Author: Susanta Das

  • Chinese PL-15E missile: প্লিজ একবার দাও! ভারতের হেফাজতে থাকা আস্ত চিনা ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পেতে লাইন বিশ্বের হেভিওয়েটদের

    Chinese PL-15E missile: প্লিজ একবার দাও! ভারতের হেফাজতে থাকা আস্ত চিনা ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পেতে লাইন বিশ্বের হেভিওয়েটদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চলাকালীন পাকিস্তানের নিক্ষেপ করা চিনা নির্মিত ‘পিএল-১৫ই’ ক্ষেপণাস্ত্র (Chinese PL-15E missile) সফলভাব ইন্টারসেপ্ট বা মাঝপথেই ধ্বংস করেছে ভারত। সেই ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ এসে পড়ে ভারতের ভূমিতে, যা বর্তমানে রয়েছে কেন্দ্রের হেফাজতে। এখন, এই ধ্বংসাবশেষ হয়ে উঠেছে বিশ্বের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। তাবড় তাবড় দেশ এখন এই চিনা ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পরীক্ষা চাইছে। সেই কারণে, সকলে এক এক করে এখন ভারতের দ্বারস্থ হচ্ছে। আমেরিকা থেকে শুরু করে ফ্রান্স, জাপান থেকে শুরু করে ‘পঞ্চ অক্ষী’ জোট— কে নেই সেই তালিকায়!

    ‘পিএল-১৫ই’ বিভিআরএএএম ক্ষেপণাস্ত্র (Chinese PL-15E missile)

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) সময়, পাকিস্তানের একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সফলভাবে ধ্বংস করে দেয় ভারতের ইন্টিগ্রেটেড এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। ধ্বংস হওয়া পাকিস্তানের নিক্ষিপ্ত সেই ক্ষেপণাস্ত্রের তালিকায় ছিল চিনা নির্মিত ‘পিএল-১৫ই’ বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ এয়ার টু এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র (BVRAAM)। তালিকায় ছিল তুরস্কের ‘বায়রাক্তার টিবি-২’ কামিকাজে ড্রোন। আকাশে ধ্বংস হওয়ার পর এগুলির বহু অংশ ভারতের ভূমিতে এসে পড়ে। এমনকি, একটি গোটা চিনা ক্ষেপণাস্ত্র উদ্ধার হয় পঞ্জাবের হোসিয়ারপুর থেকে। ওই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে ছোড়া হয়েছিল পাক ফাইটার জেট থেকে। কিন্তু ইন্টারসেপ্ট হওয়ায় গোঁত্তা খেয়ে তা ভারতে পড়ে। কিন্তু, কোনও বিস্ফোরণ না হওয়ায় ক্ষেপণাস্ত্রটিকে (Chinese PL-15E missile) প্রায় গোটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

    প্লিজ, একবার ক্ষেপণাস্ত্রটা দাও!

    এই খবর চাউর হতে বেশি সময় লাগেনি। চিনা ক্ষেপণাস্ত্রটির ধ্বংসাবশেষ দ্রুত নিজেদের হেফাজতে নেয় ভারতীয় সেনা। বর্তমানে তা রয়েছে ডিআরডিও-র পরীক্ষাগারে। ক্ষেপণাস্ত্রটিকে বিশ্লেষণ করছে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। একটা আস্ত চিনা ‘পিএল-১৫ই’ ক্ষেপণাস্ত্র (Chinese PL-15E missile) ভারতের হাতে এসে পড়েছে, এটা জানতে পেরেই বহু দেশের সামনে একটা বড় সুযোগের দ্বার খুলে গিয়েছে। চিনের অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রকে পরীক্ষা করে প্রযুক্তি বোঝার সুযোগ পেতে তাদের তর সইছে না। সেই কারণে, তারা এক এক করে ভারতের দ্বারস্থ হচ্ছে। সকলের আবদার অনেকটা যেন এরকমই— প্লিজ, একবার ক্ষেপণাস্ত্রটা দাও।

    চিনা ক্ষেপণাস্ত্রের দুর্বলতা বের করছে ভারত?

    এই ‘পিএল-১৫ই’ (Chinese PL-15E missile) হল চিনের ‘পিএল-১৫’ মূল ক্ষেপণাস্ত্রের রফতানি সংস্করণ, যা পাকিস্তান সহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ ব্যবহার করে। চিনের এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন দ্বারা নির্মিত এই আকাশ-থেকে-আকাশ মিসাইলটির পাল্লা ১৪৫ কিমি। এতে ডুয়াল-পালস রকেট মোটর এবং অ্যাক্টিভ রেডার গাইডেন্স রয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রে অত্যাধুনিক সিকার এবং ইলেকট্রনিক কাউন্টার-মেজার রয়েছে। এটি চিনা আস্ত্রাগারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। বর্তমানে ডিআরডিও-র (DRDO) পরীক্ষাকেন্দ্রে এই ক্ষেপণাস্ত্রের কাটাছেঁড়া চলছে। এর ফলে, ভবিষ্যতের যুদ্ধে উপকৃত হতে পারে ভারত। এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রোপালশন সিস্টেম, গাইডেন্স প্রযুক্তি এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধের উপাদানগুলির অধ্যয়ন করে ভারত তার দুর্বলতা বের করে ফেলতে পারে। অচিরে এতে ভারতের নিজস্ব ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্যভাবে সহায়তা করবে। চিন যে ভারতের সবচেয়ে বড় শত্রু, এটা একটা শিশুও জানে। ফলে, শত্রুর সামরিক প্রযুক্তি হাতে পাওয়া মানে ভবিষ্যতের যুদ্ধে এগিয়ে থাকা।

    চিনের প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে সুবর্ণ সুযোগ

    কিন্তু, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এত আগ্রহ কেন? এর অন্যতম কারণ হল, চিনের অ্যাডভান্সড ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি সম্পর্কে অন্য দেশের কাছে সীমিত তথ্য থাকা। বেজিং বরাবরই গোপনীয়তা বজায় রাখে। যে কারণে, আমেরিকা থেকে শুরু করে জাপান— বিশ্বে চিনের প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে এটা একটা সুবর্ণ সুযোগ। ভারতের হাতে এসে পড়া চিনা ‘পিএল-১৫ই’ ক্ষেপণাস্ত্র (Chinese PL-15E missile) তাই এখন বিশ্বের কাছে ‘হট-কেক’। ফ্রান্স এবং জাপানের মতো দেশগুলি ক্ষেপণাস্ত্রটির অভ্যন্তরীণ গঠন এবং রেডার এড়িয়ে যাওয়ার বৈশিষ্ট্যগুলি বুঝতে আগ্রহী বলে জানা গিয়েছে। আবার আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে গঠিত ‘ফাইভ আইজ’ গোয়েন্দা জোটও ধ্বংসাবশেষ হাতে পেতে নয়াদিল্লির সাথে আলোচনা করছে বলেও জানা গিয়েছে।

    ভারতের হাতে এখন তুরুপের তাস

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) সময় হাতে আসা এই ধ্বংসাবশেষ আদৌ কারোর সঙ্গে ভাগ করা হবে কিনা, সেই বিষয়ে ভারত এখনও পর্যন্ত কাউকে কিছুই জানায়নি। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, তাড়াহুড়ো নয়, কৌশলগত ও কূটনৈতিক স্বার্থকে মাথায় রেখে সব দিক পর্যালোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেবে ভারত। তাঁদের মতে, এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের হাতে তুরুপের তাস হয়ে উঠতে পারে। ভারতে এর বিনিময়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি হস্তান্তর করিয়ে নিতে পারে।

    অন্যদিকে, প্রমাদ গুণছে চিন…

    এদিকে, ভারতের হাতে তাদের আস্ত একখান অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে চিন। বেজিং ভালোই বুঝতে পারছে, প্রতিপক্ষ ভারত এখন ক্ষেপণাস্ত্রের (Chinese PL-15E missile) নাড়িভুঁড়ি বের করে পোস্ট-মর্টেম করছে এবং সব রহস্য বের করছে। এর পর, ভারত যদি ওই ক্ষেপণাস্ত্র অন্য দেশকে দেয়, তাহলে বিপদ বাড়বে বৈকি। এই ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্লেষণ করে চিনের জন্য পাল্টা দাওয়াই-এর ব্যবস্থা করে ফেলবে ভারত সহ গোটা বিশ্ব। এতে, চিনের উন্নত প্রযুক্তির ধার অনেকটাই ভোঁতা হতে পারে।

  • Irritable Bowel Syndrome: মাঝ বয়স থেকে ভোগাচ্ছে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম! কেন বাড়ছে এই সমস্যা?

    Irritable Bowel Syndrome: মাঝ বয়স থেকে ভোগাচ্ছে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম! কেন বাড়ছে এই সমস্যা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    অফিসের গুরুত্বপূর্ণ মিটিং চলার মাঝেই কিংবা বাড়িতে নানান কাজে ব্যস্ততার মধ্যে বারবার পেটের ভিতরে অস্বস্তি কিংবা পেট ব্যথা হয়। আবার অনেক সময়েই দিনের একাধিকবার মলত্যাগ হয়। পেটের গোলমালে জেরবার হচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। পেটে ব্যথা, বারবার মলত্যাগের প্রবণতা এমন নানান উপসর্গের জন্য কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। অনেক সময়েই নানান অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতেও পড়তে হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমে (Irritable Bowel Syndrome) আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রবীণদের মধ্যে এই রোগ সাধারণত দেখা যেত। কিন্তু গত এক দশকে দেখা গিয়েছে উল্লেখযোগ্য ভাবে কম বয়সিদের মধ্যে ইরেটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বেড়েছে। এর ফলে তাদের শারীরিক সমস্যার পাশপাশি কাজের ক্ষতি হচ্ছে। মানসিক চাপ বাড়ছে।

    কেন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বাড়ছে?

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, খাদ্যাভাস ও জীবন যাপনের ধরনের জেরেই খুব কম বয়সিদের মধ্যেও ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের (Irritable Bowel Syndrome) মতো সমস্যা বাড়ছে। লাগাতার পেটের এই অসুখের জেরে আরও নানান শারীরিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রবীণদের মধ্যে এই শারীরিক সমস্যা দেখা যেত। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হজম শক্তি কমে। তার জেরেই পেটের এই সমস্যা দেখা দিত। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, তরুণ প্রজন্মের একটা বড় অংশ এই সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ সময়েই তরুণ প্রজন্মের খাদ্যতালিকায় সহজ পাচ‌্য খাবার থাকে না। আবার অনেক সময়েই কম বয়সিদের খাবারের সময় অনিয়মিত থাকে। খাবার খাওয়ার মধ্যে সময়ের ব্যবধান ও অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে পাচনতন্ত্রের উপরে। তার ফলেই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই ধরনের রোগের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে।

    কোন ছয় খাবার এড়িয়ে চললে বিপদ কমানো‌ যেতে পারে?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পেটের এই লাগাতার সমস্যা (IBS Treatment) নিয়ন্ত্রণ করতে হলে ছয়টি খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। বিশেষত যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে, তাদের প্রথম থেকেই বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    ক্যাফিন জাতীয় খাবার!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের অনেকেই অতিরিক্ত কফি-প্রেমী! যা অনেক সময়েই‌ শরীরের জন্য মারাত্মক বিপদ তৈরি করছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, দিনে বারবার কফি খাওয়ার ফলে পাচনতন্ত্রের ক্ষতি হচ্ছে। পেটের সমস্যা থাকলে তাই ক্যাফিন জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কফি পানে নিয়ন্ত্রণ জরুরি। তার পাশপাশি চকোলেট এবং সোডা খাওয়ার ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ জরুরি। কারণ এগুলোতেও ক্যাফিন থাকে।

    চিনি এড়িয়ে চলা দরকার!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের (Irritable Bowel Syndrome) মতো সমস্যা রুখতে চিনি একদম বর্জন করতে হবে। তাঁদের পরামর্শ, যারা হজমের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের একেবারেই চিনি খাওয়া চলবে না। চিনি হলো প্রক্রিয়াজাত মিষ্টি। এটা শরীরের উপরে মারাত্মক খারাপ প্রভাব ফেলে। বিশেষত হজমের সমস্যা তৈরি করে। অন্ত্রের ক্ষতি করে। তাই চিনি এড়িয়ে চলা দরকার।

    যে কোনও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম রুখতে যেকোনও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রক্রিয়াজাত খাবারে নানান রাসায়নিক থাকে। যা লিভার, পাকস্থলী এবং অন্ত্রের উপরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। বার্গার, পিৎজা, হটডগ‌ বা কোনও প্রক্রিয়াজাত মাংস খেলে হজমের সমস্যা হয়। তাই যে কোনও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি।

    অ্যালকোহল পান চলবে না!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের (Irritable Bowel Syndrome) মতো সমস্যা থাকলে অ্যালকোহল বর্জন করতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অ্যালকোহলে অভ্যস্ত হলে লিভারের কার্যক্ষমতা আরও কমে যায়। এর ফলে হজমের সমস্যা বাড়ে। তার ফলে পেটের একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

    ফাইবার জাতীয় খাবারে নিয়ন্ত্রণ!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফাইবার জাতীয় খাবার হজম করতে অনেক সময়েই অতিরিক্ত সময় লাগে‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ফাইবার বিশেষ সাহায্য করে। তবে যাঁরা হজমের সমস্যায় ভুগছেন, অনেক সময়েই তাঁদের জন্য ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বাড়তি সমস্যা তৈরি করে। তার উপরে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (Irritable Bowel Syndrome) থাকলে আরও ভোগান্তি বাড়ায়। তাই মটর, ছোলা বা যেকোনও দানা শস্য খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণের দিকে বাড়তি নজরদারি জরুরি।

    দুগ্ধজাত খাবারে রাশ!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পেটের সমস্যা থাকলে দুগ্ধজাত খাবার বাড়তি ভোগান্তি তৈরি করবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, দুধ বা দুগ্ধজাত খাবারে থাকে ল্যাকটিক অ্যাসিড। আর এই জৈব উপাদানের জেরেই হজমের সমস্যা থাকলে দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার ভোগান্তি বাড়ায় (IBS Treatment)। পেটের সমস্যাও‌ তৈরি করে। তাই পেটের সমস্যা থাকলে দুধ, টক দই কিংবা পনীরের মতো খাবারে রাশ জরুরি। তার পরিবর্তে সোয়া মিল্ক বা বাদাম দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Schizophrenia: ভারতে বেড়ে চলেছে সিজোফ্রেনিয়ার সমস্যা, বলছে কেন্দ্রের রিপোর্ট, সচেতনতার অভাবেই কি?

    Schizophrenia: ভারতে বেড়ে চলেছে সিজোফ্রেনিয়ার সমস্যা, বলছে কেন্দ্রের রিপোর্ট, সচেতনতার অভাবেই কি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হঠাৎ কেউ ছায়াসঙ্গী হয়ে পিছু নিয়েছে, কিংবা সব সময়েই কেউ ক্ষতি করবে বলে ষড়যন্ত্র কষে চলেছে! এমন নানান ভয়ে শিউরে থাকেন অনেকে। বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের মধ্যে অনেকেই নানান কারণে উদ্বেগে থাকে। পরিবার কিংবা প্রতিবেশীদের সঙ্গে মেলামেশা করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করে না। বরং নিজের মতো থাকতেই পছন্দ করে। অনেক সময়েই তারা নানা রকম আশঙ্কায় ভোগে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া উচিত নয়। বরং পরিবারের কেউ এমন সমস্যায় ভুগলে, তাঁর দিকে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন। কারণ এগুলোই সিজোফ্রেনিয়ার (Schizophrenia) লক্ষণ হতে পারে।

    ভারতে বাড়ছে সমস্যা, বলছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক

    সম্প্রতি, ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে এক সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, দেশ জুড়ে সিজোফ্রেনিয়ার সমস্যা বাড়ছে। মানসিক এই রোগ নিয়ে সচেতনতাও তলানিতে। তার জেরে পরিস্থিতি সামলানো আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। বিশ্ব সিজোফ্রেনিয়া সচেতনতা দিবসে (World Schizophrenia Awareness Day) তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, এই রোগ নিয়ে আরও বেশি সচেতনতা কর্মসূচি জরুরি। যাতে সহজেই রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সম্ভব হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, সিজোফ্রেনিয়ার মূল সমস্যা এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতার অভাব। রোগীর অধিকাংশ সময়েই সম্পূর্ণ চিকিৎসা হয় না।‌ যার জেরেই বিপদ বাড়ে‌।

    কীভাবে রোগীকে সনাক্ত করবেন?

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতোই সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia) আক্রান্ত থাকেন। ফলে, বাইরের মানুষের পক্ষে খুব আলাদা ভাবে তাদের চিহ্নিত করা কঠিন। কিন্তু পরিবারের সদস্যেরা, সব সময় একসঙ্গে থাকলে রোগ সহজেই চিহ্নিত করা যেতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই সাধারণত এই সমস্যার সূত্রপাত হয়। তবে জীবনের যেকোনও পর্বেই মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই রোগে আক্রান্ত (World Schizophrenia Awareness Day) হলে মেলামেশা বা সামাজিক যোগাযোগের চাহিদা কমে যায়। রোগী কখনোই পরিবারের সকলের সঙ্গে একসঙ্গে বসে গল্প করা কিংবা কোনও আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়া বা প্রতিবেশীদের সঙ্গে সময় কাটানো পছন্দ করবেন না। অতিরিক্ত নির্জনতা তাঁর পছন্দ হবে। তাই কম বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যে মারাত্মক একা থাকার প্রবণতা লক্ষ্য করলে, তা নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    অকারণ নানান আশঙ্কায় ভুগলে কিংবা মনগড়া ভয় (Delusion) তৈরি হলে, তা সিজোফ্রেনিয়ার (Schizophrenia) অন্যতম কারণ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই রোগে আক্রান্ত হলে, রোগী অনেক সময়েই নানান ভয়ের কল্পনা করেন। যাকে হ্যালোসিনেশন (Hallucination) বলা হয়। তাই পরিবারের কেউ যদি সব সময় নানান আশঙ্কার কথা জানান এবং তার সঙ্গে যদি বাস্তবের বিশেষ মিল না থাকে, তাহলে সে ব্যাপারে সতর্ক হওয়া জরুরি। দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

    কেন বাড়ছে এই রোগ?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবনে বদলে যাচ্ছে সমাজ ব্যবস্থা। সম্পর্কের সমীকরণও বদলে যাচ্ছে। আর এর ফলেই সিজোফ্রেনিয়ার (Schizophrenia) মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবারের মধ্যেও সম্পর্কের সমীকরণ বদলে যাচ্ছে। অনেক সময়েই দেখা যাচ্ছে, বাবা-মায়ের সম্পর্ক স্বাস্থ্যকর নয়। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সুসম্পর্ক নেই। এগুলো ছেলেমেয়েদের মধ্যে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। মানসিক চাপ তৈরি করছে। যার জন্য সিজোফ্রেনিয়ার মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

    এর পাশাপাশি, চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সামাজিক প্রত্যাশা গত কয়েক বছরে মারাত্মক ভাবে বেড়েছে। সাফল্য কিংবা সামাজিক স্বীকৃতি নিয়ে খুব কম বয়স থেকেই মানুষের উপরে অসম্ভব চাপ তৈরি হচ্ছে। যার ফলে মানসিক স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ছে‌। সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia) আক্রান্ত বৃদ্ধির এটাও অন্যতম কারণ বলেই তাঁরা মনে করছেন। তবে অনেক সময়েই বংশানুক্রমিক রোগ হিসাবেও অনেকে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই পরিবারের কেউ এই রোগে আক্রান্ত থাকলে, জিনগত ভাবে এই রোগ পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে হচ্ছে।

    কীভাবে এই রোগের মোকাবিলা সম্ভব?

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, সচেতনতাই এই রোগ মোকাবিলার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতে সিজোফ্রেনিয়ার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, মানুষ এই রোগ সম্পর্কে সচেতন নন। তাই রোগীর ঠিকমতো চিকিৎসা হয় না। অনেক সময়েই আক্রান্তের এই মনগড়া উদ্বেগ অবহেলা হয়। ফলে নানান জটিলতা তৈরি হয়। আক্রান্তের আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটে। তাই চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই রোগের উপসর্গ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা (World Schizophrenia Awareness Day) গড়ে তোলা জরুরি। পাশপাশি, রোগ চিহ্নিত হওয়ার পরে, রোগীর যাতে ঠিকমতো চিকিৎসা হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগীর ঠিকমতো চিকিৎসা হয় না। চিকিৎসার মাঝপথে রোগী ওষুধ নিয়মিত খাওয়া বন্ধ করে দেন। থেরাপিও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। তাই মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিয়মিত যাতে আক্রান্ত ওষুধ খান, প্রয়োজনীয় থেরাপি নেন, সেটা নিশ্চিত করাই পরিবারের দায়িত্ব।

    রোগীকে কখনোই সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে আলাদা করা যাবে না বলেই বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিয়ে কিংবা পুজো, যেকোনও আনন্দ অনুষ্ঠান, যেখানে সমাজের বহু মানুষের মেলামেশা করার সুযোগ থাকবে, সেখানে সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia) আক্রান্তকে অবশ্যই নিয়ে যেতে হবে। পরিবারের দায়িত্ব, তাঁর সামাজিক যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দেওয়া। এতে রোগ মোকাবিলা সহজ হবে‌।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Typhoid: ভরা গ্রীষ্মে রাজ্যে টাইফয়েডের দাপট! উপসর্গ কী? কীভাবে করবেন রোগ প্রতিরোধ?

    Typhoid: ভরা গ্রীষ্মে রাজ্যে টাইফয়েডের দাপট! উপসর্গ কী? কীভাবে করবেন রোগ প্রতিরোধ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী। মাঝেমধ্যে স্বস্তির বৃষ্টি হলেও তা ক্ষণিকের। আর আবহাওয়ার এই রকম ফেরে বাড়ছে নানান স্বাস্থ্য সমস্যা। সাধারণ জ্বর-সর্দি-কাশি লেগেই আছে। তার সঙ্গে দাপট বাড়াচ্ছে টাইফয়েড (Typhoid)। রাজ্য জুড়ে টাইফয়েড আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রতি বছর বর্ষায় কমবেশি টাইফয়েড আক্রান্ত দেখা যায়। কিন্তু এ বছর ভরা গরমেই বাড়ছে টাইফয়েড আক্রান্তের সংখ্যা। ফলে, বাড়তি সতর্কতা (Expert Health Tips) জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    গরমে কেন বাড়ছে টাইফয়েড (Typhoid) আক্রান্তের সংখ্যা?

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, টাইফয়েড জলবাহিত রোগ। মূলত দূষিত জল থেকেই এই রোগ ছড়ায়। এবছরেও টাইফয়েডের দাপট বাড়ার অন্যতম কারণ জল। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, গরমে সাময়িক আরামের জন্য অনেকেই নানান রঙিন সরবত নিয়মিত খান। আর সেখান থেকেই বিপদ বাড়ে‌। অপরিশ্রুত জল থেকে সহজেই এই ব্যাক্টেরিয়া মানুষের শরীরে সংক্রমণ ছড়ায়। তারপরে আক্রান্ত ব্যক্তির মল থেকে তা আশপাশের অনেকের শরীরে বাসা বাঁধে।

    জলের পাশাপাশি খাবার থেকেও এই রোগ ছড়াতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই রাস্তার অপরিচ্ছন্ন কাটা ফলের স্যালাড খান। এগুলো অনেক সময়েই স্বাস্থ্যবিধি মেনে তৈরি হয় না। ফলে নানান ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই সেখান থেকেও টাইফয়েডের (Typhoid) মতো রোগ ছাড়তে পারে। নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে, অর্থাৎ হাত পরিষ্কার রাখা, পরিষ্কার শৌচালয় ব্যবহারের মতো অভ্যাস না থাকলেও যথেষ্ট বিপদ বাড়ে। টাইফয়েডের মতো রোগের সংক্রমণ বাড়ে।

    কোন উপসর্গ দেখলে বাড়তি সতর্কতা দরকার?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, টাইফয়েড আক্রান্তের প্রথম পর্বেই ঠিকমতো চিকিৎসা শুরু করলে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব (Expert Health Tips)। তাই এই রোগের উপসর্গ সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, টাইফয়েড আক্রান্ত হলে শরীরের তাপমাত্রা মারাত্মক বেড়ে যাবে। অর্থাৎ রোগীর হাই-ফিভার থাকবে। তার সঙ্গে মারাত্মক পেটে ব্যথা অনুভব হবে। ক্লান্তি বোধ হবে। কোনও কাজেই এনার্জি পাওয়া যাবে না।‌ মানসিক ভাবেও একধরনের আচ্ছন্নতা বোধ হবে। অনেক সময়েই বারবার বমি হতে পারে। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ধরনের উপসর্গ দেখা গেলে দেরি করা উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতো নির্দিষ্ট শারীরিক পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় জরুরি।

    টাইফয়েড রুখতে কী কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, টাইফয়েডের (Typhoid) মতো রোগের দাপট রুখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত শৌচালয় পরিষ্কার করা জরুরি। গরমের এই আবহাওয়ায় নানান ব্যাক্টেরিয়া ও ভাইরাস সক্রিয় হয়। তাই শৌচালয় থেকে নানান সংক্রমণের ঝুঁকিও তৈরি হয়। শৌচালয়ের পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন। বাইরে শৌচালয় ব্যবহারের ক্ষেত্রেও পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দেওয়া দরকার। শৌচালয় ব্যবহারের পরে ভালোভাবে হাত ও মুখ ধোয়া জরুরি বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
    পাশপাশি খাবারের দিকে যত্ন নেওয়া দরকার বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, টাইফয়েডের (Typhoid) মতো রোগের সংক্রমণ খাবার থেকেই হয়। ভালোভাবে রান্না করা খাবার খাওয়া উচিত। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাঁচা সব্জি বা ফলের স্যালাড এড়িয়ে চলা দরকার। কম তেলমশলায় তৈরি ভালোভাবে সেদ্ধ করা খাবার খেলে হজমের ঝুঁকি কমে। আবার নানান ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে।
    জল খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতনতা জরুরি। পরিশ্রুত জল খাওয়া দরকার। পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়া উচিত। তবেই শরীর সুস্থ থাকবে। গরম থেকে বাঁচতে ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ (Expert Health Tips) দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তবে রঙিন ঠান্ডা পানীয় একেবারেই খাওয়া উচিত নয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • HAPS Pseudo Satellites: আকাশসীমা প্রতিরক্ষায় বায়ুসেনার হাতে আসছে ‘ছদ্ম উপগ্রহ’! কীভাবে কাজ করে এই সিস্টেম?

    HAPS Pseudo Satellites: আকাশসীমা প্রতিরক্ষায় বায়ুসেনার হাতে আসছে ‘ছদ্ম উপগ্রহ’! কীভাবে কাজ করে এই সিস্টেম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধুনিক যুদ্ধকৌশলে সামরিক যোগাযোগ ও নজরদারি ব্যবস্থা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তা ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) প্রত্যক্ষ করেছে বিশ্ববাসী। ফলে, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের আবহে এবং ভবিষ্যৎ যুদ্ধের কথা মাথায় রেখে এই দুই ক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী, আরও মজবুত, আরও আধুনিক করতে এবার নতুন ঘরানার সামরিক উপগ্রহ মোতায়েন করতে চলেছে ভারত।

    ভবিষ্যতের প্রস্তুতি শুরু…

    জানা যাচ্ছে, এর ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে আসতে চলেছে এক বিশেষ ধরনের ‘সিউডো স্যাটেলাইট’ বা ছদ্ম উপগ্রহ (HAPS Pseudo Satellites)। নজরদারি চালানোর পাশাপাশি এই বিশেষ উপগ্রহগুলির কাজ হবে যুদ্ধবিমান ও গ্রাউন্ড স্টেশনগুলির মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন ও তথ্য বিনিময় করা। এর পাশাপাশি, দেশের আকাশসীমার নিরাপত্তাকে আরও বলিষ্ঠ করতে বায়ুসেনার হাতে আসতে চলেছে ভেরি শর্ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের (VSHORADS) ৪৮টি লঞ্চার। এরই অংশ হিসেবে সেনা কিনতে চলেছে ৮৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৪৫টি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন নাইট-ভিশন ডিভাইস। ভারত-পাক তীব্র সংঘাতের আবহে এই সরঞ্জামগুলি কেনার সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ হলেও, বর্তমান সামরিক প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবে এগুলির অন্তর্ভুক্তি সম্ভব নয় বলে মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। কারণ, বাহিনীর হাতে এগুলি আসতে আরও কয়েকমাস লেগে যাবে। ফলে, ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই এগুলিকে কেনা হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    সৌরশক্তিচালিত ছদ্ম উপগ্রহ

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই বিশেষ ধরনের ছদ্ম উপগ্রহগুলির খোঁজ চালাচ্ছে, যাদেরকে পরিভাষায় হাই-অলটিচিউড প্ল্যাটফর্ম সিস্টেম (হাপ্স) বলা হচ্ছে। এই সিস্টেমগুলি (HAPS Pseudo Satellites) দীর্ঘসময় ধরে নজরদারি চালাতে সক্ষম ইউএভি বা ড্রোন হিসাবে কাজ করে এবং সৌরশক্তিচালিত হওয়ায় এতে জ্বালানি ভরার প্রয়োজন হয় না। প্রচলিত সৌর প্যানেলের জায়গায় এই ছদ্ম-উপগ্রহ বা ড্রোনগুলিতে ব্যবহৃত প্যানেলগুলি অত্যন্ত পাতলা সৌর ফিল্ম দিয়ে তৈরি। সাধারণ ড্রোনের তুলনায় অধিক অথচ লো-আর্থ অরবিটে মোতায়েন কৃত্রিম উপগ্রহের তুলনায় কম উচ্চতায় কাজ করে এই হাপ্স ড্রোনগুলি। সৌরচালিত হওয়ায় টানা বহু মাস ধরে আকাশে চক্কর কাটতে সক্ষম হাপ্স। ফলে, প্রায় মহাকাশ থেকে নজরদারি চালাতে পারে এই সিস্টেম। যে কারণে একে সিউডো-স্যাটেলাইট (HAPS Pseudo Satellites) বলা হয়ে থাকে।

    ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এ জোর

    বায়ুসেনার জন্য এরকম তিনটি প্ল্যাটফর্ম কেনার জন্য রিকোয়েস্ট ফর ইনফরমেশন (আরএফআই) জারি করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। যা টেন্ডার প্রক্রিয়ার একটি ধাপ। কেবলমাত্র দেশীয় সংস্থাগুলি থেকেই তথ্য চাওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, এক্ষেত্রেও ‘আত্মনির্ভর ভারত’-কে তুলে ধরতে চেয়েছে মোদি সরকার। দেশীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের গুণমান কতটা ভালো, তা ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) প্রমাণিত। ফলে, ফের একবার, দেশীয় প্রযুক্তি ও সরঞ্জামেই আস্থা রাখছে কেন্দ্র। আরএফআই-তে বলা হয়েছে— প্ল্যাটফর্মগুলিতে একদিকে যেমন নিরন্তর গোয়েন্দা তথ্য, নজরদারি ও পর্যবেক্ষণ (সামরিক পরিভাষায় ISR) করা এবং অন্য ড্রোনগুলির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষমতা থাকবে। অন্যদিকে, শত্রুযানের সিগন্যালও জ্যাম করার সক্ষমতা থাকতে হবে এই সিস্টেমগুলিতে (HAPS Pseudo Satellites)।

    ১৬ কিমি উচ্চতায় মোতায়েন!

    প্রতিরক্ষামন্ত্রকের আরএফআই-তে বেঁধে দেওয়া শর্ত অনুযায়ী, ১৬ কিমি উচ্চতাতেও সমানভাবে কাজ করার ক্ষমতা থাকতে হবে সিস্টেমগুলিতে। এখানে উল্লেখ্য, পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা ৮৮৪৯ মিটার। দূরপাল্লার আন্তর্জাতিক যাত্রী বিমানগুলি সাধারণত ১০ হাজার মিটার বা ১০ কিমি উচ্চতা দিয়ে যাতায়াত করে। শর্ত অনুযায়ী, হাপ্স সিস্টেমগুলিতে (HAPS Pseudo Satellites) উন্নতমানের যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকতে হবে। লাইন-অফ-সাইট-এর সাপেক্ষে ন্যূনতম ১৫০ কিমি এবং স্যাটেলাইটের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৪০০ কিমি দূরত্বে যোগাযোগ স্থাপনে সক্ষমতা থাকতে হবে এই সিস্টেমে।

    বাকেট-লিস্টে ভিশোরাড…

    হাপ্স সিস্টেমের পাশাপাশি, নতুন প্রজন্মের অতি স্বল্প পাল্লার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (VSHORADS) কেনার বিষয়েও রিকোয়েস্ট ফর প্রোপোজাল (আরএফপি) আহ্বান করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এগুলি হল ম্যান-পোর্টবেল বা কাঁধে বসিয়ে নিক্ষেপযোগ্য বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। মূলত, রেডার সীমার নীচ দিয়ে আকাশপথে হামলা চালানো শত্রুপক্ষের হেলিকপ্টার বা বিমান বা ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্রের মতো যে কোনও উড়ুক্কু যানকে ধ্বংস করার ক্ষমতা থাকবে এই ভিশোরাড-এর। এই সিস্টেমগুলি হবে বহুস্তরীয় এয়ার ডিফেন্সের সবচেয়ে অভ্যন্তরীণ বর্ম। বর্তমানে, রুশ-নির্মিত ইগলা-পি ও আরও উন্নত ইগলা-এস ম্যানপ্যাড ব্যবহার করে ভারত। এবার ভারত দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই সিস্টেম কিনতে চাইছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের শর্ত, এগুলির পাল্লা হতে হবে ৬ হাজার মিটার এবং এগুলিকে দিনে ও রাতে সমান কার্যকর হতে হবে।

  • Covid-19: ফের হানা দিচ্ছে করোনা! কতখানি উদ্বেগের? ভয় নাকি সতর্কতা, সুস্থ থাকার হাতিয়ার কী?

    Covid-19: ফের হানা দিচ্ছে করোনা! কতখানি উদ্বেগের? ভয় নাকি সতর্কতা, সুস্থ থাকার হাতিয়ার কী?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ফের হানা দিচ্ছে করোনা (Covid-19)! বাড়ছে আতঙ্ক! করোনা ভাইরাস বিশ্ব জুড়ে এক অতিপরিচিত নাম! কয়েক বছর আগে অতিমারির স্মৃতি এখনও তাজা। এর মাঝেই ফের করোনা আতঙ্ক! দেশ জুড়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই অনেকেই আশঙ্কায় ভুগছেন। ২০২০ সালের মতোই কি আবার করোনা অতিমারির আকার ধারণ করবে? আবার কি জনজীবন স্তব্ধ হয়ে যাবে?! বিশেষজ্ঞদের একাংশ অবশ্য জানাচ্ছেন অযথা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। করোনা (Coronavirus) দাপট বাড়ালেও এই মুহূর্তে অতিমারির আকার ধারণ করতে পারবে না। তাই সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। অযথা আতঙ্ক পরিস্থিতি জটিল করে তুলবে।

    উদ্বেগ নাকি সতর্কতা, সুস্থ থাকার হাতিয়ার কী?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে করোনা ভাইরাসের (Covid-19) দাপট বাড়লেও এখনই আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেশের অধিকাংশ জায়গায় তীব্র গরম। আবার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বর্ষা শুরু হবে। অর্থাৎ, আবহাওয়ায় রকমফের হতে চলেছে। তাপমাত্রায় ওঠানামা চলতে থাকবে। এই সময়ে বাতাসে নানান ভাইরাস সক্রিয় হয়ে যায়। সাধারণ ভাইরাস ঘটিত অসুখের দাপট বাড়ে। ফলে সর্দি-কাশি-জ্বরের জেরে ভোগান্তি বাড়ে। তাই জ্বর হলেই বা সর্দি-কাশি হলেই আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। তবে সতর্কতা জরুরি। সাধারণ জ্বর হোক কিংবা করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত, এ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া জরুরি। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, টানা তিন-চার দিন সর্দি-কাশি বা জ্বরের উপসর্গ দেখা দিলে যেকোনও ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো জরুরি। তাতে করোনা আক্রান্ত কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়া দরকার। তারপরে প্রয়োজন মতো চিকিৎসা করতে হবে। সর্দি-কাশি হলেই আইসোলেশন জরুরি। অর্থাৎ করোনা (Covid-19) আক্রান্ত কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার আগেই আলাদা ঘরে থাকা জরুরি। কারণ এতে সহজেই সংক্রমণ আটকানো সম্ভব হয়। সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি অর্থাৎ, বাইরে থেকে ফিরে হাত পরিষ্কার করা, নিয়মিত ঘর ও আশপাশের এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখা, বাইরে বিশেষত ভিড় এলাকায় নাক ও মুখ ঢাকা মাস্ক ব্যবহার করার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই করোনা সংক্রমণ সহজেই আটকানো যাবে। ভোগান্তি ও কমবে।

    কাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, করোনা (Covid-19) দাপট বাড়ালেও আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। তবে কিছুক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কারণ তবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, কো-মরবিটি থাকলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিংবা কোলেস্টেরলের মতো সমস্যা থাকলে তাঁদের এই পরিস্থিতি বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষত যাদের ফুসফুসের অসুখ রয়েছে, অর্থাৎ হাঁপানি রোগী কিংবা কোনো অ্যালার্জিতে ভুগলে, তাঁদের এই সময় মাস্ক অবশ্যই ব্যবহার করা দরকার, এসি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সচেতনতা জরুরি। কোনও ভাবেই যাতে সর্দি-কাশি বা জ্বর না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাছাড়া, হৃদরোগ কিংবা কিডনির সমস্যা থাকলেও বাড়তি সতর্কতা দরকার। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শরীরের অন্য কোনো অঙ্গে জটিল অসুখ থাকলে, করোনা শরীরকে সহজেই কাবু করে। তাই আগাম সতর্কতা জরুরি। তাহলে করোনা (Covid-19) নিয়ে বাড়তি উদ্বেগ থাকবে না।

  • Urinary Tract Infection: গরমে বাড়ছে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন! কাদের এই সমস্যা হতে পারে? কীভাবে এই সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে?

    Urinary Tract Infection: গরমে বাড়ছে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন! কাদের এই সমস্যা হতে পারে? কীভাবে এই সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আবহাওয়ার পারদ ক্রমেই চড়ছে। আর তার ফলে দেখা দিচ্ছে নানান সংক্রমণের ঝুঁকি (Summer Health Problems)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্য জুড়ে গরমের দাপট বাড়তেই ফুসফুস কিংবা পেটের নানান অসুখের মতোই হানা দিচ্ছে মূত্রনালীর সংক্রমণ বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (Urinary Tract Infection)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মহিলারা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেক সময়েই সংক্রমণ প্রাথমিক ভাবে কমে গেলেও, ফের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বারবার সংক্রমণের জেরে ভোগান্তি বাড়ছে।

    কেন গরমে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন হচ্ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরমের জেরে অতিরিক্ত ঘাম হচ্ছে। এর ফলে শরীরে জলের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। পর্যাপ্ত জলের অভাবেই মূত্রনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। তাছাড়া লাগামহীন এই অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় নানান ভাইরাস এবং ব্যাক্টেরিয়ার দাপট বেড়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মানুষ একাধিকবার শীততাপনিয়ন্ত্রিত ঘরে ঢুকছেন আবার কিছু সময় থাকার পরেই ঘর থেকে বাইরে যাচ্ছেন।

    এর ফলে শরীরে নানান ভাইরাস এবং ব্যাক্টেরিয়ার দাপট বাড়ছে। বিশেষত ফুসফুস এবং পেটে নানান ধরনের সংক্রামক রোগের দাপট বাড়ছে। আর তার থেকেই ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের (Urinary Tract Infection) ঝুঁকিও বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন এড়াতে শৌচাগার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পাশপাশি গরমে শরীরে যাতে বাড়তি জলের চাহিদা পূরণ হয়, সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি (Summer Health Problems)।

    এই রোগের উপসর্গ কী?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (Urinary Tract Infection) হলে শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। বারবার জ্বর হয়। এর পাশপাশি পেটে অসহ্য যন্ত্রণা অনুভব হয়। বিশেষত মূত্রত্যাগের সময় আরও বেশি যন্ত্রণা শুরু হয়। পায়ে খিঁচ ব্যথাও অনুভব হতে পারে।‌ এই সমস্যা দেখা দিলে বারবার বমি হতে পারে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কীভাবে এই রোগের ঝুঁকি কমাবেন?

    ● চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরমে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের (Urinary Tract Infection) ঝুঁকি কমাতে পর্যাপ্ত জল খাওয়া জরুরি। নিয়মিত চার থেকে পাঁচ লিটার জল খেতে হবে। যাতে পেটে এবং মূত্রনালিতে কোনও রকম সংক্রমণ না হয়।

    ● নিয়মিত প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ায় পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত টক দই জাতীয় খাবার খাওয়া দরকার। এতে শরীরে ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি পাবে। পেটের সমস্যা কমবে। এমনকি ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের (Urinary Tract Infection) মতো রোগের ঝুঁকিও কমবে‌।

    ● চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরমে নিয়মিত সবুজ সব্জি খাওয়া জরুরি। বিশেষত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খাওয়া দরকার। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি থাকলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। ফলে যে কোনও সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে মোকাবিলা (Summer Health Problems) সহজ‌ হয়। তাই নিয়মিত অন্তত এক গ্লাস লেবুর সরবত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    ● বারবার চা কিংবা কফি খাওয়ার অভ্যাস বাদ দেওয়া জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই গরমে বারবার চা কিংবা কফি জাতীয় পানীয় খেলে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

    ● শৌচাগার পরিষ্কারভাবে রাখার পাশপাশি নিজেও সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই নিয়মগুলো মেনে চললে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের (Urinary Tract Infection) ঝুঁকি কমবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Heart Attack: হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে রাশ টানা দরকার কোন চার খাবারে? কতখানি কার্যকরী এই পথ?

    Heart Attack: হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে রাশ টানা দরকার কোন চার খাবারে? কতখানি কার্যকরী এই পথ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকি (Heart Attack)। বয়স মাত্র কুড়ির চৌকাঠ পেরনোর পরেই দেখা দিচ্ছে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। অনেকেই খুব কম বয়স থেকেই ডায়াবেটিসেও আক্রান্ত হচ্ছেন। আর তার সঙ্গেই দেখা দিচ্ছে হৃদপিণ্ডের নানান সমস্যা (Health Problems)। এমনকি হার্ট অ্যাটাকের মতো বিপদও বাড়ছে। ভারতেও কম বয়সিদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে (Foods To Avoid)। গত কয়েক বছরে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা বেড়েছে। বিশেষত, কমবয়সি ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই হৃদরোগের জেরে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন না। তরুণ প্রজন্মের হৃদরোগের জেরে কর্ম জীবনেও ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। তাই প্রথম থেকেই জীবন‌ যাপনে, বিশেষত খাদ্যাভাসে রাশ টানার পরামর্শ (Health Tips) দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। হৃদরোগ নিয়ে আয়োজিত এক সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এমনটা জানালেন চিকিৎসকদের একাংশ। কোন চার খাবারে রাশ টানার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    ফ্যাট জাতীয় খাবারে রাশ…

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফ্যাট জাতীয় খাবারে রাশ টানা জরুরি (Foods To Avoid)। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশের নিয়মিত খাবারে ফ্যাটের পরিমাণ মারাত্মক বেশি থাকে। অনেকেই নিয়মিত বার্গার, পিৎজা, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই জাতীয় খাবার খান। এই ধরনের খাবারে পুষ্টিগুণ একেবারেই থাকে না। বরং থাকে ক্ষতিকারক ফ্যাট। যার জেরে শরীরে চর্বি জমতে থাকে। প্রভাব পড়ে হৃদপিণ্ডে। বিশেষত রক্তসঞ্চালনের ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হয়। দেহে অতিরিক্ত ফ্যাট জমে যাওয়ার জেরে হৃদপিণ্ডে ঠিকমতো রক্ত পৌঁছতে পারে না। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বাড়ে (Heart Attack)।

    পেস্ট্রি হোক বা রসগোল্লা, মিষ্টিতে থাকুক নিয়ন্ত্রণ…

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মিষ্টি বিশেষত চিনি শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক। মিষ্টি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই তাঁদের পরামর্শ, পেস্ট্রি, কেক বা রসগোল্লা, যে কোনও মিষ্টিজাতীয় খাবারে নিয়ন্ত্রণ জরুরি (Foods To Avoid)। নিয়মিত রান্নায় চিনির ব্যবহারেও লাগাম দেওয়া দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, মিষ্টি একদিকে শরীরের ওজন বাড়িয়ে দেয়। আরেকদিকে মিষ্টি রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। এর ফলে হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকিও বেড়ে যায়। বয়স চল্লিশ পেরোলে (Diet After 40), আরও বেশি খাবার নিয়ে সচেতনতা জরুরি। বিশেষত মিষ্টি জাতীয় খাবারে রাশ জরুরি।

    অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন নয়…

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ নিয়মিত প্রাণীজ প্রোটিনে অভ্যস্থ। অনেক সময়েই তরুণ প্রজন্মের খাবারের মেনুতে ভিটামিন কিংবা কার্বোহাইড্রেট, মিনারেল একেবারেই থাকছে না। শুধুই প্রাণীজ প্রোটিন থাকছে। এর ফলে নানান শারীরিক সমস্যা (Health Problems) হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে হৃদপিণ্ডে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধুই প্রাণীজ প্রোটিন নির্ভর খাবার খাওয়ার জেরে হজমের সমস্যা দেখা দিচ্ছে (Foods To Avoid)। এর ফলে রক্তচাপ ওঠানামা করছে। আবার অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়ার জেরে কোলেস্টেরলের পরিমাণও বাড়ছে। এর ফলে হৃদপিণ্ডে স্বাভাবিক রক্ত সঞ্চালন হচ্ছে না। রক্তে চাপ বাড়ছে। তার ফলে হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই নিয়মিত খাবারে পরিমিত পরিমাণে প্রাণীজ প্রোটিন জরুরি। তার সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এবং মিনারেল জাতীয় খাবার দরকার (Health Tips)। অর্থাৎ, সবুজ সব্জি, বাদাম জাতীয় খাবার এবং দানাশস্য নিয়মিত জরুরি। তবেই হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা ঠিকমতো থাকে।

    মদ্যপান এবং ধূমপানে না…

    বিশেষজ্ঞদের মতে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মদ‌্যপান এবং ধূমপানের প্রবণতা মারাত্মক ভাবে বেড়েছে। এই প্রবণতা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ার অন্যতম কারণ। ওই সম্মেলনে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ নিয়মিত মদ্যপানে অভ্যস্ত। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক (Foods To Avoid)। পাশপাশি অনেকেই বয়ঃসন্ধিকাল থেকে ধূমপানে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। হৃদপিণ্ডের উপরে এর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) ঝুঁকিও বেড়ে যাচ্ছে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ধূমপান এবং মদ্যপানে না বলা জরুরি বলেই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের (Health Tips)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Amit Shah: গান্ধীনগরে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিলেন অমিত শাহ

    Amit Shah: গান্ধীনগরে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিলেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নির্বাচিত হয়েছেন গুজরাটের (Gujarat) গান্ধীনগর থেকে। সেই গান্ধীনগরে বস্তুত উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শনিবার তিনি গান্ধীনগর শহর ও জেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন। প্রকল্পগুলির মোট মূল্য ৭০৮ কোটি টাকারও বেশি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি।

    কী বলছে সরকারি বিবৃতি? (Amit Shah)

    সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, গান্ধীনগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন একাই ২০০.৯৪ কোটি টাকার নাগরিক ও পরিকাঠামো প্রকল্পের উদ্বোধন করেছে। নতুন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে ৩৫২.৭৬ কোটি টাকার। গান্ধীনগর জেলা প্রশাসন সম্পন্ন করেছে ৪৫.৭০ কোটি টাকার কাজ। গান্ধীনগর নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কাজ করেছে ১০৭.৮৫ কোটি টাকার। এদিন উদ্বোধন করা প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে বাসান, পালাজ ও পোর অঞ্চলে আরসিসি এবং সিসি রোড, ভাভোল ও পেঠাপুরে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং সিএইচ-০ থেকে জিএইচ-০ মিউনিসিপ্যাল করিডরে ল্যান্ডস্কেপিং ইত্যাদি।

    গুচ্ছ প্রকল্প

    অন্যান্য প্রকল্পের মধ্যে ছিল বরিজ ও কোলাভাদা-সহ বিভিন্ন এলাকায় পয়ঃপ্রণালী নিষ্কাশন ও ড্রেনেজ পাইপলাইন স্থাপন, টাউন প্ল্যানিং এরিয়া উন্নয়নমূলক কাজ যার মূল্য ৭৫.০৮ কোটি টাকা, ভাট এলাকায় একটি পয়ঃশোধনাগার স্থাপন এবং সেক্টর ২১ ও ২২-এর মধ্যে একটি সড়ক আন্ডারপাস নির্মাণ। অতিরিক্ত পরিকাঠামোর মধ্যে রয়েছে সৌর প্যানেল ও রাস্তার আলোর ব্যবস্থা, অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা ও পরীক্ষাগার উন্নয়ন (Amit Shah)।

    যেসব প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছে, সেগুলি হল খোরাজ, কোবা, রান্ধেজা এবং সরগাসনে রাস্তা নির্মাণের কাজ, সেক্টর ৭, ২১, ২২ ও ঢোলাকুয়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ, নবহোই ও ডাভোলে জল ও ড্রেনেজ লাইনের কাজ এবং কোলাভাদা রায়সান ও নবহোইতে তিনটি নয়া পয়ঃশোধনাগার নির্মাণ। পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত ছিল দুটি নয়া জোনাল অফিস নির্মাণ, অঙ্গনওয়াড়ি সংস্কার, শহরজুড়ে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, কুদাসন ও আমিয়াপুরে কমিউনিটি হল, ইন্দ্রোডায় গুজরাট দর্শন পার্ক, রিচার্জ ও টিউবওয়েল স্থাপন, টিপি-০৯ এলাকায় একটি নয়া ইলেকট্রিক বাস ডিপো (Gujarat) এবং বিভিন্ন সেক্টরে ক্রিকেট বক্স স্থাপন ও কাম্পাউন্ড ওয়াল নির্মাণ (Amit Shah)।

  • Illegal Bangladeshi Muslims: নিঃশব্দে বাংলাদেশ সীমান্তে ‘অপারেশন পুশব্যাক’ চালাচ্ছে ভারত, কী ঘটছে সেখানে?

    Illegal Bangladeshi Muslims: নিঃশব্দে বাংলাদেশ সীমান্তে ‘অপারেশন পুশব্যাক’ চালাচ্ছে ভারত, কী ঘটছে সেখানে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডেরে জেরে পড়শি দেশকে সবক শেখাতে দেশের পশ্চিমপ্রান্তে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়েছিল ভারত (Deportation)। সরকারি কর্তাদের অবশ্য দাবি, জারি রয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারত পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করতেই চালিয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’। পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছে ভারত (Illegal Bangladeshi Muslims)। তার পরেই বাংলাদেশি মৌলবাদীদের একাংশ ভারতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরাতে থাকে।

    ‘অপারেশন পুশব্যাক’ (Illegal Bangladeshi Muslims)

    বাংলাদেশের এক মৌলবীকে আত্মঘাতী জঙ্গি বাহিনী পাঠিয়ে কলকাতা দখল করার হুমকি দিতেও শোনা যায়। তার পরেই গোপনে ‘অপারেশন পুশব্যাক’ চালু করেছে ভারত। এর আগে নানা সময় ভারতে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের ফেরত নিয়ে ঢাকাকে অনুরোধ করেছিল ভারত। কিন্তু ঢাকা সেই বাংলাদেশিদের ফেরত নিতে অস্বীকার করে। অনেক ক্ষেত্রে তারা যে বাংলাদেশি তাও অস্বীকার করতে শুরু করে বাংলাদেশ সরকার। এর পরেই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে যেসব বাংলাদেশি মুসলমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যারা অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, তাদের ধরে ধরে পুশব্যাক করানো হচ্ছে বাংলাদেশে।

    মুখে কুলুপ কেন্দ্রের

    জানা গিয়েছে, অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাস করছিল, এমন বহু বাংলাদেশি মুসলমানকে ৬ মে থেকে গোপনে সড়ক ও বিমানপথে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, মেঘালয় এবং ত্রিপুরার আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার ভারত একতরফাভাবে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী মুসলমানদের স্বদেশে ফেরত পাঠানো শুরু করেছে। যদিও এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু তাই নয়, সরকারের তরফে অস্বীকারও করা হয়েছে ‘অপারেশন পুশব্যাক’কেও।

    পুশব্যাক করতে সময় লাগত বছরের পর বছর

    এতদিন ভারত ১৯৭৫ সালের ভারত-বাংলাদেশে যৌথ সীমান্ত নির্দেশিকা, ২০১১ সালের সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা এবং বিএসএফ এবং বিজিবির কর্তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হত। এই প্রক্রিয়ায় পুশব্যাক করতে সময় লাগত বছরের পর বছর। এই দীর্ঘসূত্রিতার বোঝার দায় বইতে হত ভারতকে। অনেক ক্ষেত্রে আবার বাংলাদেশিরা তাদের দেশের নাগরিকদের ফেরত নিতেও অস্বীকার করত। তার ফলে ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে ভিড় বাড়তে থাকে অবৈধ মুসলমান অনুপ্রবেশকারীদের। তারা এদেশে যে কেবল রোজগারের ধান্ধায় আসত, তা নয়, নানা অসামাজিক কাজকর্মেও জড়িয়ে পড়ত। কেউ কেউ তো আবার জঙ্গি সংগঠনের স্লিপার সেল হিসেবেও কাজ করত! যেহেতু বাংলাদেশ তাদের নাগরিকদের ফেরাতে অস্বীকার করত, তাই ভারত এবার ঢাকঢোল না পিটিয়েই শুরু করে ‘অপারেশন পুশব্যাক’। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক পদস্থ কর্তা সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, “বাংলাদেশ বারবার এই অনুপ্রবেশকারীদের তাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং ফেরত নিতে চায়নি।” তিনি বলেন, “এটি অত্যন্ত হতাশাজনক (Deportation)।”

    তুষ্টিকরণের রাজনীতি

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। তার পরেই কেন্দ্রীয় সরকার সব রাজ্যকে ভারতে অবৈধভাবে বসবাসকারী পাকিস্তানি ও বাংলাদেশিদের শনাক্ত করতে ও তাদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেয় (Illegal Bangladeshi Muslims)। কেন্দ্রীয় সরকারের এই নির্দেশ পেয়ে গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে বিভিন্ন রাজ্য সরকার। অসম, গুজরাট, দিল্লি, হরিয়ানা, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশার মতো বেশ কয়েকটি রাজ্যে গ্রেফতার করা হয় বহু বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীকে। তুষ্টিকরণের রাজনীতিতে অভ্যস্ত কয়েকটি রাজ্যে আবার অনুপ্রবেশকারী মুসলমানদের ধরতে গা ছাড়া ভাবও দেখা গিয়েছে।

    দুর্গম ও অনাবাদী এলাকা দিয়ে পুশব্যাক

    ধৃত এই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে ভারত ‘অপারেশন পুশব্যাক’ চালু করে। এর পরেই বিএসএফের শীর্ষ কর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয় সীমান্তের এমন কিছু অংশ চিহ্নিত করতে, যেখান দিয়ে এই পুশব্যাক নির্বিঘ্নে চালানো যাবে। নির্দেশ পেয়েই কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়ে বিএসএফ। তারা বেছে নেয় ভারতের সীমান্তবর্তী কিছু দুর্গম ও অনাবাদী এলাকা যেখানে বিজিবি নিয়মিত টহল দেয় না। এরপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সেই তালিকা ছোট করে কিছু নির্বাচিত অংশে এই পুশব্যাক অভিযান অনুমোদন করে। এর মধ্যে রয়েছে অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গের কিছু সীমান্ত অঞ্চল, যার মধ্যে সুন্দরবনও রয়েছে।

    বাংলাদেশি মুসলমানকে ফেরত

    জানা গিয়েছে, গত ৬ মে ত্রিপুরা সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ৬৬ জন বাংলাদেশি মুসলমানকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়ি জেলায় ফেরত পাঠানো হয়েছে (Illegal Bangladeshi Muslims)। বাংলাদেশি সূত্র অনুযায়ী, ১৫ জনকে মাতিরাঙ্গার তাইডং সীমান্ত দিয়ে, ২৭ জনকে গোমতীর শান্তিপুর সীমান্ত দিয়ে এবং ২৪ জনকে পানছড়ির রূপসেনপাড়া সীমান্ত দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এই সব এলাকাই খাগড়াছড়ি জেলার। সেদিন যাদের ফেরত পাঠানো হয়, তাদের অনেকেই গুজরাটে গ্রেফতার হয়েছিল। তাদের বিমানপথে ত্রিপুরায় এনে বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে ফেরত পাঠানো হয় বাংলাদেশে। ওই ৬৬ জনকে বিজিবি হেফাজতে নেয় এবং তাদের পরিচয় যাচাই করে নিশ্চিত হয় যে তারা বাংলাদেশি নাগরিক (Deportation)।

    বিজিবি তাদের পরিচয় যাচাই করে

    এর ঠিক পরের দিনই বিজিবি ফের শনাক্ত করে ১৫ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে। তাদের পাঠানো হয় সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে। বিজিবি তাদের পরিচয় যাচাই করে জানতে পারে যে তারা বাংলাদেশের নড়াইল ও চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। ১৫ জনের এই দলটি গত কয়েক বছর ধরে অসমে অবৈধভাবে বসবাস করছিল। ভারতীয় নাগরিকত্বের নথিও সংগ্রহ করে ফেলেছিল। দু’সপ্তাহ আগে অসম পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে এবং তাদের বাড়িঘর ভেঙে দেয়। বিজিবি যে এই ১৫ জনকে হেফাজতে নিয়েছিল, তারা প্রায় ৩০০ জনের দলের একটা অংশ। এরপর থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বিভিন্ন অংশ দিয়ে বিপুল সংখ্যক অনুপ্রবেশকারী মুসলমানকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

    নাটকীয় ঘটনা

    ‘অপারেশন পুশব্যাকে’র নাটকীয় ঘটনাটি ঘটে ৯ মে ভোরে। সেদিন ৭৮ জন অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে নৌকায় করে নিয়ে গিয়ে রেখে আসা হয় বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের একটি দুর্গম দ্বীপ মন্দরবারিয়ায়। পরে বাংলাদেশের কোস্ট গার্ড তাদের হেফাজতে নেয় এবং পুলিশকে হস্তান্তর করে। যাচাই করে দেখা যায়, তারা সত্যিই বাংলাদেশি নাগরিক, যারা ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল (Illegal Bangladeshi Muslims)। মন্দরবারিয়া দ্বীপে নিয়ে যাওয়া অনুপ্রবেশকারীদের কাউকে কাউকে গুজরাট ও দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারা জাল ভারতীয় নথিপত্র সংগ্রহ করেছিল। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ভারতীয় মহিলাদের বিয়ে করেছিল, তাদের সন্তানও রয়েছে (Deportation)।

    মোদির বার্তা

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একটি সূত্রের খবর, এই পুশব্যাক চালিয়ে যাওয়া হবে। কোনও দেশই বিপুল সংখ্যক বিদেশি, যারা অবৈধভাবে প্রবেশ করে বসবাস করছে, তাদের উপস্থিতি মেনে নিতে পারে না। যদি তাদের স্বদেশ তাদের নিজের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করতে অস্বীকার করে এবং তাদের ফেরত নিতে না চায়, তাহলে অন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। এ প্রসঙ্গে ওই সূত্র এপ্রিলের শুরুতে ব্যাঙ্ককে বিমস্টেকে শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের কথোপকথনের টানেন। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি ইউনূসকে স্পষ্ট ও দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লঙ্ঘনযোগ্য নয়। ভারত সীমান্ত অতিক্রম করে সংঘটিত অপরাধ ও অনুপ্রবেশ সহ্য করবে না এবং এসব মোকাবিলায় কঠোর পদক্ষেপ করবে। অপারেশন পুশব্যাক অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ও সীমান্ত লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর নীতির প্রকাশ।”

    ঢাকাকে স্পষ্ট বার্তা দিল্লির

    বাংলাদেশের সন্দেহ ভারত গত এক (Deportation) সপ্তাহে কয়েক হাজার মানুষকে চুপিসারে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে এবং তারা সকলেই নিজেদের পুরনো গ্রামে ফিরে গিয়েছে (Illegal Bangladeshi Muslims)। ভারতের অপারেশন পুশব্যাক নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে না পারলেও, রাগে গরগর করছে বিজিবি। বাহিনীর ডিজি মেজর জেনারেল মহম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকির দাবি, ভারত যা করছে, তা অমানবিক। সীমান্তে নজরদারি বাড়ালেও, বিজিবি প্রধান স্বীকার করে নিয়েছেন, একে আটকানো সম্ভব নয়। একইসঙ্গে তিনি এও জানান যে, ভারত যেহেতু রাষ্ট্রসংঘের ১৯৫১ বা ১৯৬৭ সালের রেফিউজি কনভেনশনের স্বাক্ষর করেনি, তাই তা ভারতের ওপর কার্যকর হবে না। ফলে, বাংলাদেশ যদি রাষ্ট্রসংঘে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও, তাতে লাভের লাভ কিছু হবে না। ঢাকার দাবি, তারা ভারতের বিদেশমন্ত্রককে চিঠি দিয়ে বৈঠকে বসার আহ্বান জানিয়েছে। যদিও, ভারত কোনও প্রকার চিঠি পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছে। কেন্দ্রীয় সূত্রের মতে, ঢাকাকে স্পষ্ট করে দিল্লি জানিয়ে দিয়েছে যে, অপারেশন পুশব্যাক চলবে।

LinkedIn
Share