Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Covid 19 in Bengal: ৭ দিনে সংক্রমণ বৃদ্ধি ২৬ গুণ, রাজ্যে ফের বাড়ছে করোনা! ২৪ ঘণ্টায় অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যায় দ্বিতীয় পশ্চিমবঙ্গ

    Covid 19 in Bengal: ৭ দিনে সংক্রমণ বৃদ্ধি ২৬ গুণ, রাজ্যে ফের বাড়ছে করোনা! ২৪ ঘণ্টায় অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যায় দ্বিতীয় পশ্চিমবঙ্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বাড়ছে করোনা (Covid 19 in Bengal) আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। গোটা দেশের নিরিখে দ্বিতীয়। কোভিড সংক্রমণ এড়াতে বয়স্ক ও শিশুদের সতর্ক থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

    রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি

    জুনের প্রথম দিনেই ফের লাফিয়ে বাড়ল সংক্রমণ (Covid 19 in Bengal)। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনার অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে হল ৪৪ জন। একদিনে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে পশ্চিমবঙ্গ। বাংলায় এই মুহূর্তে ৩৩১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন। ২৬ মে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২ জন। শেষ সাত দিনে এক ধাক্কায় ২৬ গুণ বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩১৯ জন।

    দেশে করোনা পরিস্থিতি

    সোমবার দেশে করোনা (Covid 19 in Bengal) রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ছুঁতে চলেছে। ২ জুন দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩,৯৬০। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত আরও ২০৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ২০৩ জন। ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩২। স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সবথেকে বেশি করোনা রোগীর খোঁজ মিলেছে দিল্লিতে। সেখানে একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ জন। তার মধ্যে নতুন করে মৃত্যু হয়েছে আরও একজনের। এর ফলে কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার। অন্যদিকে, শুধু দিল্লিতে বর্তমানে কোভিড রোগীর সংখ্যা ৪৮৩।

    কেরলে অবস্থা খারাপ

    করোনা (Covid 19 in Bengal) রোগীর সংখ্যার নিরিখে শোচনীয় কেরলের অবস্থা। সেখানে ১৪৩৫ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর খোঁজ মিলেছে। দ্বিতীয় স্থানে মহারাষ্ট্র। সেখানে ৪৮৩ জনের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এর পর করোনা রোগীর সংখ্যা দিল্লিতে ৪৮৩, বাংলায় ৩৩৮ এবং গুজরাটে ৩৩৮ জন। ৩১ মে পর্যন্ত দেশে কোভিডের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৩৯৫। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮৫ জন। ২২ মে দেশে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ছিল মাত্র ২৫৭। ২৬ মে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ১০ জন। সেই সংখ্যায় ৩১ মে পর্যন্ত বেড়ে ৩ হাজার ৩৯৫-এ পৌঁছল। তার আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহ প্রায় ১২০০ শতাংশ বেড়েছে। কর্ণাটকে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৫৩, তামিলনাডুতে ১৮৯, উত্তরপ্রদেশে ১৫৭।

    নতুন ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ

    করোনার (Covid 19 in Bengal) নতুন ঢেউয়ের মাঝেই, ভারতে খোঁজ মিলেছে এই সংক্রমণের নতুন ভ্যারিয়েন্টের। শনিবার এনবি.১.৮.১ এবং এলএফ.৭-এর চার ধরনের ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে । ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এলএফ.৭ এবং এনবি.১.৮.১ সাবভেরিয়েন্টগুলিকে ভ্যারিয়েন্ট আন্ডার মনিটরিং হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে, ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন বা ভ্যারিয়েন্ট অফ ইন্টারেস্ট হিসেবে নয়। কিন্তু চিন এবং এশিয়ার নানা জায়গায় এই ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে ইতিমধ্যে।

    সাম্প্রতিক কোভিডের লক্ষণ

    চিকিৎসকরা বলছেন, এখন কোভিড ১৯ (Covid 19 in Bengal)সংক্রমিত হয়ে যাঁরা হাসপাতালে আসছেন, তাঁদের মধ্যে ক্রমাগত কাশি , গলা ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং বমির মতো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এর সঙ্গে কারও কারও কনজাংটিভাইটিসও হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত বেশিরভাগই বাড়িতেই ওষুধ-পত্র ও বিশ্রামে সুস্থ হয়ে উঠছেন। তবে যাঁদের অন্তর্নিহিত কোনও স্বাস্থ্যগত সমস্যা রয়েছে বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের ক্ষেত্রে কোভিডের লক্ষণগুলি আরও খারাপ দিকে যেতে পারে।

    চিকিৎসকদের পরামর্শ

    চিকিৎসকদের কথায়, এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। তবে সতর্ক থাকা উচিত। তাই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা উচিত। এটি কেবল ভাইরাস (Covid 19) থেকে রক্ষা করে না বরং চারপাশের মানুষকেও নিরাপদ রাখে। বয়স্ক এবং শিশুদের এখনই মাস্ক ব্যবহার শুরু করা দরকার। বাইরে থেকে এসে হাত ধোয়া, হাত ধুয়ে খাওয়া, ইত্যাদি অভ্যাসগুলি ছাড়লে চলবে না। সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। যেখানেই যান না কেন, রেস্তোরাঁ হোক বা বাজার-দোকান, ভিড় থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখুন। এটি একটি ছোট অভ্যাস যা আপনাকে বড় সমস্যা থেকে বাঁচাতে পারে। যদি কারো কাশি, সর্দি, জ্বরের মতো লক্ষণ থাকে, তাহলে তার বাড়িতে থাকা উচিত এবং বিশ্রাম নেওয়া উচিত এবং ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।

  • Heavy Rains: ভারী বৃষ্টিতে ভয়ঙ্কর বন্যা উত্তর-পূর্ব ভারতে, মৃত ৩২, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা অমিত শাহের

    Heavy Rains: ভারী বৃষ্টিতে ভয়ঙ্কর বন্যা উত্তর-পূর্ব ভারতে, মৃত ৩২, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর বাংলাদেশ এবং মেঘালয়ে এক গভীর নিম্নচাপ দেখা দিয়েছে। যার ফলে ভারী বৃষ্টিপাত (Heavy Rains) শুরু হয়েছে। এই ভারী বৃষ্টির ফলে উত্তর-পূর্ব ভারতের পাঁচ রাজ্য অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম এবং অরুণাচল প্রদেশে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিগত ২৪ ঘণ্টায় এই ভয়ঙ্কর বন্যাতে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে অসমে ৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে বন্যার কারণে। যার মধ্যে ৫ জন মারা গিয়েছেন গুয়াহাটিতে। অন্যদিকে অরুণাচল প্রদেশের দুটি পৃথক ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এখানে ৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। বন্যা কবলিত (Devastating Floods) রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের কথা বলেছেন অমিত শাহ।

    ভয়ঙ্কর বন্যা (Heavy Rains)

    অন্যদিকে অরুণাচল প্রদেশেও বন্যার কারণে ভূমিধসে নয় জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আবার উত্তরপূর্ব ভারতের অপর রাজ্য মেঘালয় ভূমি ধস, বজ্রপাত এবং বন্যার জলে ডুবে সাত জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মিজোরাময় একটি হোটেল ধসে পড়ে। এই ঘটনায় মোট ছয় জন মারা গিয়েছেন। যাঁদের মধ্যে তিনজন মায়ানমারের নাগরিক বলে জানা গিয়েছে। নাগাল্যান্ডে জাতীয় সড়কে ভূমিধস ঘটেছে এবং সেখানে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গুয়াহাটি এবং তেজপুরে বিগত মে মাসে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে স্কুল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে সরকার। মণিপুরের প্রতিটি নদী বিপদ সীমার (Devastating Floods) উপরে বইছে বলে জানিয়েছে সরকার।

    সমাজমাধ্যমে পোস্ট অমিত শাহের

    জানা গিয়েছে, সিকিমের একটি সেনা ঘাঁটিতেও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে এবং তিন জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে (Heavy Rains) । ৬ জন সেনা সদস্য এখনও নিখোঁজ। উত্তর পূর্ব ভারত জুড়ে বৃষ্টিপাতের ফলে এই ভয়ঙ্কর বন্যার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যে ভারতীয় সেনা, অসম রাইফেলস ও  মণিপুর ফায়ার সার্ভিস বন্যা অধ্যুষিত জেলাগুলিতে অভিযান শুরু করেছে। বিগত তিন দিনে এখনও পর্যন্ত দেড় হাজার জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে, এই বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে নিজের সমাজ মাধ্যমে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লিখেছেন যে নরেন্দ্র মোদি সরকার উত্তর-পূর্ব ভারতের জনগণের সঙ্গে পাথরের ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।

  • Wazahat Khan: হিন্দু দেবদেবীকে নিয়ে ভুরিভুরি কুমন্তব্য শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে এফআইআর করা যুবকের, চুপ মমতার পুলিশ!

    Wazahat Khan: হিন্দু দেবদেবীকে নিয়ে ভুরিভুরি কুমন্তব্য শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে এফআইআর করা যুবকের, চুপ মমতার পুলিশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলাম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ উজিয়ে গিয়ে আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করে নিয়ে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন পোস্টও। তার (Anti Hindu) পরেও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করেছে কলকাতা পুলিশ। অথচ, ওয়াজাহাত খান (Wazahat Khan) নামে কলকাতার এক উগ্র মুসলমান সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু দেবদেবীদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষণও দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও কলকাতা পুলিশ এখনও তাঁকে গ্রেফতার করেনি।

    ওয়াজাহাত খানের কীর্তি (Wazahat Khan)

    এই ওয়াজাহাত খানই অভিযুক্ত আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলির বিরুদ্ধে প্রথম এফআইআরটি দায়ের করেছিলেন। কলকাতার রাশিদি ফাউন্ডেশন পরিচালনাকারী ওই ব্যক্তির দাবি, তিনি গুরগাঁও থেকে প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার দূরে থেকেও ওই হিন্দু তরুণীর গ্রেফতারি নিশ্চিত করেছেন। প্রসঙ্গত, সেশ্যাল মিডিয়ায় ওই পোস্টের পরেই শর্মিষ্ঠাকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। গ্রেফতার করার পর জামিনের আবেদন করেন শর্মিষ্ঠা। তবে জামিনের আবেদন খারিজ করে তাঁকে দু’সপ্তাহের জন্য পাঠানো হয় বিচার বিভাগীয় হেফাজতে। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই কিছু মুসলমান যুবককে নিয়ে শর্মিষ্ঠার গ্রেফতারি উদযাপন করতে দেখা যায় ওয়াজাহাতকে।

    কামাখ্যা মন্দির নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য

    অসমের কামাখ্যা মন্দির নিয়ে আপত্তিকর এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন তিনি। ট্যুইটবার্তায় তিনি লেখেন, “কামাখ্যা দেবী মন্দিরে ব্রাহ্মণ পুজো করেন যোনির। এটা অন্ধ ভক্তি নাকি মানসিক সমস্যা, তা বোঝা মুসকিল। অসুস্থ লোকজন। সৌভাগ্যের আশায় ভারতীয় হিন্দুরা নারীর যৌনাঙ্গ পূজা করে।” কুরুচিপূর্ণ এমন মন্তব্য করার পর ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও জানান অনেকে। তার পরেও তিনি রয়েছেন বহাল তবিয়তে।

    কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ধর্মীয় বিশ্বাস বা প্রতীকের বিরুদ্ধে এ ধরনের মন্তব্য ভারতের আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ইতিমধ্যেই কয়েকটি হিন্দু সংগঠন এবং সাইবার ভলান্টিয়ার বিষয়টি রিপোর্ট করেছেন ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম পোর্টালে। তাঁরা জানান, বাকস্বাধীনতার নামে এ ধরনের অবমাননাকর মন্তব্য বরদাস্ত করা যায় না। জানা গিয়েছে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। যদিও তার লক্ষ্য ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা এবং হিন্দু-মুসলিম এই দুই ধর্মের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টি করা। ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে দু’টি অভিযোগ দায়ের করা হলেও, এখনও পর্যন্ত (Wazahat Khan) কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। বিজেপির এক নেতা সংবাদমাধ্যমে বলেন, “শুধু সনাতনীদের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করা হয়। এখানে সবাই সনাতন ধর্মকে গালাগালি (Anti Hindu) দেওয়ার লাইসেন্স পেয়ে গিয়েছে। এটি তোষণমূলক রাজনীতির উদাহরণ।”

    ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

    এদিকে নেটিজেনরা ওয়াজাহাতের সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্টগুলি পরীক্ষা করে দেখেন, যে হজরত মহম্মদ ও ইসলামের বিরুদ্ধে তথাকথিত অবমাননা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছিল, সে নিয়মিত হিন্দুধর্ম ও হিন্দু দেব-দেবীদের প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করে। তার বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বিভিন্ন হিন্দু দেবতার প্রতি অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, যার অনেকগুলি সে পরবর্তীকালে মুছে ফেলেছে। এই অবমাননাকর পোস্টগুলির উল্লেখ করে অ্যাডভোকেট বিনীত জিন্দাল দিল্লি পুলিশ ও দিল্লি পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি তার বিরুদ্ধে বিএনএসের ধারা ১৯৪, ১৯৫, ৩৫৬ এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ধারা ৬৬, ৬৭ ও ৬৯ অনুযায়ী এফআইআর নথিভুক্ত করার অনুরোধ জানান। ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে দিল্লিতে। দিল্লির সাকেত পুলিশের সাইবার ক্রাইমে এই অভিযোগ দায়ের করেছেন (Wazahat Khan) আইনজীবী অমিতা সচদেবা।

    আইনজীবীদের অভিযোগ

    দিল্লির দুই আইনজীবী ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তৃতীয় অভিযোগটি দায়ের করা হয়েছে অসমের গুয়াহাটিতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু দেবদেবীদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার কারণেই দায়ের হয়েছে এই অভিযোগও। জানা গিয়েছে, এই অভিযোগটি দায়ের করেছেন ভয়েস অফ অসম নামের এক্স হ্যান্ডেলের অ্যাকাউন্টের পরিচালনাকারী তথা হিন্দু আইটি সেলের নেতা শান্তনু শইকিয়া। অভিযোগটি দায়ের হয়েছে ১ জুন গুয়াহাটির পানবাজার থানার সাইবার ক্রাইম শাখায় (Anti Hindu)। অভিযোগে বলা হয়েছে, ওয়াজাহাত খান কাদরী রাশিদি তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে গুয়াহাটির কামাখ্যা মন্দিরের দেবী সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেছে। ভক্তদের “মানসিকভাবে বিকৃত” বলে অপমানও করেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, “তার প্রকাশ্য টুইটার হ্যান্ডেলে রাশিদি ওয়াজাহাতে কামাখ্যা দেবী মন্দিরের পবিত্র ঐতিহ্যকে ব্যঙ্গ ও অবমাননা করে একটি পোস্ট শেয়ার করেছে, যেখানে শক্তিপীঠকে ‘কাটা যোনি’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং উপাসকদের মানসিকভাবে অসুস্থ বলে অভিহিত করা হয়েছে। সে আরও বেশ কয়েকটি টুইটে হিন্দুদের ব্যঙ্গ করেছেন। এই ধরনের ভাষা শুধু অশ্লীল ও অসম্মানজনক নয়, বরং ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা, বিদ্বেষ ছড়ানো এবং সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্টি করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে (Wazahat Khan)।”

    শর্মিষ্ঠার পাশে বার কাউন্সিলও

    অভিযোগকারীরা এফআইআর দায়ের এবং হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন, যাতে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয় (Anti Hindu)। এর আগে শর্মিষ্ঠার পাশে দাঁড়িয়েছেন অভিনেতা-রাজনীতিবিদ পবণ কল্যাণ, কঙ্গনা রানাউতরা। এবার রীতিমতো বিবৃতি জারি করে ধৃত শর্মিষ্ঠাকে সমর্থন করলেন বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান তথা রাজ্যসভার সাংসদ মননকুমার মিশ্র। তাঁর মতে, এই গ্রেফতারি দুর্ভাগ্যজনক, মত প্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘন। বিবৃতিতে মনন লিখেছেন, “সব রকমভাবে শর্মিষ্ঠার পাশে আছি। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওটি সঙ্গে সঙ্গে ডিলিট করে দিয়েছিলেন, এমনকী ক্ষমাও চেয়েছিলেন। তার জন্য গ্রেফতার ও জেল হেফাজত ন্যায়বিচারের ব্যর্থতা। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর নির্লজ্জ আক্রমণ।”

    কী বলছেন চেয়ারম্যান?

    পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও কলকাতা পুলিশের দিকে সরাসরি আঙুল তুলেছেন তিনি। মননের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়কে বেছে বেছে টার্গেট করা হচ্ছে। উপেক্ষা করা হচ্ছে অন্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সব অপরাধ। তাঁদের বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে (Wazahat Khan)। নন্দীগ্রামের হিংসা, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ও সাম্প্রতিককালে মুর্শিদাবাদের হিংসায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মনন। তাঁর অভিযোগ, প্রায় সব ক্ষেত্রেই হয় রাজ্য জড়িত ছিল, নয়তো নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিল (Anti Hindu)। তিনি অবিলম্বে শর্মিষ্ঠার মুক্তি দাবি করেছেন।

    কেবল দেশেই নয়, বিদেশ থেকেও সমর্থন পেয়েছেন শর্মিষ্ঠা। তাঁকে সমর্থন করেছেন ডাচ সাংসদ গ্রিট ওয়াইল্ডার্স। তিনি লিখেছেন, “সাহসী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে মুক্তি দিন! তাঁকে গ্রেফতার করা বাক স্বাধীনতার জন্য লজ্জাজনক। পাকিস্তান এবং মহম্মদ সম্পর্কে সত্য বলার জন্য তাঁকে শাস্তি দেবেন না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওঁকে সাহায্য করুন।” শর্মিষ্ঠার একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, “অল আইজ অন শর্মিষ্ঠা (Wazahat Khan)।”

  • Operation Spiderweb: ‘স্পাইডার ওয়েব’-এর ধাঁচে ভারতে হামলার ছক ছিল জঙ্গিদের! শক্ত হাতে রুখে দেয় এনআইএ

    Operation Spiderweb: ‘স্পাইডার ওয়েব’-এর ধাঁচে ভারতে হামলার ছক ছিল জঙ্গিদের! শক্ত হাতে রুখে দেয় এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন মাকড়সার জাল’! সাঙ্কেতিক নাম এটাই। অভিযানের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল আজ থেকে ঠিক এক বছর ছ’মাস আগে। তার পর থেকে দেড় বছর ধরে চলেছিল প্রস্তুতি। রবিবার রাশিয়ার ইরকুটস্ক অঞ্চলের স্রেডনি জনবসতির কাছে অবস্থিত ওলেনিয়া বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে বড়সড় ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। নিশানায় ছিল আরও তিনটি বিমানঘাঁটি। ঠিক এক বছর আগে ভারতেও অনুরূপ হামলার (Operation Spiderweb)পরিকল্পনা করেছিল ইসলামিক স্টেট। গত বছর, ভারতের মহারাষ্ট্রের প্যাডঘা গ্রামে আইসিসের একটি ঘাঁটি আবিষ্কৃত হয়েছিল, যেখানে ৪৪টি ড্রোন, বিস্ফোরক, অস্ত্র এবং বিভিন্ন নথি পাওয়া গিয়েছিল। এই ড্রোনগুলো মুম্বইয়ে হামলার পরিকল্পনা করে রাখা হয়েছিল। জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা এনআইএ-র তৎপরতায় এই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। গোয়েন্দাদের দাবি, এই ছক কষতে আইএস-কে সাহায্য করেছিল পাকিস্তান।

    রাশিয়ায় ইউক্রেনের হামলা

    রাশিয়ার একের পর এক বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে রবিবার ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্পাইডার ওয়েব’ (Operation Spiderweb), অর্থাৎ ‘মাকড়সার জাল’! ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে ৪০টিরও বেশি রুশ সামরিক বিমান। বেছে বেছে সামরিক বিমানগুলি লক্ষ্য করে নিখুঁত হামলা চালানো হয়েছে। ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা (এসবিইউ)-এর দাবি, ধ্বংস হয়ে যাওয়া বিমানগুলির মধ্যে ছিল টিইউ-৯৫ এবং টিইউ-২২। দু’টিই যুদ্ধে ব্যবহৃত বোমারু বিমান, যা সাধারণত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। হামলাকারী ড্রোনগুলিকে আগে থেকেই ট্রাকে করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল রাশিয়ার ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে। পরে দূর থেকে রিমোট নিয়ন্ত্রিত হামলা চালানো হয়। এ জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন ১১৭টি ড্রোন। আগে থেকেই ট্রাকে করে রাশিয়ায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিস্ফোরকবোঝাই ড্রোনগুলি। যাতে কারও নজরে না পড়ে, সে জন্য ড্রোনগুলিকে বোঝাই করে রাখা হয়েছিল সারি সারি কাঠের বাক্সে। প্রতিটি বাক্সে কাঠের ঢাকনার বদলে ছিল ধাতব প্লেট। পরিকল্পনামাফিক ট্রাকগুলিকে রাশিয়ার চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটির কাছাকাছি নির্দিষ্ট জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর পর সময়মতো রিমোটের সাহায্যে দূর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ধাতব প্লেটের আবরণ। কাজ শুরু করে দেয় ১১৭টি কোয়াড্রোকপ্টার ড্রোন।

    ভারতেও স্পাইডার-ওয়েব ধাঁচে হামলার ছক!

