মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ময়া নৌবন্দর থেকে বাংলাদেশের রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ নৌবন্দর পরিষেবা ফের চালু হল। সোমবার লালগোলার ময়া গ্রামে নৌবন্দর পরিষেবার উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএসএফ ও কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রকের আধিকারিকরা। নৌপথে বাংলাদেশ-ভারতে পণ্য আনা-নেওয়া বন্ধ হওয়ার পর শুরু হয় সড়ক ও রেলপথ ব্যবহার। এতে উভয় দেশের পণ্য পরিবহণ খরচ বেশি হত। এবার নৌবন্দর চালু হওয়ায় খুশি দু’দেশের মানুষ।
৫৯ বছর পর আবার চালু হল (Murshidabad)
জানা গিয়েছে, এক সময় এই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নৌবন্দর দিয়ে পণ্য আনা-নেওয়া হত। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগে সুলতানগঞ্জ-ময়া ও গোদাগাড়ি-লালগোলা নৌপথ বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে দীর্ঘ ৫৯ বছর পর আবার চালু হল নৌবন্দর পরিষেবা। নৌবন্দর চালু হওয়ায় ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে সময় ও খরচ দু’টোই কমবে। এতে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, বছরে এই নৌপথে হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হবে। বাংলাদেশের রাজশাহী থেকে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান পর্যন্ত ৭৮ কিলোমিটার একটি নৌপথের অনুমোদন থাকলেও পদ্মার নাব্যতার সমস্যার কারণে কার্যকর করা যায়নি। ফলে রুটটি সুলতানগঞ্জ থেকে ময়া নৌবন্দর পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত করা হয়। আড়াআড়িভাবে ২০ কিলোমিটার পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে পণ্য আনা-নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। শুরুতে এই নৌপথে ভারত থেকে পাথর, বালি ও বিভিন্ন ধরনের খাদ্যসামগ্রী আনা হবে। এই নৌবন্দর চালুর ফলে বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে বলে আশাবাদী এলাকার বাসিন্দারা।
কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?
ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রী স্থাপনে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করতেই এই দেশ থেকে পণ্য সহজেই পৌঁছে যাবে ওপারে। শুধু তাই নয়, ত্রিপুরাতেও সহজেই পণ্য পৌঁছবে। দূরত্ব কমবে অনেকটাই। ঠিক তেমনই ওপার থেকে পণ্য পৌঁছে যাবে ভারতে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সাল থেকে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থেকে বাংলাদেশ নৌপথ পুনরায় চালুর ভাবনা শুরু হয়। সেই কারণেই চিঠি পাঠানো হয় দুই দেশকে। ২০১৮ সালে মার্চ মাসে জমি ও নদী পরিদর্শন করা হয় সংশ্লিষ্ট দফতরের পক্ষ থেকে। এরপর ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে মউ স্বাক্ষর করা হয়। মোট ২৫ বিঘা জমির ওপর ৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় এই বন্দর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, সাধারণ মানুষ, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অনেকটাই সুবিধা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে এটা বাস্তবায়িত হয়েছে। তবে, বন্দরে যাওয়ার রাস্তা বেহালের কারণে রাজ্য সরকারকে তিনি দায়ী করেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
Leave a Reply