Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Saline Controversy: স্যালাইনকাণ্ডে হস্তক্ষেপ দাবি করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাড্ডাকে চিঠি বিজেপি সাংসদের

    Saline Controversy: স্যালাইনকাণ্ডে হস্তক্ষেপ দাবি করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাড্ডাকে চিঠি বিজেপি সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেদিনীপুরে স্যালাইনকাণ্ডে (Saline Controversy) তোলপাড় গোটা রাজ্য। রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এই আবহের মধ্যে এবার স্যালাইনকাণ্ডে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডার হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিলেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ (BJP MP) জ্যোতির্ময় সিং মাহাত।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Saline Controversy)

    মূলত, সন্তান প্রসবের পরই, মৃত্যুর কোলে (Saline Controversy) ঢলে পড়েছেন এক প্রসূতি। তিনজন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে। তার মধ্যে দু’জন ভেন্টিলেশনে। পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের তৈরি রিঙ্গার্স ল্যাকটেট স্যালাইন ব্যবহারের ফলেই এই পরিণতি বলে অভিযোগ। এই প্রেক্ষাপটে আবার রোগীর পরিবারের থেকে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া নিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কিন্তু, এতগুলো মানুষকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলল কারা? কারা এই ঘটনার জন্য দায়ী? এই প্রশ্ন যখন উঠছে, গাফিলতির কথা মেনে নিয়েছেন মুখ্যসচিবও। তাঁর মুখে শোনা গেছে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি চিকিৎসকদের প্রসঙ্গ। বুধবার মুখ্যসচিব বলেছিলেন, প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে, গুরুতর গাফিলতি রয়েছে ইউনিটের, যাঁরা তখন ডিউটিতে ছিলেন। তা সত্ত্বেও, আমরা আরও বিশদ তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। প্রাথমিকভাবে যেটা হয়, সবসময় একজন সিনিয়র ডাক্তারের উপস্থিতিতেই এটা করা হয়। কিন্তু, ওখানে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা ট্রেনি চিকিৎসক, ওরাই এটা সামলেছেন। সেজন্য আমরা মনে করি, এটা গাইডলাইন অনুযায়ী হয়নি।

    আরও পড়ুন: নিজের বাড়িতেই ছুরি দিয়ে কোপানো হল অভিনেতা সইফ আলি খানকে, ভর্তি হাসপাতালে

    চিঠিতে কী দাবি জানালেন বিজেপি সাংসদ?

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডাকে (Saline Controversy) চিঠি দিয়ে বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত জানিয়েছেন, ‘‘বর্তমান সরকারের আমলে বেহাল বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থার গাফিলতির ছবি প্রকাশ্যে চলে এসেছে। তদন্ত কমিটি গঠন ও স্যালাইনের স্টক সরানোর ছাড়া রাজ্য কোনও উপযুক্ত পদক্ষেপ করেনি। সরকারি হাসপাতালের ওপর থেকে মানুষের আস্থা উঠে যাচ্ছে। প্রকৃত তদন্ত না করে আরজি করকাণ্ডে আন্দোলনে সামিল হওয়া জুনিয়র ডাক্তারদের দায়ী করা হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন এই সব জুনিয়র ডাক্তাররা। জাল ওষুধ চক্রের হাব হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ। বেআইনি ওষুধ চক্রের রমরমা নিয়ে সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত।”

    সরব শুভেন্দুও

    বুধবার শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘‘মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, মনে হচ্ছে, আপনি এবং স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম চাইছেন, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের (Saline Controversy) ঘটনার পুরো দায় স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিষয়ক বিভাগের দিকে ঠেলে দিতে। আপনাদের পরিকল্পনা হল, জুনিয়র এবং ট্রেনি চিকিৎসকদের কাঠগড়ায় তোলা। সাংবাদিক বৈঠকে ‘গাফিলতি’ শব্দটা একাধিকবার বলা, তার ইঙ্গিত দিচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  •  ED Raid: ৬ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক প্রতারণাকাণ্ডে হাওড়ায়, বেহালায় অভিযান ইডির

     ED Raid: ৬ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক প্রতারণাকাণ্ডে হাওড়ায়, বেহালায় অভিযান ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার শিবপুরে ইডি হানা (ED Raid)। জানা গিয়েছে, এর পাশাপাশি কলকাতার বেহালাতেও চলছে তল্লাশি। জানা গিয়েছে, শিবপুরের (Howrah) এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ৬০০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলার তদন্তের কারণে এই অভিযান বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে দীপক জৈন নামক এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেন ইডির আধিকারিকরা।

    ডিসেম্বর মাসে সঞ্জয় সুরেখা নামক এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও চলেছিল তল্লাশি

    এর আগে গত ডিসেম্বর মাসে সঞ্জয় সুরেখা নামক এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও চলেছিল তল্লাশি (ED Raid)। তখন ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় ২ কোটি টাকা। বাজেয়াপ্ত করা হয় ২টি গাড়ি। আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয়কে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যাঙ্ক প্রতারণার সূত্র ধরেই বৃহস্পতিবারের ইডি হানা।

    বিভিন্ন সংস্থার নাম করে আর্থিক লেনদেন চালানো হত

    স্টিল কোম্পানিটির বিরুদ্ধে ৬০০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক প্রতারণার (ED Raid) অভিযোগ রয়েছে। এই কোম্পানি বিভিন্ন সংস্থার নাম করে আর্থিক লেনদেন চালাত বলে অভিযোগ। সেই মামলার তদন্তেই আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই অভিযানে নামে ইডি। হাওড়ার (ED Raid) পাশাপাশি বেহালার একটি আবাসনে পৌঁছে গিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চলছে তল্লাশি।

    ২০২২ সাল থেকে তদন্তে ইডি

    এই মামলায় আদালতে ইডি আগেই অভিযোগ করেছিল, ১০ বছরে ৬ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক আমানত তছরুপ করা হয়েছে। অভিযুক্ত সঞ্জয় সুরেখাকে বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করে ইডির দাবি ছিল, ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১৬টি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে ৬২০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে ব্যবসায় লোকসান দেখিয়ে শতাধিক ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে এই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। ২০২২ সালে সিবিআইয়ের এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “সিআইডির সঙ্গে সিবিআইকে নিয়ে করতে হবে সিট”, স্যালাইনকাণ্ডে দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “সিআইডির সঙ্গে সিবিআইকে নিয়ে করতে হবে সিট”, স্যালাইনকাণ্ডে দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংক্রমিত স্যালাইন ব্যবহারের ফলে রোগীমৃত্যুর প্রতিবাদে পথে নেমে আন্দোলন করল বিজেপি। বৃহস্পতিবার বিজেপি বিধায়কদের স্বাস্থ্যভবন অভিযানের শেষে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে তিনি একগুচ্ছ দাবিও জানান। মূলত, বিষ স্যালাইনে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তুললেন ক্ষতিপূরণ থেকে সরকারি চাকরির দাবিও। এদিকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) স্বাস্থ্য ভবনের কাছাকাছি যেতেই বচসায় জড়াতে দেখা যায় পুলিশকে। পুলিশ বাধা দিলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শুভেন্দু ও তাঁর অনুগামীরা।

    সিআইডির সঙ্গে সিবিআইকে নিয়ে করতে হবে সিট (Suvendu Adhikari)

    এরই মধ্যে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন শুভেন্দু। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “জনস্বার্থেই স্বাস্থ্য ভবনে এসেছিলাম। স্পেশ্যাল সেক্রেটারিরর সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা বলেছি, রাজ্য সরকারের সর্বোচ্চ চেয়ারের ওপরে অভিযোগ উঠেছে। এখন সিআইডি তদন্ত করছে আরজি করের মতো। আসলে প্রমাণ নষ্ট করার জন্য সিআইডি-কে পাঠানো হয়েছে।” তিনি বলেন,“ সিআইডি তদন্ত চলতে পারে। কিন্তু সিবিআই-কে নিয়ে তৈরি করতে হবে সিট।”তাঁর সংযোজন, “আমরা স্পেশ্যাল সেক্রেটারিকে বলেছি, ড্রাগ কন্ট্রোল অথরিটির প্রতিনিধি, রাজ্যের প্রতিনিধি রাখতে হবে। আপনাদের মুখ্যমন্ত্রীকে বলুন চিফ জাস্টিসকে লিখতে। যাতে তাঁরা একটা বিচারপতি দেন। আর সিআইডি যদি থাকে তাহলে সিবিআই যাতে তাঁদের অফিসার দেয় সেটাও লেখার কথা বলেছি।  এদের সকলকে নিয়ে সিট তৈরি হোক। পুরোটার নেতৃত্ব দিন একজন বিচারপতি।”

    আরও পড়ুন: ‘‘এটা মৃত্যু নয়, হত্যা”, স্যালাইনকাণ্ডে থানায় এফআইআর দায়ের বিজেপি বিধায়ক শঙ্করের

    মমতাকে তোপ

    শুভেন্দু এদিন কাঠগড়ায় তুলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে ক্ষতিপূরণের দাবিও তোলেন শুভেন্দু। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমরা বলেছি প্রসূতি মা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য মারা গিয়েছেন। ওঁর দুটো বাচ্চা আছে। আপনারা দায়ী। আপনাদের দায়িত্ব নিতে হবে। ৫০ লক্ষ টাকা দিন আপনারা। চাকরি দিতে হবে। বাকি তিনজন প্রসূতির কথা আমরা জিজ্ঞেস করেছি। প্রথমে বলল ক্রিটিক্যাল, তারপর বলল চিকিৎসা চলছে।” সুর আরও চড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, “সব থেকে বড় ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ হচ্ছে গত এক মাস ধরে যাদের এই স্যালাইন দেওয়া হয়েছে তাঁদের ভবিষ্যতে কিডনি বিকল হতে পারে। ডাক্তাররা বলছেন, বিশেষজ্ঞরা বলছেন এ কথা।”

    রোগীদের তালিকা প্রকাশের দাবি

    স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে শুভেন্দুর নেতৃত্বে স্বাস্থ্যভবনে যায় বিজেপি বিধায়কদের দল। শুভেন্দুর দাবি, স্বাস্থ্য সচিবের অনুমতি নিয়ে এলেও আমাদের ব্যারিকেড করে বাধা দেয় পুলিশ। একে কেন্দ্র করে সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায় স্বাস্থ্য ভবনের গেটের সামনে। এর পর বিজেপি বিধায়কদের স্বাস্থ্য ভবনে প্রবেশের অনুমতি দেয় পুলিশ। স্বাস্থ্য ভবন থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আমি জানতে চেয়েছিলাম শুধুমাত্র এই ৫ জনকেই এই স্যালাইন দেওয়া হয়েছে, না কি আরও কেউ রয়েছে। আমায় কোনও জবাব দিতে পারেনি। আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নজরদারিতে এই ঘটনার তদন্ত দাবি করছি। গত ১ মাস ধরে কোটি কোটি মানুষকে সরকারি হাসপাতালে এই স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, যাদের এই স্যালাইন দেওয়া হয়েছে তাদের যে কোনও সময় কিডনি ফেল করতে পারে। তখন এই সরকার নিজের দায় ঝাড়তে কিডনি ফেলের কারণ হিসেবে অন্য কোনও যুক্তি খাড়া করবে। তাই গত ১ মাসে যাদের এই সংক্রমিত স্যালাইন দেওয়া হয়েছে তাদের তালিকা এখনই সরকারকে প্রকাশ করতে হবে। আমরা তালিকা চেয়েছি। তালিকা প্রকাশ করে তাঁদের দায়িত্ব নিতে হবে। নাহলে ৬ মাস পরে বলবে সুগার ছিল, তাই কিডনি ফেল করেছে। যাদের সংক্রমিত স্যালাইন দিয়েছে তাদের অভিশাপে ধ্বংস হয়ে যাবে এই সরকার।”

    মুখ্যমন্ত্রী-স্বাস্থ্যসচিবের গ্রেফতারি দাবি

    একই সঙ্গে ফের এই ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেন শুভেন্দু অধিকারী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের গ্রেফতারি দাবি করেন তিনি। স্বাস্থ্য ভবন থেকে বেরিয়ে ইলেক্ট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় যান শুভেন্দু। সেখানে এই ঘটনায় স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sajal Ghosh: ১০ টাকা দিলেই বাড়িতে পৌঁছে যাবে খাবার, বড় উদ্যোগ বিজেপি নেতা সজল ঘোষের

    Sajal Ghosh: ১০ টাকা দিলেই বাড়িতে পৌঁছে যাবে খাবার, বড় উদ্যোগ বিজেপি নেতা সজল ঘোষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিন জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। ৫০০ টাকা হাতে নিয়ে বাজার গেলে ঝোলা ভর্তি হয় না। মূল্যবৃদ্ধির বাজারে এবার বড় উদ্যোগ নিলেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ (Sajal Ghosh)। মাত্র ১০ টাকায় বাড়িতে পৌঁচ্ছে যাবে খাবার। পেটপুরে মিলবে খাবার। এই উদ্যোগের জন্য তিনি সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।

    কারা এই উদ্যোগের সুবিধা পাবেন? (Sajal Ghosh)

    ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ তারিখ থেকেই বিজেপি (BJP) নেতা সজল ঘোষ (Sajal Ghosh) শুরু করছেন এই পদক্ষেপ। জানা যাচ্ছে, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই রাজ্যে এমন অনেক অসহায় প্রবীণ নাগরিক রয়েছেন, যাঁরা একা থাকেন। ঠিকভাবে রান্না করতে পারেন না। অনেকে আবার বয়সের কারণে বাইরে খাবার কিনতে যেতে পারেন না। আর বাজারমূল্য একটি বড় ফ্যাক্টর। এসবের কথা মাথায় রেখে রাতের খাবারের বন্দোবস্ত করার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মধ্য ও উত্তর কলকাতার বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের জন্য দশ টাকার বিনিময়ে বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেবে বিজেপি। যেসব বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা বাড়িতে একা থাকেন, অসহায় তাদের পাশে দাঁড়াতেই এই পদক্ষেপ করছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। এই উদ্যোগের নাম রাখা হয়েছে ‘চেটেপুটে’। তবে তিনি পরিস্কার জানিয়েছেন, ‘মা ক্যান্টিনের’ সঙ্গে এর কোনও মিল নেই।

    আরও পড়ুন: ‘‘এটা মৃত্যু নয়, হত্যা”, স্যালাইনকাণ্ডে থানায় এফআইআর দায়ের বিজেপি বিধায়ক শঙ্করের

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    এ বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘সজল ঘোষ (Sajal Ghosh) এই এলাকায় বরাবর জনসেবামূলক কাজ করেছেন। আগেও আমাদের দল এই ধরনের জনসেবামূলক কাজ করেছে। অনেক সময় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের বাড়িতে রান্না করার মতো পরিস্থিতি থাকে না। তাঁদের জন্যই মূলত এই উদ্যোগ। আশা রাখব, এই উদ্যোগে বহু বৃদ্ধ-বৃদ্ধা উপকৃত হবেন। তবে এটা কারও পাল্টা নয়, আগেই বলে দিলাম। বরং, এটা বলতে পারি, সজলের উদ্যোগ অভিনব।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: কাঁটাতার বসানোয় বাধাসৃষ্টির পর সীমান্তে ভারতীয় কৃষককে ‘অপহরণ’ বিজিবি-র!

