেছিলেন, “ভারতীয় সেনার অপারেশন সিঁদুরে ভাওয়ালপুরে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে মাসুদ আজহারের পরিবার।”

    মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরির ভিডিও বার্তা

    মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরির ভিডিও বার্তায় দেখা গিয়েছে, এই জঙ্গি নেতাকে ঘিরে রয়েছেন পাক সেনার কয়েকজন আধিকারিক। অপারেশন সিঁদুরের পর এতদিন ধরে এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছিল জইশ নেতারা। এই প্রথম তাঁরা সংগঠনের বিরাট ক্ষতির কথা কবুল করে নিলেন নিজেরাই। শুধু তাই নয়, তিনি জইশের দিল্লি ও মুম্বই হামলায় সরাসরি জড়িত থাকার কথাও স্বীকার করেন। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে পাকিস্তানের বালাকোট অঞ্চলের গুরুত্বের কথাও। তিনি (PM Modi) বলেন, “তিহাড় জেল থেকে বেরিয়ে আসার পর আমির-উল-মুজাহিদিন মওলানা মাসুদ আজাহার পাকিস্তানে ফিরে আসেন। তাঁর চিন্তা ও কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বালাকোটের মাটি তাঁকে আশ্রয় দেয়। এখানকার প্রতিটি (Nuclear Threats) কণা তাঁর কাছে ঋণী। সেই আজাহারই দিল্লি ও মুম্বইকে কাঁপিয়েছিল।”

    জইশ জঙ্গিদের সৎকারে যোগ দেওয়ার নির্দেশ

    ইলিয়াসের দাবি, ‘ভাওয়ালপুরে নিহত জইশ জঙ্গিদের সৎকারে যোগ দেওয়ার নির্দেশ সরাসরি দেওয়া হয়েছিল পাক সেনার সদর দফতর থেকে। সেনাপ্রধানের নির্দেশে সেখানে পাঠানোও হয়েছিল জেনারেলদের। তার পরে পাক সেনা ঘটনাটি আড়াল করার চেষ্টা করে, যাতে ভাওয়ালপুর ও জইশের যোগসূত্র প্রকাশ্যে না আসে।’ জইশ কমান্ডারের এই স্বীকারোক্তিতে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে এসেছে। সেটি হল, অপারেশন সিঁদুরের পর পাক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতের এই অভিযান নাড়িয়ে দিয়েছে তাদের নেটওয়ার্কের ভিত। ভিডিওতে ইলিয়াস স্বীকার করেন, ৭ মে ভাওয়ালপুরে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের সদর দফতরে ভারত যে বিমান হামলা চালিয়েছিল, তা ছিল ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ। সেখানে প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৬ জন হিন্দু পর্যটক। ভাওয়ালপুর ছাড়াও পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের আরও আটটি জঙ্গি ঘাঁটিও চোখের নিমেষে ধ্বংস করে দেয় ভারতীয় বিমান বাহিনী।

    সুস্থ নারী, শক্তিশালী পরিবার অভিযান

    এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বিজেপির সেবা পক্ষ অভিযানেরও সূচনা করেন। ফি বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন উপলক্ষে পক্ষকালব্যাপী বিজেপির নেতা-কর্মী-সমর্থকরা নানান সেবামূলক কাজ করেন। ধরের ওই অনুষ্ঠানেই তিনি জানান, দেশে শুরু হচ্ছে সুস্থ নারী, শক্তিশালী পরিবার অভিযান। এই অভিযানে বিনামূল্যে ওষুধ ও নানান টেস্টের সুবিধা পাবেন মহিলারা। এতে উপকৃত হবেন ৪ কোটিরও বেশি মহিলা। মানসিক স্বাস্থ্য, অ্যানিমিয়া ও লাইফস্টাইল সংক্রান্ত রোগের সুবিধাও মিলবে সেবা পক্ষের ওই বিশেষ শিবিরে (Nuclear Threats)। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী মেগা ইন্টিগ্রেটেড টেক্সাটাইল রিজিওন অ্যান্ড অ্যাপারেল পার্কেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ওই অনুষ্ঠানে। বলেন, “দেশের কোটি কোটি মা-বোন আমায় আশীর্বাদ করেছেন। ধরে দেশের বৃহত্তম ইন্টিগ্রেটেড টেক্সটাইল পার্ক দেশের শিল্পকে নয়া শক্তি দেবে। কৃষকরা পাবেন ন্যায্য মূল্য (PM Modi)।”

