Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: ‘‘বাংলা বঞ্চিত নয়, জনগণকে বঞ্চিত করছে তৃণমূল’’, তথ্য তুলে ধরে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘বাংলা বঞ্চিত নয়, জনগণকে বঞ্চিত করছে তৃণমূল’’, তথ্য তুলে ধরে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  একশো দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনা। তৃণমূল জমানায় নানা প্রকল্পে দুর্নীতি সামনে এসেছে। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার মিথ্যা দাবি তুলে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। এই আবহে ফের একবার তথ্য দিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ‘‘বাংলা বঞ্চিত নয়, জনগণকে বঞ্চিত করছে তৃণমূল’’

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    এদিন সাংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘তৃণমূলের মালিকরা বারেবারে বলে বিজেপির জমিদাররা ৪.৬ লক্ষ কোটি টাকা কর নিয়েছে। ১.৬ লক্ষ কোটি টাকার নায্য পাওনা আটকে রেখেছে। ভারত সরকার ২০১৮-১৯ সাল থেকে ২০২২-২৩ সাল পর্যন্ত ৬.৪৮ লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে দিয়েছে।’’

    কেন্দ্রের সুদের টাকায় মেলা-খেলা 

    তৃণমূল সরকারকে (West Bengal) তীব্র আক্রমণ করে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, ‘‘আসলে এরা আগে সেন্ট্রালের শেয়ার নিয়ে অ্যাকাউন্টে রেখে দিত। তার সুদের টাকায় খেলা-মেলা-দান-ভাতা এসব করতো। কেন্দ্র এটাকে আটকে দিয়েছে। ফাইন্যান্সিয়াল ডিসিপ্লিন চালু করেছে। যার মধ্যে এরা আসতে রাজি নয়। কারণ এটা তো আলাদা রাজ্য। এখানে আলাদা জাতীয় বাংলা সঙ্গীত রয়েছে, আলাদা পতাকা, আলাদা সংবিধান, পুজো-পার্বনের আলাদা নিয়ম।’’

    থমকে একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্প

    একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্প মমতা সরকার বাংলায় চালু করেনি। এনিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। এর পাশাপাশি যে প্রকল্পগুলি চলছে, সেগুলির বাস্তবায়ন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘মোদিজীর কাছ থেকে ৮২ লক্ষের কাছাকাছি শৌচালয় পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু, কে পেয়েছে শৌচালয় কেউ জানে না। বাংলায় ৮৩ লক্ষের বেশি পিএম কিষাণ পাচ্ছে না। কেন পাঠানো হচ্ছে না নাম? কেন সেন্ট্রাল স্কিমগুলি চালু হচ্ছে না? আপনার কার্ড বাইরে চলে না কিন্তু আপনি কেন আয়ুষ্মান ভারত অন্তত বাইরে চালু করছেন না? বিশ্বকর্মা যোজনা নিয়ে ডিএম-দের দিয়ে মিটিং করাচ্ছেন না। তার কোনও উত্তর নেই।’’

    বাংলা বঞ্চিত নয়, বাংলার জনগণকে তৃণমূল কংগ্রেস বঞ্চিত করছে  

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর আরও চড়িয়ে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বেলডাঙার এক প্রধান একা ১৭টি বাড়ি নিয়েছেন। কাবিলপুরের প্রধান সাগরদিঘির একা আত্মীয়-স্বজন মিলে ৩৫টি বাড়ি নিয়েছেন। কারণ পঞ্চায়েত মন্ত্রী নিজে দুর্নীতিগ্রস্ত। এরা বাইরে আছে এটাই আশ্চর্যের। এদের ভিতরে থাকার কথা। প্রত্যেকটা লোক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। দুর্নীতিগ্রস্ত রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে। বাংলা বঞ্চিত নয়। বাংলার জনগণকে তৃণমূল কংগ্রেস বঞ্চিত করছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বীরভূমে বজরংবলির মূর্তি ভাঙল দুষ্কৃতীরা, ডিজিকে ব্যবস্থা নিতে বলে টুইট করলেন শুভেন্দু

    Birbhum: বীরভূমে বজরংবলির মূর্তি ভাঙল দুষ্কৃতীরা, ডিজিকে ব্যবস্থা নিতে বলে টুইট করলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করেছে সেদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। যার জেরে উত্তাল ওপার বাংলা। সেই ঘটনার আঁচ পড়েছে এপারেও। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন সনাতনীরা। এই আবহের মধ্যে এবার বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের ইন্দ্রগাছা মোড়ে একটি মন্দিরে হনুমান মূর্তি ভাঙার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সিউড়ি থানার পুলিশ। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে বলে জানা গিয়েছে।

    কী বললেন মন্দিরের পুরোহিত? (Birbhum)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিউড়ি-বোলপুর (Birbhum) রাস্তার ধারে ১০-১২ বছর আগে একটি হনুমান মন্দির গড়ে ওঠে। প্রতিদিন সেখানে নিয়ম করে পুজোও হয়। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে কে বা কারা বজরংবলির মূর্তি ভাঙে। শুক্রবার সকালে পুরোহিত মন্দিরে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। প্রবল উত্তেজনা ছড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে। মন্দিরের পুরোহিত মনোজ দাস বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি জানতে পারি। সকাল হতেই মন্দিরে ছুটে আসি। এসে দেখি মূর্তিটি দুষ্কৃতীরা ভেঙে দিয়েছে। এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। ঘটনার খবর পেয়ে এদিন পুলিশ এসেছিল। সমস্ত বিষয়টি আমরা জানিয়েছি। আমরা অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।”

    সরব শুভেন্দু

    বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, রাজ্যটাকে বাংলাদেশ করার চেষ্টা চলছে। আমরা এসব হতে দেব না। এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। রাজ্য নেতৃত্বকে সমস্ত বিযয়টি জানানো হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি (Suvendu Adhikari) লেখেন, “বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি ২ ব্লকের ইন্দ্রগাছা মোড়ে বজরংবলির মূর্তি ভাঙা হয়েছে। আমি রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের কাছে অনুরোধ করছি দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করা হোক।” জেলা পুলিশের কর্তাদের দাবি, তাঁরা বিষয়টির ওপর নজর রাখছেন। নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar case: আরজি কর আর্থিক দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট জমা দিল সিবিআই, অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ-সহ ৫

    RG Kar case: আরজি কর আর্থিক দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট জমা দিল সিবিআই, অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ-সহ ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক দুর্নীতি মামলায় আরজি কর (RG Kar case) হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটেছিল গত ৯ অগাস্ট। এবার আর্থিক দুর্নীতির মামলায় ৮৭ দিনের মাথায় তদন্তকারী অফিসারেরা আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন। মোট ১২৫ পাতার চার্জশিট ছিল। তার সঙ্গে আরও ৫০০ পাতার অতিরিক্ত নথি জমা করেছে তদন্তকারী সংস্থা। ফলে আরও বিপাকে সন্দীপ ঘোষ।

    আর্থিক অভিযোগ করেছিলেন সহকর্মীরা (RG Kar case)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে হাসপাতালে (RG Kar case) আর্থিক নয়-ছয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন ওই হাসাপাতলের সহকর্মীরাই। এদিন দুপুর ২টো ১৫ নাগাদ আদলাতে আসেন সিবিআইয়ের অফিসাররা। সন্দীপ ঘোষ নিজের প্রভাব খাটিয়ে হাসপাতালে সবরকম বেআইনি কাজ করতেন। নিজের পছন্দের লোকজনকে টেন্ডার পাইয়ে দিতেন। ওষুধ, জৈব উপাদান-সহ নানা বিষয়ে তিনি বেআইনি কাজ করতেন। ল্যাপটপ, হার্ড ডিস্ক, মোবাইল, মেমরি কার্ড-সহ অন্তত ১৮টি ডিজিটাল ডিভাইসের ‘ক্লোনিং’ করা হয়েছে বলে দাবি সিবিআই-এর। সেগুলি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী অফিসাররা। সমস্ত দুর্নীতির তথ্য এদিন তদন্তকারী অফিসাররা জমা করেন। সন্দীপের সঙ্গে আর বাকি যারা অভিযুক্ত তারা হল, সুমন হাজরা, বিপ্লব সিং, আফসার আলি, আশিস পান্ডে।

    ২ সেপ্টেম্বর সন্দীপকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই

    চিকিৎসক তরুণীর মৃত দেহ উদ্ধারের পর থেকেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠতে শুরু করে। তাঁকে ওই হাসপাতাল (RG Kar case) থেকে সরিয়ে মমতা সরকার ন্যাশেনাল মেডিক্যাল কেলেজে অধ্যক্ষ নিযুক্ত করলে সেখানকার জুনিয়র ডাক্তাররা ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান। পরে সরকার সিদ্ধান্ত বদল করতে বাধ্য হয়। গত ২ সেপ্টেম্বর সন্দীপকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এরপর চিকিৎসক তরুণীকে হত্যার প্রমাণ লোপাটের গুরুতর অভিযোগে গ্রেফতার করে সিবিআই। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট জমা পড়ায় বিরাট চাপের মুখে মমতা ঘনিষ্ঠ এই ডাক্তার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC Leader: বাড়িতে মিলল তেজস্ক্রিয় ‘ক্যালিফোর্নিয়াম’, সেনা নথি পাচারে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা গ্রেফতার

    TMC Leader: বাড়িতে মিলল তেজস্ক্রিয় ‘ক্যালিফোর্নিয়াম’, সেনা নথি পাচারে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হল প্রাণঘাতী তেজস্ক্রিয় মৌল। দার্জিলিংয়ের নকশালবাড়ির তৃণমূল নেতা (TMC Leader) ফ্রান্সিস এক্কার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ‘ক্যালিফোর্নিয়াম’ নামে বহুমূল্য ওই তেজস্ক্রিয় রাসায়নিক। দেশবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত সন্দেহে নকশালবাড়ির (Naxalbari) বেলগাছি চা বাগান থেকে ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল সেনাবাহিনী। শাসক দলের নেতার বাড়িতে এই ধরনের তেজস্ক্রিয় রাসায়নিক কী করে এল তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কে এই ফ্রান্সিস? (TMC Leader)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলগাছি চা বাগানে শ্রমিকের কাজ করতেন ধৃত তৃণমূল নেতা (TMC Leader) ফ্রান্সিসের স্ত্রী অমৃতা এক্কা। গত মহকুমা পরিষদ নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়ে নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তিনি। অপ্রচলিত শক্তি বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ পদে রয়েছেন। জনপ্রতিনিধি হওয়ার পর বাগানের কাজ ছেড়ে দেন অমৃতা। স্বামী ফ্রান্সিস স্ত্রীর সুবাদেই বাগানে থাকেন। সূত্রের খবর, নেপালে ফ্রান্সিসের যাতায়াত ছিল। সম্প্রতি তাঁর চালচলন-পোশাকে নাকি বড় পরিবর্তন হয়েছিল। যা চোখে পড়েছিল প্রতিবেশীদেরও। তবে, তিনি তৃণমূল নেতা হওয়ায় কেউ কোনও প্রশ্ন তোলেননি।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র, আজ সংসদে বিবৃতি দেবেন জয়শঙ্কর

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    তিনদিন আগে আচমকা বাগানের চার্চ লাইনে ফ্রান্সিসের (TMC Leader) বাড়ির সামনে বেশ কিছু গাড়ির কনভয় এসে দাঁড়ানোয় সবাই চমকে ওঠেন। আপাদমন্তক ঢাকা ‘হ্যাজমাত স্যুট’ পরা বেশ কিছু লোকজন এবং প্রচুর পুলিশ দেখে কেউই আর এগিয়ে আসার সাহস পাননি। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে গোটা বাড়িতে তন্নতন্ন করে তল্লাশি চালায় সেনা ও এনডিআরএফ। বাইরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নজরদারি করে পানিঘাটা ফাঁড়ির পুলিশ। অপারেশন শেষে উদ্ধার হওয়া সমস্ত সামগ্রী সহ ফ্রান্সিসকে নিয়ে চলে যায় সেনা। ভোরে তাঁকে পানিঘাটা ফাঁড়ির পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কার্শিয়াংয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক রায় বলেন, “সেনাবাহিনী ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে আমাদের হাতে দিয়েছে। একটি অভিযোগও দায়ের করেছে। যে সমস্ত সরঞ্জাম ধৃতের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে, সেগুলি সেনাবাহিনী নিয়ে গিয়েছে।” তবে, এই ক্যালিফোর্নিয়াম এবং ডিআরডিও-র নথি আসল না নকল সেটা সেনাবাহিনী পরীক্ষার পরই বলতে পারবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

    কী অভিযোগ রয়েছে?