    Bangladesh: কাঁটাতার বসানোয় বাধাসৃষ্টির পর সীমান্তে ভারতীয় কৃষককে ‘অপহরণ’ বিজিবি-র!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশ (Bangladesh) জুড়ে উত্তরোত্তর বাড়ছে ভারত-বিদ্বেষ। পাশাপাশি, বিজিবি-র তরফে সীমান্তে লাগাতার উস্কানি দেওয়ার চেষ্টাও চলছে। যার জেরে মালদা ও কোচবিহার সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় কাঁটাতার দিতে বাধা দিচ্ছে বিজিবি। এই নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে তৈরি হয়েছে উত্তেজনার পরিবেশ। এই আবহের মধ্যে এবার এক কৃষককে অপহরণ করার অভিযোগ উঠল বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি-র বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার চাপড়ার হৃদয়পুর এলাকায়।

    পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?(Bangladesh)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো হৃদয়পুর গ্রামের চাষি নূর হোসেন মঙ্গলবার সকালে বিএসএফের কাছে তার পরিচয়পত্র জমা দিয়ে কাঁটাতার পেরিয়ে জিরো পয়েন্টের কাছে নিজের চাষের (Bangladesh) জমিতে চাষ করতে গিয়েছিলেন। এরপর সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও আর বাড়িতে ফিরে আসেননি তিনি। এরপরই সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রত্যেকের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষীরা ওই কৃষককে অপহরণ করেছে। ২৪ ঘণ্টা অতিক্রান্ত করলেও এখনো কৃষককে ফিরে পাননি তাঁর পরিবার। চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে ভারতীয় ওই কৃষকের পরিবার। পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, নিয়ম মেনেই নিজের জমিতে চাষ করতে গিয়েছিলেন। অন্য সময় বিকেলের মধ্যেই বাড়ি ফিরে আসেন। ২৪ ঘণ্টা হয়ে গেল কোনও খোঁজ নেই। এভাবে বিজিবি কেন একজন চাষিকে অপহরণ করল? আর বাংলাদেশে যে সব ঘটনা ঘটছে, সে সব দেখে আমরা চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। আমরা চাই, অবিলম্বে তাঁকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।

    বাংলাদেশের কী বক্তব্য?

    বাংলাদেশের (Bangladesh) পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, সোনা পাচারকারী সন্দেহেই নূর হোসেন শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি ইতিমধ্যেই বিএসএফ-কে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, এ বিষয়ে চাপড়া থানার পুলিশের অবহিত করা হয়েছে। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে যে, দেশের অভ্যন্তরের পরিস্থিতি থেকে জনগণের নজর ঘোরাতেই কি সীমান্তে লাগাতার উস্কানি দিচ্ছে বাংলাদেশের সরকার? নেপথ্যে কি মৌলবাদীদের প্ররোচনা? প্রশ্ন ওয়াকিবহাল মহলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ঝঞ্ঝা কাটিয়ে রাজ্যে ঢুকছে উত্তুরে হাওয়া, ফের কমল তাপমাত্রা, এবার কি জাঁকিয়ে শীত বঙ্গে?

    Weather Update: ঝঞ্ঝা কাটিয়ে রাজ্যে ঢুকছে উত্তুরে হাওয়া, ফের কমল তাপমাত্রা, এবার কি জাঁকিয়ে শীত বঙ্গে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমী ঝঞ্ঝার বাধা কাটিয়ে ফের উত্তুরে হাওয়ার গতিপথ অবাধ হচ্ছে রাজ্যে। আবহাওয়া (Weather Update) দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার আবহাওয়া শুষ্ক খটখটে থাকবে। সপ্তাহান্তে ফের জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা বঙ্গে। ৪ থেকে ৫ দিন স্থায়ী হতে পারে শীতের লাস্ট ইনিংস। শনিবারের মধ্যে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি পারদ পতনের সম্ভাবনা।

    কলকাতার আবহাওয়া কেমন থাকবে?(Weather Update)

    সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবসে কলকাতার আকাশ মূলত পরিষ্কার। আবহাওয়া (Weather Update) দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে,  কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হল ২৪.১ ডিগ্রি। যা স্বাভাবিকের থেকে ০.৭ ডিগ্রি কম। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হল ১৫.৪ ডিগ্রি। যা স্বাভাবিকের থেকে ১.৫ ডিগ্রি। তবে মঙ্গলবারের থেকে বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১.২ ডিগ্রি কমে গিয়েছে। আপাতত যা পরিস্থিতি, তাতে এখনই মাঘের একদম শুরুতেই জাঁকিয়ে শীত পড়ার আশা কম। উত্তুরে হাওয়া যে বাধাহীনভাবে বইবে এবং তাপমাত্রা নামবে, সেটা সম্ভব হচ্ছে না একের পর এক পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে অবশ্য পশ্চিমবঙ্গের পারদ কিছুটা নামতে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদরা। কলকাতার পারদ আরও একবার নামতে পারে ১৩ ডিগ্রির ঘরে।

    আরও পড়ুন: ‘‘এটা মৃত্যু নয়, হত্যা”, স্যালাইনকাণ্ডে থানায় এফআইআর দায়ের বিজেপি বিধায়ক শঙ্করের

    দক্ষিণবঙ্গে কোন কোন জেলায় কুয়াশার দাপ?

    পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কিছুটা দুর্বল হওয়ায় সার্বিক ভাবে পারদ জেলায় জেলায় কিছুটা নিম্নমুখী। প্রায় সব জেলাতে সকালে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা। আবহাওয়া (Weather Update) দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কুয়াশার সম্ভাবনা বেশি থাকবে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া জেলাতে। কলকাতা সহ বাকি জেলাতেও সকালের দিকে হালকা কুয়াশার সম্ভাবনা। আপাতত দক্ষিণবঙ্গে কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। উইকেন্ডে দু থেকে তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে। শীতের লাস্ট ইনিংসের সূচনা শুক্রবারের পর।

    উত্তরবঙ্গেও ঘন কুয়াশা!

    উত্তরবঙ্গে ঘন কুয়াশার সতর্কবার্তা। আবহাওয়া (Weather Update) দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে,  দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা জেলাতে ঘন কুয়াশার দাপট থাকবে। বেশিরভাগ জেলাতেই দৃশ্যমানতা ২০০ মিটারে নিচে থাকবে। উত্তরবঙ্গের সব জেলার (দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা) আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। যে ছবিটা পালটাবে না আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার থেকে মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের কোনও জেলায় বৃষ্টি হবে না।

    ভিনরাজ্যে কী পরিস্থিতি?

    আবহাওয়া (Weather Update) দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘন কুয়াশা এবং বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি দেশের উত্তর-পশ্চিমের সমতলে। অতি ঘন কুয়াশার চাদরের মোড়া থাকবে রাজধানী দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় এবং উত্তরপ্রদেশ। ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকবে হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, সিকিম, বিহার, ওড়িশা, অসম, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং ত্রিপুরা। আজ বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রাজধানী দিল্লি সহ পাঞ্জাব, চণ্ডীগড়, হরিয়ানা এবং রাজস্থানে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat Express: হাওড়ার পর এবার শিয়ালদা থেকেও ছুটবে বন্দে ভারত, কাশীপুরে হচ্ছে রেল ইয়ার্ড

    Vande Bharat Express: হাওড়ার পর এবার শিয়ালদা থেকেও ছুটবে বন্দে ভারত, কাশীপুরে হচ্ছে রেল ইয়ার্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার পরে এ বার শিয়ালদা থেকেও বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express) চালানোর উদ্যোগ নিল ভারতীয় রেল। মাস তিনেকের মধ্যে চালানোর উপযোগী পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গেলে শিয়ালদার ভাগ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের শিকে ছিঁড়তে পারে বলেই জানাচ্ছেন রেলকর্তারা। ওই ট্রেনের পরিষেবা শুরু করার আগে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো সংস্কারের ওপরে বিশেষ জোর দিচ্ছে রেল।  মঙ্গলবার জানিয়েছেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার মিলিন্দ দেউস্কর।

    কাশীপুরে হচ্ছে রেল ইয়ার্ড (Vande Bharat Express)

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা টার্মিনাল লাগোয়া কাশীপুরে (Vande Bharat Express) প্রায় ২৫০ কোটি টাকা খরচ করে যাবতীয় আধুনিক সুবিধা-সহ ওই কোচিং ডিপো বা ট্রেন রক্ষণাবেক্ষণের পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। তৈরি হচ্ছে রেল ইয়ার্ড। ওখানেই হবে ট্রেন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ। সেই পরিকল্পনা করছে রেল। ইতিমধ্যেই ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার-সহ পদস্থ আধিকারিকরা। হাওড়ার ঝিল সাইডিংয়ের ধাঁচে ভবিষ্যতের জন্য ওই পরিকাঠামো গড়ে তোলার পাশাপাশি, কলকাতা ও শিয়ালদা স্টেশনের ট্রেন রক্ষণাবেক্ষণ পরিকাঠামোও উন্নত করা হচ্ছে। দু’জায়গাতেই সর্বাধিক ২৪ কোচের ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ করার ব্যবস্থা করতে সম্প্রতি পিট লাইনের দৈর্ঘ্য বাড়ানো হয়েছে। এর পাশাপাশি, পুরনো সেতুর সংস্কার করে ট্রেনের গতি বাড়ানোর ওপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে পূর্ব রেলের আওতায় চলা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সিংহভাগ চলে হাওড়া থেকে। তবে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে ব্যান্ডেল স্টেশনকে কলকাতার উপগ্রহ টার্মিনাল হিসেবে গড়ে তুলতে চায় রেল। সে জন্য প্রায় ৩০০ কোটি টাকার পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান পূর্ব রেলের জিএম।

    আরও পড়ুন: ‘‘এটা মৃত্যু নয়, হত্যা”, স্যালাইনকাণ্ডে থানায় এফআইআর দায়ের বিজেপি বিধায়ক শঙ্করের

    হাওড়ায় আটটি প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য বাড়ানোর উদ্যোগ

    পাশাপাশি, হাওড়া থেকে কবচ যুক্ত ইএমইউ ট্রেনগুলি চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য ৩ মাস সময় লাগতে পারে জানালেন পূর্ব রেলের (Vande Bharat Express) জেনারেল ম্যানেজার। হাওড়া থেকে ধানবাদ সংলগ্ন ছোটা আমবানা পর্যন্ত এই প্রকল্পের কাজ আগামী ৩ মাসের মধ্যে হবে বলে জানাচ্ছেন তিনি। হাওড়া স্টেশনে পুরনো বাঙালবাবু ব্রিজ এবং বারাণসী ব্রিজের বদলে নতুন সেতু চালু হলে ওই স্টেশনে আটটি প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য বাড়ানো সম্ভব হবে। সেই কাজ করা গেলে দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়াও ১২ কোচের লোকাল ট্রেন স্টেশনে ঢোকা নিয়ে জটিলতা কমবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে হাওড়া-নয়াদিল্লি পথের একাংশে কবচ প্রযুক্তির মহড়া শুরু হতে পারে বলেও জানিয়েছেন জিএম। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে পূর্ব রেল পণ্য পরিবহণ খাতে ২৮ শতাংশ আয় বাড়িয়েছে। লোকাল ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা উন্নত করতে ২০০টি ট্রেনকে বেছে নিয়ে পরিস্থিতি বদলানোর চেষ্টাও করা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ড ছাড়াও রেললাইনের অন্যান্য ক্ষতি এড়াতে রেলপথের ধারে আবর্জনা ফেলার বিরুদ্ধে রেল প্রচার চালাবে।

    প্রসঙ্গত, বাংলায় প্রথম বন্দে ভারত চালু হয়েছিল হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে। চালুর পর থেকেই এই ট্রেন নিয়ে উন্মাদনার শেষ নেই। শুরুতে অল্প সংখ্যক ট্রেন থাকলেও চাহিদার কথা মাথায় রেখেই কিছু সময়ের মধ্যে বাংলার বন্দে ভারতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকে। বর্তমানে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ির পাশাপাশি হাওড়া-পুরী, নিউ জলপাইগুড়ি-গুয়াহাটি, হাওড়া-পাটনা, হাওড়া-রাঁচি, নিউ জলপাইগুড়ি-পাটনা রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Tram: ট্রামকে বাঁচাতে উদ্যোগী হতে হবে সরকারকে, বন্ধ করতে হবে লাইন বোজানর কাজ, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Kolkata Tram: ট্রামকে বাঁচাতে উদ্যোগী হতে হবে সরকারকে, বন্ধ করতে হবে লাইন বোজানর কাজ, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রাম (Kolkata Tram) নিয়ে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মুখ পুড়ল মমতার সরকারের। রাজ্য সরকারকেই ট্রাম বাঁচানোর জন্য বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে, উদ্যোগী হতে হবে। ঠিক এই নির্দেশ দিয়ে অবিলম্বে লাইন বোজানোর কাজ বন্ধের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে বলা হয়, প্রধান বিচারপতির বেঞ্চকে ট্রাম লাইন বুজিয়ে ফেলার বিষয়ে ছবি-সহ রিপোর্ট জমা দিতে হবে। 

    রাজ্যের সদিচ্ছা থাকা একান্ত প্রয়োজন (Kolkata Tram)

    কলকাতা শহরে ট্রামের পরিষেবা এবং লাইন তুলে ফেলার একটি মামলায় প্রধান বিচারপতির (Calcutta High Court) একটি পর্যবেক্ষণে বলা হয়, “ট্রাম একটি ঐতিহ্যবাহী যাত্রী পরিষেবা। তুলে দেওয়া খুব সহজ কাজ, কিন্তু বহুদেশে ট্রাম চলে। কোথাও কোথাও রাস্তার একেবারে মাঝখান দিয়ে লাইন করা রয়েছে। রাজ্যে ট্রামকে (Kolkata Tram) বাঁচাতে সরকারকে অনেক বেশি উদ্যোগী হতে হবে। এর জন্য সদিচ্ছা থাকা একান্ত প্রয়োজন।”