    গত বছর, ২০২৪ সালের জুন মাসেই মুম্বইয়ে এরকম হামলার ছক কষেছিল ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন আইসিস। মহারাষ্ট্রের গ্রামে মজুত করা হয়েছিল ড্রোন। আইএসআইএস-কে এই কাজে পরোক্ষে সাহায্য করেছিল পাক গুপ্তচর (India Pakistan) সংস্থা আইএসআই। ভারতের যে কোনও প্রান্তে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার আশঙ্কার খবর পেয়েই তখন সক্রিয় হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। মহারাষ্ট্রের প্যাডঘা গ্রামে আইএসআইএসের একটি ঘাঁটি খুঁজে পায় তারা। জানা যায়, ওই এলাকার ত্রাস হয়ে উঠেছিল শাকিব নাচান নামে এক জঙ্গি। ওই গ্রামের নাম পাল্টে ‘আল-শাম’ করে দিয়েছিল নাচান। এমনকি, নিজেকে ওই অঞ্চলের শাসক হিসেবে ঘোষণা পর্যন্তকরে দিয়েছিল। স্থানীয় যুবকদের ব্রেনওয়াশ করে আইসিসের আদর্শ তাদের মধ্য ঢুকিয়ে নাশকতা হামলার জন্য প্রস্তুত করছিল। যুবকদের আইইডি বিস্ফোরণে পারদর্শী করা হচ্ছিল।

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এখানে ৪৪টি ড্রোন, বিস্ফোরক, অস্ত্র এবং বিভিন্ন নথি পাওয়া গিয়েছিল। এই ড্রোনগুলো মুম্বইয়ে হামলার পরিকল্পনা করেছিল। বড় জঙ্গি হামলার সম্ভাবনা ছিল দিল্লি, ও গোয়াতেও। নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জঙ্গিদের এই পরিকল্পনা জানতে পেরেছিলেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। সতর্কতা জারি হয় দিল্লি, মুম্বই গোয়া, দেশের এই তিন এলাকায়। ভারতীয় গোয়েন্দারা সেই সময় ইন্টারনেটে জঙ্গিদের কথোপকথনে আড়ি পাতে। সেখান থেকেই নানা তথ্য মেলে। গোয়েন্দাদের চেষ্টায় ব্যর্থ হয় জঙ্গিদের পরিকল্পনা। নাচান সহ ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে জেলে রয়েছে তারা।

    পাকিস্তানের চেষ্টা বানচালে সক্রিয় ভারত

    কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, পাকিস্তান (India Pakistan) ইতিমধ্যেই চিন থেকে উন্নতমানের ড্রোন সংগ্রহ করেছে। যা অস্ত্র ও মাদক পাচারের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। এই ড্রোনগুলো ৮০০ মিটার উচ্চতায় উড়তে সক্ষম এবং ১৫-২০ কিলোমিটার দূরত্বে লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছতে পারে। এগুলি ব্যবহার করে আইএসআইএসের মতো গোষ্ঠীগুলো ভারতের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা ইতিমধ্যে এই ধরনের হামলার সতর্কবার্তা দিয়েছে। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, আধুনিক ড্রোন প্রযুক্তির দ্রুত উন্নতি এবং সহজলভ্যতার কারণে, এই ধরনের হামলা প্রতিরোধে আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে। ড্রোন প্রযুক্তি যুদ্ধের ধরন পরিবর্তন করছে, এবং এটি শুধুমাত্র রাষ্ট্র নয়, বরং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর জন্যও একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠছে।

     

     

     

  • Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরের পর থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে ২ হাজারেরও বেশি অবৈধ বাংলাদেশিকে

    Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরের পর থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে ২ হাজারেরও বেশি অবৈধ বাংলাদেশিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৭ মে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর থেকে ২০০০-এরও বেশি অবৈধ বাংলাদেশিকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে এমনটাই খবর প্রকাশিত হয়েছে এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, একই সময়ে যারা অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করতে চেয়েছিল, তারাও ফিরে গিয়েছে বাংলাদেশে। অর্থাৎ বাংলাদেশি তাড়াও অভিযান অনুপ্রবেশের চেষ্টাকেও বড়সড় ধাক্কা দিতে পেরেছে। ওই সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং অসম-এই রাজ্যগুলি লাগোয়া যে বাংলাদেশে সীমান্ত রয়েছে, সেখানে কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে (Bangladeshi Illegal Immigrant)।

    পহেলগাঁও হামলার পরেই শুরু হয় ব্যাপক অভিযান (Operation Sindoor)

    প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পরেই অভিযানে নামে গুজরাট পুলিশ। পহেলগাঁও হামলার দিন কয়েক পরেই গুজরাট থেকে ৫৫০ জনের বেশি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে আটক করে পুলিশ। ভারতে থাকার কোনও বৈধ নথি না দেখাতে পারার কারণে তাদেরকে আহমেদাবাদ এবং সুরাট থেকে আটক করে গুজরাট পুলিশ। একইসঙ্গে দিল্লি এবং হরিয়ানাতেও বিপুলসংখ্যক অবৈধ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে খবর। দুদিন আগেই রাজধানী দিল্লিতে আরও ৩৮ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে আটক করা হয়েছে। দিল্লিতে বসতি স্থাপনের আগে এই বাংলাদেশিরা হরিয়ানার নুহ এবং বিহারে থাকত বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, রাজস্থান থেকে অবৈধ বাংলাদেশিদের আটক করার খবরও সামনে এসেছে। প্রসঙ্গত এ নিয়ে এক উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক বলেন, ‘‘এই অবৈধ বাংলাদেশি চিহ্নিত করে পুনরায় তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছেই। সাধারণভাবে যে সমস্ত রাজ্যে অর্থনৈতিকভাবে কর্মকাণ্ড বেশ ভালো (Bangladeshi Illegal Immigrant)। সেখানেই নথিপত্র যাচাইয়ের পর এই ধরনের অবৈধ বাংলাদেশিদের ধরা হচ্ছে। গত এপ্রিল মাসে পহেলগাঁও হামলার পরেই এই প্রক্রিয়া ব্যাপকভাবে শুরু করা হয়।

    বায়ুসেনার বিমানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিএসএফ ক্যাম্পে

    অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পরে তা আরও গতি পেয়েছে অপারেশন সিঁদুরের পরে অভিযান প্রথম চালানো হয় গুজরাটে। বাকি আরও অন্যান্য রাজ্যগুলিতে খুব শীঘ্রই শুরু হবে অভিযান।’’ জানা যাচ্ছে, এই সমস্ত অবৈধ বাংলাদেশিদের বিভিন্ন স্থান থেকে তুলে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সীমান্তে বিএসএফের অস্থায়ী ক্যাম্পে তাদেরকে রাখা হচ্ছে। পরে তাদেরকে হস্তান্তর করা হচ্ছে। প্রয়োজন অনুসারে, তাদেরকে খাবার এবং কিছু বাংলাদেশি (Bangladeshi Illegal Immigrant) মুদ্রাও সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে।

    আটক হওয়ার ভয়ে অনেকে আবার স্বেচ্ছায় ভারত ছাড়ছে

    ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং অসমের সীমান্তে সংঘটিত- এই অভিযান নিয়ে সরকারি একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘‘বেশ কিছু ধারণা রয়েছে যে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকেই বেছে নেওয়া হচ্ছে অবৈধ বাংলাদেশিদের চিহ্ণিত ও বিতাড়িত করতে। কিন্তু তা একেবারেই সত্য নয়। মেঘালয়ে বিজেপি সে অর্থে একটি ছোট শক্তি। এই রাজ্যকেও বেছে নেওয়া হয়েছে।’’ আরও একজন সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যমে ব্যাপকভাবে বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো অভিযানের খবর সামনে এসেছে। এর ফলে ভারতের অন্যান্য রাজ্যে (Operation Sindoor) যে সমস্ত অবৈধ বাংলাদেশি রয়েছে, তারা আটক হওয়ার ভয়ে স্বেচ্ছাতেই দেশ ছেড়ে যাচ্ছে।

    আটক হওয়ার পরে বাংলাদেশিদের সীমান্ত থেকে ফেরত নিচ্ছে তাদের আত্মীয়রা

    এক সরকারি আধিকারিক এ নিয়ে বলেন, ‘‘যে সমস্ত অবৈধ বাংলাদেশিদের আটক করা হচ্ছে, তাদের বেশিরভাগই বিরোধিতা করছে না। তারা নিজেদের দেশে ফেরত যেতে ইচ্ছুক। আটক হওয়ার পরে তাদেরকে সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানেই তারা নিজেদের আত্মীয়-স্বজনদেরকে ফোন করছে। তাদের আত্মীয়-স্বজনরা তাদেরকে সেখানে নিতে আসছে। অবৈধ বাংলাদেশিরা জানে, এভাবে যদি তারা না যায় তাহলে সেক্ষেত্রে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হবে। বেশির ভাগই দরিদ্র শ্রমিক রয়েছে। যাদের আইনি লড়াই করার কোনও উপায় নেই। তাই তারা নিজেদের পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পছন্দ করছে।

    ফের ফেরত আসতে পারে এই অবৈধ বাংলাদেশিরা (Bangladeshi Illegal Immigrant)

    বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এমনিতেই রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে ফের একবার অস্থিরতা শুরু হয়ে যেতে পারে যদি এই বিপুল সংখ্যক অবৈধ নাগরিক প্রতি সপ্তাহেই সে দেশে ফিরে যায়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অবৈধ বাংলাদেশিদের এভাবে ফেরত পাঠানোটা হচ্ছে অস্থায়ী সমাধান। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, পরবর্তীকালে এই অনুপ্রবেশকারীদের ফের ভারতে ফিরে আসার সম্ভাবনাও থেকে যাচ্ছে। সে কারণেই এই অবৈধ বাংলাদেশিদের বায়োমেট্রিক ছাপ নেওয়ার দিকেই সরকার নজর দিয়েছে। যাতে এদের প্রকৃত তথ্য সরকারের কাছে থাকে।

  • Sharmistha Panoli Arrest: শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতারির ঘটনায় ক্ষুব্ধ ডাচ সাংসদ, আবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে

    Sharmistha Panoli Arrest: শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতারির ঘটনায় ক্ষুব্ধ ডাচ সাংসদ, আবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে গুরুগ্রাম থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার শর্মিষ্ঠা পালোনিকে (Sharmistha Panoli Arrest) গ্রেফতার করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। বছর বাইশের শর্মিষ্ঠা পুণের আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। এবার এই শর্মিষ্ঠার সমর্থনেই সরব হলেন নেদারল্যান্ডসের রাজনীতিবিদ (Dutch MP) গির্ট উইল্ডার্স।

    মোদির কাছে আবেদন (Sharmistha Panoli Arrest)

    ডাচ সাংসদ তথা দক্ষিণপন্থী পার্টি ফর ফ্রিডমের নেতা উইল্ডার্স প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আবেদন করেন যাতে শর্মিষ্ঠাকে মুক্তি দেওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “সাহসী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে মুক্ত করুন। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা বাকস্বাধীনতার পক্ষে লজ্জাজনক। পাকিস্তান ও হজরত মহম্মদ সম্পর্কে সত্য বলার জন্য তাকে শাস্তি দেবেন না। তাঁকে সাহায্য করুন নরেন্দ্র মোদি। শর্মিষ্ঠার একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, অল আইজ অন শর্মিষ্ঠা (সবার নজর শর্মিষ্ঠার দিকেই)।প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুর দিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন শর্মিষ্ঠা। সেই ভিডিওয় এমন কোনও মন্তব্য করেছিলেন যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অনলাইনে তুমুল ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। বিতর্কের জেরে ভিডিওটি ডিলিট করে দেন শর্মিষ্ঠা। চেয়ে নেন ক্ষমাও।

    অতি সক্রিয় পুলিশ

    নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া এবং ভিডিওটি সরিয়ে নেওয়া সত্ত্বেও, এফআইআর দায়েরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ গুরুগ্রামে গিয়ে গ্রেফতারের জন্য এবং তাদের পদক্ষেপের জন্য বিজেপি মমতার পুলিশের তীব্র সমালোচনা করেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি উসকানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।

    বিজেপির নিশানায় মমতার সরকার

    বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “মাত্র বাইশ বছর বয়সী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে গ্রেফতার করে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। কারণ তিনি ১৫ মে একটি ভিডিও মুছে ফেলেছিলেন এবং প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। তাঁর মন্তব্যের সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার কোনও খবর মেলেনি। তবুও কলকাতা পুলিশ অস্বাভাবিকভাবে তাড়াহুড়ো করে কাজ করছে। এটি আর আইনশৃঙ্খলার বিষয় নয় – এটি নির্বাচনী প্রয়োগের বিষয়।” তিনি আরও লেখেন (Sharmistha Panoli Arrest), “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক বেশি বিভেদমূলক বক্তব্য দিয়েছেন, যার সুদূরপ্রসারী পরিণতি হয়েছে, যার মধ্যে একাধিকবার মর্মান্তিক প্রাণহানি এবং সম্পত্তি ধ্বংস রয়েছে” এমন অভিযোগ করে মালব্য বলেন, “আইন কি তাঁর ওপর একই তাগিদের সঙ্গে প্রয়োগ করা হবে?” তিনি লেখেন, “ভারত দেখছে। এটি কেবল পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা নয় – এটি প্রতিফলিত করে যে কীভাবে একজন তরুণী হিন্দু মহিলাকে ভোটব্যাঙ্ক তুষ্ট করার জন্য টার্গেটে পরিণত করা হচ্ছে। ন্যায়বিচার রাজনৈতিকভাবে সুবিধাজনক হওয়া উচিত (Dutch MP)।”

    জনকল্যাণ সেনার বক্তব্য

    জনকল্যাণ সেনা নেতা পবন কল্যাণ বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের সময় শর্মিষ্ঠা, যিনি একজন আইন শিক্ষার্থী, কিছু কথা বলেছিলেন যা কিছু মানুষের কাছে দুঃখজনক ও আঘাতজনক ছিল। তিনি নিজের ভুল স্বীকার করেন, ভিডিওটি মুছে ফেলেন এবং ক্ষমাও চান। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছিল এবং শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল। কিন্তু যখন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা, সনাতন ধর্মকে উপহাস করেন, তখন কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে যে গভীর ও জ্বলন্ত ক্ষত সৃষ্টি হয়, তার দায় কে নেবে? তখন সেই ক্ষোভ কোথায় যায়, যখন আমাদের বিশ্বাসকে বলা হয় ‘গন্ধ ধর্ম’? তখন কারা ক্ষমা চায়? তখন দ্রুত গ্রেফতারি কোথায় (Sharmistha Panoli Arrest)?”

    শুভেন্দুর বক্তব্য

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ডব্লিউবিপিএসের ডিজি যখন অনুব্রত মণ্ডল আপনার অধস্তন কর্মকর্তার স্ত্রী ও মাকে ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছেন, তখন আপনি কোথায় আপনার মেরুদণ্ড বন্ধ করে রেখেছেন? আমি সকলকে আশ্বস্ত করতে চাই যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবীরা শর্মিষ্ঠার মামলাটি গ্রহণ করছেন এবং তাকে সর্বোত্তম আইনি প্রতিরক্ষা প্রদান করা হবে, এবং আমি আশা করি যে তিনি জঘন্য ও দুষ্ট মমতা পুলিশের খপ্পর থেকে মুক্ত হবেন (Dutch MP)।”

  • Kolkata Police: পাক জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে গ্রেফতার ছাত্রী, হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হলে কোথায় থাকেন মমতা?

    Kolkata Police: পাক জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে গ্রেফতার ছাত্রী, হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হলে কোথায় থাকেন মমতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তার জেরে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় (Kolkata Police)। দেওয়া হয় ধর্ষণের হুমকিও। তার আগেই অবশ্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন তিনি (Bengal govt)। ডিলিট করে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টও। তার পরেও কলকাতা থেকে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার উজিয়ে গিয়ে গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে আনা হয় আইনের এক ছাত্রীকে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে গিয়ে শর্মিষ্ঠা নামের ওই ছাত্রীকে গ্রেফতার করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার বলে অভিহিত করেন।

    দেশপ্রেমিক তরুণীকে গ্রেফতার (Kolkata Police)

    সেই তিনিই একটি পাকিস্তানি ট্রোলকে উদ্দেশ করে ভিডিও বানানো এক দেশপ্রেমিক তরুণীকে গ্রেফতার করতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করলেন। শর্মিষ্ঠার একমাত্র ‘অপরাধ’, তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের পাল্টা প্রতিক্রিয়াকে সমর্থন করেছিলেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তান এমন একটি দেশ, যা জেহাদিদের সমর্থন করে। তারা অমুসলিম ‘কাফের’দের হত্যা করে — এটি একপ্রকার ওপেন সিক্রেট। যদিও তার ভিডিওতে গালিগালাজ ও উত্তেজিত ভাষা ছিল, তা ছিল মূলত পাকিস্তানি ট্রোলদের বিরুদ্ধে, যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছিল এবং পহেলগাঁও হামলার ধর্মীয় উদ্দেশ্য অস্বীকার করছিল। শর্মিষ্ঠা ওই পাকিস্তানি ট্রোলকে কটাক্ষ করেন এবং ইসলামিক ৭২ হুর ও তাদের নবীকে নিয়ে সমালোচনা করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয় ইসলামপন্থীদের একটা বড় অংশ।

    শর্মিষ্ঠার প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক

    পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর গোটা দেশ যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল, শর্মিষ্ঠার প্রতিক্রিয়া ছিল তারই স্বাভাবিক বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানি এক ট্রোলের প্রতি এই প্রতিক্রিয়াই ভারতে অপরাধ হিসেবে গণ্য হচ্ছে। বিরোধীদের দাবি, কলকাতা পুলিশের এই পদক্ষেপ আশ্চর্যজনক নয় (Kolkata Police)। কারণ মমতা সরকার ইসলামপন্থীদের খুশি করতেই সব সময় ব্যস্ত থাকে। বর্তমান ঘটনাটি মমতা সরকারের স্পষ্ট দ্বিচারিতার আর একটি উদাহরণ, যেখানে তারা নিজেদের রাজ্যেই ইসলামপন্থী দাঙ্গাবাজদের দ্বারা নিপীড়িত হিন্দুদের দুরবস্থার প্রতি চোখ বুজে থাকে। তাঁদের মতে, গোটা দেশ দেখেছে কীভাবে পশ্চিমবঙ্গের মমতা সরকারের অধীনে মুর্শিদাবাদ ও সন্দেশখালিতে হিন্দুদের ইসলামপন্থী দাঙ্গাকারীদের হাত থেকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং তাদের অত্যাচার একেবারে সরকারের নাকের ডগায় ঘটে চলেছে। মুসলিম-প্রধান মুর্শিদাবাদ জেলায় ১১ই এপ্রিল ‘ওয়াক্‌ফ (সংশোধন) আইন’-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আড়ালে ব্যাপক হিংসা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটে।

    জলের ট্যাংকে বিষ

    বহু হিন্দু পরিবার তাদের ঘরবাড়ি ও জীবিকা হারিয়েছে। তাদের জলের ট্যাংকে বিষ মেশানো হয়েছে, এবং ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। হিন্দু মহিলাদের বলা হয়েছিল, তারা যেন নিজেদের ইজ্জত বিসর্জন দিয়ে স্বামী-সন্তানের জীবন রক্ষা করে (Bengal govt)। ইসলামপন্থীরা হিন্দু নারীদের বলেছিল, নিজেদের ধর্ষিত হতে দাও, তবেই পরিবার বাঁচবে। তাদের সিঁদুর মুছে ফেলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতেও বাধ্য করা হয়েছিল বলে অভিযোগ (Kolkata Police)। গত বছর সন্দেশখালিতেও হিন্দু নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছিল। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক প্রতিবাদ হয়। এর নেতৃত্বে ছিলেন মূলত নারীরা। এই মহিলারা তৃণমূল নেতা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহচর শেখ শাহজাহান ও তার ঘনিষ্ঠ দুই কর্মী — শিব প্রসাদ হাজরা ও উত্তম সরদারের গ্রেফতারের দাবি জানান।

    নিপীড়নের প্রতিবাদ

    সেদিন সন্দেশখালির শত শত মহিলা ঝাঁটা, লাঠি ও কৃষিকাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি হাতে পথে নামেন। অবরোধ করেন সড়ক। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ওই অঞ্চলের বিবাহিত হিন্দু নারীদের বয়স ও সৌন্দর্যের ভিত্তিতে তুলে নেওয়া হত। রাতে তাদের ওপর যৌন নিপীড়ন চালানো হয়। এই মহিলাদের স্বামীদের হুমকি দেওয়া হয়। বলা হয়, তাদের স্ত্রীর ওপর তাদের কোনও ‘অধিকার’ নেই। যদি তারা মহিলাদের ওপর হওয়া এই নিপীড়নের প্রতিবাদ করার চেষ্টা করে, তাহলে তাদের (Bengal govt) নির্মমভাবে মারধর করা হয় (Kolkata Police)।

    প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ যে দ্রুততায় শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করেছে, সেই তৎপরতা একেবারেই দেখা যায়নি যখন রাজ্যের হিন্দু জনগণ ইসলামপন্থী দাঙ্গাকারীদের হাতে নির্মম নির্যাতন ও লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছিল। মুসলিম অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যিনি নিজেও একজন মহিলা, হিন্দু নারীদের ওপর হওয়া যৌন নিপীড়নের ঘটনাকে ‘তুচ্ছ ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই নিষ্ক্রিয়তা দেখে কলকাতা হাইকোর্ট এই ঘটনার তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে (Bengal govt) তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে (Kolkata Police)।

     

  • Operation Sindoor: সামরিক দিক ছাড়াও অপারেশন সিঁদুরের রয়েছে ৩ অসামরিক সাফল্য, জানুন বিস্তারিত

    Operation Sindoor: সামরিক দিক ছাড়াও অপারেশন সিঁদুরের রয়েছে ৩ অসামরিক সাফল্য, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২২ এপ্রিলের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে পহেলগাঁওয়ে। বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করা হয়। এর পরেই অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) প্রয়োগ করে ভারত সরকার। ৭ মে অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে বিশ্বের সামরিক মানচিত্রে ভারত যেমন এক নতুন স্থান দখল করেছে একইভাবে অসামরিক ক্ষেত্রেও অত্যন্ত তাৎপর্য রয়েছে এই অভিযানের।

    ঐক্যবদ্ধ ভারত দেখা গিয়েছে মোদি জমানায় (Operation Sindoor)

    পহেলগাঁও হামলা এবং তার পরবর্তী অপারেশন সিঁদুর, এই আবহে সারাদেশে এক অভূতপূর্ব ঐক্য এবং সংহতি তৈরি করতে পেরেছে মোদি সরকার। শুধুমাত্র দেশের ভৌগলিক সীমানাতেই নয়, দেশের বাইরেও প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে ঐক্য দেখা দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গোটা ভারত এক এই বার্তা পৌঁছানো গিয়েছে। জনগণ রাস্তায় নেমেছেন। তাঁরা তেরঙ্গা পতাকা হাতে পদযাত্রা করেছেন। পাকিস্তান ও ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাঁরা সোচ্চার হয়েছেন।

    চুপ থাকত কংগ্রেস সরকার, আঘাত হানল মোদি সরকার (Modi Government)

    ২৬/১১-এর ভয়াবহ হামলার পরে কংগ্রেস সরকার যখন চুপ ছিল, তখন ঠিক তার বিপরীতে হাঁটতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। ৭ মে মধ্যরাতে পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলোকে গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। পাক অধিকৃত কাশ্মীরেও চলে হামলা। এর পরবর্তীকালে পাকিস্তান পাল্টা হামলার প্রচেষ্টা করলে ভারতের উন্নত প্রযুক্তির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তা রুখে দেয়। জানা যায় যে ভারতবর্ষে ২৬টি শহরকে টার্গেট করেছিল পাকিস্তান। যার মধ্যে দিল্লিও ছিল। তারা চিন এবং তুরস্ক সহ আমেরিকার নানা যুদ্ধ সরঞ্জাম যা ব্যবহার করে। কিন্তু প্রতিক্ষেত্রেই তারা ব্যর্থ হয়। অন্যদিকে ভারতীয় সেনার গর্জন শোনা যায় রাওয়ালপিন্ডি এবং ইসলামাবাদ পর্যন্ত। কোনও রকমের উপায় না দেখে আন্তর্জাতিক মঞ্চে যুদ্ধ বিরোধীর দাবি জানায় পাকিস্তান। সেই মতো ১০ মে তারা ফোন করে ভারতের কাছে। দুই দেশের সেনা পর্যায়ে কথাবার্তা হয়। তারপরে যুদ্ধ বিরোধী হয়। কিন্তু ভারত স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় যে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। কখনও সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়নি।

    অপারেশন সিঁদুরের ৩ অসামরিক সাফল্য

    অপারেশন সিঁদুরের ৩ অসামরিক সাফল্য রয়েছে। প্রথমটি হল মোদি সরকার ক্ষমতা আসার পর বিগত ১১ বছর ধরে দেশের মধ্যে ঐক্য এবং সংহতির ভাবনা জেগেছে। সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়তে পারে, এই আত্মবিশ্বাস ভারতবাসীর মনে জায়গা করতে পেরেছে। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের পাশে থাকতে দেখা গিয়েছে, দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলকে। সমস্ত সামাজিক সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং ধর্মীয় সংগঠনগুলিকে। তারা সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করেছেন সরকারের অপারেশন সিঁদুরকে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যেভাবে ভারত সরকার লড়াই চালিয়েছে সেটাকেও তাঁরা কুর্নিশ জানিয়েছেন। যেটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি ঘটনা এবং সত্যি কথা বলতে এই ঘটনা প্রথম মোদি জমানাতেই (Operation Sindoor) দেখা গেল।

    অন্যদিকে দ্বিতীয় সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হল অপারেশন সিঁদুরের আবহে বিদেশি এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো, যারা সর্বদাই ভারতের নিন্দা এবং বদনাম করত, তারাই ভারতবর্ষের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। পহেলগাঁও হামলার প্রতিক্রিয়াতে ভারত যে উত্তর দিয়েছে সেটিকেও তারা স্বাগত জানিয়েছে। পাকিস্তানের মন্ত্রী, তাদের মুখপাত্র এবং কূটনীতিকরা পহেলগাঁও হামলা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কোন জবাবই দিতে পারেনি। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে আন্তর্জাতিক মিডিয়া যখন জিজ্ঞেস করে যে কীভাবে তাঁরা বলছেন, ভারতের যুদ্ধবিমান নষ্ট করেছেন? তখন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলছে, তারা সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখেছে এমনটা। অন্যদিকে পাকিস্তানের বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলও শেহবাজ সরকারের সমালোচনা করেছে।

    অন্যদিকে, তৃতীয় সব থেকে বড় তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হল ভারত সমগ্র বিশ্বের কাছে বার্তা পৌঁছাতে পেরেছে, এই দেশ এখন বিশ্বের শক্তিশালী দেশ হিসেবে উঠে আসছে। এই বার্তা তারা দিতে পেরেছে আমেরিকা, চিন, তুরস্ক এবং অন্যান্য পশ্চিমী দেশগুলিকে। ভারতের প্রত্যাঘাতে এখন পাকিস্তান কাঁপছে এবং উন্নত আকাশ প্রযুক্তির মাধ্যমে ভারতের কোনও ক্ষতি পাকিস্তান করতে পারেনি। এই বার্তাও পৌঁছেছে বিশ্বের দরবারে। বিগত ১১ বছর ধরে নরেন্দ্র মোদির (Modi Government) দূরদর্শি নেতৃত্বের জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে এই আবহে পাকিস্তান মদতপুষ্ট সন্ত্রাসের বার্তা দিতে সংসদীয় প্রতিনিধি দল বিশ্বের নানা দেশে ভ্রমণ করছে। তাঁরা তুলে ধরছেন, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য। কেন প্রয়োজন হল অপারেশন সিঁদুর তাও জানাচ্ছেন তাঁরা বিদেশে। একই সঙ্গে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘুরে জানাচ্ছেন যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান ঠিক কী।

  • India Pakistan Tension: রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে মুখের মতো জবাব দিল ভারত, কী বলল জানেন?

    India Pakistan Tension: রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে মুখের মতো জবাব দিল ভারত, কী বলল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বমঞ্চে ভারতের বিরুদ্ধে ইন্দাস জলচুক্তি স্থগিত করার বিষয়টি (India Pakistan Tension) উত্থাপন করে নয়াদিল্লিকে কোণঠাসা করতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। শনিবার তার জবাব দিল ভারত (UN Meet)। রাষ্ট্রসংঘে নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দিল, ইসলামাবাদের মন্তব্য অপ্রয়োজনীয়। তারা অযথা ভারতের বিরুদ্ধে দোষারোপ করা বন্ধ করুক। কারণ পাকিস্তান থেকে ক্রমাগত সীমান্ত পারাপারের সন্ত্রাসবাদই এই চুক্তি বাস্তবায়নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাজিকিস্তানে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রসংঘের হিমবাহ বিষয়ক এক সম্মেলনের অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ওই মন্তব্য করেন। তার জবাবে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, “সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে চুক্তি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান নিজেই। আমরা অবাক হয়েছি পাকিস্তানের এই চেষ্টায়, যেখানে তারা এই ফোরামকে অপব্যবহার করে এমন বিষয় উত্থাপন করেছে যেগুলি এই ফোরামের আওতার মধ্যে পড়ে না। আমরা এই ধরনের চেষ্টার তীব্র নিন্দা করি।”

    ইন্দাস জলচুক্তি স্থগিত (India Pakistan Tension)

    দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তানের সঙ্গে ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত ইন্দাস জলচুক্তি স্থগিত করে দেয় ভারত। নয়াদিল্লি দীর্ঘদিন ধরে ইসলামাবাদেকে ভারতের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধের অংশ হিসেবে সীমান্ত পারাপারের সন্ত্রাসবাদে সমর্থন ও সাহায্য করার অভিযোগ করে আসছে। হিমবাহ সংরক্ষণ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ শুক্রবার এই সিদ্ধান্তকে জলকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার এবং ইন্দাস নদীর জল বণ্টন সংক্রান্ত চুক্তিকে একতরফাভাবে ও অবৈধভাবে স্থগিত রাখার ভারতের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত দুঃখজনক (India Pakistan Tension)। তিনি বলেন, “কোটি কোটি মানুষের জীবনকে সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য জল বন্ধ করে রাখা উচিত নয় এবং পাকিস্তান তা কখনওই তা হতে দেবে না।”

    কী বললেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী?

    এর প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বলেন, “ইন্দাস জলচুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে পরিস্থিতির মধ্যে মৌলিক পরিবর্তন এসেছে, যা এই চুক্তির বাধ্যবাধকতাগুলোর পুনর্মূল্যায়নকে জরুরি করে তোলে – এটি এমন একটি সত্য যা অস্বীকারযোগ্য নয়। এই পরিবর্তনগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, জনসংখ্যাগত পরিবর্তন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং চলমান সীমান্ত পারাপার সন্ত্রাসবাদের হুমকি। তিনি বলেন, “তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে অবিরাম সীমান্ত পারাপার সন্ত্রাসবাদ এই চুক্তির বিধান অনুযায়ী একে কার্যকরভাবে ব্যবহার করার ক্ষমতাকে ব্যাহত করছে। পাকিস্তান নিজেই এই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে, তাই ভারতের ওপর এর দোষ চাপানো থেকে বিরত থাকা উচিত।” তিনি বলেন, “পাকিস্তানের এই ফোরামকে অপব্যবহার করার এবং এমন বিষয় উত্থাপন করার প্রচেষ্টায় আমরা স্তম্ভিত, যেগুলি এই ফোরামের আওতাভুক্ত (UN Meet) নয়। আমরা এই ধরনের প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাই (India Pakistan Tension)।”

  • Attacks on Hindus: হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে ভারত-বাংলাদেশে, বলছে রিপোর্ট

    Attacks on Hindus: হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে ভারত-বাংলাদেশে, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় উপমহাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে রয়েছে খুন, জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ, জমি দখল, হিন্দু উৎসব গুলিতে আক্রমণ, মন্দির ভাঙচুর (Attacks on Hindus)। এমনটাই দাবি হিন্দু পোস্ট পত্রিকার। তাদের প্রতিবেদনে গত ২৫ মে থেকে ১ জুন ২০২৫ পর্যন্ত বিভিন্ন হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে।

    হিন্দু পোস্ট পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ভারত এবং বাংলাদেশে যে হিন্দুদের উপর আক্রমণের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিচে দেওয়া হল-

    ভারতে ঘটা ঘটনা (Attacks on Hindus)

    অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার জেলার হালিশহরে একটি হিন্দু মন্দিরের আক্রমণ চালায় এবং শিবলিঙ্গ ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ।

    পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলাতে এক হিন্দু মেয়েকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বাপ্পা মিয়ার নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    গুজরাটের জামনগর থেকে যৌন নির্যাতনের একটি ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে আম-আদমি পার্টির সক্রিয় কর্মী মহম্মদ আক্রামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক হিন্দু মহিলাকে ধর্ষণ করে ও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করে।

    শনিবার ২৪ মে অন্ধপ্রদেশের কাডাপা জেলায় রহমত উল্লাহ নামে এক ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়ি ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তিন বছর বয়সি এক দলিত মেয়েকে ধর্ষণ করে সে।

    উত্তরপ্রদেশে জোর জবরদস্তি করে ইসলামিক ধর্মীয় রীতিনীতি মানতে বাধ্য করা হয় এক ব্যক্তিকে। এর পাশাপাশি তার হিন্দু পরিচয় (Attacks on Hindus) সম্পূর্ণ রূপে ত্যাগ করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কুলদীপ কুমার। তিনি পেশায় একজন টোটো চালক। জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালেই তিনি আলফিয়া নামে একজন মুসলিম মহিলাকে বিয়ে করেন। কিন্তু তারপর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে মুসলিম ধর্ম গ্রহণের জন্য চাপ দিতে থাকে। ২০২৫ সালেই তাঁর নাম রশিদ রাখতে বাধ্য করে তারা।

    মধ্যপ্রদেশের বালুদা নামের একটি গ্রামে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি এবং হিন্দু মহিলাকে যৌন নির্যাতনের জন্য সে রাজ্যের পুলিশ মোবারক মন্ত্রী নামে একজনকে গ্রেফতার করে।

    অন্যদিকে একই চিত্র ধরা পড়ছে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশেও

    সম্প্রতি, মানিকগঞ্জ জেলায় একটি মন্দিরকে ভাঙচুর করে উগ্র মৌলবাদীরা। অভিযোগ দেবদেবীর মূর্তিও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। মানিকগঞ্জ জেলার গড়পাড়া ইউনিয়নে অবস্থিত মন্দিরটি। বাংলাদেশের গবেষক আবুল বারাকত জানাচ্ছেন, যে ধরনের অত্যাচার শুরু হয়েছে হিন্দুদের ওপর তাতে ২০৫০ সালের মধ্যে, বাংলাদেশ আর কোনও হিন্দু থাকবে না (Hindu Dharma)।

LinkedIn
Share