Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Recruitment Scam: আদালতে তোলা হল তৃণমূল যুব নেতা শাহিদ ইমামকে, গোপন জবানবন্দি দেবেন ‘মহারাজ’?

    Recruitment Scam: আদালতে তোলা হল তৃণমূল যুব নেতা শাহিদ ইমামকে, গোপন জবানবন্দি দেবেন ‘মহারাজ’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গত শুক্রবার গ্রেফতার হয়েছেন আরামবাগের যুব তৃণমূল নেতা শাহিদ ইমাম ও তাঁর ভাই শেখ আলি। আজ, সোমবার হেফাজতের মেয়াদ শেষে সেই শাহিদ ইমামকে আদালতে পেশ করল সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই প্রথমবার কেউ গোপন জবানবন্দি দিতে পারেন। ফলে এখন প্রশ্ন উঠছে, সিবিআইয়ের কাছে কি তিনি ফাঁস করে দেবেন প্রভাবশালীদের নাম? এবারে কি তবে দুর্নীতিচক্রের মূল পাণ্ডাদের হদিশ পাবেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা?

    গোপন জবানবন্দি দেবেন শাহিদ ইমাম!

    শুক্রবার শাহিদ-সহ অন্য অভিযুক্তদের সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। কিন্তু, শনিবারই ফের শাহিদ ইমামকে আদালতে তোলে সিবিআই। সিবিআই  জানায়, তাঁকে আর হেফাজতে রাখার প্রয়োজন নেই। তখন থেকেই প্রশ্ন উঠছে যে, তবে কি সাক্ষী হিসেবে শাহিদের গোপন জবানবন্দি নিতে চাইছে সিবিআই? কারণ, নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সাক্ষীর গোপন জবানবন্দি নিতে গেলে তাঁকে অন্য অভিযুক্তদের থেকে আলাদা রাখতে হয়। তাই কি শাহিদকে আর হেফাজতে রাখতে চায়নি সিবিআই? এর পর আজ ইমামকে আদালতে তোলা হয়েছে।

    অন্যদিকে আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, চাকরি বিক্রির নামে ৬ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা তুলেছেন এই তৃণমূল নেতা। সেই টাকা গেল কোথায় তা জানতে তদন্ত শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। এরপরেই সিবিআই আদালতে জানিয়েছে শাহিদ ইমাম গোপন জবানবন্দি দিতে চান।

    ইমামের প্রাসাদ ঘিরে শুরু তুমুল চর্চা

    আরামবাগ মহকুমা সহ হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকায় তিনি পরিচিত ‘মহারাজ’ নামেই। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মহারাজ যখন সিবিআই হেফাজতে, তখন তাঁর নির্মীয়মাণ প্রাসাদ ঘিরে শুরু হয়েছে চর্চা। আরামবাগ পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৈরি হয়েছে একটি প্রাসাদের মত বাড়ি। সেটির মালিক শাহিদ ইমামই। এই  ‘মহারাজ’-এর অট্টালিকার ছাদে বিশেষ কিছু তৈরি করার পরিকল্পনা হচ্ছিল। তাই ছাদের উপরে ছিল বিশেষ নকশা। জানা গিয়েছে, শাহিদ ইমামের নির্মীয়মাণ বাড়ির ছাদে হেলিকপ্টার তৈরির পরিকল্পনা ছিল। এমনকী বাড়ির ভিতরে রয়েছে ঘোরানো সিঁড়িও। ফলে তাঁর এই বিশাল অট্টালিকা দেখে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    প্রসঙ্গত, মহারাজ আরামবাগ মহকুমায় দীর্ঘদিনের তৃণমূল নেতা। টিএমসিপি থেকে যুব তৃণমূলের নেতা হয়ে ক্রমশ তাঁর প্রতিপত্তি বেড়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। অভিনয়, দানধ্যান, সিনেমায় টাকা ঢালা থেকে নানান দিকে নিজের বিস্তার ঘটিয়েছেন কয়েক বছরে। এরপরেই তিনি যে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছেন, এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসায় সিবিআই হেফাজতে তিনি।

    উদ্বেগে শাহিদ-ঘনিষ্ঠ নেতাদের একাংশ

    নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের হাতে ধরা পড়ার পর থেকেই চিন্তায় রয়েছেন অন্যান্য তৃণমূল নেতারাও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্লক স্তরের এক তৃণমূল নেতা বলেন, “বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য শাহিদের কাছ থেকে কয়েকবার টাকা নিয়েছিলাম। সেই টাকার উৎস নিয়ে কখনও প্রশ্ন করিনি। সিবিআইয়ের তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে কোনও ধারণা নেই। সত্যি বলতে, বেশ ভয়েই আছি।” একই রকম উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন আরও কয়েকজন নেতা। বিভিন্ন সময়ে যাঁরা শাহিদের থেকে আর্থিক সাহায্য নিয়েছেন। আজ আদালতে পেশ করার পর কী তথ্য সামনে প্রকাশ্যে আসে তারই অপেক্ষায় রাজ্যবাসী। এছাড়াও ইমামের জবানবন্দিতে কোনও প্রভাবশালীদের নাম উঠে আসে নাকি সেটাও এখন দেখার।