    দুই জায়গায় ট্রাম লাইন তুলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ

    কলকাতায় ট্রাম (Kolkata Tram) পরিষেবাকে অব্যাহত রাখতে একটি সামাজিক সংগঠন মামলা করেছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সংস্থার পক্ষে থেকে অভিযোগ ছিল, রাস্তায় যাতে ট্রাম চলতে না পারে, তাই কালীঘাট, ভবানীপুর, জাজেস কোর্ট, খিদিরপুরের ট্রামলাইনে পিচ ঢেলে বুজিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বন্ধ করার কাজ নিয়ে রাজ্য সরকারকে ধাক্কার মুখে পড়তে হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের। প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) টিএস শিবজ্ঞানম নির্দেশ দেন, “দুই জায়গায় ট্রাম লাইন তুলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ এসেছে, তা নিয়ে কলকাতা পুলিশ তদন্ত করে দেখবে। উপর তলার হাত না থাকলে এই ভাবে বুজিয়ে ফেলা যায় না।” তবে রাজ্যের তরফ থেকে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তাতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ট্রাম লাইন বুজিয়ে ফেলার কোনও কাজ করা হয়নি।

    আরও পড়ুনঃ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গিয়ে মৃত্যু কেরলের যুবকের, রাশিয়াকে কড়া বার্তা কেন্দ্রের

    লাইন তুলে দিতে প্রস্তুত সরকার

    এখন বিভিন্ন রকমের জটিলতা কাটিয়ে কীভাবে ট্রামকে সচল রাখা যায়, সেই কাজ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে পুলিশ, পরিবহণ দফতর, কলকাতা পুরসভা, রাজ্য পরিবহণ নিগম সহ বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধিরা। প্রত্যেক সংস্থার লোকজনকে নিয়ে একটি কমিটি গঠনের কথাও বলা হয়েছে। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, হাতে গোনা মাত্র কয়েকটা রুটে চলে ট্রাম (Kolkata Tram)। এখন এগুলিকেও তুলে দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার। একইভাবে অভিযোগ আরও করা হয়, আদালতের (Calcutta High Court) নানা সুপারিশ এবং পরামর্শকে অমান্য করছে রাজ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saline Controversy: ‘‘এটা মৃত্যু নয়, হত্যা”, স্যালাইনকাণ্ডে থানায় এফআইআর দায়ের বিজেপি বিধায়ক শঙ্করের

    Saline Controversy: ‘‘এটা মৃত্যু নয়, হত্যা”, স্যালাইনকাণ্ডে থানায় এফআইআর দায়ের বিজেপি বিধায়ক শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্যালাইন নিষিদ্ধ (Saline Controversy) করার পরও এরাজ্যে কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘বিষাক্ত’ স্যালাইন? সেই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। দু’টি জনস্বার্থ মামলাই দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে প্রধান বিচারপতি। এই আবহের মাঝে এবার স্যালাইন বিভ্রাটে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায়, স্যালাইন প্রস্তুতকারী সংস্থার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক? (Saline Controversy)

    মঙ্গলবার দুপুরে শিলিগুড়ি থানায় পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের (Saline Controversy) বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন শঙ্কর ঘোষ। তিনি (Sankar Ghosh) বলেন, ‘‘এর আগে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল-সহ কিছু মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইন প্রস্তুতকারী সংস্থার উৎপাদিত স্যালাইনের ব্যবহার বন্ধ করল। মৃত্যুও হয়েছিল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল। তারপরেও এই সংস্থার স্যালাইন কীভাবে সব মেডিক্যাল সাপ্লাই দিল রাজ্য?’’ এ নিয়ে এদিন তিনি আরও  বলেন, ‘‘এই স্যালাইনের ব্যবহারেই অতীতের মৃত্যু হয়েছিল কিনা দেখা হোক। স্বতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিক সরকার। পাশাপাশি দোষীদের গ্রেফতারও করতে হবে।” তিনি বলেন, ‘‘এটা মৃত্যু নয়, হত্যা।’’ এই সংস্থার একটি অফিস শিলিগুড়িতে, সংস্থার আরেক ডিরেক্টর মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধেই মূলত অভিযোগ করেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি আগেই অভিযোগ করেছিলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের ডিরেক্টর বহরমপুরের মুকুল ঘোষ। তাঁর সঙ্গে সরাসরি কালীঘাটের যোগ রয়েছে। টাকার বিনিময়ে জাল ওষুধ সাপ্লাই করে। ডিসিজিআই-কে দিয়েও তদন্তের অনুরোধ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে।”

    ঠিক কী অভিযোগ?

    ২০২৪-এর মার্চ মাসেই কর্নাটক সরকার এই স্যালাইন (Saline Controversy) প্রস্তুতকারী সংস্থাকে নিষিদ্ধ বলে উল্লেখ করেছিলেন। ওই রাজ্যে চার প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল। তারপরই নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠে। ডিসিজিআই-কে চিঠিও দিয়েছিলেন ওই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কর্নাটক যে স্যালাইনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল, সেই স্যালাইন কেন রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে রমরমিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয় এক প্রসূতির। এসএসকেএমে লড়াই চলছে আরও তিন প্রসূতির। জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে গ্রিন করিডর করে ওই তিন প্রসূতিকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল থেকে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা। এই ঘটনার পর থেকে হাসপাতালের স্যালাইন (রিঙ্গার্স ল্যাকটেট) নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বস্তুত ‘রিঙ্গার্স ল্যাকটেট’ স্যালাইনের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় গত ১০ ডিসেম্বর ওই স্যালাইনের উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল। তারপরও কীকরে হাসপাতালে তা ব্যবহার করা হল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: নদীতে ডুব দিয়ে পুণ্যার্থীরা হাজির হন বালুরঘাটের গঙ্গাসাগর মেলায়

    Balurghat: নদীতে ডুব দিয়ে পুণ্যার্থীরা হাজির হন বালুরঘাটের গঙ্গাসাগর মেলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের কুম্ভ মেলায় ভিড়। ভিড় এ রাজ্যের গঙ্গাসাগরেও। পুণ্য স্নান করতে  বালুরঘাটের (Balurghat) অনেক মানুষই যেতে পারছেন না গঙ্গা সাগরে। তাই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতেই বালুরঘাটের গঙ্গাসাগরে (Ganga Sagar 2025) ভিড় বাড়ছে পুণ্যার্থীদের। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে মেলা। এদিন সকালেই আত্রেয়ী নদীতে পুণ্যস্নান করতে দেখা গেল বহু পুণ্যার্থীদের।

    পুণ্য লাভের আশায় ভিড় হয় মেলায়! (Balurghat)

    বালুরঘাট (Balurghat) শহর থেকে খানিক দূরে গঙ্গাসাগর গ্রাম। শুধুমাত্র নামের মাহাত্ম্যেই গঙ্গাসাগর গ্রামে মকর সংক্রান্তিতে পুণ্যস্নান হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। কথায় আছে “সব তীর্থ বার বার, গঙ্গাসাগর একবার”  অর্থাৎ গঙ্গাসাগরে একবার পুণ্য স্নান করলে সমস্ত তীর্থের পুণ্য অর্জন হয়। ওই গ্রামে রয়েছে কপিল মুনির আশ্রম। যাকে কেন্দ্র করে বসেছে মেলা। মেলার পাশেই বয়ে গেছে বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদী। সেই নদীতে স্নানের জন্য ভিড় করেন পুণ্যার্থীরা। অনেকেই বলছেন, কুম্ভ মেলা ও গঙ্গাসাগরের মেলায় যেতে না পারলেও  বালুরঘাটের গঙ্গাসাগরেই স্নান করে পুণ্য অর্জন করছেন ভক্তরা। মকর সংক্রান্তির দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরেও পুণ্য স্নান করতে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়ে থাকে প্রতিবছর।  কিন্তু আর্থিক কারণে অনেকেই সেই গঙ্গাসাগরে যেতে পারেন না। তাঁরা ভিড় করেন দক্ষিণ দিনাজপুরের এই মেলায়।

    কপিল মুনির মন্দির কবে গড়ে উঠেছিল?

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট (Balurghat) শহর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে আত্রেয়ী নদীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত গঙ্গাসাগর গ্রাম। নাম মাহাত্ম্যের কারণে আজ থেকে প্রায় বিয়াল্লিশ বছর আগে গ্রামের বয়স্করা এখানেও গঙ্গাসাগরের মতো কপিল মুনির মন্দির গড়ে তোলার পাশাপাশি চালু করেন মন্দিরের পাশে নদীতে স্নান করে মন্দিরে পুজো দেওয়ার রীতি। ধীরে ধীরে গঙ্গাসাগর গ্রামের এই পুণ্য স্নানের কথা ছড়িয়ে পড়ে জেলা এবং জেলার বাইরে। প্রতিবছর বালুরঘাট সহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা এবং জেলা বাইরের বহু মানুষের সমাগম হয়ে থাকে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান করতে। মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে প্রতিবছর তিনদিনের মেলা বসে গঙ্গাসাগর গ্রামে। তিন দিনব্যাপী চলে মন্দির ঘিরে নাম সংকীর্তন।

    পুণ্যার্থীর বক্তব্য

    মালদা থেকে এই মেলায় এসেছিলেন রতন দাস। তিনি বলেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরে পুণ্য স্নান করতে যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না। যেহেতু এই জায়গার নাম গঙ্গাসাগর। তাই আমরা বালুরঘাটের (Balurghat) গঙ্গাসাগরে এসে পুণ্য স্নান  করলাম। এইখানে স্নান করলেও পুণ্য হয়। উৎসব কমিটির সদস্য প্রবীর প্রামাণিক জানান, ৪২ বছর ধরে এখানের মকর সংক্রান্তির স্নান হয়ে আসছে। মানুষ বিশ্বাস করে এই গঙ্গাসাগরে স্নান করলে পুণ্য হয়। তাই হাজার হাজার মানুষ  স্নান করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share