Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • PM Modi: “এটা সামাজিক মাধ্যম, আপনি একে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না,” ইউনূসকে সটান জবাব মোদির

    PM Modi: “এটা সামাজিক মাধ্যম, আপনি একে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না,” ইউনূসকে সটান জবাব মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, আপনি একে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।” বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যাবর্তনের প্রশ্নে মহম্মদ ইউনূসকে (Md Yunus) নাকি এই ভাষায়ই জবাব দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ইউনূস চেয়েছিলেন, ভারতে আশ্রয় নেওয়া প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনলাইন ভাষণগুলো যেন বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    কী বললেন ইউনূস? (PM Modi)

    প্রবল আন্দোলনের জেরে গত বছরের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। পরে লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে ভাষণ দেওয়ার সময় ইউনূস জানান, ভারত তাঁর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করায় তিনি হতাশ। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস বলেন,  “আমি যখন প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাই, তখন আমি শুধু তাঁকে এটুকুই বলেছিলাম — আপনি যদি ওঁকে আশ্রয় দেন, আমি আপনাকে সেই নীতিতে পরিবর্তন আনতে বাধ্য করতে পারি না। কিন্তু দয়া করে আমাদের সহায়তা করুন যাতে উনি যেভাবে বাংলাদেশিদের উদ্দেশে বক্তব্য দিচ্ছেন, তা বন্ধ করা যায়।” তিনি জানান, এর জবাবেই নাকি মোদি দৃঢ়ভাবে বলেন, “এটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম —আপনি এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।”

    পরিস্থিতিকে বিস্ফোরক আখ্যা

    অসন্তুষ্ট ইউনূস এই পরিস্থিতিকে বিস্ফোরক বলে অভিহিত করেন। তাঁর দাবি, হাসিনার বক্তব্যগুলো বাংলাদেশে অস্থিরতা উসকে দিচ্ছে। তবে নয়াদিল্লিকে ডিজিটাল অভিব্যক্তি নিয়ন্ত্রণের ডাক দেওয়ায় তিনি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে থাকা কর্মী এবং আঞ্চলিক বিশ্লেষকদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন ইউনূস। তাঁরা এটিকে এমন একটি সরকারের বিপজ্জনক ক্ষমতার অপপ্রয়োগ হিসেবে দেখছেন, যে সরকার ইতিমধ্যেই শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দল আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করেছে এবং একটি অস্থায়ী সরকারের ছদ্মবেশে বিরোধী কণ্ঠ দমন করতে চাইছে (PM Modi)।

    মোদির সাফ কথা

    ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন বাড়লেও সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রচার বন্ধে হস্তক্ষেপ না করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির দৃঢ় অবস্থান ভারতের সাংবিধানিক স্বাধীনতা এবং ডিজিটাল অধিকার রক্ষায় তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতিই তুলে ধরে। যখন বিশ্বের বিভিন্ন কর্তৃত্ববাদী সরকার মতপ্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞাকে প্রতিবাদ দমন করার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে, তখন ভারতে আশ্রয় নেওয়া এক বিদেশি নেতার রাজনৈতিক বক্তব্য বন্ধ না করার সিদ্ধান্ত স্পষ্ট বার্তা দেয় – গণতান্ত্রিক নীতিগুলির সঙ্গে কোনওভাবেই আপস করা হবে না (Md Yunus)।

    নয়াদিল্লির সন্দেহের তালিকায় ইউনূস

    ভারতের অবস্থান ইউনূসের কর্তৃত্ববাদী প্রবণতার সম্পূর্ণ বিপরীত। ক্ষমতায় আসার পর থেকে নোবেলজয়ী থেকে রাজনীতিক হয়ে ওঠা ইউনূস একটি ক্রমবর্ধমান দমনমূলক প্রশাসন পরিচালনা করছেন। তাঁর অস্থায়ী সরকার রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, বিরোধীদের বিরুদ্ধে আইনি বিচার শুরু করেছে, এমনকি হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে। পুরো ঘটনাপ্রবাহকে সন্দেহের চোখে দেখছে নয়াদিল্লি, বিশেষ করে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রাজনীতিকরণের পটভূমিতে (PM Modi)।

    ইউনূসের চিন প্রীতি

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ইউনূসের আবেদন — হাসিনার ডিজিটাল কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য – ভারতের প্রতি বৃহত্তর শত্রুতার একটি অংশমাত্র। সম্প্রতি চিন সফরে গিয়ে তিনি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে “স্থলবেষ্টিত” আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশকে “সাগরের রক্ষক” ঘোষণা করায় ভারতে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। ইউনূস বলেন, “ভারতের পূর্বাঞ্চল, যা সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত, তা স্থলবেষ্টিত। তাদের সাগরে কোনও প্রবেশাধিকার নেই। আমরা এই অঞ্চলের একমাত্র সাগরের রক্ষক।” বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউনূসের এই ধরনের বক্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে বাংলাদেশ ভূগোলকে কাজে লাগিয়ে ভারতের অর্থনৈতিক ও কৌশলগত বঙ্গোপসাগরীয় প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। ইউনূসের এহেন মন্তব্যকে অনেকেই প্রচ্ছন্ন হুমকি হিসেবে দেখছেন (Md Yunus)।

    ভারতের প্রতি এই প্রচ্ছন্ন হুমকি!

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং অন্যান্য আঞ্চলিক নেতারা ইউনূসের এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন। তাঁরা একে উসকানিমূলক এবং পড়শি কূটনীতির চেতনার বিরুদ্ধে বলে অভিহিত করেন। বিশ্লেষকদের মতে, ইউনূসের চিনের প্রতি আকর্ষণ এবং ভারতের প্রতি এই প্রচ্ছন্ন হুমকি একটি বিপজ্জনক কৌশলগত মোড় নির্দেশ করে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সহযোগিতাকে বিঘ্নিত করতে পারে (PM Modi)। ইউনূস চাইছেন ভারত মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সেন্সরশিপ চালু করুক। যেমনভাবে তাঁর নিজের দেশেই তিনি দমন করেছেন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। তাঁর অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে, বিশেষ করে সংখ্যালঘু হিন্দু এবং বিরোধী দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে। আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, দমন করা হয়েছে সংখ্যালঘুদের কণ্ঠস্বরকে, সর্বক্ষণ চাপের মধ্যে রয়েছে সে দেশের গণমাধ্যম (PM Modi)।

  • PM Modi: তুরস্ককে মাত দিতে ‘সাইপ্রাস তাস’ খেলবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি!

    PM Modi: তুরস্ককে মাত দিতে ‘সাইপ্রাস তাস’ খেলবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার তুরস্ককে ‘বেইমানি’র জবাব দিতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সরকার। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ককে প্রথম ত্রাণ পাঠিয়েছিল ভারত। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা দূরে থাক, উল্টে ভারত যখন পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর চালায়, তখন নির্লজ্জভাবে মুসলমান রাষ্ট্র তুরস্ক আর এক ইসলামি রাষ্ট্র পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ায়! অস্ত্র দিয়েও সাহায্য করে ইসলামাবাদকে। যদিও তুরস্কের সেই সব ‘হাতিয়ার’কে মাঝ আকাশেই ছিন্নভিন্ন করে দেয় ‘বিকশিত ভারতে’র উন্নততর প্রযুক্তির অস্ত্রশস্ত্র।

    মোদির সাইপ্রাস তাস (PM Modi)

    আপাতত (Cyprus) যুদ্ধবিরতি চলছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। তবে পাকিস্তানের বন্ধুদেশকে জব্দ করতে এবার ‘সাইপ্রাস তাস’ খেলতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির ভারত। যে সাইপ্রাসের একটা অংশ দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছে তুরস্ক, সেই সাইপ্রাসের পাশে দাঁড়িয়েই আঙ্কারা (তুরস্কের রাজধানী)-কে বার্তা দিতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফেরা যাক খবরে। জি৭ সামিটে যোগ দিতে কানাডা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জ্বালানি ভরতে তাঁর বিমান থামবে সাইপ্রাসে। সাইপ্রাস হল ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র। এর সঙ্গে সাপে-নেউলে সম্পর্ক পাক-বন্ধু তুরস্কের। ২৩ বছর পরে তৃতীয় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সে দেশে পা রাখছেন মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এহেন কূট চালে সিঁদুরে মেঘ দেখছে তুরস্ক। এর একটা কারণও আছে। কাশ্মীর প্রশ্নে পাকিস্তানকে বরাবর সমর্থন করে এসেছে তুরস্ক। এই তুরস্কই অবৈধভাবে কব্জা করে রেখেছে সাইপ্রাসের একাংশ। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ভূমধ্যসাগরীয় এই দ্বীপরাষ্ট্রে পা রেখে তুরস্কের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির কৌশল নিচ্ছে মোদির দেশ।

    সাইপ্রাসের কৌশলগত গুরুত্ব

    দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাসের কৌশলগত গুরুত্ব অপরিসীম। দেশটির একদিকে রয়েছে তুরস্ক, অন্যদিকে গ্রিস। তাই সাইপ্রাস কব্জা করতে পারলেই কেল্লাফতে। কারণ গোটা দক্ষিণ-পূর্ব ভূমধ্যসাগর নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে সাইপ্রাস থেকে। এখানে বসেই নজরদারি চালানো সম্ভব পশ্চিম এশিয়ার ইজরায়েল, লেবানন এবং সিরিয়ার ওপর। তাই সাইপ্রাসের ওপর শ্যেনদৃষ্টি তুরস্কের পাশাপাশি গ্রিসেরও। ১৯৬০ সালে (PM Modi) ব্রিটিশ জমানার অবসান শেষে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে সাইপ্রাস। তার পরেই তাকে গিলে ফেলার চেষ্টা করে গ্রিস। ১৯৭৪ সালে চরমপন্থীদের অভ্যুত্থানে রাতারাতি ক্ষমতাবদল হয় সাইপ্রাসে। এই অভ্যুত্থানে পূর্ণ সমর্থন জুগিয়েছে গ্রিসের জান্তা সরকার। এথেন্সের (গ্রিসের রাজধানী) এই আগ্রাসী মনোভাবে প্রমাদ গোনে তুরস্ক। তাই দেরি না করে ওই বছরেরই ২০ জুলাই সাইপ্রাস আক্রমণ করে তুরস্ক।

    সাইপ্রাসের একাংশ দখল করে তুরস্ক

    সদ্য স্বাধীন হওয়া সাইপ্রাসের পক্ষে এই আক্রমণের মোকাবিলা করা সম্ভব ছিল না। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সাইপ্রাসের এক তৃতীয়াংশ জমি দখল করে নেয় আঙ্কারা। আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও সাইপ্রাসের দখল করা এলাকা থেকে সেনা সরায়নি তুরস্ক। এই এলাকার পোশাকি নাম টার্কিশ রিপাবলিক অফ নর্দার্ন সাইপ্রাস। একে স্বশাসিত এলাকা বলে তুরস্ক। আঙ্কারার দখলে থাকা এই এলাকাকে স্বীকৃতি দেয়নি রাষ্ট্রসংঘ। সাইপ্রাসও একে তুরস্কের অবৈধভাবে কব্জা করা এলাকা বলে মনে করে। তবে এলাকাটি তাদের বলেই দাবি করে তুরস্ক। তাদের দাবি, ভূমধ্যসাগরীয় এই দ্বীপরাষ্ট্র অটোমান তুর্কি সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। তাই এর ওপর একমাত্র অধিকার থাকা উচিত কেবল আঙ্কারারই (Cyprus)।

    আঙ্কারার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সমর্থন জোগাড়ের চেষ্টা

    আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই আঙ্কারার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সমর্থন জোগাড় করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার চেষ্টা চালাচ্ছে সাইপ্রাস। কাশ্মীর ইস্যুতে তারা বরাবর পাশে রয়েছে ভারতের। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই কারণেই এবার সাইপ্রাসে পা রাখতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ১৯৬২ সালে সাইপ্রাসের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে নয়াদিল্লি। ১৯৮৩ সালে প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সাইপ্রাস সফর করেন ইন্দিরা গান্ধী। ২০০২ সালে এই দ্বীপরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। এবার সে দেশে পা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।ভারত-সাইপ্রাসের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দুই দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অঙ্ক ছিল ২০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। ২০০২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে সাইপ্রাস থেকে ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ১ হাজার ২৬৪ কোটি মার্কিন ডলার (PM Modi)।

    ভারত-সাইপ্রাস সম্পর্ক

    সাইপ্রাস ইউরোপীয় ইউনিয়নের(ইইউ) সদস্য। আগামী বছরের গোড়ায় এই ইউনিয়নের সভাপতি হবে সাইপ্রাস। সেক্ষেত্রে ইইউ এবং ভারতের মধ্যে আরও মজবুত হতে পারে বাণিজ্যিক সম্পর্ক। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে ভারত সফরে আসেন সাইপ্রাসের রাষ্ট্রপতি। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, “আধুনিক যুগে আমাদের সম্পর্কের শেকড় প্রাক-স্বাধীনতা যুগে পৌঁছায়, যখন আমাদের জাতির পিতারা সাইপ্রাসের স্বাধীনতা সংগ্রামকে সমর্থন করেছিলেন। আর সাইপ্রাসও সব সময়ই বন্ধুত্ব ও আন্তরিকতার সঙ্গে সেই সম্পর্কের প্রতিদান দিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যুতে ভারত সব সময় সাইপ্রাসের পাশে দাঁড়িয়েছে। ১৯৭৪ সালে ভারত দৃঢ়ভাবে সাইপ্রাস প্রজাতন্ত্রের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য ও ভূখণ্ডগত অখণ্ডতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। ভারত সাইপ্রাসে রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীতে সদস্য পাঠিয়েছে। ভারত থেকে তিনজন ফোর্স কমান্ডার এই দায়িত্ব পালন করেছেন (Cyprus), এবং এটা জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, তাদের সবাইকে সাইপ্রাসে আজও সস্নেহে স্মরণ করা হয় (PM Modi)।”

  • Undersea Power Link: সমুদ্রতল দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সবুজ বিদ্যুৎ রফতানি করবে ভারত! ৯০,০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ

    Undersea Power Link: সমুদ্রতল দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সবুজ বিদ্যুৎ রফতানি করবে ভারত! ৯০,০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর (UAE) সঙ্গে সমুদ্রতলের সবুজ বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তি স্বাক্ষর করল ভারত। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর জানান, প্রায় ১,৭০০ কিমি দীর্ঘ সাবমেরিন কেবল সৌদি আরবে এবং ১,৪০০ কিমি দীর্ঘ কেবল আমিরশাহী-তে হাইড্রোজেন থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য স্থাপন করা হবে। অতীতে তেল-গ্যাস আমদানির জন্য মধ্যপ্রাচ্যের উপর নির্ভর করত ভারত। আর এখন সেই মধ্যপ্রাচ্যে ভারত বিদ্যুৎ রফতানির প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাও আবার সমুদ্রতলের নিচে কেবল বসিয়ে। এটিই এক নতুন শক্তিশালী ভারতের পরিচয়, বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    এক সূর্য, এক বিশ্ব, এক গ্রিড

    বিশ্বের প্রথম আন্ডারসি (Undersea Power Link) পাওয়ার গ্রিড প্রকল্প হল একটি বড় পরিকল্পনা। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল ভারত এবং মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে বিদ্যুতের বিনিময় সহজ করা। এটি “এক সূর্য, এক বিশ্ব, এক গ্রিড” ধারণার প্রথম অফশোর উপাদান, যা প্রধানমন্ত্রী মোদি আন্তর্জাতিক সৌর জোটের উদ্বোধনী সমাবেশে প্রস্তাব করেছিলেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভারত ও সৌদি আরব বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে পারবে এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে পারবে। বিদ্যুৎমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর বলেন, “সৌদি আরব ও আমিরশাহী-তে ২ গিগাওয়াট করে হাইড্রোজেন বিদ্যুৎ রফতানির জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সৌদি আরব পর্যন্ত সাবমেরিন কেবলের প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭,০০০ কোটি টাকা এবংআমিরশাহী পর্যন্ত কেবলের জন্য ব্যয় হতে পারে ৪৩,৫০০ কোটি টাকা।” এই প্রকল্প সম্পূর্ণ হতে ছয় বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এই প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে ভারত এবং মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে বিদ্যুতের একটি শক্তিশালী আন্তঃসংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হবে।

    প্রকল্পের মূল বৈশিষ্ট্য:

    ভারত-সৌদি আরব আন্ডারসি পাওয়ার কেবল
    দৈর্ঘ্য: প্রায় ১,৭০০ কিমি
    ব্যয়: ৪৭,০০০ কোটি টাকা
    ক্ষমতা: ২ গিগাওয়াট

    ভারত-আমিরশাহি আন্ডারসি পাওয়ার কেবল
    দৈর্ঘ্য: প্রায় ১,৪০০ কিমি
    ব্যয়: ₹৪৩,৫০০ কোটি টাকা
    ক্ষমতা: ২ গিগাওয়াট

    এই প্রকল্পের স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব

    বিশ্বের প্রথম আন্ডারসি পাওয়ার গ্রিড প্রকল্পগুলির (Undersea Power Link) মধ্যে অন্যতম – যা এক দেশ থেকে আরেক দেশের মধ্যে বিশাল জলসীমা পেরিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে।
    ভারতের সবুজ জ্বালানির (Green Energy) আন্তর্জাতিক রফতানির সূচনা – সৌদি আরব ও আমিরশাহীর মতো তেলনির্ভর দেশ এখন ভারতের থেকে বিদ্যুৎ নিতে রাজি।
    “এক সূর্য, এক বিশ্ব, এক গ্রিড” (‘One Sun, One World, One Grid’) উদ্যোগের বাস্তবায়ন – ভারত এই বৈশ্বিক শক্তি-গ্রিড ধারণার নেতৃত্বে রয়েছে।
    প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ – গভীর সমুদ্রে এত দীর্ঘ ও উচ্চ ক্ষমতার সাবমেরিন কেবল বসানো প্রযুক্তিগত দিক থেকে চ্যালেঞ্জিং, এবং ভারত এটি নিজেই করতে যাচ্ছে।
    স্ট্র্যাটেজিক সফট পাওয়ার বৃদ্ধি – শক্তি রফতানির মাধ্যমে ভারতের কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি আরও প্রসারিত হচ্ছে।

    দেশে মজবুত বিদ্যুৎ পরিকাঠামো

    বিদ্যুৎমন্ত্রী এদিন আরও জানান, স্টোরেজ প্রকল্পগুলোর জন্য ইন্টার-স্টেট ট্রান্সমিশন সিস্টেম (ISTS) চার্জের ছাড় ৩০ জুন ২০২৮ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, “যেসব পাম্পড স্টোরেজ প্রকল্প বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং যেসব ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম এই সময়ের মধ্যে কমিশন হবে, তারা এই সুবিধা পাবে।” ২০২৫ সালের ৯ জুন, ভারত সর্বোচ্চ ২৪১ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদা সফলভাবে মেটাতে সক্ষম হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই অর্জন দেশের মজবুত বিদ্যুৎ পরিকাঠামোর প্রমাণ। যেখানে কোনও পিক বিদ্যুৎ ঘাটতি ছিল না।”

    বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি

    ট্রান্সমিশন লাইনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও রাইট অব ওয়ে (RoW) সমস্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষতিপূরণ বাড়িয়েছে। টাওয়ার বসানোর জন্য জমির মূল্য ৮৫% থেকে বাড়িয়ে ২০০% করা হয়েছে এবং রাইট অব ওয়ে করিডরের জন্য ১৫% থেকে ৩০% পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ বাড়ানো হয়েছে, যা এখন বাজার মূল্যের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।” তিনি জানান, জমি ও অনুমতির জটিলতার কারণে ট্রান্সমিশন প্রকল্পের অগ্রগতিতে অনেক সময় নষ্ট হয়, কারণ এগুলো বনভূমি, প্রতিরক্ষা এলাকা, ব্যক্তিগত বা কৃষিজমি অতিক্রম করে। তাঁর দাবি, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারত সর্বোচ্চ ৩৪ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা যুক্ত করেছে, যার মধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তি থেকেই এসেছে ২৯.৫ গিগাওয়াট। দেশের মোট স্থাপিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বর্তমানে ৪৭২.৫ গিগাওয়াট, যা ২০১৪ সালে ছিল ২৪৯ গিগাওয়াট।

  • Mohan Bhagwat: ‘‘দেশের উন্নয়নে কীভাবে অবদান রাখা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করুন,’’ আহ্বান মোহন ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: ‘‘দেশের উন্নয়নে কীভাবে অবদান রাখা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করুন,’’ আহ্বান মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার স্বদেশি পণ্য ব্যবহারের ওপর জোর দিলেন আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের কানপুরে শিক্ষাবর্গ শিবিরে ছাত্র ও ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি বলেন, “আমরা কি আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে দেশীয় উৎপাদিত পণ্য ব্যবহারের সংকল্প নিতে পারি?” তিনি বলেন, “এই সংকল্প নিজের কাছ থেকে শুরু হোক, তারপর তা ছড়িয়ে পড়ুক পরিবার, প্রতিবেশী এবং শেষ পর্যন্ত পুরো জাতিকে অনুপ্রাণিত করুক। আমাদের দেশের অর্থ দেশের মধ্যেই থাকা উচিত এবং তা আমাদের নিজেদের অগ্রগতির জন্য ব্যবহৃত হওয়া উচিত।” এদিনের অনুষ্ঠানে দৈনন্দিন জীবনে কীভাবে স্বদেশি পণ্য ব্যবহার করা যায়, কীভাবেই বা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করার আহ্বানও তিনি জানান ছাত্রছাত্রী, ব্যবসায়ী এবং আমজনতাকে। ভাগবত বলেন, “প্রতিদিনের জীবনে যদি গভীর দেশপ্রেমের বোধ থাকে, তবেই ব্যক্তি ও দেশ – উভয়েরই সামগ্রিক উন্নতি সম্ভব।”

    কী বললেন সরসংঘচালক? (Mohan Bhagwat)

    সরসংঘচালক বলেন, “এই সংকল্প আমাদের নিজেদের জীবন থেকে শুরু হওয়া উচিত এবং তা পরিবার, পাড়া, শহর ও রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়া উচিত। আমাদের দেশে যা আয় হয়, তা দেশের মধ্যেই থাকা উচিত এবং দেশের উন্নয়নের কাজে লাগানো উচিত। আমাদের জীবন এই মানসিকতা নিয়ে পরিচালিত হওয়া উচিত।” ভাগবতের গলায় এদিন শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী (RSS) নরেন্দ্র মোদির আহ্বানের প্রতিধ্বনি (Mohan Bhagwat)। তিনিও বিদেশি পণ্যের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশে উৎপাদিত সামগ্রী ব্যবহারের আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটি ভারতের ২০৪৭ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ ও বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়ার লক্ষ্য পূরণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

    ছাত্রদের আহ্বান ভাগবতের

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী এই মন্তব্য করেছিলেন পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সঙ্গে চারদিনব্যাপী সংঘর্ষের পর।আরএসএস প্রধান এদিন ছাত্রদের আহ্বান জানান, যাতে তাঁরা নিজেদের ক্ষেত্রে আদর্শ পেশাজীবী ও অনুপ্রেরণাদায়ক উদাহরণ হয়ে উঠতে পারেন। তিনি জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী ও সরকারের পাশাপাশি সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার অবদানও তুলে ধরেন। ভাগবত বলেন, “আমাদের সবারই ভাবা উচিত, আমরা (RSS) দেশের কল্যাণে কী করতে পারি (Mohan Bhagwat)।”

  • AC Temperature: ইচ্ছে মতো কমানো বা বাড়ানো যাবে না এসির তাপমাত্রা, কেন জানেন?

