Bharatmala Pariyojana: ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ, বাস্তবায়নের পথে ভারতকে মহাসড়কের মালায় জোড়ার স্বপ্ন?

Bharatmala Pariyojana Indias Biggest Highway Push Advances Over 19,200 km Out Of 26,425 km Awarded Projects completed

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতমালা পরিযোজনা (Bharatmala Pariyojana) হল আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় রাজপথ নির্মাণের কর্মসূচি। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে একেবারে ধারাবাহিকভাবে, নিজের গতিতে এগিয়ে চলেছে মোদি সরকার। এখনও পর্যন্ত কেন্দ্র জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ১৯ হাজার ২০১ কিলোমিটার মহাসড়ক নির্মাণ হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালেই পরিকল্পনার উদ্যোগ নেয় মোদি সরকার। প্রকল্পের নাম রাখা হয় ‘ভারতমালা পরিযোজনা’। এর মাধ্যমে লক্ষ্য রাখা হয়, দেশজুড়ে ৩৪ হাজার ৮০০ কিলোমিটারেরও বেশি মহাসড়কের (Highway) নেটওয়ার্ক তৈরি করার। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, সরবরাহ ব্যবস্থার মূল্য হ্রাস, এর পাশাপাশি মহা সড়কের আশপাশের অঞ্চলগুলিতে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির লক্ষ্য রাখা হয়।

২৬ হাজার ৪২৫ কিলোমিটার রাস্তার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে

ইতিমধ্যে মোদি সরকারের সড়ক (Bharatmala Pariyojana) পরিবহন মন্ত্রক জানিয়েছে, এই প্রকল্পের (Highway) আওতায় এখনও পর্যন্ত মোট ২৬ হাজার ৪২৫ কিলোমিটার রাস্তার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই রাস্তা তৈরি করতে আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৮.৫৪ লক্ষ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, প্রকল্পগুলির আওতায় অর্থনৈতিক করিডর, আন্তঃকরিডর রুট, ফিডার রুট, জাতীয় করিডর, এক্সপ্রেসওয়ে, সীমান্ত সড়ক, বন্দর সংযোগ সড়কের মতো- একাধিক উপাদান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অর্থনৈতিক করিডরগুলি ৮,৭৩৭ কিলোমিটার জুড়ে নির্মিত হবে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে এক্সপ্রেসওয়েগুলি নির্মিত হবে ২,৪২২ কিলোমিটার। এর পাশাপাশি সীমান্ত সড়ক এবং আন্তর্জাতিক সংযোগ সড়কের মোট পরিমাণ ধরা হয়েছে ১,৬১৯ কিলোমিটার।

কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি (Bharatmala Pariyojana)

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি এবিষয়ে বলেন, ‘‘ভারতমালা পরিযোজনার বিষয়ে সমীক্ষা চালিয়েছে বেঙ্গালুরুর আইআইএম। এমন গবেষণা প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পের ইতিবাচক প্রভাবের ইঙ্গিত দিয়েছে। বিশেষত অর্থনৈতিকভাবে। পারিবারিক আয় এবং ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। গাড়ি বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসঙ্গে পণ্য সরবরাহের খরচ হ্রাস পেয়েছে। আবার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে বেড়েছে সরবরাহ দক্ষতা। রাজপথের ধারে বাজার এবং কারখানাগুলিও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছে। একসঙ্গে সামাজিকভাবে, স্কুল এবং স্বাস্থ্য পরিষেবাক্ষেত্রে যাতায়াতের সময় অনেকটাই কমেছে। সামগ্রিকভাবে, বেঙ্গালুরুর এই গবেষণা সামনে এনেছে ভারতমালা পরিযোজনার (Bharatmala Pariyojana) সাফল্য।’’

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share