  • Calcutta High Court: ‘মাধ্যমিকে কমেছে পরীক্ষার্থী, ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজন কী?,’ প্রশ্ন বিচারপতি বসুর

    Calcutta High Court: ‘মাধ্যমিকে কমেছে পরীক্ষার্থী, ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজন কী?,’ প্রশ্ন বিচারপতি বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ১০ হাজার শিক্ষকের প্রয়োজন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ ৪ লাখ কম ছাত্রছাত্রী এবার মাধ্যমিকে বসছে। তাই অতিরিক্ত শিক্ষকের কি প্রয়োজন? কী লাভ? অর্থের অপচয় হচ্ছে। সোমবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Basu)। স্কুল শিক্ষা দফতরকে তাঁর পরামর্শ, যে স্কুলে পড়ুয়া কম রয়েছে সেখানকার ছাত্রদের কাছের অন্য কোনও স্কুলে পাঠিয়ে দিন। শিক্ষকদের অন্যত্র বদলি করুন। তিনি বলেন, গোটা বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রীকে জানান। আইনে বদল আনুন।

    সরকারি টাকায়…

    শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের প্রতি নজর রাখছেন কিনা, এদিন সে প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন বিচারপতি বসু। তিনি বলেন, সরকারি টাকায় নিজের সন্তানকে বেসরকারি স্কুলে পাঠাচ্ছেন সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা। ভালো কথা। কিন্তু নিজের স্কুলের সন্তানসম পড়ুয়াদের খেয়াল রাখছেন তো? তাঁর প্রশ্ন, কোনও পড়ুয়াকে যদি জিজ্ঞাসা করা যায় যে সে আপনাদের কাছ থেকে কি শিখেছে, সদুত্তর পাব তো? উত্তর আপনাদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে তো?

    আরও পড়ুুন: একশো দিনের কাজে ‘পুকুর চুরি’! মৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে মজুরি!

    বিচারপতি (Calcutta High Court) বসু বলেন, একাধিক স্কুলে ৩০, ৩৫, ৫০জন পড়ুয়া রয়েছে।  অথচ দেখা যাচ্ছে ১০-১৫ জন শিক্ষক রয়েছেন। তাঁদের অন্যত্র বদলি করুন। নিজের অধিকারের এইচআরএ, সিএল, পিএল, সিসিএল চাইছেন।  কিন্তু পড়ুয়াদের অধিকারের কি হবে? সরকারি কোষাগারের টাকার অপচয় হচ্ছে। তাঁর প্রশ্ন, এই সব স্কুল রেখে লাভ কি? অন্য স্কুলের সঙ্গে মিলিয়ে দিন। বিচারপতি বসু বলেন, এটা করতে না পারলে পরের নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝঞ্ঝাট মুক্ত হবে না। কারণ নিয়োগের সময় এই সব স্কুল শূন্যপদ দেখাবে। সেখানে নিয়োগ করতে হবে। এতে অর্থের অপচয় হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    চলতি বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ২৮ জন। অথচ গত বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৫। কেন এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষ কমেছে, সে প্রশ্ন উঠছে। যদিও অতিমারির প্রভাবকে দায়ী করে হাত ধুয়ে ফেলেছে পর্ষদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • West Bengal BJP: ‘বিজেপি কারও বাড়ি ঘেরাও করে রাজনীতি করার বিরুদ্ধে’, সাফ জানালেন সুকান্ত

    West Bengal BJP: ‘বিজেপি কারও বাড়ি ঘেরাও করে রাজনীতি করার বিরুদ্ধে’, সাফ জানালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কারও বাড়ি টার্গেট করে আন্দোলন করে না বিজেপি (West Bengal BJP)। আমরা কারও বাড়ি ঘেরাও করে রাজনীতি করার বিরুদ্ধে। কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রবিবার কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) তরফে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি ঘেরাও করা হয়। সেই প্রেক্ষিতেই এই প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। রবিবার নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্র বালুরঘাটে এক কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। সেখানেই তিনি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য কাঠগড়ায় তোলেন তৃণমূলকে।

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি…

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করাই তৃণমূলের একমাত্র লক্ষ্য। নোংরা রাজনীতি আর দুর্নীতি করা ছাড়া ওদের আর কোনও কাজ নেই। কারও সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকতেই পারে। তার জন্য আন্দোলন করার অনেক পথ রয়েছে। সুকান্ত বলেন, আমরাও ডিএম অফিস কিংবা অন্য কোনও সরকারি অফিস ঘেরাও করি। কিন্তু কারও বাড়ি টার্গেট করে আন্দোলন বিজেপি (West Bengal BJP) করে না। আমরা কারও বাড়ি ঘেরাও করে রাজনীতি করার বিরুদ্ধে। আমরা এর অবসান চাই। তিনি বলেন, তা না হলে আগামী দিনে আমরাও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ঘেরাও করব। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, এই বাড়ি ঘেরাওয়ের রাজনীতি যদি বন্ধ না হয়, তাহলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিগুণ লোক নিয়ে অভিষেকের বাড়ি ঘেরাও করব।

    আরও পড়ুুন: একশো দিনের কাজে ‘পুকুর চুরি’! মৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে মজুরি!

    এদিন শ্রীরামপুরে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, রাজ্য সভাপতি যখন বলেছেন, তখন নিশ্চয়ই ভেবেচিন্তে বলেছেন। মডেল তো ভালোই। ইট মারলে পাটকেল তো খেতেই হয়! তৃণমূলের নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ওই কর্মসূচিতে ১২০০ লোকও হয়নি। তিনি জানান, তাঁর একটা মিটিংয়ে এর চেয়ে ঢের বেশি লোক হয়। বিধাননগরে একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন বিজেপির (West Bengal BJP) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, যদি ওরা মনে করে আমার নেতা-মন্ত্রী-সাংসদদের-বিধায়কের বাড়ি ঘেরাও করবে, তাহলে আমরাও পারি। অভিষেক কেন, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িও ঘেরাও করব আমরা।  


    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
     

     

      

  • MGNREGA: একশো দিনের কাজে ‘পুকুর চুরি’! মৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে মজুরি!

    MGNREGA: একশো দিনের কাজে ‘পুকুর চুরি’! মৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে মজুরি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেউ মারা গিয়েছেন ১০ বছর আগে। কেউ বা ৮। তবে তাঁদের জবকার্ড (Job Card) রয়েছে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নিয়মিত মজুরিও ঢুকেছে। এভাবেই লুঠ হয়েছে একশো দিনের কাজের (MGNREGA) টাকা। নদিয়া জেলার কল্যাণীর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। একটা, দুটো নয়, এরকম ১ হাজার ৫০০ জাল একশো দিনের কাজের জবকার্ডের হদিশ মিলেছে। শুধু ২০১৯ এবং ’২০ সালের মধ্যেই এভাবে লুঠ হয়েছে অন্তত ৫ কোটি টাকা। যিনি এই অভিযোগ করেছেন তিনি একাধারে স্থানীয় বাসিন্দা, অন্য দিকে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।

    একশো দিনের কাজ…

    তিনি নারায়ণ হালদার। গত ডিসেম্বরে তিনিই বিষয়টি নিয়ে দ্বারস্থ হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের। দায়ের করেছেন পিটিশন। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আবেদনকারী যে অভিযোগ করেছেন, তা প্রমাণ করতে পারবে নদিয়া জেলা প্রশাসন। এই নির্দেশ পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে তদন্তের কাজ শেষ করতে হবে তাদের। হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পর তদন্তের কাজ কতদূর এগোল, তা জানতে নদিয়ার জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলতে যান এক সাংবাদিক। আমি এখন ব্যস্ত আছি বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।

    আরও পড়ুুন: ‘মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার জন্য খরচ কোটি কোটি টাকা, উৎস কী’, প্রশ্ন শুভেন্দুর

    অভিযোগকারী নারায়ণবাবু জানান, ভুয়ো জবকার্ডের (MGNREGA) খোঁজ পেতে তিনি ময়দানে নামেন ২০২০ সালে অতিমারিতে লকডাউনের সময়। তিনি দেখেন, ওই সময় কোনও কাজ না হলেও, তাঁর এলাকার অনেক জবকার্ড হোল্ডারই নিয়মিত মজুরি পাচ্ছেন। নারায়ণবাবু বলেন, স্থানীয়দের অনেকেই আমাকে বলেছেন, তাঁদের নাম একশো দিনের কাজ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁদের অনুমতি ছাড়াই খোলা হয়েছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক বলেন, যখন আমি ফের এ ব্যাপারে তদন্ত করতে যাই, তখন আমি এমন বেশ কয়েকটি জবকার্ড দেখেছি, যাঁরা অনেক আগেই প্রয়াত হয়েছেন। তবে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়নি। মৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে (MGNREGA) মজুরি ঢুকেছে নিয়মিত। ২০১৪ সালে মারা গিয়েছেন সমরকুমার দে। ২০২০ সালেও তিনি একশো দিনের প্রকল্পে পুকুর খোঁড়ার কাজ করছেন!এরকম উদাহরণ রয়েছে আরও। নারায়ণবাবুর হয়ে আদালতে সওয়াল করছেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তিনি বলেন, যাঁদের প্রকৃত কাজ পাওয়ার দরকার, তাঁরা পাননি। অথচ গরিবের টাকা লুঠ হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • DA Protest: নবান্নের ‘হুমকি’ উড়িয়ে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আজ-কাল কর্মবিরতিতে অনড় সরকারি কর্মী সংগঠন

    DA Protest: নবান্নের ‘হুমকি’ উড়িয়ে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আজ-কাল কর্মবিরতিতে অনড় সরকারি কর্মী সংগঠন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া DA’এর দাবিতে, সোম-মঙ্গল কর্মবিরতিতে অনড় সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নগুলি। নবান্নের কড়া বার্তা সত্ত্বেও ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি থেকে সরতে নারাজ রাজ্য সরকারি কর্মীরা। অনেক কর্মচারী সংগঠন আবার সব প্রস্তুতি শেষ করে সংগঠিত ভাবে এই কর্মসূচি পালন করবে, বলেও জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ন্যায় মহার্ঘ ভাতার (DA) দাবিতে এই আন্দোলন হচ্ছে বলেই দাবি রাজ্য সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নগুলির। আন্দোলনকারীদের সাফ কথা, টানা দুই দিনের কর্মবিরতির পরও যদি সরকারের হুঁশ না-ফেরে এবং তাঁদের বকেয়া ডিএ না মেটানো হয়, তাহলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হবেন তাঁরা। এমনকী পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়েও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন সরকারি কর্মচারীরা। এই পরিস্থিতিতে এবার কড়া হাতে পরিস্থিতি সামাল দিতে উদ্যত হয়েছে নবান্ন।

    নবান্নের সার্কুলার

    নবান্নের তরফে সার্কুলার জারি করে জানানো হয়েছে, সোম ও মঙ্গলবার কোনওভাবেই পূর্ণ বা অর্ধ দিবস ছুটি নেওয়া যাবে না। কর্মবিরতিতে সামিল হলে চাকরি জীবন থেকে বাদ যাবে একদিন। করা হবে শোকজ। শুধুমাত্র হাসপাতালে ভর্তি থাকলে, স্বজনের মৃত্যু হলে, মাতৃত্বকালীন ছুটি বা সন্তানের দেখভালের জন্য ছুটি নেওয়া থাকলে, তা মঞ্জুর করা হবে। এই সার্কুলার জারি করতেই, আরও ঝাঁঝ বাড়িয়েছেন DA-এর দাবিতে আন্দোলনকারীরা। রবিবার আন্দোলন স্থলে, প্রতীকী সার্কুলার জ্বালিয়ে, প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। DA-এর দাবিতে আন্দোলনকারী সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রতিবাদ কর্মসূচী ২৪ দিনে পড়ল। আর অনশন ১০ দিনে। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, দাবি আদায় না করা পর্যন্ত চলবে এই আন্দোলন। রবিবার অনশন মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়েন একজন অনশনকারী-সহ দুই আন্দোলনকারী।

    আরও পড়ুুন: ‘মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার জন্য খরচ কোটি কোটি টাকা, উৎস কী’, প্রশ্ন শুভেন্দুর

    আন্দোলনকারীদের কথায়, সরকার ভয় পেয়েছে তাই এই ধরনের সার্কুলার জারি করছে নবান্ন। কিন্তু তারা প্রতিবাদ আন্দোলন অব্যাহত রাখতবে। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সার্কুলার প্রসঙ্গেন বলেন, ‘কারা অর্ডার করেছেন জানি না? আইন তারা বোঝেন না, সার্ভিস ব্রেক এইভাবে করা যায় না, কোর্ট আছে। কোর্টে গেলে থাপ্পড় মেরে আবার রাজ্য সরকারকে বাড়ি পাঠিয়ে দেবে। এর আগেও বহুবার থাপ্পড় খেয়েছে রাজ্য সরকার লজ্জা হয় না। এদের কারও সার্ভিস ব্রেক করতে পারে না রাজ্য সরকার।’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের জালে আরও ২, কে কে জানেন?

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের জালে আরও ২, কে কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় গ্রেফতার তাপস মণ্ডল (Tapas Mandal)। রবিবার দুপুরে তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। তাপস প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ। এদিন দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। টানা ঘণ্টা তিনেক জেরা করা হয় তাপসকে। তার পরেই করা হয় গ্রেফতার। যদিও তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে, তা তিনি জানেন না বলেই দাবি করেছেন তাপস। তাপস ছাড়াও এদিন সিবিআইয়ের জালে পড়েছেন আরও এক অভিযুক্ত নীলাদ্রি ঘোষ। সোমবার দুজনকেই তোলা হবে আদালতে।

    নিয়োগ দুর্নীতি…

    নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) মামলায় তদন্তে নেমে গ্রেফতার করা হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। তাঁকে জেরা করে জানা যায় তাপসের নাম। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাঠোর রোডের দেবীপুরের বাসিন্দা তাপস। বছর কুড়ি ধরে ওই এলাকায় রয়েছেন তিনি। স্ত্রী, দুই ছেলে ও পুত্রবধূকে নিয়ে সংসার তাঁর। ইডির চার্জশিটে নাম ছিল তাপসের। সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হন হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। তিনি সরাসরি অভিযোগের আঙুল তোলেন তাপসের দিকে। কুন্তল ও তাপসকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করলে বহু অজানা তথ্যের সন্ধান মিলবে বলে তদন্তকারীরা মনে করেন। সেই কারণেই রবিবার তাঁকে ডেকে পাঠায় সিবিআই। এদিন তাঁকে জেরাও করা হয়। পরে করা হয় গ্রেফতার।

