Author: Susanta Das

  • Janmashtami 2025: জন্মাষ্টমীতে গোপালকে কেন নিবেদন করা হয় ৫৬ ভোগ? জানুন পৌরাণিক কাহিনি

    Janmashtami 2025: জন্মাষ্টমীতে গোপালকে কেন নিবেদন করা হয় ৫৬ ভোগ? জানুন পৌরাণিক কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দেশজুড়ি পালিত হচ্ছে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী। ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে মর্ত্যে আবির্ভুত হয়েছিলেন শ্রী কৃষ্ণ। যে কারণে, দেশের প্রতিটি কৃষ্ণ মন্দির সেজে ওঠে এই দিন। ঘরে ঘরে আরাধনা করা হয় যশোদা-কা নন্দলালার। “হরে-কৃষ্ণ নাম”-এ মেতে ওঠে নবদ্বীপ থেকে মায়াপুর, মথুরা-বৃন্দাবন। লুচি, মালপোয়া, মোহনভোগ, তালের বড়া, তাল ক্ষীর সাজিয়ে শ্রী কৃষ্ণের প্রার্থনায় মেতে ওঠেন আট থেকে আশি। গোপালকে নিবেদন করা হয় মাখন, মিছরি, ননী-ক্ষীর-সহ ছাপান্ন ভোগ (Krishna Janmashtami 56 Bhog)।

    জন্মাষ্টমীতে কৃষ্ণের আরাধনা

    দ্বাপর যুগে মর্ত্যে আবির্ভাব ঘটে বিষ্ণুর অষ্টম (Janmashtami 2025) অবতার শ্রী কৃষ্ণের। সনাতন ধর্মে, পাপভার থেকে পৃথিবীকে মুক্তি দিতে ও সাধু-সন্ন্যাসীদের পরিত্রাণের জন্য মর্ত্যে আর্বিভূত হয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। ভাদ্রমাসের রোহিনী নক্ষত্র অবস্থিত অষ্টমী তিথিকে শ্রীকৃষ্ণের আর্বিভাব তিথি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথি জন্মাষ্টমী হিসেবে পরিচিত। এদিন ধুমধাম করে সারা দেশে কৃষ্ণ পুজো করা হয়ে থাকে। শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে রাধা, বলরাম ও সুভদ্রার পুজোও করা হয়। শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল মথুরায়। তবে তিনি বেড়ে ওঠেন গোকুলে। সেজন্য মথুরা ও বৃন্দাবনে এই উত্‍সব সবচেয়ে বড় করে হয়।

    কেন ছাপান্ন ভোগ?

    জন্মাষ্টমী উপলক্ষে গোপালকে ৫৬ ভোগ (Krishna Janmashtami 56 Bhog) দেওয়া হয়। জন্মাষ্টমীতে গোপালকে ৫৬ ভোগ অর্পণ করে তাঁর প্রসাদ গ্রহণ করা অত্যন্ত শুভ মনে করা হয়। ৫৬ ভোগে ভগবান কৃষ্ণ প্রসন্ন হন ও ভক্তদের সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ করেন, এমনটাই বিশ্বাস ভক্তদের। ৫৬ রকমের ভোগ অর্পণ করা হয় গোপালকে। ভাত, ডাল, লুচি থেকে তালের বড়া, ক্ষীর, মালপোয়া, লস্যি কী থাকে না! আর মাখন, মিছরি ছাড়া তো গোপালের ভোগই অসম্পূর্ণ।

    পৌরাণিক কাহিনি

    জন্মাষ্টমীর (Janmashtami 2025) দিন বালগোপালকে ৫৬ রকম পদ সাজিয়ে পরিবেশন করা হয়। হিন্দুশাস্ত্র মতে, দেব-দেবীদের পুজোর সময় সাধারণ বিজোড় সংখ্যায় নৈবেদ্য সাজানো হয়ে থাকে। কিন্তু কৃষ্ণকে দেওয়া ৫৬ ভোগ (Krishna Janmashtami 56 Bhog)। পৌরাণিক কাহিনি মতে, বৃন্দাবনবাসীরা ইন্দ্রকে নানারূপে মহার্ঘ ভোগ নিবেদন করে সন্তুষ্ট রাখতেন। হিন্দুশাস্ত্র মতে, ইন্দ্র হলেন বৃষ্টি ও ব্রজের দেবতা। তাঁর আশীর্বাদেই সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত বর্ষণ হয়। তাই চাষীরা ইন্দ্রদেবকে তুষ্ট করতে দামি ও প্রচুর ভোগ রান্না করে নিবেদন করতেন। কিন্তু, গরিব চাষীদের পক্ষে দামি ভোগ নিবেদন করা দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে। চাষীদের কষ্ট দূর করতে এগিয়ে আসেন শ্রীকৃষ্ণ। এভাবে ভোগ নিবেদন না করে ইন্দ্রকে নিজের ভোগ অবস্থা বুঝে নিবেদন করার পরামর্শ গরিব চাষীদের দেন কৃষ্ণ। তাঁর কথা শুনে চাষীরা সেই কাজই করেন। এদিকে, ভোগের সামগ্রীতে ঘাটতি দেখে ইন্দ্র অত্যন্ত রেগে যান। তাঁর ক্রোধে প্রচণ্ড বৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে থাকে। ক্রোধের কারণে বৃন্দাবনে হতে থাকে মেঘভাঙা বৃষ্টি। তারপর থেকেই মানুষের জীবন হয়ে ওঠে বিপন্ন।

    বিপদে পড়ে শ্রীকৃষ্ণের দ্বারস্থ হয় সকলে। বন্যা পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে গ্রামবাসীরা গোবর্ধন পর্বতের দিকে চলে যায়। সেখানে গিয়ে সকলেই দেখেন, শ্রীকৃষ্ণ পর্বতকে নিজের কড়ে আঙুল তুলে রেখে দিয়েছেন। সেই পর্বতের তলায় আশ্রয় নেন সকল গ্রামবাসীরা। টানা সাতদিন ধরে বৃষ্টিপাত হলে বন্যা পরিস্থিতি আরও জোরালো হয়ে ওঠে। সাতদিন টানা কৃষ্ণঠাকুর কড়ে আঙুলে পর্বতকে ধরে থাকেন। সাতদিন ধরে একচুলও নড়েননি তিনি। এমনকী, এককণা খাবারও মুখে তোলেননি। এরপর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় মাতা যশোদা এবং ব্রজবাসীরা মিলে সাত দিন ও অষ্টপ্রহর হিসেবে ৫৬ ধরনের খাবার প্রস্তুত করে কৃষ্ণের কাছে পরিবেশন করেন। তারপর থেকে প্রত্যেক জন্মাষ্টমীতে (Janmashtami 2025) তাঁর জন্য ছাপ্পান্ন ধরনের ভোগ প্রস্তুত করা হয়। কথিত আছে, শ্রীকৃষ্ণকে প্রসন্ন করতে এই ছাপ্পান্ন ভোগ নিবেদন করলে ভক্তদের মনোবাসনা পূর্ণ হয়ে থাকে।

    ৫৬ ভোগে কী কী থাকে? (Krishna Janmashtami 56 Bhog)

    ভাত (ভক্ত), ডাল (সুপ), চাটনি (প্রলেহ), কঢ়ী (সদিকা), দই-সব্জির কঢ়ী (দধিশাকজা), সিখরন (সিখরিণী), শরবৎ (অবলেহ), বাটী (বালকা), মোরব্বা (ইক্ষু খেরিণী), শর্করা যুক্ত (ত্রিকোণ), বড়া (বটক), মঠরী (মধু শীর্ষক), ফেনি (ফেণিকা), পুরী বা লুচি (পরিষ্টশ্চ), খজলা (শতপত্র), ঘেওয়ার (সধিদ্রক), মালপোয়া (চক্রাম), চোলা (চিল্ডিকা), জিলিপি (সুধাকুন্ডলিকা), মেসু (ধৃতপূর), রসগোল্লা (বায়ুপূর), চন্দ্রকলা (পগী হুই), মহারায়তা (দই), থুলি (স্থূলী), লবঙ্গপুরী (কর্পূরনাড়ী), খুরমা (খণ্ড মণ্ডল), ডালিয়া (গোধূম), পরিখা, সুফলঢয়া (মৌরী যুক্ত), বিলসারু (দধিরূপ), লাড্ডু (মোদক), শাক, অধানৌ আচার (সৌধান), মোঠ (মণ্ডকা), পায়েস (ক্ষীর), দই, গাওয়া ঘি, মাখন (হৈয়ঙ্গপীনম), মালাই (মন্ডূরী), রাবড়ি (কূপিকা), পাপড় (পর্পট), সীরা (শক্তিকা), লস্যি (লসিকা), সুবত, মোহন (সংঘায়), সুপারি (সুফলা), এলাচ (সিতা), ফল, তাম্বুল, মোহন ভোগ, লবণ, কষায়, মধুর, তিক্ত, কটূ, অম্ল।

    কীভাবে প্রস্তুত করবেন ছাপান্ন ভোগ

    জন্মাষ্টমীর (Janmashtami 2025) ভোরে উঠেই এই ভোগ রান্না তৈরি করা শুরু করে দেওয়া উচিত। শুদ্ধাচারে হলুদ বস্ত্র পরে এই ভোগ রান্না করা ভাল। অনেকে এই সময় মুখে কাপড় বেঁধে এই রান্না করেন। ছাপান্ন ভোগে শস্য, ফল, শুকনো ফল, মিষ্টি, পানীয়, নোনতা, আচার প্রভৃতিও নিবেদন করা হয়। নিয়ম অনুসারে ৫৬ ভোগে (Krishna Janmashtami 56 Bhog) থাকে ১৬ ধরনের জলখাবার, ২০টি মিষ্টি এবং ২০ ধরনের শুকনো ফল। যার মধ্যে দুধের তৈরি খাবার সবার আগে পরিবেশন করতে হয়।

  • Janmashtami 2025: আজ জন্মাষ্টমী, এ বছর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কততম আবির্ভাব তিথি জানেন?

    Janmashtami 2025: আজ জন্মাষ্টমী, এ বছর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কততম আবির্ভাব তিথি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ জন্মাষ্টমী (Janmashtami 2025)। দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথি। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, দ্বাপর যুগে আজকের দিন শ্রীকৃষ্ণের মর্ত্যে আগমন ঘটেছিল। দেখে নেওয়া যাক, আজ শ্রীকৃষ্ণের কততম জন্মতিথি (Lord Krishna Birth Anniversary)। কীভাবেই বা হিসেব করা হয়েছে সেই সময়?

    শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব কবে?

    বিভিন্ন হিন্দু শাস্ত্র থেকে জানা যায়, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ১২৫ বছর মর্ত্যলোকে ছিলেন। পুরাণ অনুসারে, মাঘ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে ভগবান ইহধাম ত্যাগ করেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন, সেই দিনই কলিযুগ প্রবেশ করে। জানা যায়, ওই দিন ছিল শুক্রবার। অর্থাৎ হিসেব করে দেখলে খ্রিস্টপূর্ব ৩১০১ সালে কলিযুগ শুরু হয়, বর্তমানে চলছে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ। অঙ্কের হিসেবে কলির বয়স দাঁড়াচ্ছে ৩১০১ + ২০২৫= ৫১২৬ বছর। শ্রীকৃষ্ণের (Lord Shri Krishna) অর্ন্তধানের দিন কলি যুগের সূচনা বলে মনে করা হয়। আগেই বলা হয়েছে, শ্রীকৃষ্ণ ১২৫ বছর ধরাধামে ছিলেন। তা হলে শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ৫১২৬ + ১২৫= ৫২৫১ বছর পূর্বে হয়েছিল বলে বোঝা যাচ্ছে।

    ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথি

    ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথি এবং রোহিণী নক্ষত্রের মিলনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। কংসের অত্যাচার থেকে পৃথিবীকে মুক্তি দিতে তাঁর মর্ত্যে আগমন। এই দিনে রাতের পুজোর তাৎপর্য রয়েছে, কারণ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই রাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এই দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শিশু-রূপের পুজো করা হয়। এই শিশু রূপের অনেক নাম রয়েছে। যেমন— নন্দগোপাল, ননীগোপাল, নাড়ুগোপাল ইত্যাদি। এই পুজের রয়েছে বিশেষ কিছু নিয়ম। শিষ্টাচারে, যথাযথ নিয়ম মেনে এই দিন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করলে দুঃখ-কষ্ট দূর হয়।

    জন্মাষ্টমী পুজোর পদ্ধতি

    জন্মাষ্টমীর আগের দিন নিরমিষ অন্ন খেয়ে সংযম পালন করতে হবে এবং রাত ১২টার মধ্যে খেয়ে নিতে হবে। পুজোর দিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে পরিষ্কার কাপড় পরিধান করুন। ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করুন। বাড়ির মন্দিরে প্রদীপ জ্বালান। সমস্ত দেবতার জলাভিষেক করুন। তারপর ব্রত বা উপাসনার সংকল্প নিন। সারাদিন জলাহার ও ফলাহার করুন। সাত্বিক থাকুন। তারপর একটি পাত্রে ভগবান কৃষ্ণের একটি ধাতব মূর্তি রাখুন এবং স্নান করান। প্রথমে দুধ, তারপর দই, তারপর মধু, তারপর চিনি এবং সবশেষে ঘি দিয়ে প্রভুকে স্নান করান। একে পঞ্চামৃত স্নান বলে। প্রভুকে যথাযথভাবে স্নান করানোর পর, তাকে জল দিয়ে স্নান করান। মনে রাখবেন যে জিনিসগুলি নিবেদন করা হবে তা শঙ্খের মধ্যে রেখেই নিবেদন করা উচিত।