    ফ্রান্সিসের (TMC Leader) বাড়ি থেকে রেডিওঅ্যাক্টিভ বা তেজস্ক্রিয় পদার্থ ক্যালিফোর্নিয়াম (Californium) এবং প্রচুর ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (DRDO) প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত নথিপত্র পাওয়া গিয়েছে। দেশের নামীদামি বিজ্ঞানীরা এখানে দেশের সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে বিভিন্ন গবেষণা করেন। সেই সমস্ত গবেষণাপত্র পাচারের অভিযোগ রয়েছে ফ্রান্সিসের বিরুদ্ধে। সেই নথি কীভাবে তাঁর হাতে এল, সেই চর্চা শুরু হয়েছে এলাকায়। তবে, গবেষণাপত্রগুলি আসল না নকল তা এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারছে না সেনা। সেনা সূত্রে খবর, আন্তর্জাতিক বাজারে মাত্র এক গ্রাম ক্যালিফোর্নিয়ামের মূল্য প্রায় ১৭ কোটি টাকা। সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, ডিআরডিও’র প্রচুর নথি এবং ক্যালিফোর্নিয়াম নামক রেডিওঅ্যাক্টিভ পদার্থ ভর্তি কনটেনার পাওয়া গিয়েছে ফ্রান্সিসের কাছে। মাস তিনেক আগে বিহার থেকেও এই ক্যালিফোর্নিয়াম সহ তিনজন ধরা পড়েছিল। এই চক্রের সঙ্গে ফ্রান্সিসের যোগ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    কী এই ক্যালিফোর্নিয়াম?

    সেনাকর্তারা বলছেন, “গবেষণাগারে কিউরিয়াম এবং আলফার মিশ্রণে ল্যাবরেটরিতে ক্যালিফোর্নিয়াম তৈরি করা হয়। এটা মানুষের দ্বারা তৈরি একটি সিন্থেটিক পদার্থ। আন্তর্জাতিক বাজারে যার এক গ্রামের দাম কয়েক কোটি টাকা। ভারতে সাধারণ মানুষের এই রেডিওঅ্যাক্টিভ ব্যবহার নিষিদ্ধ। মূলত নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টে এগুলি ব্যবহৃত হয়।” এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন বায়ুসেনা কর্তা আরকে দাস। তিনি বলেন, “ক্যালিফোর্নিয়াম অত্যন্ত সেন্সিটিভ, ডেঞ্জারাস। একটা সাধারণ মানুষের (TMC Leader) বাড়িতে কীভাবে এল, সেই প্রশ্ন তো উঠবেই। এই রাসায়নিক খুব গোপনভাবে ব্যবহার হয়। এই ক্ষেত্রে নিরাপত্তার গাফিলতি সামনে আসছে। এটা দেশের জন্য চিন্তার বিষয়।”

    কী বললেন অর্জুন সিং?

    কয়েকদিন আগেই বিজেপি নেতা অর্জুন সিং দাবি করেছিলেন, রাশিয়া থেকে রাসায়নিক আনা হয়েছে তাঁকে খুন করার জন্য। এই ঘটনার পর ফের মুখ খুললেন অর্জুন সিং। তিনি বলেন, “অসাধু চক্রের সঙ্গে যে তৃণমূলের (TMC Leader) যোগ আছে, সেই প্রমাণ আগেই মিলেছে। এবার সেটাই আরও একবার প্রমাণিত হল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Assembly: ‘‘ধর্মাচরণে বাধা তৈরি করছে রাজ্য’’, বিধানসভা বয়কট করলেন বিজেপি বিধায়করা

    West Bengal Assembly: ‘‘ধর্মাচরণে বাধা তৈরি করছে রাজ্য’’, বিধানসভা বয়কট করলেন বিজেপি বিধায়করা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা প্রশ্নে বিধানসভায় (West Bengal Assembly) মুলতুবি প্রস্তাব আনলেন প্রধান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির দাবি, ভারতের মাটিতে স্বাধীনভাবে নিজের নিজের ধর্মচর্চা করার অধিকার সংবিধান স্বীকৃত। সেই অধিকারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষের তরফে এটি করা হচ্ছে৷ শুক্রবার, বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষে মুলতুবি প্রস্তাব আলোচনার জন্য ওঠে। কিন্তু, আলোচনায় বিরোধী দলের কোনও সদস্যই প্রস্তাবটি পাঠ করার সুযোগ পাননি। এরপর হট্টোগোল শুরু হয়। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধানসভা বয়কট (BJP Walk Out) করেন বিজেপির বিধায়করা। 

    ধর্মাচরণে বাধা

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, ‘‘ধর্মাচরণে বাধা তৈরি করছে রাজ্য়। এ ব্যাপারে বিধানসভায় (West Bengal Assembly) আলোচনা চেয়েছিলাম। অথচ অধ্যক্ষ নিজেই সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিলেন। গরিষ্ঠতা, দম্ভ, অহঙ্কার দিয়ে বিধানসভার মধ্যেও বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা হচ্ছে। বাধ্য হয়েই ওয়াকআউট।’’ এ ব্যাপারে অধ্যক্ষর প্রতিক্রিয়া অবশ্য জানা যায়নি। বুধবার রাজ্যের নারী ও শিশু সুরক্ষা নিয়ে বলতে না দেওয়ার অভিযোগে বিধানসভা বয়কট করেছিলেন গেরুয়া বিধায়করা। আর শুক্রবার ‘ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে’- অভিযোগে কক্ষে মুলতুবি প্রস্তাব আনা হয়েছিল। শুভেন্দু অধিকারী, শঙ্কর ঘোষ, মনোজ ওঁরাও, অশোক দিন্দা, দীপক বর্মণ একযোগে এই অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন।

    আরও পড়ুন: ১৪০ কোটি ভারতবাসীর গর্ব! বন্ধু অ্যালবানিজের সঙ্গে রোহিতদের দেখে খুশি মোদি

    ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ

    শুভেন্দুর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বীরভূমের পুরন্দরপুরে বজরংবলীর মূর্তি ও মন্দির ভাঙা হয়েছে। এ ব্যাপারেই আলোচনা চাওয়া হয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘‘ভারতীয় সংবিধানের ধর্মের স্বাধীনতার কথা বলা আছে। ২৫, ২৬, ২৭, ২৮ ধারা বারেবারে লঙ্ঘিত হচ্ছে। যেমন ফালাকাটা, গার্ডেনরিচ, রাজাবাজার, নোদাখালি, বেলডাঙা- বিশেষ সম্প্রদায় হিন্দুদের অনুষ্ঠানে বাধা তৈরি করছে। অবিলম্বে এই জিনিস বন্ধ করা উচিত। অথচ রাজ্য এ বিষয়ে ব্যর্থ। সভায় এ বিষয়ে আলোচনার দাবি জানালে তা খারিজ করা হয়।’’ শুভেন্দু স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘‘শতাংশের হিসেব দেখলে সবচেয়ে বেশি ভোট আমরা হিন্দু জনগোষ্ঠী এবং জনজাতিদের পেয়েছি। আমরা যদি তাদের ধর্ম পালনে নিরাপত্তা দিতে না-পারি, তাদের কথা বিধানসভায় বলতে না-পারি, তাহলে কী মূল্য আছে আমাদের!’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mccluskieganj: নক্কি পাহাড় আর চট্টি নদী! অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানদের দেখা মেলে ঝাড়খণ্ডের ম্যাকলাস্কিগঞ্জে

    Mccluskieganj: নক্কি পাহাড় আর চট্টি নদী! অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানদের দেখা মেলে ঝাড়খণ্ডের ম্যাকলাস্কিগঞ্জে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলিউডের ‘আ ডেথ ইন দ্য গঞ্জ’ ছবিটি হয়ত অনেকেই দেখেছেন। কিন্তু সবাই জানেন না, এই ছবির শ্যুটিং হয়েছিল ম্যাকলাস্কিগঞ্জে (Mccluskieganj)। রাঁচি থেকে ৭০ কিমি দূরে ছোটনাগপুর মালভূমির ছোট্ট শহর এটি। ১৯৩৪ সালে রাতুর মহারাজের কাছ থেকে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমি লিজ নিয়ে (যার মধ্যে ছিল কঙকা, হেসাল এবং লাপড়া বস্তি) ভারতে বসবাসকারী অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানদের জন্য একটি কলোনি তৈরি করেন ই টি ম্যাকলাস্কি। তাঁর নামেই স্থানের নাম হয় ‘ম্যাকলাস্কিগঞ্জ’। শুরুতে ছিল ৩০০টি পরিবার। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বেশ জমজমাট ছিল এই জায়গা। যদিও  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ক্রমেই পরিবারের সংখ্যা কমতে থাকে। এখন তা (Anglo-Indians) কমতে কমতে ২৫ এরও নীচে নেমে এসেছে।

    নীল আকাশ আর অফুরন্ত শান্তি (Mccluskieganj)

    লাল পাথুরে মাটির পথ, দুপাশে শাল-সেগুন-মহুয়ার জঙ্গল, পাখির কূজন, নীল আকাশ আর অফুরন্ত শান্তি-এই নিয়েই সংসার ম্যাকলাস্কিগঞ্জের। এই অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নক্কি পাহাড় নামের একটি ছোট্ট পাহাড় আর চট্টি নামের একটি ছোট্ট নদী। এখনও এখানে যে কয়েক ঘর অ্যাঙ্গলো ইন্ডিয়ানদের (Anglo-Indians) পরিবার রয়েছে, গাছ-গাছালির ফাঁকফোকর দিয়ে দেখা যায় তাঁদের বাংলোগুলি। আর পথে চলতে গিয়ে দেখা হয়ে যায় আদিবাসী বাচ্চা ছেলেমেয়েদের সঙ্গে। তাদের মুখে সর্বদাই লেগে রয়েছে হাসি। অদ্ভুত সুন্দর আর নিষ্পাপ সারল্যের হাসি।

    জলবায়ু তুলনাহীন

    অন্যান্য স্থানে যখন প্রবল গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত, তখনও এখানে শীতের আমেজ। ভরা বর্ষায় এই মালভূমির রুক্ষতা, আবার একই সঙ্গে শ্যামলিমা ধরা পড়ে এখানে। আর বসন্তে যখন চারদিকে ফুটে ওঠে রক্তলাল পলাশ, তখন মনে হয় যেন চারদিকের অরণ্যে আগুন লেগেছে। এই অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আকর্ষণে এবং দারুণ জলবায়ুর কারণেই এক সময় অনেক কৃতি বাঙালি এই ম্যাকলাস্কিগঞ্জে (Mccluskieganj) বাংলো বাড়ি তৈরি করেছিলেন। এঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক সদ্য প্রয়াত বুদ্ধদেব গুহ। এখানেই তিনি তাঁর ‘ছুটি’ নামের বাংলোতে বসে লিখেছিলেন বিখ্যাত উপন্যাস ‘একটু উষ্ণতার জন্য’।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন?

    যাতায়াত-ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচি এবং বেতলা জাতীয় উদ্যান থেকে বাস যাচ্ছে ম্যাকলাস্কিগঞ্জ (Mccluskieganj)। আর কলকাতা থেকে সরাসরি যাচ্ছে শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেস এবং ভূপাল এক্সপ্রেস।
    থাকা-খাওয়া-এখানে হোটেলের সংখ্যা খুবই কম। কিছু কিছু বাড়ি আছে যেগুলো সামান্য অর্থের বিনিময়ে পর্যটকদের ভাড়া দেওয়া হয়। প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন ০৯৮৩১৩৯০৫২৪, ০৮৯৮১৬১২১০০ নম্বরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISKCON: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার বার্তা দিতে কীর্তনের আয়োজন কলকাতা ইসকনের

    ISKCON: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার বার্তা দিতে কীর্তনের আয়োজন কলকাতা ইসকনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারের ঘটনায় ভারতের একের পর এক ধর্মগুরু নিন্দায় সরব হয়েছেন। ভারত সরকার বাংলাদেশকে কড়়া বার্তা দিয়েছে। কলকাতা ইসকন (ISKCON) কর্তৃপক্ষ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার ইসকন স্বেচ্ছাসেবকরা একটি কীর্তন সভার আয়োজন করেছে।

    ইসকন কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট কী বললেন? (ISKCON)

    ইসকন (ISKCON) কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা হয়ত মনে করছেন যে, বিশ্ব তাঁদের ভুলে গিয়েছে এবং কেউ তাঁদের যত্ন নিচ্ছে না। আমরা তাঁদের জানাতে চাই যে, তাঁরা সবাই আমাদের হৃদয়ে এবং প্রার্থনায় বাস করেন এবং আমরা তাঁদের জন্য প্রার্থনা করছি। আর তাই কীর্তন সভার আয়োজন করেছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা চিন্তিত ছিলাম। কারণ, আলোচনা চলছিল– যেমন বাংলাদেশ ইসকনকে নিষিদ্ধ করবে। কিন্তু, সেখানকার হাইকোর্ট বলেছে যে এই বিষয়টি তাদের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। তাই আমরা এর থেকে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি।’’

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র, আজ সংসদে বিবৃতি দেবেন জয়শঙ্কর

    প্রতিবাদে সরব হাসিনা

    ইসকনের (ISKCON) পাশপাশি বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের নিন্দা করেছেন এবং তাঁর অবিলম্বে মুক্তর দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি সংখ্যালঘু এবং তাঁদের উপাসনালয়ে হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। সকল সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘সনাতন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের একজন সিনিয়র নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আমি তার অবিলম্বে মুক্তি দাবি করছি। চট্টগ্রামে মন্দিরে আগুন দেওয়া হয়েছে। এর আগে, মসজিদ, মাজার, গির্জা, মঠ এবং আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সকল সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’’ প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার তাঁকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করে তাঁকে হেফাজতে পাঠিয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: নিম্নচাপের জের! তিন ডিগ্রি বাড়ল কলকাতার তাপমাত্রা, ডিসেম্বরের শুরুতেই শীত?

    Weather Update: নিম্নচাপের জের! তিন ডিগ্রি বাড়ল কলকাতার তাপমাত্রা, ডিসেম্বরের শুরুতেই শীত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকে শহরে মেঘলা আকাশ, গুমোট ভাব। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপের পরোক্ষ প্রভাবে (Weather Update) এক ধাক্কায় তিন ডিগ্রি বেড়ে গেল কলকাতার তাপমাত্রা। স্বাভাবিকের চেয়েও বেশ খানিকটা চড়েছে পারদ। আগামী কয়েক দিনে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আরও খানিকটা তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার থেকে দক্ষিণের তিনটি জেলায় রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনাও। সাগরে নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে নতুন করে তাপমাত্রা কমবে। ডিসেম্বরের শুরুতেই শীতের  আগমন কলকাতায়। এরই মধ্যে, মৌসম ভবন জানিয়ে দিল, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে না ‘ফেনজল’। এখন থেকেই শক্তি হারাতে শুরু করে দিয়েছে সে।

    শীতের পথে বাধা নিম্নচাপ

    হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার এবং রবিবার সামান্য বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। বাকি জেলাগুলিতে আপাতত শুকনো আবহাওয়া থাকবে। তবে রাতের তাপমাত্রা আগামী দু’দিনের মধ্যে আরও খানিকটা বৃদ্ধি পেতে পারে। আপাতত শনিবার পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে, জানিয়েছে আলিপুর। উত্তরবঙ্গে এখন বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। উত্তরের জেলাগুলিতে মূলত শুকনো আবহাওয়া থাকবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

    আরও পড়ুন: পান্নুনের হুমকিকে উপেক্ষা করে আজ ভুবনেশ্বরে শুরু ডিজি-আইজিদের সম্মেলন

    বেড়েছে শহরের তাপমাত্রা

    দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ রয়েছে। তার অভিমুখ তামিলনাড়ুর উপকূলের দিকে। এর ফলেই বেড়েছে শহরের তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু শুক্রবার এক ধাক্কায় তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয়েছে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে যা ৩.৫ ডিগ্রি বেশি। বৃহস্পতিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৭ ডিগ্রি কম। এদিকে হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, নিম্নচাপের ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা আর নেই। ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা শুক্রবার সকালে তুলে নিল মৌসম ভবন। শক্তি হারাচ্ছে ‘ফেনজল’। গভীর নিম্নচাপ ঢুকবে তামিলনাড়ুর উপকূলে। ভারী বৃষ্টিপাত হবে। মৌসম ভবনের তরফে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তামিলনাড়ুর উপকূলে ইতিমধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh Protest: বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দুরা! কলকাতায় সনাতনীদের মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার, ভাঙল ব্যারিকেড!

    Bangladesh Protest: বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দুরা! কলকাতায় সনাতনীদের মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার, ভাঙল ব্যারিকেড!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Protest) হিন্দুদের ওপর লাগাতার নির্যাতনের প্রতিবাদে ও ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণদাসের মুক্তির দাবিতে কলকাতার রাস্তায় বিশাল মিছিল করল হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। আর তাতে সামিল হল একাধিক হিন্দু সংগঠন। আর সেই প্রতিবাদ মিছিলকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bangladesh Protest)

    হিন্দু জাগরণ মঞ্চের ডাকে বৃহস্পতিবারের এই মিছিলে (Bangladesh Protest) অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন। মূলত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন সনাতনীরা। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিভিন্ন মঠ ও মিশনের সন্ন্যাসীরা। মিছিলে যোগদান করেন বিজেপি সাংসদ, বিধায়ক থেকে দলের নেতা-কর্মীরা। শিয়ালদা (Kolkata) থেকে মিছিল শুরু হয়। বেকবাগানের কাছে পুলিশ মিছিল আটকাতে ব্যারিকেড দিয়ে দেয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে জগদীশচন্দ্র বসু রোড ধরে বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের কাছাকাছি এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আর তারপরই বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণের সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। এক পুলিশকর্মী আহত হন। ব্যারিকেডের নীচে চাপা পড়ে আহত হন বেশ কয়েকজন।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হয়রানির শিকার আরও এক হিন্দু সন্ন্যাসী, এবার গ্রেফতার সন্ত মহারাজ স্বরূপ দাস

    মিছিলের আয়োজকরা কী বললেন?