    AC Temperature: ইচ্ছে মতো কমানো বা বাড়ানো যাবে না এসির তাপমাত্রা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার থেকে আর ইচ্ছে মতো কমানো বা বাড়ানো যাবে না এসির তাপমাত্রা (AC Temperature)। চড়া গরমেও এসির তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির নীচে নামানো যাবে না। আবার ২৮ ডিগ্রির ওপরেও করা যাবে না। এমনই জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়নমন্ত্রী তথা হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। তিনি (Modi Govt) জানান, এটা আপাতত একটা পরীক্ষামূলক ভাবনা।

    বিশ্ব উষ্ণায়ণ কমানোই লক্ষ্য! (AC Temperature)

    এই নিয়ম শুধু বাড়ি, অফিস বা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়, এমন এসির জন্য প্রযোজ্য হবে, তা নয়। গাড়ির এসির তাপমাত্রাও ২০ ডিগ্রির নীচে নামানো যাবে না। বাড়ানো যাবে না ২৮ ডিগ্রির ওপরেও। কেন্দ্রীয় সরকারের এক আধিকারিক বলেন, “বিশ্ব উষ্ণায়ণ বা জলবায়ুর পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলির ওপর রাশ টানতে ছোট ছোট পদক্ষেপ করছে ভারত সরকার। আর আমরা তো জানি, বিন্দু বিন্দুতেই সিন্ধু হয়।” জানা গিয়েছে, সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে বিদ্যুতের অপচয় কমবে। এ ছাড়াও গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের যে হঠাৎ চাহিদা বাড়ে, তাও কমে যাবে। ফলে গ্রাহকদের বিদ্যুতের বিল কমবে।

    এসির তাপমাত্রা

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে বাজারে যে এসি পাওয়া যায়, তা সর্বনিম্ন ১৬ ডিগ্রি থেকে সর্বোচ্চ ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কাজ করে। যদিও ব্যুরো অফ এনার্জি এফিসিয়েন্সি বলছে, এসি সর্বোত্তম কাজ (AC Temperature) করে যদি তা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সেট করা থাকে (Modi Govt)। এ ছাড়াও এসির তাপমাত্রা যদি ২৪ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে তাহলে তা ব্যবহারকারীর আরাম ও বিদ্যুৎ খরচের মধ্যে একটা ভারসাম্য রাখে। মন্ত্রী জানান, ইচ্ছে মতো আর এসির তাপমাত্রা কমানো বা বাড়িয়ে দেওয়া যাবে না। শীঘ্রই এসির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সীমা বেঁধে দিতে চলেছে কেন্দ্র। এ ব্যাপারে একটি কেন্দ্রীয় নির্দেশিকাও জারি করা হবে।

    ব্যুরো অফ এনার্জি এফিসিয়েন্সি আগেই জানিয়েছিল, বিদ্যুতের সর্বাধিক সাশ্রয়ের জন্য ২৪-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই থাকা উচিত এসির তাপমাত্রা। তাপমাত্রা তার যত নীচে নামানো হবে, ততই বিদ্যুৎ খরচ বেশি হবে। প্রতি এক ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ৬ শতাংশ বিদ্যুৎ বাঁচে। বিদ্যুৎ বাঁচার পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণও কম হবে। ফলে কমবে (Modi Govt) পরিবেশ দূষণ (AC Temperature)।

  • PM Modi: তৃতীয় দফার প্রথম বছরেই ‘গল্পে’র মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন মোদি, জানুন কীভাবে

    PM Modi: তৃতীয় দফার প্রথম বছরেই ‘গল্পে’র মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন মোদি, জানুন কীভাবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সরকারের তৃতীয় দফার প্রথম বর্ষপূর্তি (Modi 3.0 Anniversary)। গত দুই মেয়াদের তুলনায় কম সংখ্যা নিয়ে তৃতীয়বার বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ তাদের তৃতীয় মেয়াদ শুরু করে। তাই সরকার গড়তে বিজেপিকে নির্ভর করতে হয় তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এবং জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)-এর মতো জোটসঙ্গীদের ওপর। তার পর অনেকেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, এই সরকার এক বছরও টিকবে না। অনেকে আবার বলেছিলেন, ২০২৫ সালেই অকাল নির্বাচন হতে চলেছে। কিন্তু ‘বিজ্ঞ’দের সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়ে তৃতীয় দফায়ও দিব্যি একটা বছর অতিক্রান্ত করে ফেলল মোদি সরকার। শুধু তাই নয়, এই পর্বে তিনটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে, গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি বিল পাশ করিয়ে এবং বড় কোনও বাধা ছাড়াই জোটসঙ্গীদের সন্তুষ্ট করে রাখতে পেরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    মোড় ঘুরিয়েছেন মোদি (PM Modi)

    তৃতীয় দফার মেয়াদে গত এক বছরের মধ্যেই পরিস্থিতির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে বিজেপি। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ও দিল্লির মতো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচনে জয় পেয়েছে পদ্ম-পার্টি। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁদের ক্ষমতা প্রদর্শন করেছেন ওয়াকফ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করিয়ে। বড় কোনও বিপর্যয় ছাড়াই তারা জোটসঙ্গীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে। তৃতীয় মোদি সরকার যখন প্রথম বর্ষপূর্তি পালনের উদ্যোগ করছিল, তখন সেখানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ একপ্রকার আইসিংয়ের মতো কাজ করেছে, যা জনমতকে কেন্দ্রের পক্ষে আরও দৃঢ় করেছে (Modi 3.0 Anniversary)।

    একের পর এক নির্বাচনে জয়

    ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতে বিজেপির নির্বাচনী সাফল্য পদ্ম-পার্টি সম্পর্কে একটি দুর্বল দলের ধারণা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। ওই বছরই জুন মাসে হরিয়ানায় ১০টি লোকসভা আসনের মধ্যে মাত্র ৫টিতে জেতে বিজেপি। অথচ, অক্টোবর মাসে ৯০ আসনের বিধানসভা নির্বাচনে ৪৮টি আসন জিতে নেয় গেরুয়া শিবির। নভেম্বরে মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন মহাযুতি জোট ২৮৮টির মধ্যে ২৩৫টি আসনে জয়ী হয়। বিজেপি একাই দখল করে ১৩২টি আসন। শতাংশের বিচারে সাফল্যের হার ৮৯ (PM Modi)। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনেও বিপুল ভোটে জেতে বিজেপি। সেখানে তারা আম আদমি পার্টির এক দশকের শাসনের অবসান ঘটিয়ে ৭০টির মধ্যে ৪৮টি আসনে জয়লাভ করে। এটি ছিল দিল্লিতে ১৯৯৮ সালের পর বিজেপির প্রথম জয়।

    একাধিক গুরুত্বপূর্ণ আইন পাশ

    প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার গত এক বছরে যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ সব আইন পাশ করেছে, তা তাদের রাজনৈতিক শক্তি ও সদিচ্ছার প্রমাণ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫। বিরোধীদের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে লোকসভায় ২৮৮ ভোট ও রাজ্যসভায় ১২৮ ভোটে বিলটি পাস করায় মোদি সরকার। আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিলের মধ্যে রয়েছে রেলওয়ে (সংশোধনী) বিল, ব্যাঙ্কিং আইন (সংশোধনী) বিল, ২০২৪ এবং ভারতীয় বায়ু যান বিধেয়ক, বিল ২০২৪ (Modi 3.0 Anniversary)। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তাদের এনডিএ সঙ্গীদের, বিশেষ করে টিডিপি এবং জেডিইউকে পরিচালনা করেছে। প্রথমদিকে জোটসঙ্গীরা ওয়াকফ বিল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও, পরে সরকার আলোচনার মাধ্যমে এবং যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ে এই সমস্যার সমাধান করে। চন্দ্রবাবু এবং নীতীশ কুমার উভয় নেতাই বারবার আশ্বস্ত করেছেন যে, তাঁরা এনডিএ ছাড়বেন না (PM Modi)।

    বিজেপির ক্রেডিট

    মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের পর জোটে কিছুটা টানাপোড়েন দেখা দেয় যখন শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে আচমকাই নিজের গ্রামে ফিরে যান। তখন গুজব ছড়ায় যে দেবেন্দ্র ফড়নবীসকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করা হবে। শিন্ডে শুরুতে উপ-মুখ্যমন্ত্রী হতে চাইছিলেন না। তবে বিজেপি দ্রুত দিল্লিতে শিন্ডে ও অজিত পওয়ারের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় বসে এবং শহর উন্নয়ন ও জন নির্মাণ-সহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব শিন্ডের দলকে দিয়ে সমর্থন নিশ্চিত করে। প্রশমিত হয় উত্তেজনা। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার জেরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। মোদি সরকারের (Modi 3.0 Anniversary) এই পদক্ষেপ যুগান্তকারী হিসেবে প্রমাণিত হয় (PM Modi)।

    মোদির ভাবমূর্তি আরও শক্তিশালী

    পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্কগুলিকে ধ্বংস করে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বের দরবারে কেন্দ্রীয় সরকারের দৃঢ় সংকল্পই প্রদর্শন করে। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে মোদি সরকারকে দলমত নির্বিশেষে সমর্থন করে দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দল। কারণ শশী থারুর ও আসাদউদ্দিন ওয়াইসির মতো বিরোধী দলের নেতারাও ভারতের ‘জিরো টলারেন্স নীতি’-র পক্ষে সমর্থন জোগাড় করতে ভারতের তরফে বিভিন্ন (Modi 3.0 Anniversary) দেশে পাঠানো প্রতিনিধিদলে যোগ দেন। ভারতের এই পদক্ষেপে মোদির ভাবমূর্তি আরও শক্তিশালী হয়েছে (PM Modi)।

  • Indian Railways: চার নয়, ২৪ ঘণ্টা আগেই প্রকাশিত হবে সংরক্ষিত আসনের তালিকা! বড় সিদ্ধান্ত রেলের

    Indian Railways: চার নয়, ২৪ ঘণ্টা আগেই প্রকাশিত হবে সংরক্ষিত আসনের তালিকা! বড় সিদ্ধান্ত রেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট রয়েছে ওয়েটিং লিস্টে৷ এতদিন পর্যন্ত, সেই টিকিট কনফার্ম হয়েছে কি না, তা জানতে ট্রেন ছাড়ার ৪ ঘণ্টা আগে চার্ট প্রিপারেশন হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হত রেলযাত্রীদের (Railways Passenger Chart) ৷ কিন্তু, এবার সেই হয়রানি শেষ হওয়ার পথে৷ আর ৪ ঘণ্টা নয়, ২৪ ঘণ্টা আগে প্রকাশিত হবে ট্রেনের সংরক্ষিত আসনের তালিকা। ভারতীয় রেল (Indian Railways) সূত্রে খবর, ৪ ঘণ্টা আগে জানানোয় সাধারণ মানুষ বিকল্প ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তেন। যদি টিকিট কনফর্ম না হয়, তাহলে ওই ৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা করতে পারতেন না। এবার থেকে রেলযাত্রীদের আর সেই সমস্যায় পড়তে হবে না।

    কেন এই পদক্ষেপ

    দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীদের অভিযোগ ছিল যে, ট্রেনের সংরক্ষিত আসনের তালিকা ৪ ঘণ্টা আগে প্রকাশিত হওয়ার কারণে তাঁরা বিকল্প ব্যবস্থা করতে (Indian Railways) সমস্যায় পড়েন। যদি টিকিট কনফর্ম না হয়, তাহলে ওই ৪ ঘণ্টার মধ্যে নতুন ব্যবস্থা নেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। এখন থেকে, ট্রেনের সংরক্ষিত আসনের তালিকা ২৪ ঘণ্টা আগে প্রকাশিত হবে, যা যাত্রীদের জন্য খুবই সহায়ক হতে চলেছে। ভারতীয় রেলের সূত্রে জানা গেছে, এই পরিবর্তনটি (Indian Railways) সুবিধার জন্য করা হয়েছে। যাত্রীরা এখন সহজেই টিকিট কনফর্ম না হলে বিকল্প ব্যবস্থা করতে পারবেন, কারণ তাঁদের হাতে ২৪ ঘণ্টা সময় থাকবে। বিশেষত যাত্রীদের মধ্যে যারা বিশেষ প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে ট্রাভেল করেন বা যারা শেষ মুহূর্তে টিকিট বুকিং করেন, তাঁদের জন্য এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যাত্রীদের কষ্ট কমাতে এবং যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    দালালদের দৌরাত্ম্য কমবে

    ট্রেনে (Indian Railways) সংরক্ষিত আসন নিয়ে দালাল বা টাউটদের দৌরাত্ম্য একটি ব্যাপক সমস্যা। অনেক সময় দেখা যায়, দালালের মাধ্যমে টিকিট বুকিং করা হয়, যার ফলে সাধারণ যাত্রীরা বঞ্চিত হয়। দালালেরা সাধারণত সরকারি মূল্যের চেয়ে বেশি দামে টিকিট বিক্রি করে, যা সাধারণ যাত্রীদের জন্য একটি আর্থিক বোঝা। নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে, যাত্রীদের হাতে আরও সময় থাকবে, যার ফলে দালালদের কার্যকলাপ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে, বলে মনে করছে রেলমন্ত্রক। প্রসঙ্গত, এর আগে দূরপাল্লার ট্রেনে সংরক্ষিত আসনের টিকিট কাটার সময়সীমা বদলেছে রেল। গত বছর ১ নভেম্বর থেকে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট কাটার সময়সীমার ক্ষেত্রে বদল আনা হয়েছে। এর আগে আগাম টিকিট কাটার সময়সীমা শুরু হত ১২০ দিন আগে থেকেই। অর্থাৎ, যাত্রার ১২০ দিন আগে সংরক্ষিত আসনের টিকিট কাটা যেত। তবে সেই সময়সীম কমিয়ে এনেছে রেল। এখন থেকে যাত্রার ৬০ দিন আগে পর্যন্ত টিকিট কাটা যাবে।

  • India: শাহি ডেডলাইনের আগেই দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে মাওবাদীরা?

    India: শাহি ডেডলাইনের আগেই দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে মাওবাদীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে (India) ডোডো পাখির দশা হতে চলেছে মাওবাদীদের (Naxalism)! রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সংগঠনে এখন মাত্র ৩০০ জন নকশাল সদস্য রয়েছে। অথচ বছর কয়েক আগেও ছত্তিশগড় ও ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে দাপিয়ে বেড়াত মাওবাদীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে এরা বনপার্টি নামে পরিচিত। এই বনপার্টির ভয়েই কাঁটা হয়ে থাকতেন জঙ্গলের প্রান্তিক সম্প্রদায়ের মানুষজন। ছত্তিশগড়ের গভীর জঙ্গলে হাজার হাজার নকশাল শিবির ছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মাও দমনে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন। তার পর থেকেই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়ে নিরাপত্তা বাহিনী।

    ছত্রখান সংগঠন (India)

    নিরাপত্তাবাহিনীর এই অপারেশনে খতম হয় বেশ কিছু মাওবাদী। প্রাণভয়ে আত্মসমর্পণও করে বহু মাওবাদী। নেতাদের সিংহভাগই নিকেশ হয়ে যাওয়ায় কিংবা ধরা পড়ে যাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়ে গিয়েছে সংগঠন। নেতৃত্বের সংকটের পাশাপাশি হু হু করে কমছে সংগঠনের সদস্য সংখ্যা। মাওবাদীদের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটি, যাকে পলিটব্যুরো বলা হয়, সেখানে এখন মাত্র ৪ জন সদস্য রয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটিতেও সদস্যসংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৪ জনে। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৫ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত পলিটব্যুরোর ১৪ জন সদস্য হয় গ্রেফতার হয়েছে, নয়তো নিহত হয়েছে। এখন কেবল ৪ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে। এরা হল মুপল্লা লক্ষ্মণ রাও ওরফে গণপতি, মল্লোজুলা ভেনুগোপাল ওরফে অভয়, থিপ্পিরি তিরুপতি ওরফে দেওজি এবং মিসির বেসরা। গোয়েন্দাদের অনুমান, গণপতি ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছে।

    বেহাল দশা সংগঠনের

    কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসংখ্যাও দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত এই কমিটির ২৬ জন সদস্য গ্রেফতার বা নিহত হয়েছে। কেউ কেউ আত্মসমর্পণ করেছে। বর্তমানে এই কমিটিতে মাত্র ১৪ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে, যার মধ্যে ৪ জন পলিটব্যুরো নেতা। বস্তার অঞ্চলের আইজিপি সুন্দররাজ পি বলেন, “মাওবাদীদের কমান্ড কাঠামো এখন প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ধারাবাহিক গোয়েন্দা-ভিত্তিক অভিযান ও আত্মসমর্পণের ফলে সংগঠন টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে এবং দিশাহীন অবস্থায় পড়েছে। বর্তমানে প্রায় ৩০০ সশস্ত্র ক্যাডার দণ্ডকারণ্য ও কয়েকটি বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে গোপন আস্তানায় লুকিয়ে রয়েছে (Naxalism)। তাদের সামনে দুটি পথ খোলা — হয় আত্মসমর্পণ করা অথবা ধ্বংস হওয়া (India)।”

    একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অভিযান

    নিরাপত্তা বাহিনী মাওবাদী সংগঠনের কাঠামো দুর্বল করতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অভিযান চালিয়েছে। এসব অভিযানে সংগঠনের বহু প্রভাবশালী নেতাকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। সম্প্রতি বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় শীর্ষস্থানীয় নকশাল নেতা ভাস্করের। তার মাথার দাম ছিল ৪৫ লাখ টাকা। সে ছিল ওই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের একজন (India)। ২০২৫ সালের মে মাসে নিরাপত্তা বাহিনী কুখ্যাত মাওবাদী নেতা নম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজুকে হত্যা করে। এটি গত ৩০ বছরের মধ্যে প্রথম ঘটনা যেখানে কোনও বড় মাপের নকশাল নেতা খতম হয়েছে। এই অভিযানটি পরিচালনা করেছিল ছত্তিশগড় পুলিশের বিশেষ বাহিনী ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (DRG)।

    নিকেশ একের পর এক নকশাল চাঁই

    গত ৬ জুন নারসিমহা চালাম যে সুধাকর নামেও পরিচিত, আর একজন প্রভাবশালী নকশাল কমান্ডারও একই জেলায় নিহত হয়। বসভারাজুর পর সুধাকরকে নকশাল আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচনা করা হত। তার মাথার দাম ছিল ৪০ লাখ টাকা। নকশালপন্থী হওয়ার (Naxalism) আগে সে আয়ুর্বেদ নিয়ে পড়াশোনা করেছিল (India)। ২০২৪ সালের পর থেকে নকশালবিরোধী অভিযান জোরদার হয়েছে। ডিআরজি, সিআরপিএফ এবং পুলিশ যৌথভাবে নকশালদের সম্পূর্ণ নির্মূল করতে ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালাচ্ছে। বিভিন্ন অভিযানে এখন পর্যন্ত ৩০-এর বেশি মাওবাদী নিহত হয়েছে। রিপোর্টে প্রকাশ, ২০২৪ সালে ২৯০ জন নকশাল পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে, ১,০৯০ জন গ্রেফতার হয়েছে এবং ৮৮১ জন আত্মসমর্পণ করেছে।

    শাহি ডেডলাইন

    উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২৫ সাল থেকে সরকার তাদের পদক্ষেপ দ্বিগুণ করেছে। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ২২৬ জন নকশাল নিহত হয়েছে, ৪১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং প্রাণ ভয়ে ৮৯৬ জন অস্ত্র ফেলে (Naxalism) আত্মসমর্পণ করেছে। নকশালদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত কারেগুট্টা পাহাড়ও খালি করে দেওয়া হয়েছে (India)। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাফ জানিয়েছেন, ভারতে নকশালবাদ সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা হবে। তাঁর লক্ষ্য, ২০২৬ সালের ৩১শে মার্চের মধ্যে দেশ থেকে নকশালবাদের অবসান ঘটানো (India)।

  • QRSAM: সেনা পাচ্ছে দেশে তৈরি নতুন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ‘কিউআরস্যাম’, মোতায়েন হবে চিন-পাকিস্তান সীমান্তে

    QRSAM: সেনা পাচ্ছে দেশে তৈরি নতুন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ‘কিউআরস্যাম’, মোতায়েন হবে চিন-পাকিস্তান সীমান্তে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সৌজন্য তামাম বিশ্বের নজর কেড়ে নিয়েছে ভারতের বহুস্তরীয় এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা। এবার, আরও শক্তিশালী হওয়ার পথে দেশের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (Air Defence System) বা আকাশসীমা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। শীঘ্রই ভারতের হাতে আসছে আরও একটি নতুন ধরনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যার পোশকি নাম কুইক রিয়্যাকশন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল বা সংক্ষেপে ‘কিউআরস্যাম’ (QRSAM)। ভারতীয় সেনাবাহিনীর আধুনিক এয়ার ডিফেন্স ক্ষমতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

    ৩০ হাজার কোটি টাকার কিউআরস্যাম

    ভবিষ্যতে পাকিস্তান, চিনের বিরুদ্ধে সংঘাতের মোকাবিলার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ভারতীয় সেনাবাহিনী ৩০,০০০ কোটি টাকা দিয়ে নতুন স্বদেশীয় ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম (QRSAM) কিনতে চলেছে। জানা যাচ্ছে, চলতি মাসেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধিনস্থ ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল (ডিএসি) এই প্রস্তাবে ছাড়পত্র দিতে পারে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের শীর্ষ কর্তা সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন যে, দেশের পশ্চিম এবং উত্তর সীমান্তে মোতায়েনের জন্য দেশীয় এই নতুন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের (Air Defence System) তিনটি রেজিমেন্ট কেনার প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে। ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করেছে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ডিআরডিও। এটি যৌথভাবে উৎপাদন করবে দুই রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ও ভারত ডিনামিক্স লিমিটেড।

    প্রতিক্রিয়ার সময় মাত্র ৩-৫ সেকেন্ড!

    যা জানা যাচ্ছে, ‘কিউআরস্যাম’-কে (QRSAM) বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে সেনার ট্যাঙ্ক রেজিমেন্ট থেকে শুরু করে ভারতের বিভিন্ন কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অ্যাসেটগুলিকে লক্ষ্য করে হওয়া শত্রুর ফাইটার, হেলিকপ্টার, ড্রোন, সার্ফেস-টু-সার্ফেস এবং এয়ার-টু-সার্ফেস মিসাইল সহ আকাশপথে যে কোনও হানা প্রতিহত করার জন্যে। কিউআরস্যাম সিস্টেমটি একটি ট্রাকে চাপিয়ে সেনা কনভয়ের সঙ্গেও চলতে পারে। সিস্টেমটি কুইক রিয়্যাকশন-এর জন্যে তৈরি। অর্থাৎ, একটি টার্গেট চিহ্নিত ও লক থেকে লঞ্চ হতে সময় নেয় মাত্র ৩ থেকে ৫ সেকেন্ড। দিন হোক বা রাত– যে কোনও সময়ই এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা (Air Defence System) সমান কার্যকর। প্রতিটি লঞ্চারে ৬টি মিসাইল থাকে। একটি ব্যাটারিতে ৪টি লঞ্চার, একটি ব্যাটারি সার্ভিলেন্স রেডার, এবং ব্যাটারি মাল্টি ফাংশন রেডার আর কমান্ড সিস্টেম থাকে। অর্থাৎ প্রতি ব্যাটারিতে ২৪টি রেডি-টু-ফায়ার মিসাইল, সঙ্গে রিলোড মিসাইল থাকে। ৩টি ব্যাটারি থাকে একটি রেজিমেন্টে। অর্থাৎ ২৪×৩=৭২টি রেডি-টু-ফায়ার মিসাইল। ভারত ৩টি রেজিমেন্ট নিচ্ছে। অর্থাৎ ৭২×৩=২১৬টি রেডি-টু-ফায়ার মিসাইল, এর সঙ্গে আলাদা রিলোড মিসাইল। সেনাবাহিনীর আখেরে ১১টি কিউআরস্যাম (QRSAM) রেজিমেন্টের প্রয়োজন হবে।

    ভারতে বহুস্তরীয় এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা (Air Defence System)

    ভারত বর্তমানে বিভিন্ন পাল্লার জন্য বিভিন্ন ধরনের এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা মোতায়েন করে রেখেছে, যাদের সমন্বয় ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে আকাশতীর ইন্টিগ্রেটেড কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার। দূরপাল্লার জন্য রয়েছে রাশিয়া থেকে কেনা ৩৮০ কিমি পাল্লার ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’, যা ভারতে ‘সুদর্শন চক্র’ হিসেবে পরিচিত। মাঝারি পাল্লার জন্য রয়েছে ইজরায়েলের সঙ্গে যৌথভাবে নির্মিত ৭০ কিমি পাল্লার ‘বারাক-৮’ ক্ষেপণাস্ত্র। এছাড়া রয়েছে ২৫ কিমি পাল্লার স্বদেশীয় ‘আকাশ’ প্রতিরক্ষা সিস্টেম এবং ৬ কিমি পাল্লার ‘ভিশোরাড’ ক্ষেপণাস্ত্র। প্রায় ৩০ কিমি পাল্লার কিউআরস্যাম (QRSAM) সিস্টেমটি স্বল্প থেকে মাঝারি পাল্লার বিদ্যমান এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমগুলির পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে। ভারতের বহুস্তরীয় এয়ার ডিফেন্সের (Air Defence System) আওতায় এগুলো ছাড়াও রয়েছে এল-৭০, জডইউ-২৩ এবং শিলকা বিমান প্রতিরক্ষা বন্দুক, যেগুলি অপারেশন সিঁদুর-এর সময় নিজেদের জাত চিনিয়েছিল। এর বাইরে, ভারত বর্তমানে ‘প্রোজেক্ট কুশ’ নিয়ে গবেষণা করছে। এটি অ্যাডভান্সড স্টেজে রয়েছে। খুব শীঘ্রই পরীক্ষা শুরু হবে। ভারতের লক্ষ্য, ২০২৯ ২০২৯ সালের মধ্যে ৩৫০ কিমি পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রকে অন্তর্ভুক্ত করা।

  • Starlink: সেট-আপ করতে ৩৩ হাজার টাকা, মাসিক রিচার্জ ৩ হাজার! খরচ বনাম সুবিধের পাল্লায় ঝুলছে স্টারলিঙ্কের সাফল্য

    Starlink: সেট-আপ করতে ৩৩ হাজার টাকা, মাসিক রিচার্জ ৩ হাজার! খরচ বনাম সুবিধের পাল্লায় ঝুলছে স্টারলিঙ্কের সাফল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহেই ভারত সরকারের থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে ইলন মাস্কের ইন্টারনেট পরিষেবা সংস্থা স্টারলিঙ্ক। গত ৬ জুন টেলিকম মন্ত্রকের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় লাইসেন্স পেয়েছে স্টারলিঙ্ক। এর ফলে ভারতে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করতে পারবে সংস্থাটি। এর পর থেকেই স্টারলিঙ্কের পরিষেবা পেতে কত খরচ হতে পারে, সেই নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছিল। অবশেষে, সোমবার, প্রকাশ্যে এল সেই অঙ্ক।

    সেট-আপ করলেই প্রথম মাস ফ্রি!

    সংবাদসংস্থা এএনআই-র একটি প্রতিবেদন তরফে জানা গিয়েছে, ভারতে প্রতি বাড়িতে স্টারলিঙ্কের বিশেষ যন্ত্র বসাতে খরচ পড়বে ৩৩ হাজার টাকা। আর মাসে মাসে এই পরিষেবা পাওয়ার জন্য দিতে হবে ৩ হাজার টাকা। তবে, গ্রাহকদের আকর্ষিত করতে বিশেষ অফার নিয়ে এসেছে সংস্থাটি। জানা গিয়েছে, প্রথম মাসের সাবস্ক্রিপশন মকুব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইলনের সংস্থা। অর্থাৎ, সেটআপ করার জন্য ৩৩ হাজার টাকা দিলেই প্রথম এক মাস নিখরচায় ইন্টারনেট পরিষেবা পেতে পারেন গ্রাহক। দ্বিতীয় মাস থেকে মাসিক ৩ হাজার টাকা করে দিতে হবে।

    খরচ বনাম সুবিধে!

    বর্তমান পরিষেবা পেতে একজন ব্যবহারকারীকে যত খরচ করতে হয়, স্টারলিঙ্কে সেই পরিমাণ অনেকটাই বেশি। এত টাকা দিয়ে ইন্টারনেট বসানো অনেকের কাছে বাস্তবসম্মত নাও হতে পারে। ফলে, স্টারলিঙ্ক কতটা সাফল্য পাবে তা সময়ই বলবে। তবে, স্টারলিঙ্ক আশাবাদী। সংস্থার দাবি, যেহেতু তাদের পরিষেবা সরাসরি উপগ্রহ-মারফৎ হবে, তাই ইন্টারনেটের স্পিড (যা গ্রাহককূল মূল বিচার করে থাকে) অন্যের তুলনায় অনেকটাই বেশি হবে। উপরন্তু, একবারে প্রত্যন্ত জায়গাতেও এই পরিষেবা অনায়াসেই মিলবে। ফলে, আখেরে লাভবান হবেন ব্যবহারকারীরাই। এক নজরে দেখে নেওয় যাক, স্টারলিঙ্ক কী এবং তা কীভাবে কাজ করে।

    স্টারলিঙ্ক কী?

    স্টারলিঙ্ক প্রচলিত ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী ব্যবস্থা নয়। এটি হল সরাসরি স্যাটেলাইট বা উপগ্রহ-ভিত্তিক ব্রডব্যান্ড পরিষেবা। অনেকটা ডিটিএইচ (ডায়রেক্ট-টু-হোম) পরিষেবার মতো। স্যাটেলাইট ইন্টারনেট এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে উপগ্রহের (Satellite) মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা হয়। সাধারণত এটি সেই সমস্ত এলাকায় ব্যবহৃত হয়, যেখানে মোবাইল টাওয়ার বা ব্রডব্যান্ড পরিষেবা পৌঁছায় না— যেমন প্রত্যন্ত গ্রাম, পাহাড়ি অঞ্চল, দ্বীপ বা সাগরপারের অঞ্চল।

    কীভাবে কাজ করবে স্টারলিঙ্ক?

    এই পরিষেবায় একটি স্যাটেলাইট ডিশ এবং একটি মোডেম বা রাউটার ব্যবহার করা হয়। ব্যবহারকারী কোনও অনুরোধ পাঠালে (যেমন— একটি ওয়েবসাইট খোলা), সেই অনুরোধ প্রথমে স্যাটেলাইট ডিশ থেকে উপগ্রহে যায়। উপগ্রহ সেটি গ্রাউন্ড স্টেশনে (NOC) পাঠায়, যেখানে থেকে তথ্য প্রক্রিয়া করে আবার সিগন্যালের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর ডিভাইসে পাঠিয়ে দেয়। স্টারলঙ্ক ব্যবস্থায় একজন উপভোক্তা ৫০ থেকে ২৫০ এমবিপিএস পর্যন্ত উচ্চ-গতির ইন্টারনেট পরিষেবা পাবেন।

    স্টারলিঙ্কের কেন্দ্রে উপগ্রহ-পুঞ্জ

    স্টারলিঙ্ক ব্যবস্থায় পৃথিবীর লো-আর্থ অরবিটে (ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০০ থেকে ২০০০ কিলোমিটার উচ্চতায়) প্রদক্ষিণকারী ছোট উপগ্রহের একটি সমষ্টি থেকে সরাসরি ইন্টারনেট বিম করে ফাইবার অপটিক্স এবং সেলুলার টাওয়ারের সীমারেখাকে অতিক্রম করতে পারবে। এই স্যাটেলাইটগুলি ব্যবহারকারীর বাড়িতে বা অফিসে স্থাপিত একটি কমপ্যাক্ট ডিশ অ্যান্টেনার সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, যা পরে রাউটারের বা মোডেমের মাধ্যমে ইন্টারনেট রিলে করে। বর্তমানে, ৬ হাজারেরও বেশি উপগ্রহ ইতিমধ্যেই কক্ষপথে রয়েছে এবং ২০২৭ সালের মধ্যে নেটওয়ার্ক ৪২ হাজার উপগ্রহপুঞ্জ তৈরি করা হবে। এই সম্প্রসারণের জন্য একটি রোডম্যাপও রয়েছে বলে সংস্থা জানিয়েছে।

    ভারতে কেন গুরুত্বপূর্ণ স্যাটেলাইট-ইন্টারনেট?

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের বহু গ্রামীণ বা দুর্গম অঞ্চলে এখনও ইন্টারনেট পৌঁছায়নি। স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেই সমস্ত জায়গায় দ্রুত ও স্থায়ী ইন্টারনেট ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে। বিশেষত স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা কৃষি সংক্রান্ত উন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। স্টারলিঙ্ক মূলত ভারতের এমন সব এলাকায় পরিষেবা দিতে চায়, যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক বা ফাইবার অপটিক কভারেজ নেই বা খুবই দুর্বল। তবে, খরচের বিষয়টাই যা বাধা হতে পারে। কারণ, ভারত যে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে সস্তা মোবাইল ডেটা ব্যবহারের দেশ, তা কারও অজানা নয়। ফলে, স্টারলিঙ্ক নিলে সেই খরচ এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। যদিও, স্টারলিঙ্কের ভরসা হতে পারে প্রত্যন্ত অঞ্চলে দ্রুতগতি ও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট পরিষেবার সুবিধা।

    কবে থেকে চালু হবে পরিষেবা?

    লাইসেন্স হাতে পেলেও স্টারলিঙ্কের পথ এখনও পুরোপুরি মসৃণ নয়। ভারতের টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি (TRAI) এখনও স্যাটেলাইট স্পেকট্রাম বরাদ্দ সংক্রান্ত সুপারিশের অনুমোদন পায়নি। এটি অনুমোদিত হলেই পূর্ণমাত্রায় পরিষেবা চালু করতে পারবে স্টারলিঙ্ক। ফলে, পরিষেবা চালু হতে হতে আরও এক বছর লাগতে পারে। ইতিমধ্যে, এশিয়ার একাধিক দেশে ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে স্টারলিঙ্ক পরিষেবা—জাপান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স, ভুটান ও বাংলাদেশ। সেখানে মাসিক খরচ ২,৬০০ টাকা থেকে ৬,০০০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করে।

    স্টারলিঙ্কের প্রতিযোগী কারা?

    এই ময়দানে স্টারলিঙ্কের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হল রিলায়েন্স জিও স্যাটেলাইট এবং ভারতী এয়ারটেল-এর ওয়ানওয়েব। মাস্কের সংস্থার সঙ্গে এই দুই সংস্থাকেও স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। তবে, এই তিন সংস্থা নিজেদের পরিষেবা শুরু করলেও, একে অপরের সহায়ক হিসেবেও কাজ করবে। এর জন্য গতমাসে ভারতের টেলিকম অপারেটর সংস্থা রিলায়েন্স জিও এবং ভারতী এয়ারটেলের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে স্টারলিঙ্ক। ভারতে এই দুই সংস্থার ইতিমধ্যেই বিপুল বিস্তৃত নেটওয়ার্ক রয়েছে। ভারতের বেশিরভাগ জায়গাতেই এই সংস্থাগুলির নেটওয়ার্ক রয়েছে। এই দুই সংস্থার অনলাইন ও অফলাইন স্টোরের মাধ্যমে এবার থেকে স্টারলিঙ্ক ইকুইপমেন্ট বিক্রি করতে পারবে। উল্টোদিকে, এয়ারটেল পরিকল্পনা করছে যাতে তাদের নেটওয়ার্কের মধ্যেই স্টারলিঙ্ক ইন্ট্রিগ্রেট করা যায়। রিলায়েন্স জিও সংস্থা তার ব্রডব্যান্ড সিস্টেমে এই স্টারলিঙ্ক অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।

    স্যাটেলাইট-ইন্টারনেটের দুর্বলতা

    খরচ ছাড়াও স্টারলিঙ্কের মতো স্যাটেলাইট-ইন্টারনেটের বেশ কিছু দুর্বলতাও রয়েছে। প্রথমত, গ্রাহক সংখ্যা বেশি হলে, তা পরোক্ষভাবে ইন্টারনেট স্পিডকে প্রভাবিত করতে পারে। ফলত, গতি কমে যেতে পারে। দ্বিতীয়ত, যোগাযোগ যেহেতু সরাসরি স্যাটেলাইট নির্ভর, তাই পরিষ্কার আকাশ হওয়া বাধ্যতামূলক। এদেশে, প্রায়ই ঝড়-জল-বৃষ্টি-মেঘ থাকে। তেমন হলে, স্যাটেলাইটের সঙ্গে ডিশের যোগাযোগে বিঘ্ন হতে পারে। ঠিক যেমনটা হয় ডিটিএইচ-এর ক্ষেত্রে। তৃতীয়ত, ডিশ চৌম্বকীয় হওয়ায়, বজ্রপাতের সময় সাবধানতা অবলম্বন করা আবশ্যক।

LinkedIn
Share