Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Mid Day Meal: মিড ডে মিল খাচ্ছে না রাজ্যের ৫০ শতাংশ স্কুলপড়ুয়া! জবাব তলব কেন্দ্রের, চুরির অভিযোগ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    Mid Day Meal: মিড ডে মিল খাচ্ছে না রাজ্যের ৫০ শতাংশ স্কুলপড়ুয়া! জবাব তলব কেন্দ্রের, চুরির অভিযোগ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড ডে মিলে (Mid Day Meal) বাংলার পড়ুয়াদের সংখ্যা বিপুল হ্রাস পেয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রের এক রিপোর্টে এই নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। কেন্দ্রের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ৫০ শতাংশ পড়ুয়াই গত শিক্ষাবর্ষে মিড ডে মিল নেয়নি। কেন মিড ডে মিলে পড়ুয়ার সংখ্যা এত বিপুল হ্রাস পেল তা নিয়ে আগামী ৩০ জুনের মধ‍্যে রাজ‍্যের কাছ থেকে জবাব চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্র। এই ইস্যুতে একযোগে মমতা সরকারকে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারী।

    মিড ডে মিল ইস্যুতে রাজ্যকে তোপ সুকান্ত-শুভেন্দুর (Mid Day Meal)

    কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “৫০ শতাংশ বাচ্চা মিড ডে মিল খাচ্ছে না। মিড ডে মিল প্রকল্পে কেন্দ্র যে টাকা দেয়, তার ৪ হাজার কোটি টাকা পড়ে রয়েছে। রাজ্য খরচই করেনি। সেই টাকা কোথায় যাচ্ছে, কী হচ্ছে, আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না।” অন্যদিকে রাজ্যের শাসকদলকে তোপ দেগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকেও কাগজর কাটিং-সহ আমার বক্তব্য পাঠিয়েছি। তৃণমূলের লোকেরা মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) চাল চুরি করছে। ১০০ শতাংশ দেখিয়ে চাল নিচ্ছে। আর ৫০ শতাংশ চাল রান্না হচ্ছে।”

    ২০২৩-২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫-২০২৬ সালে ১০ লক্ষ কম পড়ুয়া মিড ডে মিলের সুবিধা নিয়েছে

    কেন্দ্রের ওই রিপোর্টে যে পরিসংখ্যান সামনে এসেছে তাতে করুণ চিত্র দেখা যাচ্ছে। ২০২৩-২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫-২০২৬ সালে ১০ লক্ষ কম পড়ুয়া মিড ডে মিলের সুবিধা নিয়েছে। তথ্য বলছে প্রধানমন্ত্রী পোষণ শক্তি নির্মাণ যোজনার অন্তর্গত এই প্রোগ্রামে পশ্চিমবঙ্গের ১৫টি জেলায় ২০২৪-২৫ সালে নথিভুক্ত আছে এমন চল্লিশ শতাংশেরও বেশি পড়ুয়া মিড ডে মিলের সুবিধা গ্রহণ করেনি। যার মধ্যে কোচবিহার সবচেয়ে নিচে রয়েছে। যেখানে ৪৬ শতাংশ পড়ুয়া মিড ডে মিল (Mid Day Meal) গ্রহণ করেছে। অর্থাৎ মিড ডে মিলের সুবিধা নেয়নি ৫৪ শতাংশ পড়ুয়া।

    গুরুতর উদ্বেগ হিসেবে দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার

    এই প্রবণতাকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার। এটিকে গুরুতর উদ্বেগ হিসেবেও তারা চিহ্নিত করেছে। ইতিমধ্যে ভারত সরকারের স্কুল এবং স্বাক্ষরতা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে এ নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। প্রোগ্রাম অ্যাপ্রুভাল বোর্ড ইতিমধ্যে উল্লেখ করেছে যে ২০২৩-২৪ থেকে ২০২৪-২৫ পর্যন্ত রাজ্যের মিড ডে মিলের স্কুলগুলির ক্ষেত্রে ভর্তি সংখ্যা ৪.০১ লক্ষ হ্রাস পেয়েছে।

    ২০২৫-২৬ সালের ভর্তির সংখ্যা আরও ৬ লক্ষ হ্রাস পেয়েছে

    ২০২৫-২৬ সালের এই ভর্তির সংখ্যা আরও ৬ লক্ষ হ্রাস পেয়েছে। যা যথেষ্ঠ উদ্বেগপূর্ণ। মিড ডে মিল (Mid Day Meal) প্রকল্পের আওতায় পড়ুয়াদের পুনরায় অন্তর্ভুক্ত প্রচেষ্টা করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে প্রাক-প্রাথমিক এবং প্রাথমিক স্তরে পিএম পোষণের আওতায় যথাক্রমে ৭৮ শতাংশ এবং ৭৪ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী ছিল। কিন্তু উচ্চ প্রাথমিকে তা কমে ৫৮ শতাংশতে দাঁড়িয়েছে।

    সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কোন কোন জেলায় (West Bengal)

    কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য বলছে, ২০২৪-২৫ সালে পিএম পোষণ শক্তি যোজনায় নাম নথিভুক্ত করেছিল ১ কোটি ১৩ লক্ষ ৪৪ হাজার ১৪৬ জন পড়ুয়া। তবে এর মধ্যে মাত্র ৭৭ লক্ষ ৯১ হাজার ৯৪৬ জন মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) সুবিধা গ্রহণ করেছে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মালদা, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনার মতো জেলাগুলিতে করুণ চিত্র সামনে এসেছে। এখানে অর্ধেকের চেয়েও কম নাম নথিভুক্তকারী ছাত্র-ছাত্রীরা মিড ডে মিলের সুবিধা গ্রহণ করেছে।

    তহবিল তছরুপের গুরুতর অভিযোগ, কেন কমছে পড়ুয়া?

    একই সঙ্গে এই প্রকল্পে প্রোগ্রাম অ্যাপ্রুভাল বোর্ড তহবিল তছরূপের অভিযোগও নিয়ে এসেছে। একাধিক অনিয়মের কথা উল্লেখ করেছে তারা। তাদের অভিযোগ, এই প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করে যে সংস্থাগুলি এবং পৌর কর্পোরেশন, একক নোডাল এজেন্সি অ্যাকাউন্টের বাইরে তহবিল জমা রাখছে। রাজ্যকে অবিলম্বে এই তহবিল স্থানান্তর করা নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ভারত সরকারের নির্দেশিকা লঙ্ঘন এবং বিলম্বের জন্য যাঁরা দায়ী, সেই সমস্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে পিএবি। নিজেদের কার্যবিবরণীতে তারা এটা উল্লেখ করেছে (West Bengal)। তবে মিড ডে মিলে এত বিপুল পরিমাণে ছাত্রছাত্রী সংখ্যার কমে যাওয়ার কারণ কী? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের স্কুল শিক্ষা বিভাগের বিদ্যালয়গুলিতে ড্রপ আউটের হার ক্রমশই বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষত উচ্চ প্রাথমিক বিভাগে। মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) পড়ুয়া কমার ক্ষেত্রে এটি একটি বড় কারণ হতে পারে।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘যত নষ্টের গোড়া’’, কেষ্টর হুমকিকাণ্ড মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর, আসরে জাতীয় মহিলা কমিশনও

    Suvendu Adhikari: ‘‘যত নষ্টের গোড়া’’, কেষ্টর হুমকিকাণ্ড মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর, আসরে জাতীয় মহিলা কমিশনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশকে ফোনে হুমকিকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে তুলোধনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এর পাশাপাশি, বোলপুরের আইসিকে ফোনে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় এবার আসরে নামল কেন্দ্রও। জাতীয় মহিলা কমিশন চিঠি দিল রাজ্য পুলিশের ডিজিপি রাজীব কুমারকে। কমিশন জানতে চেয়েছে, এই ঘটনায় কেন আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি। এই মর্মে রাজ্য পুলিশকে ৭২-ঘণ্টার সময়সীমা দিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন।

    মমতাকে তুলোধনা করলেন শভেন্দু

    সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তোপ দাগেন পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পুলিশের অতিসক্রিয়তা ও নিষ্ক্রিয়তা তুলে ধরে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘‘বাংলার পুলিশের যা হাল তা সকলেরই জানা। একজন আইনের ছাত্রীকে তুলে আনতে গুরগাঁও চলে যায় অথচ একজন আইসি, যিনি অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশন, ফিটনেসে পাশ করে ডিউটি করছেন, তাঁর মা-বউকে হুমকি-গালিগালাজ করলে পুলিশমন্ত্রীর গায়ে লাগে না।’’

    যত নষ্টের গোড়া মমতা, বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘একজন তৃণমূল নেতা মদ্যপ অবস্থায় ফোন করে পুলিশ অফিসারকে গালিগালাজ করছেন। হুমকি দিচ্ছেন। রাজীব কুমারকে বলছেন, এই ডিজি আইসিকে কখন সরাবে? সেই নেতাকে গ্রেফতার না করে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে প্রোটেকশন দিচ্ছেন, সেটা ভাবা যায় না।’’ এরপরেই শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়,‘‘অনুব্রত মণ্ডলরা কেউ নন, যত নষ্টের গোড়া মমতা (Mamata Banerjee)। তাঁরই ছত্রছায়ায় নেতা-মন্ত্রীরা এই ধরনের আচরণ করার সাহস পান।’’

    আইসিকেই সাসপেন্ড করে দেওয়া হবে, দেখে নিন

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘এই ধরনের নেতারা সব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অ্যাসেট। প্রকাশ্যে সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, কেষ্টকে রাজ্যসভার টিকিট দিতে চেয়েছিলাম, নেয়নি। সেই অনুব্রত থানায় গেলে থোড়াই পুলিশ ফোন বাজেয়াপ্ত করবে? যা দোষ এখন আইসির।’’ বিরোধী দলনেতার আরও সংযোজন, ‘‘আমি তো বলছি, আইসিকেই সাসপেন্ড করে দেওয়া হবে, দেখে নিন।’’

    জাতীয় মহিলা কমিশনের চিঠি

    অন্যদিকে, জাতীয় মহিলা কমিশন রাজীব কুমারকে পাঠানো চিঠিতে জানতে চেয়েছে, একজন আইসিকে কুকথা বলেছেন অনুব্রত মণ্ডল। এমন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অতীতে অপরাধের রেকর্ডও রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে এখনও কোনও যথাযথ আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি কেন? বৃহস্পতিবারই এই চিঠি দেয় কমিশন। নিজেদের চিঠিতে তারা এও জানতে চেয়েছে, যদি একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকের পরিবারকে এমন হুমকির শিকার হতে হয়, তবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাটা কোথায়?

    কী লেখা হল চিঠিতে?

    বৃহস্পতিবার পাঠানো সেই চিঠিতে লেখা হয়, ‘‘একজন মহিলার বিরুদ্ধে ওই রকম হুমকি মন্তব্য শুধুই সামাজিক ও মূল্যবোধের অবক্ষয় নয়, বরং এটি একটি ঘৃণ্য অপরাধও। যার ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যয় সংহিতায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথা উল্লেখ রয়েছে। যাঁর অতীতে অপরাধের ছাপ রয়েছে, তার বিরুদ্ধে এখনও কোনও যথাযথ আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি কেন?’’ একইসঙ্গে বীরভূমের এই নেতার বিরুদ্ধে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্টও চেয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। এজন্য রাজ্য পুলিশকে ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছে তারা। এরমধ্যে অনুব্রতর বিরুদ্ধে করা আইনি পদক্ষেপের রিপোর্ট পাঠাতে বলেছে তারা।

    খোশমেজাজেই রয়েছেন কেষ্ট

    প্রসঙ্গত, হমকিকাণ্ডের পরেই পুলিশ নোটিশ দেয় অনুব্রতকে। দু’দিন হাজিরা তিনি এড়িয়ে যান। তিনি নাকি অসুস্থ, এমনটাই দাবি ছিল অনুব্রতর। এই কারণেই গত শনি ও রবিবার পুলিশের নোটিশ এড়িয়েছিলেন বীরভূমের কেষ্ট। সূত্রের খবর, টানা পাঁচদিন নাকি তাঁকে ‘বেড রেস্টে’র পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। বুধবার পর্যন্ত ছিল সেই বিশ্রামের সময়সীমা। বৃহস্পতিবার হাজিরা দিলেন কেষ্ট। ঘটনার সাত দিন পরে বৃহস্পতিবারই বিকাল সাড়ে তিনটে নাগাদ শান্তিনিকেতন এসডিপিও অফিসে গিয়ে তাঁকে হাজিরা দিতে দেখা যায়। সূত্রের খবর, তাঁকে ঘণ্টা দুয়েক জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী অফিসার। তবে হাজিরা দেওয়ার পরে তাঁকে বেশ খোশ মেজাজেই বের হতে দেখা যায়। মুখে মুচকি হাসিও নজর এড়ায়নি কারও। কোমরের পিছনে দু’হাত জোড় করে হাজিরা দিয়ে বেরিয়ে আসেন কেষ্ট।

    আইসির ফোনই বাজেয়াপ্ত

    অন্যদিকে, ভাইরাল অডিও কাণ্ডে বোলপুর থানার আইসি (Bolpur IC) আইসি লিটন হালদারের বিরুদ্ধেই আবার বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে জেলা পুলিশ। পুলিশের যুক্তি, অনুমতি ছাড়া রেকর্ড বেআইনি। সূত্রের খবর, তদন্তের স্বার্থে আইসির মোবাইল ফোনটিও সিজ করেছে পুলিশ। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে কেষ্টর ফোন এখনও বাজেয়াপ্ত করেনি পুলিশ। এনিয়ে পুলিশের নিচুতলারই একাংশের মধ্যে ক্ষোভও দেখা গিয়েছে।

  • Sharmistha Panoli: মমতার পুলিশকে ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টের, শর্মিষ্ঠাকে অন্তর্বর্তী জামিন

    Sharmistha Panoli: মমতার পুলিশকে ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টের, শর্মিষ্ঠাকে অন্তর্বর্তী জামিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ফের একবার ভর্ৎসিত হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে তাদের আচরণের জন্য তিরস্কার করে আদালত। হাইকোর্টের মন্তব্য, “আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিত। কারণ এটি এক তরুণীর (Sharmistha Panoli) মর্যাদার বিষয়।” এদিন আদালতে শর্মিষ্ঠার হয়ে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী ডিপি সিং। তিনি জানান, তাঁর (শর্মিষ্ঠার) গ্রেফতার অবৈধ ছিল। তিনি বলেন, “বিতর্কিত ভিডিওটি পরের দিনই মুছে ফেলা হয়েছিল।” তিনি এও বলেন, “মন্তব্যগুলি পাকিস্তানকে লক্ষ্য করে করা হয়েছিল এবং তা মুহূর্তের উত্তেজনায় বলা হয়েছিল।”

    তরুণীর শালীনতার প্রশ্ন (Sharmistha Panoli)

    এদিন তিনি শর্মিষ্ঠাকে খুন ও ধর্ষণের হুমকির প্রসঙ্গও আদালতে তোলেন। কীভাবে তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছিল, তাও বর্ণনা করেন শর্মিষ্ঠার আইনজীবী। সেই সময় বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরী রাজ্যকে জিজ্ঞেস করেন, “কোন অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে? এটি এক তরুণীর শালীনতার প্রশ্ন। এসব দেখলে আপনারা লজ্জিত হবেন। আমি এটা জনসমক্ষেই বলছি। সর্বোপরি, উনি একজন আইনের ছাত্রী।” রাজ্য পুলিশ যেভাবে শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করেছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতি বসু চৌধুরী।

    আদালতের পাঠ

    তিনি বলেন, “সম্ভবত বা স্বাধীনতা শব্দগুলিকে কখনওই অনুমতি হিসেবে ব্যাখ্যা করা যায় না।” আইনজ্ঞদের মতে, এর মাধ্যমে তিনি রাজ্যকে পরোক্ষভাবে জানিয়ে দেন, কাউকে গ্রেফতার করার স্বাধীনতা মানেই গ্রেফতার করার অনুমতি দেওয়া নয়। এর পরেই আদালত শর্মিষ্ঠাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয় আদালত। মামলার প্রক্রিয়াগত ত্রুটি তুলে ধরে এবং ন্যায়বিচার ও মর্যাদার প্রতি আদালতের অঙ্গীকারকে ফের স্মরণ করিয়ে দেন বিচারপতি। প্রসঙ্গত, (Sharmistha Panoli) মঙ্গলবারই শর্মিষ্ঠাকে অন্তর্বর্তী জামিন দিতে অস্বীকার করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট।

    গত মাসে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন পুণের একটি আইন কলেজের ছাত্রী তথা নেটপ্রভাবী শর্মিষ্ঠা পানোলি। তার জেরে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ উজিয়ে গিয়ে গুরগাঁও থেকে শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করে আনে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের পুলিশ। অথচ যে শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল, কলকাতার সেই মুসলিম যুবকটি হিন্দু ধর্ম, বিশেষত কামাখ্যা দেবীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেও পার পেয়ে যায় (Calcutta High Court)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে যাতে টোল না পড়ে, তাই তাঁকে গ্রেফতার না করে ধরা হয় শর্মিষ্ঠাকে (Sharmistha Panoli)।

  • Birbhum: কেষ্ট গড়ে ব্যাপক ধস তৃণমূলে, বিজেপিতে যোগ ১৫০ পরিবারের

    Birbhum: কেষ্ট গড়ে ব্যাপক ধস তৃণমূলে, বিজেপিতে যোগ ১৫০ পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেষ্ট গড়ে ব্যাপক ধস তৃণমূলে (TMC)! অনুব্রত মণ্ডলকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানোর পরই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক লেগে গিয়েছে। বীরভূমের (Birbhum) সাঁইথিয়া বিধানসভার কুনুরি গ্রাম-সহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে ১৫০টিরও বেশি পরিবার। পদ্ম শিবিরের দাবি, মঙ্গলবার সিউড়িতে বিজেপির বীরভূম জেলা কার্যালয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার হাত ধরে তাঁরা যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। মে মাসের শেষাশেষি নলহাটি বিধানসভার ৫৫টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁদের হাতেও বিজেপির ঝান্ডা তুলে দেন বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা। বিজেপির দাবি ছিল, তিন দিনে হাসন ও নলহাটি বিধানসভার মোট ২৫০টি পরিবার চলে এসেছে তাদের দিকে।

    তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদল (Birbhum)

    সম্প্রতি বীরভূমে তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদল করা হয়েছে। জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। কোর কমিটির ওপরই আস্থা রেখেছে দল। এই আবহে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার ঢল শুরু হয়েছে বলে মনে করছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের মতে, ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটা তৃণমূলের কাছে অশনি-সঙ্কেত। এভাবে চলতে থাকলে ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে কেষ্ট গড়ে পদ্মফুল ফুটবে।

    তৃণমূলকে তোপ নবাগতদের

    তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে তোপ দাগতে শুরু করেন নবাগতরা। এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন অচিন্ত্য দাস এবং গিরিধারী সরকারও। তাঁরা বলেন, “বর্তমানে গোটা বাংলার যা পরিস্থিতি, কারও যদি বিবেক বোধ থাকে, বিবেকের দংশন হয়ে থাকে, তাহলে তাঁরা কখনও তৃণমূল করবেন না।” বিজেপির দাবি, তৃণমূলের দলীয় নেতৃত্বের অভাব এবং সংখ্যালঘু তোষণের জন্য পুরানো দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে এই পরিবারগুলি।

    প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলের ভাইরাল অডিও ক্লিপ ঘিরে যখন রাজ্যজুড়ে তোলপাড়, তখনই তৃণমূলে বড় ভাঙন বীরভূমে (Birbhum)। অনুব্রতর নোংরা হুমকি ফোন ঘিরে ক্রমেই অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলে। অনুব্রতর মন্তব্য নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন ঘাসফুল শিবিরেরই অনেকে। দলের তরফে তড়িঘড়ি দায় ঝেড়ে, ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেষ্টকে। ক্ষমা চাইলেও, এখনও পুলিশের তলবে হাজির হননি (TMC) অনুব্রত। এই পরিস্থিতিতেই শিবির বদল দেড়শোরও বেশি পরিবারের (Birbhum)।

  • Sharmishta Panoli: তোষণের রাজনীতি করতেই গ্রেফতার শর্মিষ্ঠা, পার পেয়ে যাচ্ছে ওয়াজাহাত খান?

    Sharmishta Panoli: তোষণের রাজনীতি করতেই গ্রেফতার শর্মিষ্ঠা, পার পেয়ে যাচ্ছে ওয়াজাহাত খান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তোষণের রাজনীতির জন্য তামাম ভারতে পরিচিত কংগ্রেসের ‘ডিএনএ-জাত’ তৃণমূল কংগ্রেস। ‘মাদার পার্টি’র মতো সংখ্যালঘু তোষণ (Muslim Appeasement Politics) তারও মজ্জাগত। তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নানা সময় তাঁর ‘দুধেল গাই’দের সম্পর্কে প্রশস্তি গাইতে দেখা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর গদি আঁকড়ে ধরে রাখতে তাঁর যা যা করা দরকার, তিনি তা-ই করে চলেছেন। এই যেমন, মুসলমান ভোটব্যাঙ্ককে তুষ্ট করতে পুণের একটি আইনের কলেজ ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলির (Sharmishta Panoli) জীবনকে কার্যত ‘জীবন্ত নরকে’ পরিণত করার যাবতীয় চেষ্টা করে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার। পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে তাঁর একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিওকে কেন্দ্র করে আপত্তি তোলে মুসলমান সম্প্রদায়ের একাংশ। তার পরেই প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ উজিয়ে গিয়ে পুলিশ পাঠিয়ে গুরগাঁও থেকে ওই হিন্দু ছাত্রীকে গ্রেফতার করে কলকাতায় নিয়ে আসে মমতার সরকার।

    শর্মিষ্ঠার শারীরিক অবস্থা (Sharmishta Panoli)

    স্থানীয় আদালত তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। শর্মিষ্ঠাকে দু’সপ্তাহের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। শর্মিষ্ঠার আইনজীবীর মতে, আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে ভালো নেই শর্মিষ্ঠার শারীরিক অবস্থা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ‘দুধেল গাই’দের গায়ে লাগায় শর্মিষ্ঠাকে (Sharmishta Panoli) তড়িঘড়ি গ্রেফতার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। অথচ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুলিশ এবং তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত প্রশাসন শর্মিষ্ঠাকে যেসব মুসলমান অনলাইনে ধর্ষণ, খুনের হুমকি এবং ‘সর তন সে জুদা’ (ধড় থেকে মুন্ডু আলাদা করে দেব) বলে হুমকি দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করেনি! একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটে নিশ্চিন্তে বসে থাকতে পারেন, তা মাথায় ঢুকছে না শর্মিষ্ঠার শুভাকাঙ্খীদেরও।

    ওয়াজাহাতকে গ্রেফতার করা হয়নি?

    মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি মমতা পুলিশমন্ত্রীও। তাঁর নির্দেশে পুলিশ গিয়ে গুরগাঁও থেকে ধরে আনতে পারে বছর বাইশের ওই ছাত্রীকে (Sharmishta Panoli)। শুধু তাই নয়, তাঁর গ্রেফতারিকে ন্যায্য বলে প্রমাণ করার চেষ্টাও নিরন্তর করে চলেছে। অথচ, শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছিল, সেই ওয়াজাহাত খান নিজেও হিন্দু দেবদেবী (বিশেষত অসমের কামাখ্যা মন্দির) সম্পর্কে প্রায়ই অবমাননাকর এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে, এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়, তার পরেও দিব্যি হাত গুটিয়ে বসে থাকে মমতার পুলিশ। অথচ ওয়াজাহাতকে গ্রেফতার করতে হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে না, সে থাকে খাস কলকাতায়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ওয়াজাহাতের মতো এক উগ্র মুসলমানকে গ্রেফতার না করে তৃণমূল নেত্রী রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ‘আমি তোমাদেরই লোক’ গোছের বার্তা দিলেন। যেহেতু মুসলমানদের চটালে গদি খোয়াতে হতে পারে, তাই শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করা হলেও, বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়ায় (বর্তমানে বেপাত্তা) ওয়াজাহাতের মতো উগ্র মুসলমানরা! শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করে তৃণমূলের তরফে (Sharmishta Panoli) মুসলমানদের এই বার্তাও দেওয়া হয় যে, ‘তোমরা আমাদের ভোটব্যাংক (Muslim Appeasement Politics)। তাই সনাতন ধর্ম নিয়ে কোনও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করলেও, তোমাদের কোনও ভয় নেই। কারণ, ম্যায় হুঁ না’!

    তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্রের বক্তব্য 

    তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র ঋজু দত্ত, যিনি আগেও স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধে নারীবিদ্বেষমূলক মন্তব্য ও ভুয়ো ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে সমালোচিত হয়েছেন, তিনিও এবার শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে অমানবিক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “সে (শর্মিষ্ঠা) যদি আমার মেয়ে হত, তবে আমি এতক্ষণে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করতাম এবং তাকে ত্যাগ করতাম।” তিনি বলেন, “সে শিশু নয়, ২২ বছর বয়সি একজন আইন শিক্ষার্থী। সে যা বলেছে এবং করেছে, তা সম্পূর্ণ সচেতনভাবে ডানপন্থী মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং সামাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পাওয়ার উদ্দেশ্যে করেছে।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই ধরনের মন্তব্যের মাধ্যমে ঋজু সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও বিদ্বেষ ছড়ানো ও হয়রানির পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন (Sharmishta Panoli)।

    শুভেন্দুর বক্তব্য

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী শর্মিষ্ঠার গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বলেন, “এই ধরনের পদক্ষেপ (শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার) কেবল সনাতনিদের বিরুদ্ধেই নেওয়া হয়। এখানে সবাই সনাতন ধর্মকে অপমান করার লাইসেন্স পেয়ে গিয়েছে। এটা তোষণের রাজনীতি।” তিনি বলেন, “তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের হয়েছে। তিনি দেবী কালী সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন। কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? তাদের (টিএমসি) সাংসদ সায়নী ঘোষ মহাদেব নিয়ে কী পোস্ট করেছিলেন? কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে এতগুলো এফআইআর দায়ের হয়েছে। তার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি (Sharmishta Panoli)।”

    তৃণমূলের মুসলিম তোষণ নতুন নয়

    রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূল কংগ্রেসের মুসলিম তোষণের ঘটনা নতুন নয়। এর শুরু হয়েছিল সে-ই ২০১১ সালে, যখন প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় আসে মমতার সরকার। এই পার্টিই মুসলিমদের ওবিসি শ্রেণিভুক্ত করতে শুরু করে (Muslim Appeasement Politics)। কলকাতা হাইকোর্ট এই সিদ্ধান্তকে ‘সংবিধানিক প্রতারণা’ বলে আখ্যা দেয়। পশ্চিমবঙ্গের উর্দুভাষীর সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ বা তার কিছু বেশি। সেখানে উর্দুকে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ঘোষণা করে মমতার সরকার। মুসলমানদের তুষ্ট করতেই ইমাম ভাতাও চালু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার (Sharmishta Panoli)।

  • Red Road: ব্যবহৃত হবে সামরিক প্রয়োজনে, এবছর রেড রোডে ইদের নামাজ নয়, জানিয়ে দিল সেনা

    Red Road: ব্যবহৃত হবে সামরিক প্রয়োজনে, এবছর রেড রোডে ইদের নামাজ নয়, জানিয়ে দিল সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বছর ইদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয় কলকাতার রেড রোডে (Red Road)। এবার সেই জমায়েত ঘিরেই দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। চলতি বছরে রেড রোডে ইদ-উজ-জোহা (৭-৮ জুন) জমায়েত আয়োজনের অনুমতি দিল না সেনাবাহিনী। ফোর্ট উইলিয়ামের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি)-র তরফে এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, ওই সময়ে রেড রোড ও সংলগ্ন অঞ্চল সামরিক প্রয়োজনে ব্যবহৃত হবে। এর ফলে, ইদের (Red Road) জমায়েতের অনুমতির আবেদন নাকচ করা হয়েছে।

    কী বললেন কলকাতা খিলাফত কমিটির সভাপতি?

    এনিয়ে কলকাতা খিলাফত কমিটির সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খানের বিবৃতি সামনে এসেছে। রবিবার তিনি বলেন, ‘‘আমরা চিঠি পেয়েছি। বৈঠক ডাকা হয়েছে। এরপর কমিটির সদস্যরাই সিদ্ধান্ত নেবেন কী পদক্ষেপ করা হবে।’’ প্রসঙ্গত, মহম্মদ আলি, মৌলানা শওকত আলি ও মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে যে খিলাফত-আন্দোলন গড়ে উঠেছিল সেই স্মৃতিতেই চলে খিলাফত কমিটি। এই কমিটির কমিটির তরফেই বড় দুই ইদের নমাজের আয়োজন করা হয় রেড রোডে। তবে এবার সেনাবাহিনীর (Indian Army) এই সিদ্ধান্তের ফলে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। এখন দেখার সেনার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে খিলাফত কমিটি আদালতের দ্বারস্থ হয় কিনা।

    ১০ মে আবেদন করে কমিটি, সেনার জবাব আসে ৩১ মে

    রেড রোডের (Red Road) দীর্ঘ রাস্তায় প্রতি বছর রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে লক্ষাধিক মানুষ একসঙ্গে ইদের নামাজের জন্য জড়ো হন। প্রোটোকল অনুযায়ী, কলকাতা খিলাফত কমিটি ১০ মে ইদের নামাজের জন্য অনুমতি চায়। এরপরে সেনাবাহিনী (Indian Army) তরফ থেকে জবাব আসে ৩১ মে এবং সেখানেই তাদের এই আবেদনকে নাকচ করা হয়। রেড রোডে বহু বছর ধরেই ইদের নামাজ চলে এবং বিরাট সংখ্যায় জমায়েতে হাজির থাকতে দেখা যায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও নেত্রীদেরও।পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর থেকে ইদের নামাজের ওই জমায়েতে হাজির থাকেন।

  • Amit Shah: “আপনি সিঁদুরের অপমান করেছেন, মা-বোনেরা এর জবাব দেবে,” শাহের নিশানায় মমতা

    Amit Shah: “আপনি সিঁদুরের অপমান করেছেন, মা-বোনেরা এর জবাব দেবে,” শাহের নিশানায় মমতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার বাংলায় সঙ্কল্প সভা করতে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত ধুয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজেপির অমিত শাহ (Amit Shah)। নেতাজি ইন্ডোরের সভায় তিনি মমতাকে (Mamata Banerjee) নিশানা করে বলেন, “অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আপনি প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে জঘন্য কথা বলেছেন। আপনি সিঁদুরের অপমান করেছেন। মা-বোনেরা এর জবাব আপনাকে দেবে।” তিনি বলেন, “পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের সন্ত্রাসবাদীদের গুলি করে মেরেছিল। তার জবাবে পাকিস্তানে কয়েকশো জঙ্গিকে খতম করেছে ভারত। কিন্তু জঙ্গিরা মারা গেলে তো দিদির পেটে ব্যথা করে। আর বাঙালি পর্যটককে যখন জঙ্গিরা হত্যা করে তখন উনি কিছুই বলেন না।”

    সংখ্যালঘু তোষণ (Amit Shah)

    সংখ্যালঘু তোষণের প্রশ্নে এদিন তৃণমূলের সমালোচনা করে শাহ বলেন, “বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারই দায়ী। সীমান্ত কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য জমি লাগবে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ইচ্ছে করে জমি দিচ্ছে না। যাতে বাংলাদেশ থেকে লাগাতার মুসলিম অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে এবং তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি চলতে থাকে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে সরাসরি শাসক দলের মদতে। শাসক দলের নেতারা দাঁড়িয়ে থেকে হিংসার উসকানি দিয়েছেন। এ হল স্টেট স্পনসরড তথা রাষ্ট্রের মদতে দাঙ্গা।”

    রাজ্য সরকার শোনেনি

    শাহ বলেন, “এখানে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পরিস্থিতি বিএসএফের হাতে ছেড়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার তা শুনতে চায়নি। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে বিএসএফ-ই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কারণ বিএসএফ-ই পারে হিন্দুদের বাঁচাতে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “উনি মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। অথচ আরজি কর থেকে সন্দেশখালি থেকে সামসেরগঞ্জ – সর্বত্র মহিলাদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় তৃণমূলেরই নাম উঠে এসেছে বার বার। রাজ্য দুর্নীতির গলা জলে ডুবে গেছে। কেন্দ্রের সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে (Amit Shah) গত ১১ বছর ৮ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। সেই টাকা বাংলার মানুষ পায়নি। তৃণমূলের সিন্ডিকেট খেয়ে নিয়েছে।”

    তিনি বলেন, “দিদি আমার কথা শুনে নিন, আপনার সময় ঘনিয়ে এসেছে। ছাব্বিশেই বিদায়।” তিনি বলেন, “টিএন সেশন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হওয়ার পর থেকে সর্বভারতীয় স্তরে ভোটে হিংসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একমাত্র বাংলায়ই তা বন্ধ হয়নি।” শাহ বলেন, “দিদি (Mamata Banerjee), হিম্মত থাকলে হিংসা, রিগিং বাদ দিয়ে ভোট করে দেখুন। আপনারও জমানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে (Amit Shah)।”

  • BJP: নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী আশিস ঘোষ

    BJP: নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী আশিস ঘোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯ জুন রয়েছে নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন। শনিবারই এই আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবিরের তরফে এই আসনে লড়বেন প্রার্থী আশিস ঘোষ। নিজের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা হওয়ার পরেই সাংবাদিকদের আশিস ঘোষ বলেন, জয়ের বিষয়ে তিনি ১০০ শতাংশ আত্মবিশ্বাসী।

    বিজেপি প্রার্থী আশিস ঘোষের সংক্ষিপ্ত পরিচয় (BJP)

    জানা গিয়েছে,নদিয়ার কালিগঞ্জ বিধানসভার অন্তর্গত দেবগ্রামে আশিস ঘোষের বাড়ি। তিনি বহুদিন ধরেই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হয় রয়েছেন। ২০০৮ সাল থেকে বেশ কয়েকবার দেবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন আশিস ঘোষ। নিজের এলাকায় বেশ ভালোই জনপ্রিয়তা রয়েছে তাঁর। বর্তমানে কালীগঞ্জ বিধানসভার কনভেনারের দায়িত্বে (Assembly By Election) রয়েছেন এই বিজেপি নেতা (BJP)। জানা যাচ্ছে, আশিস বাবুর শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ-মাধ্যমিক। কৃষক পরিবারের জন্ম হলেও বর্তমানে তিনি ছোটখাটো ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বলেই জানিয়েছেন এই বিজেপি নেতা।

    কী বলছেন এই বিজেপি নেতা?

    শনিবার দলের প্রার্থী হওয়ার পরই দলীয় কর্মীরা তাঁকে ফুলের মালা দিয়ে সংবর্ধনা জানান। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ দিন বিজেপি প্রার্থী বলেন, “আমি জেতার ব্যাপার একশো শতাংশ আশাবাদী (Assembly By Election)। মূলত সনাতনী ভোটকে প্রাধান্য দিয়েই লড়াইয়ে নামতে চলেছি। তৃণমূল গোটা রাজ্য জুড়ে যে দুর্নীতি করেছে। সেই দুর্নীতির বিপক্ষে মানুষ রায় দেবে।”

    কেন হচ্ছে এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন?

    উল্লেখ্য,  ওই কেন্দ্রে তৃণমূল বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের (লাল) মৃত্যুর পরেই ওই বিধানসভায় উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। শাসকদলের পক্ষ থেকে প্রার্থী হিসেবে প্রয়াত বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের মেয়ে আলিফা আহমেদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তার ঠিক দু’দিন পর বিজেপি (BJP) আশিস ঘোষকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করল। কালীগঞ্জে লড়াই মূলত বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যেই হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। লড়াইয়ের ময়দানে কংগ্রেস-সিপিএমকে সেভাবে দেখা যাচ্ছে না।

  • Amit Shah: মোদির পরেই শাহ, আজ রাজ্যে পা রাখছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    Amit Shah: মোদির পরেই শাহ, আজ রাজ্যে পা রাখছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবারই বঙ্গ সফরে অমিত শাহ। ২ দিনের সফরে রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ৩১ মে থেকে ১ জুন রাজ্যে কর্মসূচি রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah)। কলকাতায় একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন অমিত শাহ। ১ জুন নেতাজি ইনডোরে সাংগঠনিক সভায় যোগ দেবেন তিনি। একইসঙ্গে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়িতেও যাবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সেখানে সাধু-সন্তদের সঙ্গে একটি বৈঠক করতে পারেন তিনি। এমনটাই জানা গিয়েছে বিজেপি (BJP) সূত্রে।

    মোদির পরেই শাহ (Amit Shah)

    প্রসঙ্গত, বছর ঘুরলেই রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। এই আবহে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত, ২ দিন আগে রাজ্যে এসে বিজেপির প্রচারের সুর বেঁধে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর ঠিক ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যে পা রাখতে চলেছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। নির্ধারিত সূচি অনুয়ায়ী, শনিবার রাতে কলকাতার এক হোটেলে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।

    কী কী কর্মসূচি

    এরপর রবিবার রাজারহাটে সিএফএসএলের সরকারি কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। জানা গিয়েছে, সকালে ওই সরকারি কর্মসূচি সমাপ্ত করে বাইপাসের ধারে হোটেলে ফিরে আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ (Amit Shah)। এরপর, হোটেলে মধ্যাহ্নভোজ সেরে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পৌঁছবেন তিনি। সেখানে বিজেপি নেতা-কর্মীদের নিয়ে সম্মেলন করবেন তিনি। সেই সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন অমিত শাহ। বিজেপি (BJP) সূত্রে খবর, সম্মেলনে থাকবেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। থাকবেন জেলা সভাপতি, মণ্ডল সভাপতিরা। এর পাশাপাশি থাকার কথা মণ্ডল পদাধিকারী-সহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্বের। থাকবেন মোর্চাগুলির পদাধিকারীরাও। প্রসঙ্গত, এ রাজ্যে ১৩০০ মণ্ডল রয়েছে পদ্ম শিবিরের। ইতিমধ্যে কয়েকটি ছাড়া সব জায়গাতেই নতুন মণ্ডল কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে বলে খবর। তার মধ্যে অর্ধেকের বেশি মণ্ডলে সভাপতির পদে আনা হয়েছে নতুনদের। অন্যদিকে, ৪৩টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৩৯টি সাংগঠনিক জেলায় সভাপতির নাম ঘোষণা করেছে গেরুয়া শিবির। তার মধ্যে ২৮ জন নতুন সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

  • PM Modi: ‘‘মুর্শিদাবাদ-মালদায় যা হয়েছে, তা বর্তমান সরকারের নির্মমতার উদাহরণ”, রাজ্যকে তোপ মোদির

    PM Modi: ‘‘মুর্শিদাবাদ-মালদায় যা হয়েছে, তা বর্তমান সরকারের নির্মমতার উদাহরণ”, রাজ্যকে তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘মুর্শিদাবাদ-মালদায় যা হয়েছে, তা বর্তমান সরকারের নির্মমতার উদাহরণ। শাসকদলের কাউন্সিলর বেছে বেছে লোকেদের বাড়ি আক্রমণ করেছেন। এখানকার সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত। প্রতি বার আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। এ ভাবে কি কোনও সরকার চলতে পারে?’’ বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) জনসভায় এভাবেই রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর এই প্রথম বঙ্গ সফরে এলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন নির্ধারিত সময়ের খানিক আগেই আলিপুরদুয়ারের সভাস্থলে পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এদিনের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই তোলেন মুর্শিদাবাদের হিংসার প্রসঙ্গ।

    তৃণমূলকে আক্রমণ (PM Modi)

    তার পরেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের নেতাদের দুর্নীতির জন্য এখানকার বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু এঁরা নিজেদের ভুল মানতেই চাইছেন না। উল্টে আদালতকে আক্রমণ করছেন। তৃণমূল সরকার অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। বিজেপি এটা হতে দেবে না।’’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দুর্নীতি করে তৃণমূল শুধু হাজার হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেয়নি, রাজ্যের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে।” তিনি বলেন, “তৃণমূল আদিবাসীদের ভালো চায় না। তাই ২০২২ সালে এনডিএ সরকার যখন একজন আদিবাসী মহিলাকে রাষ্ট্রপতি পদে বসানোর চেষ্টা করছিল, তখন সবার আগে তার বিরোধিতা করেছিল তৃণমূল।”

    রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ

     রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘কেন্দ্রের অনেক বড় বড় প্রকল্প এ রাজ্যে কার্যকর করা হয় না। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প এখানে চালু হতে দেওয়া হয়নি। এখানকার লোকেরা বাইরে গেলে ওই প্রকল্পের সুবিধা পান না। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় পশ্চিমবঙ্গের বহু মানুষ বাড়ি পেতে পারতেন। কিন্তু এখানে তা হতে দেওয়া হয়নি। তা করতে দেয়নি এখানকার নির্মম সরকার।’’ তিনি বলেন, “বাংলার মানুষ নিষ্ঠুর সরকার চায় না। তৃণমূলের শাসন ব্যবস্থায় তাঁদের কোনও বিশ্বাস নেই। বাংলার শাসক দলের স্বার্থপর রাজনীতি সাধারণ মানুষকে তাঁদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।”

    অপারেশন সিঁদুর

    এর পরেই প্রধানমন্ত্রী চলে যান অপারেশন সিঁদুরের প্রসঙ্গে। তিনি বলেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় আপনাদের প্রবল রাগ হয়েছিল। সেই রাগই আমাদের শক্তি জুগিয়েছে। যারা পহেলগাঁওকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের সিঁদুরের শক্তি বুঝিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। কল্পনাই করতে পারেনি পাকিস্তান। অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি। তিন বার ঘরে ঢুকে মেরেছি। ফের হামলা হলে শত্রুদের আবার বড় মূল্য চোকাতে হবে (Alipurduar)।’’ প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) বক্তব্যের আগে ভাষণ দেন সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ের ঘটনার সঙ্গে মুর্শিদাবাদের ঘটনার মিল রয়েছে। এই সরকারকে আমাদের উৎখাত করতেই হবে। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেই তা হবে।’’ তিনি বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের মতোই এ রাজ্যে অপারেশন তৃণমূল করতে হবে।”

    শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য

    সুকান্তর পরে ভাষণ দিতে ওঠেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনে তৃণমূল সরকারকে ছুড়ে ফেলে দিতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে চাই বিজেপির সরকার। নরেন্দ্র মোদির সরকার। আজ দেশের জন্য বাংলাকে বাঁচাতে হবে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপোর সরকারকে উপড়ে ফেলতে হবে। এটাই এই সভার সংকল্প হওয়া উচিত। এই বাংলার তিন জনকে পহেলগাঁওয়ে খুন করা হয়েছে ধর্ম দেখে। নরেন্দ্র মোদি তার বদলা নিয়েছেন।’’

    বাংলার উন্নতি ছাড়া দেশের প্রগতি সম্ভব নয়

    এদিন সরকারি প্রকল্পের শিলন্যাস করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “বাংলার উন্নতি ছাড়া দেশের প্রগতি সম্ভব নয়। আর তাই গত দশ বছরে কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প শুরু করেছে (Alipurduar)।” তিনি বলেন, “বাংলার উন্নয়ন ভারতের উজ্জ্বল আগামীর ভিত্তি স্থাপন করবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলা মেক ইন ইন্ডিয়ার কেন্দ্র হয়ে উঠুক। বাংলার উন্নয়নে হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি স্টেশনের উন্নয়ন হয়েছে। কলকাতা মেট্রোর উন্নয়নের কাজ হয়েছে।”

    সিকিম সফর বাতিল…

    এদিন সকালেই রাজ্যে এসে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বাগডোগরা থেকে তাঁর সিকিমে যাওয়ার কথা ছিল। যদিও আবহাওয়া খারাপ থাকায় সেই সভা বাতিল হয়। ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেডের একটি অনুষ্ঠানেও যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথমে প্রশাসনিক মঞ্চ থেকে সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন তিনি। পরে চলে যান আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডের জনসভায়। সেখানেই তিনি তাক করেন রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে। সভা শেষে প্রধানমন্ত্রী চলে যান হাসিমারায় (Alipurduar)। সেখান থেকে তিনি রওনা দেবেন পাটনার উদ্দেশে (PM Modi)।

LinkedIn
Share