    মিছিল থেকেই হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে উঠছে স্লোগান। মিছিলের আয়োজকদের বক্তব্য, অবিলম্বে বাংলাদেশে (Bangladesh Protest) হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বন্ধ না করা হলে বড়সড় আন্দোলনে নামবে এখানকার হিন্দুরা। প্রসঙ্গত, কোটা বিরোধী আন্দোলনের জেরে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। আন্দোলনের জেরে গত অগাস্টে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই বাংলাদেশে গঠিত হয় ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের বিরুদ্ধে সে দেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচারে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের সনাতন জাগরণ মঞ্চের অন্যতম মুখ সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করেছে ইউনূসের সরকার। এরপর থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে বাংলাদেশের সরকারের প্রতি হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের জোরালো অভিযোগ সামনে এসেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Noapara Airport Metro: মার্চেই কলকাতা মেট্রোয় চেপে সোজা এয়ারপোর্ট! ডিসেম্বরে শুরু হচ্ছে ট্রায়াল রান

    Noapara Airport Metro: মার্চেই কলকাতা মেট্রোয় চেপে সোজা এয়ারপোর্ট! ডিসেম্বরে শুরু হচ্ছে ট্রায়াল রান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েক মাসের অপেক্ষা। নতুন বছরে রাজ্যবাসীর জন্য সুখবর। নতুন বছরের শুরুর দিকে মেট্রোয় (Kolkata Metro Rail) চেপে সোজা কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছানো যাবে। কারণ, এয়ারপোর্ট মেট্রোর (Noapara Airport Metro) কাজ শেষের মুখে চলে এসেছে। নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর হল ইয়েলো লাইনের প্রথম ধাপ, যা শেষ পর্যন্ত বারাসতকে কলকাতার সঙ্গে যুক্ত করবে। আগামী মাসেই নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর পর্যন্ত ট্রায়াল রান শুরু হবে। মেট্রোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৪ ডিসেম্বর থেকে নোয়াপাড়া এবং বিমান বন্দর (জয় হিন্দ) পর্যন্ত মেট্রোর ট্রায়াল রান করা হবে।

    কবে থেকে মেট্রো চলাচল শুরু হবে?

    ইতিমধ্যেই কলকাতা মেট্রোর ইয়েলো লাইনের নোয়াপাড়া-বারাসত করিডরের (Noapara Airport Metro) অন্তর্গত এয়ারপোর্ট স্টেশন পরিদর্শনে আসেন মেট্রো রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডি। সঙ্গে ছিলেন মেট্রোর রেলওয়ের (Kolkata Metro Rail) নির্মাণকারী বিভাগের উচ্চপদস্থ অফিসাররা। কর্মকর্তারা জিএমকে ইয়েলো লাইনের সিভিল, বৈদ্যুতিক এবং সিগন্যাল এবং টেলিযোগাযোগ কাজের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করেছেন। এয়ারপোর্ট মেট্রো স্টেশনের কাজ কতটা এগিয়েছে, তা খতিয়ে দেখেন তাঁরা। যেটুকু কাজ বাকি আছে, তা দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন। ২০২৫ সালে মার্চ মাস নাগাদ মেট্রো চালু হবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: সাগরে ঘনিভূত নিম্নচাপ, রাজ্যে শীতের আমেজে বাধা, বাড়বে রাতের তাপমাত্রা

    এয়ারপোর্ট মেট্রো স্টেশনে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ

    প্রাথমিকভাবে নোয়াপাড়া থেকে বারাসত (Noapara Airport Metro) পর্যন্ত কলকাতা মেট্রোর ইয়েলো লাইনের পুরো অংশে (১৬ কিলোমিটার) পরিষেবা শুরু করা হবে। প্রথমে নোয়াপাড়া থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত অংশে (সাত কিলোমিটার) বাণিজ্যিক পরিষেবা চালু করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। আর সেইমতো এয়ারপোর্ট মেট্রো স্টেশনে শেষমুহূর্তের কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই জয় হিন্দ স্টেশনে সিঁড়ি, ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মেঝে এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলির নির্মাণ শেষ হয়েছে। একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই ট্রাভেলেটর ইনস্টল করা শুরু হবে। জিএম নির্দেশ দিয়েছেন যে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাকে দ্রুত মোতায়েন করা উচিত যাতে রাজ্যের ফায়ার সার্ভিস বিভাগ থেকে অগ্নি নিরাপত্তা অনুমোদন চাওয়া যায়। মেট্রো রেল (Kolkata Metro Rail) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একবার নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর মেট্রো (Noapara Airport Metro) চালু হয়ে গেলে, যাত্রীরা নোয়াপাড়া ইন্টারচেঞ্জ স্টেশন থেকে তিনটি পৃথক লাইনের সুবিধা পাবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share