    প্রসাদ নিবেদন

    এরপর পীতাম্বর, ফুল ও প্রসাদ নিবেদন করুন। এর পর ভগবানকে দোলনায় বসিয়ে দোল দিন। নাড়ুগোপালকে ছেলের মতো যত্ন করে ভোগ নিবেদন করুন। নাড়ুগোপালকে চিনি, মিছরি এবং শুকনো ফল নিবেদন করুন। ননীও মাখন দিতে ভুলবেন ন। তারপর নাড়ুগোপালের আরতি করুন। ঈশ্বরের কাছে আপনার জীবনের সমস্ত কষ্ট দূর করার জন্য অনুরোধ করুন। এর পরে, আপনি “হরে কৃষ্ণ” মহামন্ত্রও জপ করতে পারেন। জীবনে প্রেম এবং সুখের জন্য “মধুরাষ্টক” পাঠ করুন। শ্রী কৃষ্ণকে গুরুরূপে পেতে হলে শ্রীমদ্ভগবদ গীতা পাঠ করুন।

  • Tariff War: “দাম কম, দম বেশি মন্ত্র অনুসরণ করতে হবে ভারতকে,” লালকেল্লায় বললেন মোদি

    Tariff War: “দাম কম, দম বেশি মন্ত্র অনুসরণ করতে হবে ভারতকে,” লালকেল্লায় বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতকে উচ্চমানের ও সাশ্রয়ী পণ্যের ওপর জোর দিতে হবে “দাম কম, দম (গুণমান) বেশি” মন্ত্র অনুসরণ করে, যাতে একটি সমৃদ্ধশালী,  স্বনির্ভর দেশ হিসেবে গড়ে তোলা যায়, যা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ত্যাগকে সম্মান জানায়।”  শুক্রবার ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে দিল্লির লালকেল্লায় ভাষণ দিতে (Tariff War) গিয়ে কথাগুলি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শুধু তাই নয়, দেশবাসীকে সতর্ক করে তিনি বলেন, “অন্যদের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতাকে দুর্বল করতে পারে”। ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শুল্ক নিয়ে দড়ি টানাটানির আবহে তিনি বলেন, “যারা অন্যের ওপর অতিরিক্ত নির্ভর করে, তারা নিজের স্বাধীনতার ওপর বড় প্রশ্নচিহ্ন ডেকে আনে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (Tariff War)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আসল দুর্ভাগ্য শুরু হয় তখন, যখন নির্ভরতা অভ্যাসে পরিণত হয়। আর বুঝতেই না পেরে আমরা আত্মনির্ভর হওয়া বন্ধ করে দিই এবং অন্য কারও ওপর নির্ভর করতে শুরু করি। এই অভ্যাস ঝুঁকিমুক্ত নয়, তাই আত্মনির্ভর থাকতে হলে আমাদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আত্মনির্ভরতা কেবলমাত্র আমদানি, রফতানি বা মুদ্রা বিনিময়ের সীমার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি আমাদের সক্ষমতার সঙ্গেও যুক্ত। যখন আত্মনির্ভরতা ক্ষয় হতে শুরু করে, তখন আমাদের শক্তিও ক্ষয় হয়। আমাদের সক্ষমতা রক্ষা, বজায় রাখা এবং উন্নত করার জন্য আত্মনির্ভরতা অপরিহার্য।”

    বিশ্বে সম্মান অর্জনের জন্য ভারতীয়দের করণীয়

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক স্বার্থপরতার এই (Tariff War) সময়ে (PM Modi), বিশ্বে সম্মান অর্জনের জন্য ভারতকে অন্যদের সীমিত করার বদলে নিজেকে শক্তিশালী করায় মনোযোগ দিতে হবে। আমাদের উচিত নয় অন্য কারও লাইন ছোট করার চেষ্টা করে নিজের শক্তি নষ্ট করা। বরং আমাদের নিজের লাইনকে সর্বশক্তি দিয়ে দীর্ঘায়িত করতে হবে। বিশ্ব আমাদের শক্তিকেই সম্মান দেবে। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে, যেখানে অর্থনৈতিক স্বার্থপরতা দিন দিন বেড়েই চলেছে, সেখানে প্রয়োজন কাঁদতে বসে থাকা নয়, বরং সাহসের সঙ্গে নিজের লাইন দীর্ঘ করা।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমাদের কাজ করা উচিত এই মন্ত্র (PM Modi) নিয়ে—‘দাম কম, দম বেশি’, অর্থাৎ খরচ কম, গুণমান বেশি। মনে রাখতে হবে, আমাদের স্বাধীনতা এসেছে অসীম ত্যাগের মাধ্যমে (Tariff War)।”

  • Janmashtami 2025: এখন ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে জন্মাষ্টমী, পুজোতে এই উপকরণগুলো অবশ্যই রাখবেন

    Janmashtami 2025: এখন ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে জন্মাষ্টমী, পুজোতে এই উপকরণগুলো অবশ্যই রাখবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখন ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে জন্মাষ্টমী। দৃক সিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধ সিদ্ধান্তমতে জন্মাষ্টমীর অষ্টমী তিথি আরম্ভ হচ্ছে আজ, শুক্রবার ১৫ অগাস্ট। এদিন রাত ১১টা ৫১ মিনিটে এই তিথি শুরু হচ্ছে। আর অষ্টমী তিথি শেষ হচ্ছে শনিবার ১৬ অগাস্ট রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে। মধ্যরাত ১২টা ০৪ মিনিট থেকে ১২টা ৪৭ মিনিট পর্যন্ত পুজো করার শুভ সময়। অন্যদিকে, গুপ্তপ্রেস বা বেণীমাধব শীলের ফুল পঞ্জিকামতে শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর অষ্টমী তিথি আরম্ভ হচ্ছে, শুক্রবার ১৫ অগাস্ট গভীর রাত ১টা ১৬ মিনিট ৯ সেকেন্ডে। শেষ হবে শনিবার রাত ১০টা ৪৮ মিনিট ৩ সেকেন্ডে। ফলে, উদয় তিথি হিসেবে শনিবার অষ্টমী। ফলে, শনিবারই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জন্মাষ্টমী পুজো হবে। তবে, মধ্যরাতের নিরিখে শুক্রবারেও বহু গৃহে উদযাপন হচ্ছে।

    জন্মাষ্টমী পুজোর উপকরণ—

    ধূপকাঠি, কর্পূর, জাফরান, চন্দন, সিঁদুর, সুপারি, পান, পদ্ম, তুলসীর মালা, ধনে, যজ্ঞবেত ৫, কুমকুম, ধান, আবির, কাঁচা হলুদ, গোপালের গয়না, সপ্তমৃত্তিকা, সপ্তধন, কুশ ও দূর্বা, শুকনো ফল, গঙ্গাজল, মধু, চিনি, মিছরি, তুলসী ডাল, খাঁটি ঘি, দই, দুধ, মৌসুমি ফল, নৈবেদ্য বা মিষ্টান্ন, ছোট এলাচ, লবঙ্গ, সুগন্ধি, সিংহাসন, ঝুলা।

    এই পুজোতে লাগে— আমপল্লব, পঞ্চামৃত, কলা পাতা, ওষুধ, শ্রী কৃষ্ণের মূর্তি বা ছবি, গণেশের ছবি, অম্বিকার ছবি, ভগবানের পোশাক, গণেশকে নিবেদনের পোশাক, অম্বিকাকে নিবেদনের পোশাক, সাদা কাপড়, লাল কাপড়, পঞ্চ রত্ন, প্রদীপ, পান, নারকেল, চাল, গম, গোলাপ ও লাল পদ্মফুল, দূর্বা, অর্ঘ্য পাত্র, পঞ্চগব্য, পঞ্চগুড়ি, পাট, বালি, পঞ্চবর্ণের গুড়ো, মধুপর্কের বাটি।

    জন্মাষ্টমীর পুজোয় ময়ূরের পালক ও বাঁশির মাহাত্ম্য

    ময়ুর পালক

    ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মবার্ষিকীতে ময়ূরের পালক দেওয়া ভগবান কৃষ্ণের আরাধনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা বিশ্বাস করা হয় যে ভগবান কৃষ্ণ বাঁশির মতো ময়ূরের পালক অত্যন্ত পছন্দ করেন। তাই তিনি এটিকে মুকুট হিসাবে ব্যবহার করতেন। জন্মাষ্টমীর পুজো সফল করতে ময়ূরের পালক ও একটি মুকুট অর্পণ করুন গোপালকে। ঘরের সমস্ত নেতিবাচক শক্তি দূরে সরিয়ে সমৃদ্ধি পেতে চাইলে বাড়িতে রাখুন ময়ূরের পালক। জন্মাষ্টমীর পুজোতেও ময়ূরের পালক রাখা প্রয়োজন। এতে ঘরে সুখ শান্তি আসে।

    বাঁশি

    ময়ূরের পালকের মতো বাঁশি ছাড়াও পুজো করা অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে বাঁশি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের খুব প্রিয়। আপনি যদি চান যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ আপনার উপর বর্ষিত হোক, তা হলে আপনাকে অবশ্যই গোপালকে জন্মবার্ষিকীতে বাঁশি নিবেদন করতে হবে। বলা হয়, কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর দিন বাড়িতে বাঁশি রাখলে খুবই উপকার হয়। এতে ঘরে ধন-সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ে সুখ ও শান্তি। ফলে পুজোর বেদীতে শ্রীকৃষ্ণের বাঁশি রেখে দিতে পারেন।

    শঙ্খ ও তুলসীর তাৎপর্য

    শঙ্খ

    জন্মাষ্টমীর পুজোতে শঙ্খ ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। শঙ্খকে সনাতন ঐতিহ্যে শুভর প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। জন্মাষ্টমীর উৎসবে গোপালকে স্নান করাতে এবং পুজোর সময় শঙ্খ ব্যবহার করা হয়। জন্মাষ্টমীর পুজোর সময় সঙ্গে রাখুন একটি শঙ্খ।

    তুলসী

    জন্মাষ্টমীর পুজোয় তুলসী পাতা অবশ্যই নিবেদন করতে হয় গোপালকে। কারণ তুলসী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের খুব প্রিয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে জন্মাষ্টমীর পুজোয় তুলসী নিবেদন করলে শীঘ্রই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ প্রসন্ন হন এবং কাঙ্খিত বরদান করেন।

    জন্মাষ্টমীর বিশেষ ভোগ-

    জন্মাষ্টমীর ভোগের মধ্যে ৫৬ ভোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ৫৬ রকমের নৈবেদ্যর সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা পৌরাণিক কাহিনি। নিয়ম অনুসারে ৫৬ ভোগে থাকে ১৬ ধরনের জলখাবার, ২০ টি মিষ্টি এবং ২০ ধরণের শুকনো ফল। যার মধ্যে দুধের তৈরি খাবার সবার আগে পরিবেশন করতে হয়।

    তবে, যদি বাড়িতে ৫৬ ভোগ করা সম্ভব না হয়, তাহলে লুচি, ছোলার ডাল এবং সুজি প্রস্তুত করুন। গোপাল পুজোয় ঘরে ঘরে তৈরি হয় তালের বড়া ও তালের ক্ষীর, মালপোয়া, মোহনভোগ, নারকেল নাড়ু, মাখন, ক্ষীর, মিষ্টি, পায়েস, বাসন্তী পোলাও। এর পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই দুধ-দই, কাঁচা মাখন বা ননীর ব্যবস্থা করতে হবে, কারণ গোপাল দুধ-দই এবং মাখন খুব পছন্দ করেন। পঞ্চামৃত তৈরি করুন এবং সব ধরনের ফল রাখুন।

    জন্মাষ্টমী পুজোর পদ্ধতি

    জন্মাষ্টমীর আগের দিন নিরমিষ অন্ন খেয়ে সংযম পালন করতে হবে এবং রাত ১২টার মধ্যে খেয়ে নিতে হবে। ঘুমনোর আগে অবশ্যই ভাল করে মুখ ধুয়ে ঘুমতে হবে। পুজোর দিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে নিন। ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করুন। বাড়ির মন্দিরে প্রদীপ জ্বালান। সমস্ত দেবতার জলাভিষেক করুন।

    এই দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শিশু-রূপের পুজো করা হয়। এই শিশু রূপের অনেক নাম রয়েছে। যেমন— নন্দগোপাল, ননীগোপাল, নাড়ুগোপাল ইত্যাদি। নাড়ুগোপালকে ছেলের মতো যত্ন করে ভোগ নিবেদন করুন। নাড়ুগোপালের জলাভিষেক করে তাকে দোলনায় রাখুন। এরপর আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী নাড়ুগোপালকে ভোগ নিবেদন করুন। মনে রাখবেন যে শুধুমাত্র সাত্ত্বিক জিনিস ঈশ্বরের কাছে নিবেদন করা হয়।

    এই দিনে রাতের পুজোর তাৎপর্য রয়েছে, কারণ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ রাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। রাতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বিশেষ পুজো করুন। সেই সময় নাড়ুগোপালকে চিনি, মিছরি এবং শুকনো ফল নিবেদন করুন। নাড়ুগোপালকে ভোগ নিবেদন করুন। নাড়ুগোপালের আরতি করুন।

  • Modi At Red Fort: দেশের প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ স্থান হবে নিরাপদ, লালকেল্লা থেকে ‘সুদর্শন চক্র মিশন’-এর ঘোষণা মোদির

    Modi At Red Fort: দেশের প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ স্থান হবে নিরাপদ, লালকেল্লা থেকে ‘সুদর্শন চক্র মিশন’-এর ঘোষণা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভবিষ্যতের যে কোনও ধরনের প্রযুক্তি-ভিত্তিক হামলা থেকে দেশের প্রতিটা প্রান্তকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে এখন থেকেই পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার সেই যুগান্তকারী প্রতিরক্ষা পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। এদিন দেশের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস (79th Independence Day) উপলক্ষে দিল্লির লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন নরেন্দ্র মোদি (Modi At Red Fort)। সেখানেই তিনি জানান, আগামী ১০ বছরের মধ্যে দেশের প্রতিটা কোনাকে সুরক্ষিত করতে জাতীয় সুরক্ষা ঢাল তৈরি করার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ দেশীয় এই প্রকল্পের নাম ‘মিশন সুদর্শন চক্র’ (Mission Sudarshan Chakra)। দেশকে সুরক্ষা দেওয়ার, শত্রুদের আক্রমণ প্রতিহত পাশাপাশি শত্রুদের ধ্বংস করার ক্ষমতা থাকবে এই মিশনের। পুরোপুরিভাবে আত্মনির্ভরভাবে তথা দেশীয় প্রযুক্তিতে এই মিশন কাজ করবে, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর।

    কী এই ‘সুদর্শন চক্র মিশন’?

    নরেন্দ্র মোদি (Modi Independence Day Speech) বলেছেন, “২০৩৫ সালের মধ্যে রাষ্ট্রের সব গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরকে পুরোপুরি একটি নির্দিষ্ট সুরক্ষা কবচের মধ্যে আনা হবে। এর সেক্টরগুলির মধ্যে সামরিক সেক্টর যেমন রয়েছে তেমনই থাকবে হাসপাতাল, রেলও। নতুন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পুরোপুরি সুরক্ষাকবচ দেওয়া হবে এই সব ক্ষেত্রকে।” প্রধানমন্ত্রী জানান, এটি ভগবান কৃষ্ণের সুদর্শন চক্র দ্বারা অনুপ্রাণিত। এটি হবে একটি অত্যাধুনিক দেশীয় প্রযুক্তিনির্ভর অস্ত্র ব্যবস্থা, যা শুধু শত্রুর আক্রমণ প্রতিরোধই নয়, প্রয়োজনে তাদের উপর নির্ভুল পাল্টা আঘাত হানতেও সক্ষম হবে। মহাভারতের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “সকলেই জানেন, কীভাবে শ্রী কৃষ্ণ তাঁর সুদর্শন চক্র দিয়ে সূর্যকে ঢেকে দিনকে অন্ধকার করে দিয়েছিলেন, যাতে অর্জুন তাঁর প্রতিজ্ঞা পূরণ করতে সক্ষম হন। একইভাবে, ভারতের ‘সুদর্শন চক্র’ও শত্রুদের প্রতিটি আক্রমণকে নিষ্ক্রিয় করতে এবং তাদের চেয়ে বহুগুণ বেশি শক্তি দিয়ে প্রতিশোধ নিতে সক্ষম হবে।”

    প্রতিরক্ষায় দেশীয় ঢাল ও বর্ম

    প্রধানমন্ত্রী আরও স্পষ্ট করেছেন যে, এই উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত গবেষণা, উন্নয়ন এবং উৎপাদন ভারতেই করা হবে এবং এটি দেশের যুবকদের হাতেই প্রস্তুত করা হবে। এই ‘মিশন সুদর্শন চক্র’ বাস্তবায়নের মূল উদ্দেশ্য দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে এমন এক উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া, যেখানে আকাশপথ, স্থলপথ ও সমুদ্রপথ— তিন ক্ষেত্রেই শত্রুর যেকোনও আক্রমণ মুহূর্তের মধ্যে শনাক্ত ও প্রতিহত করা সম্ভব হবে। শুধু সামরিক সুরক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না এই প্রযুক্তি; বরং দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে— যেমন বড় শহর, কৌশলগত শিল্পাঞ্চল, বিদ্যুৎকেন্দ্র, পারমাণবিক স্থাপনা এবং সীমান্তবর্তী এলাকায়— এটি স্থাপন করা হবে, যাতে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত হয়।

    দেশীয় ইঞ্জিনের পক্ষে সওয়াল মোদির

    তিনি আরও বলেন, “এই সুরক্ষা নিয়মিত বাড়ানো হবে। রাষ্ট্রীয় সুরক্ষাকে মজবুত, আধুনিক করার জন্য এই সিদ্ধান্ত।” ‘মিশন সুদর্শন চক্র’ যে প্রযুক্তিগত হামলা ঠেকানোর ঢাল হবে, তা একপ্রকার স্পষ্ট করে দিয়েছেন মোদি। এই মিশনের জন্য রিসার্চ, ডেভেলপমেন্ট, ম্যানুফ্যাকচারিং সবটাই ভারতে হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে, যুদ্ধবিমানের জন্য মেড ইন ইন্ডিয়া ইঞ্জিনের জন্য জোরালো সওয়াল করেন তিনি। জানান, এটাই সময়ের দাবি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “সম্মান পাওয়ার জন্য আত্মনির্ভর থাকা দরকার। অপারেশন সিঁদুরে দেখেছি আত্মনির্ভরতার ক্ষমতা। আত্মনির্ভর না হলে এত বড় সাফল্য আসত না।” প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ, আমেরিকা থেকে ইঞ্জিন আসতে দেরি হওয়ায় তেজসের উৎপাদন বিলম্বিত হচ্ছে। প্রসঙ্গত, তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানের জন্য ইঞ্জিন সরবরাহ করছে মার্কিন সংস্থা জিই।

  • Independence Day 2025: আজ ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস, একনজরে ভারতের সংগ্রামীদের সেরা কিছু উক্তি

    Independence Day 2025: আজ ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস, একনজরে ভারতের সংগ্রামীদের সেরা কিছু উক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত জুড়ে পালিত হচ্ছে ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস (Independence Day)। দেশের সব প্রান্তে তিরঙ্গা পতাকা উড়িয়ে এই বিশেষ দিনটি আড়ম্বরের সাথে পালন করে সাধারণ মানুষ। অনেক সংগ্রাম, রক্তক্ষয় ও অশ্রুজলের মধ্যে দিয়ে প্রায় দুশো বছরের পর পরাধীনতার হাত থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি। বহু ভারতীয়ের দীর্ঘ এবং কঠিন সংগ্রামের পর ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট আমাদের দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। ব্রিটিশদের হাত থেকে দেশকে স্বাধীন করতে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ দিয়েছেন। সেই বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদান কখনও ভোলার নয়। স্বাধীনতা দিবসের মত এই বিশেষ দিনে এমনই কিছু বীরের উক্তি মনে করা যাক একনজরে।

    “স্বাধীনতা মানুষের অবিচ্ছিন্ন অধিকার। ওরা আমাকে মেরে ফেলতে পারে, কিন্তু আমার বিশ্বাস, আমার চিন্তাকে ওরা কখনও মারতে পারবে না।” – ভগৎ সিং

    “প্রথমে তারা তোমাকে উপেক্ষা করবে, তারপর তোমাকে দেখে হাসবে। তারপরে সংঘর্ষে লিপ্ত হবে। শেষে কিন্তু জয় তোমারই হবে।” – মহাত্মা গান্ধী

    “পুঁজিবাদী সমাজের শক্তিগুলিকে যদি নিয়ন্ত্রণ না করা হয়, তাহলে ধনীরা আরও ধনী এবং দরিদ্ররা আরও দারিদ্রতার স্বীকার হবে।” – জওহরলাল নেহরু

    “কোনও সম্প্রদায়ের অগ্রগতি আমি সেই সম্প্রদায়ের নারীর অগ্রগতির নিরিখে পরিমাপ করি।” – ভীম রাও আম্বেদকর

    “তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।” – সুভাষ চন্দ্র বসু

    “দুশমন কি গোলিও কা হাম সামনা করেঙ্গে / আজাদ হি রহে হ্যায়, আজাদই রহেঙ্গে।” – চন্দ্রশেখর আজাদ

    “এদেশের সমস্ত নাগরিককে মনে রাখতে হবে যে তারা ভারতীয় এবং এই দেশে তাদের সমস্ত অধিকার রয়েছে, সমস্ত কর্তব্যও রয়েছে।” – সর্দার বল্লবভাই প্যাটেল

    “সরফরোশি কি তমন্না অব হামারে দিল মে হ্যায় / দেখনা হ্যায় জোর কিতনা বাজু-ই-কাতিল মে হ্যায়” – রামপ্রসাদ বিশমিল

    “স্বরাজ আমার জন্মগত অধিকার এবং আমি সেটা অর্জন করবই” – বাল গঙ্গাধর তিলক

    “আমরা গভীর আন্তরিকতা, বক্তৃতায় আরও সাহস এবং কর্মে আন্তরিকতা চাই।” – সরোজিনী নাইডু

    “আমি গীতাপাঠ করেছি। আমার মৃত্যুভয় নেই”– ক্ষুদিরাম বসু।

    “লক্ষ্যে পোঁছানোর আগে মৃত্যুর হিমশীতল তোমাদের স্পর্শ করলে তোমরা অনুগামীদের হাতে এই অন্বেষণ এর ভার তুলে দেবে-যেমন আমি তোমাদের হাতে তুলে দিচ্ছি। প্রিয় বন্ধুরা-এগিয়ে চল-কখনও পিছিয়ে যেও না। ওই দেখা যাচ্ছে স্বাধীণতার নবারুণ। উঠে-পড়ে লাগো। কখনও হতাশ হয়ো না। সাফল্য আমাদের সুনিশ্চিত।” – মাস্টারদা সূর্য সেন।

    “চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির,
    জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর
    আপন প্রাঙ্গণতলে দিবসশর্বরী
    বসুধারে রাখে নাই খণ্ড ক্ষুদ্র করি,
    যেথা বাক্য হৃদয়ের উৎসমুখ হতে
    উচ্ছ্বসিয়া উঠে, যেথা নির্বারিত স্রোতে
    দেশে দেশে দিশে দিশে কর্মধারা ধায়
    অজস্র সহস্রবিধ চরিতার্থতায়,
    যেথা তুচ্ছ আচারের মরুবালুরাশি
    বিচারের স্রোতঃপথ ফেলে নাই গ্রাসি,
    পৌরুষেরে করে নি শতধা, নিত্য যেথা
    তুমি সর্ব কর্ম চিন্তা আনন্দের নেতা,
    নিজ হস্তে নির্দয় আঘাত করি, পিতঃ;
    ভারতেরে সেই স্বর্গে করো জাগরিত॥” – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  • Independence Day 2025: আজ ১৫ অগাস্ট, ফিরে দেখা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস

    Independence Day 2025: আজ ১৫ অগাস্ট, ফিরে দেখা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ স্বাধীনতা দিবস (Independence Day 2025)। এ বছর ভারত তার ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছে। দেশজুড়ে সাজ সাজ রব। আজ, এই মাহাত্ম্যপূর্ণ দিবস উপলক্ষে ফের একবার মনে করে নিই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা আন্দোলনের বিশেষ বিশেষ ঘটনাগুলি।

    ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ: স্বাধীনতার প্রথম যুদ্ধটি হয়েছিল ১৮৫৭ সালে। দেশবাসী একে জানেন সিপাই বিদ্রোহ হিসেবে। মঙ্গল পাণ্ডে, বাহাদুর শাহ জাফর, রানি লক্ষ্মীবাই এবং নানা সাহিব রুখে দাঁড়িয়েছিলেন ব্রিটিশ সৈনদের বিরুদ্ধে। পরে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে।

    স্বদেশি আন্দোলন: উনবিংশ শতাব্দীতে শুরু হয় স্বদেশি আন্দোলন। বিদেশি দ্রব্য বর্জন করে দেশীয় জিনিস ব্যবহার করার ডাক দেওয়া হয়। বাল গঙ্গাধর তিলকের মতো নেতারা দেশবাসীকে স্বদেশি দ্রব্য ব্যবহার করার আহ্বান জানান। পরবর্তীকালে তিলক এবং জেআরডি টাটা মিলে চালু করেন বিখ্যাত বম্বে স্বদেশি কো-অপারেটিভ স্টোর্স কোম্পানি।

    ভারত ছাড়ো আন্দোলন: ১৯৪২ সালের ৮ অগাস্ট শুরু হয় ভারত ছাড়ো আন্দোলন। এদিনই মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির বম্বে অধিবেশন বসে। এই আন্দোলন ছিল অহিংস আন্দোলন।

    প্রথম জাতীয় পতাকা: ভারতের প্রথম জাতীয় পতাকায় ছিল সবুজ, হলুদ এবং লাল রং। ১৯০৬ সালের ৭ অগাস্ট কলকাতার পার্সি বাগান স্কোয়ারে তোলা হয় ওই পতাকা। বর্তমানে যে জাতীয় পতাকা দেখি, তা প্রথম দেখা যায় ১৯২১ সালে। তিরঙ্গা ওই পতাকায় রয়েছে গেরুয়া, সাদা এবং সবুজ। ২৪ স্পোকের অশোক চক্রও রয়েছে। জাতীয় এই পতাকার ডিজাইন করেছিলেন পিঙ্গালি বেঙ্কাইয়া। ১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই এটি গ্রহণ করা হয়। সরকারিভাবে এই জাতীয় পতাকা তোলা হয় ১৫ অগাস্ট, স্বাধীনতা দিবসের দিন।

    ভারতের জাতীয় সঙ্গীত: ভারত স্বাধীন হওয়ার সময় কোনও জাতীয় সঙ্গীত ছিল না। ১৯১১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন ভারত ভাগ্য বিধাতা। পরে এর নাম হয় জনগণমন। ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে একে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করা হয়।

    র‌্যাডক্লিফ লাইন: ভারত পাকিস্তানের মধ্যে র‌্যাডক্লিফ লাইন টানা হয় ১৯৪৭ সালের ৩ অগাস্ট। পাঞ্জাব ও পাকিস্তানের সীমান্ত ও বাংলা রিজিয়ন প্রকাশিত হয় ১৯৪৭ সালের ১৭ অগাস্ট।

    ভারতের জাতীয় গান: ১৮৮০ সালে জাতীয় গান বন্দে মাতরম লিখেছিলেন আনন্দমঠের রচয়িতা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি সংবিধান পরিষদ একে জাতীয় গান হিসেবে গ্রহণ করে।

    ভারতের স্বাধীনতা: ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি পায় কঙ্গো, বাহরিন, কোরিয়া এবং লিচেস্টাইনের সঙ্গে ভারতও। ভাগ হয়ে যায় ভারত ও পাকিস্তান। ভারতের শেষ গভর্নর জেনারেল লর্ড মাউন্টব্যাটেন ১৯৪৮ সালের ৩০ জুন ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাজি হয়েছিলেন। ভারতীয় নেতারা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হন। পরে ব্যাটেন ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাজি হন ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট। তিনি জানান, দেশে আরও কোনও প্রতিবাদ দেখতে চান না তিনি।

    প্রথম তিরঙ্গা উত্তোলন: স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ১৫ অগাস্ট লালকেল্লায় প্রথমবার উত্তোলন করেন তিরঙ্গা পতাকা। দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, গোটা পৃথিবী যখন ঘুমোচ্ছে, তখন ভারত জাগবে নতুন জীবন ও স্বাধীনতা নিয়ে।

  • Independence Day 2025: স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন ভাবছেন, সঠিক নিয়ম জানেন তো?

    Independence Day 2025: স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন ভাবছেন, সঠিক নিয়ম জানেন তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই স্বাধীনতা দিবস (Independence Day)। ২০২৫ সালে ভারত তার ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করতে চলেছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই উদযাপন শুরু হবে দেশজুড়ে। শুক্রবার, সকাল থেকে চলবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন সহ বিভিন্ন দেশাত্মবোধক কর্মসূচি পালন। স্বাধীনতা দিবস মানে অনুষ্ঠান-উৎসব, নাচ-গানের মাধ্যমে দেশের বীর যোদ্ধাদের স্মরণ করা। দেশাত্মবোধ ও জাতীয়তাবাদের এক আলাদা পরিবেশ দেখা যায় শহক থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে প্রান্তিক জনপদগুলিতেও। বাড়ি থেকে ক্লাব, সর্বত্র দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন নাগরিকরা। বিগত কয়েক বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকারও ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি নিয়েছে, যার মাধ্যমে নাগরিকদের কাছে খোদ প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছেন পতাকা উত্তোলন করার।

    দ্য ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্স এবং দ্য ফ্ল্যাগ কোড অফ ইন্ডিয়ার নির্দেশিকা

    পতাকা উত্তোলন (Independence Day) তো সর্বত্রই হবে, কিন্তু জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার সময় কী করা যাবে আর কী করা যাবে না, রয়েছে সেই ব্যাপারে কয়েকটি নিয়মাবলি ও নির্দেশিকাও (National Flag Hoisting Rules)। দ্য ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্স এবং দ্য ফ্ল্যাগ কোড অফ ইন্ডিয়া বেশ কিছু নিয়মাবলী বেঁধে দিয়েছে এবিষয়ে। এই দুই বিধিতেই শ্রদ্ধা ও মর্যাদার সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের কথা বলা হয়েছে। এমন ভাবে তা তুলতে হবে যেন তা কোনওভাবেই মাটিতে স্পর্শ না করে বা কখনও জাতীয় পতাকাকে কেউ যেন পোশাক হিসেবে ব্যবহার না করেন।

    কী কী করতে হবে?

    – ফ্ল্যাগ কোড অফ ইন্ডিয়ার (Independence Day) ২ নং ধারা অনুযায়ী, প্রত্যেক স্বাধীন নাগরিকের অধিকার রয়েছে তাঁর বাড়ি, ব্যবসায়িক জায়গায় অথবা কর্মস্থানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার।

    – যে কোনও সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও প্রতিদিন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারে।

    – জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ছাত্রদের শপথ বাক্য পাঠ করানোরও কথা বলা হয়েছে।

    – জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার সময় মনে রাখতে হবে যে এই পতাকা আমাদের দেশের গর্ব ও মর্যাদার প্রতীক।

    – জাতীয় পতাকা কোনওভাবেই উল্টো করে উত্তোলন করা যাবে না, সর্বদাই গেরুয়া অংশ ওপরে থাকবে এবং সবুজ অংশ নীচে থাকবে।

    – জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার সময় অথবা নামিয়ে নেওয়ার সময় সর্বদাই স্যালুট করতে হবে।

    – জাতীয় পতাকা সর্বোচ্চ স্থানে থাকবে।

    কী কী করা যাবে না (National Flag Hoisting Rules)

    – কোনও সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যাবে না, কাপড় হিসেবে জাতীয় পতাকাকে ব্যবহার করা যাবে না। টেবিল ক্লথ, রুমাল হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে না।

    – সূর্যাস্তের পরে তিরঙ্গা নামিয়ে নিতে হবে।

    – জাতীয় পতাকার প্রতি কোনও অবস্থাতেই অসম্মান প্রদর্শন করা যাবে না, এতে পা দেওয়া যাবে না, ইচ্ছাকৃতভাবে মাটিতে বা মেঝেতে স্পর্শ করানো যাবে না।

    – ফুল-মালা বা অন্য কোন বস্তু জাতীয় পতাকার ওপরে রাখা যাবে না।

    – জাতীয় পতাকা ফেস্টুন হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।

    – নষ্ট হয়ে যাওয়া জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যাবে না।

    – জাতীয় পতাকার ওপর কোনও ধরনের স্লোগান বা নকশা আঁকা যাবে না।

  • West Bengal Weather Update: বঙ্গোপসাগরে দানা বেঁধেছে নিম্নচাপ, দক্ষিণবঙ্গের ১৫ জেলায় জারি হলুদ সতর্কতা

    West Bengal Weather Update: বঙ্গোপসাগরে দানা বেঁধেছে নিম্নচাপ, দক্ষিণবঙ্গের ১৫ জেলায় জারি হলুদ সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে দানা বেঁধেছে নিম্নচাপ। তার জেরে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হচ্ছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় হচ্ছে বিক্ষিপ্ত মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি। এই পরিস্থিতিতে, আগামী কয়েকদিনের পূর্বাভাস (West Bengal Weather Update) জানাল আলিপুর আবহওয়া দফতর।

