মাধ্যম ডেস্ক: বসন্তের মাঝেই চড়ছে তাপমাত্রার (Temperature) পারদ। আবহবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, চলতি সপ্তাহে গরম আরও বাড়বে। এবার মার্চেই বাঙালি উষ্ণতা টের পেতে পারে। রোদের ঝাঁঝ বাড়ছে। তার সঙ্গে বাড়ছে অস্বস্তি। তাপমাত্রার পারদ বেড়ে যাওয়ার বাড়ছে রোগের ঝুঁকিও। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সবচেয়ে বেশি আশঙ্কা ডিহাইড্রেশন (Dehydration) নিয়ে। এর জেরে মারাত্মক শারীরিক সমস্যা হতে পারে।
কেন আশঙ্কায় চিকিৎসকেরা (Dehydration)?
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বসন্তকালে একাধিক রোগের প্রকোপ বাড়ে। শীত ফুরিয়ে আসে। আবার গরমের মরশুম শুরু হয়। এর ফলে, বাতাসে নানান ভাইরাস সক্রিয় হয়ে ওঠে। কিন্তু চলতি বছরে হঠাৎ করেই তাপমাত্রা অনেকখানি বদলে গেল। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্য থেকে শীত দ্রুত বিদায় নিয়েছে। আর তারপরেই চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। আর গত কয়েকদিনে সেই পারদ অনেকখানি চড়েছে! এর ফলে নানান রোগের সংক্রমণের ঝুঁকিও অনেকখানি বেড়ে গিয়েছে। বিশেষত ডিহাইড্রেশনের (Dehydration) ঝুঁকি বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশের আশঙ্কা, হঠাৎ গরমে আবহাওয়ায় শুষ্ক ভাব অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে শরীরেও জলের চাহিদা বাড়ছে। সেই চাহিদা পূরণ না হলেই ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি তৈরি হয়। বিশেষ করে শিশুদের জন্য এই ঝুঁকি বেশি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুরা অনেক বেশি দৌড়াদৌড়ি করে, এর ফলে তাদের ঘাম বেশি হয়। তারা বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল না থাকলে তাই এই পরিবেশে (Temperature) শিশুদের ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জল খাওয়ার পরিমাণের দিকে নজরদারি জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের পাশপাশি প্রাপ্ত বয়স্কদের ও জলের পরিমাণ নিয়ে সজাগ থাকা জরুরি। প্রাপ্ত বয়স্কদের দিনে চার থেকে পাঁচ লিটার জল খাওয়া দরকার। পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের দুই থেকে তিন লিটার জল নিয়মিত খাওয়া জরুরি।
জলের পাশপাশি নিয়মিত রসালো ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে তরমুজ, পেঁপে জাতীয় ফল নিয়মিত খেলে খুবই উপকার হবে। এই ধরনের ফল রসালো। এই ফল খেলে সহজেই শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ হয়।
এই আবহাওয়ায় এসি ঘরে না থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এসি ঘরে দীর্ঘক্ষণ থাকলে শুষ্কতা বাড়ে। তাই এই আবহাওয়ায় এসি ঘরে থাকলে একাধিক রোগে আক্রান্ত (Dehydration) হওয়ার ঝুঁকিও বাড়বে।
ঘাটতি মেটাতে লেবুর রস খাওয়ার পরামর্শ
শরীরে জলের ঘাটতি মেটাতে লেবুর রস খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যেকোনও ধরনের লেবুতে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এর ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। পাশপাশি ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকিও কমে।
এই আবহাওয়ায় শরীর সুস্থ রাখতে হালকা সহজ পাচ্য খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের (Temperature) একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন এই শুষ্ক আবহাওয়ায় হজমের গোলমালে অনেকেই ভোগেন। এতে শরীরে আরও নানান সমস্যা তৈরি হয়। তাই কম তেল ও মশলা দিয়ে তৈরি হালকা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে সহজেই হজম হবে। অ্যাসিডিটির (Dehydration) সমস্যা তৈরি হলে শরীরে আরও জলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তাই সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়া জরুরি।
Leave a Reply