SSC West Bengal: ‘টিলা থেকে দুর্নীতি পৌঁছে গিয়েছে এভারেস্টের চূড়ায়’, শান্তনু প্রসঙ্গে বলল ইডি

Shantanu_Banerjee

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরুলিয়ার ছোট টিলা থেকে দুর্নীতি পৌঁছে গিয়েছে এভারেস্টের চূড়ায়। সোমবার নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (SSC West Bengal) গ্রেফতার হওয়া যুব তৃণমূল (TMC) নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করে এমনই দাবি করল ইডি (ED)। শান্তনুর জামিনের আর্জির বিরোধিতা করে প্রভাবশালী তত্ত্ব খাড়া করেছেন ইডির আইনজীবী। তাঁর দাবি, শান্তনুর যে ২টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সেগুলি সোনার খনি। সেখানে এমন অনেকের অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া গিয়েছে, যাঁরা চাকরি পেয়েছেন। এমন কতজনকে শান্তনু চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন তা জানার চেষ্টা চলছে। ইডির আইনজীবী বলেন, চার্জশিটে যাঁদের নাম রয়েছে, দেখলে চমকে যাবেন। তিনি জানান, শান্তনু দুটি আইফোন ব্যবহার করতেন। সেখান থেকে অ্যাডমিট কার্ডের পাশাপাশি মিলেছে প্রচুর নথিও।

ইডির প্রভাবশালী তত্ত্ব…

শান্তনু যে প্রভাবশালী, এদিন আদালতে তার সপক্ষে যুক্তিজাল বিস্তার করেন ইডির আইনজীবী। তিনি বলেন, শান্তনুর সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তারক্ষী থাকেন। তল্লাশির সময় তাঁর বাড়িতে দুজন হিসাবরক্ষক ছিলেন। ইডির দাবি, শান্তনু (SSC West Bengal) গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলেই প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা করতেন। এদিন শান্তনুর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির প্রসঙ্গও উঠে আসে ইডির সওয়ালে। ইডির আইনজীবীর প্রশ্ন, ২০১৫ সালে সামান্য মোবাইলের দোকানদার থেকে কীভাবে শান্তনু ৫১ কাঠা জমির মালিক, রিসর্ট, রেস্তোরাঁর মালিক হলেন?

আরও পড়ুুন: কার মাধ্যমে কাকে চাকরি? বিধানসভায় ছবি-পোস্টার হাতে বিক্ষোভ বিজেপির

স্ত্রীর নামে কোম্পানি খুলে কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা করেছেন শান্তনু। অন্তত ইডির আইনজীবীর দাবি এমনই। শান্তনু গ্রেফতার হতেই খোঁজ মিলছে না তাঁর স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জেরায় কুন্তল শান্তনুকে ১ কোটি টাকা দিয়েছিলেন বলেও যে স্বীকার করেছেন, এদিন তাও আদালতকে জানান ইডির আইনজীবী। ইডির দাবি, শান্তনুর ফোনে ২০১২ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের একাংশের অ্যাডমিট কার্ড রয়েছে। যাঁরা চাকরি (SSC West Bengal) পেয়েছেন, তাঁদের অ্যাডমিট কার্ড কীভাবে শান্তনুর ফোনে এল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বাকি যে ৩০০ জনের লিস্ট উদ্ধার হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে কারা কারা চাকরি পেয়েছেন, তা জানার জন্য ডিপার্টমেন্টের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে আদালতে জানায় ইডি।   

প্রসঙ্গত, ইডি সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল শান্তনুর বাড়ি থেকে ৩০০ জন চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকা পাওয়া গিয়েছে। শুক্রবারই নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার করা হয় হুগলির বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনুকে। দু দিনের হেফাজত শেষে এদিন তাঁকে ফের আদালতে পেশ করে ইডি।

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share