    প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে বাংলায়, তাতেই বৃষ্টি

    বঙ্গোপাসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হবে সেই পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া অফিস। সেই পূর্বাভাস মিলে গেছে। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। এরপর সেটি শক্তি বাড়িয়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হবে। আগামী দু’দিনের মধ্যে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ এবং দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের স্থলভাগে প্রবেশ করবে এটি। এর সরাসরি প্রভাব বাংলায় না পড়লেও, প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে বাংলায়। তার জেরেই আগামী কয়েকদিন বৃষ্টি হবে (Rain Alert)।

    দক্ষিণবঙ্গের ১৫টি জেলায় হলুদ সতর্কতা

    আলিপুর আবহাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুয়ায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টা হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের ১৫টি জেলায়। সেগুলি হল— কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া। বৃহস্পতিবার দক্ষিণের সব জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি ও শুক্রবার উপকূল ও পশ্চিমের জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। শুক্রবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের কিছু অংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইবে। তবে সপ্তাহান্তে দক্ষিণবঙ্গে হলুদ সতর্কতা জারি থাকলেও, তা সীমাবদ্ধ রয়েছে কেবল ৭ জেলায়।

    উত্তরের ৫ জেলায় হলুদ সতর্কতা

    অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের উপরের ৫ জেলায় আগামী ৫ দিন হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে। যেখানে ৭০ থেকে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদায় হলুদ সতর্কতা রয়েছে।

  • Janmashtami 2025: ১৫ না ১৬ তারিখ, এ বছর ঠিক কবে পড়েছে জন্মাষ্টমী? কী বলছে পঞ্জিকা?

    Janmashtami 2025: ১৫ না ১৬ তারিখ, এ বছর ঠিক কবে পড়েছে জন্মাষ্টমী? কী বলছে পঞ্জিকা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মে পালিত উৎসবগুলির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হল জন্মাষ্টমী। শ্রীকৃষ্ণের জন্ম তিথিতেই দেশজুড়ে পালন করা হয় জন্মাষ্টমী (Janmashtami)। এটি হিন্দু ধর্মের কাছে খুবই পূণ্যের তিথি। এই শুভ তিথিতে শ্রীবিষ্ণুর অষ্টম অবতার হিসাবে শ্রীকৃষ্ণকে পুজো করা হয়। বাসুদেব ও দেবকীর অষ্টম সন্তান এবং বিষ্ণুর অষ্টম অবতার কৃষ্ণ কংসের কারাগৃহে জন্ম হয়। ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে (Janmashtami 2025 Tithi) ও রোহিণী নক্ষত্রে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল। প্রতি বছর এই তিথিতে কৃষ্ণের ছোটবেলার রূপ, ননীগোপালের পুজো করা হয়। জন্মাষ্টমীর অপর নাম কৃষ্ণাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী, অষ্টমী রোহিণী, শ্রীকৃষ্ণজয়ন্তী। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, এ বছরটি শ্রীকৃষ্ণের ৫২৫১তম জন্মদিন।

    কবে কখন পড়ছে তিথি? কী বলছে বিভিন্ন মত?

    চলতি বছর, জন্মাষ্টমী ১৬ অগাস্ট। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্তমতে জন্মাষ্টমীর অষ্টমী তিথি আরম্ভ হচ্ছে শুক্রবার ১৫ অগাস্ট। সেদিন রাত ১১টা ৫১ মিনিটে এই তিথি শুরু হবে। আর অষ্টমী তিথি শেষ হবে শনিবার ১৬ অগাস্ট। সেদিন রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে তিথি শেষ হবে। অন্যদিকে, গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকামতে শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর অষ্টমী তিথি আরম্ভ হচ্ছে, শুক্রবার ১৫ অগাস্ট। সেদিন (গভীর) রাত ১টা ১৬ মিনিট ৯ সেকেন্ডে জন্মাষ্টমীর অষ্টমী তিথি শুরু হবে। অষ্টমী তিথি শেষ হবে শনিবার। পঞ্জিকা বলছে, সেদিন রাত ১০টা ৪৮ মিনিট ৩ সেকেন্ডে অষ্টমী তিথি শেষ হচ্ছে।

    তবে, উপবাস তিথিটি পড়েছে ১৫ থেকে ১৬ অগাস্টের মধ্যে। নিশীথপুজোর সময়টা হল– ১৬ অগাস্ট রাত ১২টা ০১ মিনিট থেকে ১২টা ৪৬ মিনিট। রোহিণী নক্ষত্রে অষ্টমী তিথি শেষ হলে তবেই উপবাসভঙ্গ করার বিধি। ব্রহ্ম মুহূর্ত পড়ছে ভোর ৪টে ২৪ মিনিট থেকে ভোর ৫টা ০৭ মিনিট পর্যন্ত। স্মার্ত ও বৈষ্ণব ঐতিহ্যে জন্মাষ্টমী দুদিন মানা হয়। ইসকন-ই এখন বলতে গেলে বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বে। তারা ১৬ অগাস্ট দিনটিকেই জন্মাষ্টমীর মূলতিথি হিসেবে ধরছে। অন্যদিকে, ১৫ অগাস্ট স্মার্ত সম্প্রদায় পালন করবে জন্মাষ্টমী। এই সম্প্রদায় রোহিনী নক্ষত্র অনুসারে তাঁদের জন্মাষ্টমী তিথি পালন করে থাকে। এই সম্প্রদায় নিশীথকালকেই অগ্রাধিকার দেয়। অষ্টমীতিথিটা কতক্ষণ থাকছে– এটাই তাঁদের কাছে সব জরুরি। জ্যোতিষশাস্ত্রের গ্রহনক্ষত্র দিন-তিথি অনুযায়ী কখন এই মহাপুণ্যমুহূর্ত আসছে, সেটা দেখেই তারা জন্মাষ্টমী পালন করে।

    ১৭ তারিখ পালিত হবে নন্দোৎসব

    জন্মাষ্টমীর পরের দিন, অর্থাৎ ১৭ অগাস্ট পালিত হবে নন্দোৎসব। এটি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মোৎসবের আনন্দ উদযাপন করে, যেখানে নন্দ মহারাজ (কৃষ্ণের পালক পিতা) তার পুত্রের জন্ম উপলক্ষে এই উৎসব পালন করেন। নন্দোৎসব, যা নন্দনন্দন উৎসব নামেও পরিচিত, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়। এদিন, ভক্তরা নন্দ মহারাজ এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পুজো করে এবং তাদের প্রতি ভক্তি জানায়। নন্দোৎসব ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মোৎসবের আনন্দ ও উল্লাসের উদযাপন। এই দিনে, ভক্তরা নন্দ মহারাজ এবং শ্রীকৃষ্ণের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। এটি ভক্তদের মধ্যে আনন্দ, প্রেম এবং ভক্তির বার্তা ছড়িয়ে দেয়। এই উৎসবটি বৃন্দাবনের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই বিশেষ দিনে কৃষ্ণের প্রিয় ভোগ নিবেদন করা হয়। অনেক বাড়িতে জন্মাষ্টমীর থেকেও বেশি বড় করে নন্দোৎসব পালন করা হয়।

LinkedIn
Share