  • Tommy Robinson: “হিন্দুরা শান্তিপূর্ণ, শান্তিপ্রিয়”, বললেন মোদির ‘ফ্যান’ ব্রিটেনের টমি রবিনসন

    Tommy Robinson: “হিন্দুরা শান্তিপূর্ণ, শান্তিপ্রিয়”, বললেন মোদির ‘ফ্যান’ ব্রিটেনের টমি রবিনসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হিন্দুরা অন্যান্য অভিবাসী গোষ্ঠীর থেকে একেবারেই আলাদা। তারা ব্রিটিশদের সঙ্গে মেলামেশা করে এবং ব্রিটিশ সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। হিন্দুরা কখনওই ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায় না। তারা ব্রিটিশ পরিচয়ের ক্ষয়ক্ষতির কারণও নয়।” কথাগুলি যিনি বললেন তিনি কিন্তু ধর্মে হিন্দু নন। তাঁর নাম টমি রবিনসন (Tommy Robinson)। এই মুহূর্তে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে। কারণ লন্ডনে বৃহৎ পরিসরের অভিবাসী-বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনিই।

    ব্রিটিশের মুখে হিন্দু প্রশস্তি (Tommy Robinson)

    ভারতীয়, বিশেষ করে ব্রিটেনের (UK) হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি খুবই আলাদা ও বিশেষ মনোভাব রয়েছে তাঁর। যদিও দেশে যে বেনো জলের মতো অভিবাসীদের দল ঢুকে পড়ছে, তা নিয়ে তিনি অত্যন্ত হতাশ ও ক্ষুব্ধ তিনি। রবিনসন নিজেকে একাধিকবার হিন্দুদের সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, তারা (হিন্দুরা) ব্রিটিশ জীবনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম। হিন্দুদের তিনি বর্ণনা করেছেন ‘শান্তিপূর্ণ’ ও ‘শান্তিপ্রিয়’ অভিবাসী সম্প্রদায় হিসেবে। তাই তিনি ব্রিটিশ সংস্কৃতি ও পরিচয়ের জন্য হিন্দুদের হুমকিস্বরূপ বলে মনে করেন না।

    আমি হিন্দুদের পাশেই দাঁড়াব

    অবশ্য এই প্রথম নয়, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি টমি রবিনসনের সমর্থন গত বেশ কয়েক বছর ধরেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ২০২২ সালে এশিয়া কাপ ক্রিকেট খেলা চলাকালীন লেস্টারে ব্রিটিশ হিন্দু-মুসলিমদের মধ্য সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই সময় তিনি ঘোষণা করেছিলেন, প্রয়োজনে তিনি শত শত মানুষকে মোবিলাইজ করবেন ব্রিটিশ হিন্দুদের পক্ষে লড়াই করতে এবং তাদের রক্ষা করতে। ওই বছরই এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “কখনও কখনও ব্রিটেনে হিন্দুদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা হচ্ছে। তবে আমি কিন্তু তাদের পাশেই দাঁড়াব।”

    ব্রিটিশ রাজনীতিকদেরও নিশানা

    ব্রিটিশ রাজনীতিকদেরও একহাত নেন রবিনসন। তাঁর অভিযোগ, ব্রিটিশ রাজনীতিকরা হিন্দুদের পাশে দাঁড়াননি, রক্ষা করেননি তাঁদের অধিকার। তিনি বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে হিন্দুদের সংগ্রাম দেখেছি। এর সঙ্গে আমার ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযানের সঙ্গে খুবই মিল রয়েছে।” হিন্দুরা কীভাবে পক্ষপাতমূলক রাজনীতির শিকার হচ্ছেন, আপোষমূলক রাজনীতির ভুক্তভোগী হচ্ছেন এবং কয়েকটি ইসলামি গোষ্ঠীর টার্গেট হচ্ছেন, তাও তুলে ধরেন এই ব্রিটিশ নাগরিক। হিন্দুদের প্রতি তাঁর আহ্বান, ‘আপনারা নির্জীব না থেকে সক্রিয়ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে বৈষম্যের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে লড়াই করুন এবং নিজেদের রক্ষা করুন (Tommy Robinson)।’

    রবিনসনের মোদি-স্তুতি

    কেবল হিন্দু নন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও ভক্ত রবিনসন। ২০২৪ সালে যখন তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন মোদি, তখন তাঁর জয় উদযাপন করেছিলেন তিনি। ভারতের রাজনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসাও করেন। একে তাঁর পপুলিস্ট মতাদর্শ ও ব্রিটেনের প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে তুলনা করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে রবিনসন কমপক্ষে দু’টি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি তাঁর সমর্থন প্রকাশ করেন (UK)। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ জোট জয়ী হয়। এর পরে কমিউনিজমের মোকাবিলা করে তৃতীয়বার এনডিএ ক্ষমতায় আসায় তাদের অভিনন্দনও জ্ঞাপন করেন রবিনসন। বিশেষজ্ঞদের মতে, রবিনসনের হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার প্রধান কারণগুলির একটি হল, এই সম্প্রদায় সাধারণত কোনও হিংসা বা ব্রিটিশ বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হয় না। এরা সম্পূর্ণভাবে দেশীয় সংস্কৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে।

    মুসলিমদের প্রতি তাঁর মনোভাব

    যদিও রবিনসনের বিরোধীদের বক্তব্য, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি তাঁর এই সমর্থন একটি পরিকল্পিত কৌশল। এটি তাঁকে এমন এক ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করে যে তিনি সম্পূর্ণভাবে অভিবাসনের বিরুদ্ধে নন, যেমনটি বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁকে তুলে ধরা হয়। বরং তাঁর প্রতিবাদ শুধুমাত্র সেই সব অভিবাসীদের বিরুদ্ধে, যাঁরা ব্রিটিশ পরিচয় ও সংস্কৃতির পক্ষে হুমকি স্বরূপ এবং যাঁরা দেশের সামাজিক বন্ধনকে নষ্ট করে হিংসায় উসকানি দেয় (Tommy Robinson)। রবিনসন তাঁর অ্যাক্টিভিজমকে মুক্ত বাকস্বাধীনতা এবং জাতীয় পরিচয়ের রক্ষাকবচ হিসেবে তুলে ধরেন। যদিও তাঁর মতাদর্শের মধ্যে স্পষ্ট, তিনি মুসলিমদের ‘আক্রমণকারী’ এবং ‘অপরাধী’ হিসেবেই চিহ্নিত করেন (UK)।

    ‘ইউনাইট দ্য কিংডম’

    প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ দক্ষিণপন্থী কর্মী রবিনসন সম্প্রতি খোদ লন্ডনে (ব্রিটেনের রাজধানী) এক বিশাল মিছিলেন নেতৃত্ব দেন। ওই মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন এক লাখেরও বেশি মানুষ। এই কর্মসূচির নাম ছিল ‘ইউনাইট দ্য কিংডম’, যা মূলত অভিবাসনবিরোধী আন্দোলন হিসেবেই পরিচিত। মনে রাখা প্রয়োজন, রবিনসনের হিন্দুদের প্রতি মন্তব্য এমন একটা সময়ে এসেছে, যখন ভারতীয় সম্প্রদায় দক্ষিণ এশিয় পরিচয় প্রত্যাখ্যান করেছে (UK)। কারণ এর মধ্যে পাকিস্তানিরাও রয়েছে। এই পাকিস্তানিরাই ব্রিটেনে গ্রুমিং গ্যাং পরিচালনা করেছিল বলে অভিযোগ (Tommy Robinson)।

  • Operation Sindoor: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিল পাকিস্তান, বিপাকে ট্রাম্প

    Operation Sindoor: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিল পাকিস্তান, বিপাকে ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিল পাকিস্তান (Pakistans Foreign Minister)। ইসলামাবাদের (পাকিস্তানের রাজধানী) মন্তব্যের জেরে ফাঁপরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁকে বিপাকে ফেলেছেন খোদ পাক উপপ্রধানমন্ত্রী তথা (Operation Sindoor) বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার। তাঁর কবুল করা কথাতেই ফেঁসে গেলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)

    ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে খুন করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পক্ষকাল পরেই পাকিস্তান ও পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় নরেন্দ্র মোদির ভারত। এই অপারেশনে সফল হয় ভারত। তার পরেও বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে মোদি সরকারকে। কারণ, যুদ্ধ বিরতির কৃতিত্ব দাবি করেন ট্রাম্প। এর পরেই বিরোধীদের দাবিতে তুলকালাম হয় সংসদে। তাঁদের বক্তব্য, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বিরতির কথা কেন ঘোষণা করবে তৃতীয় পক্ষ। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধবিরতি কোনও তৃতীয় পক্ষের কথা শুনে হয়নি। এবার সেই কথারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল পাক বিদেশমন্ত্রী ইশাক দারের মুখে। তিনি বলেন, “ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল আমেরিকা, তবে ভারত তাতে রাজি হয়নি।” তিনি কবুল করেন, “যুদ্ধ থামাতে মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিওর কাছে ট্রাম্পের মধ্যস্থতার দাবি তুলেছিল ইসলামাবাদ।” যদিও শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক এই বিষয়ে নয়াদিল্লির অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “নয়াদিল্লি সব সময় ভারত ও পাকিস্তানের যাবতীয় বিষয় কঠোরভাবে দ্বিপাক্ষিক হিসেবেই দেখে।”

    পাক বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য

    যুদ্ধবিরতি নিয়ে পাক বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আমরা তৃতীয় পক্ষের জড়িত থাকার বিষয়ে আপত্তি করি না। তবে ভারত বরাবর স্পষ্ট করে বলে আসছে- এটি একটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়। আমাদের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় কোনও আপত্তি নেই। তবে (Operation Sindoor) আলোচনা ব্যাপক হতে হবে। আগেও আমরা সন্ত্রাসবাদ, বাণিজ্য, অর্থনীতি, জম্মু-কাশ্মীরের মতো বিষয়ে আলোচনা করেছি।” দার জানান, এর আগে মে মাসে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিলেন ওয়াশিংটন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী)। বলেছিল (Pakistans Foreign Minister), ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা হবে একটি নিরপেক্ষ স্থানে। যদিও ২৫ জুলাই ওয়াশিংটনে রুবিওর সঙ্গে পরবর্তী এক বৈঠকে দারকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ভারত এই প্রস্তাবে সম্মত হয়নি। পাক বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভারত বলেছে এটি একটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়। আমরা কোনও কিছুর জন্য ভিক্ষা করছি না। আমরা একটি শান্তিপ্রিয় দেশ। আমরা বিশ্বাস করি যে আলোচনা এগিয়ে যাওয়ার পথ। তবে আলোচনার জন্য দু’জনের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।” তিনি সাফ জানান, ভারত যদি সাড়া দেয়, তবে পাকিস্তান এখনও আলোচনায় অংশ নিতে ইচ্ছুক। দার বলেন (Operation Sindoor), “কোনও দেশ যদি আলোচনা চায়, তবে আমরা খুশিই হব। সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। আমরা আলোচনায় বিশ্বাস করি। তবে ভারত যদি না চায়, তাহলে আমরাও এগোব না।” অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তান যে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চেয়েছিল, এদিন তাও জানান পাক বিদেশমন্ত্রী। তিনি কবুল করেন, “পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে কথা বলার জন্য বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েছিল (Pakistans Foreign Minister)।”

    শিমলা চুক্তি

    উল্লেখ্য যে, ১৯৭২ সালে স্বাক্ষরিত শিমলা চুক্তির অন্যতম শর্তই ছিল ভারত ও পাকিস্তানের কোনও সমস্যার সমাধান দ্বিপক্ষিক স্তরে হবে। সংবাদ মাধ্যম ‘আল জাজিরা’কে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সে কথা মনেও করিয়ে দেন দার। শুধু তা-ই নয়, ১৯৯৯ সালে লাহোর ঘোষণার সময় ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বিজপেয়ী যখন পাকিস্তানে যান, তখনও তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে আলোচনার সময়ই এই বিষয়টি উঠে এসেছিল (Operation Sindoor)। জানা গিয়েছে, রুবিও তখনই জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভারত সব সময় বলে এসেছে, এটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়, তৃতীয় পক্ষের কোনও ভূমিকা নেই। অথচ সেই দেশেরই রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প গত মে মাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, “আমার মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে।”

