মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল। তবে তা স্বত্ত্বেও ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে পড়শি দেশ পাকিস্তান। এবার ভারতকে চাপে রাখতে করাচি বন্দরে পাকিস্তান মোতায়েন করেছে চিনা নৌসেনার (Chinese Submarine) যুদ্ধজাহাজ ও ডুবোজাহাজ। সাম্প্রতিক এক উপগ্রহ চিত্রেই ধরা পড়েছে এই ছবি। ভারতীয় জলসীমার অদূরে করাচি বন্দরে নতুন করে নৌঘাঁটি নির্মাণের তোড়জোড়ও শুরু করেছে বেজিং।
মোতায়েন যুদ্ধজাহাজ
সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, উপগ্রহচিত্রে করাচি বন্দরে চিনা টাইপ-০৩৯ ডুবোজাহাজ ও টাইপ-৫২ডি ডেস্ট্রয়ারের মতো যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে। পাকিস্তানের ওই বন্দরে চিনা টাইপ ৯২৬ সাবমেরিনও মোতায়েন করা হয়েছে। কূটনৈতিক মহলের মতে, ভারতকে চাপে রাখতেই এসব (Chinese Submarine) করা হয়েছে। বেজিংয়ের বৃহত্তর কৌশলের অঙ্গ হিসেবেই পাকিস্তানের বন্দরে এই চিনা তৎপরতা। এই অঞ্চলে চিনের একাধিপত্য মেনে নেওয়া, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে ভারতকে সুবিধাজনক শর্ত মানতে বাধ্য করাও এই কৌশলের অঙ্গ। সর্বোপরি, চিন-বিরোধী আমেরিকা থেকে ভারতকে দূরে রাখতেই পাকিস্তানের বন্দর শহর করাচিতে সামরিক তৎপরতা বাড়িয়েছে ড্রাগনের দেশ।
যৌথ সামরিক মহড়া
এদিকে, সম্প্রতি করাচি উপকূলে পাক নৌসেনার সঙ্গে সি গার্ডিয়ান-৩ যৌথ মহড়াও শুরু করেছে বেজিং। আরব সাগরে দিন সাতেক ধরে চলছে এই মহড়া। জলের পাশাপাশি মহড়া চলছে উত্তর আরব সাগরে করাচির নেভাল বেস থেকে। মহড়া শেষ হবে ১৭ নভেম্বর। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এই মহড়া চিন ও পাকিস্তানের শক্তপোক্ত দ্বিপাক্ষিক মিলিটারি কো-অপারেশনের ফল। এটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্ত করবে।
আরও পড়ুুন: উত্তরাখণ্ডে সুড়ঙ্গে আটকে বাংলার তিন সহ ৪০ শ্রমিক, খোঁজ নিলেন শুভেন্দু
প্রসঙ্গত, ভারতকে চাপে রাখতে এর আগে শ্রীলঙ্কার একটি বন্দরে নজরদারি জাহাজ মোতায়েন করেছিল চিন। তখন চিনকে ওই বন্দর ব্যবহার করতে দিতে খানিকটা বাধ্য হয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কারণ চিনা ঋণের ফাঁসে জড়িয়ে গিয়েছিল এই দ্বীপরাষ্ট্র। পরে ভারতের সহযোগিতায় অর্থনীতির হাল ফেরায় শ্রীলঙ্কা। তার পরেই চিনকে ওই জাহাজ সরিয়ে নিতে বলে কলম্বো। তার পর একই কায়দায় পাকিস্তানকেও ঋণের জালে জড়িয়ে ফেলে বেজিং। এবার তাদের নৌ-বন্দর ব্যবহার করে ও চিন-পাকিস্তান যৌথ নৌবাহিনী-মহড়া সেরে ভারতকে চোখ রাঙাতে চাইছে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের (Chinese Submarine)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours