মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা (Coal) ব্যবসায়ী রাজু ঝা (Raju Jha)-র খুনের মামলায় প্রধান দুই সাক্ষী ব্রতীন মুখোপাধ্যায় ও আব্দুল লতিফের গাড়িচালক নুর হোসেনকে অরক্ষিত অবস্থায় ছেড়ে দেওয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, এই মামলার মূল দুই সাক্ষীকে কোনও নিরাপত্তা দেয়নি পুলিশ। জানা গিয়েছে, সোমবার রাত ন’টা নাগাদ পুলিশ সুপারের অফিস থেকে বেরিয়ে যান ব্রতীন ও নুর। বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্রের প্রশ্ন, ব্রতীন ও নুরকে কীভাবে ছেড়ে দিল পুলিশ? জেরা শেষে কেন তাঁদের হেফাজতে নিল না পুলিশ?
দুই সাক্ষীর বয়ান…
তিনি বলেন, দুই সাক্ষী আলাদা আলাদা বয়ান দিয়েছেন। এই অবস্থায় তাঁদের অরক্ষিত অবস্থায় ছাড়া হল কেন? পুলিশ কী করে জানল ওঁদের ওপর আক্রমণ হবে না? মৃত্যুঞ্জয় (BJP) বলেন, বাহাত্তর ঘণ্টা হতে চলল। এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি দলদাস পুলিশ। রাজ্য সরকারকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে জেলা পুলিশ। নাহলে খুন করে গাড়ি ফেলে খুনিরা পালিয়ে গেল কীভাবে? তাঁর প্রশ্ন, ধামাচাপা দিতেই কি সিট গঠন? প্রসঙ্গত, সোমবারই পুলিশ সুপারের দফতরে ব্রতীনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিটের সদস্যরা। নুরকেও সেখানে নিয়ে আসা হয়েছিল। নুরের দাবি, গাড়িতে ছিলেন আব্দুল লতিফ। এফআইআরেও তিনি একই দাবি করেছেন। যদিও লতিফকে তিনি চেনেন না বলেই দাবি করেছেন ব্রতীন।
আরও পড়ুুন: সাভারকার ইস্যুতে রাহুলকে নিশানা গডকড়ির, একহাত নিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশও
এদিকে, রাজু খুনে আততায়ীদের ব্যবহৃত নীল রংয়ের গাড়িটি দিল্লি থেকে চুরি করা হয়েছিল। গাড়িটির ফরেন্সিক পরীক্ষা করে একথা জানান বিশেষজ্ঞরা। গাড়িটির ইঞ্জিন ও চ্যাসি নম্বর জানতে গিয়ে তদন্তকারীরা দেখেন, সেগুলি উঘা দিয়ে ঘসে তুলে দেওয়া হয়েছে। পরে রাসায়নিক ব্যবহার করে ইঞ্জিন ও চ্যাসি নম্বর উদ্ধার করা হয়। তখনই জানা যায়, গাড়িটি গুরুগ্রাম থেকে চুরি গিয়েছিল জানুয়ারি মাসে। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে জাল নম্বর প্লেট ব্যবহার করেছিল আততায়ীরা। তদন্তকারীরা জেনেছেন, রাজু যেদিন খুন হন, সেদিন ভোরে গাড়িটি যায় ঝাড়খণ্ডে। পরে সুপারি কিলারদের নিয়ে যায় শক্তিগড়ে। ঝাড়খণ্ডের টোল প্লাজার সিসিটিভির সেই ফুটেজ এসেছে পুলিশের হাতে। ওই গাড়িতে উদ্ধার হয়েছে ২টি সেভেন এমএম পিস্তল, ১২ রাউন্ড গুলি ও বেশ কয়েকটি নম্বর প্লেট।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
Leave a Reply