মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিম বিপর্যয়ে (Sikkim Disaster) দুই সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, একজনের নাম গোপাল মান্ডি। তাঁর বাড়ি বীরভূমের ময়ূরেশ্বর থানার নান্দুলিয়া গ্রামে। আর অন্যজনের নাম বিমল ওঁরাও। তাঁর বাড়ি আলিপুরদুয়ারের মধু চা বাগান এলাকায়। এই ঘটনায় দুই জেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Sikkim Disaster)
পরিবার সূত্রে খবর, ২৯ বছর বয়সি গোপাল ২০১৪ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। গোপাল মেডিক্যাল বিভাগে কর্মরত ছিলেন। ২০২১ সালে বোলপুরের সিয়ানের বাসিন্দা মাম্পি মুর্মুর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। স্ত্রী ছাড়াও গোপালের বাড়িতে আছেন মা-বাবা, দাদা, বোন এবং স্ত্রী। তিনি জলপাইগুড়ির বিন্নাগুড়িতে পোস্টিং ছিলেন। তবে, কয়েকদিন আগে সিকিমের বাবা হরভজন সিংহ মন্দিরে ডিউটি করতে যান তিনি। সিকিমে দুর্যোগের (Sikkim Disaster) দিন মন্দির থেকে ডিউটি সেরে বিন্নাগুড়ি সেনাছাউনিতে ফিরছিলেন গোপাল। কিন্তু, আর সেনাছাউনিতে ফেরা হয়নি। কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি তাঁর। বুধবার গোপালের বাড়িতে তাঁর নিখোঁজের খবর দেওয়া হয়। তারপর থেকেই উদ্বেগে দিন কাটছিল মান্ডি পরিবারের। বিভিন্ন ভাবে খোঁজখবরের চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। আবার ওই সেনা জওয়ানের বাড়িতে ফোন আসে। তবে এ বার তাঁর মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়। তার পর থেকেই আদিবাসী অধ্যুষিত নান্দুলিয়া গ্রাম শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে।
ছেলের মঙ্গল কামনায় পুজো দেন পরিবারের লোকজন
অন্যদিকে, আলিপুরদুয়ারের মধু চা বাগানের জওয়ান বিমল ওঁরাও মাস তিনেক আগে লাদাঘ থেকে বদলি হয়ে বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনিতে কাজে যোগ দেন। কয়েকদিন আগে বিন্নাগুড়ি থেকে তাঁকে সিকিমে পাঠানো হয়েছিল। ৪০ বছর বয়সী জওয়ান বিমল ওঁরাওয়ের মৃত্যুতে শোকস্তদ্ধ ডুয়ার্সের মধু চা বাগান। ভাই কমলও সিআরপিএফ কর্মী। তিনি দাদার মৃত্যুর খবর জানতেন। ছেলের সুস্থতা কামনায় বৃহস্পতিবার সকালেও স্ত্রী তনুজা, মা বৈন্ধন ও বাবা মাঙ্গরা স্থানীয় মন্দিরে পুজোও দেন। পরে সিআরপিএফ কর্মী কমল পরিবারের সকলের কাছে আসল সত্যিটা বলে দেন। কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours