মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামিকাল, রবিবার ১০ নভেম্বর, দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI) অবসর নেবেন। তার আগে শুক্রবারই তিনি বিদায়ী বক্তৃতা করেন। নিজের বক্তব্যে বিচারপতিদের ভূমিকাকে তিনি তীর্থযাত্রীদের সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা এখানে তীর্থযাত্রীদের মতো এসেছি, অল্প সময়ের পাখি। আমাদের কাজ করি এবং চলে যাই। আমরা যে কাজ করি, তা কোনও মামলা গড়তে পারে বা ভাঙতে পারে।’’
প্রসঙ্গ ব্যক্তিগত জীবন
শুক্রবার বিদায়ী বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘‘দেশের বিচারপতিদের (CJI) মধ্যে আমাকেই মনে হয় সবচেয়ে বেশি কটাক্ষ করা হয়েছে। যাঁরা কটাক্ষ করেছেন সোমবার থেকে তাঁদের হাতে আর কোনও কাজ থাকবে না।’’ এর পরেই নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলেন প্রধান বিচারপতি (CJI DY Chandrachud)। তিনি বলেন, ‘‘আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোনও গোপনীয়তা ছিল না। সেই জন্য আমায় কম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি, কম কটাক্ষের শিকার হতে হয়নি। বিশেষ করে সমাজমাধ্যমে।’’
কাউকে আঘাত দিলে ক্ষমাপ্রার্থী
তিনি বলেন, ‘‘এই আদালতই আমাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। আমরা রোজ এমন কিছু মানুষের সঙ্গে দেখা করি, যাঁদের সম্ভবত আমরা চিনি না, জানি না। আমি আপনাদের সকলকে প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি, আমি আজ জীবন সম্পর্কে অনেক কিছু শিখেছি, এবং এই মামলার সঙ্গে আগের কোনও মামলার মিল নেই। যদি আমি আদালতে কাউকে আঘাত দিয়ে থাকি, তবে, দয়া করে আমায় ক্ষমা করে দেবেন।’’
২০২২ সালের ৯ নভেম্বর দেশের ৫০তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নেন তিনি
প্রসঙ্গত, ২০১৩ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির পদে ছিলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। এরপর তিনি সুপ্রিম কোর্টে নিযুক্ত হন। এরপর ২০২২ সালের ৯ নভেম্বর দেশের ৫০তম প্রধান বিচারপতি (CJI) হিসাবে শপথ নেন তিনি। প্রসঙ্গত, বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের তাঁর পরে আগামী সোমবার দেশের প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নেবেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। প্রধান বিচারপতি হিসেবে তাঁর মেয়াদ হবে ছ’মাস। ২০২৫ সালের ১৩ মে অবসর নেবেন তিনি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours