মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতদৃষ্টিতে সুস্থ–স্বাভাবিক একজন মানুষ দিব্যি কাজকর্ম করছেন, হঠাৎ করেই কোনও রকম জানান না দিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারেন। খুব দুঃখজনক হলেও এই ধরনের আকস্মিক মৃত্যুর কারণ বের করা বা এর প্রতিকার করা খুব সহজ নয়। মূলত আমাদের জীবনীশক্তির কেন্দ্রবিন্দু যে হৃদ্যন্ত্র, সেটির কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটলেই আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে। এ জন্য এই ধরনের আকস্মিক মৃত্যুকে সাডেন কার্ডিয়াক ডেথ (Sudden Cardiac Death) বলা হয়। সাডেন কার্ডিয়াক ডেথ হতে পারে যে কোনও বয়সে। এই আবহে ফিনল্যান্ডের (Finland Researchers) ট্যাম্পের ইউনিভার্সিটির গবেষকদের একটি দল একটি গবেষণা করেন এবং নতুন একটি পদ্ধতি তারা খুঁজে পেয়েছেন যেখানে হৃদস্পন্দনের বৈশিষ্ট্য দ্রুত চিহ্নিত করে সাডেন কার্ডিয়াক ডেথ রুখতে সক্ষম।
মোট ২,৭৯৪ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওপর চলেছে গবেষণা (Sudden Cardiac Death)
বিজ্ঞানের পত্রিকা সায়েন্স অ্য়ালার্টের একটি প্রতিবেদনে অনুসারে, নতুন এই অ্যালগরিদম তৈরি করা হয়েছে একটি নির্দিষ্ট মেট্রিক ব্যবহার করে। এই অ্যালগরিদমের নাম দেওয়া হয়েছে 'ডিট্রেন্ডেড ফ্লাকচুয়েশন অ্যানালিসিস'। এই পদ্ধতি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হৃদস্পন্দনের পরিবর্তনকে চিহ্নিত করতে পারবে। সাডেন কার্ডিয়াক অ্যাটাকের পরিস্থিতি তৈরি হলে আগাম জানান দেবে (Sudden Cardiac Death)। এই ফলাফল সম্প্রতি প্রকাশিত হলেও প্রায় আট বছর তিন মাস ধরে এই গবেষণা চালিয়েছেন ট্যাম্পের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষক দলটি (Finland Researchers)। মোট ২,৭৯৪ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওপর তাঁরা পরীক্ষা চালিয়েছেন।
সহজেই সাডেন কার্ডিয়াক অ্যাটাককে চিহ্নিত করা যাবে
গবেষকরা জানাচ্ছেন, এই পদ্ধতিতে খুব সহজেই সাডেন কার্ডিয়াক ডেথকে (Sudden Cardiac Death) চিহ্নিত করা যাবে। সাধারণভাবে আমাদের হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় যখন আমরা শারীরিকভাবে খুব কঠিন কাজ করি আর বিশ্রামের সময়কালে এটা কমতে থাকে। টেম্পের ইউনিভার্সিটির পদার্থবিদ টিমু পুকিলা এ বিষয়ে বলেন, ‘‘এই গবেষণার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, একজন হৃদরোগীর বিশ্রামের সময় তাঁর দুটি হার্টবিটের মাঝখানের ব্যবধানের বৈশিষ্ট্যগুলি অনেকটাই একই, একজন সুস্থ মানুষের শারীরিক পরিশ্রম করার সময় হৃদপিণ্ডের মতোই।’’ প্রসঙ্গত এই গবেষণা চালাতে এবং অ্যালগরিদমটি তৈরি করতে নানা রকম বিশ্লেষণ পদ্ধতিও ব্যবহার করা হয়েছে। মাথায় রাখা হয়েছে রোগীর বয়স এবং জন্ম থেকে তাঁর হার্টের অবস্থা। অর্থাৎ প্রত্যেকে একই রকম হার্টের সক্ষমতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন না। এই মেট্রিক ব্যবহারের মাধ্যমে এক মিনিটের মধ্যেই মূল্যায়ন করা যেতে পারে যে ব্যক্তির সাডেন কার্ডিয়াক ডেথের ঝুঁকি কতটা রয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours