মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন্ময় প্রভু যাতে আদালতে জামিন না পান, তারজন্য মৌলবাদীরা তাঁর আইনজীবীদের হুমকি দিয়েছিলেন। হামলা চালানোরও অভিযোগ রয়েছে। আপাতত জেলেই রয়েছেন চিন্ময় প্রভু। এই পরিস্থিতিতে তাঁর ওপর চাপ বাড়াতে চিন্ময়কৃষ্ণ দাস-সহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম (Bangladesh) আদালতে আরও মামলার আবেদন জমা পড়ল। আদালত চত্বরে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের অনুগামীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ। অভিযোগ আদালত চত্বরে থাকা গাড়ি ভাঙচুরেরও।
ঠিক কী অভিযোগে মামলা? (Bangladesh)
চট্টগ্রাম (Bangladesh) আদালতে যিনি চিন্ময় এবং বাকিদের বিরুদ্ধে আরও মামলার আবেদন জানিয়েছেন, তাঁর অভিযোগ, গত ২৬ নভেম্বর তিনি চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গনে ছিলেন। সেখানে তাঁকে মারধর করেন চিন্ময়ের অনুগামীরা। সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ মঞ্চের লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এনামুল হক নামের ওই ব্যবসায়ীর। তিনি জানিয়েছেন, মারধরের ফলে তিনি আহত হন। এতদিন অসুস্থতার জেরে অভিযোগ করতে পারেননি। এলাকায় ভাঙচুরের অভিযোগও করেছেন এনামুল। চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মামলা করা হয়েছে। মামলার আবেদন গৃহীতও হয়েছে সেখানে। এমনিতে ২ জানুয়ারির আগে মুক্তির কোনও সম্ভবনা নেই চিন্ময়ের। তার আগে আরও নতুন নতুন মামলা যোগ করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগামী ২ জানুয়ারি চিন্ময়ের জামিনের পরবর্তী শুনানি রয়েছে। কিন্তু যেভাবে নতুন নতুন মামলা যুক্ত হচ্ছে, তাতে ওই দিন তিনি জামিন নাও পেতে পারেন। নয়া মামলায় মারধর, সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগ রয়েছে। তাই আগামী দিনে চিন্ময়ের জামিন পেতে সমস্যা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সকলেই। আগামী দিনে আরও মামলা দায়ের করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা।
আরও পড়ুন: ‘কলকাতা দখল! একটা রাফালই যথেষ্ট’, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জবাব শুভেন্দুর
গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন বাংলাদেশের সাহিত্যিকের
রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের (Chinmoy Prabhu) গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) বিশিষ্ট সাহিত্যিক ফরহাদ মজহার। একইসঙ্গে তিনি মনে করেন যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সে দেশের সংখ্যালঘু, সনাতনপন্থীদের অভাব-অভিযোগ ও দাবি-দাওয়া আন্তরিকভাবে শুনতে পারেননি। বাংলাদেশে হাসিনা বিরোধী অভ্যুত্থানের পর সনাতনপন্থীদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি। একটি সাক্ষাৎকারে সাহিত্যিক ফরহাদ মজহার প্রশ্ন করেন, ‘‘চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় গ্রেফতার করার যুক্তি কি? চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আমার কোনওভাবেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রদ্রোহী বলে মনে হয়নি। আমার যা জানা, তাতে এমন কোনও প্রমাণ নেই। তাঁকে এই মামলায় গ্রেফতার করার আইনি ভিত্তিটা কি?’’ কার্যত ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনার সুরই শোনা যায় বাংলাদেশি সাহিত্যিক ফরহাদ মজহারের কণ্ঠে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
Leave a Reply