    আরও পড়ুুন: ‘মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার জন্য খরচ কোটি কোটি টাকা, উৎস কী’, প্রশ্ন শুভেন্দুর

    এর আগে তাপস সিবিআইকে জানিয়েছিলেন, তাঁর অফিস থেকে টাকা নিয়ে এজেন্টরা পৌঁছে দিতেন কুন্তলের কাছে। কুন্তলের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে চাকরি প্রার্থীদের ওএমআর শিটের কপিও উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাপসকে জেরা করেই নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত আর্থিক লেনদেনের (Recruitment Scam) মামলায় বৃহত্তর চক্রের সন্ধান পায় সিবিআই এবং ইডি। তাপসকে জেরা করে জানা যায় নীলাদ্রির নাম। কুন্তলের কাছ থেকে দু দফায় তিনি ৬ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন বলেও সিবিআইকে জানিয়েছিলেন নীলাদ্রি। বছরখানেক আগে দুজন চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে দু লক্ষ টাকা নিয়ে গোপাল দলপতিকে দিয়েছিলেন বলেও তদন্তকারীদের জানিয়েছিলেন তাপস। এদিন তাপস এবং নীলাদ্রি দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Suvendu Adhikari: ‘মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার জন্য খরচ কোটি কোটি টাকা, উৎস কী’, প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার জন্য খরচ কোটি কোটি টাকা, উৎস কী’, প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশাসনিক সভার নামে খরচ হচ্ছে গুচ্ছের টাকা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন তৃণমূল (TMC) সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নতুন নয়। তবে এবার রীতিমতো হিসেব দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) জানিয়ে দিলেন বাঁকুড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বাসের জন্য খরচ হয়েছে ৭৮ লক্ষ টাকা। বাঁকুড়ার জেলাশাসকের কাছে ওই খরচের সূত্র জানতে চেয়েছেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দুর অভিযোগ…

    জেলায় জেলায় নিয়মিত প্রশাসনিক সভা করে বেড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে নিয়ে চলেন বিস্তর লোকলস্কর। সেখানে গিয়ে সুবিধাভোগীদের নানা সুবিধা দেন। তার আড়ালে ভোটের প্রচারও চলে বলে অভিযোগ। ১৭ ফেব্রুয়ারি বাঁকুড়ায় প্রশাসনিক সভা করেন মমতা। রাজ্য সরকারের এই কর্মসূচিতে স্কুল পড়ুয়া ও বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। বাঁকুড়ার আঞ্চলিক পরিবহণ অফিসারের স্বাক্ষর করা কয়েকটি কাগজ তুলে ধরে শুভেন্দুর অভিযোগ, ৭০০ বাসে করে এই স্কুল পড়ুয়া ও সুবিধাভোগীদের নিয়ে আসা হয়েছে।

    ট্যুইট-বার্তায় শুভেন্দু লেখেন, ১৭ ফেব্রুয়ারি বাঁকুড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় ছাত্রছাত্রী ও গরিব সুবিধাভোগীদের ৭০০ বাসে করে আনতে ৭৮ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে। ওই ট্যুইটেই তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, জনগণের টাকা খরচ করে ছাত্রছাত্রীদের রাজনৈতিক বক্তৃতা শুনতে বাধ্য করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: ‘যারা ভিন্ন মতাদর্শের লোকজনের পা চাটে…’, নাম না করে উদ্ধবকে নিশানা শাহের

    মুখ্যমন্ত্রীর ওই সভায় যে লোক আনা হয়েছে, তাদের নিয়ে আসা হয়েছে বাঁকুড়ার বিভিন্ন ব্লক ও পুরসভা থেকে। শুভেন্দুর ট্যুইট থেকে জানা যাচ্ছে, সব চেয়ে বেশি বাস এসেছে বড়জোড়া এলাকা থেকে। সেখান থেকে ৫২টি বাস আনতে খরচ করা হয়েছে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া বাঁকুড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোক আনতে বাস প্রতি খরচ হয়েছে ১২ হাজার টাকা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) ট্যুইট থেকেই জানা গিয়েছে, সভার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল ৮ হাজার পুলিশ কর্মী, তৈরি করা হয়েছিল উন্নত ধরনের স্টেজ। সব মিলিয়ে মাত্র ৪০ মিনিটের সভার জন্য খরচ হয়েছে ৩-৪ কোটি টাকা। তাঁর প্রশ্ন, এই টাকা এল কোথা থেকে? বাঁকুড়ার ডিএম ব্যাখ্যা দিন। তাঁর আরও প্রশ্ন, রাজ্যের এই আর্থিক সংকটের সময় ওই টাকা কি মিড-ডে মিলের টাকা থেকে এসেছে?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sisir Adhikari: শিশিরের নামে ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ সাংসদ অনুগামীদের

    Sisir Adhikari: শিশিরের নামে ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ সাংসদ অনুগামীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার শিশির অধিকারীকে (Sisir Adhikari) ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ। শিশির কাঁথির সাংসদ। তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে। সেটি হল, তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর বাবা। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট (Fake Bank Account) খোলা হয়েছে শিশিরের নামে। শনিবার সেই ভুয়ো অ্যাকাউন্টের খবর পাওয়া মাত্রই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণের কাছে অভিযোগ জানান বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ।

    ভুয়ো অ্যাকাউন্ট…

    জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শিশিরের বাড়িতে চিঠি আসে ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্কের মেচেদার মাছনা শাখা থেকে। এই চিঠি পাওয়ার পরেই তাঁর নামে থাকা ওই অ্যাকাউন্টটির কথা জানতে পারেন শিশির। আইনি পরামর্শ নিয়ে, দিল্লিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে চিঠি পাঠান তিনি। জানা গিয়েছে, মাছনা শাখায় শিশিরের (Sisir Adhikari) নামে যে অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়েছে, তার অ্যাকাউন্ট নম্বর হল ১২০৯০১০০০০৫৩০৪৫। শিশিরের ছবি, স্বাক্ষর ও নথি ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে বলে অভিযোগ।

    যার অর্থ ব্যাঙ্কের কেওয়াইসি রয়েছে। এই ব্যাঙ্ক থেকে শিশিরের কাছে চিঠি যাওয়ার পরেই শুরু হয়েছে হইচই। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে শিশির লিখেছেন, তাঁর অনুমতি ছাড়াই এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। অ্যাকাউন্টটি খুলতে কোনও তথ্য বা নথিও তিনি দেননি। কে বা কারা এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিক অর্থমন্ত্রক। অশীতিপর এই সাংসদের দাবি, তাঁর ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করতেই এ সব করা হয়েছে। শিশিরের অনুগামীরাও জানাচ্ছেন, কাঁথির তিনবারের সাংসদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেই খোলা হয়েছে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট।

    আরও পড়ুুন: পশ্চিমবঙ্গের আমলার রামায়ণ ব্যাখ্যায় মুগ্ধ মোদি, নিয়ে গেলেন পিএমও-তে

    শিশিরের (Sisir Adhikari) পুত্র দিব্যেন্দু অধিকারী তমলুকের সাংসদ। তিনি বলেন, বাবা এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কথা জানতে পেরেই অর্থমন্ত্রীকে অভিযোগপত্র পাঠিয়েছেন। আমরা চাই, যাঁরা তাঁর নাম ব্যবহার করে এ সব করেছেন, তাঁরা ধরা পড়ুন। কারণ এই অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বাবার মতামত যেমন নেওয়া হয়নি, তেমনই বাবা কোনও তথ্য, নথি বা স্বাক্ষরও দেননি। তিনি বলেন, এই ষড়যন্ত্রের বিহিত চাইছি আমরা। তৃণমূলের টিকিটে জিতে সাংসদ হয়েছেন শিশির। পরে তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। শিশির পুত্র শুভেন্দু রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ভাবাদর্শ বদলের জেরে তৃণমূল ছেড়ে তিনি যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিযোগ, এসব কারণেই শিশিরকে ফাঁসানোর চেষ্ট চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Metro App: কলকাতাবাসীর জন্য সুখবর! মেট্রো অ্যাপ এবার বাংলাতেও!

    Metro App: কলকাতাবাসীর জন্য সুখবর! মেট্রো অ্যাপ এবার বাংলাতেও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুব শীঘ্রই বাংলা এবং হিন্দি ভাষায় মেট্রো রাইড কলকাতা অ্যাপ্লিকেশন চালু করতে চলেছে মেট্রো রেলওয়ে (Metro App)। ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, মোট ২,৪৮,৪৭০ জন যাত্রী গুগল প্লে স্টোর থেকে এই অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করেছেন। এই অ্যাপটি সেন্টার ফর রেলওয়ে ইনফরমেশন সিস্টেম তৈরি করেছে। রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ব্যবহারকারীদের মধ্যে এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা দেখে আরও দুটি ভাষায় এটি চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

    অতএব, যে যাত্রীরা ইংরেজিতে তেমন দক্ষ নন তারা এই অ্যাপের হিন্দি বা বাংলা সংস্করণ (Metro App) ব্যবহার করতে পারবেন। আশা করা হচ্ছে এই উদ্যোগ এই অ্যাপটিকে আরও সুবিধাজনক ও জনপ্রিয় করে তুলবে।

    গত বছরের ৫ মার্চ এই অ্যাপটি লঞ্চ করে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের তাদের স্মার্ট কার্ড রিচার্জ করতে বা একটি অ্যাপের মাধ্যমে কিউআর-কোড ভিত্তিক টিকিট বুক করতে এই অ্যাপটি ব্যবহার করে থাকেন যাত্রীরা। ফলে খুব সহজেই মেট্রো স্টেশনে দীর্ঘ লাইন এড়ানো যায়।

    মেট্রো স্টেশনগুলিতে মেট্রো কর্মীরা এই নতুন অ্যাপ সম্পর্কে প্রায়ই প্রচার (Metro App) করে থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও অ্যাপটির প্রচার চালানো হয়। অ্যাপের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ড রিচার্জ করার প্রক্রিয়া মেট্রোয় শুরু হয়েছিল বছর দুয়েক আগেই। তবে প্রথম তৈরি অ্যাপটির নানা সীমাবদ্ধতা থাকায় সেটি বাতিল করে পরে মেট্রো রাইড কলকাতা নামে অ্যাপ চালু করা হয়। স্টেশনে বুকিং কাউন্টারের সংখ্যা হু হু করে কমতে থাকায় সম্প্রতি ওই অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে যাত্রীদের উৎসাহিত করতে মেট্রোর পক্ষ থেকে প্রচারে জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, যাত্রীদের সমস্যা থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন অ্যাপের ব্যবহার আরও সরল করতে নিরন্তর চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে মেট্রো সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গি হানা, সরকারকেই দায়ী করলেন ভেঙ্কটেশ প্রসাদ

    যাত্রীদের লেনদেন সংক্রান্ত ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রেখে ব্যবহারের সুযোগ আরও প্রসারিত করতে (Metro App) অ্যাপটিকে ওটিপি নির্ভর করা হয়েছে। অ্যাপ থেকে স্মার্ট কার্ডের ব্যালান্স জানা ছাড়াও শেষ বার কোথায়, কখন সেটি ব্যবহার হয়েছে সেই তথ্যও মেলে। একই অ্যাপ থেকে একাধিক স্মার্ট কার্ড রিচার্জ করার সুবিধা রয়েছে। অ্যাপে ট্রেনের সময়, গুগল ম্যাপে স্টেশন দেখার সুযোগ রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • IAS Lalithalakshmi: পশ্চিমবঙ্গের আমলার রামায়ণ ব্যাখ্যায় মুগ্ধ মোদি, নিয়ে গেলেন পিএমও-তে

    IAS Lalithalakshmi: পশ্চিমবঙ্গের আমলার রামায়ণ ব্যাখ্যায় মুগ্ধ মোদি, নিয়ে গেলেন পিএমও-তে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ভাবধারায় বড় হয়েছেন। দক্ষিণ ভারতের একটি রাজ্যের বাসিন্দা, বাঙালি আমলাকে বিয়ে করে এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গে। নিজেও তিনি ২০০৮ ব্যাচের আইএএস অফিসার। অবসরে মীরার ভজন গান। করেন পুরাণ, উপনিষদ, মহাকাব্য চর্চা। সেই সব ভালো লাগা থেকেই ওঙ্কারনাথ মিশন আয়োজিত রামোৎসবে অংশ নিতে গিয়েছিলেন তিনি। ‘প্রশাসনে রামায়ণ’-এর বিষয়ে তাঁর আধ ঘণ্টার ভাষণ ছিল। আর তা এতটাই ব্যতিক্রমী ছিল যে, মাত্র তিনশো দর্শকের সামনে দেওয়া রামায়ণের ব্যাখ্যা কয়েক দিনেই ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিও দেখেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মুগ্ধ হন তিনিও। খোঁজ পড়ে পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের আইএএস অফিসার ভি ললিতালক্ষ্মীর (IAS Lalithalakshmi)। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় তাঁকে চলে যেতে হচ্ছে সাউথ ব্লকে প্রধানমন্ত্রীর দফতর বা পিএমও-র ডিরেক্টর হয়ে। যে বাংলায় আমলাদের দিল্লি যেতে হাজারো বাধা দেওয়া হয়, সেখানে পিএমও-র আগ্রহের কথা জেনে আপত্তি করার সাহস দেখায়নি নবান্ন।

    এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যের প্রশাসন এবং আমলা মহলে বেশ চর্চা চলছে। অনেকের মতে, ২০১৪ সাল থেকে ললিতালক্ষ্মী (IAS Lalithalakshmi) এবং তাঁর আমলা স্বামীর কার্যত এ রাজ্যে বনবাস চলছিল। কারণ তাঁরা ‘চটি-আমলা’ ছিলেন না। প্রধানমন্ত্রী এমন অফিসারকে খুঁজে সরাসরি পিএমও-তে নিয়ে যাওয়ায় জুনিয়র আমলাদের অনেকেই খুশি। গরু-কয়লা-চাকরি চুরির রাজ্যে আমলা হিসাবে কাজ করতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের যে সব জুনিয়র আমলাদের সর্বভারতীয় স্তরে হাসি-মস্করার শিকার হতে হয়, তাঁরা এই ঘটনায় আশার আলো দেখছেন।

    তাঁর প্রধানমন্ত্রীর দফতরে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে ললিতাদেবীর (IAS Lalithalakshmi) কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘‘স্পর্শকাতর বিষয়। এ নিয়ে কোনও কথা বলতে চাই না। আমলার জীবনে বদলি থাকেই। যখন আইএএস হই তখন স্বপ্ন ছিল একদিন নর্থ ব্লক-সাউথ ব্লকে বসে কাজ করব। সেই সুযোগ এসেছে। এই ঘটনা রাজ্যের আমলাদের দেশের প্রশাসনিক তন্ত্রের উপর আস্থা বাড়াবে।” তবে ললিতাদেবী যাই বলুন না কেন, তাঁর পিএমওতে নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা এখন রাজ্য প্রশাসনে সবার মুখে মুখে। 

    জানা যাচ্ছে, ওঙ্কারনাথ মিশনের রামোৎসবে অযোধ্যা সাহিত্য উৎসবে উদ্যোক্তারা তাঁকে রামায়ণের উপর বলতে অনুরোধ করেছিলেন। ললিতাদেবী (IAS Lalithalakshmi) নিজেই ‘রামায়ণে প্রশাসন’ বিষয় নির্বাচন করেন। মাত্র ৩০০ দর্শকের সামনে যজুর্বেদ, ঈষপোনিষদ, বাল্মিকী, তুলসীদাস থেকে রামায়ণের আধুনিক ব্যাখ্যাকারদের তত্ত্ব থেকে তিনি উপস্থাপন করেন রঘুপতি রামের আমলে প্রশাসন কেমন ছিল। তিনি ব্যাখ্যা করেন গান্ধীজি যে রামরাজ্য চেয়েছিলেন, সেই রামরাজ্য রামায়ণে কীভাবে বর্ণিত আছে। ৩০ মিনিটের সেই প্রবচন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। যায় নরেন্দ্র মোদীর মোবাইলেও। তিনি পিএমও-র আধিকারিকদের ললিতালক্ষ্মীর খোঁজ করতে বলেন। জানা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু সিনিয়র আমলা দিল্লিকে জানান যে, এমন কোনও অফিসারের কথা তাঁদের জানা নেই। শেষ পর্যন্ত আরও খোঁজখবর নেয় প্রধানমন্ত্রীর দফতর। বিস্তারিতভাবে জানেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন টেকনোলজির কলকাতা ক্যাম্পাসের ডিরেক্টর ভি ললিতালক্ষ্মীর (IAS Lalithalakshmi) সম্পর্কে। শোনা যাচ্ছে, এ সব যখন চলছে তার বিন্দু-বিসর্গও টের পাননি রামায়ণের ব্যাখ্যাকার আমলা। 

    হঠাৎ একদিন পিএমও-র এক সিনিয়র কর্তা ফোন করে তাঁকে তাঁর কাজ সম্পর্কে প্রেজেন্টেশন দিতে বলেন। বলা হয়, রামায়ণে প্রশাসন বিষয় নিয়েও তাঁর কথা শোনা হবে। পিএমওতে গেলে সিনিয়র কর্তারা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ললিতাদেবীর (IAS Lalithalakshmi) কথা শোনেন। পিএমও-র কর্তারা জানতেন, কীভাবে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় উত্তর ২৪ পরগনার এডিএম থাকাকালীন নির্বাচনে কারচুপি করতে উদ্যত এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোয় আমলা দম্পতিকে বসিয়ে দেওয়া হয়। তারপর থেকে ১২ বছর কার্যত গুরুত্বহীন দফতরে রেখে একপ্রকার নির্যাতন চালানো হয় ললিতা ও তাঁর বাঙালি আইএএস স্বামীর উপর। ১০-১১ বার কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে আসতে চাইলেও তাঁকে যে ছাড়া হয়নি তাও পিওমও-র কর্তারা জানতেন।
     
    ঘণ্টাখানেকের সাক্ষাৎকারের পর পিএমও-র শীর্ষ কর্তারা জানতে চান, ললিতাদেবীর (IAS Lalithalakshmi) দিল্লি আসতে অসুবিধা আছে কি না? ফোন আসে নবান্নে। জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা ললিতাদেবী সাউথ ব্লকে কাজ করুন। ছাড়পত্র চায়। যে নবান্ন ১০-১১ বার ললিতাদেবীর আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল, সেই নবান্ন তড়িঘড়ি এনওসি দিয়ে দেয়।
     
    ঘটনাচক্রে সাক্ষাৎকার পর্বে পিএমও-র এক কর্তা হালকাচ্ছলে ললিতাদেবীকে (IAS Lalithalakshmi) প্রশ্ন করেন, আপনি রামায়ণের ব্যাখ্যা করতে অযোধ্যা গিয়েছিলেন। রামরাজত্ব নিয়ে প্রবচন দিয়েছেন। আপনাকে পশ্চিমবঙ্গের আমলামহলের কেউ এখনও ‘ভক্ত’ বলে ব্যঙ্গ করেননি? হাসির রোল ওঠে সেখানেই। আগামী সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রীর দফতরে ডিরেক্টর পদে যোগ দিচ্ছেন ললিতালক্ষ্মী। এ বছরই শেষ লগ্নে অযোধ্যায় প্রভু রামলালা গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠা পাবেন। রামায়ণে প্রশাসনও প্রতিষ্ঠা পাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share