মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে ছত্রপতি সম্ভাজি নগরের খুলদাবাদে অবস্থিত হল মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের সমাধি (Aurangzebs Tomb)। এই সমাধি অপসারণের দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে। স্থানীয়দের মতে, এই সমাধি হল আসলে অত্যাচার ও দাসত্বের প্রতীক। এই আবহে বজরং দল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) আরও জোরাল দাবি তুলেছে। সংগঠনের নেতাদের মতে, রাজ্য সরকার যদি পদক্ষেপ না করে তবে তাদের কর্মীরা ওই স্থানের করসেবা করবে।
১৭ মার্চ স্মারকলিপি (Aurangzebs Tomb)
এখানেই না থেমে থেকে আগামীকাল অর্থাৎ ১৭ মার্চ হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি একত্রিত হয়ে রাজ্য সরকারকে এনিয়ে স্মারক লিপিও দেবে বলে জানিয়েছে। আইনি ব্যবস্থা মেনেই এই সংগঠনগুলি ওই স্থানে করসেবা করতে চায় বলে জানিয়েছে। এর পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনেরও হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা। ভিএইচপি-র নেতাদের মতে, এই স্থান শতাব্দীর নিপীড়ন, নৃশংসতা এবং দাসত্বের প্রতীক (Bajrang Dal)।
ঘৃণা এবং নির্যাতনের স্মারক! দাবি ভিএইচি নেতার (Aurangzebs Tomb)
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নীতেশ রানে এবং প্রাক্তন সংসদ সদস্য (এমপি) নবনীত রানা ঔরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবি করেন। পরবর্তীকালে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশও এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেছিলেন। তবে সবটাই তিনি আইন মেনে করার পক্ষপাতী। কারণ ওই স্থান বর্তমানে ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ (এএসআই)-এর আওতায় রয়েছে। সুরক্ষিত। শনিবার পুনেতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে, ভিএইচপি-র পশ্চিম মহারাষ্ট্রের নেতা কিশোর চৌহান ঔরঙ্গজেবের সমাধিস্থলকে হিন্দুদের উপর বিশ্বাসঘাতকতা, ঘৃণা এবং নির্যাতনের স্মারক (Aurangzebs Tomb) বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “ঔরঙ্গজেবের নিষ্ঠুরতা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি তাঁর নিজের পিতাকে বন্দী করেছিলেন। তাঁর ভাইদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। হিন্দু মন্দির ধ্বংসের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁর সমাধির অস্তিত্ব কেবল তাঁর নৃশংসতার প্রতীক। মহারাষ্ট্র সরকারকে তা অপসারণের জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে হবে। যদি সরকার এটি অপসারণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আমরা ‘করসেবা’ করে এটি করব। যেমনটি আমরা রাম জন্মভূমি আন্দোলনের সময় দেখেছি।”
Leave a Reply