SSC Recruitment Scam: চাকরিহারাদের ঋণ দিয়েছে কোটি কোটি টাকা, আদালতের রায়ে ঘুম উড়েছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের

চাকরিহারাদের ঋণ দেওয়া কোটি কোটি টাকা আদায় নিয়ে দুশ্চিন্তায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ
SSC_Recruitment_Scam_(3)
SSC_Recruitment_Scam_(3)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Recruitment Scam) মামলায় হাইকোর্টের রায়ে রাজ্যে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে। আচমকা চাকরি চলে যাওয়ার ঘটনায় আকাশ ভেঙে পড়েছে চাকরি হারা শিক্ষকদের পরিবারে। সকলেই চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। এই আবহের মধ্যে চিন্তায় পড়েছে ব্যাঙ্কও। কারণ, বহু শিক্ষক ব্যাঙ্ক থেকে গৃহ ঋণ, ব্যক্তিগত ঋণ বা গাড়ি কেনার জন্য লোন নিয়েছিলেন। সেই টাকা এবার পরিশোধ করবেন কীভাবে? এটাই এখন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের মস্তবড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চাকরিহারাদের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক কোটি কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে (SSC Recruitment Scam)

জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের তথ্য তুলে ধরলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে। এমনিতেই সরকারি চাকরি বলে  শিক্ষকদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয় ব্যাঙ্ক। সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি-ধূপগুড়ির ওই রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক প্রায় ৭ কোটি টাকা বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের ঋণ দিয়েছে। শুধু এই ব্যাঙ্ক নয়। গোটা জেলার ব্যাঙ্কগুলি ধরলে সেই টাকার পরিমাণ অনেক বেশি। আর গোটা রাজ্য ধরলে কোটি কোটি টাকা চাকরি হারা শিক্ষকদের ঋণ দেওয়া হয়েছে। পার্সোনাল লোন, হোম লোন নিয়ে অনেকে বাড়ি তৈরি করেছেন। সোমবার আদালতের নির্দেশে নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় চাকরি গিয়েছে হাজার হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর। তারপর থেকেই কোর্টের নির্দেশে রীতিমতো ঘুম উড়েছে ব্যাঙ্কেরও।

আরও পড়ুন: উস্কানিমূলক মন্তব্যে তৃণমূল বিধায়ককে শো-কজ করল নির্বাচন কমিশন

ব্যাঙ্কিং সিস্টেম ভেঙে পড়বে!

ধূপগুড়ি ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ব্যাঙ্ক ম্যানেজার নীলাদ্রি ঘোষ বলছেন, "চিন্তা তো খুবই আছে। টাকা কীভাবে তোলা হবে সেটাই এখন মূল মাথা ব্যথা। ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে যে টাকা আছে তা তো পাবলিক ফান্ডের। ঋণ শোধ করতে না পারলে পাবলিকের টাকা ক্ষতির মুখে পড়বে। ব্যাঙ্কিং সিস্টেম ভেঙে পড়বে। লোকজনের ব্যাঙ্কের ওপর থেকে ভরসা উঠে যাবে।" ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, এখন থেকে সরকারি শিক্ষকদের ঋণ নেওয়ার পদ্ধতি অত সহজ হবে না। নীলাদ্রি ঘোষ বলছেন, "যে রায় দেওয়া হয়েছে কোর্টের তরফে তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এখন থেকে সরকারি শিক্ষকদের ঋণ নেওয়ার প্রক্রিয়া আর সহজ হবে না।"

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles