Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Satyabrata Mukherjee: প্রয়াত হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়

    Satyabrata Mukherjee: প্রয়াত হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ: প্রয়াত হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ১০টা ২০ মিনিট নাগাদ কলকাতার বালিগঞ্জের বাড়িতে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। বেশ কিছুদিন ধরেই বয়সজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বাংলার রাজনীতিতে। প্রাক্তন এই আইনজীবির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কোলকাতা হাইকোর্টে অর্ধদিবস ছুটিও ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। 

    রাজনৈতিক জীবন

    বিজেপির টিকিটে সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ১৯৯৯ সালে নির্বাচিত হন। ২০০০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভার সদস্য হন। কেন্দ্রীয় সরকারের রাসায়নিক-সার মন্ত্রী ছিলেন তিনি। পরে তাঁর হাতে শিল্প এবং বাণিজ্য মন্ত্রকের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক দেওয়া হয়। ২০০৮ সালে এই রাজ্যে বিজেপির সভাপতি হয়েছিলেন তিনি।

     

    শোকজ্ঞাপন করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী

    প্রবীণ এই রাজনৈতিক নেতার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন বঙ্গ বিজেপি নেতারা। এদিন ট্যুইটারে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লেখেন, “রাজ্য বিজেপির বর্ষীয়ান নেতৃত্ব, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি, প্রাক্তন সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সম্মানীয় শ্রী সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় (জুলু বাবু) মহোদয়ের প্রয়াণে আমি শোকাহত। ওনার পরিবার, পরিজন, শুভানুধ্যায়ীদের সমবেদনা জানাই। ওনার বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

     

  • Adenovirus: ফের শিশু-মৃত্যু! অ্যাডিনো মোকাবিলায় জেলায় জেলায় আইসিইউ পরিকাঠামোতে জোর

    Adenovirus: ফের শিশু-মৃত্যু! অ্যাডিনো মোকাবিলায় জেলায় জেলায় আইসিইউ পরিকাঠামোতে জোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে অ্যাডিনো আতঙ্ক। জ্বর-শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় একের পর এক শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও  রাজ্যে ফের মৃত্যু হল ১১ মাসের এক  শিশুর (Child Death)। পরিবার সূত্রে খবর, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে ভুগছিল শাসনের বাসিন্দা ওই শিশুটি। গত রবিবার বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় শিশুটির।  স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র ফেব্রুয়ারি মাসে, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে অ্যাডিনো আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১২ শিশুর। তারমধ্যে বেশ কয়েক জনের কোমর্বিডিটি ছিল।

    অ্যাডিনো উদ্বেগে চালু করা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইন নম্বর। ১০ দফা অ্যাডভাইসরি জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। তাতে বলা হয়েছে, শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশি আক্রান্ত শিশুদের জন্য ২৪ ঘণ্টার ক্লিনিক করতে হবে। যে যে হাসপাতাল বা মেডিক্যাল কলেজে শিশু বিভাগ আছে, সেখানে আলাদা আউটডোর চালু করতে হবে। যাতে সাধারণ বর্হিবিভাগে এইসব রোগীকে অপেক্ষা করতে না হয়। হাসপাতাল প্রধান বা অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়া শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশি আক্রান্ত শিশু রোগীদের রেফার করা যাবে না। ভেন্টিলেটর ও অন্য সামগ্রী প্রস্তুত রাখতে হবে। শিশু বিভাগের সঙ্গে যুক্ত থাকা জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে লাগাতে হবে।

    অ্যাডিনোর জের! শিশুর জন্য জেলায় জেলায় ICU পরিকাঠামো 

    এই পরিস্থিতিতে সঙ্কটজনক শিশুদের (Children in Critical Condition) চিকিৎসার জন্য জেলায় জেলায় ICU পরিকাঠামো তৈরি করছে স্বাস্থ্য দফতর (Health Department)। জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে ভার্চুয়াল কর্মশালা (Virtual Workshop)। সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বেহাল। তাই এত শিশু-মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। শহরের বাইরে গেলেই মিলছে না অভিজ্ঞ চিকিৎসক। বিশেষজ্ঞের অভাবে সঙ্কটজনক শিশুকে কলকাতার হাসপাতালে রেফার করা হচ্ছে। চাপ বাড়ছে শহরের হাসপাতালগুলির শিশুবিভাগে। দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার ধকলও নিতে পারছে না অনেক শিশু। এককথায় সেই অভিযোগগুলিকে কার্যত মান্যতা দিল স্বাস্থ্য দফতর। 

    আরও পড়ুন: বাড়তি ওজন কমাতে পাতে রাখুন এই ৬ প্রকারের উচ্চ ফাইবারযুক্ত সবজি

    সঙ্কটজনক শিশুদের চিকিৎসার জন্য জেলায় ICU পরিকাঠামো তৈরি করছে স্বাস্থ্য দফতর। জেলাস্তরের হাসপাতালে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট অর্থাৎ PICU না থাকায়, বড়দের CCU, HDU পরিকাঠামোকে কাজে লাগিয়ে মাস্ক, ক্যানুলা ও সার্কিট ব্যবহার করে শিশুদের চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে শুরু হয়েছে ভার্চুয়াল কর্মশালা। কর্মশালায় জেলার হাসপাতালগুলির শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, CCU, HDU-এর মেডিক্যাল অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এরপর হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘এপাং ওপাং ঝপাং…’, মমতার অস্ত্রেই তৃণমূল বধ সুকান্তর!

    Sukanta Majumdar: ‘এপাং ওপাং ঝপাং…’, মমতার অস্ত্রেই তৃণমূল বধ সুকান্তর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতার অস্ত্রেই মমতা বধ! তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) একটি কবিতার লাইন উদ্ধৃত করে মমতাকেই বিঁধলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তৃতীয়বার বাংলা জয়ের পর তৃণমূল (TMC) নেত্রী পাখির চোখ করেছিলেন ত্রিপুরাকে। ত্রিপুরা পুরনির্বাচনের মতো বিধানসভা নির্বাচনেও গোহারা হেরেছে মমতার দল। তার পরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতির মুখে তৃণমূল নেত্রীর কবিতার লাইন, ‘এপাং ওপাং ঝপাং…’।

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)…

    অথচ ত্রিপুরেশ্বরীর রাজ্য জয়ে চেষ্টার কম কসুর করেনি তৃণমূল। দলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা ত্রিপুরা উড়ে গিয়েও বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। খোদ তৃণমূল নেত্রীর পদযাত্রাও মাঠে মারা গিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, ত্রিপুরায় সাকুল্যে এক শতাংশ ভোটও পায়নি তৃণমূল। নোটার চেয়েও কম ভোট গিয়েছে ঘাসফুলের ঝুলিতে। তার পরেই ধেয়ে এল সুকান্তের (Sukanta Majumdar) খোঁচা। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে সুকান্ত ত্রিপুরার ভোটের ফলের শতাংশের হিসেব তুলে ধরে বিঁধেছেন রাজ্যের শাসক দলকে।

    অন্য একটি ট্যুইট-বার্তায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি লিখেছেন, ত্রিপুরা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য মানিক সাহা এবং ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপির কার্যকর্তাদের অভিনন্দন। ত্রিপুরা আবারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে উন্নয়ন সূচিতে পরিচালিত সরকারকে নির্বাচিত করেছে। এই জয় বিজেপির প্রতি জনগণের ক্রমবর্ধমান আস্থা দেখায়।

    পদ্ম ফুটেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ট্যুইটারে যুক্ত করে বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    বিজেপির তথ্য প্রযুক্তি শাখার সর্বভারতীয় প্রধান এবং পশ্চিমবঙ্গের সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য ট্যুইট-বার্তায় লেখেন, বাম-কংগ্রেস জোট এবং উচ্চাভিলাষী টিএমসি থাকা সত্ত্বেও বিজেপি ত্রিপুরাকে ধরে রেখেছে। টিএমসি নোটার চেয়ে কম ভোট পেয়েছে। টিএমসি মেঘালয়ে কংগ্রেসের ১২ জন বিধায়ককে নিয়েছিল। সংখ্যাটা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৫ এ। উত্তর পূর্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রত্যাখান করেছে। এর পর হবে পশ্চিমবঙ্গে। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে কেবল উত্তর পূর্বের তিন রাজ্য নয়, বাংলায়ও মুখ থুবড়ে পড়েছে তৃণমূল। হাত ছাড়া হয়েছে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি বিধানসভার রাশও।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ওরা বলছে, মর যা মোদি, দেশ বলছে, মৎ যা মোদি’’, একথা কেন বললেন প্রধানমন্ত্রী?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূলের সর্বভারতীয় দলের তকমা খারিজ করার আবেদন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: তৃণমূলের সর্বভারতীয় দলের তকমা খারিজ করার আবেদন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী কোনও রাজনৈতিক দলকে জাতীয় দলের স্বীকৃতি পেতে যে সব শর্ত পূরণ করতে হয়, তৃণমূল তা করতে পারছে না। তাই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের উচিত তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় দলের তকমা খারিজ করা। ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে এমনই অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল কংগ্রেস সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত আঞ্চলিক দল বলেও আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দু যা বললেন

    গোয়ার পর ত্রিপুরায় ভরাডুবি। ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে নোটার চেয়েও পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরায় একটি আসনেও খাতা খুলতে পারেনি জোড়াফুল শিবির। জাতীয় দলের তকমা পেতে গেলে যা যা দরকার শুভেন্দুর দাবি তার কোনওটিই পূরণ করা সম্ভব নয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে। ট্যুইট করে তিনি লিখেছেন, আমি ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে অনুরোধ করছি, সর্বভারতীয় দল হওয়ার জন্য যে মাপকাঠি রয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় দলের তকমা খারিজ করা উচিত। 

    শুভেন্দু লিখেছেন, বিগত পাঁচ বছরে তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি গোয়া, মেঘালয় ও ত্রিপুরায় ভোটে লড়েছে। ত্রিপুরায় প্রাপ্ত ভোটের হার ০.৮৮ শতাংশ, কোনও বিধায়ক নেই। গোয়ায় ৫.২১ শতাংশ ভোট পেয়েছে, সেখানেও কোনও তৃণমূল বিধায়ক নেই। মেঘালয়ে ১৩.৭৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে, ৫ জন জয়লাভ করেছেন তৃণমূলের টিকিটে। ফলে বাংলা ও মেঘালয় ছাড়া আর কোথাও তৃণমূলের ৬ শতাংশ ভোট বা অন্তত ২ বিধায়ক নেই, যা জাতীয় দলের তকমার জন্য দরকার। লোকসভা ভোটেও ২০১৯ সালে তৃণমূল চারটি রাজ্যে ৬ শতাংশ ভোট পাওয়ার মাপকাঠি পূরণ করতে পারেনি।

    আরও পড়ুন: ত্রিপুরা জয়ের খোয়াব ভেঙে খান খান, অতঃ কিম? ভাবছে তৃণমূল

    এমনকী বাংলার বাইরেও কোনও সাংসদ লোকসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে জেতেননি। শুভেন্দুর দাবি, জাতীয় দলের তকমা ধরে রাখতে হলে অন্তত ৪টি রাজ্যে আঞ্চলিক দলের স্বীকৃতি পেতে হবে। এ ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ এবং মেঘালয়ে তৃণমূলের বিধায়ক রয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Primary TET: প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআই-ইডি যৌথ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Primary TET: প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআই-ইডি যৌথ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক (Primary TET) নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআই (CBI)-ইডি (ED) যৌথ তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দেন তিনি। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে হওয়া ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তদন্ত করবে ইডি-সিবিআই। পর্ষদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব কীভাবে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকে দেওয়া হল, তাও খতিয়ে দেখবে এই দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা। ২০১৪ সালের টেটের উত্তরপত্র মূল্যায়ন করার বরাত পায় এই কোম্পানি। এই কোম্পানিকে কনফিডেনশিয়াল সেকশন বলে অভিহিত করে কমিশন।

    প্রাথমিক (Primary TET) নিয়োগ কেলেঙ্কারি…

    মানিক ভট্টাচার্য সহ পর্ষদের তৎকালীন অ্যাডহক কমিটির সদস্যদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। আদালত জানিয়েছে, প্রয়োজনে তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি-সিবিআই। ওই অ্যাডহক কমিটিতে ৮০ বছর বয়সী এক মহিলা রয়েছেন। তাঁকে অবশ্য হেফাজতে নিতে পারবে না এই দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা। আদালতের আরও নির্দেশ, নতুন করে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করতে হবে। ২০ এপ্রিলের মধ্যে ইডি এবং সিবিআই পৃথকভাবে হাইকোর্টে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করবে। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, বোমা বাঁধতে পারলে কি বাড়তি নম্বর পাওয়া যায়? বীরভূমে পেটো বাঁধলে কত নম্বর পাওয়া যায়?

    আরও পড়ুুন: ত্রিপুরা জয়ের খোয়াব ভেঙে খান খান, অতঃ কিম? ভাবছে তৃণমূল

    প্রসঙ্গত, প্রাথমিক (Primary TET) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মামলাকারীরা অভিযোগ করেন, ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে যে বিভিন্ন বিভাগে বরাদ্দ নম্বরের থেকে বেশি নম্বর দিয়েছে পর্ষদ। অযোগ্য প্রার্থীদের বহু জায়গায় বরাদ্দ নম্বরের থেকেও বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পাঠক্রম বহির্ভূত কার্যকলাপের জন্য কোনও নম্বর পাননি কেউ। তখনই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, অন্য ক্ষেত্রে তো বরাদ্দের থেকে বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে, এখানে নম্বর দেওয়া হয়নি কেন? বোমা বাঁধতে পারলে কি বাড়তি নম্বর পাওয়া যেত? বীরভূমে পেটো বাঁধলে কত নম্বর পাওয়া যেত?

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তে নেমে একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা। এর মধ্যে রয়েছেন বাগদার চন্দন মণ্ডল ওরফে সৎ রঞ্জন। গ্রেফতার করা হয়েছে হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে। তিনি আবার নাম নেন হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের। এই হৈমন্তী গোপাল দলপতির দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। তাঁর নাম প্রকাশ্যে আসার পর অবশ্য খোঁজ মেলেনি হৈমন্তীর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

  • Guinnes Book Winner SIDDIKA PARVIN: গিনেস বুক জয়ী বিশ্বের দীর্ঘকায় মহিলা সিদ্দিকা পারভিন এখন কেমন আছে, জানেন কী?

    Guinnes Book Winner SIDDIKA PARVIN: গিনেস বুক জয়ী বিশ্বের দীর্ঘকায় মহিলা সিদ্দিকা পারভিন এখন কেমন আছে, জানেন কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ সাত ফুট ৮ ইঞ্চির দীর্ঘকায় মহিলা সিদ্দিকা পারভিনকে (Siddika Parvin) মনে পড়ছে। কয়েক বছর আগে পৃথিবীর একমাত্র দীর্ঘকায় মহিলা হিসেবে গিনেস বুকে নাম তুলে রাতারাতি খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন তিনি। তাঁকে নিয়ে অনেক হইচইও হয়েছিল। তবে, এখন সে সব শুধু অতীতের ধূসর স্মৃতি মাত্র। বছর আটেক আগেও গ্রামের রাস্তার ধূলো উড়িয়ে শাসক এবং বিরোধী দলের নেতা নেত্রীরা তাঁর বাড়ি বয়ে এসে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু, কেউ কথা রাখেনি।

    কেমন আছেন সিদ্দিকা পারভিন?

    পৃথিবীর একমাত্র অতিকায় মহিলা হিসেবে গিনেস বুকে স্বীকৃতি পাওয়া সিদ্দিকা পারভিন এখন অসুস্থ। দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি ব্লকের শ্রীরামপুর গ্রামে তিনি থাকেন। বাড়ি বলতে ভাঙাচোরা এক চিলতে ঘর। এখন তাঁর বয়স মাত্র ৩৩ বছর। এই বয়সেও তিনি ঠিকমতো নড়তে চড়তে পারেন না। আজ পর্যন্ত জোটেনি দিন গুজরানের কোনও সরকারি ভাতা। হয়নি আধার কার্ডও। বিরল রোগে তিনি আক্রান্ত। কিন্তু, তাঁর চিকিত্সা করানোর বিষয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। এক সময় নেতা, মন্ত্রীর সুপারিশে দলীয় কর্মী পরিবেষ্টিত হয়ে সিদ্দিকার চিকিৎসার জন্য তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তখন কিছুটা চিকিত্সা হয়েছিল। তারপর দিল্লি থেকে সেই যে বাড়িতে ফিরেছিলেন তিনি, আর তাঁর কেউ খোঁজ রাখেনি। এখনও তিনি সুস্থ নন। সোজা হয়ে এখন তিনি হাঁটতে পারেন না। ক্ষোভে সকলের সাথে ঠিক ভাবে কথা বলাও প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন অভিমানী সিদ্দিকা।

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩ বছর বয়সে সিদ্দিকার পিটুইটারি গ্রন্থিতে টিউমারের সমস্যা তৈরি হয়। তাঁর চেহারা দীর্ঘ হতে থাকে। পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে তাঁর খাবারের চাহিদা। রোজ প্রায় দু’কেজি চালের ভাত খাওয়ার চাহিদা মেটাতে হিমসিম খেতে হয় গরিব পরিবারটিকে। তারপর থেকে ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এহেন তেত্রিশ পেরনো সিদ্দিকাকে নিয়ে ঘোর দুশ্চিন্তায় দিন কাটচ্ছে তার দিনমজুর বাবা আফাজুদ্দিন ও তার মা মানসুরা বিবির। তাঁদের বক্তব্য, তাঁদের মেয়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা কেউ করল না। এবার অন্তত একটি ভাতার ব্যবস্থা কেউ করে দিলে ভাল হয়। ভবিষ্যতে সিদ্দিকার অল্প হলেও নিশ্চিত সংস্থান থাকে। আর সেই দিনের পথ চেয়ে বসে রয়েছেন সিদ্দিকা ও তাঁর পরিবার ।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

  • Adenovirus: টেস্ট কিটের আকাল! অ্যাডিনো চিহ্নিত করতেই জেরবার সরকারি হাসপাতালগুলি

    Adenovirus: টেস্ট কিটের আকাল! অ্যাডিনো চিহ্নিত করতেই জেরবার সরকারি হাসপাতালগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  রাজ্য জুড়ে বাড়ছে অ্যাডিনোভাইরাসের আতঙ্ক। সাম্প্রতিক দিনে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা ৫০ ছুঁইছুঁই। জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক উপসর্গ নিয়ে রাজ্যে একের পর এক শিশুর মৃত্যু এ বার গভীর চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে প্রশাসনের। অভিভাবকদের পাশাপাশি, উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতরও। কলকাতা ছাড়া বাকি জেলাগুলিতেও ভয় ধরাচ্ছে অ্যাডিনো। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “ভয় পাবেন না। ৫ হাজার বেড আমাদের তৈরি। ৬০০ শিশু চিকিৎসক তৈরি। করোনা যেহেতু প্যানিক হয়ে গিয়েছে। করোনার পর যে কোনও একটা ভাইরাস এলেই চিন্তিত। বাড়ির লোকজনকে যত্ন নিতে হবে। বাচ্চারা মাস্ক পরতে পারে না। ওদের উপর একটু বিশেষ নজর দিতে হবে, বাইরে যাতে না বেরোয়। ঘরে রাখাটাই ভাল।”  

    অ্যাডিনো-আতঙ্ক

    মুখ্যমন্ত্রী যতই আশ্বাস দিন পরিসংখ্যান বলছে অন্য কথা। বৃহস্পতিবার ভোরেও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে হুগলির ১ বছর ৩ মাস বয়সি এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৃতার নাম শ্রেয়া পাল। জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে ওই শিশুকে গত ২১ ফেব্রুয়ারি হুগলির সরকারি হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়। দেখা যায় ওই শিশুর শরীরে দানা বেঁধেছে অ্যাডিনো ভাইরাস। হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময় শিশুটির দুই ফুসফুসে নিউমোনিয়া হয়। এর পর বৃহস্পতিবার ভোরে একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ার কারণে মৃত্যু হয় ওই শিশুর। 

    অ্যাডিনোয় শিশুমৃত্যু, রাজ্যকে দুষলেন সুকান্ত

    রাজ্যে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ক্রমশ বাড়তে থাকায় রাজ্য সরকারের বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “রাজ্যের মধ্যে উত্তরবঙ্গ, রাঢ়বঙ্গ, জঙ্গলমহলে স্বাস্থ্যের পরিকাঠামো ভালো নয়। মুখ্যমন্ত্রীর এটা বোঝা উচিত নীল সাদা রঙ বিল্ডিং করে স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় না। ভালো চিকিৎসক নেই এই এলাকাগুলোতে। আর যার ফলে রোগীদের খালি রেফার করতে হচ্ছে। আর শিশু মৃত্যুর মত ঘটনা ঘটছে।” তিনি আরও বলেন, “পুরো রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হালই বেহাল। এটা সরকারের অপদার্থতা। মাননীয়া না হয় এই বিষয়ে কিছুই জানেন না, বোঝেন না, বা নিজে সব বুঝেও রাজ্যের মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন।” সুকান্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যান। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, “শহর কলকাতা থেকে যত দূরে যাবেন, দেখবেন এই ধরনের রোগ যেমন অ্যাডিনো ভাইরাসের জন্য যেরকম ডাক্তার দরকার, সেইসমস্ত ডাক্তার পাওয়া যাচ্ছে না। লোকজন চিকিৎসা করাতে পারছেন না। এভাবে একটা রাজ্য চলতে পারে না।”

    আরও পড়ুন: অযোগ্য ৬১৮ জন শিক্ষকের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করল এসএসসি

    অ্যাডিনো-টেস্ট কিটের আকাল

    সুকান্তর অভিযোগ যে সত্য তার প্রমাণ হল, সরকারি হাসপাতালে কিটের আকাল। এর ফলে সরকারি হাসপাতালে (Government Hospital) বন্ধ অ্যাডিনোর টেস্ট (Adenovirus Test)। এদিকে বেসরকারি ক্ষেত্রে টেস্ট (Private Test) পিছু খরচ ৫ থেকে ২২ হাজার পর্যন্ত টাকা। নাজেহাল অবস্থা রোগীর পরিজনদের। বেসরকারি জায়গায় টেস্টের দাম মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে, কোথাও টেস্ট পিছু নেওয়া হচ্ছে ২২ হাজার টাকা। কোথাও বা ১৪ হাজার টাকা। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য যে যন্ত্রের সাহায্যে অ্যাডিনো ভাইরাস পরীক্ষা করা হয়, তাতে একসঙ্গে ২২টি সংক্রমণ সৃষ্টিকারী ভাইরাস চিহ্নিত হয়। একে বলে ভাইরাল প্যানেল। এই পরীক্ষার জন্য প্রয়োজন বিশেষ কিট (Special Test Kit for AdenoVirus)। সূত্রের খবর, জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ক্যালকাটা স্কুল অফ ট্রপিকালে অ্যাডিনো ভাইরাসের টেস্ট হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে কিট শেষ হয়ে যাওয়ায় সেখানে বন্ধ ভাইরাসের চিহ্নিতকরণ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tmc: চাঁচলের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে একী অভিযোগ?

    Tmc: চাঁচলের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে একী অভিযোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ চাকরি নয়, এবার দলীয় পদ বিক্রির অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। কোনও বিরোধী দলের অভিযোগ নয়। অভিযোগ করছেন খোদ তৃণমূলেরই নেতা। যে সে নেতা নন, তিনি মালদহ জেলা পরিষদের সদস্য। নাম মহম্মদ সামিউল ইসলাম। অভিযুক্ত চাঁচলের বিধায়ক( Tmc Mla) নীহার রঞ্জন ঘোষ।

    পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে। তৃণমূলের (tmc) বেআব্রু চেহারা ততই প্রকট হচ্ছে। মালদহের চাঁচলে তৃণমূলের দলীয় কোন্দল এবার প্রকাশ্যে। তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য এবং দলীয় বিধায়কের বিবাদ তুঙ্গে। সম্পর্ক এতটাই তলানিতে ঠেকেছে, একে অপরের বিরুদ্ধে দলীয় পদ বিক্রির অভিযোগ এনেছেন। অভিযোগ করেই থামেননি। রীতিমতো চিঠি দিয়েছেন কালীঘাটে। বিধায়কও দলীয় নেতার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ছাড়েননি। তাঁর দাবি, প্রকাশ্যে তোলাবাজি বন্ধ করেছেন বলেই তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হচ্ছে।

    বিধায়কের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    কয়েকজন ঠিকাদার নিয়ে দল পরিচালনা করছেন চাঁচলের বিধায়ক( Tmc Mla) নীহার রঞ্জন ঘোষ। এমনকী তিনি অর্থের বিনিময়ে পদও বিক্রি করছেন। এমনই অভিযোগ আনলেন তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য মহম্মদ সামিউল ইসলাম। তিনি দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Avishek Banerjee) কাছেও এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। গত বিধানসভা ভোটের পর থেকেই দুজনের কাজিয়া চলছে। অভিযোগ, চাঁচলের নিজের দাপট বজায় রাখতেই দলীয় প্রার্থীকেই হারাতে চেয়েছিলেন। ফলে, বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর জেলা পরিষদের এই সদস্যকে তিনি কাছে ভিড়তে দেননি। দুজনের মধ্যে দূরত্ব কমাতে হস্তক্ষেপ করতে হয় জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকেও। খবর জানতেন কালীঘাটও। মালদহের প্রশাসনিক সভাতেও মুখ্যমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। তবে, পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, চাঁচল কার দখলে থাকবে তা নিয়ে দুজনের বিবাদ তুঙ্গে। তার ফলেই এই চিঠি এবং পাল্টা বিবৃতি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ভালো অবস্থাতে যে তৃণমূল কংগ্রেস নেই তা পরিষ্কার। দুপক্ষ সক্রিয় অপর গোষ্ঠীর প্রার্থীদের হারাতে।

    প্রকাশ্যে একনেতা আরেক নেতার বিরুদ্ধে মুখ খোলায় ক্ষুব্ধ মালদহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হবে।

    কার হাতে পঞ্চায়েতের টিকিট দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে, কে কত বেশি কাট মানি নিতে পারবে এই নিয়েই তৃণমূলে বিবাদ, কটাক্ষ বিজেপির। উত্তর মালদহ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, তৃণমূলে গোষ্ঠী কোন্দল চরম আকার নিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই তাদের গোষ্ঠী কোন্দল বেড়ে চলেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কে টিকিট দিতে পারবে, কে কাটমানির বেশি ভাগ বাটোয়ারা পাবে, এই নিয়ে এদের মধ্যে গন্ডগোল। মানুষ আর ওদের সঙ্গে নেই। পঞ্চায়েত নির্বাচন আসলেই তা টের পাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Sagardighi By Election: সাগরদিঘিতে গোহারা তৃণমূল, বিপুল ভোটে জয়ী কংগ্রেস

    Sagardighi By Election: সাগরদিঘিতে গোহারা তৃণমূল, বিপুল ভোটে জয়ী কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে (Sagardighi By Election) ধরাশায়ী তৃণমূল (TMC)। ঘাসফুল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রায় ২৩ হাজার ভোটে হারালেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস (Congress) প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে একটি আসনও পায়নি বাম-কংগ্রেস জোট। তবে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয়ী হওয়ায় বিধানসভায় খাতা খুলল কংগ্রেস। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে ৫০ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী সুব্রত সাহা। তাঁর প্রয়াণে শূন্য হয়েছিল আসনটি। সেই আসনেই গোহারা হারল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।

    সাগরদিঘি উপনির্বাচন (Sagardighi By Election)…

    সাগরদিঘি উপনির্বাচনে (Sagardighi By Election) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ৯ জন প্রার্থী। যদিও মূল লড়াই হয়েছে কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস, তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহার মধ্যে। এদিন গণনার শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন। গণনা শেষে দেখা যায় তৃণমূল প্রার্থীকে ২২ হাজার ৯৮০ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তিনি। বাইরন জয়ী হতেই অকাল হোলিতে মেতে ওঠেন সাগরদিঘির বাম ও কংগ্রেস কর্মীরা। বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের কার্যালয়ের সামনে বাজি পোড়াতে থাকেন কংগ্রেস কর্মীরা।

    তৃণমূল আমাকে কিনতে পারবে না…

    সাগরদিঘি কেন্দ্রে জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন বাইরন। ফল ঘোষণার ঢের আগেই তিনি বলেছিলেন, জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। আমি জয়ী হব। মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, পরিবর্তন হবে সাগরদিঘি থেকেই। এদিন দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ বাইরনকে জয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তারপরেই বাইরন বলেন, লিখে রেখে দিন, তৃণমূল আমাকে কিনতে পারবে না। দরকারে তৃণমূলকে কিনে নেব।

    আরও পড়ুুন: নির্বাচনী বন্ডে তৃণমূলের ঝুলিতে কত কোটি টাকা এসেছে জানেন?

    দলীয় প্রার্থীর জয়ে (Sagardighi By Election) দৃশ্যতই খুশি কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে অধীর বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন হলে তো প্রভাব পড়বে। যদি পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস বাংলায় থাকবেই না। এটাই তার প্রমাণ। তিনি বলেন, তৃণমূল ভোট লুঠের জন্য ক্রিমিনালদের জড়ো করেছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনী সেই চেষ্টা ভেস্তে দিয়েছে। বাম-কংগ্রেস কর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে ভোট করেছে। অধীর বলেন, এখানকার সংখ্যালঘুরা বুঝিয়ে দিয়েছেন দ্বিচারিতাকে কীভাবে ধাক্কা দিতে হয়। খেলা এখনও অনেক বাকি আছে। 

    রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যের নানা কেলেঙ্কারিতে তৃণমূলের জড়িয়ে পড়াটা ভালো চোখে দেখেননি ভোটাররা। তার ফলেই ৫০ হাজারে জেতা আসনে প্রায় ২৩ হাজার ভোটে হারতে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
  • Naushad Siddiqui: হাইকোর্টে মুখ পুড়ল রাজ্যের, জামিন পেলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি

    Naushad Siddiqui: হাইকোর্টে মুখ পুড়ল রাজ্যের, জামিন পেলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৪০ দিন জামিন পেলেন ভাঙরের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি (Naushad Siddiqui)। কলকাতা হাইকোর্টে জামিন দেয় নওশাদকে। নওশাদের জামিনের খবর সামনে আসতেই উল্লাসে ফেটে পড়েন আইএসএফ কর্মী সমর্থকরা। প্রতিটি শুনানিতেই আদালতে আসতেন আইএসএফ সমর্থকরা। এদিনও আসেন।  

    বুধবারও ব্যাঙ্কশাল কোর্ট জামিন দেয়নি নওশাদকে (Naushad Siddiqui)। শুনানির শেষে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। বুধবার শুনানির সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত মেলেনি জামিন। হতাশ হয়েছিলেন আইএসএফ সমর্থকরা। তবে বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালত জামিন দিল নওশাদকে। নওশাদের জামিন পাওয়ার খবরে খুশির হাওয়া আইএসএফ শিবিরে।  

    বার বারই শাসক বিরোধী স্বরে কথা বলে এসেছে নওশাদ। এমনকী পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্যন্ত তাকে আটকে রাখার ষড়যন্ত্রের অভিযোগও করেছিলেন তিনি (Naushad Siddiqui)। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আটকে রাখা যায়নি। 

    এদিন ৪টি মামলায় জামিন পেলেন নওশাদ সিদ্দিকি (Naushad Siddiqui)। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ জামিন দিয়েছে। নওশাদের এই জামিনে যে শাসক শিবিরে অস্বস্তি বাড়াবে তা বলাই বাহুল্য। 

    প্রসঙ্গত, গত ২১ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয়েছিল নওশাদকে (Naushad Siddiqui)। নওশাদ ও তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে পুলিশকে মারধরের যে অভিযোগ তোলা হয়েছিল তার কোনও প্রমাণ হাজির করতে পারেনি রাজ্য সরকার। তারপরই জামিন পান নওশাদ। জামিন পেয়েছেন গ্রেফতার হওয়া বাকি আইএসএফ নেতারাও।

    আরও পড়ুন: ‘নবম দশমের নিয়োগ প্রত্যাহারে এখনই স্থগিতাদেশ নয়’, জানাল কলকাতা হাইকোর্ট 

    জামিন মঞ্জুর করলেও নওশাদ (Naushad Siddiqui) সহ আইএসএফ নেতা, কর্মীদের তদন্তে সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ তদন্তকারী অফিসার তলব করলেই হাজিরারও নির্দেশ দিতে বলা হয়েছে৷

    গত ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচি ঘিরে বিক্ষোভের জেরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে আইএসএফ কর্মীদের। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন নওশাদ-সহ (Naushad Siddiqui) আইএসএফের বহু কর্মী-সমর্থক। তার পর থেকে তাঁরা জেলেই ছিলেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share