    বিক্রম মিস্রির দাবি

    ট্রাম্পের এহেন দাবির পরে পরেই ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি জানিয়েছিলেন, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব এসেছিল পাকিস্তানের তরফে। তবে ভারত তৃতীয় পক্ষের কোনও হস্তক্ষেপ মানেনি। বিদেশসচিব জানান, পাকিস্তানের ডিজিএমও ভারতীয় ডিজিএমও-কে ফোন করে যুদ্ধবিরতির আবেদন করেন। তার পরেই বিকেল ৫টা থেকে গুলি চালানো বন্ধ করার বিষয়ে বোঝাপড়া হয় দুই দেশের মধ্যে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালেও ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ভারত তাঁকে কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতা করতে বলেছে। তখনই তাঁর দাবি খারিজ করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিনও তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন শিমলা চুক্তির পর (Pakistans Foreign Minister) থেকে নয়াদিল্লি শুধুই দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পক্ষপাতী (Operation Sindoor)।

  • Israel: লক্ষ্য হামাসের বিনাশ! গাজা শহরে স্থল অভিযান ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর

    Israel: লক্ষ্য হামাসের বিনাশ! গাজা শহরে স্থল অভিযান ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার গাজা শহরে (Gaza City) স্থল অভিযান চালাল ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ইজরায়েলের (Israel) নেতানিয়াহু সরকারের দাবি, গাজা শহর থেকে হামাসকে একেবারে নির্মূল করতে চালানো হচ্ছে এই অভিযান। সূত্রের খবর, ইজরায়েলের ভারী ট্যাংকগুলি গাজা শহরে ঢুকে পড়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে ব্যাপক বিমান হামলা। এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রচুর রেসিডেন্সিয়াল ও সিভিলিয়ন টাওয়ার। এই টাওয়ারগুলিতেই হামাস জঙ্গিরা ঘাঁটি গেড়েছিল বলে খবর। যুদ্ধে যাতে কোনও সাধারণ মানুষের প্রাণহানি না হয়, তাই গাজার সাধারণ মানুষকে শহরের দক্ষিণ দিকে সরে গিয়ে নির্দিষ্ট একটি এলাকায় আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আইডিএফ। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “হামাসের কোনও নিরাপত্তা নেই। তারা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের রক্ষে নেই।”

    ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ (Israel)

    ক্রমেই গভীরতর হচ্ছে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে প্রায় প্রতিদিনই চলছে যুদ্ধ। মাঝে অবশ্য কিছুদিনের জন্য যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। পরে তা উঠে গিয়ে ফের শুরু হয় সংঘাত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় একাধিকবার আলোচনার পরেও ক্রমশই ঘোর হচ্ছে যুদ্ধের মেঘ (Israel)। গত ৯ সেপ্টেম্বর ইজরায়েল কাতারে হামাসের একটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে সুনির্দিষ্ট হামলা চালায়। খতম হয় পাঁচজন হামাস জঙ্গি। ইজরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার পশ্চিম অংশে একটি ১৬ তলা ভবনও আক্রমণ করে। এটি গাজার সবচেয়ে উঁচু ভবন। ইজরায়েলের দাবি, এটি একটি জঙ্গি ঘাঁটি। এক ইজরায়েলি সেনাকর্তার দাবি, গাজা সিটিতে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ হাজার হামাস জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল ক্যাটজ-এর কথায়, ‘জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অপহৃতদের মুক্তি এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।’

    কী বলছেন ট্রাম্প

    এদিকে, মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও বলেন, “হামাস সমস্ত বন্দিকে মুক্তি দিয়ে এবং আত্মসমর্পণ করে যুদ্ধ শেষ করতে পারে। তবে এটাও ঠিক যে ওরা এটা করবে না।” প্রসঙ্গত, বন্দিদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ইজরায়েলের স্থলভাগে অভিযান চালানোর খবরে হামাসের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, “আমি একটি সংবাদ প্রতিবেদন পড়েছি যে ইসরায়েলের স্থল আক্রমণের বিরুদ্ধে হামাস বন্দিদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। আমি আশা করি, হামাসের নেতারা বুঝতে পারবে তারা কী বিপদে পড়ছে যদি তারা এমন কাজ করে। এটি একটি (Gaza City) মানবতাবিরোধী অপরাধ। এখনই সব বন্দিকে মুক্তি দাও (Israel)!”

LinkedIn
Share