মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৌদ্ধরা (Buddhist) সনাতন ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অংশ। উত্তরপ্রদেশে ‘মন্থন’ সঙ্গমে লামা গেশে চোসফেল জোৎ (Buddhist) এমনটাই জানালেন। প্রসঙ্গত সম্প্রতি সম্পন্ন হয়েছে মহাকুম্ভ। বিশ্বের বৃহত্তম ইভেন্টের সাংস্কৃতিক এবং আধ্যাত্মিক তাৎপর্য নিয়েই অর্গানাইজার এবং পাঞ্চজন্য নামের দুটি সর্বভারতীয় পত্রিকা আয়োজন করেছিল একটি সম্মেলনের। যার পোশাকি নাম ছিল মন্থন। আজ বুধবার ১২ মার্চ লখনৌয়ের তাজমহল হোটেলে এই অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়। এখানে হাজির ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এই অনুষ্ঠানেই বৌদ্ধ ধর্মকে হিন্দু ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলতে শোনা যায় লামা গেশে চোসফেলকে।
মহাকুম্ভে হাজির ছিলেন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরাও (Buddhist)
তিনি জানান যে প্রথমবার কোনও মহাকুম্ভ হল যেখানে বৌদ্ধ ধর্মের শিবিরও গড়ে উঠেছিল বিভিন্ন আখড়ার সঙ্গে। এটা ছিল একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এ নিয়ে উত্তর প্রদেশের সরকার এবং তার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন লামা। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অন্যান্য হিন্দু সংগঠনের ভূমিকাও তিনি তুলে ধরেন। নিজের বক্তব্যে লামা বলেন, ‘‘চারিদিকে একটি ভ্রান্ত ধারণা তৈরি করার চেষ্টা করছে। বলা হচ্ছে যে সনাতন ধর্ম নাকি বৌদ্ধ ধর্ম থেকে আলাদা। এটা সম্পূর্ণই ভুল।’’ তিনি আরও জানান যে ১২টি দেশ থেকে বৌদ্ধ প্রতিনিধিরা হাজির হয়েছিলেন মহাকুম্ভে এবং তাঁরা অংশগ্রহণ করেছেন এই আধ্যাত্মিক সঙ্গমে।
প্রশংসা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কাজের (Buddhist)
একই সঙ্গে তিনি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কাজেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘‘এদেশের ৫,০০০ বছরের পুরনো হিন্দু সংস্কৃতি এবং রীতিকে টিকিয়ে রেখেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদই।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘সমাজের কাজ করতে গেলে সর্ব প্রথমে যে কোনও মানুষের দরকার হয় আত্মশুদ্ধি এবং এই কাজটা করতেই ভক্তরা পবিত্র স্নান করেন। বিভিন্ন আখড়া থেকে ৩০০-র বেশি বৌদ্ধ ভিক্ষুক পবিত্র ডুব দিয়েছেন। তাঁরা একইসঙ্গে হিন্দু এবং বৌদ্ধদের এই পরম্পরা মেনে পবিত্র স্নান করেছেন।’’ সনাতন ধর্ম এবং বৌদ্ধ ধর্মের মধ্যে এক আধ্যাত্মিক যোগসূত্র তৈরি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে কী বললেন হিন্দু ধর্মগুরু?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই মন্থন (Manthan Confluence) অনুষ্ঠানে হিন্দু ধর্মের গুরু আচার্য মিথিলেশনন্দিনী স্মরণজি মহারাজ ব্যাখ্যা করেন মন্থনের ভূমিকা। তিনি বলেন, ‘‘মন্থন মানে শুধুমাত্র সমুদ্র মন্থন নয়। অসুর এবং দেবতারা মিলে সমুদ্র মন্থন করেছিলেন। কিন্তু দেবতারাই অমৃত পেয়েছিলেন। কারণ তাঁদের মধ্যে একটি শৃঙ্খলা বোধ ও আত্মশুদ্ধি ভাব কাজ করত। মহাকুম্ভকে নানাভাবে অপপ্রচার করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই অপচেষ্টা যাঁরা করেছেন প্রত্যকেই ব্যর্থ হয়েছেন। এই পবিত্র ধর্ম অনুষ্ঠান আমাদের প্রাচীন সংস্কৃতির প্রতিফলন।’’
Leave a Reply