Balurghat: নদীতে ডুব দিয়ে পুণ্যার্থীরা হাজির হন বালুরঘাটের গঙ্গাসাগর মেলায়

Balurghat

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের কুম্ভ মেলায় ভিড়। ভিড় এ রাজ্যের গঙ্গাসাগরেও। পুণ্য স্নান করতে  বালুরঘাটের (Balurghat) অনেক মানুষই যেতে পারছেন না গঙ্গা সাগরে। তাই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতেই বালুরঘাটের গঙ্গাসাগরে (Ganga Sagar 2025) ভিড় বাড়ছে পুণ্যার্থীদের। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে মেলা। এদিন সকালেই আত্রেয়ী নদীতে পুণ্যস্নান করতে দেখা গেল বহু পুণ্যার্থীদের।

পুণ্য লাভের আশায় ভিড় হয় মেলায়! (Balurghat)

বালুরঘাট (Balurghat) শহর থেকে খানিক দূরে গঙ্গাসাগর গ্রাম। শুধুমাত্র নামের মাহাত্ম্যেই গঙ্গাসাগর গ্রামে মকর সংক্রান্তিতে পুণ্যস্নান হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। কথায় আছে “সব তীর্থ বার বার, গঙ্গাসাগর একবার”  অর্থাৎ গঙ্গাসাগরে একবার পুণ্য স্নান করলে সমস্ত তীর্থের পুণ্য অর্জন হয়। ওই গ্রামে রয়েছে কপিল মুনির আশ্রম। যাকে কেন্দ্র করে বসেছে মেলা। মেলার পাশেই বয়ে গেছে বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদী। সেই নদীতে স্নানের জন্য ভিড় করেন পুণ্যার্থীরা। অনেকেই বলছেন, কুম্ভ মেলা ও গঙ্গাসাগরের মেলায় যেতে না পারলেও  বালুরঘাটের গঙ্গাসাগরেই স্নান করে পুণ্য অর্জন করছেন ভক্তরা। মকর সংক্রান্তির দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরেও পুণ্য স্নান করতে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়ে থাকে প্রতিবছর।  কিন্তু আর্থিক কারণে অনেকেই সেই গঙ্গাসাগরে যেতে পারেন না। তাঁরা ভিড় করেন দক্ষিণ দিনাজপুরের এই মেলায়।

কপিল মুনির মন্দির কবে গড়ে উঠেছিল?

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট (Balurghat) শহর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে আত্রেয়ী নদীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত গঙ্গাসাগর গ্রাম। নাম মাহাত্ম্যের কারণে আজ থেকে প্রায় বিয়াল্লিশ বছর আগে গ্রামের বয়স্করা এখানেও গঙ্গাসাগরের মতো কপিল মুনির মন্দির গড়ে তোলার পাশাপাশি চালু করেন মন্দিরের পাশে নদীতে স্নান করে মন্দিরে পুজো দেওয়ার রীতি। ধীরে ধীরে গঙ্গাসাগর গ্রামের এই পুণ্য স্নানের কথা ছড়িয়ে পড়ে জেলা এবং জেলার বাইরে। প্রতিবছর বালুরঘাট সহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা এবং জেলা বাইরের বহু মানুষের সমাগম হয়ে থাকে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান করতে। মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে প্রতিবছর তিনদিনের মেলা বসে গঙ্গাসাগর গ্রামে। তিন দিনব্যাপী চলে মন্দির ঘিরে নাম সংকীর্তন।

পুণ্যার্থীর বক্তব্য

মালদা থেকে এই মেলায় এসেছিলেন রতন দাস। তিনি বলেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরে পুণ্য স্নান করতে যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না। যেহেতু এই জায়গার নাম গঙ্গাসাগর। তাই আমরা বালুরঘাটের (Balurghat) গঙ্গাসাগরে এসে পুণ্য স্নান  করলাম। এইখানে স্নান করলেও পুণ্য হয়। উৎসব কমিটির সদস্য প্রবীর প্রামাণিক জানান, ৪২ বছর ধরে এখানের মকর সংক্রান্তির স্নান হয়ে আসছে। মানুষ বিশ্বাস করে এই গঙ্গাসাগরে স্নান করলে পুণ্য হয়। তাই হাজার হাজার মানুষ  স্নান করেন।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share