Author: Susanta Das

  • Kartavya Bhavan: অত্যাধুনিক সুবিধা ও সজ্জায় সজ্জিত ‘কর্তব্য ভবন ৩’-এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    Kartavya Bhavan: অত্যাধুনিক সুবিধা ও সজ্জায় সজ্জিত ‘কর্তব্য ভবন ৩’-এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক ও দফতরগুলিকে এক ছাদের তলায় নিয়ে আসার কথা মাথায় রেখেই অভিন্ন কেন্দ্রীয় সচিবালয় গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মোদি সরকার। তারই অঙ্গ হিসেবে বুধবার কমন সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েটের প্রথম বিল্ডিংয়ের উদ্বোধন করলেন নরেন্দ্র মোদি। এদিন, ‘কর্তব্য ভবন ৩’-এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। এই নতুন ভবনটিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং কর্মীবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতর সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের কার্যালয় থাকবে বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে নর্থ ব্লক থেকে পরিচালিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই ভবনে স্থানান্তরিত হবে।

    সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পেপ অংশ

    ভারতের ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পকে। এই মহাপরিকল্পনার অধীনে ইতিমধ্যে নতুন সংসদ ভবন চালু হয়েছে, যা দেশের আইন প্রণয়নের কেন্দ্র। এছাড়াও, রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত বিস্তৃত তিন কিলোমিটার দীর্ঘ রাজপথের (বর্তমানে ‘কর্তব্য পথ’) সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে এবার ১০টি কর্তব্য ভবন গড়ে তোলা হচ্ছে। লক্ষ্য, ভারতের প্রশাসনিক পরিকাঠামোকে আরও আধুনিক ও সুসংহত করা। এরই প্রথম ভবনের উদ্বোধন হল বুধবার। গোটা পরিকল্পনা ও রূপায়ণের দায়িত্বে কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক।

    উঠে আসছে আরও ৯ কর্তব্য ভবন

    জানা গিয়েছে, ‘কর্তব্য ভবন ৩’ প্রায় দেড় লক্ষ বর্গমিটার আয়তনের একটি আধুনিক অফিস কমপ্লেক্স, যার দুটি বেসমেন্ট এবং সাত তলা জুড়ে বিস্তৃত। এতে স্বরাষ্ট্র, বিদেশ, গ্রামীণ উন্নয়ন, এমএসএমই, ডিওপিটি, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস এবং প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা সহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক থাকবে। ‘কর্তব্য ভবন ১’ ও ‘কর্তব্য ভবন ২’-এর কাজ আগামী মাসে সম্পন্ন হওয়ার কথা। ‘কর্তব্য ভবন ১০’ -এর নির্মাণ কাজ আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে শেষ হবে। ভবন ৬ এবং ৭-এর প্রকল্পটি ২০২৬ সালের অক্টোবরের মধ্যে সম্পন্ন হবে।

    অত্যাধুনিক সুবিধা

    কর্তব্য ভবনটি একেবারে আধুনিক সজ্জা ও সুবিধায় সজ্জিত। নতুন ভবনটি আধুনিক প্রশাসনিক অবকাঠামোর একটি উদাহরণ। এর মধ্যে রয়েছে— আইটি-প্রস্তুত এবং সুরক্ষিত কর্মক্ষেত্র, আইডি কার্ড-ভিত্তিক অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ, সমন্বিত ইলেকট্রনিক নজরদারি এবং একটি কেন্দ্রীয় কমান্ড সিস্টেম। ছাদে সৌর প্যানেল যা বছরে পাঁচ লক্ষ ইউনিটেরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম। সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারের ফলে, ৩০ শতাংশ শক্তি সাশ্রয় হবে বলে আশা। এতে থাকছে ডাবল-গ্লেজড কাচের জানলা, সোলার ওয়াটার হিটার, উন্নত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, বায়ুচলাচল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং বৃষ্টির জল সংগ্রহের সুবিধা। এই নতুন ভবনে থাকছে ৩২৪টি পার্কিং স্লট, ১২০টি বৈদ্যুতিক যানবাহন চার্জিং পয়েন্ট, প্রতিদিন ৬৫০টি যানবাহনকে পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা।

  • Ministry of Defence: দেশের প্রতিরক্ষাকে আরও শক্তিশালী করতে ৬৭০০০ কোটি টাকার অস্ত্র-সরঞ্জাম কিনছে ভারত

    Ministry of Defence: দেশের প্রতিরক্ষাকে আরও শক্তিশালী করতে ৬৭০০০ কোটি টাকার অস্ত্র-সরঞ্জাম কিনছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তিশালী হতে চলেছে ভারতের অস্ত্রভান্ডার। শতাধিক ব্রহ্মস ও উন্নত ড্রোন কিনতে চলেছে ভারতীয় ফৌজ। ইতিমধ্যে অস্ত্র কেনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৬৭ হাজার কোটি টাকার চুক্তিতে প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Defence)।

    সামরিক বাহিনীর (Indian Armed Forces) আধুনিকীকরণের কাজ শুরু হয়েছিল আগেই। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরে তাতে আরও গতি এসেছে। মঙ্গলবারই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছিল প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় সংক্রান্ত সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কমিটি (ডিফেন্স অ্যাকিউজিশন কাউন্সিল বা ডিএসি)। সেখানেই অস্ত্র কেনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    ৮৭টি ম্যাল সশস্ত্র ড্রোন

    জানা যাচ্ছে, তিন-বাহিনীর জন্য মাঝারি-উচ্চতায় দীর্ঘক্ষণ আকাশে উড়তে সক্ষম (ম্যাল) সম্পন্ন ৮৭টি সশস্ত্র ড্রোন কেনা হবে। সেই ড্রোনগুলি তৈরি হবে ৬০ শতাংশ দেশীয় উপকরণ দিয়ে। এর জন্য বিদেশি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করবে একটি ভারতীয় প্রতিরক্ষা কোম্পানি। কিনতে খরচ হবে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এই সব ড্রোন কেনার পর ১০ বছর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আরও ১১ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে।

    ১১০টি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র

    এর পাশাপাশি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অনুমতিতে নতুন ১১০টি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র কেনারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুনিয়ার দ্রুততম ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রগুলির মধ্যে অন্যতম হল ব্রহ্মস। রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করেছে ভারত। জল, স্থল, আকাশ ও জলের নীচ— এই চার জায়গা থেকেই ছোড়া যায় ব্রহ্মস। এর প্রতিটির জন্য পৃথক সংস্করণের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে সামরিক বাহিনী। ব্রহ্মসের গতি শব্দের চেয়ে তিনগুণ। দেশের প্রতিরক্ষাকে মাথায় রেখে এই ব্রহ্মসকে আরও উন্নত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সেই লক্ষ্যে ৫ দফা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেখানে ব্রহ্মসের পাল্লা ও গতি দুটোই বাড়ানো হচ্ছে।

    সাঁজোয়ার জন্য থার্মাল ইমেজার

    নৌবাহিনীর জন্য কমপ্যাক্ট অটোনমাস সারফেস ক্রাফ্ট কেনার অনুমোদন দিয়েছে ডিফেন্স অ্যাকিউজিশন কাউন্সিল। এই স্বয়ংক্রিয় নৌযান সাবমেরিন শনাক্ত করতে পারে। একইসঙ্গে বারাক-১ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে আরও উন্নত করা হবে। স্থলসেনার ব্যবহৃত সাঁজোয়া সামরিক যানগুলির আধুনিকীকরণের অঙ্গ হিসেবে তার জন্য থার্মাল ইমেজার সহ উন্নতমানের ড্রাইভার নাইট সাইট কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে কম আলোয় বা রাতে চালকের দেখতে কোনও অসুবিধা হবে না।

    পাহাড়ি সীমান্তে মাউন্টেন রেডার

    এছাড়া, বায়ুসেনার সি-১৭ ও সি-১৩০জে বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন কমিটি, যাতে যুদ্ধের সময়ে পরিবহণ এবং উদ্ধারকাজে দেরি না হয়। একই সঙ্গে এস-৪০০ লং রেঞ্জ মিসাইল সিস্টেম-এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বার্ষিক চুক্তির অনুমোদনও মিলেছে। আকাশপথে শত্রুর গতিবিধির উপরে নজর রাখতে পাহাড়ি সীমান্তে বসানো হবে মাউন্টেন রেডার। পাশাপাশি সক্ষম/স্পাইডার মিসাইল সিস্টেমকে আপগ্রেড করে ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কনট্রোল সিস্টেম (IACCS)-এর সঙ্গে যুক্ত করার কাজও চলবে জোরকদমে।

  • Stop Eating Rice: রোগা হওয়ার জন্য ভাত খাওয়া বন্ধ করেছেন! আজান্তেই বিপদ ডেকে আনছেন না তো?

    Stop Eating Rice: রোগা হওয়ার জন্য ভাত খাওয়া বন্ধ করেছেন! আজান্তেই বিপদ ডেকে আনছেন না তো?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শরীরের ওজন নিয়ে এখন সতর্কতা বাড়ছে। স্থূলতার সমস্যা কমাতে অনেকেই চটজলদি পথে হাঁটতে চাইছেন। আর তাই কাটছাঁট হচ্ছে খাবারে। তাড়াতাড়ি শরীরের ওজন ঝরাতে অনেকেই মেনু থেকে ভাত সম্পূর্ণ বাদ দিচ্ছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনভিজ্ঞ ভাবে ডায়েট তৈরি সবচেয়ে বড় সমস্যা। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই দ্রুত ওজন কমানোর জন্য ভাত সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে দেন। কোনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়াই অনেকেই এই ধরনের ডায়েট তৈরি করেন। আর এর ফল হয় মারাত্মক। শরীরের লাভের তুলনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্ষতির পাল্লাই এখন বেশি ভারি থাকে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    মেনু থেকে ভাত সম্পূর্ণ বাদ দিলে কী উপকার হবে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দ্রুত ওজন কমানোর জন্য অনেকেই মেনু থেকে ভাত সম্পূর্ণ বাদ দেয়। কয়েক সপ্তাহ টানা ভাত না খেলে শরীরের ওজন দ্রুত কমে যায়। ভাতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ যথেষ্ট থাকে। তাই নিয়মিত ভাত খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। এর ফলে নিয়মিত খাবারের তালিকা থেকে ভাত সম্পূর্ণ বাদ দিলে দ্রুত ওজন কমবে।

    কেন ভাত বাদ দিলে ক্ষতির পাল্লা ভারি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মেনুতে ভাত সম্পূর্ণ বাদ দিলে ওজন কমবে। কিন্তু এর প্রভাব খুবই খারাপ। শরীরে মারাত্মক প্রভাব পড়বে। ভাত বাদ পড়লে ক্ষতির পাল্লা ভারি হবে‌। দীর্ঘদিন ভাত সম্পূর্ণ বাদ দিলে শরীরে একাধিক পুষ্টির অভাব দেখা দেবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভাতে শুধুই কার্বোহাইড্রেট থাকে না। তার সঙ্গে থাকে একাধিক ভিটামিন। যেমন, ভিটামিন বি১ (থায়ামিন), বি৩ (নিয়াসিন), আয়রনের মতো একাধিক উপাদান থাকে। এই উপাদানগুলো শরীরে পুষ্টির জোগানে খুবই প্রয়োজনীয়। তাই ভাত সম্পূর্ণ বাদ দিলে পুষ্টিও অসম্পূর্ণ থাকে।

    বাঙালির আরেক পরিচয় ভাতে-মাছে বাঙালি! চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধুই পছন্দের জন্য নয়। পরিবেশগত কারণেও ভাত বাঙালির প্রয়োজন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারত গ্রীষ্মপ্রধান দেশ। এই আবহাওয়ায় সব্জি, প্রাণীজ প্রোটিনের সঙ্গে ভাত খেলে হজমের সুবিধা হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভাত থেকে শরীর পর্যাপ্ত ফাইবার পায়। তাই ভাত খেলে হজম ভালো হয়। আবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রতিদিনের খাবারের তালিকা থেকে ভাত সম্পূর্ণ বাদ দিলে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় এনার্জির ঘাটতি। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরে কার্বোহাইড্রেট প্রয়োজন। কার্বোহাইড্রেট থেকেই শরীর এনার্জি পায়। নিয়মিত বিভিন্ন কাজের শক্তি জোগান হয়। তাই ভাত সম্পূর্ণ বাদ দিলে এই এনার্জির ঘাটতি হবে। শরীর ক্লান্তি অনুভব করবে‌। প্রতিদিনের স্বাভাবিক সাধারণ কাজ করার ইচ্ছে নষ্ট হবে।

    শরীরের পাশপাশি মানসিক অবসাদ তৈরি হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ভাত না খেলে শরীরের পাশপাশি মনের উপরেও চাপ পড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, কার্বোহাইড্রেটের ঘাটতি হলে মানসিক চাপ তৈরি হয়। মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়। তাই মানসিক অবসাদ তৈরি হয়। তাই খাবারের তালিকা থেকে ভাত সম্পূর্ণ বাদ দিল মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষেও ক্ষতি হয়।

    ভাত খাওয়া নিয়ে কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্থূলতার সমস্যা কমানোর পাশাপাশি ডায়াবেটিসের মতো একাধিক রোগের প্রকোপ রুখতেও, অনেকেই ভাত না খাওয়ার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ভাত না খেলে শরীরে ক্ষতি হয়। আবার বেশি খেলেও নানান রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে খাওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে ভাত খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ডায়বেটিসের প্রকোপ ও আটকানো যাবে। আবার ভাত না খাওয়ার ক্ষতিও এড়ানো যাবে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ওজন কমাতে হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো, পরিমিত পরিমাণে ভাত খাওয়ার পাশপাশি বিকল্প দানাশস্য জাতীয় খাবার সম্পর্কেও সচেতন হতে হবে। অর্থাৎ শরীরে এনার্জির জোগান বজায় রাখতে রুটি খাওয়া যাবে কিনা, সব্জি, প্রাণীজ প্রোটিন, দুগ্ধজাত খাবার কী খাওয়া যাবে, সে সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল থাকা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, রোগা হওয়ার অর্থ শারীরিক ও মানসিকভাবে দূর্বল হয়ে পড়া নয়।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • PCOD: ভারতে প্রকোপ বাড়ছে পিসিওডি-র, মোকাবিলায় কোন খাবারে বাড়তি জোর চিকিৎসক মহলের?

    PCOD: ভারতে প্রকোপ বাড়ছে পিসিওডি-র, মোকাবিলায় কোন খাবারে বাড়তি জোর চিকিৎসক মহলের?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    জলখাবারেই রয়েছে ‘দাওয়াই’! দেশ জুড়ে বাড়ছে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ বা পিসিওডি (PCOD)! চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এটা একধরনের ‘লাইফস্টাইল’ ডিজিজ (Lifestyle Dieases)। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেহের ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে, কিংবা রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে মহিলাদের জরায়ুতে একাধিক সিস্ট তৈরি হয়। এই সমস্যাকেই পিসিওডি বলা হয়। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়ঃসন্ধিকালে থাকা মেয়েদের এই ধরনের সমস্যা দেখা যায়। অনেক সময়েই এই সমস্যা আজীবন থাকে। এই সমস্যা আরও জটিল রোগ তৈরি করে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। প্রতি দশ জন মহিলার মধ্যে একজন পিসিওডি সমস্যায় ভুগছেন। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, প্রথম থেকেই জীবন যাপনের ধরন এবং খাদ্যাভাস ঠিকমতো রাখলেই এই রোগের প্রকোপ আটকানো সহজ‌ হবে।

    কেন পিসিওডি বাড়তি দুশ্চিন্তা তৈরি করছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পিসিওডি একটি জীবন যাপন সংক্রান্ত রোগ। ঠিকমতো পুষ্টি এবং স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এই রোগ মোকাবিলা করতে পারবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পিসিওডি-তে আক্রান্ত হলে ওভারিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। এর ফলে, স্বাভাবিক হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে না। নিয়মিত ঋতুস্রাব হয় না। এর জেরে শারীরিক বিকাশেও সমস্যা হতে পারে। বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যা‌ও দেখা দিতে পারে। পিসিওডি-র মতো সমস্যায় স্বাভাবিক জীবন যাপনে নানান সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই সমস্যা বাড়তি উদ্বেগ তৈরি করছে।

    কীভাবে জলখাবারে রয়েছে পিসিওডি (PCOD) মোকাবিলার চাবিকাঠি?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সুস্থ থাকার চাবিকাঠি রয়েছে জলখাবারের মধ্যে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সকালের খাবার শরীরে বাড়তি পুষ্টি জোগায়। দিনের প্রথম খাবার, তাই শরীরে তার প্রভাব ও বাড়তি পড়ে। তাই জীবন যাপন সংক্রান্ত রোগ রুখতে সকালের জলখাবার খুবই জরুরি। কারণ এই খাবারেই শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে বাড়তি সাহায্য করে‌। ফলে, পিসিওডি-র মতো রোগ মোকাবিলাও সহজ হয়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকালের জলখাবারে পরিমিত প্রোটিন এবং নূন্যতম কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেলে পিসিওডি নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত জলখাবারে এমন খাবার নির্বাচন করতে হবে, যাতে শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়। কিন্তু ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। কার্বোহাইড্রেট বাড়তি না পৌঁছয়। তবেই পিসিওডি-র মতো রোগের প্রকোপ কমবে।

    কাঠবাদাম এবং ওটস

    পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, সকালে কাঠবাদাম এবং ওটসের মতো‌ খাবার পিসিওডি নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, কাঠবাদামে রয়েছে প্রোটিন। তবে শুধু প্রোটিন নয়। বরং, তার পাশপাশি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ। ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়ামের মতো নানান খনিজ পদার্থ। এর ফলে শরীরে বাড়তি এনার্জির জোগান হয়। তবে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। কারণ, ওটস এবং কাঠবাদামে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ পর্যাপ্ত থাকলেও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ খুব কম থাকে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।

    দানাশস্যের তৈরি রুটি

    এছাড়াও বাজরা, জোয়ার, মিলেট, রাগি জাতীয় দানাশস্যের তৈরি রুটির সঙ্গে সবুজ সব্জি খেলে পিসিওডি (PCOD) রুখতে সাহায্য হয়। কারণ, সবুজ সব্জিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ। আর দানাশস্যে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার। এই খনিজ পদার্থ, ভিটামিন ও ফাইবার সকালে শরীরে পৌঁছলে একদিকে শরীরে এনার্জির জোগান‌ বজায় থাকবে। হজম ঠিকমতো হবে। আবার স্থূলতার সমস্যা ও সহজেই আটকানো সম্ভব। তাই দানাশস্যে তৈরি রুটি এবং রঙিন সব্জি অর্থাৎ, গাজর, পালং শাক, রাঙা আলু, বিনসের মতো নানান রঙের মতো সব্জি দিয়ে তৈরি তরকারি খেলে পিসিওডি-র মতো রোগ নিয়ন্ত্রণ সহজ।

    ডালের চিল্লা

    যে কোনও ডালের চিল্লা বানিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মুগ কিংবা মুসুর ডালে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং প্রোটিন। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। তাই সকালের জলখাবারের মেনুতে কড়াইয়ে সামান্য পরিমাণ বাটার দিয়ে তাতে মুগ কিংবা মুসুর ডালের পেস্ট ছড়িয়ে দিতে হবে। তার উপরে সামান্য পনির কুচি, পিঁয়াজ কিংবা শশা কুচি মিশিয়ে তৈরি করলেই অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার তৈরি হয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই খাবারে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ অত্যন্ত কম। আবার পর্যাপ্ত ভিটামিন, প্রোটিন শরীর সহজেই পাবে। তাই এই ধরনের খাবার সহজেই শরীরকে পুষ্টি দেয়।

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, পিসিওডি-র‌ মতো রোগ প্রতিরোধ করতে শরীরের ওজন নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। ওজন নিয়ন্ত্রণে করতে পারলে এই রোগ (PCOD) মোকাবিলা সহজ হবে। তাই খাওয়ার সময় প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ খাবার পর্যাপ্ত খাওয়া জরুরি। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। কারণ ওজন বাড়লেই এই ধরনের রোগ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও বাড়বে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Poll Body: তেজস্বীর দাবি নস্যাৎ করে দিল নির্বাচন কমিশন, কী বলল জানেন?

    Poll Body: তেজস্বীর দাবি নস্যাৎ করে দিল নির্বাচন কমিশন, কী বলল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় জনতা দলনেতা তেজস্বী যাদবের (Tejashwi Yadav) দাবি নস্যাৎ করে দিল নির্বাচন কমিশন (Poll Body)। কমিশনের দাবি, তেজস্বীর ওই আইডি কার্ডের এপিক নম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ইস্যু করা হয়নি। কমিশনের তরফে তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে, তিনি যেন তাঁর ভোটার আইডি কার্ডের বিবরণ দেন।

    তেজস্বীর দাবি (Poll Body)

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। তার পরেই তেজস্বী দাবি করেন, খসড়া ভোটার তালিকায় নাম নেই তাঁর। এর পরেই কমিশনের তরফে তেজস্বীকে একটি নোটিশ পাঠানো হয়। তাতে লেখা, তদন্তের পর জানা গিয়েছে, আপনার নাম বিহার অ্যানিমাল সায়েন্স ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরি ভবনের ভোটকেন্দ্র নম্বর ২০৪-এর ক্রমিক নম্বর ৪১৬-এ তালিকাভুক্ত রয়েছে, যার এপিক নম্বর আরএবি০৪৫৬২২৮। অথচ আপনি ০২.০৮.২০২৫ তারিখের প্রেস কনফারেন্সে যে এপিক নম্বর আরএবি২৯১৬১২০ উল্লেখ করেছেন, সেই অনুযায়ী আপনার দাবি মেলে না।”

    কমিশনের নোটিশ

    কমিশনের নোটিশে এও বলা হয়েছে, “প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী এপিক নম্বর আরএবি২৯১৬১২০ আনুষ্ঠানিকভাবে ইস্যু করা কোনও নম্বর নয় বলেই মনে হচ্ছে। তাই অনুরোধ করা হচ্ছে আপনি উক্ত এপিক কার্ডের বিস্তারিত তথ্য (মূল কপি সহ) নির্বাচন কমিশনের তদন্তকারী আধিকারিককে সরবরাহ করুন যাতে এটি পূর্ণাঙ্গভাবে যাচাই করা যায়।”  উল্লেখ্য যে, শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে তেজস্বী (Tejashwi Yadav) বলেন, “নির্বাচন কমিশন ৬৫ লাখ ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার কারণ হিসেবে দাবি করেছে মৃত্যু ও অন্যত্র স্থানান্তরকে (Poll Body)। কিন্তু নির্বাচন কমিশন আমাদের যে তালিকা দিয়েছে, তাতে চতুরভাবে কোনও ভোটারের ঠিকানা, বুথ নম্বর কিংবা এপিক নম্বর দেওয়া হয়নি, যাতে আমরা জানতে না পারি কার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।”

    এদিন ক্যামেরার সামনে তিনি নিজের এপিক নম্বর দেখিয়ে তথ্য যাচাই করার চেষ্টা করেছিলেন। এই এপিক নম্বরটি হল একটি অনন্য বর্ণসংখ্যার কোড যা ভোটার আইডিতে ছাপা থাকে। যদিও তেজস্বী জানান, কমিশনের অনলাইন পোর্টালে সেই তথ্য পাওয়া যায়নি। এদিকে, নির্বাচন কমিশনের একটি সূত্রের দাবি, সিপিআই(এমএল)-এর সাংসদ সুধামা প্রসাদের স্ত্রীর নামে দু’টি এপিক (Tejashwi Yadav) রয়েছে। সূত্রগুলি ওই এপিক কার্ডগুলির বিস্তারিত তথ্যও শেয়ার করেছে। তাঁর দল সুপ্রিম কোর্টে বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে একটি মামলার আবেদনকারী (Poll Body)।

  • Hepatitis: বর্ষায় রাজ্যে বাড়ছে হেপাটাইটিস-এ আক্রান্তের সংখ্যা, উদ্বেগ চিকিৎসক মহলে

    Hepatitis: বর্ষায় রাজ্যে বাড়ছে হেপাটাইটিস-এ আক্রান্তের সংখ্যা, উদ্বেগ চিকিৎসক মহলে

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    গত কয়েক বছরের তুলনায় চলতি বছরে বর্ষার দাপট বেশি। লাগাতার বৃষ্টিতে সকলেই নাজেহাল। জমা জলের জেরে কলকাতা, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হুগলি, হাওড়ার একাধিক এলাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত। আর এই পরিস্থিতিতে একাধিক রোগ ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের একাধিক জায়গায় হেপাটাইটিস-এ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই তাঁরা মনে করছেন। কয়েক দিন ধরে জমা জলের জেরেই এই ধরনের রোগের সংক্রমণ বাড়ছে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আগাম সতর্কতা বজায় রাখতে না পারলে বিপদ আরও বাড়বে। লিভারের জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যাবে।

    কাদের বিপদের আশঙ্কা বেশি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হেপাটাইটিস-এ মূলত জলবাহিত রোগ। আবার অনেক সময়েই দেখা যায়, অন্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার জেরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি শিশুদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি তুলনামূলক ভাবে কম থাকে। তাই তাঁদের এই রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। তাছাড়া শিশুরা অনেক সময়েই বাড়ির বাইরে যায়। বিশেষত স্কুলে দীর্ঘ সময় কাটায়। সেখানেও তারা জল খাচ্ছে। বর্ষার আবহাওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় পানীয় জল কতখানি পরিশ্রুত থাকছে, সে নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন থাকছে। কারণ, বিভিন্ন জায়গায় জল জমে পানীয় জলের লাইনে নোংরা জল মিশে গিয়েছে। এমন আশঙ্কাও দেখা যাচ্ছে। পানীয় জল কতখানি পরিশ্রুত, তার উপরে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নির্ভর করে। তাই রাজ্যের একাধিক জায়গায় শিশুরা হেপাটাইটিস-এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই শিশুদের দিকে বাড়তি নজরদারি জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    লিভারের কোনও সমস্যা থাকলে, হেপাটাইটিসের ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যায় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই লিভারের নানান রোগে ভুগছেন। এই পরিস্থিতি তাঁদের জন্য বাড়তি বিপজ্জনক। কারণ, লিভারের রোগের ঝুঁকি হেপাটাইটিসের ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দেয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় একাধিক পতঙ্গবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ে‌। বিশেষত ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির মতো মশাবাহিত রোগের দাপট এই রাজ্যে মারাত্মক। আর এই ধরনের রোগের জেরে হেপাটাইটিসের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো রোগ শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে একেবারেই কমিয়ে দেয়। এর ফলে সামান্য অসাবধানতা বড় বিপদ তৈরি করে। ফলে, অনেকেই এই ধরনের সংক্রামক রোগের পরেই জন্ডিসের মতো লিভারের রোগের শিকার হয়। তাই যারা ডেঙ্গি কিংবা ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের বাড়তি সাবধানতা জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    গর্ভবতীদের বাড়তি বিপদ‌ বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গর্ভাবস্থায় যে কোনও অসুখ বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করে। তাই বর্ষার এই পরিস্থিতিতে গর্ভবতী মায়েদের হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি যাতে তৈরি না হয়, সেদিকে নজরদারি জরুরি বলেই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

    কীভাবে ঝুঁকি কমাবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বর্ষার এই জলমগ্ন পরিবেশে হেপাটাইটিস-এ’র বিপদ কমাতে জরুরি পানীয় জলের উপরে নজরদারি। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিশ্রুত পানীয় জল সুনিশ্চিত করতে হবে। বাড়ির শিশু থেকে বয়স্ক, সকলের ক্ষেত্রে এই নিয়ে সতর্কতা বজায় রাখা জরুরি। প্রয়োজনে জল ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, হেপাটাইটিস এ মূলত জল থেকেই ছড়ায়। তাই পরিশ্রুত পানীয় জল নিশ্চিত করতে পারলে বিপদের ঝুঁকি অনেক কমবে।

    খাবারের দিকেও বাড়তি নজরদারি দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, হেপাটাইটিস লিভারের রোগ। তাই লিভার সুস্থ রাখতে পারলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমবে। তাই তাঁদের পরামর্শ, এই সময়ে সবুজ সব্জি, ফল এবং দানাশস্য পর্যাপ্ত পরিমানে খাওয়া জরুরি। এতে লিভার ভালো থাকবে। বরং অতিরিক্ত তেলেভাজা জাতীয় খাবার কিংবা বাজারের চটজলদি চর্বিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি। কারণ, এই ধরনের খাবারে লিভারে বাড়তি চাপ তৈরি করে।

    পর্যাপ্ত বিশ্রাম হেপাটাইটিস-এ’র মতো জটিল রোগের ঝুঁকিও কমাতে পারে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা মনে করছেন, শরীরের পর্যাপ্ত বিশ্রাম হলে তবেই রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। এনার্জি যথেষ্ট থাকবে। তাহলে যেকোনও সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে শরীর মোকাবিলা করতে পারবে। তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম জরুরি। ধূমপান এবং মদ্যপানের অভ্যাস ত্যাগ করা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা বলছেন, এই দুই অভ্যাস শরীরের জন্য মারাত্মক বিপজ্জনক। এই দুই অভ্যাসের জেরে লিভার ভয়ঙ্কর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার জেরে হেপাটাইটিসের মতো রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই এই দুই ক্ষতিকারক অভ্যাস ছাড়লে হেপাটাইটিসের ঝুঁকিও কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • India Rejects F-35 Offer: ‘এফ-৩৫ লাগবে না’, ট্রাম্পকে শেষমেশ জানিয়েই দিল ভারত! শুল্ক-কাণ্ডের জের?

    India Rejects F-35 Offer: ‘এফ-৩৫ লাগবে না’, ট্রাম্পকে শেষমেশ জানিয়েই দিল ভারত! শুল্ক-কাণ্ডের জের?

    সুশান্ত দাস

     

    ভারত-আমেরিকা শুল্ক-যুদ্ধের মধ্যেই মার্কিন এফ-৩৫ প্রস্তাব ভূপতিত করল ভারত। সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গের খবর, নয়াদিল্লির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারতের এফ-৩৫ লাগবে না। ট্রাম্পের এফ-৩৫ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা উচিত ভারতের, কেন? রইল ১০ কারণ

    ভারত-আমেরিকার রসায়নে বদল…

    গত ফেব্রুয়ারি মাসে হোয়াইট হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে, ভারতকে ‘এফ-৩৫’ দেওয়ার প্রস্তাব পেশ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রায় পাঁচ মাস পর, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেই প্রস্তাব সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করল ভারত। এই চার মাসে অবশ্য দুই দেশের কূটনৈতিক রসায়নে অনেক পরিবর্তন এসেছে। বিশেষ করে পাক-ভূমে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর থেকেই ভারতকে হেনস্থা করার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। যার সর্বশেষ সংযোজন হল বাণিজ্য-শুল্ক নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ও দর-কষাকষির মাঝেই ভারতের ওপর শুল্ক চাপানোর ঘোষণা করা এবং ভারতীয় অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলে উল্লেখ করা।

    ট্রাম্পের উস্কানিকে আমল দিচ্ছে না ভারত

    তবে, ট্রাম্পের এই শুল্ক-উস্কানি নীতিকে বেশি আমল দিতে নারাজ ভারত। সংবাদসংস্থা ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নয়াদিল্লি স্পষ্ট করে দিয়েছে, ভারত কোনও প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা বা পাল্টা-শুল্ক চাপানোর পথে হাঁটবে না। স্রেফ জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা চালিয়ে যাবে। ভারতের শীর্ষ কর্তাদের উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে শুরু করে সোনা ও যোগাযোগ সরঞ্জাম নিয়ে যেমন আলোচনা চলছিল, তেমনই চলবে। তবে, ট্রাম্প প্রশাসনকে ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত এখন আমেরিকার সঙ্গে নতুন কোনও চুক্তি করবে না।

    ট্রাম্পের ট্যারিফ-যুদ্ধের জের?

    ভারতের এই ঘোষণার সময় তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, ২৯ জুলাই ট্রাম্প ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেন। পাশাপাশি, এও জানান, ভারত যদি এর পরেও রাশিয়া থেকে তেল বা অস্ত্র কিনতে থাকে, তাহলে, নয়াদিল্লির ওপর জরিমানা থেকে শুরু করে নিষেধাজ্ঞাও চাপতে পারে। যদিও, জরিমানার অঙ্ক বা ঠিক কী ধরনের নিষেধাজ্ঞা, তা খোলসা করেননি ট্রাম্প। ঠিক পরেই এফ-৩৫ না নেওয়ার কথা আমেরিকাকে জানায় ভারত। ফলে, ‘দুইয়ে-দুইয়ে চার’ করার কাজ শুরু হয়ে যায়।

    প্রযুক্তি হস্তান্তর ছাড়া চুক্তি নয়

    যদিও, ভারত এই বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সূত্রকে উদ্ধৃত করে ব্লুমবার্গের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত জানিয়েছে, বিদেশ থেকে শুধু কেনার চেয়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে ভারতে যুদ্ধবিমান তৈরি করতে চায় তারা। যা মার্কিন এফ-৩৫-এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। অন্যদিকে, ভারত দেশে যৌথ অংশিদারিত্বে উৎপাদনের ওপর জোর দিচ্ছে। ফলে, আমেরিকার সঙ্গে যুদ্ধবিমান চুক্তি করে লাভ নেই ভারতের। একইসঙ্গে, ভারত এও জানিয়েছে, বর্তমানে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের যে সামরিক ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তিগুলি আছে, তাতে কোনও হেরফের হবে না। সেগুলি থাকছে। তবে, ঠিক সময়ে সরঞ্জাম না পাওয়া নিয়ে উষ্মা গোপন রাখেননি নয়াদিল্লির কর্তারা। আমেরিকার থেকে ৬টি অ্যাপাচে অ্যাটাক হেলিকপ্টার কিনেছে ভারত। চুক্তি হয়েছিল ২০২০ সালে। দেওয়ার কথা ২০২৪ সালে। ১৫ মাস দেরিতে ভারতে এসেছে সেই কপ্টার। তাও, ৬টা নয়, এসেছে তিনটে ইউনিট।

    জ্বলছেন ট্রাম্প, হাসছেন পুতিন!

    এদিকে, ভারত এফ-৩৫-কে প্রত্যাখ্যান করায় ভ্লাদিমির পুতিনের মুখে চওড়া হাসি। ভারতের দেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ যুদ্ধবিমান অ্যামকা পেতে এখনও ১০ বছর। এই সময়ে আপৎকালীন ভিত্তিতে তিন স্কোয়াড্রন (৫৪-৬০টি) বিদেশি পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। সেক্ষেত্রে ভারতের হাতে দুটো বিকল্প ছিল। মার্কিন এই-৩৫ ও রুশ সু-৫৭। এফ-৩৫-কে পত্রপাঠ বিদায় করার পর ভারতের হাতে একটিই বিকল্প— সুখোই-৫৭ কেনা। আমেরিকা যেখানে এফ-৩৫-এর প্রযুক্তি একেবারেই হস্তান্তর করতে রাজি নয়, সেখানে রাশিয়া বিমানের সোর্স কোড সহ পুরো প্রযুক্তি হস্তান্তর, এমনকি ভারতে যৌথ উৎপাদনেও রাজি। ফলে, ভারতের কাছে এই প্রস্তাব লুফে নেওয়ার মতো। বছরের শেষ দিকে ভারত সফরে আসার কথা রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের। তখন বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা। সেই সময় যদি সু-৫৭ চুক্তি সম্পন্ন হয়, তা হবে ‘আইসিং অন দ্য কেক’। আর সেই কারণেই তো ট্রাম্পের এত জ্বালা!

  • West Bengal Weather Forecast: ঘূর্ণাবর্ত ও মৌসুমী অক্ষরেখার জোড়া ফলা, দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

    West Bengal Weather Forecast: ঘূর্ণাবর্ত ও মৌসুমী অক্ষরেখার জোড়া ফলা, দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘনিয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। তার জেরে সকাল থেকে দফায় দফায় বৃষ্টি কলকাতায়। তবে দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। এমনটাই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

    কী বলছে আলিপুর?

    প্রায় প্রতি দিন কয়েক দফায় মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে কলকাতা কিংবা শহরতলিতে। রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জনজীবন। এই পরিস্থিতিতে খুব একটা আশার কথা শোনাতে পারছে না আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তিলোত্তমার আকাশের মুখ ভার। দফায় দফায় হচ্ছে বৃষ্টি। আলিপুরের পূর্বাভাস, শহরে বৃষ্টি কমবে শুক্রবার থেকে। তবে বাড়বে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একাধিক জেলা যেমন— পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে বৃহস্পতিবার বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে। শুক্রবারও দুর্যোগ চলবে। শনি থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত দক্ষিণের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।

    সপ্তাহান্তেও বৃষ্টি চলবে

    হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, সপ্তাহান্তেও বৃষ্টি চলবে রাজ্যজুড়ে। এমনকি, অগাস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহেও বৃষ্টি হবে। সঙ্গে বইতে পারে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের বক্তব্য অনুযায়ী, যে ঘূর্ণাবর্তটি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের ওপরে ছিল, তা বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং গাঙ্গেয় বঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলের মাঝখানে রয়েছে। উত্তর-পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ থেকে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত মৌসুমী অক্ষরেখা ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ অতিক্রম করেছে। এই দুইয়ের প্রভাবে বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টিতে ভিজবে রাজ্যের সাত জেলা। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ কমবেশি ঝড়বৃষ্টি হবে বাকি জেলাগুলিতেও। সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে। এ বার এমনটাই জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

    উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি বাড়বে

    দক্ষিণের পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি বাড়বে। আরও তিনদিন ভারী বৃষ্টি চলবে সেখানে। উত্তরবঙ্গের ওপর মৌসুমী অক্ষরেখা সক্রিয়। ফলে আগামী ৫ অগাস্ট অর্থাৎ আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের আটটি জেলাতেই দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে। মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দার্জিলিং জেলায় এক-দুটি স্থানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বাকি সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

  • F-35 Jet Crashes: ‘সাদা হাতি’ নিয়ে জেরবার আমেরিকা! এবার মার্কিন মুলুকেই ভেঙে পড়ল এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান

    F-35 Jet Crashes: ‘সাদা হাতি’ নিয়ে জেরবার আমেরিকা! এবার মার্কিন মুলুকেই ভেঙে পড়ল এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘এফ-৩৫’ নিয়ে আমেরিকার সমস্যা চলছেই। এবার খোদ মার্কিন মুলুকেই ভেঙে পড়ল (F-35 Jet Crashes) আমেরিকার ‘নয়নের মণি’ বিশ্বের সবচেয়ে দামি এই পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ যুদ্ধবিমান। সম্প্রতি, প্রায় ৩৯ দিন বিকল হয়ে বসার পর ভারত থেকে কোনওমতে উড়ে যায় ব্রিটিশ নৌসেনার ব্যবহৃত একটি ‘এফ-৩৫’ যুদ্ধবিমান। এবার দুর্ঘটনার কবলে মার্কিন নৌসেনার সংস্করণ জেট।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, স্থানীয় সময় অনুযায়ী বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ (ভারতীয় সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ভোররাত) ঘটনাটি ঘটেছে। জানা যাচ্ছে, ক্যালিফোর্নিয়ার লেমুরে নৌসেনার বিমানঘাঁটির কাছে যুদ্ধবিমানটি ভেঙে পড়ে। লেমুর বিমানঘাঁটির পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার আগেই পাইলট সফলভাবে ‘ইজেক্ট’ করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি নিরাপদে আছেন। এই দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।” বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৪টার সময় ভিএফ-১২৫ ‘রাফ রেইডার্স’ স্কোয়াড্রনের একটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান (US F-35 Fighter Jet) লেমুর বিমানঘাঁটির কাছে বিধ্বস্ত হয়।” দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত চলছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

    ভিএফ-১২৫ ‘রাফ রেইডার্স’ স্কোয়াড্রনটি একটি ফ্লিট রিপ্লেসমেন্ট স্কোয়াড্রন (এফআরএস), যার মূল দায়িত্ব হল নতুন পাইলট ও এয়ার ক্রুদের প্রশিক্ষণ দেওয়া। ফ্রেসনো শহর থেকে প্রায় ৪০ মাইল (৬৪ কিলোমিটার) দক্ষিণ-পশ্চিমে জেটটি বিধ্বস্ত হয়। এটি মার্কিন নৌবাহিনীর একটি প্রধান বিমান ঘাঁটি, যেখানে বহু এফ/এ-১৮ সুপার হর্নেট ও এফ-৩৫সি মডেলের যুদ্ধবিমান মোতায়েন রয়েছে। দুর্ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে (সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। তাতে দেখা যাচ্ছে, একটি মাঠের মধ্যে পড়ে রয়েছে ভাঙা বিমানের ধ্বংসাবশেষ। তা থেকে আগুনের হলকা বেরোচ্ছে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে চারদিক।

    এফ-৩৫ নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন

    এই ঘটনার ফলে মার্কিন প্রতিরক্ষা মহলে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের সুরক্ষা নিয়ে নতুন প্রশ্ন ও সংশয় সামনে এসেছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ও অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানগুলির মধ্যে একটি। এমন নয় যে এই প্রথম এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অথবা তাতে বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে। সকলেই জানেন, পাঁচ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কেরলের তিরুবনন্তপুরম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে ছিল ব্রিটেনের পঞ্চম প্রজন্মের ‘স্টেল্‌থ’ লড়াকু জেট ‘এফ-৩৫বি লাইটনিং টু’। মাত্র কয়েকদিন আগেই, তা ভারত ছেড়েছে। ব্রিটেনের পঞ্চম প্রজন্মের এই ‘স্টেলথ’ যুদ্ধবিমানটি ‘এইচএমএস প্রিন্স অফ ওয়েলস’ (HMS Prince of Wales) বিমানবাহী রণতরীর বহরে মোতায়েন ছিল। যান্ত্রিক ত্রুটি নিয়ে তা কেরলে জরুরি অবতরণ করে। কিন্তু, তাতে একাধিক জটিল সমস্যা ধরা দেয়। এক সময় মনে করা হয়েছিল, যুদ্ধবিমানটিকে খুলে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে, শেষমেশ ইঞ্জিনিয়াররা এসে দীর্ঘদিন ধরে মেরামত করে তা ঠিক করেন।

    ভারতকে ‘সাদা হাতি’ গছাতে চাইছেন ট্রাম্প

    শুধুমাত্র ২০২৫ সালেই তিনবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মার্কিন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান। জানুয়ারি মাসে মার্কিন বায়ুসেনার একটি এফ-৩৫এ যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়। এদিন ধ্বংস হল নৌসেনার সংস্করণ। মাঝে ঘটে যায় কেরলের ঘটনা। এর আগে, ২০১০ থেকে ২০২৪ সাবল পর্যন্ত, এই যুদ্ধবিমানকে ঘিরে দুর্ঘটনার সংখ্যা প্রায় ১৪টি। সব মিলিয়ে, এফ-৩৫ এখন আমেরিকা এবং সেই সব দেশ যারা এই বিমান ব্যবহার করে, সকলের কাছে ‘সাদা হাতি’-র সমান হয়ে উঠেছে। এই বিমান যারা কিনেছে, বা কিনছে, তারাই বিভিন্ন প্রকারে হেনস্থা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, খোদ মার্কিন সামরিক বাহিনীও এই যুদ্ধবিমান রক্ষণাবেক্ষণ করতে হিমশিম খাচ্ছে। নিজের দেশেই এই বিমান কেনা হয় অল্প সংখ্যায়। তাই, অন্য দেশকে গছানোর চেষ্টায় থাকে আমেরিকা। যেমন ভারতকে সুকৌশলে গছানোর চেষ্টা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও, ভারত এই যুদ্ধবিমাকে কেনার বিষয়ে একেবারেই ভাবছে না। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর অন্তত তেমনই।

  • One Pot Meal: সুস্বাস্থ্যের নতুন চাবিকাঠি ‘ওয়ান পট মিল’! কী এটা? কেন এত জনপ্রিয় হচ্ছে?

    One Pot Meal: সুস্বাস্থ্যের নতুন চাবিকাঠি ‘ওয়ান পট মিল’! কী এটা? কেন এত জনপ্রিয় হচ্ছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বদলে যাচ্ছে জীবন যাপনের ধরন। বাড়ছে ব্যস্ততা! আর তাই খাদ্যাভাস থেকে পোশাক বদল আসছে সবকিছুতেই! চট জলদিতেই স্বচ্ছন্দ তরুণ প্রজন্ম। সময় কম লাগবে, অথচ সবটাই হয়ে যাবে সহজে! এমন জিনিসেই সকলে মজেছেন।‌ কিন্তু শরীর সুস্থ রাখতে প্রয়োজন একাধিক উপাদান। নানান রোগ এড়াতে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে প্রয়োজন নানান উপাদান। খাবার থেকেই শরীর সেই সব উপাদান সংগ্রহ করে‌। তাই খাবারেই সুস্থ থাকার চাবিকাঠি রয়েছে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, আর তাই ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে ‘ওয়ান পট মিল’ (One Pot Meal)! রান্না করতে সময় কম লাগছে। কিন্তু পুষ্টিগুণ প্রচুর। শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা সহজেই পূরণ হচ্ছে। তাই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ওয়ান পট মিলের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। পুষ্টিবিদদের একাংশ মনে করছেন, আধুনিক জীবনে সুস্থ থাকার চাবিকাঠি এই ওয়ান পট মিল!

    ওয়ান পট মিল কী?

    পুষ্টিবিদদের মতে, ওয়ান পট মিল হলো এমন খাবার, যেখানে সব রকমের উপকরণ রয়েছে। অর্থাৎ, সুষম খাবারের কার্বোহাইড্রেটের পাশপাশি প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল সবকিছু থাকবে। প্রত্যেক উপাদানের পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকলে, তবেই সেটা পুষ্টিকর খাবার হবে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওয়ান পট মিলে (One Pot Meal) এই সবকিছুই মোটামুটি পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। তাই পুষ্টির দিক থেকে যথেষ্ট এগিয়ে এই ওয়ান পট মিল। সাধারণত, ওয়ান পট মিলে ভাত কিংবা রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের সঙ্গে সব্জি, ডিম সিদ্ধ এবং ডাল, এই সবরকমের খাবারের উপকরণ থাকে।

    ওয়ান পট মিল হিসাবে সবচেয়ে এগিয়ে খিচুড়ি

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওয়ান পট মিলের তালিকায় সবচেয়ে এগিয়ে খিচুড়ি! তাঁরা জানাচ্ছেন, খিচুড়ি এমন একটা খাবার যাতে কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন, মিনারেল এবং ভিটামিন। চাল-ডাল এবং একাধিক সব্জি দিয়ে খিচুড়ি রান্না হয়। খুব কম তেল ও মশলায় খিচুড়ি রান্না করা যায়। তাই প্রত্যেক উপাদানের পুষ্টিগুণ পর্যাপ্ত থাকে। শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা সহজেই পূরণ হয়।

    লেমন-চিকেন রাইস অন্যতম পছন্দের

    লেমন-চিকেন রাইস জাতীয় খাবারকে ওয়ান পট মিলের (One Pot Meal) তালিকায় অন্যতম খাবার বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পশ্চিমের দেশে এই খাবার যথেষ্ট জনপ্রিয়। কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে ভিটামিন ও প্রোটিনের পর্যাপ্ত মিশ্রণ। চালের পাশাপাশি এই রান্নায় চিকেন, লেবু, গাজর, বিনস, বেল পেপার, মাশরুম, পার্সলের মতো একাধিক ভিটামিন সমৃদ্ধ উপকরণ এবং মাখন ব্যবহার হয়। তাই শরীরে কার্বোহাইড্রেটের পাশপাশি, প্রোটিন, ভিটামিন এবং ফ্যাট সবকিছুর জোগান ঠিকমতো হয়। আবার অতিরিক্ত তেল ও মশলার ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না। তাই সহজেই হজম হয়‌। শরীর এনার্জি পায়।

    চিকেন স্যালাডও যথেষ্ট জনপ্রিয়

    চিকেন কিংবা চিংড়ির স্যালাড জাতীয় পদ ওয়ান পট মিল (One Pot Meal) হিসাবে যথেষ্ট জনপ্রিয় হচ্ছে বলেই মনে করছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, লেটুস পাতা, যব, বিট,গাজর, ধনেপাতার মতো নানান ধরনের সব্জিতে সামান্য অলিভ অয়েল মাখিয়ে নিয়ে তার সঙ্গে বেকড অথবা গ্রিল করা মাংসের টুকরো কিংবা চিংড়ি মিশিয়ে ওয়ান পট মিল অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এতে শরীর প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেল সহজেই পাবে। আবার হজমের সমস্যা ও এড়ানো যাবে। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিসের ঝুঁকিও কমবে। কারণ এই ধরনের খাবারে কোলেস্টেরলের মাত্রা ও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

    কেন সুস্থ থাকার চাবিকাঠি ওয়ান পট মিল (One Pot Meal)?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস থেকে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, বন্ধ্যাত্বের মতো একাধিক সমস্যার কারণ খাদ্যাভাস। আধুনিক জীবনে অধিকাংশ রোগ জীবন যাপন সংক্রান্ত। তাই খাবারেই সুস্থ থাকার চাবিকাঠি রয়েছে। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেলে নানান রোগের দাপট এড়ানো যায়। কিন্তু সময়ের অভাবে অধিকাংশ মানুষ বাজারের চটজলদি খাবারেই অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন। নিয়মিত অতিরিক্ত তেল ও মশলা যুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে শরীরের ওজন বাড়ছে। স্থুলতা ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাই পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সুস্থ থাকার চাবিকাঠি ওয়ান পট মিল (One Pot Meal)। এই খাবার বাড়িতে সহজেই তৈরি করে নেওয়া যায়। অতিরিক্ত সময় লাগবে না। আবার এই ধরনের খাবারে অতিরিক্ত তেল মশলা ব্যবহার করা হয় না। কিন্তু প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল এবং কার্বোহাইড্রেটের মতো প্রয়োজনীয় সব উপাদান শরীরে সহজেই পৌঁছে যাচ্ছে। তাই শরীর সুস্থ থাকবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share