Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Assembly Bypolls: বৃষ্টি মাথায় নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভায় চলছে উপনির্বাচন, ভোটগ্রহণ দেশের আরও ৪ কেন্দ্রেও

    Assembly Bypolls: বৃষ্টি মাথায় নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভায় চলছে উপনির্বাচন, ভোটগ্রহণ দেশের আরও ৪ কেন্দ্রেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব, গুজরাট এবং কেরলের পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে শুরু হয়ে গিয়েছে উপনির্বাচন (Assembly Bypolls)। এদিন সকাল ৭টায় ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার ঢের আগে থেকেই বিভিন্ন বুথে ভিড় করেছেন ভোটাররা (NDA)। এদিন যে পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছে, তার মধ্যে একটি আসন পশ্চিমবঙ্গের। এটি হল নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র। রাজ্যে চলছে নিম্নচাপের বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বিভিন্ন বুথে ভিড় করেছেন ভোটাররা।

    ভোট চলছে কালীগঞ্জে (Assembly Bypolls)

    কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে হচ্ছে ত্রিমুখী লড়াই। এই আসনটির রাশ ছিল তৃণমূলের হাতে। প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের কন্যা আলিফা আহমেদকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। বামফ্রন্টের সমর্থনে কংগ্রেসের প্রতীকে লড়ছেন কাবিলউদ্দিন শেখ। আর পদ্মপ্রতীকে লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন বিজেপির আশিস ঘোষ। তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্য। প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতিও। এই বিধানসভা আসনের জন্য ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে ১৬২টি, বুথের সংখ্যা ৩০৯। ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৫২ হাজার ৬৭০ জন। বৃষ্টি মাথায় করেই সকাল থেকে বুথে বুথে ভিড় করেছেন ভোটাররা।

    কড়া নিরাপত্তা বলয়

    কালীগঞ্জ কেন্দ্রে রয়েছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়। মোতায়েন করা হয়েছে ১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও ৭০০ পুলিশ। নজরদারিতে থাকছে ২০টি ক্যুইক রেসপন্স টিম এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের ৬টি টিম। কমিশন সূত্রে খবর, ১০০ শতাংশ বুথেই থাকছে ওয়েবকাস্টিংয়ের ব্যবস্থা। নজরদারির জন্য জেলা ও বিধানসভা ভিত্তিক কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রতিটি স্তরে নজরদারিতে থাকবেন একজন করে নোডাল অফিসার। ২০১১ এবং ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে কালীগঞ্জ আসনটি দখল করেছিল তৃণমূল। এই দু’বারই জয়ী হয়েছিলেন নাসিরউদ্দিন আহমেদ। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের এই প্রার্থী পেয়েছিলেন ১ লাখ ১১ হাজার ৬৯৬টি ভোট। বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ ঘোষ পেয়েছিলেন ৬৪ হাজার ৭০৯টি ভোট। প্রায় ৪৭ হাজার ভোটে তাঁকে হারিয়েছিলেন নাসিরউদ্দিন (Assembly Bypolls)।

    কালীগঞ্জ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত

    কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রটি কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের (NDA) অন্তর্গত। গত লোকসভা নির্বাচনে বিধানসভা ভিত্তিক ফলের নিরিখে কালীগঞ্জে বিজেপির চেয়ে ৩০ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে জন্য যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছিল নির্বাচন কমিশন, সেই তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে ৫ হাজার ৮৪০ জন ভোটার। এঁদের মধ্যে ৩ হাজার ৪২৬ জন মৃত। কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। ২ লাখ ৫৩ হাজার ভোটারের সিংহভাগই সংখ্যালঘু। সেই কারণেই এই কেন্দ্রে তৃণমূল এবং বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী করেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের থেকে। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই ওই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। কালীগঞ্জের মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৩০ হাজার ৩৬৩ জন। মহিলা ভোটার (NDA) ১ লাখ ২২ হাজার ৩০৩ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৪ জন (Assembly Bypolls)।

    ভোট চলছে পাঞ্জাবে

    পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি উপনির্বাচন হচ্ছে আপ শাসিত পাঞ্জাবের লুধিয়ানা (পশ্চিম) কেন্দ্রেও। আপ বিধায়ক গুরপ্রীত সিং গোগীর মৃত্যুর জেরে হচ্ছে অকাল নির্বাচন। কেন্দ্রের রাশ ধরে রাখতে আপ প্রার্থী করেছে রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জীব অরোরাকে। অরোরার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির জীবন গুপ্তা। এখানে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন ভারত ভূষণ আশু, শিরোমণি অকালি দলের তরফে লড়ছেন পরুপকার সিং ঘুম্মান।

    গুজরাটের দুই আসনেও ভোট

    উপনির্বাচন হচ্ছে গুজরাটের দুই আসনেও। একটি হল কাড়ি বিধানসভা এবং অন্যটি বিসাবদার। বিজেপি বিধায়ক কারসনভাই সোলাঙ্কির মৃত্যুতে খালি হয় কাড়ি আসনটি। গেরুয়া শিবির এখানে প্রার্থী করেছে রাজেন্দ্র চাভদাকে। আর কংগ্রেসের প্রতীকে লড়ছেন রমেশ চাভদা। আপ প্রার্থী করেছে জগদীশ চাভদাকে (Assembly Bypolls)। বিসাবদারে আগের বিধায়ক ভায়ানি ভূপেন্দ্রভাই আপ ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে (NDA)। এবার ওই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে কিরিত প্যাটেলকে। কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন নিতিন রানপরিয়া। আপের প্রতীকে লড়ছেন দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা গোপাল ইটালিয়া।

    ভোট কেরলেও

    বিধানসভার উপনির্বাচন হচ্ছে কেরলের নীলাম্বুরেও। এ রাজ্যের পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনের এক বছরেরও কম সময় আগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই উপনির্বাচন। এই কেন্দ্রটি খালি হয়েছিল পিভি আনওয়ারের কারণে। বাম সমর্থনে তিনি নির্বাচিত হয়েছে দু’বার। পরে যোগ দেন কংগ্রেসে। শেষমেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নির্দল প্রার্থী হিসেবে। এই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী করেছে প্রাক্তন বিধায়ক আর্যাদান মোহাম্মদের পুত্র আর্যাদান শাউকতকে। রাজ্যের শাসক দল এলডিএফ প্রার্থী করেছে এম স্বরাজকে। প্রসঙ্গত, নীলাম্বুর বিধানসভা কেন্দ্রটি ওয়েনাড় লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। বর্তমানে এই কেন্দ্রের সাংসদ কংগ্রেসের প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ভদ্র (Assembly Bypolls)।

  • Calcutta High Court: ওবিসির নয়া তালিকায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি কলকাতা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ওবিসির নয়া তালিকায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট কুড়োতে নয়া ওবিসি তালিকা তৈরি করে বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছিল রাজ্য সরকার। তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের সেই প্রচেষ্টায় আপাতত জল ঢেলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার আদালত সাফ জানিয়ে (Calcutta High Court) দিল, ওবিসির (OBC Case) নয়া তালিকা-সহ রাজ্য এ সংক্রান্ত যত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, সেগুলির ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হল। এই নির্দেশ বলবৎ থাকবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। ওবিসি সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৪ জুলাই। এদিন মামলাটি উঠেছিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চে। সোমবারই পোর্টাল চালু করে সমস্ত দফতরে কাস্ট সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার আবেদন করতে বলেছিল রাজ্য। তাতেও স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত।

    বিচারপতি মান্থার বক্তব্য (Calcutta High Court)

    এদিন শুনানিতে বিচারপতি মান্থা বলেন, “রাজ্যের তরফে এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে যে চার-পাঁচটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, তার মাধ্যমে সরাসরি আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে। আমরা আগেও বলেছি যে ওবিসি শ্রেণিভুক্ত ৬৬টি সম্প্রদায়কে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুন।” রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী বলেন, “আপনারাও (রাজ্য) বলছেন যে, আপনারা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছেন। আমরাও বলেছি যে, ঠিক আছে তাহলে সেই পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করবেন না।” বিচারপতি মান্থা বলেন, “আপনারা (রাজ্য) অর্ধেক কাজ করেছেন ২০১২ সালের ওবিসি আইন অনুযায়ী। তারপর আবার ১৯৯৩ সালের আইনে ফিরে গিয়েছেন। এটা কেন হবে? আপনারা কেন ২০১২ সালের আইনে সংশোধনী আনলেন না?” এর পরেই খারিজ হয়ে যায় রাজ্যের আবেদন।

    আবেদনকারীদের দাবি

    প্রসঙ্গত, ওবিসি শংসাপত্র বাতিল মামলায় আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, হাইকোর্টের রায় মেনে সমীক্ষা করা হয়নি। কোনও বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়নি। রাজ্য ও অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ কমিশনের যুক্তি ছিল, সমস্ত নিয়ম মেনেই সমীক্ষা হয়েছে এবং তার রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চ সেই সমীক্ষার পদ্ধতি-সহ যাবতীয় নথি দেখতে চায়।মামলাকারীদের মূল বক্তব্য, কোথায় কত জনসংখ্যা রয়েছে (Calcutta High Court), তার সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্যই রাজ্যের কাছে নেই। এই জন্যই সঠিক সমীক্ষার প্রয়োজন (OBC Case)। নয়া কোনও জনগোষ্ঠীকে ওবিসির তালিকায় আনতে গেলে বিধানসভায় বিল পেশ করতে হয়। সেটাও করেনি রাজ্য সরকার। এর পরেই রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি খারিজের আবেদন জানান মামলাকারীরা।

    ওবিসি শংসাপত্র বাতিল

    ২০২৪ সালের ২২ মে কলকাতা হাইকোর্ট ২০১০ সালের পরে তৈরি রাজ্যের সমস্ত ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করে দেয়। তার জেরে বাতিল হয়ে গিয়েছে প্রায় ১২ লাখ ওবিসি শংসাপত্র। আদালত জানিয়েছিল, ২০১০ সালের পর থেকে ওবিসি শংসাপত্র প্রাপকদের যে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল, তা ১৯৯৩ সালের ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস আইনের পরিপন্থী। আদালতের রায় অনুযায়ী, ২০১০ সালের আগের ৬৬টি সম্প্রদায়ের ওবিসি শংসাপত্র বৈধ। ফলে তার পর থেকে তৈরি সব ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হয়ে যায়। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। তবে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।

    শুভেন্দুর কড়া প্রতিক্রিয়া

    এদিন আদালতের রায় প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে ট্যুইট-বার্তায় বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, “ভোট ব্যাংকের স্বার্থে ওবিসি সংরক্ষণে অপব্যবহার করতে চেয়েছিল রাজ্য। বহু সম্প্রদায়কে বঞ্চিত করা হয়েছিল। আদালতের রায়ে রাজ্যের সেই অপচেষ্টা ব্যর্থ হল।” সরকারি চাকরিতে ওবিসিদের জন্য ১৭ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করেছিল রাজ্য। যা নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় রাজ্যের সংরক্ষণ নির্দেশ বাতিল করে আগেও (Calcutta High Court) হাইকোর্ট জানিয়েছিল, ‘ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ করা যায় না’।

    তোষণের রাজনীতি!

    ট্যুইট-বার্তায় বিরোধী দলনেতা আরও লেখেন, “আদালতের রায়ে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম না মেনে তোষণের রাজনীতি করছিল।” তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের আমলে বিশেষ একটি সম্প্রদায়ের লোকজনকে ওবিসির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে (OBC Case)।

    উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, আদালতের নির্দেশে নয়া অনগ্রসর সম্প্রদায়ের তালিকা তৈরি হয়েছিল। কোন কোন জনজাতিকে ওবিসি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, তার একটি নির্দিষ্ট তালিকা কিছুদিন আগেই প্রকাশ করেছিল অনগ্রসর সম্প্রদায় উন্নয়ন কমিশন। সেখানে ১৪০টি জনগোষ্ঠীকে ওবিসি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল (Calcutta High Court)।

     

  • Suvendu Adhikari: পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর ৮০ শতাংশই হিন্দু মালিকানাধীন! তাই কি খিদিরপুর বাজারে আগুন?

    Suvendu Adhikari: পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর ৮০ শতাংশই হিন্দু মালিকানাধীন! তাই কি খিদিরপুর বাজারে আগুন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গোটা খিদিরপুর (Khidirpur) বেচে দিয়েছে সরকার। আলিপুর সেন্ট্রাল জেল বেচে দিয়েছে, চিড়িয়াখানা বেচে দিয়েছে।” মঙ্গলবার কলকাতার খিদিরপুরে দাঁড়িয়ে কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রবিবার গভীর রাতে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় খিদিরপুর বাজার। মঙ্গলবার সকালেই সেখানে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পোড়া বাজারে দাঁড়িয়েই তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দুর তোপ (Suvendu Adhikari)

    বলেন, “কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ ও দামি জমিগুলিতে পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগিয়ে সেগুলি গরিব ব্যবসায়ীদের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে বড় বড় প্রমোটারদের হাতে তুলে দিচ্ছে সরকার।” এদিন তিনি নাম করেই আক্রমণ শানান রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং সুজিত বসুকে। শুভেন্দু বলেন, “রাত ১টায় আগুন লাগে, দমকল আসে ভোর ৪টেয়। মুখ্যমন্ত্রী সব জানতেন। কিন্তু আগুন নেভাতে নয়, পুলিশ ও দমকলকে বলেছেন ঘর ভেঙে দাও।” এর পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “গোটা খিদিরপুর বেচে দিয়েছে সরকার। আলিপুর সেন্ট্রাল জেল বেচে দিয়েছে, চিড়িয়াখানা বেচে দিয়েছে।” টিএমসির অর্থ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “টিএমসি এখন টাকা মারা কোম্পানি। কলকাতার ভালো ভালো জায়গায় আগুন লাগিয়ে বেচে দাও। আর মুখ্যমন্ত্রী বলে দেন, জায়গা ঠিক হয়েছে, এক লাখ দিলাম। কী হবে ওই জায়গায়? শপিং মল, বিউটি পার্লার! গরিব মানুষ তাড়িয়ে দাও।”

    মমতার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

    তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আপনারা তো বলেছিলেন, বাংলার মেয়ে মুখ্যমন্ত্রী হোক। তাহলে কেন তাঁকে হাজার পুলিশ দিয়ে আপনাদের ধমকাতে হয়েছে? তিনি গরিব ব্যবসায়ীদের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেননি। জমি রক্ষার আন্দোলনে আমি ডক্টরেট। নন্দীগ্রামে আমি সিপিএমকে হারিয়ে দিয়েছিলাম। মমতাকে হারিয়ে ভবানীপুরে পাঠিয়ে দিয়েছি।” শুভেন্দু বলেন, “বগটুই হোক বা ঢাকুরিয়া সরকারি ভ্রান্তনীতির জন্যই আগুন লাগছে (Khidirpur)। সরকারি কোনও পদক্ষেপ নেই, সিস্টেম ভেঙে পড়েছে। টালিগঞ্জ-ঢাকুরিয়ার জমিও বিক্রি করে দিচ্ছে। খালি শপিং মল, ফ্ল্যাট, আর গরিব মানুষের উচ্ছেদ!” তিনি বলেন, “আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। জমি রক্ষার লড়াইয়ে যা যা করার, করব।” জমি ও গরিব ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষায় আন্দোলনের বার্তাও দেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “কোনও ঝান্ডা নয়, কোনও রাজনৈতিক দল নয়, হকের দাবিতে সবাইকে এক সঙ্গে লড়াই করতে হবে।” তিনি বলেন, “বিকল্প জায়গা ঠিক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। আসলে গোটা এলাকাটাই বেচে দিয়েছেন।”

    ৮০ শতাংশই হিন্দু ব্যবসায়ী

    এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এলাকার প্রায় ৮০ শতাংশ দোকান হিন্দু ব্যবসায়ীদের দ্বারা পরিচালিত হত। মুসলমান অধ্যুষিত খিদিরপুরের এই দোকানপট্টির হঠাৎ এবং সম্পূর্ণ ধ্বংস হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, কে এই ঘটনা থেকে লাভবান হচ্ছে? এই অগ্নিকাণ্ড কি আদৌ দুর্ঘটনা জনিত (Suvendu Adhikari)? বিজেপির মুখপাত্র অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “এই জমি কালিম গ্রুপের হাতে তুলে দেওয়া হবে – একটি প্রভাবশালী ব্যবসায়িক গোষ্ঠী, যারা তৃণমূলের নেতাদের (Khidirpur) ও রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারদের ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ। সূত্রের দাবি, বাজারটি একটি কৌশলগত বাণিজ্যিক অঞ্চলে অবস্থিত, সেটি বহুবার পুনর্গঠনের প্রস্তাবের বিষয় ছিল – এমন প্রস্তাবগুলি বহু দশক ধরে হিন্দু ব্যবসায়ীরা প্রতিরোধ করে আসছিলেন, কারণ তাঁরা জায়গা খালি করতে অস্বীকার করেছিলেন।” মালব্যর অভিযোগ, বামপন্থীরা চেষ্টা করেছিল এবং ব্যর্থ হয়েছিল। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের তত্ত্বাবধানে পরিকল্পনাটি সফল হতে চলেছে বলে মনে হচ্ছে (Suvendu Adhikari)।

    ব্যবসায়ীদের দোষারোপ!

    মালব্যর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও পর্যন্ত কোনও মন্ত্রীকে জবাবদিহি করেননি, যদিও ব্যাপকভাবে ব্যাখ্যার দাবি উঠেছে। বিশেষ করে অগ্নিনির্বাপণ মন্ত্রী সুজিত বসুকে দু’ঘণ্টা দেরি ও প্রস্তুতির অভাব সম্পর্কে কোনও প্রশ্ন করা হয়নি। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, যাঁর পুরসভার আওতায় বাজারটি পড়ে, তিনিও দীর্ঘদিন ধরে অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত এই বাজারের অগ্নি নিরাপত্তা ঘাটতি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। বরং, খবরে বলা হচ্ছে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যবসায়ীদের দোষারোপ করেছেন (Khidirpur), তাঁরা অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর করেননি বলে (Suvendu Adhikari)।

  • Weather Update: ভোর থেকেই আকাশের মুখ ভার, বর্ষার আগে নিম্নচাপের বৃষ্টি কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে

    Weather Update: ভোর থেকেই আকাশের মুখ ভার, বর্ষার আগে নিম্নচাপের বৃষ্টি কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা মঙ্গল! আষাঢ় মাসের প্রথম দিন থেকেই বঙ্গের আকাশে বেড়েছে মেঘের আনাগোনা। তার মধ্যেই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। এর জেরেই বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে কলকাতা থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায়। মঙ্গলবার ভোর থেকে টানা বৃষ্টিতে ভিজল কলকাতা (Rain in Kolkata) ও তার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলি। বিশেষত উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বর্ধমান, হাওড়ায়। কোথাও কোথাও রাত থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। চলতি সপ্তাহে এমনই বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে, পূর্বাভাস দিচ্ছে হাওয়া অফিস। বৃষ্টির জেরে রাজ্যে আগামী তিন দিনে ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস (Weather Update) ৷

    বঙ্গে বর্ষার পাকাপাকি প্রবেশ

    আবহবিদরা (Weather Update) বলছেন, নিম্নচাপের কারণে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে। ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প প্রবেশ করছে। ফলে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়েছে। বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    হাওয়া অফিস বিশেষ বুলেটিনে জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশ এবং সংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হল। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের জানানো হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকার উপরে যে ঘূর্ণাবর্ত ছিল, সেটি মঙ্গলবার ভোরে দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশ এবং সংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপরে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও সুস্পষ্ট হবে। অগ্রসর হবে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে।

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আজ দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া এবং পূর্ব বর্ধমানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। ওই চারটি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ওই জেলাগুলিতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    কোথায় কোথায় বৃষ্টি

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Weather Update) পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ওই পাঁচটি জেলার একটি বা দুটি অংশ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। বাকি ১০টি জেলার একটি বা দুটি অংশে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ওই জেলাগুলিতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কলকাতা সহ (Rain in Kolkata) উপকূলীয় অঞ্চল অর্থাৎ দুই জেলা – দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমানেও চলবে বৃষ্টি।

    বৃহস্পতি ও শুক্রবারেও ভারী বৃষ্টি চলবে পশ্চিমের জেলাগুলিতে। সঙ্গে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে। বর্ষা প্রবেশের কারণে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া অফিস বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে। মালদা ও দুই দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হবে দার্জিলিং-সহ অন্যান্য জেলাতে। মঙ্গল-বুধে বাংলা এবং ওড়িশার উপকূলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। সমুদ্রে ৬০ থেকে ৬৫ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝড় বাতাস বইবে।

  • Calcutta High Court: মিলল হাইকোর্টের ছাড়পত্র, মঙ্গলবারেই মহেশতলায় যাচ্ছেন শুভেন্দু

    Calcutta High Court: মিলল হাইকোর্টের ছাড়পত্র, মঙ্গলবারেই মহেশতলায় যাচ্ছেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শর্তসাপেক্ষে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) মহেশতলা নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কেবল শুভেন্দুই নন, তাঁর সঙ্গে যেতে পারবেন আরও দু’জন। সোমবার এমনই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য।

    রাজ্যকে প্রশ্ন (Calcutta High Court)

    এদিন এই মামলার শুনানিতে শুভেন্দুর হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী সূর্যনীল দাস। আদালতে তিনি জানান, এসপির কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। রবীন্দ্রনগর থানায়ও জানানো হয়েছে। ওই এলাকায় ভারতীয় সংহিতার ১৬৩ (পূর্বতন ১৪৪) ধারা জারি রয়েছে। আজ, সোমবার পর্যন্ত এই ধারা জারি থাকবে। শুভেন্দুর আইনজীবীর কাছ থেকে এই তথ্য জানার পরেই বিচারপতি রাজ্যকে প্রশ্ন করেন, “আজ যদি উঠে যায়, তাহলে কীসের অসুবিধা? যদি আদালত অনুমতি দেয়, তাহলে কী আশঙ্কা করছেন?”

    ‘উনি আদালতে এলেন কেন?’

    বিচারপতির প্রশ্ন শুনে রাজ্যের তরফে এজি বলেন, “যেখানেই কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটে, বিরোধী দলনেতা সেখানেই কেন যেতে চান? উনি আদালতে এলেন কেন? নিজেই তো চলে যেতে পারতেন!” এর পরেই বিচারপতির উদ্দেশে এজি বলেন, “আদালতকে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহৃত হতে দেবেন না।” এদিন আদালতের হাজির ছিলেন আইনজীবী তথা তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “বিরোধী দলনেতা আসলে পাবলিসিটি পেতে চান (Calcutta High Court)।” এজির প্রশ্ন শুনে পাল্টা প্রশ্ন করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, “বিরোধী দলনেতাকে যদি আটকে দেন, তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে?” এর পরেই তিনি নির্দেশ দেন, মঙ্গলবার মহেশতলায় যাবেন শুভেন্দু। তবে কোনও সমাবেশ কিংবা মিছিল করা যাবে না। করা যাবে না বিতর্কিত মন্তব্যও।

    প্রসঙ্গত, গত ১১ জুন মহেশতলার আক্রা সন্তোষপুর এলাকায় একটি ফলের দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে শুরু হয় অশান্তি। প্রথমে বচসা, পরে শুরু হয় সংঘর্ষ। দুই গোষ্ঠীর এই সংঘর্ষের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এলাকার বেশ (Suvendu Adhikari) কয়েকটি বাড়ি এবং দোকানদানি। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে জখম হন কয়েকজন পুলিশ কর্মীও (Calcutta High Court)।

  • Ashad Month: ক্যালেন্ডারের পাতায় আজ থেকে এল আষাঢ়, দক্ষিণে কবে আসবে বর্ষা?

    Ashad Month: ক্যালেন্ডারের পাতায় আজ থেকে এল আষাঢ়, দক্ষিণে কবে আসবে বর্ষা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘নীল নবঘনে আষাঢ়গগনে তিল ঠাঁই আর নাহি রে— ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।’’ কবিগুরুর লেখা ‘আষাঢ়’ কবিতা পড়লেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে কৃষ্ণ কালো মেঘে ঢাকা বিস্তৃত নীলাম্বর। আষাঢ় (Ashad Month) মানেই পাঁপড় ভাজা আর রথের রশিতে টান। আষাঢ় মানেই মন পাগল করা সোঁদা মাটির ঘ্রাণ।

    আজ পয়লা আষাঢ়

    ক্যালেন্ডারের পাতা বলছে, আজ, সোমবার ১৬ জুন থেকে শুরু হল আষাঢ় মাস (Ashad Month)। বাংলা পঞ্জিকা মতে, আজ পয়লা আষাঢ়। তবে, পঞ্জিকার পাতায় আষাঢ় এলেও দক্ষিণবঙ্গে নেই বৃষ্টির ছিটেফোঁটা। কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গই বেশ কয়েকদিন ধরেই গুমোট। আকাশে মেঘের আনাগোনা থাকলেও বৃষ্টির দেখা নেই। রোদের তাপ, গরমের ভাপ আর শুষ্ক বাতাস যেন প্রকৃতির বর্ষা-ঘোষণাকে উপহাস করছে (Ashad Month)। চারদিকে শুধুই ভ্যাপসা গরম, গুমোট বাতাস আর রোদের তাপপ্রবাহ। গরমে হাঁসফাঁস করছে জনজীবন। আকাশে মেঘ, অথচ তার নিচে ঝরছে ঘাম। প্রকৃতি যেন অপেক্ষার খেলা খেলছে। বিদায় নেয়নি পুরোপুরি গ্রীষ্ম, আসেনি পুরোপুরি বর্ষাও।

    কী বলছে আবহাওয়া দফতর (Weather Update)

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, পরিস্থিতি বর্ষার অনুকূল। যে কোনও সময় নামতে পারে বৃষ্টি। পূর্বাভাস, দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসন্ন। আর দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই বর্ষা প্রবেশ করবে দক্ষিণের জেলাগুলিতে। তার মাঝেই কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় মুষলধারে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Ashad Month)। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দুটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। দক্ষিণ বাংলাদেশ ও সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি। যা থেকে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে দক্ষিণ ওড়িশা পর্যন্ত। আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে। সোমবার থেকে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে।

    আবহাওয়া দফতরের আরও পূর্বাভাস (Weather Update), মঙ্গলবার ও বুধবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার পশ্চিমের জেলাগুলিতেও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত চলবে। অন্যদিকে, আগামী কয়েক দিনে উত্তরের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে (Ashad Month)। কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে দার্জিলিং এবং কালিম্পঙের জন্য। এছাড়া জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারেও ভারী বৃষ্টি চলবে।

  • TMC: প্রতি ৫জন হিন্দুর একজন ভোট দেয় তৃণমূলে, তার পরেও রাজ্যে কীভাবে মমতার সরকার?

    TMC: প্রতি ৫জন হিন্দুর একজন ভোট দেয় তৃণমূলে, তার পরেও রাজ্যে কীভাবে মমতার সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি ৫জন হিন্দুর মধ্যে একজন ভোট দেন তৃণমূলকে (TMC)! তার পরেও কীভাবে ১৪ বছর গদি আঁকড়ে পড়ে রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? আসুন, জেনে নেওয়া যাক বছরের পর বছর তৃণমূলের ক্ষমতায় থাকার গুঢ় মন্ত্র।

    দমনমূলক আচরণের শিকার হিন্দুরা (TMC)

    পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা যে বৈষম্য ও দমনমূলক আচরণের শিকার হন, তা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। এ রাজ্যে ইসলামপন্থীদের হাতে হিন্দু সম্প্রদায় বিভিন্ন জায়গায় হামলার শিকার হয়েছে। হিন্দু (Hindus) উৎসব পালনে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। মুসলিম তোষণের কারণে হিন্দুদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তাই অনেক এলাকায় হিন্দুরা কার্যত ‘দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে’ পরিণত হয়েছেন। তার পরেও এ রাজ্যের এক উল্লেখযোগ্য অংশের হিন্দু ভোটার ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ইভিএমে ঘাসফুল আঁকা বোতামে চাপ দেন। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের যেসব এলাকায় মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং যেখানে হিন্দুরা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছেন, সেখানেও হিন্দুদের একটা বড় অংশই ভোট দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে। পশ্চিমবঙ্গে ৭.৬৩ কোটি ভোটারের মধ্যে হিন্দু প্রায় ৫.১৯ কোটি। শতাংশের হিসেবে প্রায় ৬৮।

    ভোটের অঙ্ক

    রাজ্যে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হন প্রায় ৮০ শতাংশ ভোটার। হিন্দু ভোটারদের উপস্থিতি ৬৫ শতাংশের কাছাকাছি। অথচ মুসলিম ভোটারদের উপস্থিতি ৯০ থেকে ৯৪ শতাংশ। অর্থাৎ প্রায় ৩.৩৭ কোটি হিন্দু ভোটার ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এঁদের এক-পঞ্চমাংশেরও কম ভোটার তৃণমূলকে ভোট দেন। অন্তত পরিসংখ্যান সেকথাই বলছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথাই ধরা যাক। ওই ভোটের ফল থেকে জানা যায়, বিজেপি প্রায় ২.৩৩ কোটি ভোট পেয়েছে। শতাংশের হিসেবে ৩৮.৭৩। একথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, যাঁরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন, তাঁরা প্রায় সবাই হিন্দু। মুসলিমরা যে বিজেপিকে ভোট দেননি, তা নয়। তবে তাঁদের সংখ্যা নিতান্তই নগণ্য। এর অর্থ হল, হিন্দুদের প্রায় ৬৯ শতাংশ ((TMC)) – ৩.৩৭ কোটির মধ্যে ২.৩৩ কোটি – ছাপ দিয়েছেন পদ্মফুলে।

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কংগ্রেস ও বাম জোটের ঝুলিতে যে ৬৬.৪৫ লাখ ভোট পড়েছে, তার প্রায় ৭০ শতাংশই হিন্দুদের দেওয়া। অর্থাৎ, প্রায় ৪৬.৫১ লাখ হিন্দু (যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ১৩.৭৭ শতাংশ) কংগ্রেস ও বামপন্থী জোটকে ভোট দিয়েছেন। এভাবে, প্রায় ২.৭৯ কোটি হিন্দু (যাঁরা ভোট দিয়েছেন) (Hindus)  তাঁদের ৮২.৭৭ শতাংশ হয় বিজেপি নয়তো কংগ্রেস-বাম জোটকে সমর্থন করেছেন। এর অর্থ হল, মাত্র ৫৭.৮৭ লাখ হিন্দু (যাঁরা ভোট দিয়েছেন তাঁদের ১৭.২৩ শতাংশ) তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন।

    কীভাবে তৃণমূল জয়ী হয়?

    প্রশ্ন হল, তার পরেও কীভাবে তৃণমূল জয়ী হয়? কীভাবেই বা পর পর তিনটি টার্মে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে তোষণের রাজনীতি নামক চাবিকাঠিতে। কংগ্রেসের ডিএনএ থেকে জন্মানো তৃণমূল জন্মলগ্ন থেকেই হাতিয়ার করেছিল তুষ্টিকরণের রাজনীতিকে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল মেঠো খয়রাতির রাজনীতি। এই দুই কৌশলে জয় অনায়াস হয়েছে তৃণমূলের। ঘাসফুল শিবিরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হল মুসলিম ভোটার। এ রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রায় সবাই ছাপ দেয় ঘাসফুলে (TMC)। অনুমান, ভোট কেন্দ্রে আসা মুসলমান ভোটারদের প্রায় ৯৩ শতাংশই ভোট দেন মমতার দলকে।

    তৃণমূলের ভোটার কারা? 

    গত বছরের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় ৫৮ লাখ ভোট পেয়েছিল। প্রশ্ন হল, এই ৫৮ লাখ হিন্দু ভোটার কেন এমন একটি দলকে সমর্থন করল, যার সরকার তাদের প্রতি নিরাসক্ত এবং হিন্দুদের উদ্বেগের প্রতি বৈরী মনোভাব পোষণ করে? এই ভোটাররা কারা? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, হিন্দু (Hindus)  সম্প্রদায়ের যে অংশ তৃণমূলে ভোট দেয়, তাদের দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। এক, প্রান্তিক এলাকার গরিব মানুষ এবং দুই, শহরের ভদ্রলোক শ্রেণি। যদিও পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে উন্নয়নের ঢাক বাজায়, তবে আদতে রাজ্যটি দারিদ্র্য ও বেকারত্বে পরিপূর্ণ। জীবিকার উপায় খুবই সীমিত। কৃষি আয়ের হ্রাস এবং শিল্প ও পরিষেবা খাতে চাকরির অভাবে তা আরও সংকুচিত হয়ে পড়ছে (TMC)।

    বেঁচে থাকার সংগ্রাম

    গ্রামাঞ্চল এবং আধা-শহরাঞ্চলে বসবাসকারী দরিদ্র জনগণকে জীবিকার সন্ধানে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিতে হচ্ছে। অথবা রাজ্যেই কোনওরকমে বেঁচে থাকার সংগ্রামে লড়াই করে চলেছেন। সমাজবিজ্ঞানী অমিয় বসু বলেন, “চা বা পকোড়া বিক্রির দোকান বসানো, রিকশা বা অটোরিকশা চালানো, বাজারে ছোট জায়গা নিয়ে মাছের দোকান চালানো, ছোটখাটো কন্ট্রাক্ট পাওয়া — এ রকম কাজই হয়ে দাঁড়ায় একমাত্র জীবিকার উপায়, যা কেবলমাত্র ‘দিন আনা দিন খাওয়া’র মতো অবস্থা তৈরি করে। আর এসবের জন্য দরিদ্র জনগণ সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল স্থানীয় তৃণমূল নেতার দয়ার ওপর।” অর্থনীতিবিদ কৌশিক ব্যানার্জীর বক্তব্যও মোটামুটি এক।

    ‘চিল্লার অর্থনীতি’

    তিনি বলেন, “আমি পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিকে বলি ‘চিল্লার অর্থনীতি’। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ এবং শহরের একটা বড় অংশ নগণ্য আয় করে ছোটোখাটো ব্যবসার মাধ্যমে অথবা রিকশা চালিয়ে। রাস্তার ধারে বেআইনিভাবে দোকান বসানো, রিকশা চালানো কিংবা ক্ষুদ্র সরবরাহকারী হওয়ার অনুমতি দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা। তাই এই নেতাকে খুশি রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (Hindus)। সেই কারণেই দরিদ্র্যদের একটা বড় অংশ তৃণমূলকে (TMC) ভোট দেয়।” কৌশিক বলেন, “এর সঙ্গে যুক্ত করুন ছোট অথচ প্রভাবশালী অনুদানগুলোর প্রভাব—যেমন লক্ষ্মীর ভান্ডার, বিধবা ভাতা ইত্যাদি। মহিলাদের ও বিধবাদের অ্যাকাউন্টে যে ১,০০০ টাকা থেকে ১২,০০০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়, বা ছাত্রীদের বছরে দেওয়া ১,০০০ টাকা—এই অঙ্কগুলো হয়তো ছোট মনে হতে পারে। কিন্তু বাংলার মতো দরিদ্র রাজ্যে এই টাকাগুলো দরিদ্র মানুষের জীবনে বিশাল পরিবর্তন এনে দেয়। ফলে তাঁরা বাধ্য হন তৃণমূলকে ভোট দিতে।”

    কুণাল সেনগুপ্তের বক্তব্য

    রাজনৈতিক বিশ্লেষক কুণাল সেনগুপ্ত বলেন, “রাজ্যের গ্রামীণ ও আধা-শহর এলাকায় স্থানীয় তৃণমূল নেতার কথাই শেষ কথা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা মানুষকে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার নির্দেশ দেন। অনেকেই নীরবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে গোপনে সেই নির্দেশ মানেন না, কিন্তু অনেক দুর্বল মানুষ সেই সাহস দেখাতে পারেন না। বিশেষ করে সেই সব বুথে, যেখানে তৃণমূলের এজেন্টরা রাজ্য সরকারের কর্মচারী (যেমন ভোটকর্মী)-দের সঙ্গে মিলে ইভিএমের ওপর কঠোর নজর রাখেন। তার ওপরে তো রয়েছে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ, যা বাংলায় প্রায় স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।” অবসরপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্তা দেবাংশু ঘোষ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বলেন (TMC), “বাংলায় বুথের ভেতরে যেভাবে গোপনে কারচুপি হয়, তা কল্পনাতীত।”

    ভদ্রলোকের ভোট

    শহুরে মধ্যবিত্ত ও শিক্ষিত বাঙালি হিন্দু, যাদের সাধারণত ‘ভদ্রলোক’ বলা হয়, তাঁরা এক দশক আগেও বামফ্রন্টকে ভোট (Hindus) দিতেন। বাম জমানার অবসানের পর তাঁরাই এখন ঝুঁকেছেন তৃণমূলের দিকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক দেবপ্রতিম রায় বলেন, “ভদ্রলোকরা নিজেদের বিজেপির বিরুদ্ধে এক প্রতিরোধশক্তি হিসেবে ভাবেন। তিনি আদর্শগতভাবে বামফ্রন্টকে ভোট দিতে চাইতেন। কিন্তু জানেন বাম এখন খুব দুর্বল এবং অপ্রাসঙ্গিক। তাই বামেদের ভোট দিয়ে তিনি তাঁর ভোট নষ্ট করতে চান না। সেই কারণেই তিনি ভোট দেন তৃণমূলকে (TMC)।”

  • Weather Update: জোড়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে সক্রিয় বর্ষা, বৃষ্টি চলবে কতদিন?

    Weather Update: জোড়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে সক্রিয় বর্ষা, বৃষ্টি চলবে কতদিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ বর্ষা সক্রিয় হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গে (Weather Update)। অন্তত হাওয়া অফিসের খবর এমনই। চারদিনের মধ্যেই বর্ষা (Rainfall) আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি শুরু হলেই এক ধাক্কায় দিনের তাপমাত্রা কমে যেতে পারে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    জোড়া ঘূর্ণাবর্ত (Weather Update)

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণ বাংলাদেশ ও সলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। এই ঘূর্ণাবর্ত থেকে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে দক্ষিণ ওড়িশা পর্যন্ত। পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপাসাগর ও উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে রয়েছে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত। এর প্রভাবেই বঙ্গোপসাগর থেকে ছুটে আসছে প্রচুর জলীয় বাষ্প। তার জেরেই দক্ষিণবঙ্গে তৈরি হয়েছে বৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ। বেশিরভাগ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। হাওয়া অফিস বলছে, রবিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণের সব জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই চব্বিশ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে। বাকি জেলাগুলিতে ঝড় বইতে পারে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে। বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বিক্ষিপ্ত ঝড়বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সোমবার থেকে বাড়বে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। দুই চব্বিশ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টি (Weather Update) হতে পারে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায়।

    ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস উত্তরেও

    কেবল দক্ষিণবঙ্গ নয়, ঝড়বৃষ্টির দাপট বাড়তে চলেছে উত্তরবঙ্গের পাহাড় এবং সমতলেও। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং উত্তর দিনাজপুরে। আজ, রবিবার প্রবল বৃষ্টি হবে দার্জিলিং ও কালিম্পং-এ। বজ্র-বিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস মিলেছে মালদহ এবং দক্ষিণ দিনাজপুরেও। সোম ও মঙ্গলবার উত্তরে কিছুটা বিরতি থাকলেও, বুধবার থেকে ফের সক্রিয় হবে বর্ষা। মালদা এবং দুই দিনাজপুরেও ভারী বৃষ্টি হবে। উত্তরবঙ্গের সব জেলায় বৃষ্টি হতে পারে বৃহস্পতি এবং শুক্রবারও। প্রবল বৃষ্টির কারণে জলস্তর বাড়বে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন নদীর। প্লাবিত হতে পারে নিচু এলাকাগুলি (Rainfall)। ধস নামতে পারে পাহাড়ি এলাকাগুলিতে। মার খেতে পারে কৃষি (Weather Update)।

  • Reservations: ভোটের আগে তোষণের রাজনীতি! মমতার নয়া ওবিসি সংরক্ষণ তালিকায় প্রকট মুসলমান-প্রীতি

    Reservations: ভোটের আগে তোষণের রাজনীতি! মমতার নয়া ওবিসি সংরক্ষণ তালিকায় প্রকট মুসলমান-প্রীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ধর্মে হিন্দু। বর্ণে ব্রাহ্মণ। দেব-দ্বিজে তাঁর ভক্তির কথাও সুবিদিত (স্ব-উদ্যোগে বাড়িতে কালীপুজো, জগন্নাথের পুজো করেন ঘটা করে)। সেই তিনিই মুসলমানদের ইদের জমায়েতে গিয়ে নমাজ আদায় করেন। নিন্দকরা বলেন, তাঁর এহেন ‘ছলাকলা’র এক এবং একমাত্র কারণ পশ্চিমবঙ্গের ৩০ শতাংশ মুসলিম ভোট ঘাসফুল আঁকা (Reservations) ঝুলিতে পুরে যতদিন পারা যায়, ততদিন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পদ আঁকড়ে বসে থাকা যায়। তিনি এ (Anti Hindu Conspiracy) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এহেন ‘হিন্দু’রই মুখোশ খুলে গেল ওবিসি সংরক্ষণকে ঘিরে। তিনি যে আদতে হিন্দু-বিরোধী, তাঁর ধমনীতে যে বইছে ‘মুসলিম প্রীতি’র লাল রক্ত, তা প্রমাণ করে দিল রাজ্য সরকারেরই একটি তথ্য।

    তোষণের রাজনীতি (Reservations)

    আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। অতএব, ফের ক্ষমতায় ফিরতে হবে যেন-তেন প্রকারে। অস্ত্র? সেই মুসলিম ভোটে শান দেওয়া। লক্ষ্য? তোষণের রাজনীতি করে ভোট বৈতরণী পার হয়ে নবান্নের তথা রাজ্যের সব চেয়ে কর্তৃত্বপূর্ণ চেয়ারটি দখল করা। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের ওবিসি তালিকায় নয়া সংযোজনের ৮৬ শতাংশই মুসলমান সম্প্রদায়ের। মুখ্যমন্ত্রী এই পদক্ষেপকে বৈজ্ঞানিক ও আইনসম্মত বলে সাফাই গাইলেও, বিজেপির অভিযোগ, এটি আদতে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক মজবুত করার ছক। পদ্ম শিবির একে ‘পেছনের দরজা দিয়ে’ সংরক্ষণ বলে অভিহিত করেছে। তাদের সাফ কথা, ছাব্বিশের নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতিভিত্তিক কোটাকে তৃণমূল ব্যবহার করছে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে। গেরুয়া শিবিরের মতে, মুসলমানদের ওবিসি শ্রেণিতে অগ্রাধিকার দিয়ে ভোটে ফায়দা লুটতে চাইছেন তৃণমূলের ‘দিদি’। তারা একে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলেও দাবি করেছে।

    কী বললেন মমতা

    বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেত্রী স্বয়ং। এক সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “একটি অংশ মানুষকে ধর্মীয় পক্ষপাতিত্ব নিয়ে (Reservations) মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। নতুন ওবিসি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে, যা পশ্চিমবঙ্গ অনগ্রসর শ্রেণি কমিশন (WBCBC) পরিচালিত মাঠ পর্যায়ের সমীক্ষার ভিত্তিতে এবং ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে তৈরি করা হয়েছে।” সরকারি তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ অনগ্রসর শ্রেণি কমিশনের পুনর্গঠিত ওবিসি তালিকায় ১৪০টি সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ওবিসি-এ বিভাগে ৪৯টি এবং ওবিসি-বি বিভাগে ৯১টি সম্প্রদায় রয়েছে। আরও ৫০টি সম্প্রদায়ের ওপর সমীক্ষা চলছে (Anti Hindu Conspiracy)।

    বিজেপির অভিযোগ

    এতেই সরব হয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, সংবিধান অনুযায়ী কাজ না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির সংরক্ষণ ব্যবস্থায় হিন্দু প্রতিনিধিত্ব কমিয়ে মুসলিমদের বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে। বিজেপি নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যের সংরক্ষণ ব্যবস্থায় হিন্দু সম্প্রদায়কে পরিকল্পিতভাবে কোণঠাসা করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “নতুন ওবিসি অন্তর্ভুক্তিগুলি মূলত মুসলিমদের পক্ষে গিয়েছে।” তিনি উল্লেখ করেছেন, ২০১০ সালের আগে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ক্ষমতায় আসে তখন পশ্চিমবঙ্গে মোট ৬৬টি ওবিসি শ্রেণি ছিল, যার মধ্যে মাত্র ১১টি মুসলিম (২০ শতাংশ)। আর ২০২৫ সালে নতুন যে ৭৬টি শ্রেণি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তার মধ্যে ৬৭টি মুসলিম, যা মোট নতুন অন্তর্ভুক্তির প্রায় ৮৮ শতাংশ (Reservations)। নয়া যে ৭৬টি শ্রেণি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তাতে রয়েছে দুটি ভাগ। একটি পার্ট এ। এতে রয়েছে ৫১টি সম্প্রদায়। এর মধ্যে ৪৬টি মুসলিম সম্প্রদায় রয়েছে। শতাংশের বিচারে প্রায় ৯০ শতাংশ। আর পার্ট বি-তে রয়েছে ২৫টি সম্প্রদায়। এর মধ্যে ২১টিই মুসলমান। শতাংশের হিসেবে প্রায় ৮৪ (Anti Hindu Conspiracy)।

    ধর্মান্তরকে প্রকাশ্যে উৎসাহ!

    মালব্যর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার নির্বাচনী স্বার্থে ধর্মান্তরকে প্রকাশ্যে উৎসাহ দিচ্ছে। তাঁর দাবি, ওবিসি তালিকায় এমন একটি বিধান রয়েছে যার ফলে খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত ব্যক্তিরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওবিসি মর্যাদার যোগ্য হয়ে পড়েন। তিনি এই বিধানকে বিপজ্জনক নজির বলে বর্ণনা করেন এবং একে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রিজার্ভেশন ব্যবস্থাকে ধর্মান্তরের পুরস্কার ও দীর্ঘমেয়াদি নির্বাচনী লাভের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের কৌশল বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “এই সিদ্ধান্তগুলি স্পষ্টভাবে হিন্দুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।” মালব্য তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগও তোলেন। তাঁর অভিযোগ, মুসলিম সম্প্রদায়কে বাড়তি সংরক্ষণের সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে, অথচ প্রকৃতপক্ষে পিছিয়ে পড়া হিন্দু সম্প্রদায়, যাদের মধ্যে তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতিরাও রয়েছেন, তাঁদের উপেক্ষা করা হচ্ছে (Reservations)।

    সুবিধা পাচ্ছে মুসলিমরা

    বিতর্ক আরও বাড়িয়ে সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে ওবিসি সংরক্ষণ ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৭ শতাংশ করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বৃদ্ধির সরাসরি সুবিধা পাচ্ছে নয়া সংযোজিত মুসলিম সম্প্রদায়গুলি। যার ফলে তারা রাজ্য সরকারি চাকরি এবং শিক্ষাক্ষেত্রেও অনুপাতিক হারে বেশি সুযোগ পাচ্ছে। বিজেপির দাবি, এটি পরোক্ষভাবে ধর্মভিত্তিক সংরক্ষণ ছাড়া আর কিছুই নয়। এটি সংবিধানের সেই মূলনীতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা, যেখানে বলা হয়েছে সংরক্ষণ শুধুমাত্র সবচেয়ে বঞ্চিতদের জন্যই প্রযোজ্য, রাজনৈতিক ভোটব্যাঙ্কের জন্য নয় (Anti Hindu Conspiracy)। তবে তৃণমূল কংগ্রেস এই সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে তথ্য বিকৃত করছে এবং সাধারণ মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করছে। সংশোধিত ওবিসি সুপারিশগুলিতে কোনও বেআইনি কার্যকলাপ বা ধর্মীয় পক্ষপাতিত্ব নেই। বিজেপির মুখপাত্রদের দাবি, এটি পরোক্ষভাবে ধর্মভিত্তিক সংরক্ষণ ছাড়া আর কিছুই নয় (Reservations)।

    একপাক্ষিক প্রতিনিধিত্ব

    যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার দাবি করে এসেছেন যে ওবিসি তালিকাটি ধর্মনিরপেক্ষ, তখন সমালোচকরা পশ্চিমবঙ্গের ধর্মীয় জনসংখ্যার ভিত্তিতে তাদের সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। রাজ্যের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৭ শতাংশ মুসলিম হলেও, সম্প্রতি তৈরি হওয়া ওবিসি তালিকায় নতুনভাবে যুক্ত সম্প্রদায়গুলির মধ্যে ৮৬ শতাংশেরও বেশি মুসলিম। বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, এমন একপাক্ষিক প্রতিনিধিত্বকে কেবলমাত্র কাকতালীয় ঘটনা বা পরিসংখ্যানগত বিচ্যুতি হিসেবে দেখানো যায় না। তাঁদের দাবি, এই পদক্ষেপটি ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুসলিম ভোটব্যাংককে শক্তিশালী করার একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ। তাঁদের অভিযোগ, জাতিভিত্তিক সংরক্ষণের ছদ্মবেশে মুসলিম গোষ্ঠীগুলিকে পরিকল্পিতভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার উদ্দেশ্য হল হিন্দু অনগ্রসর শ্রেণির (Anti Hindu Conspiracy) প্রতিনিধিত্ব কমিয়ে তাদের জন্য বরাদ্দ সুযোগ-সুবিধা হ্রাস করা।

    রাজ্যের মৌরসিপাট্টা

    বিজেপির মতে, এই সব ঘটনা কেবল রাজনৈতিক তোষণ নয়, বরং পশ্চিমবঙ্গের সংরক্ষণ কাঠামোর মধ্যে হিন্দু অনগ্রসর শ্রেণির অবস্থান দুর্বল করার একটি সংগঠিত প্রচেষ্টা। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই তুষ্টিকরণের রাজনীতিতে ভর করেই পর পর তিনবার বাংলার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। বস্তুত, রাজ্যের মৌরসিপাট্টা এখন বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের হাতে। এই পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেই ফের তৃণমূল নেত্রী হাতে তুলে নিলেন তোষণের রাজনীতি নামক অস্ত্র। বরাবর যে অস্ত্রে শান দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ শাসন করেছে তাঁর ‘মাদার’ দল কংগ্রেস। যে দল থেকে বেরিয়ে তৃণমূল কংগ্রসের জন্ম দিয়েছেন তিনি (Reservations)।

  • Maheshtala Incident: মহেশতলার ঘটনায় উত্তাল বিধানসভা, ওয়াক আউট বিজেপির! এনআইএ চেয়ে হাইকোর্টে শুভেন্দু

    Maheshtala Incident: মহেশতলার ঘটনায় উত্তাল বিধানসভা, ওয়াক আউট বিজেপির! এনআইএ চেয়ে হাইকোর্টে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহেশতলার ঘটনায় (Maheshtala Incident) এনআইএ তদন্ত (NIA Investigation) চাইছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই আবেদন জানিয়ে ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। রবীন্দ্রনগরে অশান্তির জেরে বৃহস্পতিবার (১২ জুন, ২০২৫) উত্তপ্ত হয় বিধানসভার অধিবেশনও। বিজেপি বিধায়কদের প্রতিবাদ, প্রতিরোধের জেরে পরিস্থিতি এতটাই উত্তেজক হয়ে ওঠে যে একটা সময় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁকে চারপাশ থেকে ঘিরে রাখেন নিরাপত্তারক্ষীরা।

    উত্তপ্ত বিধানসভা

    মহেশতলার ঘটনা (Maheshtala Incident) নিয়ে এদিন উত্তপ্ত হয় বিধানসভা। বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের অধিবেশনে মূলত দু’টি দাবি তুলেছিলেন বিজেপি বিধায়করা। প্রথমত, তাঁরা মুর্শিদাবাদের সাম্প্রতিক অশান্তি নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন। এরপর রবীন্দ্রনগর থানা এলাকায় বুধবার (১১ জুন, ২০২৫) যে অশান্তি ছড়িয়েছিল, তা নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা চান বিজেপি বিধায়করা। কিন্তু, তাতেও সায় দেননি বিমান। এর ফলে অধিবেশন চলাকালীনই বিধানসভার ভিতর হট্টগোল শুরু করে দেন বিজেপি বিধায়করা। নিজের আসন ছেড়ে উঠে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিধানসভার কার্যবিবরণী ছিঁড়ে, সেই কাগজের টুকরোগুলি শূন্যে উড়িয়ে দেন তিনি! ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা ৷ অধ্যক্ষ এরই মধ্যে অন্য বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করলে স্লোগান দিতে দিতে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে বিজেপি৷ পরবর্তীতে বিধানসভার মূল ফটকের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের তুলসী মঞ্চ মাথায় নিয়েও হাঁটতে দেখা যায়। ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী দাবি জানিয়েছেন, রবীন্দ্রনগর থানার আইসি মুকুল মিঞাকে অপসারিত ও গ্রেফতার করতে হবে। জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল যাতে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন, সেই দাবি সামনে রেখে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও ভাবছেন বিজেপি বিধায়করা। এদিন বিধানসভা থেকে বেরিয়েই তাঁরা সরাসরি মিছিল করে রাজভবনে চলে যান।

    থমথমে মহেশতলা

    বুধবার সকালে মহেশতলায় (Maheshtala Incident) রবীন্দ্রনগর থানা লাগোয়া এলাকায় একটি শিব মন্দিরের সামনে দোকান নির্মাণ নিয়ে চাপা অশান্তি শুরু হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে একটি ছোট তুলসী মঞ্চ তৈরি করে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে অশান্তি শুরু হয়। মুসলিমরা তুলসী মঞ্চ তৈরির প্রতিবাদে ডেপুটেশন দিতে এসেছিলেন। পরে সেখান থেকে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। শিব মন্দির ও তুলসী মঞ্চে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ আরও জানিয়েছে যে এলাকায় ১০টি পিকেট বসানো হয়েছে। এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি রয়েছে। দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে বচসা শুরু হলেও পরে তা হাতাহাতির রূপ নেয়। মুহূর্তে তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ব্যাপক ভাঙচুর শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিরাট পুলিশ বাহিনী। এডিজি দক্ষিণবঙ্গ থেকে শুরু করে পুলিশের শীর্ষকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। রবীন্দ্রনগর থানা লাগোয়া এলাকায় একটি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়িও। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ব়্যাফ নামানো হয়। ছোড়া হয় টিয়ার গ্যাসও। বৃহস্পতিবার সকালেও থমথমে পরিবেশ মহেশতলার রবীন্দ্রনগর এলাকায়। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অলিগলিতে চলেছে পুলিশের রুট মার্চও।

    মহেশতলায় যেতে অনুমতি দিল না পুলিশ

    হিংসা কবলিত মহেশতলা (Maheshtala Incident) যাওয়ার জন্য শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) অনুমতি দিল না পুলিশ। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেহেতু এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি রয়েছে, তাই সেখানে কাউকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না এখনই। তবে, ১৬ জুনের পরে শুভেন্দু অধিকারী হিংসা কবলিত এলাকায় যেতে পারেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    এনআইএ তদন্ত দাবি

    মহেশতলায় (Maheshtala Incident) অশান্তি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। গোটা মামলা এনআইএ-এর হাতে হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছেন তিনি। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি সেন।

LinkedIn
Share