Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর সফর, সরকারি টাকায় সাজছে তৃণমূল নেতার রিসর্ট! সত্য ফাঁস শুভেন্দুর

suvendu-adhikari

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)! সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই কারণে মালবাজারের তেসিমলা পঞ্চায়েতের একটি  রিসর্ট সংস্কার করা হচ্ছে। রিসর্টটি মহেশতলার বিধায়ক তৃণমূলের দুলাল দাসের বলে দাবি শুভেন্দুর। সরকারি খরচে একটি ব্যক্তিগত রিসর্ট ঢেলে সাজানোর তৎপরতাকে নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী।

সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে মালবাজারে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গাপুজোর সময় বিসর্জন দিতে গিয়ে মাল নদীতে হড়পা বানের জলে ভেসে গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয় কয়েকজনের। এই সফরে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর।মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী যোগ দিতে পারেন প্রশাসনিক বৈঠকেও। পরে যেতে পারেন মালবাজারের ওই রিসর্টে। যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী রিসর্টটিতে যেতে পারেন, তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেটি সংস্কার করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। কেবল ওই রিসর্টটিই নয়, তার আশপাশের এলাকাও সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। সংস্কার করা হচ্ছে রিসর্টে যাওয়ার রাস্তাও। প্রসঙ্গত, বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন একবার এই রিসর্টে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: ওরা হিন্দুদের তাড়াতে চায়! মোমিনপুর-কাণ্ডে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাবি, রিসর্টটি দুলাল দাসের। সরকারি টাকা খরচ করে সাজানো হচ্ছে সেটি। রিসর্টে যাওয়ার রাস্তাও সংস্কার করা হচ্ছে সরকারি অর্থ ব্যয়ে। মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে এদিন ট্যুইট-বাণ নিক্ষেপ করেন শুভেন্দু। লেখেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত। সরকার ডিএ দিতে ব্যর্থ। রাস্তা সংস্কার করতে পারছে না। পারছে না কর্মসংস্থান করতে। এমতাবস্থায় জনগণের টাকা খরচ হচ্ছে তৃণমূল নেতা দুলালচন্দ্র দাসের একটি ব্যক্তিগত রিসর্ট সংস্কারে। কারণ ভিভিআইপি গেস্ট আসছেন। শুভেন্দুর খোঁচা, লেডি কিম কি সেখানে থাকতে যাচ্ছেন? অন্য একটি ট্যুইটে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, এখন জনপ্রতিনিধিরা প্রশাসনিক সভাগুলিতে উন্নয়নের কাজের জন্য তহবিল চাওয়ায় ক্রমাগত মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভের মুখে পড়ছেন। ৩০ লক্ষেরও বেশি সরকারি চাকরি খালি পড়ে রয়েছে। কারণ, নিয়োগ করা হলে সরকার বেতন দিতে পারবে না। এই অবস্থায় এই ধরনের ব্যয় কি ন্যায়সঙ্গত?

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

 
 
Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share