মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পকসো (POCSO) আইনের মামলার কেস ডায়েরিতে নির্যাতিতার ছবি দিয়ে নাম লিখে দেওয়ার ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বুধবার ওই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, নাবালিকার পরিচয় প্রকাশ করে অত্যন্ত গর্হিত কাজ করেছে বিধাননগর কমিশনারেটের অন্তর্গত বাগুইআটি থানা।
সাসপেন্ডের নির্দেশ
এই মামলায় থানার আইসি ও তদন্তকারী অফিসারকে (IO) সাসপেন্ড করে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য বিধাননগরের কমিশনারকে নির্দেশও দিয়েছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে চার সপ্তাহ পরে। সেদিন বিধাননগর কমিশনারেটকে আদালতে জানাতে হবে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। এদিন আদালতের ভর্ৎসনার মুখেও পড়ে পুলিশ। বেঞ্চের (Calcutta High Court) প্রশ্ন, “যিনি নাবালিকাকে পাচারকারীদের হাত থেকে বাঁচালেন, তাঁকেই অভিযুক্ত করে গ্রেফতার করার কারণ কী? তার মানে কি ওই যুবক পাচার চক্র ভাঙতে চাইছিলেন না? পাচার চক্র যাতে চলতে পারে, পুলিশ কি সেই রাস্তা করে দিচ্ছে? কেন পুলিশ নাবালিকার গোপন জবানবন্দি দেখল না? না কি দেখেও দেখল না! সেখানে স্পষ্ট লেখা, ওই যুবক তাকে উদ্ধারে সাহায্য করেছেন।”
বিচারপতির প্রশ্ন
কেস ডায়েরিতে কীভাবে পাচার হওয়া নাবালিকার ছবি সহ পরিচয় প্রকাশ করা হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। এর পরেই বাগুইআটি থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ শান্তনু সরকার ও তদন্তকারী অফিসার বিশ্বজিৎ দাসকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেয় আদালত। প্রসঙ্গত, ৩ মার্চ বন্ধুর বাড়ি যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই নাবালিকা। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই নাবালিকার মা। পরে তিলজলা এলাকা থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুুন: মালদার ২ মহিলাকে নির্যাতন! রিপোর্ট তলব জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের
পুলিশকে সাহায্য করে ওই নাবালিকার প্রেমিক অনল সর্দার। পরে তাঁকেই অভিযুক্ত ঠাউরে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই মামলায় আদালতের (Calcutta High Court) ভর্ৎসনার মুখে পড়ে পুলিশ। অনিলকে জামিনও দিয়েছে আদালত। এদিন থানার আইসি এবং তদন্তকারী অফিসারকেও তলব করেছিল হাইকোর্ট।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours