Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Delhi Blast: ২৬ জানুয়ারি লালকেল্লায় শয়ে শয়ে মানুষ হত্যার পরিকল্পনা ছিল মূলচক্রীদের, চাঞ্চল্যকর তথ্য

    Delhi Blast: ২৬ জানুয়ারি লালকেল্লায় শয়ে শয়ে মানুষ হত্যার পরিকল্পনা ছিল মূলচক্রীদের, চাঞ্চল্যকর তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে ১০ নভেম্বর তেমন বড় পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে শতশত মানুষ মারার পরিকল্পনার বিস্ফোরক (Delhi Blast) ও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে দিল্লি বিস্ফোরণ মামলায়। দেশের প্রাণকেন্দ্রে বড়সড় নাশকতার পরিকল্পনা ছিল হামলাকারী মূলচক্রীদের। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লায় যেহেতু বড় সমাবেশ হয়, তাই বড় ধরনের বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ছিল উমর-মুজান্মিল-শাহিনদের। একথা জেরায় স্বীকার করেছে ধৃত মুজাম্মিল (Delhi Terror Plan)। জেরায় আরও জানা গিয়েছে, মুজাম্মিল এবং উমর মিলে একাধিকবার লালকেল্লা চত্বরে রেইকি করেছিল। রেইকি করতে এবং ২৬ জানুয়ারি বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য ফরিদাবাদে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল। সেখানেই ৩০০ কেজি বিস্ফোরক মজুত ছিল। কিন্তু ধরা পরে যেতেই সে সরানোর চেষ্টায় বিস্ফোরণ ঘটে যায়।

    দীপবালিতেও করা হয়েছিল ছক (Delhi Blast)!

    ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, গাড়িতে বিস্ফোরক (Delhi Blast) ভর্তি করে ঠিক কোথায় রাখলে বেশি পরিমাণে মানুষ হতাহত হবেন সেই বিষয়ে আগেই সরেজমিনে গিয়ে কয়েকবার পরিকল্পনা করে এসেছে তারা। দীপাবলিতেও ভিড়ে ঠাসা এলাকাকে টার্গেট করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও কারণে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছে। মুজাম্মিলের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন থেকেই সমস্ত তথ্য তদন্তকারী অফিসাররা খোঁজ করেছেন । ফরিদাবাদ মডিউল ধরা পড়তেই তাড়াহুড়ো করে পালানোর চেষ্টা করে উমর। আর এই ফাঁকেই অসাবধানতাবসত গাড়ি ভর্তি বিস্ফোরক ফাটে লালকেল্লার সামনে। এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতরভাবে হাসপাতালে ভর্তি হয় ২০ জন। মামলায় ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে ২০ জনেরও বেশি সন্দেহভাজনকে জেরার অভিযান চলছে। উঠে এসেছে এক মৌলবীর নামও। তবে মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের মগজধোলাই করত ওই মৌলবী। তবে এই মডিউলের দুজন সদস্য ডাক্তার মুজাম্মিল এবং ডাক্তার উমরকে টেলিগ্রামের মাধ্যমে তুরস্ক যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। জইশ-এর (Delhi Terror Plan) কোনও হ্যান্ডেলের মধ্যস্থতাতেই তাঁদের দুজনকে তুরস্কে পাঠানো হয় বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য অপারেশন সিঁদুরের বিরুদ্ধে সরাসরি অস্ত্র দিয়ে পাকিস্তানকে সহযোগিতা করেছিল তুরস্ক।

    দ্রুত মূল মাথার খোঁজ চলছে

    দিল্লি বিস্ফোরণের (Delhi Blast) পর দেশজুড়ে জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। বুধবার সকালেও বিস্ফোরণের স্থানে রয়েছে কড়া পুলিশের পাহারা। ইতিমধ্যে দিল্লির একাধিক সন্দেহপ্রবন এলাকায় চলছে তল্লাশি। একই ভাবে জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় সূত্র ধরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তথ্য সন্ধান চলছে। তবে গোয়েন্দাদের অনুমান ডাক্তার যেহেতু একটি সম্মান জনক পেশা তাই চিকিৎসকদের স্লিপার সেল হিসেবে জঙ্গিসংগঠনগুলি ব্যবহার করেছে। চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং দাতব্য সামগ্রীর আড়ালে আইইডি (Delhi Terror Plan) তৈরির উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে হামলায় জড়িতদের মাথা খোঁজ করতে দফায় দফায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বৈঠকে বসেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাফ কথা, যেভাবেই হোক দোষীদের গ্রেফতার করতেই হবে। নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে লিখেছেন, “দিল্লির গাড়িবোমা বিস্ফোরণ নিয়ে রিভিউ মিটিংয়ের সভাপতিত্ব করলাম। শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আধিকারিকদের এই ঘটনার নেপথ্যে জড়িত প্রত্যেক দোষীকে খুঁজে বার করার নির্দেশ দিয়েছি। তারা এ বার আমাদের তদন্তকারী সংস্থাগুলির ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ দেখবে। ”

    পাকজঙ্গিদের বড়সড় ষড়যন্ত্রের অঙ্গ এই বিস্ফোরণ?

    দেশের প্রধানমন্ত্রী ভুটান সফর শেষ করেই দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের পর আহতদের দেখতে যান হাসপাতালে। রাজধানীর লোকনায়ক হাসপাতালে গিয়ে সকলকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। গুরুতর আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। একই ভাবে হাসপাতালের কর্মকর্তা এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথাবার্তাও বলেন। তবে তদন্তের গতিপ্রকৃতি দেখে যা মনে হচ্ছে পাকজঙ্গিদের বড়সড় ষড়যন্ত্রের অঙ্গ এই বিস্ফোরণ (Delhi Blast)। মোদি ভুটান সফর থেকেই সাফ জানিয়েছেন, “ষড়যন্ত্রকারীদের (Delhi Terror Plan) কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না।” তবে ভারতীয় গোয়েন্দাদের প্রাথমিক অনুমান জইশ-ই-মহম্মদই এই হামলার পিছনে রয়েছে। একটি সিসিটিভি ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে বিস্ফোরণের আগে সুনহেরি মসজিদের পার্কিংলটে ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছিল গাড়িটি। এই গাড়িকে সন্দেহ করে ইতিমধ্যে আটক করেছে দুই সন্দেহভাজনকে।

  • Delhi Red Fort Blast: জইশের টেলিগ্রাম চ্যানেলে কথা, তুরস্কে হামলার ছক তৈরি উমরদের! দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    Delhi Red Fort Blast: জইশের টেলিগ্রাম চ্যানেলে কথা, তুরস্কে হামলার ছক তৈরি উমরদের! দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি লালকেল্লা বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্ত প্রক্রিয়া যত এগোচ্ছে, ততই নিত্যনতুন ও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে বিস্ফোরণে আত্মঘাতী হামলাকারী হিসেবে সন্দেহভাজন ডাক্তার উমর মহম্মদ কট্টরপন্থী ডাক্তারদের এক গোপন নেটওয়ার্কের অংশ ছিল। সে তার কার্যকলাপ জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামের মাধ্যমে চালাত। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, জইশ পরিচালিত দু’টি এনক্রিপটেড টেলিগ্রাম গ্রুপের মাধ্যমেই মগজধোলাই শুরু হয়েছিল এই চিকিৎসকদের গ্রুপের৷

    এক জোড়া টেলিগ্রাম গ্রুপ

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ‘ফারজানাদন-ই-দারুল উলুম’ নামক একটি টেলিগ্রাম গ্রুপ ব্যবহার করা হত মগজধোলাইয়ের জন্য। উমর বিন খাতাব নামক এক ব্যক্তি এই টেলিগ্রাম গ্রুপ চালাত। উমর পাকিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের এই চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত ছিল। অন্যদিকে, টেলিগ্রামে ‘র‍্যাডিক্যাল ডক্টর্স গ্রুপ’ নামে একটি চ্যানেল তৈরি করা হয়েছিল। এতে গ্রেফতার হওয়া ডাক্তার আদিল রাথের, মুজাম্মিল শাকিল এবং সন্দেহভাজন হামলাকারী উমর মহম্মদও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এরা সকলেই জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য।

    পাকিস্তান থেকে অপারেট হত

    পাকিস্তান থেকে জইশের অপারেটিভ হিসাবে কাজ করত এই চ্যানেলগুলি। এই টেলিগ্রাম সেন্টারগুলিই প্রকৃতপক্ষে ‘ডক্টর্স মডিউল’-এর নার্ভ সেন্টার ছিল৷ তদন্তে উঠে এসেছে, ভারতে নাশকতা ছড়িয়ে দেওয়ার এই কাজ শুরু হয়েছিল মূলত দু’জনের হাত ধরে৷ একজন দিল্লি বিস্ফোরণ মামলার মূল অভিযুক্ত উমর এবং অন্যজন কাশ্মীরের এক ধর্মগুরু মৌলবি ইরফান আহমেদ ওয়াঘা৷ জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা উমরের সঙ্গে সোপিয়ানের বাসিন্দা ইরফান আহমেদের কথা শুরু হয়েছিল টেলিগ্রামের মাধ্যমে।

    আজাদ কাশ্মীর থেকে গ্লোবাল জিহাদ

    সূত্র অনুযায়ী, প্রথমে কাশ্মীরের ‘আজাদি’, কাশ্মীরিদের উপরে দমনের মতো কথা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল কথোপকথন৷ ক্রমে তা বৃহত্তর ক্ষেত্রে ছড়িয়ে যায়৷ গ্লোবাল জিহাদ-এ পরিণত হয় আলোচনা। সেখানে মহজধোলাই পর্ব থেকে হাতেনাতে কাজে লেগে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া শুরু হতে থাকে৷ গ্রুপের সদস্যদের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়, কাজে লাগানো হয়৷ সারা ভারতে ছড়িয়ে ‘প্রফেশনাল কাজের’ আড়ালে স্লিপার সেল তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়৷

    এনক্রিপ্টেড চ্যানেলে কথোপকথন

    বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ডাক্তাররা টেলিগ্রাম চ্যানেলে একে অপরের সঙ্গে কথা বলত। টেলিগ্রাম চ্যানেলের কথোপকথন এনক্রিপ্টেড হওয়ার কারণেই সম্ভবত এটি ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি যে এই টেলিগ্রাম চ্যানেলে কতজন যুক্ত ছিল এবং তাদের মধ্যে কী কী আলোচনা চলছিল। যদি সদস্য সংখ্যা এবং কথোপকথন ডিকোড করা সম্ভব হয়, তাহলে অনেক বড় এবং চমকপ্রদ তথ্য সামনে আসতে পারে।

    তুরস্ক ট্রিপেই সন্ত্রাসী মডিউল তৈরি

    সংবাদমাধ্যমে প্রকাশি রিপোর্ট অনুযায়ী, এই গ্রুপের হ্যান্ডলাররা সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছিল তুরস্কে। মুজাম্মিল ও উমরকে ডেকে পাঠানো হয় সেখানে। মনে করা হচ্ছে, মনে করা হচ্ছে, জইশ-এর সঙ্গে যুক্ত কোনও হ্যান্ডলারের মধ্যস্থতাতেই তাঁদের তুরস্ক সফর নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছিল৷ গোয়েন্দাদের অনুমান, তুরস্ক ট্রিপেই গোটা সন্ত্রাসবাদী মডিউল তৈরি ও হামলার ছক কষা হয়েছিল। তুরস্ক থেকে ফেরার পরই এরা ভারতে নিজেদের গতিবিধি বাড়ায়। ডাঃ মুজাম্মিল ফরিদাবাদের আল ফালাহ্ মেডিক্যাল কলেজে যোগ দেন। ডাঃ আদিলের পোস্টিং সাহারানপুরে হয়।

  • PM Modi: দেশ ফিরেই দিল্লি বিস্ফোরণে আহতদের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী মোদি

    PM Modi: দেশ ফিরেই দিল্লি বিস্ফোরণে আহতদের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোখে-মুখে উদ্বেগের ছাপ! দুদিনের ভুটান সফর শেষ করে বুধবার দেশে ফিরেই লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণে (Delhi Blast) আহতদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। এ দিন দুপুরে তিনি দিল্লির লোক নায়ক হাসপাতালে যান। সেখানে তিনি একে একে আহতদের সঙ্গে দেখা করছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলছেন। কারও পাশে থেকে সমবেদনা জানিয়েছেন। কারও মাথায় হাত দিয়ে দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন। কারও সঙ্গে বন্ধুর মতো কথা বলে আতঙ্ক কাটানোর চেষ্টা করেছেন। চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

    ষড়যন্ত্রের শিকড় খুঁজে বের করা হবে

    আজ, বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট বৈঠকে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সোমবার দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে যে বিস্ফোরণ হয়েছিল, সেই বিষয় নিয়েই আলোচনা হবে এই বৈঠকে। প্রধানমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন যে এই বিস্ফোরণের পিছনে যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম পদক্ষেপ করা হবে। বিস্ফোরণের ঘটনায় মোদি মঙ্গলবারই ভুটানের এক অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে দোষীদের সাবধান করে দেন। বলেন, যে বিস্ফোরণ হয়েছে, তার ষড়যন্ত্রের শিকড় খুঁজে বের করা হবে। এর নেপথ্যে চক্রান্তকারী যারা রয়েছে তাদের কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না।

    ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে সরকার

    প্রধানমন্ত্রী আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে রয়েছে সরকার। এই ঘটনার গভীরে গিয়ে তদন্ত করবে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দিল্লির ঘটনায় আমরা সবাই ব্যথিত। পীড়িতদের কথা আমি বুঝতে পারছি। স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছি, সমস্ত দোষীদের কাঠগড়ায় এনে দাঁড় করানো হবে।” আগেই, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) স্পষ্ট নির্দেশ দেন— এই হামলার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক অপরাধীকে খুঁজে বের করতে হবে। দিল্লির গাড়ি বিস্ফোরণ নিয়ে উচ্চপর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক হয়েছে। দোষীরা কেউই ছাড় পাবে না। এজেন্সিগুলি কঠোরতম পদক্ষেপ করবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও (Rajnath Singh)জানান, এই ঘটনার নেপথ্যে যারা আছে, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কঠোরতম শাস্তিই তাদের প্রাপ্য।

  • Delhi Blast: দু’বছর ধরে বিস্ফোরক সংগ্রহ! দেশের নানা জায়গায় হামলার পরিকল্পনার কথা স্বীকার শাহিনের?

    Delhi Blast: দু’বছর ধরে বিস্ফোরক সংগ্রহ! দেশের নানা জায়গায় হামলার পরিকল্পনার কথা স্বীকার শাহিনের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি বিস্ফোরণের (Delhi Blast) নেপথ্যে ফরিদাবাদ ‘ডক্টর-মডিউল’! এমনই আভাস মিলেছে ফরিদাবাদের বিস্ফোরক এবং অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া মহিলা চিকিৎসক শাহিন শহিদকে জেরা করে। উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের বাসিন্দা শাহিন। তবে কর্মসূত্রে থাকত ফরিদাবাদে। আল-ফালাহ্‌ মেডিক্যাল কলেজে অধ্যাপক-চিকিৎসক ছিল। ওই হাসপাতালে তার সহকর্মীদের দাবি, তাঁরা কেউই বুঝতে পারেননি, শাহিন এ ধরনের কোনও চক্রের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু খুবই অনিয়মিত জীবনযাপন করত শাহিন, যা ইচ্ছে তাই করত, এমনটাই মত সহকর্মীদের।

    কোনও শৃঙ্খলা ছিল না শাহিনের

    ফরিদাবাদে সোমবার ২৯০০ কেজির বেশি বিস্ফোরক উদ্ধার কাণ্ডে নাম উঠে আসে চিকিৎসক শাহিন শাহিদের (Shaheen Sahid)। ঘটনা ঘিরে একাধিক চিকিৎসক ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে। জানা গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা শাহিন, মূলত পাকিস্তানের জইশ-এ-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর মহিলা উইং-র সদস্য। যে উইং চালায় খোদ জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের বোন সাদিয়া আজহার। এই কুখ্যাত জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য শাহিন আপাতত বন্দি। তার বিরুদ্ধে জঙ্গিদের ফান্ড যোগানের অভিযোগও রয়েছে। তার এক চিকিৎসক সহকর্মীর দাবি, কোনও শৃঙ্খলা ছিল না শাহিনের। প্রায়ই কাউকে কিছু না-জানিয়ে হাসপাতাল থেকে চলে যেত। তাঁর বিরুদ্ধে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগও করা হয়েছিল। তবে শাহিন কোনও ‘সন্ত্রাসমূলক’ কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে, সন্দেহ করেননি কেউই।

    শাহিনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল উমরের

    সোমবার দিল্লির অদূরে হরিয়ানার ফরিদাবাদে ৩৬০ কেজি আরডিএক্স তৈরির মশলা (অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট) উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানায়, উত্তর ভারতের বিভিন্ন অংশে অভিযান চালিয়ে প্রায় তিন হাজার কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, ভারতে কোনও বড়সড় নাশকতার ছক কষা হচ্ছিল! দিল্লি বিস্ফোরণ, তারই অঙ্গ। তদন্তের স্বার্থে লালকেল্লা এবং তার আশপাশের অনেক জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। তার মধ্যে একটি ফুটেজ ঘিরেই রহস্য দানা বাঁধছে। সেই ফুটেজে দেখা গিয়েছে, লালকেল্লার সামনে যে গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়, সেই গাড়ি চালাতে দেখা যায় এক জনকে। বিভিন্ন সূত্রে দাবি, ওই চালকই উমর। বিস্ফোরণের কিছু ক্ষণ আগেও তাকেই গাড়ি চালাতে দেখা যায়। এই উমরও পেশায় একজন চিকিৎসক। তার সঙ্গে নাকি যোগাযোগ ছিল ধৃত আদিল মাজিদ রাথর, মুজাম্মিল আহমেদের! জেরায় শাহিন এমনই জানিয়েছে বলে দাবি তদন্তকারী সূত্রের। শুধু তাদের সঙ্গে নয়, শাহিনের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল উমরের। খোঁজ নিয়ে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে, মুজাম্মিলের সূত্র ধরেই আল-ফালাহ্‌ কলেজে কাজে যোগ দেয় শাহিন। বিবাহবিচ্ছিন্না শাহিনের সঙ্গে নাকি মুজাম্মিলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।

    দেশে একাধিক বিস্ফোরণের পরিকল্পনা

    শাহিন, উমর, আদিল এবং মুজাম্মিল— চার জনই পেশায় চিকিৎসক। তাদের যোগসূত্র গড়ে ওঠে ফরিদাবাদের আল-ফালাহ্‌ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালকে কেন্দ্র করে! গোয়েন্দা সূত্রে খবর, শাহিন জেরায় জানিয়েছে, হাসপাতালের কাজ শেষে প্রায়ই উমরের সঙ্গে দেখা হত তার। যখনই দেখা হত উমর নাকি ‘দেশে একাধিক বিস্ফোরণ ঘটানোর’ কথা বলত। গত দু’বছর ধরে নাকি বিস্ফোরণ বা বিস্ফোরণের মালমশলা সংগ্রহের কাজ চলছিল। শাহিনের দাবি, আদিল এবং মুজাম্মিলের সঙ্গে মিলে উমর অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট জাতীয় বিস্ফোরক বোঝাই করছিল। সেই বিস্ফোরক দিল্লির বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী সংস্থাগুলি। উল্লেখ্য লালকেল্লার কাছে গাড়িতে বিস্ফোরণের পরেই কমলা রঙের আগুন দেখা গিয়েছে। তদন্তকারীদের একটি সূত্রের দাবি, সাধারণত অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট থেকে বিস্ফোরণ ঘটলে এই ধরনের আগুন দেখা যায়।

    শাহিনের সঙ্গে অনেকে দেখা করতে আসত

    যে আল-ফালাহ্‌ বিশ্ববিদ্যালয়ে শাহিন কর্মরত ছিল, সেখানের এক সহকর্মী তার সম্পর্কে মুখ খুলেছেন। মুখ খুলেছেন শাহিনের বাবাও। হরিয়ানার ওই বিশ্ববিদ্যালয় দিল্লি থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। দিল্লিতে সোমবারের বিস্ফোরণের পর মঙ্গলের সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে জোরদার তল্লাশি চলেছে। একাধিক জনের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। আটকও হয়েছে একাধিক। এদিকে, শাহিন সম্পর্কে বলতে গিয়ে তার আর এক সহকর্মী আরও বড় তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলছেন, ‘ওর (শাহিন) সঙ্গে অনেকেই দেখা করতে আসত কলেজে। ও কখনও কখনও অদ্ভূত ব্যবহার করত। ওর বিরুদ্ধে ম্যানেজমেন্টে অভিযোগও দায়ের হয়।’ প্রশ্ন যায়, শাহিনকে নিয়ে কি কখনও সন্দেহ হয়েছে সন্ত্রাস যোগ ঘিরে? শাহিনের সহকর্মী বলছেন,’ওই দিক দিয়ে কখনওই সন্দেহ হয়নি।’

    শাহিনের বাড়িতে তল্লাশি

    এদিকে, উত্তরপ্রদেশের লখনউতে শাহিনের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেখানে শাহিনের বাবা বলেন, ‘আমার তিন ছেলেমেয়েদের মধ্যে শাহিন দ্বিতীয় সন্তান। শাহিন এলাহাবাদ থেকে এমবিবিএস ও এমডি করেছে।’ তিনি জানান, দেড় বছর আগে শাহিনকে দেখেছেন তিনি। আর মেয়ে শাহিনের সঙ্গে কথা হয়েছে এক মাস আগে। তিনি জানান বড় ছেলে তাঁর সঙ্গেই থাকেন। আর ছোট ছেলে দূরে থাকেন। ছোট ছেলের সঙ্গে প্রতি সপ্তাহে কথা হয়। এদিকে, শাহিনের সঙ্গে নাম জুড়েছে বিস্ফোরক উদ্ধার মামলায় ধৃত চিকিৎসক মুজাম্মিলের। মুজাম্মিল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করায়, শাহিনের বাবা জানান, তিনি এই নাম কখনওই শাহিনের থেকে শোনেননি।

  • Military Grade Explosives: দিল্লি বিস্ফোরণে ব্যবহৃত ২ ধরনের ‘মিলিটারি-গ্রেড’ রাসায়নিক! অনুমান তদন্তকারীদের, এগুলি কতটা বিপজ্জনক?

    Military Grade Explosives: দিল্লি বিস্ফোরণে ব্যবহৃত ২ ধরনের ‘মিলিটারি-গ্রেড’ রাসায়নিক! অনুমান তদন্তকারীদের, এগুলি কতটা বিপজ্জনক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির লালকেল্লা এলাকায় গাড়ি-বিস্ফোরণে (Delhi Red Fort Blast) কী ধরনের রাসয়নিক বা বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। ফরেনসিক রিপোর্ট না আসায় সঠিকভাবে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখে তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ‘মিলিটারি-গ্রেড’ (Military Grade Explosives) বা সামরিক মানের শক্তিশালী বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল। যে বিস্ফোরক সেনা জওয়ানদের ব্যবহারের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি হয়, তাই দিল্লি বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    ২ ধরনের রাসায়নিকের ব্যবহার?

    একইসঙ্গে তদন্তকারীরা এও জানাচ্ছেন, সম্ভবত ২ ধরনের রাসায়নিকের ব্যবহার করা হয়েছে বিস্ফোরণে (Delhi Red Fort Blast)। তদন্তকারীদের সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ঘটনাস্থল থেকে নুমনা পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে একটি অ্যামেনিয়াম নাইট্রেটের মতো কোনও রায়াসনিক হতে পারে। তবে দ্বিতীয় বিস্ফোরকের (Military Grade Explosives) প্রকৃতি সম্পর্কে কোনও সুস্পষ্ট তথ্য মেলেনি। ফরেন্সিকে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে সুস্পষ্ট হবে।

    এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, ঘটনাস্থল থেকে ৪২টি নমুনা সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। এর মধ্যে রয়েছে আই-২০ গাড়ির টায়ার, চেসিস, সিজিসি সিলিন্ডার, বনেটের অংশ এবং বিভিন্ন অবশেষ। ল্যাবরেটরিতে এই নমুনাগুলো পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, সম্ভবত পেন্টেরিথ্রিটল টেট্রানাইট্রেট বা সংক্ষেপে পিইটিএন (PETN), সেমটেক্স (SEMTEX) বা আরডিএক্স (RDX)-এর মতো শক্তিশালী বিস্ফোরক ছিল ওই গাড়িতে।

    পিইটিএন, সেমটেক্স, আরডিএক্স

    পিইটিএন অত্যন্ত শক্তিশালী রাসায়নিক (Military Grade Explosives)। অল্প পরিমাণের সাহায্যেই বড় বিস্ফোরণ ঘটানো সম্ভব। সবচেয়ে বড় কথা, এর বর্ণহীন স্ফটিক আকৃতির জন্য একে সনাক্ত করা অত্যন্ত কঠিন। পিইটিএন শক বা তাপের অধীনে বিস্ফোরণ ঘটায়। ফলে, অতিরিক্ত ধাতব টুকরোর প্রয়োজন হয় না। বিস্ফোরক থেকে প্রাপ্ত বিস্ফোরণ শক্তি একটি যানবাহন ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট। এর উচ্চ ক্ষমতা এবং কম সনাক্তযোগ্য বৈশিষ্ট্যের কারণে, সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্রে এটি বহুল ব্যবহৃত।

    সেমটেক্স ও আরডিএক্স-ও সামরিক মানের শক্তিশালী বিস্ফোরক (Military Grade Explosives), যা সন্ত্রাসী হামলায় দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত। এগুলির কোনও ক্ষেত্রেই বিস্ফোরণে পেলেট কিংবা শার্পনেল প্রয়োজন হয় না। তদন্তে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট এবং ডিটোনেটরের সম্ভাব্য ব্যবহারেরও ইঙ্গিত মিলেছে। অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মিশ্রিত জ্বালানি (ANFO) তেল এবং ডিটোনেটর ব্যবহারের সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের। এটি আইইডি তৈরিতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়।

    ‘মিলিটারি-গ্রেড’ রাসায়নিক ঠিক কী?

    কী এই ‘মিলিটারি-গ্রেড’ রাসায়নিক (Military Grade Explosives), যা সেনা ব্যবহার করে থাকে? কতটা শক্তিশালী? ‘মিলিটারি-গ্রেড’ রাসায়নিক সাধারণত, সেনাবাহিনীর কথা মাথায় রেখে তৈরি হয়। সেনার মানদণ্ড ও প্রয়োজন অনুযায়ী উৎপাদন হয়। জওয়ানরা তা যুদ্ধ বা প্রতিরক্ষা মিশনে ব্যবহার করেন। এই ধরনের বিস্ফোরক পদার্থের শক্তি অনেক বেশি। কার্যকারিতা রীতিমতো ভয়াবহ। নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার উদ্দেশেই ‘সামরিক মানের’ বিস্ফোরক প্রস্তুত করা হয়। সাধারণত সেনাবাহিনী এবং নির্দিষ্ট কিছু সরকারি সংস্থাই এগুলো ব্যবহার করতে পারে।

    এখন প্রশ্ন হল, কীভাবে এই রাসায়নিক এল জঙ্গিদের হাতে? এটাই ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের।

  • Delhi pollution: মারাত্মক আকার ধারণ করল দিল্লির বায়ু দূষণ, জারি তৃতীয় ধাপের বিধিনিষেধ

    Delhi pollution: মারাত্মক আকার ধারণ করল দিল্লির বায়ু দূষণ, জারি তৃতীয় ধাপের বিধিনিষেধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিস্ফোরণের পরের দিনই বায়ু দূষণ চরম আকার নিয়েছে দিল্লিতে (Delhi pollution)। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, রাজধানীতে বায়ুদূষণ ভয়ঙ্কর মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে। জানা গিয়েছে মঙ্গলবার দিল্লিতে গড় একিউআই ছিল ৩৬২। একদিনের বায়ু দূষণে দিল্লির আকাশ-বাতাস বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। শান্ত বাতাস, স্থিতিশীল আবহাওয়া এবং দূষণের কারণে বাতাসের মান আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে। আর এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে দিল্লি সরকার তৃতীয় ধাপের বিধিনিষেধ (Grap-3) আরোপ করেছে।

    অপ্রয়োজনীয় নির্মাণ ও ভাঙাচোরা কাজ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ (Delhi pollution)

    নতুন পর্যায়ে দিল্লিতে (Delhi pollution) জারি হয়েছে দূষণ সংক্রান্ত তৃতীয় ধাপ। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দিল্লি এবং এনসিআর অঞ্চলে অপ্রয়োজনীয় নির্মাণ ও ভাঙাচোরা কাজ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। ইতিমধ্যে পাথর ভাঙা এবং খনন কাজ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই ভাবে সরকার জানিয়েছে বিএস-৩ পেট্রোল এবং বিএস-৫ ডিজেল গাড়ি রাস্তায় নামানো যাবে না। তবে যেসব নাগরিক প্রতিবন্ধী তাঁদের জন্য অবশ্য এই নিয়ম কার্যকর হবে না। স্কুলের ক্ষেত্রেও আনা হয়েছে বেশকিছু পরিবর্তন। পঞ্চম শ্রেণি থেকে সমস্ত স্কুলকে হাইব্রিড শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে বলা হয়েছে। তবে অভিভাবকরা চাইলে অনলাইন ক্লাসের বিকল্প বেছে নিতে পারেন।

    তৃতীয় ধাপের কঠিন বিধিনিষেধ কখন জারি হয়

    যদিও শীতকালে দিল্লি (Delhi pollution) এবং এনসিআরে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই শীতকালে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। তবে বায়ু দূষণের আসল কারণ হল গাড়ির ধোঁয়া এবং দিল্লি সহ হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশে খড় পড়ানোর জন্য। একইভাবে আতসবাজির ধোঁয়া এবং প্রতিকূল আবহাওয়াটাও ভীষণ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

    গ্রেডেড রেস্পন্স অ্যাকশন (Grap-3) প্ল্যান মূলত দিল্লি এনসিআর চারটি পর্যায়ে নির্ধারণ করা হয়। প্রথম ধাপ পুরএকিউআই ২০১-৩০০, দ্বিতীয় ধাপ ভেরি পুর একিউআই ৩০১-৪০০, তৃতীয় ধাপ সিভিয়ার একিউআই ৪০১-৪৫০ এবং চতুর্থ ধাপ সিভিয়ার প্লাস একিউআই ৪৫০–এর উপরে। যদি বায়ুর দূষণকে কোনও ভাবেই নিয়ন্ত্রণ না করা যায় তাহলে তৃতীয় ধাপের কঠিন বিধিনিষেধ আরোপ করতে হয়। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয় তাহলে আগামীদিনে জনজীবনের উপর চরম প্রভাব পড়তে পারে।

  • Bihar Exit Polls: বিহারে ফের ফিরবে এনডিএ সরকার! বিজেপি পেতে পারে ৭২-৭৫টি আসন, বাকিরা কোথায়?

    Bihar Exit Polls: বিহারে ফের ফিরবে এনডিএ সরকার! বিজেপি পেতে পারে ৭২-৭৫টি আসন, বাকিরা কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) ক্ষমতা ধরে রাখবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছে নয়টি এক্সিট পোল। ২০২০ সালের তুলনায় এবারে বিজেপি আরও বড় ম্যান্ডেট পেতে চলেছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। এক্সিট পোলগুলির গড় হিসেব অনুযায়ী, এনডিএ ২৪৩ আসনের মধ্যে ১৪৭টির বেশি আসনে জয় পেতে পারে — যা স্পষ্টভাবেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার (১২২) সীমা অতিক্রম করছে। বিভিন্ন সংস্থার মতে, মহাগঠবন্ধন তিন অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারবে না, তাদের সম্ভাব্য আসনসংখ্যা প্রায় ৯০-এর কাছাকাছি।

    পিপলস ইনসাইট-এর এক্সিট পোল

    বিহার নির্বাচনের জন্য পিপলস ইনসাইট-এর এক্সিট পোল বলছে, এনডিএ ১৩৩-১৪৮টি আসন পাবে। বিজেপি ৬৮-৭২টি আসন, জেডিইউ ৫৫-৬০টি আসন, এলজেপি (আর) ৯-১২টি আসন, এইচএএম ১-২টি আসন এবং আরএলএম ০-২টি আসন পাবে। এই এক্সিট পোল ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে, মহাজোট ৮৭-১০২টি আসন পাবে, আরজেডি পাবে ৬৫-৭২, কংগ্রেস ৯-১৩, বামপন্থীরা ১১-১৪ এবং অন্যান্যরা ২-৩ আসন পাবে।

    ম্যাট্রিক্স আইএএনএস-এর এক্সিট পোল

    বিহার নির্বাচনের জন্য ম্যাট্রিক্স আইএএনএস-এর এক্সিট পোল বলছে, এনডিএ ১৪৭-১৬৭টি আসন পাবে। দলীয়ভাবে, বিজেপি ৬৫-৭৩টি আসন, জেডিইউ ৬৭-৭৫টি আসন, এলজেপি (আর) ৭-৯টি আসন, এইচএএম ৪-৫টি আসন এবং আরএলএম ১-২টি আসন পাবে। এই এক্সিট পোল ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে মহাজোট ৭০-৯০টি আসন পাবে, আরজেডি পাবে ৫৩-৫৮টি, কংগ্রেস পাবে ১০-১২টি, বামপন্থীরা পাবে ৯-১৪টি এবং বিজেপি পাবে ১-১৪টি।

    চাণক্য স্ট্র্যাটেজিজের এক্সিট পোল

    বিহার বিধানসভা নির্বাচনের পর, চাণক্য স্ট্র্যাটেজিজের এক্সিট পোল আরজেডির জন্য উল্লেখযোগ্য সুখবর এনেছে। চাণক্যের মতে, আরজেডি ৭৫ থেকে ৮০টি আসন জিতবে এবং বৃহত্তম দল হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিজেপি ৭০ থেকে ৭৫টি আসন পাবে, যেখানে জেডিইউ ৫২ থেকে ৫৭টি আসন পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাছাড়া, এনডিএ-র মধ্যে চিরাগ পাসোয়ান ১৪ থেকে ১৯টি আসন জিতবেন বলে আশা করা হচ্ছে। জিতন রাম মাঝির দল ০-২টি আসন জিততে পারে। উপেন্দ্র কুশওয়াহা ২-৩টি আসন জিতবেন বলে আশা করা হচ্ছে। মহাজোটে কংগ্রেস ১৭-২৩টি আসন পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বামপন্থীরা ১০-১৬টি আসন জিততে পারে। মুকেশ সাহনির দল ৭-৯টি আসন জিততে পারে। অন্যরা ৩-৫টি আসন জিততে পারে।

    অন্যান্য এক্সিট পোল কী বলছে?

    বিহার নির্বাচনের জন্য জেভিসি এক্সিট পোলে, এনডিএ ১৩৫-১৫০ আসন, মহাজোট ৮৮-১০৩ আসন এবং অন্যান্যরা ৩-৬ আসন পাবে বলে পূর্বাভাস। দৈনিক ভাস্কর-এর এক্সটি পোল অনুযায়ী, এনডিএ ১৪৫ থেকে ১৬০টি আসন পাবে। নিউজ ২৪-এর বুথ ফেরত সমীক্ষায় এনডিএ পাবে ১৩৩ থেকে ১৫৯টি আসন। অন্যদিকে, মহাগঠবন্ধনের (INDIA Bloc) জন্য পূর্বাভাস তুলনামূলকভাবে হতাশাজনক — দৈনিক ভাস্কর দিয়েছে ৭৩–৯১ আসন। নির্বাচনের নতুন মুখ প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ পার্টি (JSP) ভোটারদের আকৃষ্ট করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানাচ্ছে সব এক্সিট পোল। কোনও সংস্থাই প্রশান্ত কিশোরের দলকে দুই অঙ্কের আসনসংখ্যার কাছাকাছি দেখায়নি।

    বিহারকে বদলে দিয়েছেন নীতীশ

    বিহারে এক্সটি পোল প্রসঙ্গে কাটিহারের বিজেপি প্রার্থী তারকিশোর প্রসাদ বলেন, “এই এক্সিট পোলগুলি অবাক করার মতো নয় কারণ আমরা বিশ্বাস করি যে ২০০৫ সাল থেকে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার যেভাবে বিহারকে বদলে দিয়েছেন তাতে মানুষ মুগ্ধ। অনেক বৃত্তি দেওয়া হয়েছে এবং নারীশক্তির প্রতি বিশ্বাস জাগানো হয়েছে। বিহারের ভোটারদের উপর আমাদের আস্থা আছে। আমাদের কাজের উপর আমাদের আস্থা আছে। মা-বোনেরা ভোট দিতে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছেন। এনডিএ অবশ্যই জিতবে।”

    বিহারের রাজনীতিতে এক যুগ

    এই নির্বাচনকে বিহারের রাজনীতিতে এক যুগের অবসান বলে মনে করা হচ্ছে। প্রায় ১৯ বছর রাজত্বের পর মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের এটি শেষ নির্বাচন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদব ইতিমধ্যেই দলীয় দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন ছেলে তেজস্বী যাদবের হাতে, যিনি বিরোধী জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী। পুরো নির্বাচনী প্রচারে দেখা গিয়েছে ত্রিমুখী লড়াই — এনডিএ, মহাগঠবন্ধন ও প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ পার্টির মধ্যে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যজুড়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে আরজেডির “জঙ্গল রাজ” ইস্যু উত্থাপন করেছেন।

    ভোটারদের একাধিক প্রতিশ্রুতি

    ভোটারদের মন জিততে উভয় পক্ষই একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এনডিএ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে — মহিলাদের জন্য ব্যবসা শুরুতে ₹১০,০০০ সহায়তা, বিনামূল্যে ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ-সহ অনেক কিছু। অন্যদিকে, মহাগঠবন্ধন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে — প্রতিটি পরিবারে এক সরকারি চাকরি, আর্থিকভাবে দুর্বল মহিলাদের ₹৩০,০০০ এককালীন অনুদান। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ভোটার তালিকা সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিজেপির বিরুদ্ধে “ভোট চুরি”র অভিযোগ এনেছেন। এর জবাবে এনডিএ অভিযোগ করেছে, বিরোধী জোট রাজ্য অনুপ্রবেশকারীদের উৎসাহ দিচ্ছে। তবে, আপাতত এক্সিট পোল অনুযায়ী বিহারে আবারও এনডিএ সরকারের প্রত্যাবর্তন প্রায় নিশ্চিত —যদিও চূড়ান্ত রায় জানা যাবে গণনার দিনই।

  • Amit Shah: দিল্লি বিস্ফোরণ, আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক শাহের

    Amit Shah: দিল্লি বিস্ফোরণ, আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে (Delhi Incident) আত্মঘাতী বিস্ফোরণের নেপথ্যে কারা? বিস্ফোরণের পেছনে কারণই বা কী? এসব প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি (Amit Shah)। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে একাধিক তদন্তকারী সংস্থা। এহেন আবহে মঙ্গলবার দফায় দফায় তদন্তকারীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই বৈঠকে বিস্ফোরণের নেপথ্যে জড়িত প্রত্যেক অপরাধীকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন তিনি।

    বৈঠকে শাহ (Amit Shah)

    দিল্লি বিস্ফোরণের পর পরই সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন শাহ। জানিয়েছিলেন, তদন্তে যা উঠে আসবে, তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে। সোমবার রাতেই প্রথমে হাসপাতাল এবং পরে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কথা বলেন পুলিশের পদস্থ কর্তা ও তদন্তকারীদের সঙ্গে। পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যও দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। শাহ বুঝিয়ে দেন, বিস্ফোরণের ঘটনার নেপথ্যে যারা জড়িত, তাদের আনা হবে তদন্তের আওতায়। মঙ্গলবার দিল্লি বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রায় একই ভাষায় হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও।

    শাহি বার্তা

    এদিন সকালে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছিলেন শাহ। সেই বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গোবিন্দ মোহন, ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর অধিকর্তা তপন ডেকা, দিল্লির পুলিশ কমিশনার সতীশ গোলচা এবং এনআইএর ডিজি সদানন্দ বসন্ত। ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ প্রধান নলিন প্রভাত। সেই বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পরে ফের একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন শাহ। এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন তদন্তকারী বিভিন্ন সংস্থার পদস্থ আধিকারিকরা। পরে শাহ (Amit Shah) স্বয়ং পোস্ট করে দেশবাসীকে জানান বৈঠকের নির্যাস। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “দিল্লির গাড়ি বিস্ফোরণের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তাদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেছি। এই ঘটনার নেপথ্যে জড়িত প্রত্যেক অপরাধীকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছি। তারা এবার দেখবে আমাদের সংস্থাগুলির ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী প্রায় সকলেরই হুঁশিয়ারি, “আমাদের তদন্ত সংস্থাগুলি এই ষড়যন্ত্রের শেকড় পর্যন্ত যাবে। যারা এই ষড়যন্ত্রের জন্য দায়ী, তাদের সকলকে বিচারের আওতায় আনা হবে। একজনকেও ছেড়ে দেওয়া হবে না (Delhi Incident)।”

    তদন্তকারীদের অনুমান

    তদন্তকারীদের অনুমান, সোমবার সন্ধ্যায় লালকেল্লার সামনে একটি হুন্ডাই আই২০ গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। সেই গাড়িটিতে কে ছিল, তা এখনও স্পষ্ট করে জানাননি তদন্তকারীরা। বিস্ফোরণের পরে আশপাশের এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু (Amit Shah) করেছেন তদন্তকারীরা। সিসি ক্যামেরার একটি ফুটেজ ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, দুপুর থেকে সন্ধে পর্যন্ত ঘণ্টা তিনেক ধরে লালকেল্লার কাছে পার্কিংয়ে দাঁড়িয়েছিল গাড়িটি। গাড়িটিতে নীল-কালো রংয়ের টি-শার্ট পরা এক ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে সিসিটিভির ওই ফুটেজে। তবে ওই ব্যক্তিটি কে, তা এখনও জানাননি তদন্তকারীরা। সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, সিসি ক্যামেরায় প্রকাশ্যে আসা ফুটেজে দেখা গিয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামার এক চিকিৎসককে। ওই চিকিৎসকের নাম উমর মহম্মদ। তবে এখনও এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি।

    বিস্ফোরণের ভয়াবহতা

    প্রসঙ্গত, সোম-সন্ধ্যায় লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের এক নম্বর গেটের কাছে ওই হুন্ডাই গাড়িতে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ১৩ জনের। জখম হন বহু মানুষ। ঠিক কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্তভার ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে এনআইএর হাতে (Delhi Incident)।এই ঘটনার সূত্র ধরেই কাশ্মীরে নড়েচড়ে বসেছে নিরাপত্তা বাহিনীও। একাধিক এলাকায় রাতভর তল্লাশি চালিয়ে ছ’জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন পুলওয়ামার বাসিন্দা পেশায় চিকিৎসক উমর উন নবির তিন আত্মীয়ও (Amit Shah)। পুলিশ সূত্রে খবর, যে গাড়িটিতে বিস্ফোরণ ঘটেছিল, উমরই তার মালিক। ফারিদাবাদে ধৃত এক জঙ্গি মডিউলের সঙ্গে সে যোগাযোগ রাখত বলে অনুমান। সেই মডিউল থেকেই উদ্ধার হয়েছিল কমবেশি ২ হাজার ৯০০ কেজি বিস্ফোরক। তদন্তকারীদের দাবি, উমর এখনও নিখোঁজ। সে এই বিস্ফোরণকাণ্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সূত্র। তদন্তকারীদের মতে, লালকেল্লার মতো ঐতিহাসিক জায়গার কাছে এই বিস্ফোরণ কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। গোটা ঘটনার নেপথ্যে বৃহত্তর জঙ্গি চক্রান্ত রয়েছে বলেই আশঙ্কা গোয়েন্দাদের।

    উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক

    প্রসঙ্গত, দিল্লির বিস্ফোরণের দিনই ফরিদাবাদের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক তৈরির উপকরণ এবং প্রায় ২ হাজার ৯০০ কেজি আইআইডি তৈরির রাসায়নিক। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার যৌথ অভিযানে ধরা পড়ে জইশ-ই-মহম্মদ ও আনসার গজওয়াত-উল-হিন্দ যুক্ত মডিউলের এক চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিল। তদন্তকারীদের অনুমান, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত হয়েছিল অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ফুয়েল অয়েল, যা সচরাচর ব্যবহার করা হয় শিল্পক্ষেত্রে (Delhi Incident), জঙ্গিরা তাকে ব্যবহার করে শক্তিশালী বিস্ফোরক হিসেবেই (Amit Shah)।

  • Shaheen Shahid: ফরিদাবাদকাণ্ডে ধৃত চিকিৎসক শাহিন জইশের মহিলা ব্রিগেডের ভারতীয় শাখার প্রধান!

    Shaheen Shahid: ফরিদাবাদকাণ্ডে ধৃত চিকিৎসক শাহিন জইশের মহিলা ব্রিগেডের ভারতীয় শাখার প্রধান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজধানীতে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মহিলা চিকিৎসক শাহিন শাহিদকে (Dr Shaheena Shahid arrested) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, লখনউ-এর ওই চিকিৎসক পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ-এর (JeM) মহিলা সংগঠনের ভারতীয় শাখার প্রধান মুখ।

    জইশ-এর মহিলা ব্রিগেড গঠন

    পহেলগাঁও হামলার বদলা নিতে অপারেশন সিঁদুরে জইশের কোমর ভেঙে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। সেই অভিযানে মৃত্যু হয় মাসুদ আজাহারের পরিবারের ১১ সদস্যের। এর ঠিক পরই ভারতের বিরুদ্ধে বদলা নিতে মাসুদ আজাহারের বোন সাদিয়ার নেতৃত্বে নয়া মহিলা ব্রিগেড তৈরির ঘোষণা করে জইশ। ভাওয়ালপুরের মার্কাজ-উসমান-ও-আলি থেকেই এই সংগঠন তৈরি করা শুরু করে জইশ। নতুন এই মহিলা ব্রিগেডের নাম জামাত-উল-মোমিনাত। যার মাথায় বসানো হয় মাসুদ আজহারের বোন সাদিয়াকে। সূত্রানুসারে, শাহিন শাহিদকেই দেওয়া হয়েছিল এই ব্রিগেডের ভারতীয় শাখার দায়িত্ব। লখনউয়ের লালবাগের বাসিন্দা ছিল শাহিন। তার গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল। সে চিকিৎসক আল-ফালা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করত।

    শাহিন শাহিদ কে?

    দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, শাহিন শাহিদ ছিল জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের বোন সাদিয়া আজহারের অধীনে। সাদিয়া ‘জমাত উল-মোমিনাত’ নামে (JeM’s women’s wing, Jamaat ul-Mominaat) সংগঠনের মহিলা শাখাকে নেতৃত্ব দেয়। এই শাখাটি তৈরি করা হয় পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে, যেখানে মহিলাদের সংগঠনে নিয়োগের কাজ শুরু হয় গত অক্টোবর মাস থেকেই। জইশ সদস্যদের স্ত্রী ও দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের এই সংগঠনে নেওয়া হচ্ছিল। সাদিয়ার স্বামী ইউসুফ আজদার ছিল কান্দাহার বিমান অপহরণের ‘মাস্টারমাইন্ড’। অপারেশন সিঁদুরে সে খতম হয়। অনুমান করা হচ্ছে, আপাতত জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলিতে এই মহিলা ব্রিগেড নিজেদের জাল ছড়াতে শুরু করেছে। তবে সে জাল বেশিদূর অগ্রসর হওয়ার আগেই মাসুদের ‘জেনানা জেহাদি’দের সন্ত্রাসকে গোড়া থেকে উপড়ে ফেলতে কোমর বাঁধছে তদন্তকারীরা।

    শাহিনের বাড়ি উত্তরপ্রদেশে

    পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, শাহিন শাহিদের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের লালবাগে। আগে একটি বারবিকিউ রেস্তরাঁয় কাজ করত। পরে আল-ফলাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয় এবং সেখানে থেকেই সংগঠনের হয়ে কাজ শুরু করত বলে পুলিশ জানায়। ফরিদাবাদে (Faridabad Explosive) যখন বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়, তখন পুলিশের হাতে আসে শাহিনের নাম।

    সীমান্তের ওপারের হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ

    সূত্রের দাবি, জেইএম প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহারের বোন সাদিয়া আজহার-ই নাকি এই দায়িত্ব দিয়েছিল শাহিনকে। তদন্তকারীরা বিশ্বাস করছেন, শাহিন সীমান্তের ওপারের হ্যান্ডলারদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রাখত এবং সামাজিক মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদী মহিলাদের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করছিল। ধর্মশিক্ষার পাশাপাশি, জিহাদ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ রাখা হয় সিলেবাসে। সাদিয়ার পাশাপাশি, আর এক বোন সামাইরা আজহারকেও ওই আনলাইন কোর্স চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। পুলওয়ামার হামলাকালী উমর ফারুখের স্ত্রী আফরিরা ফারুখও জইশের মহিলা শাখায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে জানা যায়। আইসিস, এলটিটিই-র মতো মেয়েদের ফিদায়েঁ বা আত্মঘাতী বাহিনী তৈরি করাই লক্ষ্য তাদের।

    উদ্দেশ্য ছিল ভারতে আরও মহিলা সদস্য তৈরি করা

    এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, এদিকে ফরিদাবাদ থেকে যে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করার পর গ্রেফতার করা হয়েছে মুজাম্মিল গনি ওরফে মুসাইব নামে সন্দেহভাজন এক জঙ্গিকে। তার ভাড়াবাড়ির দু’টি ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক। উল্লেখ্য, সোমবার লালকেল্লার কাছে হওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। এটি সন্ত্রাসবিরোধী আইন। দিল্লির কোতোয়ালি থানা UAPA-এর ১৬, ১৮ ধারা, বিস্ফোরক আইন এবং বিএনএসের একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মুজাম্মিলকে জেরা করেই উঠে আসে শাহিনের নাম। পরে পুলিশ তাঁর মারুতি সুইফট গাড়িতে (HR 51) তল্লাশি চালিয়ে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল, একটি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের দাবি, শাহিন শাহিদ ভারতে থেকে জইশের মহিলা শাখা গঠনের কাজ করছিলেন। সংগঠনের উদ্দেশ্য ছিল ভারতে আরও মহিলা সদস্য তৈরি করা এবং ছোট ছোট ইউনিট গঠন করা।

  • Delhi Blast: বিশ্বকে চমকাতে ভারতের বুকে বিস্ফোরণ! নেপথ্যে কি সেই আমেরিকার হাত?

    Delhi Blast: বিশ্বকে চমকাতে ভারতের বুকে বিস্ফোরণ! নেপথ্যে কি সেই আমেরিকার হাত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুব শীঘ্রই ভারত (Delhi Blast) সফরে আসার কথা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Delhi Red Fort Explosion)। নতুন বছরের প্রথম দিকেই নয়াদিল্লি আসার কথা ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুরও। ভারতের এই দুই বন্ধু রাষ্ট্রনেতার সফরের ঠিক আগে আগেই খোদ দিল্লির বুকে জঙ্গিদের এই বিস্ফোরণ ঠিক কীসের ইঙ্গিত, উঠছে প্রশ্ন। সম্প্রতি দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলির হাতে একে একে ধরা পড়ছে মডিউলের মাস্টারমাইন্ডরা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তার জেরেই তড়িঘড়ি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেয় জঙ্গিরা।

    উদ্ধার বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক (Delhi Red Fort Explosion)

    সোমবার সকালেই দিল্লির উপকণ্ঠে ফরিদাবাদ থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের একটি দল হরিয়ানার ফরিদাবাদে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, একটি অ্যাসল্ট রাইফেল এবং প্রচুর গোলাবারুদ উদ্ধার করে। এর ঠিক পরেই সোমবারই সন্ধ্যায় জঙ্গিদের বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দিল্লি। এই দুই ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র স্পষ্ট। সূত্রের দাবি, দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হওয়ায় ভবিষ্যতের সিরিয়াল বিস্ফোরণ করার ছক ফাঁস হয়ে যায়। সেই কারণেই জঙ্গিরা তড়িঘড়ি করে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেয়। জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত গাড়িটি হরিয়ানার। সেটি তৈরি হয়েছিল ২০১৩ সালে। কেনা হয়েছিল জনৈক মহম্মদ সলমনের নামে।

    সন্ত্রাসের কোনও ধর্ম হয় না!

    ফি বারই জঙ্গি হামলার পরে বামেরা একটি তত্ত্ব বাজারে ছড়িয়ে দেন, সন্ত্রাসের কোনও ধর্ম হয় না এবং দরিদ্র পরিবারের ছেলেদের টাকার জন্য সন্ত্রাসের কাজে লাগানো হয়, এই জাতীয় নানা তত্ত্ব। কিন্তু গত কয়েকদিনে তদন্তকারীরা ফরিদাবাদ জঙ্গি মডিউলের দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, দুই কাশ্মীরি চিকিৎসক ডাঃ মুজাম্মিল শাকিল এবং ডাঃ আদিল রাথেরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার করা হয় ফরিদাবাদের বাসিন্দা শাকিলের সহযোগী মহিলা চিকিৎসক-শিক্ষক তথা জইশ-ই-মহম্মদের মহিলা ব্রিগেড ‘জামাত-উল-মোমিনাত’-এর ভারতীয় শাখার প্রধান শাহিন শাহিদকে। উঠে আসে আরও এক চিকিৎসক মহম্মদ উমরের নাম। সে ছিল পলাতক। সে-ই হল এই আত্মঘাতী জঙ্গি উমর। তদন্তকারীদের অনুমান, সঙ্গীরা গ্রেফতার হতেই উমর ভয় পেয়ে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায় লালকেল্লার কাছে (Delhi Red Fort Explosion)। এ থেকে স্পষ্ট যে, এরা তিনজনেই উচ্চ শিক্ষিত, পেশায় চিকিৎসক। এই বিস্ফোরণের পেছনেই বা কারা? এই জঙ্গিরা তো হাতের পুতুল। জেনে নেওয়া যাক, তাদের Delhi Blast) টিকিটা কোথায় বাঁধা।

    পুতিন-নেতানিয়াহু

    বছর শেষ হওয়ার আগেই ভারতে সফরে আসার কথা পুতিনের। আসার কথা নেতানিয়াহুরও। ইজরায়েলকে দুর্বল করতে ‘ইসলামিক ন্যাটো’ গঠনের ডাক দিয়েছে পাকিস্তান। সৌদি আরবের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি সই করে ইসলামাবাদ ওই কৌশল বাস্তবায়িত করতে পদক্ষেপ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, ‘অপারেশন সিঁদুরে’র পর থেকে রাওয়ালপিন্ডির সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিফ মুনির বারবার ভারতকে পরমাণু আক্রমণের হুমকি দিয়ে আসছেন। এই জটিল ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ইজরায়েল ও ভারত নিজেদের সম্পর্ক আরও মজবুত করতে তৎপর বলে মনে করা হচ্ছে। ইজরায়েলি সংবাদমাধ্যমের খবর, চলতি বছরের নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে ইজরায়েল থেকে নয়াদিল্লিতে আসার কথা ইহুদি নেতানিয়াহুর। এই সফরে সন্ত্রাস দমনে ভারতের সঙ্গে তাঁর একাধিক অত্যাধুনিক সামরিক সমঝোতার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ভারতের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ

    এদিকে, ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছে প্রেসিডেন্ট পুতিনও ভারত সফরের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। ক্রেমলিন সূত্রে খবর, এই সফরটি (Delhi Blast) সম্ভবত এই ডিসেম্বরেই হতে চলেছে। এই সফরকে গুরুত্বপূর্ণ ও ফলপ্রসূ করে তুলতে যথেষ্ট উদ্যোগী পুতিনও। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের অগাস্ট মাসে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল মস্কো সফরে গিয়েছিলেন। তখনই পুতিনের ভারত সফর নিয়ে আলোচনা হয়। ডিসেম্বরের ৫ থেকে ৬ তারিখের মধ্যে তিনি নয়াদিল্লি আসবেন বলে অনুমান। ডোভালের সঙ্গে বৈঠকের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাংহাই সামিটেও মুখোমুখি হয়েছিলেন পুতিন। সেখানে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে দীর্ঘ আলোচনাও হয় (Delhi Red Fort Explosion)। উল্লেখ্য যে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনায় ভারতের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ শুরু করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    পড়শি দেশে পুতুল সরকার

    পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশ, ভারতের এই দুই পড়শি দেশেই পুতুল সরকার বসিয়েছে আমেরিকা। বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূস কিংবা পাকিস্তানের শাহবাজ শরিফের সুতো রয়েছে আমেরিকার হাতে। ভারতেও পুতুল সরকার বানাতে চায় আমেরিকা। এশিয়া মহাদেশ কিংবা তামাম বিশ্বে ভারত বিশ্বশক্তি হয়ে উঠুক, এটা কখনওই চায়নি আমেরিকা। সেই কারণেই গত লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হারাতে কোমর কষে নেমে পড়েছিল মার্কিন প্রশাসন। যদিও, তাদের সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ভারতের শক্তিশালী নেতৃত্বের কারণেই কোনওভাবেই আমেরিকা কব্জা করতে পারছে না এশিয়ার এই শক্তিধর দেশটিকে। তার ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে চলতি বছর (Delhi Blast) অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে রাশিয়া থেকে রেকর্ড পরিমাণ হীরে, সোনা ও তেল আমদানি করেছে ভারত। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের অগাস্ট মাসেই রাশিয়ার হীরে রফতানি বেড়ে হয়েছে ৩১.৩ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। নানা সময় ভারত প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে ট্রাম্প প্রশাসনকে এই বার্তা দিয়েছে যে, আমেরিকার কথায় ভারতের বৈদেশিক নীতি ঠিক হবে না (Delhi Red Fort Explosion)। নয়াদিল্লি তার বিদেশ নীতি ঠিক করবে ভারতবাসীর ভালো-মন্দের কথা ভেবেই। এখানেই উঠছে সেই অমোঘ প্রশ্ন, রাশিয়া এবং ইজরায়েলের রাষ্ট্রনেতাদের সফরের আগে আমেরিকার মদতে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের দিয়ে এই সিরিয়াল বিস্ফোরণের ছক কষা হয়নি তো?

    সন্ত্রাসের ইন্সট্রুমেন্ট

    নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে সব সন্ত্রাসবাদী হামলায় পাকিস্তান হচ্ছে সন্ত্রাসের একটা ইন্সট্রুমেন্ট। আর তাকে পরিচালনা করছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। ভারতের (Delhi Blast) অভ্যন্তরে অস্থিরতা সৃষ্টি করাই তাদের মূল লক্ষ্য। সূত্রের খবর, দিল্লি বিস্ফোরণে যে গাড়িটি ব্যবহৃত হয়েছে, সেটির মালিক দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা পেশায় চিকিৎসক ওমর মহম্মদ। অর্থাৎ গাড়িটি হাতবদল হয়েছিল। জম্মু-কাশ্মীর ও হরিয়ানা পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয় দুই চিকিৎসক-জঙ্গিকে। তাতেই ঘাবড়ে গিয়েই উমর তড়িঘড়ি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেয় বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (Delhi Red Fort Explosion)।

    আমেরিকা এবং আমেরিকা

    সূত্রের দাবি, পরিকল্পনা অনুযায়ী, এটি ছিল সিরিয়াল বিস্ফোরণ হওয়ার কথা। কিন্তু ষড়যন্ত্রের অন্যতম দুই চাঁই ধরা পড়ে যেতেই তাড়াতাড়ি ঘটিয়ে দেওয়া হয় বিস্ফোরণ। এই বিস্ফোরণে যে পাকভূম ব্যবহার করা হয়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। পাকিস্তান সন্ত্রাসের একটা টুল মাত্র। এই টুল ব্যবহার করে কে? উত্তরটিও সকলেরই জানা! আমেরিকা। সম্প্রতি পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলেছে আমেরিকা। ইসলামাবাদের সেনাপ্রধান আসিফ মুনির আমেরিকায় গিয়ে ভারতকে হুমকি দিচ্ছেন। পাকিস্তানের এই সেনাপ্রধানের সঙ্গে ভোজ সেরেছেন মিস্টার প্রেসিডেন্ট! আমেরিকা তো বটেই, বিশ্বরাজনীতির ইতিহাসেও যা বিরলতম ঘটনা বলেই দাবি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের। এঁদের একটা বড় অংশেরই দাবি, এর আগে কোনও দেশের সেনা প্রধানের সম্মানে ভোজের আয়োজন করেননি আমেরিকার কোনও প্রেসিডেন্ট, যা করে দেখিয়েছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ট্রাম্পই আবার ভারতের (Delhi Blast) প্রধানমন্ত্রীকে ‘বন্ধু’ সম্বোধন করছিলেন। বন্ধুর বুকে ছুরি মারতেই কি আস্তিনে লুকানো বাঘনখ বের করছে আমেরিকা? চিনের পাশাপাশি ভারতও যাতে এশিয়ার অন্যতম শক্তিধর দেশ হয়ে আমেরিকার মাথাব্যথার কারণ হতে না পারে, তাই কি নয়াদিল্লিকে এভাবে অস্থির করে তুলতে চাইছে সিআইএ? কোটি টাকার এই প্রশ্নটাই এখন ঘোরাফেরা করছে ভারতের রাজনীতির আকাশে (Delhi Red Fort Explosion)।

LinkedIn
Share