Author: Susanta Das

  • India Defence: জরুরি ভিত্তিতে রাশিয়া থেকে ৩০০টি এস-৪০০ মিসাইল কিনছে ভারত, অনুমোদন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের

    India Defence: জরুরি ভিত্তিতে রাশিয়া থেকে ৩০০টি এস-৪০০ মিসাইল কিনছে ভারত, অনুমোদন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের আকাশসীমা প্রতিরক্ষাকে আরও মজবুত করতে রাশিয়া থেকে আরও ৩০০টি এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, খুব শিগগিরই রাষ্ট্রায়ত্ত রুশ সংস্থা রসোবোনএক্সপোর্ট-কে এই মিসাইল কেনার জন্য রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজাল পাঠাতে চলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। পাশাপাশি, পুতিনের আসন্ন ভারত সফরের সময় আরও ৫টি অতিরিক্তি এস-৪০০ সিস্টেম কেনার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে।

    মিসাইলের স্টক পূর্ণ করতে পদক্ষেপ

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় পাক গোলার মোকাবিলায় ভারতে দাপট দেখিয়েছিল রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ ‘সুদর্শন চক্র’। এস-৪০০ সিস্টেম পাকিস্তানের জে-১০ সহ অন্যান্য বিমান ধ্বংস করেছিল। পাক সেনার ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র রুখতে বহু ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে হয়েছিল। পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, আর্লি ওয়ার্নিং প্ল্যাটফর্ম, নজরদারি বিমান ও সশস্ত্র ড্রোন নামাতে এই সিস্টেম ব্যাপকভাবে কাজে লাগে। সেই জায়গা ফের ভরাট করতে নতুন অস্ত্রসম্ভার মজুত করতে হবে। হাতে থাকা এস-৪০০ সিস্টেমগুলির কার্যকারিতা যাতে ১০০ শতাংশ থাকে, তার জন্যই এখন অতিরিক্ত ৩০০ মিসাইল কেনা প্রয়োজন ভারতের। এই এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের ক্ষেপণাস্ত্রের স্টক পুনরায় পরিপূর্ণ করতেই এই পদক্ষেপ।

    রিপোর্ট বলছে, ১০ হাজার কোটি মূল্যেরও বেশি খরচের এই অধিগ্রহণ পর্ব আপাতত দ্রুততার সঙ্গে এগোচ্ছে। সূত্রের খবর, ‘ফাস্ট ট্র্যাক’ প্রক্রিয়ায় কেনাকাটা এগোচ্ছে এবং চলতি অর্থবর্ষের মধ্যেই খরচ আলোচনাকারী কমিটি (CNC) এবং মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি (CCS)-র ছাড়পত্র পেলেই অনুমোদন মিলবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ কাউন্সিল (DAC) ইতিমধ্যেই এই কেনাকাটায় সিলমোহর দিয়েছে এবং ‘অ্যাকসেপটেন্স অফ নিড’ও অনুমোদিত হয়েছে।

    আরও পাঁচটি এস-৪০০ ইউনিট কেনার ভাবনা

    এদিকে, দেশের আকাশসীমা শত্রু দেশের রকেট, মিসাইল ও বিমান থেকে রক্ষা করতে রাশিয়া থেকে আরও পাঁচটি এস-৪০০ সিস্টেম কেনার কথাও বিবেচনায় রয়েছে। একই সঙ্গে সশস্ত্র ও ‘কামিকাজে’ ড্রোন মোকাবিলায় রুশ ‘পান্টসির’ মিসাইল সিস্টেম কেনার দিকেও নজর রয়েছে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর। সীমান্তের ওপার থেকে নিক্ষেপ করা স্বল্প এবং মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রকে এস-৪০০ এবং পান্টসির একটি দ্বৈত-স্তর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে মজবুত করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, পঞ্চম প্রজন্মের সুখোই-৫৭ যুদ্ধবিমানের একটি প্রস্তাব ভারতের কাছে রেখেছে রাশিয়া। এর প্রযুক্তিকে কেন্দ্র করেও একটি বাণিজ্যিক প্রস্তাব দিল্লির কাছে রেখেছে মস্কো। তবে তা নিয়ে সেভাবে এখনও অবস্থান জানায়নি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

  • Waqf Amendment Act: নতিস্বীকার মমতার! রাজ্যকে মানতেই হল কেন্দ্রের নতুন ওয়াক্‌ফ আইন, চুপিসাড়ে নির্দেশ নবান্নর

    Waqf Amendment Act: নতিস্বীকার মমতার! রাজ্যকে মানতেই হল কেন্দ্রের নতুন ওয়াক্‌ফ আইন, চুপিসাড়ে নির্দেশ নবান্নর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি সরকার ওয়াক্‌ফ সংশোধন বিল পাশ করানোর পর বাংলায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছিল। সেই সময়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন— তিনি পশ্চিমবঙ্গে নতুন ওয়াক্‌ফ সংশোধন আইন (Waqf Amendment Act) কার্যকর হতে দেবেন না। মাস সাতেক পর অবশেষে নতিস্বীকার করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মেনে নিতে বাধ্য হলেন কেন্দ্রের নতুন আইনকে। তথ্যাভিজ্ঞ মহলের দাবি, মানতেই হত, এ ছাড়া আর কোনও উপায়ও ছিল না রাজ্যের কাছে।

    চুপিসাড়ে নির্দেশ নবান্নর

    চুপিসাড়ে রাজ্যের ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি সংক্রান্ত সব তথ্য সেন্ট্রাল পোর্টালে আপলোড করতে সব জেলাশাসককে নির্দেশ দিল নবান্ন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের সচিব ড. পিবি সালিম এই সংক্রান্ত চিঠি পাঠান। সেখানে বলা হয়েছে, ‘umeedminority.gov.in’ পোর্টালে প্রতিটি জেলার ওয়াক্‌ফ সম্পত্তির খতিয়ান আপলোড করতে হবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। আইন অনুযায়ী, দেশের সব নিবন্ধিত ওয়াক্‌ফ সম্পত্তির তথ্য ছয় মাসের মধ্যে পোর্টালে তুলতে হবে। এই সময়সীমা শেষ হচ্ছে ৫ ডিসেম্বর ২০২৫।

    চিঠিতে আরও জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ৮২ হাজারের বেশি ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি রয়েছে। এগুলি ৮ হাজারের বেশি ওয়াক্‌ফ এস্টেটের অধীনে। এসব সম্পত্তির তথ্য আপলোড করবেন সংশ্লিষ্ট মুতাওয়াল্লিরা। জেলাশাসকদের চারটি দিকনির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সেগুলি হল–
    মুতাওয়াল্লি, ইমাম, মোয়াজ্জিন ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠক করে আপলোডের নিয়ম বুঝিয়ে দিতে হবে।
    শুধু অ-বিতর্কিত সম্পত্তির তথ্য আপলোড করতে হবে।
    প্রয়োজন হলে প্রযুক্তিগত সাহায্যের জন্য সহায়ক কেন্দ্র খুলতে হবে।
    সংখ্যালঘু দফতরের রাজ্যস্তরের অফিসারদের জেলায় পাঠানো হয়েছে কাজ তদারকির জন্য।

    রাজনৈতিক ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ

    রাজনৈতিক ভাবেও এই সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ। চলতি বছরের এপ্রিলের শুরুতে ওয়াক্‌ফ সংশোধনী বিল পাশ হয় সংসদের দুই কক্ষে। এরপর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সেই বিলে স্বাক্ষর করেন। দেশজুড়ে ওয়াক্‌ফ সংশোধনী আইন (Waqf Amendment Act) লাগু হয়। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছিলেন, রাজ্যে লাগু হবে না এই আইন। গত ৯ এপ্রিল একটি জৈন সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “বাংলায় ওয়াক্‌ফ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট কার্যকর হতে দেব না। মুসলমানদের ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ আমি চলতে দেব না।” তিনি আরও বলেছিলেন, “আমাদের এখানে ৩৩ শতাংশ মুসলিম আছেন। তাঁরা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এখানে থাকছেন। তাঁদের সুরক্ষা দেওয়া আমার কর্তব্য।”

    মানতেই হবে সব রাজ্যকে

    সুপ্রিম কোর্টে ওয়াক্‌ফ সংশোধনী আইনের (Waqf Amendment Act) বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। রাজ্য এই আইনের বিরুদ্ধে আদালতে গেলেও আশানুরূপ ফল পায়নি। সংশোধিত ওয়াক্‌ফ আইনের উপর সম্পূর্ণ স্থগিতাদেশ জারি করেনি শীর্ষ আদালত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীর্ষ আদালত ওয়াক্‌ফ সংশোধনী আইনে স্থগিতাদেশ না দেওয়ায় এই আইন মানতে হবে সব রাজ্যকে। এ ছাড়া আর কোনও উপায়ও নেই রাজ্যের কাছে। দেশের সব নিবন্ধিত ওয়াক্‌ফ সম্পত্তির তথ্য ৬ মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় পোর্টালে আপলোড করতে হত। এই সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামী ৫ ডিসেম্বর। তাই, তড়িঘড়ি রাজ্য সরকারের তরফে সব তথ্য কেন্দ্রীয় পোর্টালে আপলোড করতে বলা হল।

  • Cereals Food Grains: খাদ্যতালিকায় দানাশস্যের ঘাটতি! কী কী ধরনের সমস্যা হতে পারে, জানেন?

    Cereals Food Grains: খাদ্যতালিকায় দানাশস্যের ঘাটতি! কী কী ধরনের সমস্যা হতে পারে, জানেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রকমারি প্রাণীজ প্রোটিন কিংবা হরেক পদের কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারেই অভ্যস্ত হচ্ছে তরুণ প্রজন্মের একাংশ। অধিকাংশের নিয়মিত পুষ্টি তালিকায় দানাশস্যের ঘাটতি রয়েছে। আর তার জেরেই জীবন যাপন সংক্রান্ত একাধিক জটিল রোগ কাবু করছে। সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় এমনি তথ্য সামনে এসেছে। নিয়মিত খাবারের তালিকা সম্পর্কে সচেতনতা না বাড়লে দীর্ঘমেয়াদি সুস্থ জীবন যাপন সম্ভব নয়।

    কী বলছে সমীক্ষার রিপোর্ট?

    ইংল্যান্ডের একদল গবেষক ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞেরা সমীক্ষা চালিয়ে দেখছেন, গত এক দশকে বিশ্ব জুড়ে ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হরমোনের ভারসাম্যঘটিত সমস্যা, মানসিক উদ্বেগ এবং হৃদরোগের প্রকোপ বাড়ছে। আর এই ধরনের সমস্যা তাঁদের সুস্থ জীবন যাপনে সমস্যা তৈরি করছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই রোগের পিছনে মূল কারণ হলো পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব। বিশেষত প্রক্রিয়াজাত প্রাণীজ প্রোটিন নিয়মিত অতিরিক্ত খাওয়া। তুলনায় দানাশস্য জাতীয় খাবার না খাওয়া।

    কেন দানাশস্য খাওয়া জরুরি?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, দানাশস্য শরীরের জন্য খুব জরুরি। সুস্থ ও দীর্ঘ জীবনের জন্য কার্বোহাইড্রেট, প্রাণীজ প্রোটিনের পাশপাশি দানাশস্য ও খেতে হবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত মাংস খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমতে পারে। মাংসের বিকল্প প্রাণীজ প্রোটিন হলো ডাল। মুখ, মুসুর কিংবা ছোলা, যেকোনও রকম ডাল শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে। হজমের সমস্যা হয় না। আবার পেশি মজবুত করতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই ডাল নিয়মিত খাওয়া জরুরি।

    তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়ছে। প্রাণীজ প্রোটিন শরীরে এনার্জি জোগান করলেও নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণ প্রাণীজ প্রোটিন খেলে রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই ডাল নিয়মিত খাওয়া জরুরি। প্রোটিনে ভরপুর হলেও ডালে কোলেস্টেরল নেই। যেকোনও ডাল পটাশিয়াম ও সোডিয়াম সমৃদ্ধ হয়। তাই রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

    মুসুর, মটর কিংবা ছোলার মতো ডাল আয়রন সমৃদ্ধ হয়। তাই এই ডালগুলো খেলে শরীরে আয়রনের অভাব পূরণ হয়। এছাড়াও রক্ত সরবরাহ ভালো ভাবে হয়‌। ডালের পাশপাশি জোয়ার, বাজরা, রাগি ও মিলেটের মতো দানাশস্য নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের দানাশস্যে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ফসফরাস, জিঙ্কের মতো নানান উপাদান থাকে। এগুলো শরীরের একাধিক রোগের ঝুঁকি কমায়।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, সোডিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাছাড়া হাড় মজবুত রাখতে, হজম শক্তি বাড়াতেও বিশেষ সাহায্য করে। যে কোনও ধরনের ডাল কিংবা বাজরা, রাগির মতো দানাশস্য জাতীয় খাবার ফাইবার সমৃদ্ধ হয়। তাই নিয়মিত এগুলো খেলে অন্ত্র ভালো থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও হয় না।

    কী বিশেষ পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, তরুণ প্রজন্মের সকালের প্রাতঃরাশ হোক কিংবা দুপুরের খাবার, মেনুতে কার্বোহাইড্রেট ও প্রাণীজ প্রোটিনের পাশপাশি অবশ্যই দানাশস্য জাতীয় খাবার রাখা উচিত। সারা দিনের একাধিক কাজের শক্তি জোগাবে এই দানাশস্য। আবার শরীরের প্রয়োজনীয় সমস্ত চাহিদা পূরণ করবে যেকোনও ধরনের ডাল কিংবা দানাশস্য। তাই নিয়মিত সেই খাবারগুলো মেনুতে থাকছে কিনা সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি। তবেই সুস্থ জীবন‌ যাপন সম্ভব।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • India slams Pakistan: “জ্ঞান দেওয়ার নৈতিক অধিকার নেই”, রাম মন্দির ইস্যুতে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিল ভারত

    India slams Pakistan: “জ্ঞান দেওয়ার নৈতিক অধিকার নেই”, রাম মন্দির ইস্যুতে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় ধর্মধ্বজ প্রতিস্থাপনের পর থেকেই তেলেবেগুনে জ্বলছে পাকিস্তান। এতটাই যে, প্রতিবেশি দেশ রাম মন্দির নিয়ে কটাক্ষ করে বিবৃতি দিয়েছে। এর উত্তরে পাল্টা বিবৃতি দিয়ে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিল ভারত। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতের বিষয়ে নাক না গলিয়ে, নিজেদের ‘মানবাধিকার সংক্রান্ত ভয়াবহ রেকর্ড’-এর দিকে নজর দিক পাকিস্তান।

    বিবৃতি জারি পাক বিদেশমন্ত্রকের

    মঙ্গলবার, রাম মন্দিরের চূড়ায় ধর্মধ্বজ উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই অনুষ্ঠানটি ছিল রাম মন্দির নির্মাণের সমাপ্তি উপলক্ষে। ওই অনুষ্ঠানের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদি রাজধর্মের উল্লেখ করে বলেন ভগবান রাম কোনও ভেদাভেদ করতেন না। সেই ভাবনা নিয়েই চলছে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার, রাম মন্দিরের উদ্বোধনকে কটাক্ষ করে পাকিস্তান। এক বিবৃতি জারি করে পাক বিদেশমন্ত্রক এই ঘটনাকে ‘ইসলামফোবিয়া’ এবং ‘ঐতিহ্যের অপবিত্রতা’ বলে আক্রমণ করে। সেখানে বলা হয়, “আমরা রাম মন্দিরের উদ্বোধনের নিন্দা জানাই। বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলার পর এই মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল। ভারতে ক্রমবর্ধমান হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শ ধর্মীয় সম্প্রীতি এবং আঞ্চলিক শান্তির জন্য একটি বড় হুমকি। এর মাধ্যমে ভারত মুসলমানদের প্রান্তিক করার চেষ্টা করছে।” এই বিষয়ে তারা আন্তর্জাতিক মঞ্চ ও রাষ্ট্রসংঘের কাছেও আর্জি রাখে।

    ‘অহেতুক জ্ঞান দেবেন না’, পাল্টা ভারত

    কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় ভারত। পাকিস্তানকে তুলোধনা করে ভারতের বিদেশমন্ত্রক পাল্টা বিবৃতির মাধ্যমে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার সহ নানান বিষয় নিয়ে পাল্টা ইসলামাবাদের দিকে তোপ দাগে দিল্লি। শেহবাজ শরিফের দেশকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের সাফ বার্তা, ‘অহেতুক জ্ঞান দেবেন না।’ বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল পাকিস্তানের বক্তব্যকে খণ্ডন করে বলেন, “আমরা পাকিস্তানের করা মন্তব্যগুলি দেখেছি এবং তাদের প্রাপ্য অবজ্ঞা সহ প্রত্যাখ্যান করছি। সংখ্যালঘুদের উপর ধর্মান্ধতা, নিপীড়ন এবং পদ্ধতিগত দুর্ব্যবহারের গভীর কলঙ্কিত রেকর্ড সহ একটি দেশ হিসেবে, পাকিস্তানের অন্যদের জ্ঞান দেওয়ার কোনও নৈতিক অধিকার নেই।” পাকিস্তানকে পাল্টা সতর্ক করে দিল্লির সাফ কথা, “‘ভণ্ডামিতে ভরা ধর্মোপদেশ’ দেওয়ার পরিবর্তে পাকিস্তানের উচিত নিজেদের মানবাধিকার সংক্রান্ত ভয়াবহ রেকর্ডের দিকে মনোনিবেশ করা।”

  • Winter Skin Problems: শীত পড়তেই বাড়ছে ত্বকের সমস্যা! কী এড়িয়ে চললে বাড়তি উপকার পাওয়া যায়?

    Winter Skin Problems: শীত পড়তেই বাড়ছে ত্বকের সমস্যা! কী এড়িয়ে চললে বাড়তি উপকার পাওয়া যায়?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তাপমাত্রার পারদ নামছে। শীতের আমেজ দরজায় কড়া নাড়ছে। আর তার জেরেই অনেকে ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন। বড়দের পাশপাশি শিশুরাও শীতকালে ত্বকের নানান সমস্যায় ভোগে। ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যাওয়া, লাল দাগ হয়ে যাওয়া কিংবা চুলকানির মতো নানান উপসর্গ দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েকটি সাধারণ ঘরোয়া উপাদানে ভরসা রাখলেই শীতে ত্বকের সমস্যা কমবে।

    কীভাবে ত্বক ভালো রাখা সম্ভব?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতের সময়ে ত্বক ভালো রাখার জন্য কিছু ঘরোয়া উপাদান যথেষ্ট। তাছাড়া খাবারের দিকেও বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন। ত্বক ভালো রাখার প্রথম শর্তই হলো শরীর সুস্থ রাখা। তাই ত্বকের উপরের যত্নের পাশপাশি ভিতরের যত্ন নেওয়া সমান ভাবে জরুরি।

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত ত্বকে বারবার সাবান, জল দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, শীতে ত্বকে স্বাভাবিক ময়েশ্চার তৈরি হয়। বারবার সাবান ব্যবহার করলে সেই প্রাকৃতিক ময়েশ্চার নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। দিনে নিয়মিত দুবার সাবান জলে মুখ পরিষ্কার করলেই যথেষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হয়।

    শীতে অনেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খান না। আর তার জেরে একাধিক সমস্যা তৈরি হয়। ত্বকের সমস্যা তার মধ্যে অন্যতম। এমনটাই জানাচ্ছেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গরমে বারবার জল তেষ্টা পায়। তাই অনেক সময়েই প্রয়োজনীয় জলের চাহিদা পূরণ হয়। শীতে তাপমাত্রা কম থাকায় জল খাওয়া অনেকেই কমিয়ে দেন। তাই কম জল খাওয়ার জেরে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়‌। নিয়মিত পর্যাপ্ত জল খাওয়া প্রয়োজন। শিশুদের নিয়মিত ৩-৪ লিটার এবং প্রাপ্তবয়স্কের নিয়মিত ৪-৫ লিটার জল নিয়মিত খাওয়া জরুরি। এতে শরীরের একাধিক রোগ মোকাবিলা সহজ হবে‌। ত্বক ভালো থাকবে।

    শীতে বাদাম জাতীয় জিনিস খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাদাম ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারি। নিয়মিত বাদাম খেলে শরীর প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ সহজেই পায়‌। এর ফলে ত্বকের সমস্যা কমে। ত্বকে স্বাভাবিক ময়েশ্চার বজায় থাকে।

    শীতে বাজারে সহজেই পাওয়া যায় গাজর, মিষ্টি আলুর মতো সবজি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ত্বক ভালো রাখতে এই দুই সবজি বিশেষ উপকারি। তাঁরা জানাচ্ছেন, গাজর, মিষ্টি আলুর মতো সবজিতে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ সহ একাধিক উপাদান থাকে। এই উপাদান সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। আবার ত্বক মসৃণ রাখতেও সাহায্য করে।

    অ্যাভোকাডোর মতো ওমেগা-থ্রি সমৃদ্ধ ফল সপ্তাহে অন্তত দুদিন খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ত্বককে ভালো রাখতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে অ্যাভোকাডো। এই ফল সপ্তাহে অন্তত দুবার খেলে শীতে ত্বকের একাধিক সমস্যা মোকাবিলা সহজ হয়।

    শীতের ব্রকলি, কমলালেবুর মতো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল ও সবজি নিয়মিত খেলে ত্বক ভালো থাকে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পালং শাক, ব্রকলি, কমলালেবুর মতো শীতের সব্জি আর ফল একাধিক ভিটামিন সমৃদ্ধ। তাই এগুলো একদিকে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। আবার ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চার বজায় রাখতেও সাহায্য করে। তাই এই ধরনের ফল ও সবজি এই সময়ে বাড়তি উপকারি।

    সপ্তাহে অন্তত একবার মুখে মধু ও দইয়ে প্রলেপ লাগানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যারা নিয়মিত দিনের অনেকটা সময় বাইরে থাকেন, তাদের ত্বকের সমস্যা আরও বেশি হয়। ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যাও বাড়ে। সপ্তাহে অন্তত একদিন মধু ও দইয়ের মিশ্রণ লাগালে ত্বকের কোষ ভালো থাকে। ত্বকে ময়েশ্চারাইজারের অভাব হয় না।

    কী এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ত্বক ভালো রাখতে অতিরিক্ত রাত জাগার অভ্যাস ছাড়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো না হলে, হরমোনের ভারসাম্য বজায় না থাকলে ত্বক ভালো থাকে না। ত্বক ভালো রাখলে পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। তাই অতিরিক্ত রাত জেগে থাকা নয়। অন্তত আট ঘণ্টার ঘুম নিশ্চিত করতে পারলে ত্বক ভালো রাখা সহজ হয়।

    অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় এবং তেলে ভাজা খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এমনটাই পরামর্শ চিকিৎসকদের একাংশের। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত চর্বি ও তেলজাতীয় খাবার হজম করা কঠিন হয়। অন্ত্রে অসুবিধা হলে তা ত্বকে জানান দেয়। একাধিক ত্বকের সমস্যা তৈরি হয়। তাই এগুলো এড়িয়ে চললে শীতে ত্বকের সমস্যা কমবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Delhi Blast: হিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর বদলা নিতে চেয়েছিল জঙ্গি-চিকিৎসক উমর নবি! প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    Delhi Blast: হিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর বদলা নিতে চেয়েছিল জঙ্গি-চিকিৎসক উমর নবি! প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ১০ বছর আগে কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে খতম হওয়া হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান ওয়ানির সঙ্গে দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী আত্মঘাতী জঙ্গি-চিকিৎসক উমর-উন-নবি ওরফে উমর মহম্মদের যোগসূত্র উঠে এল। সূত্রের খবর, বিস্ফোরণকাণ্ডে জড়িতদের জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর বদলা নিতে চেয়েছিল ফরিদাবাদ ডক্টর্স টেরর মডিউলের অন্যতম সদস্য উমর-উন-নবি। উমর সম্পর্কে এমনই তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

    বুরহানের মৃত্যুর বদলা নিতেই দিল্লিতে হামলা!

    ২০১৬ সালে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মারা যায় কাশ্মীরি জঙ্গি বুরহান ওয়ানি। এর প্রতিশোধ নিতেই দিল্লির লালকেল্লা চত্বরে গাড়িতে আত্মঘাতী হামলা চালায় ‘জেহাদি চিকিৎসক’ উমর নবি। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, উমর নবি নিজেকে ‘আমির’ বলে প্রচার করত জঙ্গিদের মধ্যে। বলত সে তাদের নেতা। তদন্তে উঠে এসেছে, উমর-উন-নবিকে নিয়োগ করেছিল দিল্লির বিস্ফোরণে ধৃত আর এক জঙ্গি মুজাম্মিল শাকিল। এই মুজাম্মিল শাকিলকে নিয়োগ করেছিল মওলানা ইরাফান আহমেদ।

    ন’টি ভাষায় পারদর্শী ছিল জঙ্গি-চিকিৎসক উমর…

    হরিয়ানার ফরিদাবাদে গড়ে ওঠা ‘হোয়াইট কলার টেরর মডিউল’-এর সদস্যদের সন্ধান পায় পুলিশ। তাদের মধ্যে অন্যতম হল মুজাম্মিল। তাকে জেরা করে দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ড সম্পর্কিত পুলিশ বেশকিছু বিস্ফোরক নথি হাতে পেয়েছে। মুজাম্মিলের থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, উমর ন’টি ভাষায় পারদর্শী ছিল। সবচেয়ে শিক্ষিত এবং চতুর ছিল। মুজাম্মিলের দাবি, উমরের যে ধরনের মেধা তাতে সে খুব সহজেই পরমাণু বিজ্ঞানী হতে পারত। তদন্তকারীদের মুজাম্মিল জানায়, বুদ্ধিমত্তা ও তাঁর দক্ষতার কারণে দলের সকলে উমরকে সমীহ করে চলত। উমর নিজেকে ‘আমির’ (স্বঘোষিত নেতা) বলে সম্বোধন করত। মুজাম্মিলের আরও দাবি, গোটা দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে সে একজন কর্মী মাত্র। তুলনাটা যদি উমর উন নবির সঙ্গে হয় তাহলে সে একেবারে মামুলি লোক। জঙ্গিরা দিল্লি বিস্ফোরণের নাম দিয়েছিল ‘অপারেশন আমির’।

    উমর-উন-নবির কাছে ছিল একটি বিশেষ সুটকেস!

    দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে ধৃত আর এক জঙ্গি শাহিন সঈদ। তাদের জেরা করেও বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, মূল অভিযুক্ত উমর-উন-নবির কাছে ছিল একটি বিশেষ সুটকেস, যেখানে ছিল বোমা তৈরির উপকরণ, রাসায়নিক ও সেগুলি মাপার সরঞ্জাম। বয়ান অনুযায়ী, আল-ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Al-Falah University) চিকিৎসক উমর উন নবি তার ক্যাম্পাসের ঘরেই ছোট আকারে রাসায়নিক পরীক্ষা চালাতেন। সেখানেই তিনি প্রস্তুত করেছিলেন সেই মিশ্রণ, যা পরে আইইডি বানাতে ব্যবহার করা হয়।

    নেল পালিশ রিমুভার, সুগার পাউডার দিয়ে তৈরি বোমা!

    ধৃতেরা পুলিশকে আরও জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের জন্য যে বোমা গাড়িতে করে দিল্লিতে নিয়ে এসেছিল উমর, সেটি অসম্পূর্ণ অবস্থায় ছিল। এই বোমা তৈরি করতে উমর নেল পালিশ রিমুভার, সুগার পাউডার ব্যবহার করেছিল। প্রাথমিক ভাবে ‘টেরর মডিউল’-এর সদস্যেরা চেয়েছিল হরিয়ানায় যে বিস্ফোরক লুকিয়ে রাখা ছিল, সেগুলি জম্মু-কাশ্মীরে স্থানান্তরিত করা হোক। সেখানেই বড়সড় নাশকতার ছক ছিল উমরের। কিন্তু, ফরিদাবাদ টেরর মডিউলের পর্দাফাঁস হতেই প্রায় তিন হাজার বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। এক এক করে গ্রেফতার হয় হোয়াইট কলার টেরর মডিউলের কাণ্ডারীরা। ফলে, সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।

  • Pancreatic Cancer: ভারতে বাড়ছে অগ্নাশয়ের ক্যান্সার! কাদের জন্য বাড়তি ঝুঁকি রয়েছে?

    Pancreatic Cancer: ভারতে বাড়ছে অগ্নাশয়ের ক্যান্সার! কাদের জন্য বাড়তি ঝুঁকি রয়েছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ভারতে বাড়ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি। প্রত্যেক বছরেই ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গত এক দশকে জীবন যাপনের ধারার জেরে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেড়েছে। অগ্নাশয়ের ক্যান্সার কিংবা প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অস্বাস্থ্যকর জীবন‌ যাপন এই সমস্যা আরও বাড়াচ্ছে।

    ভারতীয়দের জন্য কতখানি বিপজ্জনক?

    ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ক্যান্সার আক্রান্ত ভারতীয়দের মৃত্যুর তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছে অগ্নাশয়ের ক্যান্সার। এই ক্যান্সারের প্রকোপ বৃদ্ধি ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের চিকিৎসা দেরিতে শুরু হয়। রোগ সম্পর্কে অসচেতনতার জেরেই এই চিকিৎসা দেরিতে শুরু হয়। তাই মৃত্যুর ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। ভারতে অগ্নাশয়ে ক্যান্সারে সুস্থ হয়ে ওঠার হারও কম। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই রোগ সম্পর্কে সতর্কতা বাড়লে তবেই পরিস্থিতির পরিবর্তন সম্ভব।

    কেন ভারতে অগ্নাশয়ের ক্যান্সার বাড়ছে?

    মদ্যপানের অভ্যাস বাড়ছে!

    ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অগ্নাশয়ের ক্যান্সার বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ মদ্যপান। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরে ভারতীয়দের মধ্যে মদ্যপানের অভ্যাস বেড়েছে। বিশেষত কম বয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে এই অভ্যাস বেশি দেখা যাচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, যেকোনও উৎসবেই মদ্যপান উদযাপনের রেওয়াজ হয়ে উঠছে। নিয়মিত মদ্যপানের অভ্যাস অন্ত্র এবং লিভারের জন্য ক্ষতিকারক। তাই নিয়মিত মদ্যপান করলে অগ্নাশয়ে ক্যান্সারে ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

    ধূমপান ঝুঁকি বাড়াচ্ছে!

    ধূমপানের অভ্যাস অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের অন্যতম কারণ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তামাক শরীরের জন্য খুবই বিপজ্জনক। তামাক সেবনে অভ্যস্ত হলে শরীরের একাধিক অঙ্গের ক্ষতি হয়। শ্বাসনালী, ফুসফুসের পাশপাশি অগ্নাশয়ের উপরেও ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে‌। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও ধূমপানের প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। কিশোর বয়স থেকেই এই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস নানান রোগের কারণ হয়ে উঠছে। অগ্নাশয়ের ক্যান্সার তার মধ্যে অন্যতম।

    ওবেসিটি বিপজ্জনক!

    অতিরিক্ত ওজন কিংবা ওবেসিটিকে অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের অন্যতম কারণ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতে ওবেসিটি বাড়ছে। শিশুদের মধ্যেও এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। যার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। হৃদরোগ, হরমোনের ভারসাম্যের অভাব, বন্ধ্যাত্বের পাশপাশি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় এই অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা। অস্বাস্থ্যকর খাবারের জেরেই এই ওবেসিটির সমস্যা দেখা দিচ্ছে। নিয়মিত অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস, প্রক্রিয়াজাত খাবারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ার জেরেই এই ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তার ফলে অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ছে।

    ডায়াবেটিস আক্রান্তের জন্য বাড়তি বিপদ!

    ভারতকে ডায়াবেটিসের ‘ক্যাপিটাল’ বলা হয়। ভারতীয়দের মধ্যে ডায়াবেটিস উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। বিশেষত শিশুদের মধ্যেও টাইপ টু ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। মূলত খাদ্যাভাস এবং জীবন যাপনের জন্য এই ধরনের ডায়াবেটিস হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে তার গভীর প্রভাব পড়ে। তাই ডায়াবেটিস অগ্নাশয়ের উপরেও ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে। তার জেরেই অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

    কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সুস্থ থাকার অন্যতম শর্ত স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত শারীরিক কসরত করা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস সুস্থ থাকতে বিশেষ সাহায্য করে‌। দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়। পাশপাশি মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাসকেও সম্পূর্ণ বর্জন করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এগুলো শরীরে একাধিক রোগের ঝুঁকি তৈরি করে। তাই সুস্থভাবে দীর্ঘ জীবন যাপনের জন্য এই ধরনের অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস এড়িয়ে যেতে হবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Kids Breakfast: স্কুল পড়ুয়াদের বাড়ছে অপুষ্টি আর স্থূলতা! নেপথ্যে কি বেঠিক ব্রেকফাস্ট?

    Kids Breakfast: স্কুল পড়ুয়াদের বাড়ছে অপুষ্টি আর স্থূলতা! নেপথ্যে কি বেঠিক ব্রেকফাস্ট?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ঘড়ির কাঁটা মেপে পৌঁছে যেতে হবে স্কুলে! কিন্তু অনেক সময়েই ঘুম থেকে উঠতে বেশ দেরি হয়ে যায়। আর তার জেরেই বাড়ছে নানান বিপদ। স্কুল পড়ুয়াদের শরীরে বাসা বাঁধছে নানান অসুখ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার দিয়ে সকাল শুরু না হলে, তার প্রভাব হয় দীর্ঘমেয়াদি। তাই সন্তানকে সুস্থ রাখতে, তার সকালের প্রথম খাবার নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি।

    স্কুল পড়ুয়াদের কোন‌ সমস্যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে?

    ইউনিসেফের সাম্প্রতিক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, বিশ্ব জুড়ে শিশুদের ওবেসিটি বাড়ছে। শরীরের অতিরিক্ত ওজন নানান রোগের কারণ হয়ে উঠছে। শিশুদের সুস্থ দীর্ঘ জীবনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি পাঁচ জন শিশুর মধ্যে একজন ওবেসিটিতে ভুগছে। ভারতের প্রায় দু’কোটির বেশি শিশু অতিরিক্ত শারীরিক ওজনের সমস্যায় ভুগছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ২০১৭ সালে দু থেকে চার বছর বয়সী ভারতীয় শিশুদের ১১ শতাংশ ওবেসিটিতে আক্রান্ত হয়েছিলো। তাঁদের আশঙ্কা ২০৩০ সালের মধ্যে ১৭ শতাংশের বেশি শিশু এই সমস্যায় আক্রান্ত হবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওবেসিটি শিশুর কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেবে। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, হরমোন ঘটিত নানান অসুখের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেবে।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওবেসিটি শরীরের মেদ বাড়ালেও পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে পারছে না।‌ ফলে শিশুরা অপুষ্টির শিকার হচ্ছে। এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ৬৫ শতাংশ শিশুর মৃত্যুর প্রধান কারণ অপুষ্টি। বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছেন, এখানেই পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। শিশু খাবার খেলেও, এমন কিছু খাবার খাচ্ছে, যা শরীরে পুষ্টির জোগান দিচ্ছে না। বরং তাতে পেটের মেদ বেড়ে যাচ্ছে। এর ফলে অন্যান্য রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

    কেন ব্রেকফাস্টে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে?

    শরীরের এনার্জি লেভেল নির্ভর করে!

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকালের জলখাবার সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। তাঁরা জানাচ্ছেন, সকালে কোন খাবার খাওয়া হচ্ছে, ওর উপরে সারাদিনে শরীরের ক্লান্তি নির্ভর করে। শরীরে কতখানি এনার্জি থাকবে, সেটাও অনেকটাই নির্ভর করে জলখাবারের উপরেই।

    শিশুর হজম ক্ষমতার নির্ধারক!

    প্রথম খাবার পাকস্থলী, লিভারের এবং অন্ত্রের উপরে গভীর প্রভাব ফেলে। এতে হজম শক্তির মাত্রা নির্ভর করে। তাই বারবার বমি কিংবা হজমের অন্যান্য অসুবিধা এড়াতে জলখাবারের দিকে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন।

    মস্তিষ্কের বিকাশেও জরুরি!

    সকালের খাবার মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখার ক্ষেত্রেও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সকালে কী খাবার খাওয়া হচ্ছে, তার উপরে শরীরের এনার্জি নির্ভর করে। তাই মস্তিষ্ক কেমন করে কাজ করবে সেটা সকালের জলখাবারের উপরেই কিছুটা নির্ভর করে। তাই পুষ্টিবিদেরা ব্রেকফাস্টকে ‘ব্রেন ফুড’ বলছেন।

    অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে!

    সকালের জলখাবার অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছেকে ও নিয়ন্ত্রণ করে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন সকালের প্রথম খাবার পেট ভরে ঠিকমতো খেলে খেলে দিনদিন নানান খাবার খাওয়ার ইচ্ছে থাকবে না। অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস বা ‘ওভার ইটিং’ হবে না। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে। তাই সকালের জলখাবার সুস্থ থাকার জন্য অত‌্যন্ত জরুরি।

    স্কুল পড়ুয়াদের জন্য কোন ধরনের খাবার জরুরি?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকালে শুধু কার্বোহাইড্রেট কিংবা প্রোটিন নয়। জলখাবারে রাখতে হবে ব্যালেন্সড্ ডায়েট। অর্থাৎ কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন এবং ফ্যাটের ঠিকঠাক সমতা। তবেই শরীর পর্যাপ্ত এনার্জি পাবে। মস্তিষ্ক ঠিকমতো কাজ করবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্কুল যাওয়ার আগে রুটি, ডিম সিদ্ধ, আপেল, ডাল জাতীয় খাবার খেতে হবে। যাতে কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে প্রোটিন, ভিটামিন এবং ফাইবার শরীরে পৌঁছয়। এতে দিনভর ঘনঘন খিদে পাবে না। আবার শরীরে এনার্জি থাকবে। চটজলদি খাবার নয়। এমন কিছু ঘরোয়া খাবার নিয়মিত খেতে হবে, যাতে শরীর সুস্থ থাকে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশু শুধু দুধ খেয়ে স্কুলে যায়। কিন্তু শুধু দুধ থেকে পর্যাপ্ত পুষ্টি পাওয়া যায় না। দুধের সঙ্গে যেকোনও ধরনের বাদাম, খেজুর, কিংবা যেকোনও ফল খেতে হবে। কিংবা সব্জি দেওয়া খিচুড়ি, ডিম সিদ্ধ খাওয়া দরকার। এই ধরনের খাবারে শরীর ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন সবকিছুই পাচ্ছে। তাই শরীরে ক্লান্তি গ্রাস করবে না। মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকবে। অপুষ্টি কিংবা অতিরিক্ত ওজন, কোনো সমস্যাই গ্রাস করবে না।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • India-US Defence Deal: ভারতকে ৮২৫ কোটি টাকার ক্ষেপণাস্ত্র, গোলা বিক্রিতে সায় ট্রাম্প প্রশাসনের

    India-US Defence Deal: ভারতকে ৮২৫ কোটি টাকার ক্ষেপণাস্ত্র, গোলা বিক্রিতে সায় ট্রাম্প প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য চুক্তি সংক্রান্ত আলোচনা প্রায় অন্তিম পর্যায়ে রয়েছে। তবে তার আগেই প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত একটা বড় চুক্তি চূড়ান্ত করে ফেলল দুই দেশ। ভারতকে প্রায় ৯.৩ কোটি ডলারের (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮২৫ কোটি টাকা) অস্ত্র বিক্রি অনুমোদন করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর ফলে, ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হাতে আসতে চলেছে অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ‘জ্যাভলিন’ ক্ষেপণাস্ত্র, এবং অত্যাধুনিক ‘এক্সক্যালিবার’ আর্টিলারি।

    ৮২৫ কোটি টাকার চুক্তি

    এই চুক্তি যে হতে পারে, সেই খবর আগে থেকেই জানা ছিল। এবার তা অনুমোদিত হল। বুধবার সিলমোহর দিল মার্কিন প্রশাসন। আনুষ্ঠানিকভাবে এই চুক্তির কথা জানিয়েছে ডিফেন্স সিকিউরিটি কর্পোরেশন এজেন্সি (ডিএসসিএ)। বিবৃতি অনুযায়ী, ১০০টি এফজিএম-১২৫ জ্যাভলিন মিসাইল, একটি জ্যাভলিন এফজিএম-১৪৮ ক্ষেপণাস্ত্র (ফ্লাই-টু-বাই), ২৫টি লাইটওয়েট কমান্ড লঞ্চ ইউনিট (সিএলইউ) এবং ২১৬টি এক্সক্যালিবার আর্টিলারি রাউন্ড অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ধাপে ধাপে ভারতীয় সেনার হাতে আসবে মোট ১২টি লঞ্চার এবং ১০৪টি ক্ষেপণাস্ত্র। পাশাপাশি, ভারতের অনুরোধে এই প্যাকেজটিতে আরও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে— জ্যাভলিন এলডব্লিউসিএলইউ বা সিএলইউ বেসিক স্কিল প্রশিক্ষক, মিসাইল সিমুলেশন রাউন্ড, ব্যাটারি কুল্যান্ট ইউনিট, ইন্টারেক্টিভ ইলেকট্রনিক টেকনিক্যাল ম্যানুয়াল, জ্যাভলিন অপারেটর প্রশিক্ষণ, অস্ত্রগুলির লাইফটাইম সাপোর্ট, নিরাপত্তা পরিদর্শন, খুচরো যন্ত্রাংশ, সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন এবং চেক আউট, প্রযুক্তিগত সহায়তা, টুল কিট, ব্লক ১ সিএলইউ সংস্কার পরিষেবা, এবং লজিস্টিক এবং প্রোগ্রাম সহায়তা সম্পর্কিত আরও অন্যান্য উপাদান।

    জ্যাভলিনের কার্যকারিতা অপরিসীম

    আরটিএক্স এবং লকহিড মার্টিন দ্বারা যৌথভাবে তৈরি জ্যাভলিন মিসাইল বেশ কয়েকটি যুদ্ধক্ষেত্রে তার ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা প্রমাণ করেছে। বিশেষ করে ইউক্রেনে, যেখানে অনেক রাশিয়ান টি-৭২ এবং টি-৯০ ট্যাঙ্ক ধ্বংস করা হয়েছিল। এই মিসাইল ইউক্রেন-সহ বিশ্বের অনেক দেশের সামরিক বাহিনী ব্যবহার করে। বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইলগুলির মধ্যে অন্যতম জ্যাভলিন। যুদ্ধের ময়দানে জ্যাভিলিনের কার্যকারিতা অপরিসীম। মাত্র একজন সৈনিক এটিকে ব্যবহার করতে পারেন। ক্ষেপণাস্ত্রটির একটি লঞ্চার রয়েছে, যেটি কাঁধে রেখে নিখুঁত লক্ষ্যে ‘জ্যাভলিন’ ছোড়া যায়। ঠিক যেমন ছোড়া যায় আমেরিকারই তৈরি ‘শোল্ডার ফায়ারড’ বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র স্ট্রিংগার। একটি ‘জ্যাভলিন’-এর ওজন আনুমানিক ২৩ কেজি। বহন করতে পারে সাড়ে আট কেজি বিস্ফোরক। এর লঞ্চার সাধারণত ৬.৪ কেজির হয়ে থাকে। ২,৫০০ মিটার পাল্লার এই মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ধীর গতিতে ওড়া হেলিকপ্টার ধ্বংস করতেও পটু।

    ভবিষ্যতের হুমকি মোকাবিলায় ভারতের ক্ষমতা বৃদ্ধি

    ডিএসসিএ জানিয়েছে, এই চুক্তির ফলে বর্তমান এবং ভবিষ্যতের হুমকি মোকাবিলায় ভারতের ক্ষমতা আরও বাড়াবে, তার প্রতিরক্ষা ক্ষমতা শক্তিশালী করবে এবং আঞ্চলিক হুমকি প্রতিরোধ করবে। এতে আরও বলা হয়েছে যে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীতে এই পণ্য এবং পরিষেবাগুলি অন্তর্ভুক্ত করতে কোনও অসুবিধা হবে না। ডিএসসিএ আরও জানিয়েছে যে, এই চুক্তি মার্কিন-ভারত কৌশলগত সম্পর্ককে শক্তিশালী করতেও সাহায্য করবে।

  • World COPD Day: ৬ কোটির বেশি ভারতীয় আক্রান্ত! চার মন্ত্রেই কাবু হবে সিওপিডি!

    World COPD Day: ৬ কোটির বেশি ভারতীয় আক্রান্ত! চার মন্ত্রেই কাবু হবে সিওপিডি!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    প্রবীণ থেকে শিশু, সব প্রজন্মের বাড়ছে ভোগান্তি। জীবন যাপন কঠিন হয়ে উঠছে। অনেক সময়েই ফুসফুস, শ্বাসনালীর সমস্যা এতটাই বেড়ে যাচ্ছে, যে প্রাণ সংশয় তৈরি হচ্ছে। আর এই সব হয়রানির নেপথ্যে রয়েছে ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে বাড়ছে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা। বড়দের পাশপাশি শিশুরাও এই রোগের শিকার হচ্ছে। জীবনভর নানান হয়রানিও ভোগ করতে হচ্ছে। আজ বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ওয়ার্ল্ড ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ অ্যাওয়ারনেস ডে! আর সেই উপলক্ষে সপ্তাহ জুড়ে চিকিৎসকদের একাধিক কর্মশালা এবং সচেতনা কর্মসূচি চলছে। যেখানে সিওপিডি মোকাবিলার পাঠ শেখানোর পাশপাশি, কেন এই রোগের দাপট বাড়ছে সে নিয়েও সচেতনতা চলছে।

    কেন ভারতে সিওপিডি নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল?

    কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ৬ কোটি মানুষ সিওপিডি-তে আক্রান্ত। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই রোগের জেরে মানুষের জীবন যাপনের মান কমছে। অধিকাংশ আক্রান্ত বছর ভর ভোগান্তির শিকার হন। ঋতু পরিবর্তনের সময় তাঁরা শ্বাসকষ্টে ভোগেন। এর ফলে তাদের নানান সমস্যা হয়। স্বাভাবিক কাজের ক্ষতি হয়। প্রবীণদের পাশপাশি শিশুরাও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। গত কয়েক বছরে শিশুদের মধ্যে সিওপিডি উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে।

    কেন সিওপিডি ভারতে বাড়ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সিওপিডি বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ বায়ু দূষণ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মোট সিওপিডি আক্রান্তের ৫০ শতাংশের রোগের ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে, বায়ু দূষণের জেরেই এই সমস্যা হচ্ছে। অক্সিজেনের তুলনায় বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোঅক্সাইডের মতো ক্ষতিকারক উপাদান বেড়ে যাওয়ার ফলেই শ্বাসকষ্ট হচ্ছে।

    এছাড়া সিওপিডি আক্রান্ত বৃদ্ধির অন্যতম কারণ ধূমপানের অভ্যাস। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ নিয়মিত ধূমপানে অভ্যস্ত। এই অভ্যাস ফুসফুসের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। এর ফলে সিওপিডি হতে পারে। এছাড়াও বংশানুক্রমিক কারণেও এই রোগ হতে পারে। পরিবারের কেউ হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগলে পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে এই রোগ দেখা দিতে পারে।

    কোন চার মন্ত্রে সিওপিডি রুখতে পারবেন?

    সচেতনতা!

    সিওপিডি রুখতে প্রথম পদক্ষেপ হল সচেতনতা। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই রোগ মোকাবিলা করার জন্য রোগ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। পাশপাশি পরিবেশ সম্পর্কেও‌ সচেতনা জরুরি। প্রত্যেক এলাকায় গাছ লাগানো জরুরি। যতটা সম্ভব ধুলো ধোঁয়া থেকে এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। তাছাড়া উৎসব উদযাপন মানেই পরিবেশের ক্ষতি করে এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকা। এই ধরনের সচেতনা বোধ বাড়লে সিওপিডি-র দাপট কমবে। আবার আক্রান্তদের ভোগান্তিও কমবে।

    সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু!

    শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা তৈরি হলে কখনোই সেটা এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, এই রোগ মোকাবিলার জন্য সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করা প্রয়োজন। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ধারাবাহিক চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া দরকার।‌ যাতে ফুসফুসের বেশি ক্ষতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখাও জরুরি। তাই ঠিকমতো চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া হলো‌ সিওপিডি মোকাবিলার অন্যতম অস্ত্র!

    পুষ্টি!

    যে কোনও রোগ মোকাবিলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো পুষ্টি! আক্রান্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেলে রোগ প্রতিরোধ সহজ হয়। আবার নিয়মিত পর্যাপ্ত পুষ্টি শরীর পেলে, নতুন রোগ সহজে আক্রমণ করতে পারে না। তাই সিওপিডি মোকাবিলাতেও পুষ্টি খুব জরুরি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত আদা, এলাচের মতো মশলা রান্নায় ব্যবহার করা উচিত। এই মশলাগুলো শ্বাসনালীর সংক্রমন রুখতে সাহায্য করে। আবার ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল‌ যেমন লেবু, বেরি এগুলো নিয়মিত খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। আবার জলের সঙ্গে নিয়মিত তুলসী পাতা ভিজিয়ে খেলে শরীর ভালো থাকে। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা কমে। কারণ এগুলো যেকোনও ভাইরাস ঘটিত রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

    যোগাভ্যাস!

    নিয়মিত যোগাভ্যাস শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, যোগাযোগ শরীরে যেমন রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো করতে সাহায্য করে। তেমনি ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে হাঁপানি কিংবা ফুসফুসঘটিত যেকোনও রোগ প্রতিরোধ সহজ হয়।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share