মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই নামগুলো দেখলেই বুঝবেন, ভবিষ্যতে কী হবে। নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে (Recruitment Scam) বুধবার নিম্ন আদালতে কেস ডায়েরি পেশ করে একথা জানালেন ইডির (ED) আইনজীবীরা। যার অর্থ, প্রভাবশালীদের নির্দেশেই সব কাজ হয়েছে। ইডির জেরায় বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রভাবশালীদের নির্দেশেই সব কাজ করেছেন শান্তনু। সেই নির্দেশ পালনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কুন্তল ঘোষকে। এই প্রভাবশালীদের নাম জানতে কুন্তলকে লাগাতার জেরা করছেন তদন্তকারীরা।
নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ড (Recruitment Scam)…
কেস ডায়েরি হল সেই গোপন গুরুত্বপূর্ণ নথি, যাতে তদন্তের যাবতীয় অগ্রগতি লিপিবদ্ধ করা হয়। এবং যেটা শুধু তদন্তকারী সংস্থা এবং বিচারকই দেখতে পান। এদিন বিচারকের উদ্দেশে ইডির আইনজীবীরা বলেন, হুজুর, কেস ডায়েরিটা ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করুন। তাতে উল্লিখিত প্রভাবশালীদের নামগুলো দেখুন। প্রকাশ্য আদালতে সেই নামগুলো দেখুন। প্রকাশ্য আদালতে সেই নামগুলো (Recruitment Scam) বলতে পারছি না। দেখলেই বুঝবেন, ভবিষ্যতে কী ঘটতে চলেছে। এদিন আদালতে শান্তনুর আইনজীবীরা বলেন, তদন্তকারী সংস্থা আমাদের মক্কেলের যেসব বিষয় সম্পত্তির কথা উল্লেখ করেছে, তা ঋণ নিয়ে কেনা হয়েছে। আমাদের মক্কেল প্রতিষ্ঠিত পরিবারের ছেলে। তিনি এত বোকা নন যে, তাঁর বাড়িতে তিনশোটি ওএমআর শিট সাজিয়ে রাখবেন।
বাবার মৃত্যুর পরে উনি তাঁর চাকরিটি পেয়েছিলেন। গ্রেফতারের পর সেই চাকরি চলে গিয়েছে। বিচারক শান্তনুর পেশা সম্পর্কে জানতে চাইলে তাঁর আইনজীবী বলেন, ওঁর হোটেল ব্যবসা, অতিথিশালা ও মোবাইলের দোকান রয়েছে। বিচারক শান্তনুর শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চাইলে শান্তনু বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। মাল্টিমিডিয়ায় ডিপ্লোমা রয়েছে। এদিন শান্তনুর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে ইডির আইনজীবীরা বলেন, এই অভিযুক্ত সরকারি কর্মী। উনি তো ব্যবসা করতে পারেন না। ওঁর বার্ষিক বেতন ছ লক্ষ টাকা, কিন্তু সম্পত্তি ২০ কোটি টাকার।
আরও পড়ুুন: ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর লক্ষ্যে কাজ করে যান! বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসে বার্তা মোদির
ইডির আইনজীবীর দাবি, ড্যামি ডিরেক্টরদের নামে বেনামি সম্পত্তি (Recruitment Scam) কেনা হয়েছিল। সম্পত্তি কেনা হত নগদ টাকায়। শান্তনুর ছেলের নামে তৈরি করা হয়েছিল কোম্পানি। জানা গিয়েছে, অধস্তন কর্মীদের মাধ্যমে স্ত্রী প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে কোম্পানি খুলেছিলেন শান্তনু। খাতায় কলমে ডিরেক্টর বানানো হয়েছিল তাঁদের। ইডির দাবি, শান্তনুর মোবাইল ফোন থেকে যতদূর জানা গিয়েছে, তাতে প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে বিপুল টাকা নিতেন শান্তনু। শান্তনু সরকারি কর্মী ছিলেন। বার্ষিক আয় ৬ লক্ষ টাকা। আদালতের কাছে সাবমিশন লেটারে ইডির দাবি, নির্দিষ্ট বেতনের চাকরি করেও প্রায় ২০ কোটি টাকার সম্পত্তি করেছিলেন শান্তনু।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
Leave a Reply