Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • NDA: ঐতিহাসিক মাইলফলক! ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েট হলেন ১৭ মহিলা ক্যাডেটের প্রথম ব্যাচ

    NDA: ঐতিহাসিক মাইলফলক! ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েট হলেন ১৭ মহিলা ক্যাডেটের প্রথম ব্যাচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ঐতিহাসিক মাইলফলক এল দেশের সামরিক ইতিহাসে। পুণের ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েট হয়ে বের হল ১৭ মহিলা ক্যাডেটের প্রথম ব্যাচ (NDA)। এর পাশাপাশি গ্র্যাজুয়েট হলেন পুরুষ বিভাগেরও ৩০০ জন। ত্রি-সেবা প্রশিক্ষণ অ্যাকাডেমির ক্ষেত্রপাল প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘Antim Pag’ (শেষ ধাপ) পেরিয়ে যান এই ক্যাডেটরা। ২৯ মে পাসিং আউট প্যারেডের রিভিউ অফিসার হিসাবে হাজির ছিলেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল ভি কে সিং ও মিজোরামের বর্তমান রাজ্যপাল।

    ২০২১ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায় (NDA)

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ২০২২ সালে এনডিএ-র ১৪৮তম কোর্সে যোগ দিয়েছিলেন মহিলা ক্যাডেটের এই প্রথম ব্যাচ। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার ভিত্তিতেই ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে মহিলাদের আবেদনের অনুমতি দেয় ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (UPSC)। এরপরেই অ্যাকাডেমি ক্যাডেট ক্যাপ্টেন উদয়বীর নেগি ১৪৮ তম কোর্সের প্যারেডের নির্দেশ দেন।

    কী বললেন ভিকে সিং

    জেনারেল ভিকে সিং বলেন, ‘‘আজ অ্যাকাডেমির ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। কারণ, NDA থেকে বেরোল মহিলা ক্যাডেটদের প্রথম ব্যাচ। বৃহত্তর অন্তর্ভুক্তি এবং ক্ষমতায়নের দিকে আমাদের সম্মিলিত যাত্রায় এটি একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। এই তরুণীরা “নারী শক্তি”র অনিবার্য প্রতীক, যা কেবল নারী উন্নয়নই নয়, নারী-নেতৃত্বাধীন উন্নয়নেরও প্রতীক। আমি এমন একটি ভবিষ্যৎ কল্পনা করি, খুব বেশি দূরে নয়, যেখানে এই তরুণীদের মধ্যে একজন তাঁদের (Women Cadets) সেবার সর্বোচ্চ পদে উন্নীত হচ্ছেন।’’

    কী বললেন শ্রীতি দক্ষ

    ১৭ জন মহিলা-সহ মোট ৩৩৯ জন ক্যাডেটেরই দিল্লির জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে ৮৪ জন ক্যাডেট পেয়েছেন বিএসসি ডিগ্রি। ৮৫ জনকে দেওয়া হয়েছে কম্পিউটার সায়েন্সের ডিগ্রি, ৫৯ জনকে ব্যাচেলর অফ আর্টস ও ১১১ জন বি.টেক ডিগ্রি পেয়েছেন। ব্যাচেলর অফ আর্টস স্ট্রিমে শীর্ষ স্থান দখল করেছেন শ্রীতি দক্ষ। অ্যাকাডেমিতে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে দক্ষ বলেন, ‘‘এখানে তিন বছরের প্রশিক্ষণ আবেগের মিশ্রণ। প্রাথমিকভাবে এখানে আয়ত্ত করতে একটু সময় লেগেছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে আমরা অভ্যস্ত হয়ে উঠি। ইন্সট্রাক্টর, স্টাফদের সাহায্যে অ্যাকাডমির (NDA) সঙ্গে একাত্মবোধ করি।’’

    প্রসঙ্গত, একই স্কোয়াড্রনের এক্স-এনডিএ হলেন শ্রীতি দক্ষের বাবা । তিনি বলেন, ‘‘মেয়ে আমাদের পরিবারের ঐতিহ্য এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’’ জানা গিয়েছে, বি টেক স্ট্রিম থেকে নৌ ও বিমান বাহিনীর ক্যাডেটদের যথাক্রমে তাঁদের নিজ নিজ প্রাক-কমিশনিং প্রশিক্ষণ অ্যাকাডেমি- ভারতীয় নৌ অ্যাকাডেমি এবং বায়ুসেনা অ্যাকাডেমিতে এক বছরের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার পর তাঁদের ডিগ্রি প্রদান করা হবে।

  • Digipin: আসছে ডিজিপিন! আধার ও ইউপিআই-এর পর প্রধানমন্ত্রী মোদির পরবর্তী ডিজিটাল বিপ্লব

    Digipin: আসছে ডিজিপিন! আধার ও ইউপিআই-এর পর প্রধানমন্ত্রী মোদির পরবর্তী ডিজিটাল বিপ্লব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন এক যুগে প্রবেশ করতে চলেছে ভারতের ডিজিটাল পরিকাঠামো। আধার ও ইউপিআই-এর সাফল্যের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার চালু করতে চলেছে দেশের এক অন্যতম বৃহৎ ডিজিটাল গভর্নেন্স উদ্যোগ — ডিজিপিন বা ডিজিটাল পোস্টাল ইন্ডেক্স নম্বর (Digital Postal Index Number)। এটি দেশের প্রতিটি বাড়ি, দোকান, অফিস এমনকি প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও একটি ইউনিক ডিজিটাল ঠিকানা দেবে। এই প্রকল্পের নেতৃত্বে রয়েছে ডাক বিভাগ, আর গোটা প্রক্রিয়াটি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তত্ত্বাবধানে চলছে। লক্ষ্য একটাই — ভারতের অগোছালো ও অপরিকল্পিত ঠিকানা ব্যবস্থাকে একটি সুনির্দিষ্ট, নিরাপদ ও সঠিক ডিজিটাল কাঠামোয় রূপান্তর করা।

    ডিজিপিন কী এবং কেন তা গুরুত্বপূর্ণ?

    ডিজিপিন একটি ১০-অক্ষরের আলফানিউমেরিক কোড, যা উপগ্রহ চিত্রভিত্তিক অবস্থানের মাধ্যমে একটি সুনির্দিষ্ট কাঠামো — যেমন বাড়ি, দোকান, সরকারি অফিস ইত্যাদি — চিহ্নিত করবে। এটি প্রচলিত পিনকোডের মতো নয়, যেখানে একটি এলাকা জুড়ে একই পিনকোড ব্যবহৃত হয়। বরং, এটি প্রতিটি স্থাপনার নিজস্ব ডিজিটাল ঠিকানা হিসেবে কাজ করবে। এই প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রামীণ ভারতও ডিজিটাল ব্যবস্থার মূল স্রোতে আসবে। যেসব এলাকা আগে ঠিকানা না থাকার কারণে সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতো — যেমন জঙ্গলমহল, পাহাড়ি এলাকা, বা বস্তি অঞ্চল — সেখানেও পৌঁছবে সরকারি পরিষেবা, জরুরি উদ্ধার, স্বাস্থ্যসেবা ও অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি।

    গোপনীয়তা ও আইনি সুরক্ষা

    ডিজিপিন হবে ব্যক্তি সম্মতিভিত্তিক ব্যবস্থা। কোনো ব্যক্তি তাঁর ডিজিটাল ঠিকানা কেবল তখনই শেয়ার করবেন, যখন তিনি নিজে সম্মতি দেবেন। এই দৃষ্টিভঙ্গি বর্তমানে প্রচলিত ঠিকানা ব্যবস্থার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা, যেখানে ই-কমার্স ও ডেলিভারি কোম্পানিগুলি নির্বিচারে ঠিকানা সংগ্রহ ও বিক্রি করে থাকে। ডিজিপিন চালুর ফলে এই অনিয়ন্ত্রিত ঠিকানা ব্যবহারের প্রথার উপরে কড়া নিয়ন্ত্রণ আসবে। একইসঙ্গে ভুয়ো ঠিকানা ব্যবহার করে অপরাধ, দুর্নীতি কিংবা সীমান্তে অনুপ্রবেশের মতো ঘটনা রুখতেও সাহায্য করবে এটি।

    অর্থনৈতিক সাশ্রয়

    সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতের বর্তমান অপর্যাপ্ত ঠিকানা ব্যবস্থার কারণে প্রতি বছর ১০–১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয় — যা দেশের জিডিপির প্রায় ০.৫ শতাংশ। ডিজিপিন চালুর ফলে পরিষেবা প্রদান, পণ্য ডেলিভারি, সরকারি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও জরুরি সেবায় অভূতপূর্ব গতি আসবে। ডাক বিভাগ ইতিমধ্যে একটি খসড়া নীতিমালা প্রস্তুত করছে। এ নিয়ে গঠিত হবে একটি বিশেষ ডিজিটাল অ্যাড্রেস বা ডিপি অথরিটি, যা পুরো ব্যবস্থাপনাও নিয়ন্ত্রণ করবে। এ নিয়ে আগামী শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে আইন পেশ করা হতে পারে। যেভাবে আধার ভারতবাসীকে একটি আনুষ্ঠানিক পরিচয় দিয়েছে, এবং ইউপিআই ডিজিটাল অর্থনীতির সঙ্গে সংযুক্ত করেছে — ঠিক সেইভাবে ডিজিপিন ভারতের প্রতিটি বাড়িকে ডিজিটাল জাতির অংশ করে তুলবে। এই উদ্যোগ কেবল প্রযুক্তি নয়, বরং অধিকার, অন্তর্ভুক্তি ও সমান সুযোগ নিশ্চিত করার এক সাহসী পদক্ষেপ।

  • India Pakistan Relation: ‘জঙ্গিদের হস্তান্তর করুন, পিওকে খালি করে দিন’ শরিফের প্রস্তাবের জবাবে ভারতের স্পষ্ট বার্তা

    India Pakistan Relation: ‘জঙ্গিদের হস্তান্তর করুন, পিওকে খালি করে দিন’ শরিফের প্রস্তাবের জবাবে ভারতের স্পষ্ট বার্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান (India Pakistan Relation) আলোচনা নিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের প্রস্তাবকে ফিরিয়ে দিল নয়াদিল্লি। সাউথ ব্লক ফের স্পষ্ট জানিয়ে দিল, ‘সন্ত্রাসবাদ ও আলোচনা কখনওই এক সঙ্গে চলতে পারে না। এই বৈঠক প্রসঙ্গে ভারতের অবস্থান একেবারে স্পষ্ট। কয়েক বছর আগে পাকিস্তানের হাতে যে দাগী সন্ত্রাসবাদীগুলির তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছিল, তাদের আমাদের হাতে তুলে দিক। তবেই আলোচনা হতে পারে।’ বিদেশমন্ত্রকের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ‘যদি বৈঠকে জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা করতে হয়, তবে তার আগে আমাদের পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ফিরিয়ে দিক।’

    শরিফের প্রস্তাব নাকচ করল নয়া দিল্লি

    পাক প্রধানমন্ত্রী (India Pakistan Relation) শেহবাজ শরিফ সম্প্রতি ইরান সফরের সময় বলেন, “দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানে আমরা ভারতের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত।” শরিফ বলেন, “জল নিরাপত্তা এবং কাশ্মীর সহ দীর্ঘদিনের ইস্যুগুলি নিয়ে আলোচনার জন্য পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত।” আন্তর্জাতিক মহলের দাবি, মূলত ইরানের রাষ্ট্রপতির চাপেই এই বুলি বলতে বাধ্য হয়েছে শরিফ। এর পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রকের (MEA) মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে জানান, “সন্ত্রাস এবং আলোচনা একসাথে চলতে পারে না—এ বিষয়ে ভারতের অবস্থান সবসময় স্পষ্ট ও স্থির। আমরা আবারও বলছি, পাকিস্তানকে সেই সন্ত্রাসীদের আমাদের হাতে তুলে দিতে হবে, যাদের তালিকা আমরা বহু বছর আগে তাদের কাছে হস্তান্তর করেছি।” তিনি আরও জানান, “জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে কোনো আলোচনা হতে পারে শুধুমাত্র সেই প্রক্রিয়া এবং সময়রেখা নিয়ে—যার মাধ্যমে পাকিস্তান পাক অধিকৃত কাশ্মীর খালি করবে।”

    ভারতের কড়া জবাব

    জয়সওয়াল আরও বলেন, “সিন্ধু জলচুক্তি আপাতত স্থগিত থাকবে, যতক্ষণ না পাকিস্তান দৃঢ়ভাবে ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসে সমর্থন বন্ধ করে।” তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা উদ্ধৃত করে বলেন, “সন্ত্রাস ও আলোচনা একসাথে চলতে পারে না, সন্ত্রাস ও বাণিজ্য একসাথে চলতে পারে না, জল ও রক্ত একসাথে প্রবাহিত হতে পারে না।” ভারতের কড়া জবাব স্পষ্ট করে দিল, কোনো আলোচনা হতে হলে প্রথমে পাকিস্তানকে কার্যকর পদক্ষেপ করতে হবে।

    পাকিস্তান-বাংলাদেশকে একযোগে আক্রমণ

    বৃহস্পতিবার পাকিস্তান-বাংলাদেশকে একযোগে আক্রমণ করে নয়াদিল্লি। প্রতিদিনের মতোই এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। সেখানেই দুই দেশকে এক সুতোয় টেনে আক্রমণ করেন তিনি। প্রথমেই ফিরিয়ে দেন শরিফের প্রস্তাব। তারপরেই নস্য়াৎ করেন ইউনূসের অযৌক্তিক দাবিকে। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের (India Pakistan Relation) পাশাপাশি বাংলাদেশের দিকেও তোপ দেগেছে বিদেশমন্ত্রক। এদিন মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল ভারতের বিরুদ্ধে ইউনূসের তোলা অভিযোগগুলি নস্যাৎ করে বলেন, ‘বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা ও শাসন সংক্রান্ত সমস্যার দায় শুধুমাত্র সেই দেশের সরকারের উপরেই বর্তায়। যদি কেউ বলে যে বহিরাগতের কারণে বা অন্য কেউ এই অস্থিরতা তৈরি করছে। তা হলে বলব, আসলে তারা মানুষের নজর ঘোরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।’ ওয়াকিবহাল মহল বলছে, পাকিস্তান ঠিক যেমন নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার দায় ভারতের দিকে ঠেলে দেয়। একই পথ অবলম্বন করেছে বাংলাদেশও। এবার সেই কৌশলকেই ভাঙল নয়াদিল্লি।

  • Operation Shield: শনিতে ফের মক ড্রিল! পাকিস্তান লাগোয়া ছয় রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হবে ‘অপারেশন শিল্ড’

    Operation Shield: শনিতে ফের মক ড্রিল! পাকিস্তান লাগোয়া ছয় রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হবে ‘অপারেশন শিল্ড’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক যুদ্ধবিরতি (India-Pak Ceasefire) সত্ত্বেও পাকিস্তান লাগোয়া রাজ্যগুলিতে হামলার হুমকি রয়েই গিয়েছে। যে কারণে বাছাই করা কিছু এলাকায় যুদ্ধপরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি বৃদ্ধি এবং সেই এলাকাগুলির বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে মহড়া পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। ৩১ মে সন্ধ্যায় গুজরাট (Gujarat), পাঞ্জাব (Punjab), রাজস্থান (Rajasthan), জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu Kashmir), হরিয়ানা এবং চণ্ডীগড়ে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় ‘অপারেশন শিল্ড’ (Operation Shield) মক ড্রিল (Mock Drill) হবে বলে জানা গিয়েছে। নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর তরফে জানা গিয়েছে, পাকিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন জেলাগুলিতে এখন প্রতি মাসেই এমন মহড়া চলবে। সেই সময় প্রশাসন যা যা নির্দেশ দেবে, তাই মেনে চলতে হবে বলে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে।

    কেন ‘অপারেশন শিল্ড’?

    মে মাসের শুরুতেও ভারতের বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের মক ড্রিল হয়েছিল। ৭ থেকে ১০ মে, চার দিনব্যাপী ভারত-পাক সংঘর্ষে পাকিস্তানি রেঞ্জার্সদের নাগাড়ে গোলাগুলিতে ব্যাপক ক্ষতি হয় বেশ কয়েকটি গ্রামের। বহু ভারতীয় নাগরিকের প্রাণও গিয়েছে বলে জানায় ভারতীয় সেনা। পরবর্তীতে যাতে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে এমন ঘটনা না ঘটে তাই এই ‘অপারেশন শিল্ড’ (Operation Shield) মহড়া শুরু করেছে ভারত। সূত্রের খবর, এই মহড়ার প্রাথমিক উদ্দেশ্য আকাশপথে হামলার সময়ে কন্ট্রোল রুম এবং সতর্কতা ব্যবস্থার কার্যকারিতা পরীক্ষা করা। এ ছাড়াও বিপর্যয় মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবী পরিষেবা, অসামরিক প্রতিরক্ষা পরিষেবা, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, উদ্ধার কাজ পরিচালনা এবং বাসিন্দাদের নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে দেশ কতটা প্রস্তুত তারই মূল্যায়ন করা হবে।

    কী এই ‘অপারেশন শিল্ড’?

    ‘অপারেশন শিল্ড’ (Operation Shield) হল ভারতের সিভিল ডিফেন্স প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা শত্রুপক্ষের বিমান হামলা, ড্রোন অনুপ্রবেশ, ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ, এবং নাগরিকদের জরুরি স্থানান্তর ও সতর্কতা ব্যবস্থার মতো বিভিন্ন পরিস্থিতিতে প্রতিক্রিয়ার ক্ষমতা পরখ করার লক্ষ্যে গৃহীত হয়েছে। একজন উচ্চপদস্থ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্মকর্তা বলেন, “এই মহড়ার লক্ষ্য হল সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে আমাদের নাগরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কতটা প্রস্তুত, তা যাচাই করা। এই অঞ্চলগুলো দেশের প্রতিরক্ষায় ‘বাফার জোন’ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।” প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসন, রাজ্য পুলিশ এবং সিভিল ডিফেন্স ইউনিট যৌথভাবে এই মহড়া পরিচালনা করবে।

    কেন সীমান্ত রাজ্যগুলোতে জোর?

    সীমান্তবর্তী রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোতে এই মহড়া সীমাবদ্ধ রাখার পেছনে সরকারের মূল যুক্তি হলো, এই এলাকাগুলোই সম্ভাব্য সংঘাতের প্রথম ধাক্কা সামলাবে। একজন ঊর্ধ্বতন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, “এই রাজ্য ও অঞ্চলগুলো দেশের প্রতিরক্ষার প্রথম স্তর। তাই এখানকার নাগরিক ও প্রশাসনের প্রস্তুতি নিশ্চিত করাই আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার।” স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে যাতে তারা সিভিল ডিফেন্স স্বেচ্ছাসেবকদের সক্রিয় করে এবং জরুরি পরিষেবার সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করে। অগ্নি নির্বাপন বাহিনী, চিকিৎসা দল এবং পুলিশ বাহিনী এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করবে। প্রশাসন সাধারণ নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন মহড়ার সময় সরকারকে সহযোগিতা করে এবং সব ধরনের সরকারি নির্দেশ মেনে চলে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, “এটি একটি আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং জাতীয় নিরাপত্তা কাঠামো আরও শক্তিশালী করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

    মক ড্রিলের উদ্দেশ্য কী?

    মক ড্রিল হলো একটি সিমুলেটেড প্রশিক্ষণ, যার লক্ষ্য সিভিলিয়ান, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মী এবং জরুরি পরিষেবা দলগুলিকে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি, সন্ত্রাসী হামলা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য প্রস্তুত করা। এই মহড়ার মাধ্যমে এয়ার রেইড সাইরেন, ব্ল্যাকআউট প্রোটোকল, নাগরিক স্থানান্তর, এবং বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় পরীক্ষা করা হয়। ‘অপারেশন শিল্ড’-এর উদ্দেশ্য হলো সীমান্তবর্তী এলাকায় জরুরি প্রতিক্রিয়া ক্ষমতা বাড়ানো এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা, যাতে তারা শত্রুপক্ষীয় হামলা বা অন্যান্য সংকটের সময় নিজেদের রক্ষা করতে পারে। এই ধরনের মহড়া জনগণের মধ্যে আতঙ্ক প্রতিরোধ এবং সংকটকালীন পরিস্থিতিতে শান্ত ও সংগঠিত প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করে।

    ‘অপারেশন শিল্ড’-এর গুরুত্ব

    ‘অপারেশন শিল্ড’ (Operation Shield) ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা এবং জরুরি প্রস্তুতির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলা এবং তার পরবর্তী অপারেশন সিঁদুরের প্রেক্ষাপটে এই মক ড্রিল সীমান্তবর্তী এলাকায় নাগরিক এবং প্রশাসনের প্রস্তুতি জোরদার করবে। এটি শুধুমাত্র প্রশাসনিক সমন্বয়ই নিশ্চিত করবে না, বরং জনসাধারণের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করবে যে তারা যেকোনো সংকটের জন্য প্রস্তুত। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার এই সময়ে, এই ধরনের প্রস্তুতি দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে।

  • AMCA Programme: নির্মাণে হাত মেলাচ্ছে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, অ্যামকার ৫টি প্রোটোটাইপ মডেলকে অনুমোদন কেন্দ্রের

    AMCA Programme: নির্মাণে হাত মেলাচ্ছে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, অ্যামকার ৫টি প্রোটোটাইপ মডেলকে অনুমোদন কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন থমকে থাকার পর অবশেষে গতি পেতে চলেছে দেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান নির্মাণের কাজ। এবার সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভারতের অ্যামকা যুদ্ধবিমান (AMCA Programme) তৈরি করবে। প্রথম ধাপ হিসেবে চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে ভবিষ্যতের যুদ্ধবিমানের পাঁচটি প্রোটোটাইপ।

    মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের ইতিহাসে একটি মাইলফলক!

    মূল উৎপাদন শুরু করার আগে, অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্র্যাফটের (অ্যামকা) ৫টি প্রোটোটাইপ উৎপাদন করবে ভারত। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তিনি বলেন, ‘‘অ্যামকা প্রকল্পের (AMCA Programme) অধীনে পাঁচটি প্রোটোটাইপ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে যা পরবর্তীতে সিরিজ উৎপাদনে যাবে।’’ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, সরকার ইতিমধ্যেই অ্যামকা-র জন্য একজিকিউটিভ বা কার্যকারী মডেল অনুমোদন করেছে। তিনি বলেন, ‘‘আপনারা জেনে খুশি হবেন যে মাত্র দুই দিন আগে, অ্যামকা প্রকল্পের আওতায় সম্পূর্ণরূপে ভারতে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান (AMCA Programme) তৈরির জন্য কার্যকারী মডেল অনুমোদিত হয়েছে।’’ রাজনাথ (Rajnath Singh) যোগ করেন, ‘‘এই সিদ্ধান্তকে মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। কারণ প্রথম বার, দেশের একটি মেগা প্রতিরক্ষা প্রকল্পে সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাকে হাতে হাত মিলিয়ে অংশগ্রহণ করতে দেখা যাবে।’’ এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল) ও একাধিক বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই অ্যামকা তৈরি করছে অ্যারোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি। সূত্রের খবর, সব ঠিকঠাক চললে, প্রথম প্রোটোটাইপটি ২০২৮ থেকে ২০২৯ সালের মধ্যে উন্মোচিত হওয়ার কথা। আর সিরিজ উৎপাদন ২০৩২ থেকে ২০৩৩ সালের মধ্যে শুরু হওয়ার কথা।

    অন্যদের থেকে প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে থাকবে অ্যামকা!

    অ্যামকা (AMCA Programme) নির্মাণে একাধিক বিষয় মাথায় রাখা হচ্ছে। সবচেয়ে বড় বিষয়, এটি হতে চলেছে স্টেলথ মাল্টিরোল কমব্যাট ফাইটার। বিভিন্ন মিশনে বিভিন্ন সম্ভাব্য ভূমিকার কথা মাথায় রেখে নির্মাণ করা হবে এই ভবিষ্যতের জেটকে। যেমন— এয়ার সুপ্রিমেসি (ডগফাইটে ওস্তাদ) থেকে শুরু করে ভূমিতে-আক্রমণ (বম্বার)। আবার শত্রু আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়া (সিড) থেকে শুরু করে শত্রুর যোগাযোগ ব্যবস্থাকে তছনছ করা (ইলেকট্রনিক যুদ্ধকৌশল)— এক হাতে সব সামলাতে পারবে অ্যামকা (AMCA Programme)। অর্থাৎ, এক কথায় সর্বগুণস্পন্ন হতে চলেছে ভারতের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান, যা অন্য দেশের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের তুলনায় কয়েক কদম এগিয়ে। এমনকি, ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের সঙ্গে তুল্যমূল্য হবে অ্যামকা। যে কারণে, অ্যামকার নকশায় একাধিক সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও বদল আনা হয়েছে। যেমন— টুইন-টেইল লেআউটের মাধ্যমে স্টেলথ রেডার, প্ল্যাটফর্ম এজ অ্যালাইনমেন্ট অ্যান্ড সেরেশন, বডি কনফর্মাল অ্যান্টেনা অ্যান্ড লো ইন্টারসেপ্ট রেডার, ডাইভার্টারলেস সুপারসনিক ইনলেট (DSI) সার্পেন্টাইন ডাক্ট যা ইঞ্জিন ফ্যান ব্লেডকে আড়াল করবে, ইন্টার্নাল ওয়েপন্স বে, এবং এয়ারফ্রেমে কম্পোজিটের (কার্বনের যৌগ দিয়ে তৈরি) ব্যাপক ব্যবহার।

  • Russia: ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পরিমাণ বাড়াল ভারত

    Russia: ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পরিমাণ বাড়াল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে উপেক্ষাই করে চলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি! ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মস্কোর (Russia) বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির হুমকি দিয়েছেন। তাকে উপেক্ষা করেই এই মে মাসে ভারতীয় তেল শোধনাগারগুলি (Indian Refiners) রাশিয়া থেকে সব চেয়ে বেশি পরিমাণ অপরিশোধিত তেল কিনেছে। এই পরিমাণ মোট মাসিক আমদানির প্রায় ৪০ শতাংশ।

    কী বলছে কেপলার? (Russia)

    বৈশ্বিক বাণিজ্য ডেটা বিশ্লেষক সংস্থা কেপলার জানিয়েছে, এপ্রিল মাসে রাশিয়া ভারতে পাঠিয়েছিল প্রতিদিন ১.৯৩ মিলিয়ন ব্যারেলের চেয়ে বেশি তেল। আর ২৮ মে পর্যন্ত প্রতিদিন তারা সরবরাহ করেছে ১.৯৫ মিলিয়ন ব্যারেল। বাজারে সব চেয়ে সস্তা তেল আমদানির নীতিই অনুসরণ করেছে নয়াদিল্লি। রাশিয়া ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ যেমন, ইরাক, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকেও তেলের আমদানি বাড়িয়েছে ভারত। প্রত্যাশিতভাবেই আগের তুলনায় কমে গিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, নাইজেরিয়া, অ্যাঙ্গোলা এবং কুয়েত থেকে তেল আমদানি। প্রসঙ্গত, ভারতে প্রায় ৯০ শতাংশ তেলের চাহিদাই আমদানির ওপর নির্ভর করে। তাই এটি বিশ্বের বৃহত্তম তেল আমদানিকারী দেশগুলির একটি।

    তেল কেনা চালিয়ে গিয়েছে ভারত

    রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি সত্ত্বেও ভারত মস্কো থেকে তেল কেনা চালিয়ে গিয়েছে মূলত কমদামের জন্য, বিশেষ করে সাওয়ার গ্রেডের উরাল অঞ্চলের অপরিশোধিত তেলে। প্রসঙ্গত, রাশিয়া ও ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় সম্মত না হওয়ায় গত ২৬ মে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে পাগল আখ্যা দেন। তিনি মস্কোর (Russia) ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির হুমকিও দেন। উল্লেখ্য, রাশিয়ান তেলের ওপর ইতিমধ্যেই আমেরিকার পক্ষ থেকে একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চলতি বছরের জানুয়ারিতে রুশ তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গাজপ্রম নেফট এবং সুরগুতনেফতেগাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। এর পাশাপাশি মস্কো থেকে তেল পরিবহণকারী প্রায় ১৮০টি ট্যাঙ্কারের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এদিকে, জি-৭ দেশগুলি রফতানি করা রুশ তেলের প্রতি ব্যারেলের মূল্য ধার্য করেছে ৬০ মার্কিন ডলার (Indian Refiners)।

    কী বলছেন সুমিত রিতোলিয়া

    কেপলারের প্রধান তথ্য বিশ্লেষক সুমিত রিতোলিয়া বলেন, “এটি (রাশিয়ান তেল আমদানির উচ্চ হার) ভারতের রাশিয়ান ব্যারেলের ওপর স্থায়ী নির্ভরশীলতা প্রতিফলিত করে, যার পেছনে রয়েছে উল্লেখযোগ্য মূল্যছাড় এবং লজিস্টিক সুবিধা। মোট আমদানির ৭৫ শতাংশ ছিল উরাল গ্রেড, যা সবচেয়ে পছন্দের তেলের তালিকায় শীর্ষে। এরপরেই ছিল সিপিসি এবং ইএসপিও (মিষ্টি গ্রেডের তেল)।” তিনি জানান, মে মাসে উরালের গড় ফ্রি অন বোর্ড মূল্য ছিল প্রতি ব্যারেল প্রায় ৫০ ডলার, যা পশ্চিমি মিত্রদের নির্ধারিত ৬০ ডলারের মূল্যমানের অনেক নীচে। নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সেগুলির প্রয়োগ এখনও দুর্বল। তাই ভারতীয় তৈল পরিশোধনাগারগুলি রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলের নিয়মিত প্রবেশাধিকার বজায় রাখতে পারছে (Russia)।”

    অপরিশোধিত তেল আমদানির পরিমাণ

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় তৈল পরিশোধনাগারগুলির মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি যেমন, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন, ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন এবং হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং রোসনেফ্ট-সমর্থিত নয়ারা এনার্জি (Indian Refiners)। রিতোলিয়া বলেন, “মে মাসে ভারতে তৈল পরিশোধনাগারের রক্ষণাবেক্ষণজনিত বন্ধের হার এপ্রিলের তুলনায় কম ছিল। তাই অপরিশোধিত তেল আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। রিলায়েন্সের জামনগর রিফাইনারি এপ্রিলের শেষ নাগাদ পরিকল্পিত রক্ষণাবেক্ষণ কাজ সম্পন্ন করেছে। যার ফলে মে মাসে তেলের গ্রহণক্ষমতা বেড়েছে। এটি ভারতের স্বাভাবিক রিফাইনারি রক্ষণাবেক্ষণ চক্রের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেখানে বেশিরভাগ রক্ষণাবেক্ষণ কাজকর্ম এপ্রিল বা মে মাসের শুরুতেই শেষ হয় (Russia)।”

    আমদানির পরিমাণ মধ্য প্রাচ্য থেকে

    জানা গিয়েছে, মে মাসে ভারত প্রতিদিন ১০.৯ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে ইরাক থেকে, সৌদি আরব থেকে আমদানি করেছে ৫.৬৮ লাখ ব্যারেল, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে আমদানি করেছে ৪.৯৫ লাখ ব্যারেল এবং ২.২৮ লাখ ব্যারেল আমদানি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। অথচ, এপ্রিল মাসে ভারতের তেল আমদানির পরিমাণ ছিল ইরাক থেকে ৮.৩৫ লাখ ব্যারেল, সৌদি আরব থেকে ৫.৩৯ লাখ ব্যারেল, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে ২.৬৮ লাখ ব্যারেল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩.৩৭ লাখ ব্যারেল (Indian Refiners)।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাশিয়ান তেলের পাশাপাশি ভারত এখন মধ্যপ্রাচ্য মায় আমেরিকা থেকেও আমদানির পরিমাণ বাড়াচ্ছে। এতে আদতে আসছে ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি মোকাবিলার কৌশলগত বৈচিত্র্য। অর্থনৈতিক প্রয়োজনীয়তা পূরণের দিকটিও রয়েছে (Russia)।

  • Rajnath Singh: “পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ একদিন ভারতেই ফিরে আসবেন,” প্রত্যয়ী রাজনাথ

    Rajnath Singh: “পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ একদিন ভারতেই ফিরে আসবেন,” প্রত্যয়ী রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) মানুষ ভারতীয় পরিবারের অঙ্গ। নিজে থেকেই তাঁরা একদিন ভারতে ফিরে আসবেন।” বৃহস্পতিবার এমনই মন্তব্য করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। এদিনের অনুষ্ঠান থেকে সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে পাকিস্তানকেও নিশানা করেন তিনি। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ইসলামাবাদের সঙ্গে একমাত্র কথা হতে পারে সন্ত্রাসবাদ ও পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে।

    সন্ত্রাসবাদ ও কাশ্মীর সমস্যা (Rajnath Singh)

    প্রসঙ্গত, ভারত বার বার দাবি করেছে, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসলে কেবল দুটি বিষয়েই আলোচনা হতে পারে –সন্ত্রাসবাদ ও কাশ্মীর সমস্যা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও নয়াদিল্লির সঙ্গে বৈঠকে বসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “বাণিজ্য এবং সন্ত্রাসবাদ পাশাপাশি চলতে পারে না। জল ও রক্ত পাশাপাশি বইতে পারে না।” এদিন সিআইআই বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন রাজনাথ। সেখানেই তিনি বলেন, “আমি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষদের আপন বলেই মনে করি। ওঁরা আমাদের পরিবারেরই অঙ্গ। আমার বিশ্বাস, আমাদের যে ভাইরা ভৌগোলিক ও রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছেন, একদিন তাঁরা নিজেদের মনের তাগিদেই ভারতের মূল স্রোতে ফিরে আসবেন।”

    রাজনাথের বক্তব্য

    পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সিংহভাগ মানুষই যে ভারতের সঙ্গে গভীর সংযোগ অনুভব করেন, এদিন তাও জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “সেখানকার কিছু মানুষকেও ভুল বোঝানো হয়েছে। কিন্তু তাঁরাও সঠিক পরিস্থিতি বুঝতে পারবেন এবং ভারতে ফিরে আসবেন।” রাজনাথ বলেন, “ভারত সব সময় হৃদয়ের বন্ধনের কথা বলে। আমাদের বিশ্বাস, ভালোবাসা এবং সত্যের পথে হেঁটেই একদিন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ ভারতে ফিরবেন এবং বলবেন, আমরা ভারতীয়। সেই দিন খুব বেশি দূরে নেই (Rajnath Singh)।” এদিন সন্ত্রাসবাদ নিয়েও পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজনাথ। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের জন্য চড়া মূল্য চোকাতে হবে পাকিস্তানকে। অপারেশন সিঁদুরের পর সেটা উপলব্ধি করেছে ইসলামাবাদ। ভারতের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরিচয়ও এই অভিযানের মাধ্যমে পাকিস্তান-সহ গোটা বিশ্ব পেয়ে গিয়েছে।”

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় মৃত্যু হয় ২৭ জন হিন্দুর। বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদেরই হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এরপর প্রত্যাঘাত করে ভারত। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। এই অভিযানেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (POK) জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত (Rajnath Singh)।

  • Pak Spy in India: হিমাচলে ধৃত যুবক, পাক গুপ্তচর সন্দেহে রাজস্থানে আটক প্রাক্তন কংগ্রেস মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক

    Pak Spy in India: হিমাচলে ধৃত যুবক, পাক গুপ্তচর সন্দেহে রাজস্থানে আটক প্রাক্তন কংগ্রেস মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের (ISI) হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহে (Spying for Pakistan) আটক করা হল রাজস্থানের (Rajasthan) সরকারি কর্মচারী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতার প্রাক্তন আপ্তসহায়ককে। ধৃত ব্যক্তির নাম সাকুর খান মাঙ্গালিয়া (Sakur Khan Mangaliya)। বুধবার রাজস্থানের সিআইডি এবং জয়পুরের অন্যান্য বিশেষ গোয়েন্দা দল জয়সলমেরের এক সরকারি দফতর থেকে ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে। পাক গুপ্তচর (Pak Spy in India) সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে হিমাচলপ্রদেশের এক যুবককেও। নাম অভিষেক, হিমাচলেরই দেহরা এলাকার বাসিন্দা।

    প্রাক্তন কংগ্রেস মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক

    সূত্রের খবর, ধৃত সাকুর খান মাঙ্গালিয়া জয়সলমেরের বাসিন্দা। বর্তমানে রাজস্থানের কর্মসংস্থান দফতরে কর্মরত তিনি। পূর্বে তিনি কংগ্রেস সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী শালে মোহাম্মদের আপ্তসহায়ক হিসেবে কাজ করেছেন। ধৃত ব্যক্তি সন্দেহজনক কার্যকলাপে জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা। গোপন সূত্রে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছিলেন, পাক দূতাবাসের এক আধিকারিকের পাশাপাশি আইএসআইয়ের সঙ্গেও সম্ভাব্য যোগসূত্র রয়েছে সাকুরের। এই তথ্য পাওয়ার পর থেকেই তাঁর উপর নজর রাখছিল বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। সাকুরের মোবাইলে একাধিক পাকিস্তানি নম্বর পেয়েছে তদন্তকারীরা। নম্বরগুলি তাঁর মোবাইলে কী করছে, সেই ব্যাখ্যা তিনি দিতে পারেননি বলেই খবর। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের সময় অতীতে ৬-৭ বার পাকিস্তানে যাওয়ার কথাও স্বীকার করেছেন সাকুর।

    সাকুরের ফোন বাজেয়াপ্ত

    পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ছদ্মবেশধারী পাক গুপ্তচরদের অনুসন্ধান। প্রতিদিনই দেশের কোন না কোনও প্রান্তে পাকড়াও হচ্ছে পাক গুপ্তচররা। তবে সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত তাঁর মোবাইলে কোনও সামরিক সম্পর্কিত ভিডিও বা সংবেদনশীল বিষয়বস্তু পাওয়া যায়নি। তবে দাবি, ডিভাইসে থাকা অনেক তথ্যই মুছে ফেলা হয়েছে। সাকুরের দু’টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সহ আর্থিক লেনদেনের রেকর্ডও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সাকুরকে আটক করার বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার সুধীর চৌধুরী বলেন, ‘সন্দেহজনক কার্যকলাপে জড়িত থাকার বিষয়ে সদর দফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আমরা সাকুরকে আটক করেছি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’ তদন্তের স্বার্থে তাঁর ফোনটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, অপারেশন সিঁদুর অভিযানের সময় সাকুর জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমে ছিলেন। তাঁর আচরণ সন্দেহজনক বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

    হিমাচল প্রদেশের এক যুবককে গ্রেফতার

    পাক গুপ্তচর (Pakistani Spy) সন্দেহে অভিষেক নামে হিমাচল প্রদেশের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি, এই ব্যক্তি বিভিন্ন সংবেদনশীল তথ্য পাকিস্তানের কাছে পাচার করছিলেন। বুধবার কাংড়া জেলার উনা-কাংড়া সীমান্তবর্তী এলাকায়, শ্রীমাতা চিন্তাপূর্ণী মন্দির থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। দেহরা সিটি পুলিশের এসপি ময়ঙ্ক চৌধুরী জানান, “গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা অভিযানে নেমেছিলাম এবং সফলভাবে অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হয়েছে। তাঁর মোবাইল ফোন থেকে গুপ্তচরবৃত্তির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।” এসপি আরও জানান, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (Bharatiya Nyaya Sanhita)-এর ধারা ১৫২-এর অধীনে মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁর মোবাইল ফোনটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে, যাতে আরও তথ্য উঠে আসে।

    সাধারণের ভিতরেই চর

    অভিযুক্ত অভিষেক স্থানীয়দের কাছে একজন সাধারণ যুবক হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। কোনও রাজনৈতিক বা উগ্রপন্থী সংগঠনের সঙ্গে তাঁর প্রত্যক্ষ যোগাযোগের প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিষেক বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি ও যোগাযোগ যন্ত্র সম্পর্কে ভাল জানতেন এবং ফোন ও ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহারেও দক্ষ ছিলেন। পুলিশের ধারণা, এই প্রযুক্তিগত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়েই তিনি ভারতের সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা কাঠামো সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে পাকিস্তানে পাচার করছিলেন। ঠিক কী ধরনের তথ্য পাঠানো হয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত এখনও চলছে।

    পাক চরের নেটওয়ার্ক

    এই গ্রেফতারির পর হিমাচলপ্রদেশে পাক গুপ্তচর চক্রের বিস্তৃতি নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিষেক একা নয়। তাঁর সঙ্গে আরও কিছু লোক যোগাযোগ রাখত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তদন্তকারীরা এখন তাঁর কল রেকর্ড, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম খতিয়ে দেখছেন। এই ঘটনার পর হিমাচলপ্রদেশ প্রশাসন নাগরিকদের প্রতি সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। সন্দেহভাজন কোনও কার্যকলাপ চোখে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে। এসপি চৌধুরী বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে আমরা কোনও রকম গাফিলতি সহ্য করব না। দেশের প্রতি দায়িত্ব পালনে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন।”

  • Himanta Biswa Sharma: কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈর ব্রিটিশ স্ত্রী পাক গুপ্তচর! ‘রয়েছে পাকা প্রমাণ’, বিস্ফোরক হিমন্ত

    Himanta Biswa Sharma: কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈর ব্রিটিশ স্ত্রী পাক গুপ্তচর! ‘রয়েছে পাকা প্রমাণ’, বিস্ফোরক হিমন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sharma) এক বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ-এর (Gaurav Gogoi) স্ত্রী এলিজাবেথ কোলবার্ন-এর বিরুদ্ধে। তিনি দাবি করেছেন, ব্রিটিশ নাগরিক কোলবার্ন পাকিস্তানের জলবায়ু সংক্রান্ত একটি লবিং গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, যা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার উপর নজরদারি চালানোর কাজে লিপ্ত ছিল। এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গৌরব গগৈ-এর স্ত্রী ভারতের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা (IB)-এর গোপন নথিপত্রে প্রবেশাধিকার পেয়েছিলেন এবং সেইসব তথ্যের অপব্যবহার করেছেন। এটি শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিষয় নয়, এটি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন।”

    পরিবেশ আন্দোলনের আড়ালে ভারতের গোপন নথি পাচার

    হিমন্তবিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sharma)  দাবি করেন, কোলবার্নের পাকিস্তান সফর ‘জলবায়ু গবেষণা প্রকল্প’ বললেও, আসলে এটি ছিল পাকিস্তান সরকারের স্বীকৃত একটি সফর, যার পিছনে ছিল এক সুপরিকল্পিত যোগসাজস। তিনি বলেন, “এটি নিছক সফর ছিল না বা পারিবারিক বিষয়, বরং এটি ছিল পাকিস্তানের সরকারিভাবে অনুমোদিত ও সমন্বিত একটি প্রচেষ্টা।” মুখ্যমন্ত্রী আরও অভিযোগ তোলেন, “গৌরব গগৈ এবং তাঁর স্ত্রী পরিবেশ আন্দোলনের আড়ালে ভারতীয় নীতিনির্ধারণী স্তরে ঢুকে পড়েন এবং গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে যুক্ত হন। তারা ২০১৭-১৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন।” এই বিষয়ে প্রমাণস্বরূপ হিমন্ত (Himanta Biswa Sharma) জানান, আগামী ১০ সেপ্টেম্বর রাজ্য সরকার এই অভিযোগের নেপথ্যে যা যা প্রমাণ পেয়েছে তা জনসমক্ষে তুলে ধরবে।

    পরিবেশ আন্দোলনের আড়ালে ভারতের গোপন নথি পাচার

    তবে গৌরব গগৈ এই অভিযোগকে গুরুত্ব না দিয়ে এটিকে “সি-গ্রেড বলিউড সিনেমার মতো” বলে ব্যঙ্গ করেন। গগৈ স্বীকার করেছেন যে তাঁর স্ত্রী ১৩ বছর আগে পাকিস্তানে এক বছর কাজ করেছিলেন এবং তিনি একবার পাকিস্তান সফর করেছিলেন। তিনি একবার তাঁর স্ত্রীকে পাকিস্তানে একটি সফরে সঙ্গ দিয়েছিলেন এবং তাঁর স্ত্রীর দক্ষিণ এশিয়ায় জলবায়ু সংক্রান্ত কিছু কাজ ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “একজন বিদেশি নাগরিক কীভাবে ভারতের গোপন গোয়েন্দা নথি অর্জন করলেন?” মুখ্যমন্ত্রীর মতে, “ওনার এই কাজ জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে চরম অবহেলার প্রমাণ।” শর্মার (Himanta Biswa Sharma) অভিযোগ, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ-এর অফিসের প্রভাব ব্যবহার করেই দম্পতি ভারতের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় প্রবেশের সুযোগ পেয়েছিলেন।

    আইএসআইয়ের এজেন্ট গগৈয়ের স্ত্রী

    কংগ্রেস এখনও গগৈকে (Gaurav Gogoi)  প্রকাশ্যে সমর্থন জানাচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির। আগেই লোকসভায় কংগ্রেসের সহকারী দলনেতা গৌরব গগৈয়ের স্ত্রী এলিজাবেথ কোলবার্নকে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের এজেন্ট বলে অভিযোগ তুলেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sharma) । এবার পহেলগাঁও কাণ্ডের আবহে নতুন করে সেই বিতর্ক উস্কে দিলেন বিজেপি নেতা। গত কয়েক মাস ধরেই লোকসভায় কংগ্রেসের সহকারী দলনেতার স্ত্রীর ‘পাক যোগ’ নিয়ে একটানা আক্রমণ শানিয়ে আসছে বিজেপি। হিমন্ত গত ফেব্রুয়ারি মাসে গগৈয়ের স্ত্রী এলিজাবেথকে পাক এজেন্ট বলে অভিযোগ তোলার পর বিজেপিও একযোগে দাবি করে, এলিজাবেথ পাকিস্তানের পরিকল্পনা কমিশনের প্রধান উপদেষ্টা তৌকির শেখের অধীনে ইসলামাবাদে কাজ করেছেন। মার্কিন ধনকুবের জর্জ সোরসের একটি সংস্থার সঙ্গেও তাঁর যোগ রয়েছে। পাশাপাশি, এলিজাবেথ ভারতীয় নাগরিক নন বলেও অভিযোগ করে বিজেপি।
    হিমন্তের (Himanta Biswa Sharma) দাবি, “স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এটা এক নজিরবিহীন ঘটনা।”

  • S-400 Missiles: রাশিয়ার কাছ থেকে অতিরিক্ত এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চলেছে ভারত, সম্মতি মস্কোর

    S-400 Missiles: রাশিয়ার কাছ থেকে অতিরিক্ত এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চলেছে ভারত, সম্মতি মস্কোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানের পাল্টা হানা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অভাবনীয় সাফল্যের পর রাশিয়া থেকে আরও বেশ কয়েকটি এস-৪০০ (S-400 Missiles) কিনতে ইচ্ছে প্রকাশ করেছে ভারত। রাশিয়ার (India-Russia Relation) কাছে এই বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ সূত্রের খবর, মস্কো ইতিমধ্যে এই অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।

    এস-৪০০ সিস্টেম-এর সাফল্য

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে থাকা রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ (S-400 Missiles) সিস্টেমগুলি সাম্প্রতিক ভারত-পাক সংঘাতের সময় পাকিস্তানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনগুলিকে নিষ্ক্রিয় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অভিযানের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের মতে, পশ্চিম সীমান্তের ওপার থেকে আকাশপথে হুমকি মোকাবিলায় এই সিস্টেমগুলি নির্ভুল এবং কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে। সুদর্শন চক্রের কর্মক্ষমতায় অভিভূত হয়ে ভারত নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আরও এস-৪০০ সিস্টেম জুড়তে চায়। সেই জন্য মস্কোর কাছে আবেদন করা হয়েছে।

    এস-৪০০ এর বিশেষত্ব

    মাটি থেকেই আকাশে নিক্ষেপযোগ্য দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এস-৪০০ (S-400 Missiles)। আকাশে বিভিন্ন ধরনের লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে এটির। যার মধ্যে রয়েছে স্টেলথ ফাইটার জেট, বোমারু বিমান, ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং এমনকি ড্রোনকেও ধ্বংস করতে সক্ষম। এতে দু’টি ব়েডার সিস্টেম রয়েছে। যা আকাশে ৬০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত এবং একসঙ্গে ৮০টি লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করতে পারে। যে কোনও স্থানে নিয়ে গিয়ে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে সিস্টেমটিকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়া যায়। মাত্র তিন মিনিটের মধ্যে সেটি ব্যবহারের জন্য তৈরি হয়ে যায়। লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার জন্য এতে একটি জ্যামার-রোধী প্যানোরামিক ব়্যাডার সিস্টেম রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র সহ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য ৪টি ব্যারেল বা স্টেশন রয়েছে এটিতে। ভারত ও রাশিয়ার পাশাপাশি চিন, তুরস্ক এবং বেলারুশও এই সিস্টেমটি ব্যবহার করে।

    এস-৪০০ চুক্তির খুঁটিনাটি

    ২০১৮-এর অক্টোবরে পাঁচটি এস-৪০০ স্কোয়াড্রনের জন্য রাশিয়ার (India-Russia Relation) সঙ্গে চুক্তি করে ভারত। ভ্লাদিমির পুতিনের দিল্লি সফরের সময় প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার চুক্তি সই হয়েছিল। ইতিমধ্যেই রাশিয়া থেকে তিনটি স্কোয়াড্রন এস-৪০০ (S-400 Missiles) ভারতে এসে পৌঁছেছে। বাকি দু’টি ২০২৬ সালের মধ্যেই চলে আসবে ভারতের হাতে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ চলার কারণে শেষ দুটি স্কোয়াড্রনের সরবরাহে দেরি হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপকে উপেক্ষা করেই ভারত ২০১৮ সালে রাশিয়ার সঙ্গে এস-৪০০ চুক্তি সই করেছিল, যার মূল্য ছিল প্রায় ৩৫,০০০ কোটি টাকা। এই চুক্তি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপস্থিতিতে নয়াদিল্লিতে সম্পন্ন হয়। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ২০১৭ সালের ক্যাটসা (CAATSA/ Countering America’s Adversaries Through Sanctions Act) আইনের আওতায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, ভারত সেসব চাপকে পাত্তা না দিয়ে কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের ওপর জোর দেয়। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে রাশিয়া প্রথম এস-৪০০ ইউনিট সরবরাহ করে এবং বর্তমানে তিনটি স্কোয়াড্রন পাকিস্তান ও চিনের সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে।

    রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যে জল্পনা

    বুধবার একটি অনুষ্ঠানে ভারতের সামরিক পদক্ষেপের প্রশংসা করেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ডেনিস অ্যালিপভ। বিশেষ করে অপারেশন সিঁদুরে ব্রহ্মোস মিসাইল ও এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের (S-400 Missiles) সফল ব্যবহারের তিনি প্রশংসা করেন। তিনি জানান, এই অস্ত্রগুলি আরও কেনার বিষয়ে আলোচনা চলছে। ডেনিস অ্যালিপভের কথায়, ভারত-রাশিয়া যৌথ উদ্যোগে তৈরি ব্রহ্মোস মিসাইল এবং অন্যান্য অস্ত্রগুলির কার্যকারিতা অত্যন্ত সন্তোষজনক। তাঁর মতে, “এই সমস্ত অস্ত্র ডিজাইন ও তৈরি হচ্ছে রাশিয়ার সঙ্গে মিলেই। ভবিষ্যতে আরও যৌথ প্রকল্প শুরু হবে এবং কিছু ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়েছে।”

    মোদির নেতৃত্বে শক্তিশালী ভারত

    রাশিয়ার (India-Russia Relation) রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে ভারতের নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ পায়। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দক্ষতা নিয়ে কারোর সন্দেহ নেই। তাঁর শক্তিশালী নেতৃত্বে ভারত বৈশ্বিক মঞ্চে আরও এগিয়ে যাচ্ছে।” পহেলগাঁও হামলার প্রসঙ্গ টেনে ডেনিস অ্যালিপভ বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের পদক্ষেপ যথার্থ। প্রেসিডেন্ট পুতিন এই বিষয়ে নরেন্দ্র মোদিকে বার্তা পাঠিয়েছেন এবং সহানুভূতি জানিয়েছেন। অপরাধীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়াই একমাত্র পথ।” রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যে পরিষ্কার, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর ভারত আরও অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম কেনার পথে হাঁটছে। এতে রাশিয়া ভারতের পাশে রয়েছে। ভবিষ্যতেও আরও ‘সুদর্শন চক্র’ বা এস-৪০০-এর (S-400 Missiles) মতো আধুনিক অস্ত্র মস্কো থেকে দিল্লি আসতে পারে।

LinkedIn
Share